Search

Sunday, May 13, 2018

Police raids send BNP men fleeing

'56 arrested in last 3 days'; Khulna city polls electioneering ends at midnight


With the electioneering for Khulna City Corporation polls ending this midnight, tension has gripped the rival camps of the Awami League and the BNP after police picked up more BNP men yesterday.

In the last three days, Khulna police raided the houses of about 1,600 BNP men and arrested 56 of them, the party alleged, adding that the law enforcers' move panicked BNP leaders and activists in the district.

Many party men have fled their homes to avoid arrest, BNP leaders told The Daily Star.

Contacted, Sonali Sen, additional deputy commissioner of Khulna Metropolitan Police (KMP), said they were launching drives to arrest “listed criminals” to keep the election environment congenial.

Without coming up with the number of the arrestees, she said police were not detaining BNP men alone. “We are arresting leaders and activists of other parties as well so that people can cast their votes without any disturbance”.

Meanwhile, the mayor candidates from the ruling AL and the BNP engaged in a war of words yesterday, heating up the political arena in Khulna ahead of the polls on Tuesday.

Apart from the two leaders, mayor candidates from Jatiya Party, Communist Party of Bangladesh and Islami Andolon Bangladesh were also campaigning in full swing.

Khulna is the third largest city in the country and about 4.93 lakh people would vote to elect the mayor and 41 ward councillors in the election.

As many as 148  candidates are vying for 31 councillor posts while 38 women are contesting for 10 reserved ward councillors' posts, said sources at the returning officer's office.

The KCC election, ahead of the parliamentary polls likely in December, has been a prestigious issue for the AL and its archrival BNP. According to many political analysts, the local body election is also a test for the Election Commission to prove its acceptance and capability ahead of the national polls.

WAR OF WORDS

At a press conference at his home yesterday, BNP's mayor choice Nazrul Islam Monju alleged that police were arresting his party men as part of the government's evil design to keep the BNP away from campaigning.

Providing a list of “detainees”, the BNP leader alleged that Khulna police in the last 20 days since April 22 have held 74 BNP men.

Monju, who had suspended electioneering for four hours on May 3 protesting the “detaining” of his party men, urged international observers to come and monitor the election atmosphere in Khulna.

He also alleged that his rival candidate from the AL, Talukder Abdul Khaleque, was using police to win the polls by harassing BNP men as he had failed to woo voters.  He further alleged that AL “cadres” were threatening his supporters to stop them campaigning.

Hours later at another press conference, the AL said everyone in the city knew that Monju was an “outlaw and member of a militant organisation”.

“His attitudes mirror the behaviour of [executed war criminal] Salauddin Quader Chowdhury,” AL leader Harunur Rashid, chairman of Khulna Zila Parishad, said at the programme.

“Monju's statements prove that he is a patroniser of militant and terrorist outfits,” he added.

In such a situation, cocktails exploded in at least 10 points of the city on Friday night. Meanwhile, talking to The Daily Star, a BNP leader, wishing anonymity, said he is haunted by the fear of arrest. “The indiscriminate arrest of BNP men has panicked us all”.

Several other BNP men said police were not letting hotels to accommodate the party men who went there from other districts ahead of the polls.

On the other hand, KMP yesterday asked those who live outside Khulna to leave the city by today. It made the move to avoid any unwanted situation during the election, said an official from the KMP.

RISKY CENTRES

Returning Officer Md Yunus Ali said out of total 289 polling stations, 226 are “risky”.  Talking to The Daily Star, he also said 10 executive magistrates and 31 magistrates would work to thwart any untoward situation on voting day.

A total of 2,978 voters in two centres would cast votes using Electronic Voting Machine (EVM), he added.

'REIGN OF TERROR'

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir yesterday alleged that a reign of terror had been established in Khulna city to ensure the ruling party mayoral candidate's victory in Tuesday's election.

"Our leaders have returned from Khulna as there's a law that all the outsiders must leave the election areas before 72 hours of the voting. But now a reign of terror has been established there," he said at a discussion arranged by Doctors' Association of Bangladesh (DAB) at the Jatiya Press Club.

  • Courtesy: The Daily Star /May 13, 2018

কোটা চিরন্তন প্রথা হতে পারে না — আকবর আলি



(বাংলাদেশি ভয়েসেস ডেস্ক) — সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা-ব্যবস্থা চিরন্তন প্রথা হতে পারে না। অনগ্রসর, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় আনার লক্ষ্য অর্জনের ব্যবস্থা হচ্ছে কোটা। কোন কোটা রাখা প্রয়োজন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংস্কার করা প্রয়োজন। 

শনিবার, মে ১২, ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি খান এসব কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্কের এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন এবারই প্রথম। 

আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে কোটা-ব্যবস্থা আছে, তা অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিবন্ধীদের জন্য যে ১ শতাংশ কোটা আছে, তা-ও বাধ্যতামূলক নয়। দেশের প্রায় ১০ শতাংশ লোক প্রতিবন্ধী। এই বিবেচনায় তাদের জন্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ শতাংশ বাধ্যতামূলক কোটা রাখা উচিত। 

প্রতিবন্ধীদের জন্য শুধু কোটা সংরক্ষণ নয়, তাদের মূল ধারায় আনতে সরকারকে বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষিত ও শিক্ষিত করতে এবং তাদের জন্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে এখন পর্যন্ত যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা অপ্রতুল। এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে। 

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে ছায়া সংসদ বিতর্কের ফাইনালে অনুষ্ঠানমঞ্চ পরিণত হয় এক টুকরো সংসদে। স্পিকারের সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে অংশ নেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা, অন্য পাশে বিরোধী দল। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা-উপনেতা। যুক্তিতর্ক-বক্তৃতা চলে, ছিল দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক সংসদীয় বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বের বিতর্কের বিষয় ছিল ‘প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য কোটা সংরক্ষণই টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে’। সরকারি দলে ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর বিরোধী দলে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় বিরোধী দল। ছায়া সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ঝুমুর বারি, জাহিদ রহমান, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও শাহ আলম চৌধুরী।

এলডিসি-পরবর্তী সক্ষমতা অর্জনে প্রস্তুতি নিতে হবে

সানেমের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা


চলতি বছরের মার্চে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রথম পর্যালোচনায় তিনটি মানদণ্ড সফলভাবে পূরণ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পর্যালোচনায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাপকাঠিগুলো পূরণ করতে সক্ষম হলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। কিন্তু এলডিসি-পরবর্তী সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশের ব্যাংকিং খাতের অরাজকতামূলক পরিস্থিতি। তাই এখন থেকে সব বাধা কাটিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল রাজধানীতে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নিয়মিত মাসিক প্রকাশনা ‘থিংকিং অ্যালাউড’ প্রকাশের চার বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘লুকিং বিয়ন্ড এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কেএএস মুরশিদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাপেক্স ওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং সানেম নেতা ড. বজলুল হক খন্দকার। 

অনুষ্ঠানে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে আমাদের কষ্ট বাড়বে। আবার অনেক নতুন সম্ভাবনার জানালাও খুলবে। এ অবস্থায় কৌশলগত খাত চিহ্নিত করতে হবে। দেশে এখন অনেক খাত আছে, যেগুলো পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে। কাঠামোগত রূপান্তর এমন হতে হবে, যেন তা সার্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে উন্নত মানের শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

ড. কেএএস মুরশিদ বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে আমরা কী সুযোগ-সুবিধা পাব না, তা নিয়ে হা-হুতাশ করে আর লাভ নেই। এসব আরো নয় বছর পাওয়া যাবে, তাই এর যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অনেক অদক্ষতা আছে। এখনো আমরা বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল থেকে যাচ্ছি। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়নি অনেক কিছুই। শিক্ষার মান নেই, নেই দক্ষতা। এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।


  • Courtesy: BanikBarta /May 13, 2018

'Untouchable' yaba lord of Bihari camp

Mohammad Jamil Khan


Ishtiaq Ahmed was a ragpicker 18 years back. But now, he is known as a big businessman among locals in Savar and Ashulia on the outskirts of the capital.

Born in Mohammadpur Geneva camp, he did odd jobs like collecting discarded bottles from roadsides. But in early 2004, he started working as a drug carrier and that changed his life.

In the following years, he built his own syndicate, got into transport business and started to carry yaba on trucks.

Now 32, he moves in personal cars and owns at least 50 trucks and buses and eight luxurious buildings in Dhaka's Mohammadpur, Uttara, Aminbazar and Ashulia.

He has over 100 bighas of land in Savar and Ashulia, where people mostly know him as Kamrul Islam, according to an investigation report by a law enforcement agency.

Ishtiaq is well known in Savar as he buys land from needy people by paying them high prices, said locals. 

Based on information from law enforcement sources, this correspondent visited one of Ishtiaq's houses on April 27. It is a seven-storey building near Berun Bus Stand of Ashulia, with a number of CCTV cameras installed in the front.

Neither Ishtiaq nor any of his family members could be found. Locals said the building owner is Kamrul Islam, a businessman who mostly stays abroad.

Ibrahim Dulal, a security guard, said he was appointed a month back but he never saw the owner. Sometimes, one or two policemen come to collect information about the owner.

Officials of the Department of Narcotics Control (DNC) claimed that they failed to nab Ishtiaq as he kept changing places hiding identity. Besides, his houses are equipped with surveillance cameras and he stays alert to possible raids.  

Khurshid Alam, assistant director of the DNC, told The Daily Star that Ishtiaq is one of the top yaba dealers in Dhaka. “We have conducted drives to arrest him a number of times but he always managed to flee noticing our presence through CCTV cameras.”

The Daily Star obtained a video clip of a drive that DNC officials conducted at his Ashulia house on November 21 last year.

In the footage, one staff named Majhar said the owner left the house with all of his family members just half an hour before the law enforcers came. All the staff know him as Kamrul Islam.

According to official sources, Ishtiaq built his empire in the last 14 to 12 years and eventually became the “yaba lord”. 

Yaba supplies in Mohammadpur, Gabtoli, Aminbazar, Beribadh, Hemayetpur and Ashulia are reportedly managed by Ishtiaq and his syndicate members, according to sources. 

He often visits Cox's Bazar by air and resides in lavish hotels there. He is now reportedly trying to expand his network to India and Malaysia, investigators found.

Law enforcers said at least a hundred people work in Geneva camp under Ishtiaq's command. They run the narcotics business being dividing into 10 separate units. 

He is wanted in at least 15 separate cases, including that for possession of narcotics and murder, with Mohammadpur Police Station. Officials already submitted charge sheets against him in three narcotics cases.

Some of his top operatives are Nadim Hossain alias Pachis, Selim alias Chua alias Chora Selim and Molla Arshad.

Of them, 31-year-old Nadim runs yaba, heroin and cannabis trade on behalf of Ishtiaq. Born and brought up in Geneva camp, he earlier worked as a cleaner in a hotel.

As a teenager, he used to sell small packets of cannabis at Tk 25 each. That's why people started calling him Pachis (twenty-five in English).

On November 3 last year, DNC officials in a joint drive with Rab, police and Armed Police Battalion (APBn) personnel arrested Pachis, but he managed to get bail within 12 days. He then went into hiding and law enforcers now have no clue as to his whereabouts.

Ishtiaq also hires women, mainly for carrying drugs, law enforcers said.

  • Courtesy: The Daily Star /May 13, 2018

LDC graduation triggers double whammy for Bangladesh

LDC graduation might throw Bangladesh into 'double trouble' as the country's preparation for coping with the post-graduation challengers is not satisfactory, economists and businessmen have warned.

They said on Saturday that the double whammy would come in the form increasing the cost of doing business or cost of borrowing while taking away of various market preferences that the country enjoys as an LDC (least developing country).

To avert the unexpected economic shock, they called upon the government to move ahead cautiously as Bangladesh would not be able to get back on the LDC status again like others because of a recent decision that skipped the scope of return for a country having population above 75 million.

Institutional capacity

They suggested paying attention to the major requirements like enhancing institutional capacity, creating investment-friendly climate, human resources development and attaining the eligibility to get special preferences like GSP-plus and other non-LDC funding options.

At the same time, they demanded positive change in the country's infrastructure investment strategy and suggested the government not only concentrate on big projects but also on smaller projects, which they term low-hanging fruits.

The views came at a roundtable discussion on "Looking beyond LDC graduation," organised by South Asian Network on Economic Modeling (SANEM) at a city hotel to mark fourth anniversary of its publication 'Thinking Aloud'.

Executive director of SANEM Dr. Selim Raihan moderated the function.

Speaking at the event, distinguished fellow of the Centre for Policy Dialogue (CPD) Professor Mustafizur Rahman said with the graduation to lower middle income country, Bangladesh is moving from concessional finance to blended finance and the country by 2024 will go into non-concessional finance once it completely graduates from LDC status.

Cost of doing business

"That means cost of doing business or cost of borrowing is increasing on the one hand. We're losing market preferences, on the other. It indicates that we are moving towards double trouble," he said.

Professor Rahman said that Bangladesh needs to do well to cope with the challenges and go for proper utilisation of funding opportunities even in the blended financing regime.

He said many countries and global financial institutions used to tie up with the private sector in non-LDC through equity or debt participation, which creates a window of opportunities.

"Simultaneously, non-LDCs are getting special treatments like 15 per cent tariff reduction from the developed economies. We need to use such opportunities properly," he added.

Syed Nasim Manzur, managing director of Apex Footwear Limited, said that higher ratings for investment also entail higher cost and the graduation will phase out the access to low-cost ODA fund. "So, it (the graduation) will come not only with increased costs but also with increased burden," he said.

About the erosion of market preferences, he said the remedy lies in GSP plus that comes with conditions like better labour and environmental standards. "The private sector is not ready to cope with this," he said.

Terming lead time in the manufacturing sector a major concern for businesses, Mr. Manzur said that the current minimum lead time in Bangladesh is 102 days, of which 21 days are being used for production while the remaining days spent on logistics in and out.

"Sudden hike in interest rate by 3.5 per cent creates another burden for the private sector, which leads to job cut as cost-cutting method. So how can you do business with such conditions?" he asked.

Infrastructure strategy

Talking about the country's infrastructure investment strategy, he said it largely focused on big projects but not on what he called low-hanging fruits, which badly affect the business and investment.

Dr. Sadiq Ahmed, vice chairman of the local think-tank Policy Research Institute (PRI) of Bangladesh, laid emphasis on thorough reform of the revenue board and the country's banking and educational system to make the country capable of dealing with the challenges.

"We need such a revenue board where there will be no interaction between taxpayers and revenue officials, he said, underlining the importance on implementing the new VAT law.

Terming the graduation a good thing for the nation, he said the government took long-term plan to reach the goal. "Has the government enough political will and administrative strength to handle the transition. That's a question," he said.

Director general of Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) Dr. KAS Murshid said the country successfully attained MDGs (millennium development goals) target. "But time has come we focused on quality than the number to make things sustainable. We also need to make the economic zones functional and create a basket of a bunch of diversified products." he added.

The speakers also highlighted the need for qualitative education to convert demographic dividend into resources not demographic disaster.

CPD research director Dr. Khondaker Golam Moazzem and BIDS senior research fellow Dr. Nazneem Ahmed, among others, spoke on the occasion.


  • Courtesy: The Financial Express/ May 13, 2018

ফারমার্স ব্যাংক দুর্নীতি - চিশতীর নামেই জালিয়াতি!

ফারমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর নামেই জালিয়াতি ধরা পড়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তার নাম মাহবুবুল হক চিশতী। পাসপোর্ট করেছেন বাবুল চিশতী নামে। প্রকৃত নাম কোনটি- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিমান্ডে জানতে চাওয়া হলে উত্তরে তিনি বলেছেন, দুটিই। 

সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে এনআইডি করেছে। আর আপনি আপনার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। কেন করছেন? রিমান্ডে দুদক কর্মকর্তাদের এই বক্তব্যে হতচকিত হন তিনি। 

দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নামেই যার জালিয়াতি তার জীবনটাও প্রতারণা, জালিয়াতিতে ভরা। রিমান্ডে দুদককে দেওয়া জবানবন্দিতে চিশতীর জীবনের অনেক অজানা সত্য বেরিয়ে এসেছে। জবানবন্দির প্রতিটি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিটের সঙ্গে জবানবন্দিটিও আদালতে পেশ করা হবে। জবানবন্দি নিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম ও উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদীন। 

রিমান্ডে চিশতী জানান, ১৯৭৪ সালে তিনি বগুড়ার দারুল ইসলাম নৈশ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেছেন। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, তার কোনো একাডেমিক সনদ নেই। রিমান্ডে তিনি এও বলেছেন, তিনি ইংরেজি বোঝেন না। ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সময় ইংরেজিতে দক্ষ একজন ব্যক্তিকে পাশে রাখতেন। 

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, বগুড়ার গ্যারিসন সিনেমা হলের সহকারী হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। পরে সাত লাখ টাকা পুঁজি জোগাড় করে মালপত্র সাপ্লাই ও রাখি মালের ব্যবসা শুরু করেন। স্ত্রী রুজি চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী ও মেয়ে রিমি চিশতীর নামে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স মিলস। 

এরপর মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে ফারমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হয়েছেন ২০১৩ সালে। পরে ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যাংকের গুলশান শাখার বিভিন্ন হিসাব থেকে বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স মিলসের হিসাবে জমা হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। 

দুদকে দেওয়া লিখিত জবানবন্দিতে বলা হয়, তার শ্যালক মোস্তফা কামাল তারই সহায়তায় ব্যাংকের গুলশান শাখায় রিমি এন্টারপ্রাইজের নামে একটি হিসাব খুলেছিলেন। চিশতী অডিট কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে মোস্তফা কামাল এই ব্যাংকের সাজসজ্জার কাজের নামে বিভিন্ন সময়ে ভুয়া বিল পেশ করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজে ও পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন কোম্পানির নামে ঋণ গ্রহণ করে মেসার্স এসটুআরএস করপোরেশনের হিসাবে ৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন। চিশতীর পুত্রবধূ ফাহানা আহমেদের ফারমার্স ব্যাংকের হিসাবে ৩০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে। শ্যালক মোস্তফা কামাল ও গোলাম রসুলের হিসাবেও মোটা অঙ্কের অবৈধ লেনদেন হয়েছে। মেসার্স জাহান ট্রেডার্স ও তনুজ করপোরেশনের দুটি হিসাব থেকে ৫৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে চিশতী ও ব্যাংকের সমালোচিত বিতর্কিত একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন। পরে ওই টাকায় ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় করা হয়। 

রিমান্ডে বলা হয়, চিশতী ও বিতর্কিত শীর্ষ ওই কর্মকর্তার হিসাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দেড়শ' কোটিরও বেশি টাকা জমা হয়েছে। রিমান্ডে তিনি এও বলেছেন, তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি ও শীর্ষ ওই কর্মকর্তার আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। 

চিশতীকে দুটি পর্যায়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৫ থেকে ১৯ এপ্রিল ও ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। 

গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে চিশতীর নিজের ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাবে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাতের অভিযোগে চিশতীসহ ছয়জনকে আসামি করে দুদক ঢাকার গুলশান থানায় মামলা করে গত ১০ এপ্রিল। মামলার দিনেই চিশতীসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্য তিনজন হলেন- বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ। চারজনই বর্তমানে জেলে আছেন। 

অন্য দুই আসামি হলেন- চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী ও ব্যাংকের এসইভিপি ও গুলশান শাখার সাবেক ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন। এরই মধ্যে রুজী চিশতী হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন নিয়েছেন। চিশতীও জামিন নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও ভুয়া সনদ জোগাড় করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন পদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, চিশতী জামিনে মুক্ত হলে মামলার তদন্তে প্রভাব বিস্তার করবেন। ব্যাংকে সংরক্ষিত মামলার আলামত নষ্ট করার তৎপরতা চালাবেন। এতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

সূত্র জানায়, চিশতী ও বিতর্কিত ওই শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হাতে হাত মিলিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি করেন। ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই পর্যায়ে দুদক চিশতীর অনিয়ম, দুর্নীতি অনুসন্ধান করে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। মামলাটির তদন্ত পর্যায়ে চিশতীর অর্থ আত্মসাতের আরও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। 
দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির গুলশান শাখায় চিশতীর হিসাবে বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকের হিসাব থেকে নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমেও অর্থ জমা হয়। একই শাখায় চিশতীর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ের নামে খোলা ২৫টি হিসাবেও নগদে ও নানাভাবে অর্থ জমা হয়। ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চিশতী ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাবগুলোতে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪নং ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

দুদকের মামলায় ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ব্যাংকটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালী কাউকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের মানুষ কমিশনের নেতিবাচক সমালোচনাও করেছেন। 

ব্যাংকটির পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি, ঋণের কমিশন নেওয়া, গ্রাহকের হিসাব থেকে নিজের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর ও অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এই ব্যাংকে ঋণ অনিয়ম, জালিয়াতি, সন্দেহজনক লেনদেন, ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে উঠে আসে। কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হওয়ায় অবশেষে তোপের মুখে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর পদত্যাগ করেছেন। 

চিশতীসহ সংশ্নিষ্ট ১৭ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মহীউদ্দীন খান আলমগীর এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত। 
  • Somokal/may12 2018

Saturday, May 12, 2018

সুস্থ যুবককে ঢাকার মিন্টো রোডে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’, পরে মৃত্যু


আহমেদ জায়িফ



বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল যখন গাড়িচালক আশরাফ আলীকে ধরে নিয়ে যায়, তখনো দিব্যি সুস্থ তিনি। কিন্তু ঢাকার মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এক দিন ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করার পরই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার তিন ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন। স্বজনেরা বলছেন, ডিবি পুলিশের মারধরেই আশরাফের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ মে বিকেলে আশরাফের মৃত্যুর পর তাঁর পরিচয়, কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এসব বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে চাননি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উল্টো হাসপাতালে ভর্তির সময় আশরাফের পরিচয় গোপন করতে নাম লেখা হয় ‘আসলাম’। এ ছাড়া ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে চিকিৎসকের কাছ থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু আশরাফের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, গাড়িচালক আশরাফের (৪২) বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকের দহন গ্রামে। ছয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তাঁর তিন স্ত্রী। ছোট স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের মির্জাপুরের পশ্চিম ডগরি এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। ‘ডেকর ওয়েট প্রসেসিং লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানির কাভার্ড ভ্যান চালাতেন তিনি। ৪ মে মধ্যরাতে আশরাফ, তাঁর স্ত্রী রিপা ও দুই সন্তানকে ওই বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। আশরাফ একসময় আশুলিয়া এলাকায় ডিবির তথ্যদাতা (সোর্স) হিসেবেও কাজ করতেন বলে স্বজনেরা জানান। তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩৮ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান আশরাফ।

হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুস্থ আশরাফের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ামুল নামের কাতারপ্রবাসী এক নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলেন আশরাফ। মুঠোফোন নম্বর ধরে তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে আশরাফ ও তাঁর স্ত্রীকে তাঁরা ডেকে আনেন। একপর্যায়ে আশরাফ অসুস্থ বোধ করেন। তখন তাঁর স্ত্রী ডিবিকে জানান, আশরাফ হার্নিয়া রোগী। হাসপাতালে নেওয়ার পর একপর্যায়ে তিনি মারা যান।

মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্নের বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, ‘আপনি বললে তো হবে না। ময়নাতদন্ত হবে। সেখান থেকে জানা যাবে কী হলো।’ হাসপাতালে ভর্তির সময় আশরাফের নাম কেন ‘আসলাম’ লেখা হলো, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাঁর আসল নাম কী আপনারা জেনে নিন।’

নিয়ামুল নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করছিলেন ঢাকা মহানগর ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদ নাসের। আশরাফের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ময়নাতদন্তের পর আশরাফের লাশ তাঁর ভাই আবদুর রশিদের কাছে হস্তান্তর করেন ডিবির সদস্যরা। আশরাফের শরীরের আঘাতের চিহ্নের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা শরীরে মাইরের দাগ ছিল। এ রকম মারলে কেউ বাঁচার কথা না।’

আশরাফ সুস্থ ছিলেন

গাজীপুরের পশ্চিম ডগরি এলাকার আবদুল হালিমের বাড়িতে থাকতেন আশরাফ। গত ২২ এপ্রিল সেখানে ওঠেন তিনি। ৯ মে বাড়ির মালিক এবং অন্য ভাড়াটেদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। বাড়ির মালিক আবদুল হালিম বলেন, সেদিন (৪ মে) রাত একটার দিকে দুটি গাড়িতে করে ডিবির ১৫-২০ জন সদস্য আসেন। তাঁরা সব ভাড়াটের কক্ষে তল্লাশি চালান। আশরাফের কক্ষে গিয়ে আশরাফ ও তাঁর স্ত্রীর চোখ বেঁধে ফেলেন। তাঁকে কিছুক্ষণ মারধর করা হয়। ডিবি নিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফ স্বাভাবিকভাবেই হাঁটছিলেন।

আশরাফের ভাড়া বাসার কাছেই তাঁর কর্মস্থল। তিনি যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালাতেন, তার পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে আশরাফ তাঁদের গাড়ি চালান। এর মধ্যে কখনো অসুস্থতার কথা বলেননি, ছুটিও নেননি তিনি।

আশরাফের রোগ থাকার কথা পুলিশ বললেও তাঁর ভাই আবদুর রশিদ জানান, আশরাফের কোনো রোগ থাকার কথা তাঁরা জানতেন না।

সুরতহালে আঘাতের চিহ্নের প্রকৃত বর্ণনা নেই

আশরাফের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে দেখা যায়, স্বজনদের বর্ণনা অনুযায়ী তাঁর শরীরের আঘাতের বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তাঁর দুই হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত পুরোটাই রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। তাঁর ভাই আবদুর রশিদ ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার বর্ণনামতে, শরীরের অন্যান্য স্থানেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। কিন্তু শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হরিচাঁদ হাজরা ও মোশাররফ হোসেন লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে এসবের কিছুই উল্লেখ করেননি। আঘাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তাঁরা শুধু লিখেছেন, ‘দুই পায়ে হালকা কালচে দাগ পরিলক্ষিত হয়েছে।’

৭ মে সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আশরাফের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের তিন সদস্যের বোর্ড ময়নাতদন্ত করে। সোহেল মাহমুদ বলেন, মৃত ব্যক্তির দুই পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর পেটে নাড়ি পেঁচিয়ে ছিল। ভিসেরা পরীক্ষার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

পরিবারের সদস্য ও লাশবাহী গাড়িকে ডিবির পাহারা

আশরাফের লাশ নিতে ৭ মে সকালে তাঁর ভাই আবদুর রশিদ উত্তরা থেকে এবং বড় দুই স্ত্রী আশুলিয়া থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁদের আসার তথ্য জেনে ডিবির কয়েকজন সদস্য হাসপাতালে আসেন। পরে তাঁদের মাইক্রোবাসে তুলে মিন্টো রোডে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবদুর রশিদ বলেন, ডিবির ‘বড় বড়’ কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। খাওয়াদাওয়া করান। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাঁকে এবং আশরাফের তৃতীয় স্ত্রী রিপার বাবাকে ডিবির গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটা পর্যন্ত হাসপাতালের বাইরে ডিবির সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা ওই গাড়িতে ছিলেন। তিনি বলেন, কিছু কথা লেখা আছে এমন একটি কাগজে এবং একটি সাদা কাগজে ডিবির সদস্যরা তাঁর সই নেন। এরপর আশরাফের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

আবদুর রশিদ বলেন, ডিবির সদস্যরা তাঁদের সামনেই ছয় হাজার টাকা দিয়ে একটি মাইক্রাবাস এবং সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন। এর একটিতে লাশ অন্যটিতে তাঁদের উঠিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন তাঁরা। ডিবির সদস্যরাও একটি গাড়িতে করে তাঁদের সঙ্গে রওনা হন। গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ডিবির গাড়ি তাঁদের অনুসরণ করে।

নিখোঁজ কাতারপ্রবাসী
২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর শাহ আলী থানায় নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি তাঁর ভাই নিয়ামুল হোসেন নিখোঁজ হয়েছেন বলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিটি তদন্ত করছিলেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জিডির বর্ণনা অনুযায়ী নিয়ামুল মিরপুর ১ নম্বরে তাঁর চাচাতো বোনের বাসায় বেড়াতে যান। ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ।

এসআই অনুজ কুমার বলেন, ৩০ এপ্রিল ডিবির এডিসি মাহমুদ নাসের তাঁর কাছ থেকে নিয়ামুলের মুঠোফোনের কললিস্টসহ অন্যান্য তথ্য নেন। এরপর তিনি আর কোনো তদন্ত করেননি।
এদিকে আশরাফের মৃত্যুর পর ৬ মে রাতে শাহ আলী থানায় অপহরণের মামলা করেন নিখোঁজ নিয়ামুলের ভাই নাজমুল হোসেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। নিয়ামুলের মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা চাওয়ার তথ্য উল্লেখ করেছেন বাদী।

আশরাফের অপরাধ

নিয়ামুলের ভাই নাজমুল বলেন, আশরাফ আসলে তাঁর ভাইকে অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না। প্রতারণা করার জন্য ফোন করে দাবি করেছিলেন, নিয়ামুল কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন। তিনি মুক্তিপণও চেয়েছিলেন।

আশরাফকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে তাঁর তৃতীয় স্ত্রীর বাবা মো. খলিল কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এই প্রতিবেদক আশরাফের তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, এটি এখন সম্ভব নয়।
আশরাফের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা বলেন, অপরাধ করে থাকলে আশরাফের বিচার হতে পারত। তা না করে পিটিয়েই আশরাফকে মেরে ফেললের ডিবি পুলিশ।
  • Source —  প্রথম আলো/ শনিবার, মে ১২, ২০১৮। 


বিচার ও জনগণ : আস্থা অনাস্থার পাশা খেলা

তৈমূর আলম খন্দকার

৪ মে ২০১৮ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত আইনের শাসন ও গণতন্ত্র শীর্ষক আলোচনায় দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা বক্তব্যে বলেছেন, ‘আইনের শাসন দেশে চলছে না, চলছে পুলিশের শাসন। দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র নিয়ে জগাখিচুড়ি চলছে। এ অবস্থা যত দিন থাকবে, তত দিন আমরা নিঃশেষ হয়ে যাবো।’ এ কথাগুলো শুধু রাজনৈতিক দল বলছে না, এখন বলছেন দেশবরেণ্য আইনজীবীরা, যারা রাজনৈতিকভাবে এক প্ল্যাটফর্মের যাত্রী নন, যাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব ড. কামাল হোসেন, যিনি এক সময় আওয়ামী ঘরানার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন।

জমিদারদের লাঠিয়াল ও পুলিশের কার্যক্রমে কার্যত কোনো তফাত নেই। লাঠিয়ালের দায়িত্ব প্রজা দমন, খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে গরু-বাছুর টেনে আনা, বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়া প্রভৃতি। পুলিশের সৃষ্টি হয়েছিল দুষ্টের দমন ও ভালোকে রক্ষা করার জন্য, যদিও পুলিশ সে দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে নিয়োগকর্তার মনোরঞ্জনকেই তাদের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে বেছে নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দিক থেকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। মনোরঞ্জনের অর্থাৎ তৈল মর্দনের ব্যবহারও ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। যেমন ‘স্বাধীন’ অর্থাৎ যারা আইনগতভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীন; তারাও আজ্ঞাবহতার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। 

কে কত বড় দেশপ্রেমিক, এ কথা সাধারণত আলোচনা হয় না; বরং কে নিয়োগকর্তার প্রশংসায় চাপাবাজি ও তৈল মর্দনে ব্যস্ত, তা নিয়েই আলোচনা বেশি হয় এবং তৈল মর্দনকারীর গুরুত্ব ক্ষেত্রবিশেষে সেভাবেই চক্রবৃদ্ধি হারে পরিমাপ হতে থাকে। গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার শেষ ভরসাস্থল ‘আদালত’। সেই আদালত এখন পুলিশের কাছে জিম্মি। কারণ, নিয়োগকর্তার লাঠিয়ালদের তোয়াজ না করলে নিয়োগকর্তা অসন্তুষ্ট হবেন; এটা ভেবেই সর্বক্ষেত্রে পুলিশের মুখোমুখি আর কেউ হতে চায় না।

রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা-গ্রেফতার প্রভৃতি বাণিজ্যের পরে রিমান্ড-জামিনের পর জেলগেটে গ্রেফতার এবং একটি মামলায় জামিন হওয়ার পর অন্য আরেকটি মামলায় Shown Arrest করে জামিন অকার্যকর করে দেয়ার প্রবণতায় পেছনে রয়েছে নিয়োগকর্তাকে তৃপ্তি দেয়া, যা তৈলের বাটির যথাযথ ব্যবহার, অন্যটি অর্থনৈতিক লাভবান। পরিতাপের বিষয়, পুলিশের সব অপকর্ম ও বাণিজ্যের সার্বিক বিষয়গুলো জায়েজ হচ্ছে আদালতের মাধ্যমে। জনগণ এ নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য যে দরজায় গিয়ে আশ্রয় নেবেন, সেই দরজার মালিক নিজেও পুলিশের মুখাপেক্ষী। ফলে জাতি আজ আশায় বুক বেঁধে আছে, কবে এর পরিসমাপ্তি ঘটবে?

দেশে চলছে পুলিশি শাসন, এ কথা আজ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবীরা বলছেন; কিন্তু এ কথাটি সাধারণ মানুষের যারা ভুক্তভোগী। গণতন্ত্রের জন্য সরকারপ্রধান গণতন্ত্রের মানসকন্যা হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি নেয়ার জন্য যেখানে মরিয়া, সেখানে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য হ্যাজাক লাইট বা টর্চ লাইট দিয়ে খুঁজে কতটুকু পাওয়া যাবে, তা নিয়ে আলোচনা করার আগে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতার সুফল দেশবাসী কতটুকু ভোগ করছে, তা নিয়ে একটু কথা বলা প্রাসঙ্গিক। স্বাধীনতার চেতনার কথা বললে গোটা জনগোষ্ঠী স্বাধীনতার চেতনা কতটুকু ভোগ করছে, তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। আব্রাহাম লিঙ্কন, ডাইসি, অ্যারিস্টটল প্রভৃতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘রাষ্ট্র’ এবং রাষ্ট্রের সাথে জনগণের সম্পর্ক তা নির্ধারণে বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন। কিন্তু আধুনিক জগতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা একটি নতুন সংজ্ঞা রাষ্ট্রীয় বিষয়ে যোগ করেছেন। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, ‘নাগরিকদের ভয়মুক্ত রাখাই রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব।’ এখন প্রশ্ন বাংলাদেশের তথা স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকরা কি ভয়মুক্ত অবস্থায় দিনযাপন করতে পারছে? নাকি তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস থেকে মুক্ত?

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী A.V. DICEY বলেছেন, ‘বিলাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার কারণ বিলাতের গণতন্ত্র হলো জনমতভিত্তিক, কেবল আইনভিত্তিক নয়।’ The Law of constitution (1915) রাষ্ট্রের সার্বভৌমিকতা সম্পর্কে সংজ্ঞা প্রদানে উল্লেখ করেছে, ‘Behind the soveriegn which the lawyer recognizes, there is another sovereign to whom the legal soveriegn must bow’ এখানেও জনমতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্যই গণতন্ত্রকে নির্বাসন দিয়ে স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে ব্যবহার করছে। সরকারের কাছে সব ক্ষমতা রয়েছে। ক্ষমতা রয়েছে একজন নারীকে পুরুষ এবং একজন পুরুষকে নারীতে রূপান্তরিত ছাড়া সরকার সবই করতে পারে। এ অবস্থায় সরকারের রাহুগ্রাস থেকে জনগণকে যারা নিরাপত্তা দেবে, সেই বিচার বিভাগ কি রাহুগ্রাসমুক্ত?

গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছিলেন, ‘Democracy means for the people, by the people and of the people’ ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকার সফল হওয়ায় সরকারের রক্ষাকবজ পুলিশ এখন বেপরোয়া। কারণ, ‘গণতন্ত্র’ তার আসল রঙ (Defination) হারিয়ে এখন নকল ছদ্মাবরণে রঞ্জিত হয়েছে।

‘গণতন্ত্র’ স্বাধীনতার মূল চেতনা- এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় আছে কি? যদি না থাকে, তবে সংজ্ঞাটিকে People’, অর্থাৎ জনগণকে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলনের ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। 

কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্রে এখন আর জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলনকে গুরুত্ব না দিয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে পুলিশ, যাদের কাছে রয়েছে বৈধ অস্ত্র ও মিথ্যা মামলা দেয়ার সীমাহীন ক্ষমতা। বাংলাদেশ পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক ভাষণে যেমন মিথ্যার ফুলঝুরি ছোটে তেমনি মিথ্যার সাগরে বাংলার জনগণ এখন নিমজ্জিত। এ অবস্থা থেকে জাতিকে যারা রক্ষা করবে, যাদের সংবিধানের অভিভাবক বা Safe gurd হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়, সেই ‘বিচার বিভাগের’ স্বাধীন এ রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অস্তিত্ব কোথায়? বিভিন্ন রাষ্ট্র গণতন্ত্রের নামে রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কিন্তু নিজ নিজ সুবিধামতো প্রদান করছে। যেমন- বাংলাদেশ সরকার বলছে উন্নয়নের গণতন্ত্রের অর্থাৎ দিনের পর দিন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে গণতন্ত্রের ঘোড়া দাবড়িয়ে উন্নয়নের ডামাডোল বাজাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের গণতন্ত্র আখ্যা দিয়ে গণতন্ত্রের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব। অন্য দিকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, নাগরিকদের ভয়মুক্ত রাখাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখানে প্রশ্ন- বাংলাদেশের নাগরিকরা কি রাষ্ট্রীয় কশাঘাত থেকে ভয়মুক্ত জীবনযাপন করতে পারছে? দেশের বিচার বিভাগ কি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে?

পুলিশ যাকে তাকে যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় গ্রেফতার করছে, অভিযোগ থাকুক বা না থাকুক, যদি সে সরকারবিরোধী ঘরানার লোক হয় তবে কোনো অভিযোগের প্রয়োজন হয় না। জামিন হওয়ার পর জেলগেট থেকে পুরনো মামলা দেখিয়ে পুনরায় গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করে। 

কোর্ট জামিন নামঞ্জুর করে পুনরায় চাহিদামতো রিমান্ড মঞ্জুর বা জেলহাজতে প্রেরণ করে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে- অভিযুক্ত জেলে থাকা অবস্থায় তাকে Shown Arrest অর্থাৎ গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়নি কেন? এ প্রশ্নটি যাদের করার কথা অর্থাৎ বিচার বিভাগ, তারা এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলে না, বরং পুলিশ যেভাবে চায় সেভাবেই আদালত আদেশ প্রদান করেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য যে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ‘গণতন্ত্র’ বিহনে তা-ও ভেস্তে গেছে।

বিচারব্যবস্থা অর্থাৎ প্রভাববিহীন বিচারব্যবস্থাই স্বাধীনতার অন্যতম চেতনা। সংবিধান নিশ্চিত করেছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’ অর্থাৎ নাগরিকদের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য পবিত্র সংবিধান প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেও সে অধিকার কি জনগণ পাচ্ছে? সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য বিচার বিভাগের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, ক্ষেত্রবিশেষে সে বিচার বিভাগ কি সে দায়িত্ব পালন করতে পারছে? 

বাংলাদেশ একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র, রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। কিন্তু কার্যত আমাদের রাষ্ট্রের বর্তমান পেক্ষাপটে বাস্তবতার নিরিখে সংজ্ঞায়িত করলে এ থেকে কী ধারণা পাওয়া যাবে?

যে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ যতটুকু প্রভাবমুক্ত, সে রাষ্ট্রের নাগরিকেরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস থেকে ততটুকু নিরাপদ। ব্রিটেনে বিচারব্যবস্থার একটি প্রবাদ রয়েছে, ‘ব্রিটেনের একজন অসহায় নিঃস্ব নাগরিকের কুঁড়েঘরে বৃষ্টির পানি ঢুকতে পারে, সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে, ঘর থেকে চাঁদের আলো দেখা যায়; কিন্তু বিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া  (Without due process of law) ব্র্রিটেনের রানী সে কুঁড়েঘরে প্রবেশ করতে পারেন না।’ অর্থাৎ রানীর প্রতিনিধি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো নাগরিককে বিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া নাজেহাল, হয়রানি বা গ্রেফতার করতে পারে না। কারণ, সে রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় প্রভাবমুক্ত। অথচ আমাদের রাষ্ট্রের পুলিশের ক্ষমতার কাছে ক্ষেত্রবিশেষে আদালত অসহায়। এর প্রতিকারে জাতি কোথায় আশ্রয় পাবে? বিচার বিভাগের অসহায়ত্ব জনগণের আস্থা-অনাস্থার পাশা খেলায় পরিণত হয়েছে, যার অবসান করার জন্য একটি প্রভাবমুক্ত শক্তিশালী বিচার বিভাগ জরুরি। নতুবা আস্থা-অনাস্থার পাশা খেলা চলতেই থাকবে। 

  • নয়াদিগন্ত/মে ১১ ২০১৮ 


Unapproved projects rule chart

ADP for FY 2018-19


FHM Humayan Kabir

The government has included a record number of 1,664 unapproved fresh projects in the Annual Development Programme (ADP) for the next fiscal year, mostly on political considerations, insiders said Friday.

The unapproved projects that outnumber the approved ones do not have any allocation against their names in the ADP. The government's highest economic policy-making body the National Economic Council (NEC) approved the ADP for the next fiscal year (FY) Thursday last.

The number of unapproved projects is up by 317 from the approved ones, included in the Tk 1.73 trillion ADP for the next fiscal year (FY) 2018-19.

Development experts said the rise in unapproved projects without fund allocations in the ADP is a bad practice.

Out of the 1,664 unapproved projects, a total of 1,338 are proposed to be financed from internal sources while 326 others are expected to be financed with resources coming from bilateral and multilateral donors.

In the original Tk 1.57 trillion ADP for the FY 2018, the government incorporated a total of 1,675 unapproved projects without allocation of funds.

"We have included many of these projects coming under political pressure. We know that some of those projects are not necessary for the country at this moment," a top official at the Planning Commission (PC) told the FE.

The official said if you analyse the number of unapproved projects, you will see that the highest number of those projects have come from the Road Transport and Highways Division, the Local Government Division, the Ministry of Railway and the Water Development Board.

The largest number of unapproved fresh projects (152) has come from the Road Transport and Highways Division. The number is higher than that of approved projects 131.

More than 100 unapproved projects each have come from the Bangladesh Railway, the Local Government Engineering Department (LGED), the Ministry of Home and the Water Development Board for inclusion in the next year's ADP.

"Many unapproved fresh projects in the ADP ultimately remain unimplemented every year due to lack of adequate fund allocations, proper feasibility study and designs," said another PC official requesting anonymity.

Development experts have opposed this kind of government initiatives, saying that this system not only affects the quality of work, but also creates scope for misappropriation of public funds.

Former finance and planning adviser to the caretaker government Dr AB Mirza Azizul Islam told the FE that since most of the fresh projects are included on "political consideration" without any feasibility study, those do not get adequate funds after their approval by the government, resulting in both cost and time overrun and less impact on national development.

"Since the next fiscal year will encompass election period, the government just wants to show the people that they have undertaken projects although those may not receive adequate allocations from the government," Dr Islam said.

He said the government should not continue with the culture of including unapproved projects in the ADP. Rather it should make serious attempts to improve the quality work of the ongoing projects.

A PC member said: "In most cases, very few projects get allocations in the revised ADP or the following year's ADP. This results in escalation of cost of such projects."
  • Courtesy: The Financial Express /May 12, 2018

Why Bangladesh's inequality is likely to rise

Nazmul Ahasan

The issues of growing income inequality and unequal distribution of wealth between the rich and the poor have lately gained traction across the west. Oxfam's yearly inequality report serves as the most damning indictment of this rise in disparity. Eighty-two percent of the entire global wealth created last year, the report estimates, went straight into the pockets of the richest one percent of the world's population. The poorest 50 percent, on the other hand, received zero percent of that wealth.

Social democrats or socialists on the left aisle of the political spectrum blame inequality as the primary source of many social discontents that exist in western societies. Liberals, however, attribute these resentments to a widespread distaste for pluralism, multiculturalism, migration, globalisation, etc.

The debate over what influenced people most to hate the existing political system is far from over, but across the subcontinent, including Bangladesh, the debate has hardly any presence at all.

The latest Household Income and Expenditure Survey released by Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) found that the income share of the poorest five percent of our population was 0.23 percent of overall income, a sharp fall from 2010 when it was 0.78 percent. In contrast, the richest 5 percent's share of income grew to 27.89 percent, up from 24.61 percent in 2010. This basically means that the bottom five percent's share of national income has decreased, whereas the richest five percent's has increased.

While the BBS survey mainly sheds light on growing income inequality, wealth inequality is even worse. According to estimates by the Centre for Policy Dialogue (CPD), wealth inequality in terms of Gini coefficient—an economic term to gauge income or wealth inequality on a scale of 0 to 1, in which 1 represents perfect inequality and 0 signifies perfect equality—stands at a staggering 0.74, whereas the Gini coefficient for income inequality is 0.48.

While the existing data is worrying enough, real inequality is likely to be worse because the richest in our society are reluctant to reveal their actual wealth and income.

In the last Dhaka mayoral election, two contestants, both business tycoons, refused to include their expensive cars in their wealth statements. They argued that these cars belonged to their companies, which, however, happened to be owned by none other than themselves.

China-based Hurun Global in 2017 named one Bangladeshi businessman in its global rich list, estimating that his assets would be worth USD 1.3 billion. The businessman conceded that the company his family owns may have had assets worth the figure but that he “personally” does not own that much wealth.

They pretend that their “personal” wealth and that of their companies are somehow different, even though it's pretty clear that both are more or less the same thing. For all their wealth, it's hard to find too many wealthy businessmen in the list of the top taxpayers. The man who paid the highest amount of tax last year was the owner of a chewing tobacco company.

The tricky part here is that many among the super-rich base their business on massive loans taken from banks. When you show your working capital coming from loans, you are more likely to be exempted from paying taxes. In addition, taxing the rich is one of the least priorities of our major political parties.

Raising minimum wage or living wage is a popular and important issue in the west, but no major parties—not even the opposition—in Bangladesh would voice in favour of increasing the wage of garment workers. No one, after all, wants to disturb their donors.

Far from taxing the richest, successive governments rather succumb to the business community's demands to reduce the existing taxes in the name of providing “incentives”. When labourers take to the streets to demand a wage increase, the government on behalf of industry leaders, deploy forces to crush their voices.

According to a study by the Finance Ministry, 45-65 percent of the assets in our economy are not taxed. As the super-rich have ample ways to evade their dues, a large portion of the government's revenue comes from indirect taxation such as value added taxes (VAT), which is applicable to all people regardless of their income. Those who are poor spend a large proportion of their income, whereas the rich spend a very small portion of theirs.

“One of the prime philosophies of taxing is to reduce income inequality,” Mustafizur Rahman of CPD told BBC. The failure to tax the wealthiest is, therefore, a major cause of the widening inequality.

Our country was supposed to be a progressive country. Our founding fathers included “socialism” in addition to democracy as one of our founding pillars in the constitution.

Most of our finest universities still run with public money. Yet, we do not regulate private universities that charge students hefty fees. We have public hospitals across the country, but they provide low quality service, while top private hospitals charge its clients as much as five-star hotels do.

Of late, we have been in love with a new model of project development called “Public-Private Partnership,” despite the fact that the objective of the government and private entities would collide, theoretically, rather than align. Unlike the private sector, the government isn't supposed to be a profit-making enterprise while investing in public welfare.

Our economy is neither capitalistic nor socialistic. This is a conundrum we may have chosen to live with, but the cost is too steep. At this phase of our economic history, we are supposed to be experiencing very high employment growth, investment, and a higher standard of living, but what we are experiencing, instead, is growing inequality, credit crunch, rampant corruption, massive outflow of money, etc. The crisis that advanced economies experience during the phase of maturation is all set to hit ours in its nascent stage.
  • Courtesy: The Daily Star/ May 12, 2018.