সানেমের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
চলতি বছরের মার্চে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রথম পর্যালোচনায় তিনটি মানদণ্ড সফলভাবে পূরণ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পর্যালোচনায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাপকাঠিগুলো পূরণ করতে সক্ষম হলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। কিন্তু এলডিসি-পরবর্তী সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশের ব্যাংকিং খাতের অরাজকতামূলক পরিস্থিতি। তাই এখন থেকে সব বাধা কাটিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল রাজধানীতে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নিয়মিত মাসিক প্রকাশনা ‘থিংকিং অ্যালাউড’ প্রকাশের চার বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘লুকিং বিয়ন্ড এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কেএএস মুরশিদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাপেক্স ওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং সানেম নেতা ড. বজলুল হক খন্দকার।
অনুষ্ঠানে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে আমাদের কষ্ট বাড়বে। আবার অনেক নতুন সম্ভাবনার জানালাও খুলবে। এ অবস্থায় কৌশলগত খাত চিহ্নিত করতে হবে। দেশে এখন অনেক খাত আছে, যেগুলো পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে। কাঠামোগত রূপান্তর এমন হতে হবে, যেন তা সার্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে উন্নত মানের শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
ড. কেএএস মুরশিদ বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে আমরা কী সুযোগ-সুবিধা পাব না, তা নিয়ে হা-হুতাশ করে আর লাভ নেই। এসব আরো নয় বছর পাওয়া যাবে, তাই এর যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অনেক অদক্ষতা আছে। এখনো আমরা বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল থেকে যাচ্ছি। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়নি অনেক কিছুই। শিক্ষার মান নেই, নেই দক্ষতা। এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।
- Courtesy: BanikBarta /May 13, 2018
No comments:
Post a Comment