Search

Tuesday, May 29, 2018

অার কিছু নয়, নির্বাচনের বছরে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা মোদিজির কাছে একান্তে


মোহাম্মদ আলী বোখারী


শান্তিনিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবনে’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ‘প্রতিদান’ চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমনটাই গত ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গের বহুল প্রচারিত আনন্দবাজার পত্রিকায় অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “দিল্লির পাশে থেকেছে ঢাকা, মোদীর কাছে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা” শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

সূচনায় বলা হয়েছে, “দিয়েছেন অনেক, প্রতিদানে এবার ভারতের সহযোগিতা চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।” তাতে সবিশেষভাবে ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের বছরে ভারতের সহযোগিতা চাই’ কথাটি যুক্ত করে বলা হয়েছে। “শুক্রবার ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের পরে সেখানেই মোদীর সঙ্গে বৈঠকে হাসিনা জানিয়েছেন, তাঁর সরকার উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের দেশছাড়া করেছে, ট্রানজিট দিয়েছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বরাবর দিল্লির পাশে থেকেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের বছরে এবার তাই ভারতের সহযোগিতা চাই। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, মোদীকে হাসিনা বলেছেন, তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল পাকিস্তনি শোষণে ছিবড়ে হয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড় করানো। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেমেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের মতো এই কাজেও ভারতকে পাশে চান।”



প্রতিবেদনটিতে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদীর এক অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।

পাশাপাশি তাতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭২-এর ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীকে পাশে নিয়ে কলকাতার জনসভায় সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি। দেওয়ার কিছু নেই। শুধু বুক ভরা ভালবাসা জানাই ভারতের মানুষকে।’’ ছেচল্লিশ বছর পরে হাসিনার বার্তা, তাঁরা যা দিয়েছেন, ভারত এবার তার প্রতিদান দিক। একই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে যে, মোদীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি কী বলবেন, উপদেষ্টাদের সঙ্গে আগেই আলোচনা সেরে এসেছিলেন হাসিনা। তাঁর দফতরের এক সূত্র জানান, হাসিনার বার্তা, মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে সরাতে, বাংলাদেশকে ফের পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত চলছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে পশ্চিমে আর পূর্বের দু’দিকেই পাকিস্তান নিয়ে ঘর করতে হবে ভারতকে। তাই ভারতের উচিত বাংলাদেশের বর্তমান সরকারই যাতে ক্ষমতায় ফেরে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা।

তবে সেখানে সুস্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, “মোদীর জবাব জানা যায়নি। ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের পরে বক্তৃতায় তিনি জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো খাতে ৮০০ কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছে দিল্লি। বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়ে ১১০০ মেগাওয়াট করা হবে। মহাকাশ প্রযুক্তিতেও সাহায্য করতে চায় দিল্লি।”

এছাড়া প্রতিদেনটিতে উল্লেখ রয়েছে, ভবন উদ্বোধনের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় অনেক জল গড়িয়েছে। আরও জল গড়াবে। দুই দেশের সুসম্পর্কও এগিয়ে চলবে।’’ দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আলোচনায় তিস্তা প্রসঙ্গ ওঠা স্বাভাবিক বলে অনেকেই মনে করেছেন। যদিও এ নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে তার আগে বক্তৃতায় হাসিনা বলেন, “অনেক অর্জনের মধ্যে কিছু বকেয়াও রয়েছে, যা উল্লেখ করে এমন সুন্দর অনুষ্ঠানের অঙ্গহানি করতে চাই না আমি!’’

একই সঙ্গে প্রতিবেদনটি বলেছে, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী কালে ভারতের অবদান স্মরণ করতে গিয়ে এদিন গলা ধরে আসে হাসিনার’। তিনি বলেন, “এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ভারতের মানুষ। যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। লড়াইয়ে প্রাণও দিয়েছেন ভারতের সেনারা।’’ ১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট রাতের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু তাঁর বাবা-মা, ভাইদের হত্যা নয়, তাঁর পরিবারের আরও তিনটি বাড়িতে সে রাতে হামলা করে হত্যাকাণ্ড চালায় ‘পাকিস্তানের চরেরা’। “আমরা দুই বোন-সহ পরিবারের যে ক’জন সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম, ভারতের স্নেহচ্ছায়াতেই কাটিয়েছি পরের কয়েক বছর,’’ বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, বাবার স্বভাব ছিল রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি। স্টিমারের ডেক-এ দাঁড়িয়ে ভরাট গলায় উচ্চারণ করতেন, ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই!’ সেই রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে দুই দেশ মিলে একটি ভবন উদ্বোধন করল। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল, দু’টিই রবীন্দ্রনাথের লেখা। হাসিনা জানান, বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের জমিদারি অঞ্চল শাহজাদপুরে তাঁর সরকার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছে।
  • লেখক কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক। 


ডুবছে কৃষি ব্যাংক

  • মূলধন ঘাটতি ৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • বাজেটে ভর্তুকি চায় দেড় হাজার কোটি টাকা


রুকনুজ্জামান অঞ্জন


কৃষি খাতের উন্নয়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এখন ডুবতে বসেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি, সরকারের ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা, কৃষি ঋণের সুদের হার কম ও তহবিল পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে বিশেষায়িত এই ব্যাংকটির অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে।  অর্থ মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে ব্যাংকটি বলেছে, তাদের মূলধন ঘাটতি ৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এত বেশি ঘাটতি নিয়ে ব্যাংকটির ব্যবসা পরিচালনা ও ঋণদান কর্মসূচি কঠিন হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী বাজেট থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়েছে বিকেবি।

ব্যাংকটির এমডি মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া চিঠিতে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে পরিচালনগত লোকসান এবং সমন্বিত মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দেশে-বিদেশে স্টেকহোল্ডারদের বিভ্রান্ত করে; এমনকি আমানতকারীদেরও নিরুৎসাহিত করে। যে কারণে ১০৩১টি শাখা সংবলিত একটি ব্যাংকের দীর্ঘ ৪৮ বছরের আমানতের পরিমাণ মাত্র ২২ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের জুন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বিশেষায়িত খাতের এ ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের জুনে যার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।

ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। নিট লোকসানের পরিমাণ ৯৮১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার ৩১ শাখার মধ্যে ১৪৮টি শাখাই পরিচালিত হচ্ছে লোকসানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অন্য ব্যাংক যেখানে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়, সেখানে কৃষি ব্যাংক-কে ৯ থেকে ১০ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ বিতরণ করতে হয়। অথচ তাদের আমানত নিতে হয় বেশি সুদে। ব্যাংকটির তহবিল পরিচালন ব্যয়ের চেয়ে ঋণের সুদের হার কম হওয়ায় বছর বছর মূলধন ঘাটতি বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। এতে কিছু টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যাংকটিকে বাঁচাতে চাইলে এগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিকেবির চিঠিতে বলা হয়েছে, কৃষি ব্যাংকের মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮২ শতাংশ সরাসরি কৃষি খাতের অন্তর্ভুক্ত। দেশের কৃষকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় কৃষিঋণের ওপর অন্যান্য ব্যাংক ও ঋণ খাতের মতো বাজারভিত্তিক সুদ আরোপ না করে সরকার নির্দেশিত হ্রাসৃকত সুদ হারে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে, যা ব্যাংকটির তহবিল ব্যয়ের চেয়েও কম। আর এ কারণেই ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কম সুদে ঋণ দেওয়ার কারণেই কৃষি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হচ্ছে— তেমনটি নয়। ব্যাংকটির সামগ্রিক পারফরমেন্স খারাপ হওয়ার জন্য অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও দায়ী। কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে গতবছর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির আওতায় গরু মোটাতাজাকরণের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তার বিপরীতে কিছু কিছু শাখায় ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ধরনের ৪৪৭টি ঋণের বিপরীতে বিতরণকৃত অর্থের প্রায় পুরোটাই চলে গেছে কর্মকর্তাদের পকেটে। কৃষি ব্যাংকের লোকাল প্রিন্সিপাল অফিস ও সাভার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে মনো প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায় ৪৩ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্রের (এলসি) পণ্য ছাড় করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই গ্রাহকের কাছে ব্যাংকের পাওনার বিষয়টি কোনো হিসাবে দেখানো হয়নি। কৃষি ব্যাংকের কক্সবাজার, বনানী করপোরেট শাখাতেও কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়ে সেই ঋণ ফেরত পায়নি ব্যাংকটি। এর বাইরে ভল্টের টাকা ও সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের মতো ঘটনাও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেবির এমডি আলী হোসেন প্রধানিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অনিয়ম কোথায় নেই, সে তুলনায় কৃষি ব্যাংকে বরং কম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা ভুল ধারণা আছে। তারা বলছে, সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে ব্যবসা করতে পারলে কৃষি ব্যাংক কেন পারে না। কিন্তু ওসব ব্যাংক ২ থেকে ৩ শতাংশ কৃষি ঋণ দেয়। আর আমাদের কৃষিঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৪ শতাংশ। ঋণের পার্সেন্টেজ বেশি হওয়ায় আমাদের ক্ষতির পরিমাণও বেশি। এমডি জানান, ব্যাংকটিতে তহবিল পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ শতাংশ হারে। আর তারা ঋণ দিচ্ছে ৯ শতাংশ হারে। এ ছাড়া সময়মতো ভর্তুকির টাকা না পাওয়ার কারণেও তাদের মূলধন ঘাটতি বাড়ছে। ব্যাংকটির পারফরমেন্স ভালো করতে নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে এমডি বলেন, আগামী জুন থেকে আমাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে।

  • Courtesy: Bangladesh Protidin/ May 29, 2018

মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়াল

সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে গত ১০ দিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯ জন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গরবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের বিভ্ন্নি জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছে।

এর মধ্য কুমিল্লায় দুজন, কুষ্টিয়ায় দুজন, যশোরে দুজন, ঢাকায় একজন, ময়মনসিংহে একজন, সাতক্ষীরায় একজন, বরগুনায় একজন, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন মারা গেছেন। নিহতরা সবাই মাদক কেনা-বেচায় জড়িত বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। যদিও তাদের বক্তব্য ও ঘটনার বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
  • কার্টেসিঃ বণিক বার্তা/ মে ২৯,২০১৮ 

৪১ দিনেও উদ্ধার হয়নি সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী জাহাজ

গত ১৪ এপ্রিল রাতে সুন্দরবনের পশুর নদের হারবারিয়া এলাকায় ৭৭৫ টন কয়লাসহ ডুবে যায় লাইটার জাহাজ এমভি বিলাস। এ দুর্ঘটনার ৪১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা যায়নি জাহাজটি ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক উদ্ধারকারী জাহাজের অভাব ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এমভি বিলাস এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সনাতন পদ্ধতিতে জাহাজটিকে টেনে তোলার চেষ্টা চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব না হলে আশা ছেড়ে দিতে হবে।

মালিকপক্ষের হয়ে জাহাজটি উদ্ধারের কাজ তদারকি করছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. বাহারুল ইসলাম বাহার। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, আধুনিক জলযানের অভাব, নদীর স্রোত আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জাহাজটি দিন দিন নদীর তলদেশে আরো দেবে যাচ্ছে। জাহাজের উপরে প্রচুর পলি পড়ায় এখন আর কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বর্তমানে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগে ডুবন্ত জাহাজ থেকে পানি ও পলিমাটি মিশ্রিত কিছু কয়লা পাম্পের মাধ্যমে উত্তোলনের পর ৪০০ টনের একটি বাল্কহেডে করে যশোরের নওয়াপাড়ায় নিয়ে গেছেন আমদানিকারকরা।

বাহার আফসোস করে বলেন, যদি খুলনায় বিআইডব্লিউটিএ কিংবা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো উদ্ধারকারী জলযান থাকত, তাহলে জাহাজটি উদ্ধারে এত দেরি হতো না। বর্তমানে জাহাজটিকে সনাতন পদ্ধতিতে দুই পাশে দুটি টাকবোট দিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরঞ্জামাদি আনা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব না হলে আশা ছেড়ে দিতে হবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে উদ্ধারকারী জাহাজ কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে। শিগগির উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করছি।

এদিকে সুন্দরবনের নদীতে একের পর এক জাহাজডুবি এবং তা উদ্ধার না হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন কর্মকর্তা ও পরিবেশবাদীরা। তারা বলছেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের মধ্যে অবস্থিত পশুর, শ্যালাসহ অন্যান্য নদীতে জাহাজডুবির ঘটনা নতুন নয়। গত সাড়ে তিন বছরে ডুবেছে সাতটি জাহাজ। এসব জাহাজে ছিল ফার্নেস অয়েল, সার, কয়লা ও সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল। তবে খুলনা অঞ্চলে উদ্ধারকারী কোনো জলযান না থাকায় দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয় না ডুবে যাওয়া জাহাজ ও পণ্য। ফলে এসব পণ্যের রাসায়নিক পদার্থে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলজ জীববৈচিত্র্য। পানির মাধ্যমে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে বনের মাটিতেও।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, শ্যালা নদী দিয়ে এখন আর পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে না। তবে মোংলা বন্দরের কারণে পশুর নদ দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। সে কারণে এটি বন্ধ করার সুযোগ নেই। জাহাজডুবির কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়। তাই জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) খুলনার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, একের পর এক জাহাজডুবির ঘটনা উদ্বেগ তৈরি করেছে। আমরা এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।

  • কার্টেসিঃ বণিক বার্তা/ মে ২৯,২০১৮ 

ব্রেক করলেই উঠে আসছে পিচ

রাস্তা সংস্কার বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী


বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়নে অনিয়মের অভিযোগে রাস্তার সংস্কারকাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তারা শিডিউল অনুযায়ী মানসম্মত কাজের দাবিতে বিক্ষোভও করেন। এ অবস্থায় গতকাল নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুভাষ কুমার সাহা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ওই রাস্তা পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জোয়াড়ী ইউনিয়নের রামাগাড়ী শাহপাড়া থেকে হারোয়া রহিমের বটতলা পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬১০ মিটার রাস্তার সংস্কারকাজ চলছে। প্রায় ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দে এ কাজ করছে মেসার্স খায়রুল কবির রানা কনস্ট্রাকশন। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগে গত শনিবার বিকালে রামাগাড়ী ও শ্রীখণ্ডী গ্রামের মানুষ কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করে।

স্থানীয়রা জানান, কার্পেটিংয়ের আগে রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি ও ধুলাবালি পরিষ্কার করা হয়নি। কার্পেটিং করা হচ্ছে নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে। ফিনিশিং ভালো না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন স্থান উঁচু-নিচু হয়ে পড়েছে। নিম্নমানের বিটুমিনের কারণে কার্পেটিং শক্ত হচ্ছে না। ফলে গাড়ি ব্রেক করলে কিংবা খোঁচা দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

কথা হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়ালিউল ইসলাম শিলু জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় রাস্তাটি অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যাবে। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার প্রতিনিধি দীপ্ত শেখর মিত্র জানান, শিডিউল অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ‘আমি কাজ দেখেছি। আমার মতে, সংস্কারকাজ ভালোভাবেই হচ্ছে।’ অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ রাস্তাটি পরিদর্শন করে কিছু অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

  • কার্টেসিঃ বণিক বার্তা/ মে ২৯,২০১৮ 

HC verdict on rape, sexual assault cases

Ministries must ensure implementation of directives


In response to a writ petition filed by rights organisations over the rape of a Garo woman in 2015 and the police's delay in recording her complaint, the High Court has come up with a set of 18 guidelines for ensuring protection and justice for victims of sexual assault and rape, which include some issues in need of critical attention.

The 2015 incident once again highlighted, as we have seen repeated over and over again since then, issues of police negligence and delay in recording complaints, providing victim support, and ensuring a gender-sensitive environment for the victim. The court has ruled that necessary chemical or DNA tests in such cases must be conducted within 48 hours of occurrence and that the police have to record complaints of rape or sexual assault of women and children without any delay and discrimination. The directives also mention that police stations must have a round-the-clock female police official who must be present during the recording of the victim's testimony, among other guidelines for making the victim feel safe and comfortable. Victim support services, interpretation services for those with disabilities, and the issue of discretion have also been covered by the verdict.

We have long stressed for the need for reform of the hostile environment that victims of rape and sexual assault face in trying to get justice—these directives, if properly implemented, should go a long way towards that end. Recently, we also saw the banning of the controversial “two-finger-test”. These are steps in the right direction. We commend the HC directives, and hope that the concerned ministries will take immediate measures for their implementation until the required legislation can be passed.

  • Courtesy: The Daily Star /Editorial/ May 29, 2018

বদিকে ধরতে প্রমান লাগলে এতো জনকে কিভাবে হত্যা - মাহমুদুর রাহমান মান্না

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘প্রমাণ ছাড়া যদি বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না যায় তাহলে যারা এই অভিযানে মারা গেছেন তাদের নাম পরিচয়, কী কী অভিযোগ, কী মামলায় কী প্রমাণ তাদের বিরুদ্ধে যেটা প্রকাশ করতে হবে। অপেক্ষা করুন দিন আসবে এই রোজার মাসে বলছি, এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড়বো না।’

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে একথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, ‘সাবেক একজন রাষ্ট্রপতি বললেন, সরকারি দলের একজন এমপি মাদকের সঙ্গে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো অনেক পাই কিন্তু প্রমাণ তো পাই না। যদি প্রমাণ ছাড়া বদির চুল ধরা না যায় তাহলে প্রমাণ ছাড়া এখন পর্যন্ত যে ৬৪ জন গুলি করে মেরেছেন তার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জবাব দিতে হবে। তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ আমাকে বলছেন, এরপর অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান হবে, পরে চোরাকারবারি ধরার নামে অভিযান হবে। ক্রসফায়ার চলতেই থাকবে। এরমধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘সবাই যাতে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাই সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেবে না। যদি দিত তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার একটি জামিন নিয়ে এভাবে তাল্টিবাল্টি করত না।’

মান্না আরও বলেন, ‘শুধু যদি মনে করেন জোট বেঁধে নির্বাচন করলেই আমরা জিতে যাবো তাহলেও পারবেন না। সেটা খুলনার নির্বাচনে শিক্ষা দিয়েছে। আর একটি শিক্ষা আমাদের গাজীপুরে দিতে চায়। গাজীপুরে সেই লড়াই করার প্রস্তুতি নেন। যাতে করে সব হত্যা, গুম, সবধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি। ঐক্যবদ্ধ মানে এক মঞ্চ বলছি না, সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
  • কার্টেসিঃ পূর্বপশ্চিম/ মে ২৭,২০১৮ 

হাসিনার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নামতে চিকিৎসকদের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে চিকিৎসকেরা যেন নিজ নিজ গ্রামে গিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন।প্রয়োজনে চিকিৎসকেরা যেন কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে যান।
রোববার আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ইফতার অনুষ্ঠান ও আলোচনায় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে স্বাচিপ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে চার হাজারের বেশি চিকিৎসক অংশ নেন বলে স্বাচিপ জানিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদ্যসমাপ্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের এ উন্নতি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। আগামী অক্টোবর থেকে নির্বাচনের কাজ শুরু হয়ে যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন শেষে রোববার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকায় ফিরেছেন।

সাংসদ হাবিব এ মিল্লাত বলেন, পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসকদেরই আগামী নির্বাচনে নেতৃত্ব দিতে হবে। এই নির্বাচনে ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান। এতে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, স্বাচিপের সহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ বক্তব্য দেন।
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ মে ২৯, ২০১৮ 

AL faces questions from foreign diplomats

Concerned over “extrajudicial killings”


Partha Pratim Bhattacharjee

Diplomats, stationed in Dhaka, yesterday expressed deep concern over the "extrajudicial killings" in the ongoing nationwide anti-narcotics drive.
They expressed the concern as a delegation from the international affairs sub-committee of ruling Awami League briefed them about the current political situation of the country, said three AL leaders present at the briefing.

At least 96 suspected drug dealers have been killed in so-called shootouts in the drive that has continued for the last 14 days, causing a wave of concern among rights activists. Over 7,000 other “peddlers” have also been held.

The AL team members included party's presidium member Lt Col (retd) Faruk Khan, Joint General Secretary Dipu Moni, the sub-committee chairman Mohammad Jamir, International Affairs Secretary Shammi Ahmed and State Minister for Foreign Affairs Shahriar Alam. They briefed dozens of diplomats from different countries at a city hotel.

Clarifying the party's stance on the anti-narcotics crackdown, the AL delegation told the diplomats that measures were being taken against drug dealers and peddlers as per the law and following the footstep of other countries who carried out such drives in the past.

But they requested the diplomats not to compare the crackdown to Philippine President Rodrigo Duterte's deadly war on drugs, said an AL leader, requesting not to be named.

"Drugs have connection with arms. The lawmen are facing gun attacks from the drug peddlers while carrying out their drives, prompting them to retaliate. Therefore, some casualties are happening and some members of the law enforcement agencies are also getting hurt,” an AL leader quoted another as telling the diplomats.

The team assured the diplomats that the government would investigate whether the law enforcers had used any “excessive powers” during the raid.

"If any member of the law enforcement agencies is found guilty, departmental action would be taken against that individual," the AL leader was quoted as saying.

Contacted, Faruk Khan told this newspaper that during the meeting they highlighted before the diplomats various development activities of the government and also the “destructive politics of the BNP-Jamaat alliance”.

The diplomats also wanted to know from the delegation members about the government's plans for the next parliamentary elections and making them inclusive.

Faruk Khan said they assured the diplomats that the government would do everything possible to make the polls free, fair and inclusive.

‘Any dialogue with BNP?’

During the briefing, a diplomat from a North European country asked whether the AL would take any initiative to hold dialogue with its archrival BNP any time soon.

The AL team did not give any direct reply to that question, one of the participants told The Daily Star.

But the team apprised the diplomats of AL President Sheikh Hasina's repeated calls to BNP Chairperson Khaleda Zia for joining dialogue and the latter's refusal before the last parliamentary polls.

According to sources, the diplomats also wanted to know whether the AL feared any confrontation over the upcoming parliamentary polls, slated for December.

In reply, the AL team said the party was always in favour of free, fair and inclusive elections. It blamed the BNP for creating chaos during polls.

The party also apprised the diplomats about alleged corruptions committed by Khaleda and her son BNP acting chairman Tarique Rahman.

‘Khulna City polls irregularities’

At one point, the diplomats raised questions over irregularities in the May 15 Khulna City Corporation elections.

The AL delegation said voting was suspended at only three centres and the Election Commission was investigating into the incidents that led to the suspension, said sources present in the briefing.

The diplomats also expressed concern over the proposed Digital Security Act.

The much-debated Digital Security Bill, 2018 was placed in parliament on April 9 amid growing concerns from journalists and rights activists that freedom of the press and freedom of expression would be put to the sword if the bill was passed.

Responding to the concern of the diplomats, the AL leaders said no law that goes against the freedom of expression would be enacted. They said the parliamentary standing committee concerned already sat with representatives of the media over the issue and that the law would be enacted in line with their recommendations.

The ruling party also called upon the diplomats to play a robust role in ensuring a swift solution to the Rohingya crisis and a safe and dignified return of the Rohingyas to their homeland in Myanmar's Rakhine. 

“We had an interactive engagement with the diplomats and discussed several social and economic issues. We also discussed the political and Rohingya issues,” Mohammad Jamir told The Daily Star.

  • Courtesy: The Daily Star /May 29, 2018


Dhaka clueless about start of Rohingya repatriation

Myanmar outfoxes Bangladesh in diplomacy, say experts


 Mir Mostafizur Rahaman


The government said it cannot say exactly when it can start the process of Rohingya repatriation, after missing the January deadline.

According to an 'arrangement' signed between Myanmar and Bangladesh in last November in Myanmar's capital, the repatriation was supposed to start in January this year.

But the latest development proved that it cannot be started 'very soon' as pledged by the top rung of the foreign ministry of Bangladesh.

"We cannot give you any deadline," Foreign Minister AH Mahmood Ali said when asked whether he was convinced that the repatriation would start soon.

"But we are hopeful."

According to the foreign relations experts, Bangladesh has now become the hostage of the will of Myanmar on this issue.

"It has been proved by now that Myanmar is playing far smarter diplomacy than us," Humayun Kabir, former ambassador, told the FE Monday.

"When we signed the 'arrangement', we should have foreseen the endgame," the diplomat said.

It has become apparent that Myanmar has inked the deal just to avert the international pressure, he argued.

Since Bangladesh signed the arrangement with Myanmar, many powerful countries are now advising Dhaka to resolve the problem bilaterally, said a former Bangladesh ambassador to Myanmar requesting anonymity.

But foreign secretary Shahidul Haque told the FE Bangladesh has kept both the options open. "We have told them (Myanmar) that if we are not satisfied we shall try to resolve the issue in multilateral forums," he added.

About the prospect of staring the repatriation, he said that repatriating a large number of refugees is not an easy task. "It will take time and we are trying our best," he said.

According to the latest discussion between Myanmar and Bangladesh, the Rohingya would be repatriated after verification. But out of more than one million refugees, who fled Myanmar in the face of military crackdown, only over 1,500 Rohingyas were verified.

Bangladesh sent a list of 8,000 Rohingyas to Myanmar and until date the neighbouring country verified around 1,500, a foreign ministry official told the FE. When asked to comment on the slow pace of verification, the foreign minister admitted that the process was going on in "a very slow pace."

'Now you can ask that if things are going on at such a slow pace how long it will take to repatriate such a huge number of refugees?"

"But I am optimistic," he said.

The foreign minister disclosed that during the meeting between Prime Minister Sheikh Hasina and the United Nations Security Council delegation, representatives of Russia and China assured Dhaka of expediting the repatriation process.

But the reality was different. Both countries opposed the move to condemn Myanmar during the UNSC meeting on their return to New York, he added.

Meanwhile, the Myanmar government claimed dozens of Rohingya Muslims who fled to the neighbouring Bangladesh have returned voluntarily and will be sent to a transit centre pending resettlement, according to a Singaporean Straits Times report.

A total of 58 Rohingyas have crossed back into Myanmar after they could "no longer find it tenable" to live in Bangladeshi refugee camps, said a statement published in the Myanmar state media Monday.

The statement was issued by the office of Myanmar's de facto leader Aung San Suu Kyi.

They were detained for failing to follow proper repatriation procedures until the decision to "pardon" them and allow them to resettle in Myanmar, the statement said. They would be "temporarily" housed in a transit camp.

The returnees entered Myanmar in different stages over the last four months, said Suu Kyi spokesman Zaw Htay. Myanmar did not give any information of the group's members and Bangladeshi authorities said they were unaware of any details. The UN has said the conditions in Rakhine are not ripe for repatriation.

"The government of Myanmar is busy telling the world that it is ready to receive Rohingya returnees," said UN Assistant Secretary-General for Human Rights Andrew Gilmour in March.

But "at the same time its forces are continuing to drive them into Bangladesh," he said.

"Safe, dignified and sustainable returns are of course impossible under current conditions," he added.

  • Courtesy: The Financial Express /May 29, 2018