দেশে পুঞ্জীভূত কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকা বলে মনে করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। এই কালো টাকা উদ্ধারে একটি কার্যকর কমিশন গঠন করে আগামী বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রস্তাব করা হয় সমিতির পক্ষ থেকে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেট প্রস্তাবনা ২০১৮-১৯’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ।
আবুল বারকাত বলেন, দেশে এখন ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে। বাজেটে এ সমস্যা সমাধানে পদ্ধতিগত নির্দেশনা থাকতে হবে। আমরা অর্থপাচার রোধ থেকে আগামী অর্থবছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের প্রস্তাব করছি।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশে পুঞ্জীভূত কালো টাকার আনুমানিক পরিমাণ হবে ৫ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে কালো টাকা দেশের মোট জিডিপির ৪২-৮০ শতাংশ। বিষয়টি বাস্তব সত্য। এটাকে কমানোর জন্য সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারে, অন্যদিকে একটি কার্যকর কমিশন গঠন করতে পারে। আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ কালো টাকা উদ্ধারের প্রস্তাব করছি। যদিও কি পদ্ধতিতে এই টাকা উদ্ধার করা হবে সেটা স্পষ্ট করেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. বারকাত।
- তথ্যসূত্র - dailydinkal.net/ রোববার, মে ২৭, ২০১৮।
No comments:
Post a Comment