Search

Monday, June 25, 2018

বিটিসিএলের সংযোগ সক্ষমতার ৫৫ শতাংশই অব্যবহূত

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পনি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন সংযোগ দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে ১৪ লাখ ৬২ হাজার। এ সক্ষমতার বিপরীতে গ্রাহক সংযোগ রয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার। অর্থাৎ টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির সংযোগ সক্ষমতার ৫৫ শতাংশই অব্যবহূত রয়েছে। মানহীন সেবা ও সেলফোনের সহজলভ্যতার কারণে গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও প্রতি বছর সংযোগ সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প গ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ অনুযায়ী, বিটিসিএলের সংযোগ সক্ষমতা অব্যবহূত থাকার পাশাপাশি প্রতি বছর বড় অংকের লোকসান গুনছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ-সংক্রান্ত সর্বশেষ নিরীক্ষিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ওই অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ছিল ১৮৪ কোটি টাকা। একই অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় করে ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছর বিটিসিএলের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা। একই অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিকে সংযোগ সক্ষমতার অর্ধেকও ব্যবহূত হচ্ছে না, অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বণিক বার্তাকে বলেন, শুধু ফিক্সড ফোনই নয়, সেলফোন নেটওয়ার্কের ভয়েস কলের চাহিদাও কমছে। এখন যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডাটাভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে। এজন্য বিটিসিএলের আধুনিকায়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়নে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। আগামীতে গ্রাহক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।

টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মানোন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষে ২০০৭ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটিকে স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়। তত্কালীন বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিটিসিএল। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত পরিবর্তন হলে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কোনো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। সরকার যে লাভের আশায় বিটিসিএলের রূপান্তর করে, সে আশা আজ অবধি পরিবর্তন হয়নি। এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখতে পারেনি বিটিসিএল। ২০০৫ সালে বিটিটিবির সংযোগক্ষমতা ছিল প্রায় ১০ লাখ। পরবর্তী কয়েক বছরে সংযোগক্ষমতা প্রতি বছর বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ৫০ ভাগ টেলিফোন লাইনের অবস্থা খারাপ। বিভাগীয় শহরে এ অবস্থা আরো নাজুক। বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রায় ৬০ ভাগ লাইন বিভিন্ন সময় অকার্যকর থাকে। জেলা শহরগুলোতে এ হার ৭৫ ভাগ। উপজেলা পর্যায়েও বিটিসিএলের সেবার মান আরো নাজুক।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিটিসিএলে প্রতি মাসে টেলিফোন কল হয় ৮০ লাখের কাছাকাছি। আগে প্রতি মাসে সংস্থাটির রাজস্ব আয় হতো ৪৫-৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে সংস্থাটির প্রতি মাসে স্থানীয় রাজস্ব আয় ২১ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশই লাইন ভাড়া হিসেবে পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিটিসিএলের প্রতি মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় শুধু লাইন ভাড়া থেকে। বাকিটা আসে কলচার্জ থেকে।

টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটা পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কলের বাজার দখলে শীর্ষে ছিল বিটিসিএল। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির আয়েও ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা ছিল। পরবর্তী সময়ে বেসরকারি খাতে সেলফোন অপারেটর ও ফিক্সড ফোনসেবা চালু হওয়ায় বাজারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে যায়।

বিটিসিএল ল্যান্ড ফোনের নতুন সংযোগমূল্য আগের তুলনায় অর্ধেকেরও কম করা হয়েছে। ঢাকায় সংযোগ মূল্য ২ হাজার আর ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ১ হাজার টাকা। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে ৬০০ টাকা। কল রেটও আগের তুলনায় কমানো হয়েছে। লোকাল কলের ক্ষেত্রে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট ৩০ পয়সা এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১০ পয়সা। বিটিসিএল থেকে অন্যান্য অপারেটরে কলপ্রতি মিনিট ৮০ পয়সা। মাসিক লাইন রেন্টও আগের তুলনায় কমিয়েছে বিটিসিএল। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় প্রতি মাসে লাইন রেন্ট ১৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে লাইন রেন্ট ১২০ টাকা। উপজেলা ও গ্রোথ সেন্টারের গ্রাহকদের জন্য ৮০ টাকা। বিটিসিএলের এত সব সুযোগও আগ্রহ বাড়াতে পারেনি গ্রাহকদের।

  • Courtesy: BanikBarta/ June 25, 2018

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন শুরু

সরকার স্বীকৃত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত বাস্তবায়নের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা ১৫ দিন আন্দোলনের পর আজ সোমবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে বসেন তারা। গত ১০ জুন থেকে চলা টানা আন্দোলনের পরও সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পেয়ে আমরণ অনশন মতো কঠিন কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তারা। ‘এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ফিতা মাথায় বেধে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দাবি আদায়ে তারা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। শিক্ষক নেতারা নানা স্লোগানে আন্দোলনকে চাঙ্গা করে তুলছেন।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা টানা ১৫ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই শনিবার প্রতীকী আমরণ অনশন করছি। রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।’

  • Courtesy: BanikBarta/ June 25, 2018

১১ কোটি টাকায় মেরামত পরে ‘অচল’ ঘোষণা!

লালমনি এক্সপ্রেসে কোচ সংযোজন    

ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে ৬ জুন লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে মেরামতকৃত ১৪টি কোচ সংযোজন করা হয়। কিন্তু চালু করার ছয়দিনের মাথায় সবগুলো কোচ অচল হয়ে যায়। জানা যায়, এসব কোচ মেরামত ও রঙ করার কাজে খরচ হয়েছে ১১ কোটি টাকারও বেশি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সৈয়দপুর কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় ও লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে ইরান থেকে কিছু কোচ আমদানি করা হয়েছিল। কোচগুলো সুবর্ণ এক্সপ্রেসে যুক্ত করা হয়। ট্রেনটিতে পরে নতুন কোচ সংযোজন হলে ইরানিগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার ইয়ার্ডে দীর্ঘদিন পড়েছিল। গত বছর এর মধ্যে ২২টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এনে মেরামত ও রঙ করা হয়।

মেরামতকৃত কোচের মধ্যে ১৪টি লালমনি এক্সপ্রেসে সংযোজন করে ঈদ স্পেশাল ট্রেন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু ১২ জুন কোচগুলো অকেজো হয়ে পড়লে ১৩ জুন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ তা ‘ড্যামেজ’ বা অচল ঘোষণা করে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতিটি কোচ মেরামত ও রঙ করার কাজে প্রায় ৮০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সে হিসাবে ১৪টিতে খরচ হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এসব বিষয়ে লালমনিরহাট সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইরানি কোচগুলো দিয়ে নতুন সাজে লালমনি এক্সপ্রেস ৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালনা শুরু করা হয়। ১২ জুন কোচগুলোর এয়ার ব্রেকে ত্রুটি ধরা পড়লে ১৩ জুন সবগুলো ‘ড্যামেজ’ ঘোষণা করা হয়। এখন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের খোলা ইয়ার্ডে কোচগুলো রাখা আছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা বলেন, লালমনি এক্সপ্রেসে নতুনভাবে সংযোজন করা ইরানি কোচগুলো ড্যামেজ ঘোষণার বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে মেরামত করা হবে।

এদিকে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে নতুন করে ১৪টি কোচ সংযোজন করায় এ অঞ্চলের মানুষ স্বস্তিতে ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ছয়দিনের মাথায় তা অকেজো হওয়ায় আবার অত্যন্ত নিম্নমানের কোচে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষও। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের যন্ত্র প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, আপাতত পুরনো কোচ দিয়ে লালমনি এক্সপ্রেস চালু রয়েছে। এতে যাত্রী পরিবহনে কিছুটা সমস্যা যেমন হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরাও কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত। 

রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম দুঃখ করে বলেন, ঈদের আগে পাওয়া ইরানি ১৪টি কোচ দিয়ে নতুনভাবে লালমনি এক্সপ্রেস সাজিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোচগুলো ড্যামেজ ঘোষণা করতে হয়েছে। এসব কোচ এখন আমাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এসব দ্রুত মেরামত করে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।

নিয়মিত যাত্রীদের চাপ সামাল দেয়া লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার নিজাম উদ্দিন বলেন, ট্রেনযাত্রা মানুষের প্রথম পছন্দ। সে কারণে যাত্রীর চাপ থাকলেও আগের কোচ দিয়েই লালমনি এক্সপ্রেস চালু রাখা হয়েছে। ইরানি কোচ ড্যামেজের বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর কারখানায় মেরামতের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।

বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করে লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী রেলমন্ত্রীকে বহুবার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১১ সালের এক জনসভায় বুড়িমারী স্থলবন্দর-ঢাকাগামী ‘তিনবিঘা এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে রেলমন্ত্রীকে বলেও কিছু হয়নি।

  • Courtesy: BanikBarta /June 25, 2018

Outflow of women migrants on rise despite workplace abuse

Arafat Ara

The number of women workers leaving for Saudi Arabia for jobs has increased in recent months despite the fact that workplace abuse has forced many to return home.
A total of 39,578 women migrants went to the oil-rich country with jobs in the first five months of this year.

During the same period of 2017, the Kingdom of Saudi Arabia (KSA) hired 37,856 domestic helps from the country, the official data showed.

The Bureau of Manpower Employment and Training (BMET) data also revealed that KSA recruited 9,476 women in May and 8,492 in April this year.

Workplace abuse & torture

On the other hand, over 1000 female returned home in the last six months because of workplace abuse and torture. Forty-three of them came back on June18 and 19.

Still, 120 women are staying at safe home of Bangladesh embassy in Saudi Arabia and 40 others at the Saudi immigration camp, said the returnees.

They said about 80 per cent of the returnees were forced to come back home within six months of their job period.

They had faced various forms of exploitations such as denial of wages and sexual and physical assaults in the workplaces, they said.

Contacted, an official of the Expatriates' Welfare and Overseas Employment Ministry said they have no plan to reduce the number of domestic helps going to Saudi Arabia.

But the ministry has taken an initiative to tighten the selection process for women workers to help check workplace abuse, said the official wishing not to be named.

As part of the process, they are taking interview of the job seekers after their 30 days' training to know what they have learnt, he said.

He refuted the allegations of torture against Saudi employers.

He thinks that most women workers want to return home due to homesickness.

However, the secretary of the ministry was not available for comments despite repeated attempts.

Rights groups oppose the move

Migrant rights activists said the government should reconsider whether it would send domestic helps to the gulf country or not as long as their safety is concerned.

They said the authorities should follow the example of other countries like Indonesia and the Philippines.

These countries are now sending a limited number of woman workers to the KSA following allegations of violence against their domestic helps, they said.

WARBE Development Foundation chairman Syed Saiful Haque said women workers facing such harassments cannot contribute to the welfare of their families as well as the country's economy.

So, there is no use trying to increase such migration. The government should first ensure safety of the women, he said.

The rights activist observed that such harassment would not be stopped without proper intervention by the labour department of the KSA.

The strict selection process can only help reduce the violence against the women workers to a very negligible extent, he said.

However, Shameem Ahmed Chowdhury Noman, joint secretary general of BAIRA, said most women are in good condition.

That is why the number of outbound female workers is increasing day by day, he added.

Manpower brokers refute allegations

Most of the women bring false allegations against their employers just to return home, he added.

He said the Bangladesh Association of International Recruiting Agencies (BAIRA) has asked all its members to form a monitoring cell in each of their offices.

These cells will contact the women workers in Saudi Arabia regularly, he said.

According to the Wage Earners' Welfare Board (WEWB), over 4,000 women workers returned home between 2015 and 2017 through Bangladesh embassy in Riyadh.

In 2015, Dhaka and Riyadh signed a deal on recruitment of domestic helps from Bangladesh with a minimum monthly wage of 800 Saudi Riyals.

Since the signing of the deal, about 0.2 million women workers migrated to the gulf country, according to BMET data.

Since 1991, a total of 747,726 Bangladeshi women workers went to different countries for jobs. Of them, 244,307 went to the KSA, according to BMET.

  • Courtesy: The Financial Express /June 23, 2018

Warning against burdening banks

Financing long-term investments

Experts, politicians deplore dysfunctional state of capital market  

The financial sector of Bangladesh has developed a dangerous notion called 'mismatch of maturity', as short-term deposits are used for financing long-term investment here, eminent economist Dr. Rehman Sobhan opined on Sunday.

"The entire burden of investment for structural change in the economy as well as the private sector has fallen on the commercial banks, which is very unusual and very dangerous," he cautioned.

"Historically, long-term investment finance is largely provided by the capital market and the specialized financial institutions dedicated to long-term investment," Mr. Sobhan said at a dialogue on the latest budget in the capital.

"These are the institutions, specially designed for risk taking for undertaking long-term investment."

A dangerous trend

"But with the stock market being non-functional as a source of long-term investment, the commercial banks, which depend on deposits of the short-term investors, are now bearing the full risk of undertaking financing long-term investment," he added.

"Now we see a dangerous element in our financial system - the concept known as mismatch of maturity - where you are using short-term deposits for financing long-term investment."

"This is the crisis which has been lingering for the last ten years, and which is likely to be carried over the next ten years, if it is not addressed properly," he cautioned.

Mr. Sobhan's views were echoed by President of Metropolitan Chamber of Commerce and Industry, Dhaka (MCCI) Nihad Kabir. She observed that a dysfunctional capital market and uncertainty in the financial sector are hampering the private investment.

"New good companies don't want to come to the capital market. We do not see anything there to make it an effective source of capital." "There is a significant regulatory failure there," she added.

Focusing on the banking sector, Ms. Kabir said, "There has been a sharp decline in the growth rate of deposit in the banking sector from 19.4 per cent in the fiscal year (FY) 2012 to 9.5 per cent in September 2017, while it is currently around 10 per cent."

"This sort of deposit growth rate cannot sustain a private sector growth rate of 16 to 20 per cent."

"Interest rate, on the other hand, hovered in between single-digit and 16 per cent within the span of two months. This sort of uncertainty does not enable the private sector to work with any sort of efficiency," she noted.

Income inequality factor

Former Commerce Minister Amir Khasru Mahmud Chowdhury, in his speech, opined that the budget has failed to address the growing income inequality in the country. "At least five per cent people of the country have accumulated unlimited amount of wealth in the last few years."

"They have even invested heavily in the property market abroad. Bangladeshis are now (one of the) large contenders in the property market of London and Dubai."

"The government needs to identify them and impose tax on their foreign properties," he added.

"The banks have been looted in such a way that those banks are now short of deposits. Billions of taka have also been looted in the name of mega projects."

Mr. Chowdhury also called for abolishing the Banking Division and providing enough autonomy to the central bank, so that it can operate without any interference.

"The Banking Division should be abolished, and the central bank should be empowered to do its job independently," he opined.

Reforms urgently needed

Planning Minister A H M Mustafa Kamal, who attended the programme as the chief guest, opined that the banking sector and the National Board of Revenue (NBR) are in need of urgent reforms.

"We have to reform the banking sector, and we have to strengthen the central bank."

"We will reward those who are good bankers and will punish those who are at fault."

"It will take only two months to resolve the problems and bring necessary discipline in the banking arena," Mr. Kamal observed.

"We will also reform the NBR to bolster our revenue generation capacity."

Noting that the tax rate in Bangladesh is higher than many other countries of the Asian region, the planning minister said, "We need to lower the corporate tax rate to bring more investment and make the country more attractive for business."

"We also have to expand our tax net to bring more people under it," he added.
State Minister for Finance and Planning M A Mannan also spoke on the occasion.

  • Courtesy: The Financial Express/ June 25, 2018

Save us from the menace of road crashes

A torpid administration wrapped in inertia

ACCIDENTS on the highways have become so random that the resultant deaths and injuries have become a fait accompli for the passengers and their close family members. Repetitive occurrences indicate the crass disregard of transport owners, drivers and of course the administration for the safety of the passengers or of others who are using the roads. To think that 52 people were killed and around 150 injured in one day alone, on June 23, beggars belief. The two major accidents, which cost 24 lives, were the result of reckless driving. One of the buses involved did not have a fitness certificate.    

We had warned before the start of the Eid holidays that the administration must take extra safety measures, particularly for the return journey. Because, added to the shortage of transports and everyone rushing to their respective workplaces on the very last day, are the inclement weather and the propensity of the owners and drivers to make as many round trips as possible a proclivity compelled by sheer profit motive. Consequently, caution is thrown to the wind, because for them, nothing but money matters. And absence of police supervision allows unauthorised vehicles like nasimons and karimons to move with impunity on the highways in large numbers. 

The highest death toll in one single day during Eid holidays was 46 in 2015, and last year, the 13 days of Eid holidays cost 174 lives. Regrettably, these horrendous statistics could not compel the authorities to go into why these crashes had occurred and what could be done to rectify the errors.

Money is not an adequate recompense for the lives lost or the injured, many of them permanently. Unless the chances of road accidents are reduced, the hazard will continue to take lives in increasing number every day. This is an epidemic, and the relevant authorities must wake up from slumber and address it as such.

  • Courtesy: The Daly Star /Editorial /June 25, 2018

Probe killing of Akram properly

NHRC chief urges govt after visiting the slain councillor's house in Cox's Bazar


National Human Rights Commission (NHRC) Chairman Kazi Reazul Hoque yesterday reiterated demands for proper investigation into the killing of Teknaf's ward councillor Akramul Haque, after visiting the councillor's residence at Kaubkhali, Teknaf upazila, at around 2:30pm, our Cox's Bazar correspondent reports.

“I have heard the audio clips which are thought to be linked to the murder of Akramul,” Reazul told the media, after wrapping up his visit. “The commission has already urged the government to investigate the incident properly and now I want to reiterate our call.”

During his half-hour long visit, the national rights body chief talked to Akramul's 80-year-old mother Hafeza Begum, who stressed that her son had never been involved in the drug trade.

Teknaf poura councillor Akramul Haque was killed in what Rab claimed was a gunfight between the elite force and drug dealers in Cox's Bazar on May 27.

Akram's wife, Ayesha Begum, however, alleged at a press conference at Cox's Bazar Press Club on May 31 that her husband was murdered in cold blood.

In support of her claim, she gave journalists four unverified audio clips of chilling conversations between her and her husband just before the killing.

The Rapid Action Battalion refuted the allegation.

However, the audio recording caught the nation by storm and the councillor's death during the state-sponsored drive against drugs raised some serious questions. Human rights defenders and activists decried the incident as hard proof of extrajudicial killing and demanded proper investigation into the death.

Regarding the alarmingly high death toll in the anti-narcotics drive, already at 160 and climbing regularly, the NHRC chairman said, “We want a drive against narcotics, but we are against any extra-judicial killing.”

He said the commission was drafting a guideline on conducting drives for the law enforcers, adding they would hand it over upon completion.

Akramul's wife Ayesha, who is now in Chittagong, said she was not informed about the NHRC chairman's visit. Talking to The Daily Star over phone, she said she had been living with her two daughters at a rented house in Chittagong.

“There is no one to look after us. My family was dependent on my husband. Where will I now go with my two daughters?” Ayesha said. She said they were supposed to get calls from the high-ups of the government after Eid-ul-Fitr, but no one had communicated with her yet.

Claiming that her husband was innocent, Ayesha said, “He was devoted to Jubo League and Chhatra League. What benefit did we get from being loyal to Awami league?”

Ayesha added that her two daughters Tahiyat and Nahiyan were traumatised and being treated by doctors in Chittagong, who recommended professional counselling for them.“They are traumatised. They still cry for their father. I am so worried,” she said.

Ayesha said her husband had never been involved in the yaba trade and claimed “those who are involved, are not held.” Thanking the media for its role, Ayesha told The Daily Star, “You [journalists] wrote and people have read. They [people] have already done half the justice for my husband.”

On June 3, Home Minister Asaduzzaman Khan said officials were looking into the audio clips provided by Akram's wife to reporters. A team led by a magistrate was looking into it, he added. Rab also formed a probe committee to investigate the matter.

Though Teknaf Awami League raised their voice over the killing, an emergency meeting to discuss the matter was cancelled after instructions from AL high-ups in Dhaka, who feared that the government's image might be tainted if Akram's killings and local AL MP Abdur Rahman Bodi's role, among others, in it were discussed in the meeting.

The AL high-ups instead assured the Teknaf upazila AL leaders that they would be called to Dhaka to discuss the killing with the prime minister after her return from Canada on June 12.

But no initiative has been taken so far in this regard, leaders of Teknaf upazila AL said.

  • Courtesy: The Daily Star /June 25, 2018

Default loans pile up in new banks

The amount trebles in one year


AKM Zamir Uddin


Default loans at nine new private banks more than trebled to Tk 1,761 crore in the first quarter of 2018 from the same period a year ago mainly because of illicit lending practices, according to Bangladesh Bank data.

The banks are Meghna, Midland, Modhumoti, NRB, NRB Commercial, NRB Global, Farmers, South Bangla Agriculture and Commerce, and Union.

The central bank's investigation found that a sharp increase in the non-performing loans of the banks, which got licences in 2013 on political consideration, was the consequence of loan-related scams and corruption.

When the licences were offered many experts had warned that the financial health of the new banks would deteriorate in the coming years, said AB Mirza Azizul Islam, a former adviser to the caretaker government.

“Finance Minister AMA Muhith publicly said that issuing new licences was a political decision of the government. But we had opposed the decision at that time,” he said.

Most of the directors and chairmen of the nine banks are directly involved in politics.

The large amount of default loans is a reflection of poor corporate governance at the fourth-generation banks, said Islam, also a former chairman of the Bangladesh Securities and Exchange Commission.

The banks have also disbursed huge loans to politically influential individuals and much of these loans turned sour, he added. The central bank has recently restructured the board and the management of two new banks Farmers and NRB Commercial for their deteriorating financial health.

The BB also removed the managing directors of the two banks and forced some directors to resign in order to establish corporate governance.

Farmers Bank lent more than Tk 3,000 crore violating banking norms and the previous board was directly involved in the irregularities, according to a central bank probe report.

The amount of classified loans in the bank stood at Tk 968 crore as of March, which accounted for 18.73 percent of its total outstanding loans, BB data showed.

Md Ehsan Khasru, managing director of Farmers Bank, told The Daily Star that default loans in the bank would increase slightly in the coming months as it has recently introduced a 'transparent method' to find out the asset quality.

“But 80 percent of the classified loans will be recovered soon as we have rolled out a recovery programme,” he said. NPLs in NRB Commercial Bank rose to Tk 206 crore as of March, up from Tk 73 crore a year earlier.

Khondoker Rashed Maqsood, managing director of NRB Commercial Bank, declined to comment.

Salehuddin Ahmed, a former governor of the BB, said the nine banks had not taken strong measures to recover the default loans. As a result, it is sending out wrong signals to the clients of the banks.

He said, “People continue to lose confidence in the banking sector because of the poor performance of the fourth-generation banks.”

  • Courtesy: The Daily Star Business/ June 25, 2018

Sunday, June 24, 2018

হারাচ্ছে প্রবৃদ্ধি, হারাচ্ছে একটা প্রজন্ম


—  রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর



দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে না। ফলে একটা প্রজন্মকে আমরা হারাতে বসেছি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট কর্মোপযোগী মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৯১ লাখ। এর মধ্যে কর্মে নিয়োজিত ৬ কোটি ৮ লাখ মানুষ। বাকি ৪ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ না আছে শিক্ষায়, না প্রশিক্ষণে, না কাজে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, দেশে প্রকৃত বেকার মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ৪৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। তদুপরি, যারা কর্মে নিয়োজিত, তাদের মধ্যে খণ্ডকালীন বেকারের সংখ্যা ১৪ লাখ ৬৫ হাজার। এরা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করে। আবার কাজে নিয়োজিতদের প্রায় ৮৫ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, দেশে শিক্ষিত যুবকদের শতকরা ৪৭ ভাগ বেকার। বোঝা যায়, কথিত উন্নয়ন জোয়ারের ছোঁয়া থেকে ব্যাপকসংখ্যক শিক্ষিত যুবকেরা বঞ্চিত। এসব যুবক হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

বেকার সমস্যার সবচেয়ে বড় শিকার ১৫-২৯ বছর বয়সী যুবকেরা। বর্তমানে ১৫-৬৫ বছরের কর্মক্ষম জনশক্তির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। যদি তা যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায়, এই পরিমাণ কর্মক্ষম জনশক্তি যেকোনো দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এক বিরাট সম্পদ। একে জনমিতিক লভ্যাংশ (Demographic Dividend) বলা হয় এবং প্রতিনিয়ত আমরা এ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

জিডিপি ও কর্মসংস্থানে শিল্প খাতের তথা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের অবদান বাড়লে অর্থনৈতিক বিকাশের ধারা সুসংহত হয়। কিন্তু কর্মসংস্থানে শিল্প খাতের অবদান আশানুরূপ নয়। ২০১০ সালে শিল্প খাতে কর্মসংস্থানের অবদান ছিল ২৩.৩ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ২০.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। শ্রমবাজারে পর্যাপ্ত জনশক্তির উপস্থিতি থাকলেও নতুন শিল্পে অটোমেশন এবং উন্নত প্রযুক্তি প্রবর্তনের ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী শিল্প খাতে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। অধিকাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। না আছে উপযুক্ত মজুরি, না আছে অধিকার। অগ্রযাত্রা নিয়ে কথা বলা হলেও অগ্রযাত্রার মৌল সূচক শোভন কর্মসংস্থান নিয়ে কথা নেই।

একদিকে মূল্যস্ফীতি ঘটছে, অন্যদিকে মজুরি কমছে। পরিসংখ্যান ব্যুরো সম্প্রতি কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের কর্মীদের প্রকৃত আয়ের সূচক প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের মজুরি ২০১০-১১ থেকে ২০১৪-১৫ সময়ে বেড়েছে ২৪.৭ শতাংশ। কিন্তু এ সময়ে ভোক্তামূল্য সূচক বেড়েছে ৩২.৬ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১০-১১-এর তুলনায় শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমেছে ৭.৯ শতাংশ। এ থেকে প্রতীয়মান যে উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার দাবি করা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ তাদের আয়-বৃদ্ধি থেকে শুধু বঞ্চিত হয়নি, বরং তাদের আয়ও হারিয়ে যাচ্ছে।

দারিদ্র্য

এবারের বাজেটে বরাদ্দ কমেছে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে। জনগণকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ দেশে কমপক্ষে একটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন রয়েছে মোট জনসংখ্যার ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ায় এ হার ৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হারে মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আছে।

দেশে দারিদ্র্যের হার কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে দারিদ্র্য কমার সেই হারও কমে গেছে। বিবিএস বলছে, ২০০০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। পরের পাঁচ বছরে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ হারে কমে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর ২০১০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ৩১ শতাংশ। ২০০৫ থেকে ২০১০ সময়ে প্রতিবছর গড়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমেছে। এরপরের ছয় বছর অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দারিদ্র্য কমেছে গড়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে। এ ছাড়া দারিদ্র্যের হার কমার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য প্রকট। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপমতে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৪ শতাংশ। কুড়িগ্রামে ৬৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ এবং লালমনিরহাটে সাড়ে ৩৪ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশ হয়েছে।

সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২২ নম্বর ধারায় সমাজের প্রতিটি সদস্যের সামাজিক নিরাপত্তার অধিকারের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: (১) সামাজিক বিমা তথা পেনশন, কর্মক্ষমতার (অভাবহীনতা বা প্রতিবন্ধীদের) জন্য ভাতা-সুবিধা প্রদান, বেকার ভাতা এবং (২) মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা যেমন খাদ্য, বস্ত্র, আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা প্রদান।

সর্বশেষ খানাভিত্তিক আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, ২০১০ সালের জনসংখ্যার শতকরা ৮৪ ভাগের আয় দৈনিক দুই মার্কিন ডলারের নিচে ছিল (যা দারিদ্র্যসীমা নিরূপণের মাপকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়)। অতএব বলা যায়, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ হয় দরিদ্র অথবা তাঁরা অত্যন্ত কষ্টকর জীবনযাপন, কিংবা তাঁরা দরিদ্র হওয়ার মতো ঝুঁকিতে বসবাস করছেন। এ জন্য একটি সুপরিকল্পিত ‘সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা’ চালু করা অপরিহার্য।

বাংলাদেশে জনমিতির ক্রমপরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে বয়স্ক জনসংখ্যার হার বাড়ছে। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮ ভাগ বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব। জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে এ সংখ্যা দাঁড়াবে যথাক্রমে মোট জনসংখ্যার শতকরা ১৪ ও ২৫ ভাগ। সরকারি খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পেনশন-ব্যবস্থা চালু আছে। অল্পসংখ্যক বৃদ্ধ ও বিধবাদের মাসিক যৎসামান্য ভাতা দেওয়া হয়। সর্বজনীন পেনশন প্রবর্তনের কথা এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার বলা হলো। চালু যে কবে হবে?

আয়বৈষম্য

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই সমানভাবে পাচ্ছে না। ফলে দিন দিন আয়বৈষম্য বাড়ছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০১৬ বলছে, দেশের সব মানুষের যত আয়, এর মাত্র ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ আয় করেন সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষ। ছয় বছর আগেও মোট আয়ের ২ শতাংশ এই শ্রেণির মানুষের দখলে ছিল। অন্যদিকে সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের আয় বেড়ে মোট আয়ের ৩৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। ছয় বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মালিক ওপরের দিকে থাকা ৩০ শতাংশ মানুষ। এই ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্যের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জিনি সূচকে। আয়বৈষম্য নির্দেশক জিনি সূচক ২০০০ সালের দশমিক ৪৫১ থেকে ২০১৬ সালে দশমিক ৪৮৩ হয়েছে। এর সঙ্গে সম্পদবৈষম্য যুক্ত হয়েছে।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের জন্য এখন প্রয়োজন প্রাজ্ঞ নীতিমালা। কাঠামোগত বাধা অতিক্রমের জন্য স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কৌশল গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন জরুরি হওয়া সত্ত্বেও অনুপস্থিত। বর্তমান সরকারের গৃহীত যৎসামান্য আর্থিক পদক্ষেপসমূহ প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়াতে যথেষ্টভাবে কার্যকর নয়।

এসব ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ও সংস্কার ছাড়া অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। দেশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ অনুপস্থিত বিধায় নারী-পুরুষ, স্থানিক আয়বৈষম্য বাড়ছে, যার ফলে বেকারত্বও বাড়ছে।


  • ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারপারসন, উন্নয়ন অন্বেষণ। 


  • কার্টসি —   prothomalo.com/ জুন ১৪, ২০১৮। 
  • লিঙ্ক —  https://bit.ly/2MtGU2X 

হাসান উদ্দিন সরকারের ১৯ দফা নির্বাচনী ইশতিহার



গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২০দলীয় জোট প্রার্থী শিক্ষাবন্ধুখ্যাত হাসান উদ্দিন সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার, মে ৩, ২০১৮, সকাল ১০টায় নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষণা করেছেন। ইশতিহার ঘোষণাকালে তিনি বলেন, একটি রাস্তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই গুরুত্ব বিবেচনা করেই আমি গাজীপুরে প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলাম। রাষ্ট্রায়ত্ত কলকারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশুনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলাম।

তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের সকল পর্যায়েই আমি শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর শিক্ষক হচ্ছেন শিক্ষার মেরুদণ্ড। তাই শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় সম্পৃক্ত করে উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করবো। ভোকেশনাল, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ করে বেকার সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতিম ও দুঃস্থ, গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে স্বল্প আয়ের মানুষের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করবো। নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সমাজ উন্নয়নে সম্পৃক্ত করবো। প্রত্যেক এলাকায় গণপাঠাগার স্থাপন করা হবে।

২০ দলীয় ঐক্যজোট এর ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বাবুল আহমেদ, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, ওলামাদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পীরজাদা রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা শাফিন, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সবুজ, মাহবুবুল অঅলম শুক্কুর, সৈয়দ হাসান সোহেল জুন্নরাইন, হুমায়ুন কবির রাজু, আবুস সালাম, প্রভাষক বসির উদ্দিন , মো আবুল হোসেন, মো, আইয়ুব আলী, ইসমাইল শিকদার বসু, জেলা হেফাজতের যুগ্ন সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো খায়রুল হাসান, সাংগঠনিক সেক্রেটরি মো আফজাল হোসাইন, মনিরুজ্জামান খান লাবলু, রাশেদুল ইসলাম কিরণ, অভিনেতা ডন, খালেকুজ্জামান বাবলু, আব্দুর রহিম খান কালা, জিয়াউল হাসান স্বপন, আতিকুর রহমান আতিক, জমির উদ্দিন।

তার নির্বাচনী ইশতিহার নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো — 

অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, ভূলুণ্ঠিত মানবাধিকার এবং  নৈমিত্তিক গুম-খুন-হত্যা-ধর্ষণে জর্জরিত দেশ ও জাতির এক চরম ক্রান্তিলগ্নে এবারের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তবুও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবেই আমরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কালের পরিক্রমায় ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত গাজীপুর আজ রূপান্তরিত হয়েছে শিল্প নগরীতে, বেড়েছে জনসংখ্যা। বর্তমানে দেশের প্রায় সবকয়টি জেলার লোকই গাজীপুরে বসবাস করে। গাজীপুরের জনসংখ্যা যেভাবে বেড়েছে সেভাবে কিন্তু নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। অপর্যাপ্ত নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিয়েই টঙ্গী ও গাজীপুর এই দুইটি পৌরসভা এবং গাছা, পূবাইল, বাসন, কাউলতিয়া, কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এই ছয়টি ইউনিয়ন মিলে গঠিত হয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। আপনারা জানেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আমাদের প্রিয় নেতা সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানকে গাজীপুর মহানগরবাসী বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, জনরায়কে অসম্মান করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন মেয়রকে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারা অন্তরালে রাখা হয়েছিল। ফলে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে গাজীপুরবাসী।

আপনাদের নিশ্চয় স্মরণে রয়েছে যে, টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়েই আমি দুইবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পৌরবাসীর সহযোগিতা নিয়েই আমি টঙ্গী পৌরসভাকে দেশের অন্যতম সেরা একটি পৌরসভায় পরিণত করতে পেরেছিলাম। পরবর্তীকালে গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। দীর্ঘদিনের অর্জিত এসব অভিজ্ঞতা আমি সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। ‘নগর পিতা’ নয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন কর্মী হয়ে নাগরিকদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই।

মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান গাজীপুর থেকেই শুরু হয়েছিল হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ। সরাসরি সেই প্রতিরোধ আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব প্রদান করার কারণে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান ও গর্বিত মনে করি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক ও এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসন্ন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমার ১৯ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছি।

১। মাস্টার প্লান প্রণয়ন
২। নগরভবন নির্মাণ
৩। সেবা দানকারী অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয়
৪। দুর্নীতি দূরীকরণ ও স্বচ্ছতা
৫। শিক্ষা
৬। স্বাস্থ্য সেবা ও নিরাপদ খাদ্য
৭। আবাসন ব্যবস্থা
৮। নিরাপত্তা
৯। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন
১০। যানজট নিরসন ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ১১। নগরীর পরিচ্ছন্নতা
১২। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
১৩। সবুজ ও পরিবেশ বান্ধব নগরায়ন
১৪। জলাবদ্ধতা দূরীকরণ
১৫। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ
১৬। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ
১৭। ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিনোদন
১৮। নাগরিক সেবা আধুনিকীকরণ 
১৯। অন্যান্য কর্মসূচি। 

সুপ্রিয় নগরবাসী,

আপনাদের বিবেক, বিবেচনা এবং সহানুভূতির প্রতি বিএনপি তথা ২০ দলীয় ঐক্য জোটের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আশা করি আগামী ২৬শে জুনের নির্বাচনে ধানের শীষে আপনাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জনগণের সেবা করার সুযোগ প্রদান করবেন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।