আগামী সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের নির্বাচনী সংস্কারে যেতে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কোনো প্রস্তুতি নেই। অথচ নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ রয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহারই শুধু নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেয়ার মূল রায়দানকারী সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং আইন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হকেরও নির্বাচন সংস্কারে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ রয়েছে।
বিচারপতি এস কে সিনহা তার রায়ে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ যে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে শর্তসাপেক্ষে দুই মেয়াদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন, তার পুনরুল্লেখ করেন। তার রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিউ দরখাস্তে যেসব বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে এক্সপাঞ্জ চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ নেই।
বিচারপতি সিনহা লিখেছিলেন, দুই মেয়াদে (২০১৪ সালের দশম এবং আসন্ন একাদশ সংসদ) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে শুধু একটি বাধা অপসারণ করতে হবে।
আর তা হলো কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করা যাবে না।
সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা একমত যে, ষোড়শ সংশোধনী মামলায় আপিল বিভাগের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে দায়ের করা হলেও সে বিষয়ে শিগগিরই শুনানির কোনো সম্ভাবনা নেই। ওই রায় ও তার পর্যবেক্ষণকে নির্বাহী বিভাগ কীভাবে দেখে, সেটা মূল্যায়ন করে স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থার দাবিদার নির্বাচন কমিশন হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। প্রত্যেকটি সাংবিধানিক সংস্থা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বাধ্য। কিন্তু হুদা কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশনা আমলে নিতে সরকারের স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নিয়ে স্পিকটি নট হিসেবে থাকতেই পণ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
পাঁচ নির্বাচন কমিশনার বহু ঘটা করে সমালোচকদের মতে তথাকথিত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়ার পরের ১৫ মাসে আজ পর্যন্ত ভুলেও কেউ নির্বাচন সংস্কারে মুখ খুলেননি। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা বলছেন এটা লক্ষণীয় যে, বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে সরকারের খারাপ সম্পর্ক রয়েছে বলেই নির্বাচন কমিশন শুধু তারই পর্যবেক্ষণের বিষয় মুখ লুকিয়ে রাখছে, বিষয়টি তেমন নয়। তারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিভিন্ন রায়ে নির্বাচন সম্পর্কে দেয়া পর্যবেক্ষণ আমলে নিতেই অনিচ্ছুক। তারা কথায় কথায় কমিটি করতে অভ্যস্ত।
এইচ টি ইমামের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল এমপিদের প্রচারণায় অংশগ্রহণের বিষয়ে অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে না করতেই নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়। আর গতকালই তারা তা বিবেচনা করতে পূর্ণাঙ্গ কমিশনের বৈঠকও ডেকে ফেলেছেন।
ইসি সূত্রগুলোর মতে তাদের এই মনোভাবের কারণ সংক্রান্ত বক্তব্য হলো, আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ। তাদের কথা তো শুনতেই হয়। কিন্তু এই যুক্তি বিরোধীদলীয় কোনো ইচ্ছা বাস্তবায়নে দেখা যায় না। তবে সুপ্রিম কোর্ট নিজেই কোনো দলের চেয়ে বড় পক্ষ। তার কথার মর্যাদা সব দলের সম্মিলিত মতামতের ওপর প্রাধান্য পাওয়ার কথা।
এর আগে তারা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো, সুশীল সমাজ ও মিডিয়া প্রতিনিধির সঙ্গে দীর্ঘ সংলাপে মিলিত হয়েছিল। কিন্তু সেই আলোচনার ভিত্তিতে সমপ্রতি তারা দামি কাগজে রঙিন প্রতিবেদন ছাপানোর ব্যবস্থা করলেও তার বাস্তবায়নে আদৌ কোনো উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়নি। অথচ পর্যবেক্ষকরা সকৌতুকে লক্ষ্য করছেন যে, আওয়ামী লীগের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে তারা গুরুত্বের সঙ্গে নির্বাচনী সংস্কারে উঠেপড়ে লেগেছেন। সংসদ সদস্যরা যাতে গাজীপুরের নির্বাচনে প্রচারাভিযানে অংশ নিতে পারে, সেই লক্ষ্যে তারা মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন, আগামী অক্টোবরে তারা সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করবেন। এখন বোঝা যাচ্ছে, তারা ব্যালট পেপার ছাপানো কিংবা অমোচনীয় কালি সংগ্রহের দিকেই নির্দেশ করেছেন। কোনো ধরনের আইন বা বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কারে তারা যাবেন না।
অনেকের মতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বলতে তারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও-র বাংলা তরজমা, এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণায় নামাতে আচরণবিধি সংশোধন করা বুঝে থাকেন। আরপিও’র কিছু বিষয় সংশোধনে তারা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ শিথিল মনোভাব দেখানোর পরে তারাও নীরব থাকছেন। রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনায় তারা বলেছিল ডিলিমিটেশন আইন সংশোধন করা হবে।
জনসংখ্যার অনুপাত এবং প্রশাসনিক ইউনিটের অখণ্ডতা বজায় রাখার কথা বলা আছে আইনে। এটা অসঙ্গতি। কারণ দুটো একসঙ্গে রাখা যায় না। কিন্তু সরকারি দলের অনীহা থাকার কারণে ইসি এখানেও চুপ আছে।
বিএনপি তার লিখিত প্রস্তাবে আরপিও সংস্কার করে আইনশৃঙ্খলার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে আনা সহ প্রায় দুশ’ প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। এর কোনো একটিও বাস্তবে রূপ নেবে কিনা তা নিয়ে বিএনপি দ্বিধান্বিত। আরপিও নিয়ে কিছু করার কোনো প্রস্তুতি ইসির নেই। জিজ্ঞেস করলে কর্মকর্তারা বলেন, কাজ চলছে। আসলে চলছে না।
নির্বাচনী তফসিল করার পরে জনসভা করার অনুমতি চাইলে ডিএমপি কমিশনারকে তিন দিনের মধ্যে বলতে হবে, মুখ ফুটে কমিশনাররা কিছু না বললে ধরে নিতে হবে জনসভার অনুমতি মিলেছে। ইদানীং এবিষয়েও ইসি চুপ আছে। কারণ তারা বুঝে গেছে, এটা হবে না।
সিনহার পর্যবেক্ষণ:
বিচারপতি এস কে সিনহা তার রায়ে লিখেছেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে যোগ দেয়নি। সে কারণে সংসদ দুই মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি। বিরাট বিক্ষোভের পরে সরকার সংবিধান সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছিল। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু এই ব্যবস্থার যে অনিরাময়যোগ্য কিছু অন্তর্গত দুর্বলতা রয়েছে, তা শনাক্ত করতে বেশি বিলম্ব ঘটেনি। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ, ৫৮ঙ অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। এবং ৬১, ৯৯, ১২৩, ১৪৭ এবং ১৫২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। তৃতীয় তফসিলে ফরম ১ ক যুক্ত করা হয়। সংশোধিত বিধানের আওতায়, একটি নির্দলীয় সরকার প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা ভোগ করবে। কিন্তু তারা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে কাজ করবে। এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শপথ না নেয়া পর্যন্ত মেয়াদে এই সরকার কোনো নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়াই দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।
কি উপায়ে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হবে, সেটা সংবিধানের ৫৮গ অনুচ্ছেদে বলা আছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলো। এরকম একটি মেয়াদে সেনাবাহিনীর প্রধান একটি ক্যু-এর ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন এবং তার পরিণামে তাকে অপসারিত হতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলো। এবং আপিল বিভাগেও তা এলো। আবদুল মান্নান বনাম বাংলাদেশ (৬৪ ডিএলআর) মামলায় সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে ওই সংশোধনীকে সংবিধান বহির্ভূত বলে রায় দেয়া হলো। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে এটা স্থির হলো যে, আগামী দুটি সাধারণ নির্বাচন ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় হতে পারে; তবে শর্ত হলো ৫৮ গ অনুচ্ছেদের ৩ ও ৪ ধারার আওতায় প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ সাবেক প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতির মধ্য থেকে নেয়া যাবে না।
বিচারপতি এস কে সিনহা আপিল বিভাগ কেন ওই নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ দেন। তিনি লিখেছেন, আপিল বিভাগ ওই পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন এটা বিবেচনায় নিয়ে যে, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে তাহলে রাজনীতিকীকরণ হতে পারে। আর সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা হবে নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করা। তার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ জোরদার করতে হবে যাতে সংসদীয় নির্বাচন সর্বদাই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে। আপিল বিভাগ লক্ষ্য করেছেন যে, প্রতিটি নির্বাচনে যে দল হেরে যায়, তারাই নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে অভিযোগ তুলে থাকে এবং বিরোধী দল সংসদে সহযোগিতা করে না। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলো না।
এরপর বিচারপতি সিনহা লিখেছেন, এই আপিল বিভাগ মত দিচ্ছে যে, সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব রকম ক্ষমতা প্রদান করে তাকে শক্তিশালী করবে। নির্বাচন কমিশনে কোনো শূন্যতা তৈরি হলে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই তা আপনাআপনি পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু কোনো সরকারই এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বিচারপতি সিনহা অবাধ নির্বাচনে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উল্লেখ করে বলেছেন, এটা প্রত্যাশিত যে, একটি দেশ যেখানে সাংবিধানিক গণতন্ত্র থাকবে, সেখানে নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলো বিদ্যমান থাকবে। আর তা হলো: ক. নির্বাচনের শুদ্ধতা, খ. শাসনে সাধুতা, গ. ব্যক্তির মর্যাদার পবিত্রতা, ঘ.আইনের শাসনের পূতঃপবিত্রতা, ঙ. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, চ. আমলাতন্ত্রের দক্ষতা এবং গ্রহণযোগ্যতা, ছ. বিচারবিভাগ, আমলাতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন, সংসদের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা, জ. এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সততা ও শ্রদ্ধাভাজন হওয়া।
বিচারপতি খায়রুলের পর্যবেক্ষণ:
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনী রায়ের অথর জাজ। তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ে এসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফরমস মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শাহ’র বরাতে লিখেছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যতো ধরনের ক্ষমতার দরকার তার সবটারই এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। সংবিধানে যে ‘নির্বাচন’ শব্দটি রয়েছে এর আওতায় একটি নির্বাচন করার আগে ও পরের প্রতিটি স্তর ও ধাপ অন্তর্ভুক্ত আছে বলেই গণ্য হবে। সংসদ যদি কখনও কোনো ‘‘বৈধ’’ আইন তৈরি করে তবে তার বিধানাবলী তাকে মানতে হবে। তবে সংবিধান নির্বাচন কমিশনের জন্য এমনই রেসিডুয়ারি ক্ষমতা সংরক্ষিত করেছে যার আওতায় তার পক্ষে অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে সবরকম পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব।
বিচারপতি খায়রুল এরপর মন্তব্য করেছেন, ‘‘ওই মতামত থেকে এটাই পরিষ্কার যে, সর্বাগ্রে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ থেকে তার নিজকে মুক্ত রাখতে হবে। এমন ব্যক্তিদের দিয়ে ইসি গঠন করতে হবে যারা জনগণের চোখে নিরপেক্ষ বলে গণ্য হবেন।’’
বিচারপতি খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে দুই মেয়াদে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জায়গা থেকে সরে এসে নতুন করে এখতিয়ারবহির্ভূত রায় পুনর্লিখন করেছেন বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন সুপারসিডেড হয়ে পদত্যাগকারী বিচারপতি এম এ ওয়াহ্হাব মিয়া। বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিয়া মনে করেন, বিচারপতি খায়রুল যেভাবে দুই মেয়াদে কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচন করার রায় পাল্টেছেন তা এখতিয়ারবহির্ভূত। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানাও বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিয়াকে সমর্থন করেছেন।
উল্লেখ্য, খুলনা সিটি নির্বাচনের পরে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে এবং ইসি পুনর্গঠনের আওয়াজ তুলেছে।
- কার্টেসিঃ মানবজমিন/ মে ২৩,২০১৮
No comments:
Post a Comment