এস এম আতিক হাসান
বিএনপির রাজনীতিতে যে কয়জন নারী নেতৃত্ব মেধাবী, পরিশ্রমী, সৎ ও বিনয়ী তাদের মধ্যে অন্যতম মাদারীপুরের কৃতীসন্তান ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান। নেতৃত্বের অসাধারণ গুণাবলি এবং সবসময় রাজপথ আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় ক্রমে হয়ে উঠছেন বিএনপির অপরিহার্যদের একজন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন।
দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের। ২০০১ সালে সংরক্ষিত আসনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডি-এর মুখোমুখি হন এই রাজনীতিক। দীর্ঘ সময়ের কথোপকথনে উঠে আসে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও ব্যক্তিজীবনের জানা-অজানা নানা তথ্য-উপাত্ত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ব্রেকিংনিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এস এম আতিক হাসান।
ব্রেকিংনিউজ: দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু ব্যখ্যা করুন।
হেলেন জেরিন খান: দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কি বলবো? দেশে তো একনায়কতন্ত্র চলছে। এতদিন দেশের মানুষ বলেছে, এখন এটা সারা বিশ্ব থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে বর্তমান এই স্বৈরাচারী সরকার। আপনি জানেন যে কিছুদিন আগে জার্মানির একটি সংস্থা যে রিপোর্টে নতুন যে পাঁচটি স্বৈরাচারী দেশ হিসেবে উপস্থাপন করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বর্তমানে যারা বিরোধী দল তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করার দরকার সেটা ধাপে ধাপে করছে এই অবৈধ সরকার। প্রথম তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভুয়া ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তারপর বিরোধী দল যখন এই ভুয়া নির্বাচনের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে তখনই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার এবং হয়রানি শুরু করে।
বিরোধী দলের চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কেউ হয়রানি করা হচ্ছে। শত শত মামলা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৭৮ হাজারের অধিক মামলা দিয়েছে। আমাদের দলের চেয়ারপারসনকে মিথ্যা ও ভুয়া মামলা দিয়ে কারাগারে রেখেছে। শুধু কারাগারে রেখেছে তা নয়, এই মামলা নিয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে যদি কারো পাঁচ বছরের সাজা হয় সাধারণত তার বয়স বিবেচনা করে জামিন দেয়া হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া একজন মর্যাদাশীল মানুষ এবং তার বয়স অনেক, তিনি অসুস্থ এসব বিষয় বিবেচনা করলে জামিন পান। কিন্তু হাইকোর্ট জামিন দিলেও সুপ্রিম কোর্ট তাকে আটকে দিয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রাজনীতি পরিচালিত হচ্ছে। আসলে রাজনীতি বলতে কিছু নেই। বিরোধীদল কোনো সভা করতে পারে না। মানববন্ধন করতে গেলে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে ধরে নিয়ে যায়। তারা বলে যে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিন্তু আমরা মনে করি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না আসলে তারা ভুয়া সরকারের পেটোয়া বাহিনী এবং ভুয়া সংগঠনেরই কেউ হতে পারে তারা। গুম খুন হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এখন অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে।
ব্রেকিংনিউজ: দেশের এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলনকে কীভাবে দেখছেন?
হেলেন জেরিন খান: দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন এই মুহূর্তে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে বারবার হারানো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সবচেয়ে বেশি যার অবদান, তিনি হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সেই আপসহীন নেত্রীকে অন্যায় ও সাজানো মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি শুধু বেগম খালেদা জিয়াকে না পুরো দেশকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে পারলে সারা দেশের মানুষ মুক্ত হবে। সে কারণে আমি মনে করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্ত করা দরকার, যদি দেশকে মুক্ত করতে হয়। দেশের জনগণকে মুক্ত করতে হয়, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হয়, প্রতিষ্ঠা করতে হয়, দেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
ব্রেকিংনিউজ: দেশের এই ক্রান্তিকালে বিএনপি যে আন্দোলন করছে এ আন্দোলন কি সঠিক পথে আছে?
হেলেন জেরিন খান: কোনো আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করে না। সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনও ভিন্ন রূপ ধারণ করে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বলেছেন একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে হঠাতে হবে। সেই কারণে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশেই বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেটা চেয়েছিল, যে ফাঁদ তারা পেতেছিল, সে ফাঁদে বিএনপি পা দেয়নি বলে আওয়ামী লীগ টালমাটাল হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ভেবেছিল খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখলে বিএনপি কঠিন আন্দোলন দিবে জ্বালাও-পোড়াও করবে, হরতাল দিবে আর সেই হরতালে গাড়ি পোড়াবে আওয়ামী লীগ। হরতাল দিবে বিএনপি আর সেই হরতালে অসংখ্য মানুষ পোড়াবে আওয়ামী লীগ। সেই কারণেই বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। আপনি দেখবেন যে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হচ্ছে চুপ থাকা। বিএনপি এই মুহূর্তে যে কর্মসূচিগুলো দিচ্ছে এটাই সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের। বিএনপি হরতাল দেবে আর জ্বালাও পোড়াও করবে আওয়ামী লীগ আর তারা সারা বিশ্বে বলে বেড়াবে বিএনপি একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর দল, জ্বালাও-পোড়াওয়ের দল। আর সেই কারণেই বিএনপি এ রকম আন্দোলনে যায়নি। তবে আমি মনে করি দেশের মানুষের প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের দেশকে মুক্ত করবো।
ব্রেকিং নিউজ: আপনারা সবসময় বলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে। জনগণ কেন বিএনপিকে ভোট দেবে?
হেলেন জেরিন খান: জনগণ এই কারণে ভোট দেবে বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল। বাকশাল নয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। আমাদের নেত্রী কোনদিন অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। বিএনপিকে এই কারণে জনগণ ভোট দিবে। বিএনপির আমলে কোন ব্যাংক ডাকাতি হয়নি, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়নি, দেশে আইনের শাসন ছিল, নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারত। আজকের নারীরা যতটা অনিরাপদ এতটা মনে হয় একাত্তরেও হয়নি। এই আমলে যতটা নারীদের অনিরাপদ আর কোনো সময়ই এতটা অনিরাপদ হয়নি। এই কারণেই বিএনপিকে জনগণ ভোট দেবে আর বিএনপির আমলে সব প্রতিষ্ঠানই সচল ছিল। আপনি বিচার বিভাগ বলেন, আইন বিভাগ বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেন, সব জায়গা তেই স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু এখন প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানই অচল করে দেয়া হয়েছে। একটা মাত্র প্রতিষ্ঠান সচল আছে, সেটা হল অবৈধ সরকার। আর এই সরকারের কাজ হলো এদেশে যত বিরোধী দল, মত এবং লোক আছে, সবাইকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। দেশের এমন অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে বিএনপিকে দরকার আর এই কারণেই জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে।
ব্রেকিংনিউজ: বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস যদি দীর্ঘায়িত হয় সেক্ষেত্রে বিএনপি কেমন কর্মসূচি গ্রহণ করবে?
হেলেন জেরিন খান: আমি বিশ্বাস করি না ম্যাডামের কারাবাস দীর্ঘায়িত হবে। ম্যাডাম এমন কোন কাজ করেননি যে তার কারাবাস দীর্ঘায়িত হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি মঙ্গলবার যে রায়টি হবে সেই রায়ের মাধ্যমেই ম্যাডাম জামিন পাবেন এবং কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
ব্রেকিংনিউজ: একজন নারী নেত্রী হিসাবে আগামীর আন্দোলনে নারীদের কিভাবে সম্পৃক্ত করবেন?
হেলেন জেরিন খান: নারীদের আন্দোলন আগে যেরকম ছিল এখনও সেরকমই থাকবে। আপনারা দেখেছেন ম্যাডামের ৮ ফেব্রুয়ারি রায়কে কেন্দ্র করে আড়াইশ জন নারীনেত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে কিন্তু এতো হয়নি। গ্রেফতার হয়েছেন এই কারণে যে তারা পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে আন্দোলন করেছেন। আরেকটি বিষয় হলো এই সরকারের আমলে নারীদের কোন নিরাপত্তা নেই, স্বাধীনতা নেই, বিএনপি সময় কিন্তু নারীদের পুরো স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। নারীদের নামে মামলা দেয়া তো দূরে থাক এটা চিন্তা করতো না। এজন্য আওয়ামী লীগের নারীরা প্রকাশ্যে রাজনীতি করে বেড়াতন আর বর্তমানে আমাদের নারীনেত্রীদের কে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ব্রেকিংনিউজ: সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভারতের প্রভাব কমেছে অথচ বাংলাদেশে এর প্রভাব বেড়েছে। এর কারণটা কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
হেলেন জেরিন খান: এটার মূল কারণ হলো আমাদের দেশের গণতন্ত্রহীনতা। যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, একটি দল জোর করে করে ক্ষমতা দখল করে আছে, সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ভারতে দেশে ঢুকে পড়েছে। এমন হয়েছে যে বাংলাদেশ একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে ভারতের মতামত ছাড়া হবে না। সে কারণে জাতির কাছে একটি বড় প্রশ্ন আমরা কি স্বাধীন? আমরা দেশের জনগণ হিসেবে একটি ভোট দিব, সেটাও যদি দিতে না পারি তাহলে কি কারণে এবং কিভাবে আমরা স্বাধীন এবং স্বাধীন দেশে বাস করি। আরেকটি বিষয় হলো আমাদের দেশের বর্ডারগুলো খুবই অরক্ষিত। মাঝে মাঝে দেখা যায় এবং শোনা যায় ভারতের বাহিনী বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, গুলি করে মেরে ফেলছে। এটার মূল কারণ হল গণতন্ত্রহীনতা। এই যে দেখেন মিয়ানমার থেকে নির্যাতন করে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিল। এর সম্মানজনক প্রতিকার আমরা করতে পারলাম না। মিয়ানমারের মতো একটি দেশ রোহিঙ্গাদেরকে নির্যাতন করে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দিলেও আমাদের পাশে ভারত, রাশিয়া, চীন কাউকে আমরা পেলাম না। আমরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ করতে পারলাম না। কেন কারণ আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন ইউনিটি নেই। আজ যদি সব দলের মধ্যে একতা থাকতো তাহলে মিয়ানমার কিন্তু এতটা সাহস করতে পারত না। এখন আবার শুনতে পাচ্ছি, আসাম থেকে মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বা নির্যাতন করা হচ্ছে আর এগুলোর একটাই কারণ হলো আমাদের দেশে গণতন্ত্রহীনতা।
ব্রেকিংনিউজ: এতো পেশা থাকতে রাজনীতিতে কেন আসলেন?
হেলেন জেরিন খান: আমার বাবা ভালো মানুষ এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাকে সংসারের হাল ধরার জন্য চাকরি নিতে হয়েছিল। কারণ তিনি আমাদের পরিবারের বড় সন্তান ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। আমার মাও সমাজসেবক ছিলেন। আমার মা এবং বাবা সব সময় আমাকে বলতেন রাজিয়া সুলতানা। আমাকে বলতেন আমার মেয়েকে রাজিয়া সুলতানা বানাবো। বাবা ছিলেন জেলা বিএনপির ভাইস ভাইস চেয়ারম্যান। আমি তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতো এই যেমন:১৬ ডিসেম্বর ২৬ শে মার্চ এসব অনুষ্ঠানে আমার বাবা বক্তব্য দেয়ার জন্য আমার নাম লিখে দিতেন এবং তিনি বক্তব্য লিখে দিতেন আমাকে বলতেন তুমি বক্তব্য দাও। আমার সাহসটা সেখান থেকেই। বলা যায় রাজনীতিটা পারিবারিকভাবেই এসেছে।
তখন আমি বুঝিনি। যখন আমি ইডেন কলেজে আসলাম তখন আমার বাবা-মায়ের কার্যক্রমকে মনে পড়তো এবং দেখি মেয়েদের নানান সমস্যা কলেজে পানি সমস্যা আবার গার্জিয়ান ছাড়া বের হতে দিত না, বাজার করতে দিত না। তখন এরশাদের শাসন ছিল। দেখা যেত এরশাদ কিংবা রওশন এরশাদের কোন প্রোগ্রাম হলে মেয়েদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হতো। মেয়েরা যেতে চাইত না আর এসবের প্রতিবাদ করতে করতেই রাজনীতিতে ঢুকে যাই। সে সময় ইডেনে বিভিন্ন সমস্যা ছিল, খাওয়ার সমস্যা ছিল, কারো কাপড়ের সমস্যা থাকলে নিজের কাপড়টা দিতাম। খাবার এনে দিতাম আর এইভাবে সবার কাছে পরিচিত হই। তারপর ইডেনের ভিপি হলাম আর এভাবেই রাজনীতিতে আসা।
ব্রেকিংনিউজ: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
হেলেন জেরিন খান: ব্রেকিংনিউজকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
- কার্টেসি — breakingnews.com.bd