Search

Wednesday, May 23, 2018

তাদের এখন কি নামে ডাকা হবে?


জিয়া হাসান 



আকবর আলী খান তার শুয়োরের বাচ্চার অর্থনীতি নিবন্ধে, আসানসোলের মহকুমা প্রশাসক মাইকেল ক্যারিটের সাথে এক পাঞ্জাবী ঠিকাদারের কথোপকথনের কথা লিখেছেন — 

‘হুজুর এদেশে তিন ধরনের মানুষ আছে। যারা ঘুষ খায় না। যারা ঘুষ খায় এবং কাজ করে। আর তিন নম্বর দলে আছে কিছু শুয়োরের বাচ্চা, যারা ঘুষও খায় কিন্তু কাজ করে দেয় না।’

বাংলাট্রিবিউনে প্রকাশিত, ‘টাকাও নিয়েছে, ক্রসফায়ারও দিয়েছে’ —  নিউজটা পড়ে সেই শুয়োরের বাচ্চাদের কথাই মনে পড়লো।

এই নিউজে দেখবেন, সরকারের বর্তমান মাদক ব্যবসায়ীদের গনহত্যার অভিযানের শিকার টঙ্গির রেজাউল ইসলাম ওরফে রনি (২৮)। এই নিউজে প্রকাশ পেয়েছে নিহত রেজাউল এক সময়ে মাদক ব্যবসায়ী ছিল এবং পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো।

নিহত রেজাউলের মা পারভীন বেগম বলেন, ‘গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে টঙ্গী এরশাদ নগরের বটতলা এলাকা থেকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ রেজাউলকে তুলে নিয়ে যায়। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রনিকে খুঁজতে গাজীপুর শহরের ডিবি কার্যালয়ে যাই। সে সময় একটি সাদা কাগজে আমার সই নেওয়া হয় এবং তিন লাখ টাকা রেখে রেজাউলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।’

ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর তাকে আবার আটক করা হয়। সেখান থেকে তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পুলিশ সেখানেও টাকা দাবি করে এবং রেজাউলের বাবা থানা পুলিশকে আরো পাঁচ লাখ টাকা দেয়।

প্রথমে রেজাউলের মায়ের কাছ থেকে তিন লক্ষ তার পরে ছেড়ে দেয়ার পরে আবার আটক করে ৫ লক্ষ টাকা, মোট আট লক্ষ টাকা নেয়ার পরেও, রেজাউলকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। 

রেজাউলের মা বলেন, "তারা আমাদের কাছে টাকাও নিয়েছে, আবার ছেলেকেও ক্রসফায়ারে দিয়েছে।’

ব্রিটিশ আমলে, যারা এক বার ঘুষ খেয়ে কাজ করেনা তাদেরকে সেই পাঞ্জাবি ঠিকাদার বলেছিল শূয়রের বাচ্চা। যে রেফারেন্সে, আকবর আলী খান তার পরার্রপরতার অর্থনীতি গ্রন্থে লিখেছেন, শূয়রের বাচ্চার অর্থনীতি নিবন্ধ।

এখন দুই বার টাকা নিয়ে, শুধু কাজ করা তো নয়, তাকে হত্যা করে যারা, তাদেরকে আমরা কিসের বাচ্চা বলবো ?

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সকল ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ কর। সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়ায় সকল অপরাধিদের শাস্তি নিশ্চিত করে, আইনের শাসন ফিরিয়ে দাও।
  • লেখক ব্লগার ও উদ্দ্যোক্তা। 


No comments:

Post a Comment