Search

Thursday, August 9, 2018

বাংলাদেশে গঠনমূলক সমালোচনা অনুপস্থিত

টাইমস অব ইন্ডিয়ার নিবন্ধ


বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার। তারা জনগণের স্বার্থে মাঠে নেমেছে। এটা বিস্ময়কর। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কিছু উদ্বেগজনক খবর পাওয়া গেছে। ঢাকার বিভিন্ন  জায়গায় পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে।

এ ধরনের বৈরী আচরণ দুঃখজনক। কেননা, কয়েকটি ভাঙচুরের ঘটনা ছাড়া শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ করছিল। এমনকি তারা গাড়িচালকদের লাইসেন্স ও ফিটনেস পেপার যাচাই করে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছিল। শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচলের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। খবরে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। ঢাকার কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলে তারাও হামলার শিকার হয়। অথচ পুলিশ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করেছে। বলেছে, তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবি বিবেচনা করছে। এছাড়া সম্প্রতি সরকার বেপরোয়া বা অসতর্কতামূলক গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু বা গুরুতর আহত করার দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার বিধান রেখে খসড়া সড়ক পরিবহন আইন প্রস্তাব করেছে। 

তবে বেপরোয়া ও অসতর্ক গাড়ি চালনার কারণে কারো মৃত্যু ঘটলে ওই চালকের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়তে রাজি না। কিন্তু এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, সরকার ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এটা সত্য যে, কোনো নেতৃত্ব ছাড়াই এ আন্দোলন গড়ে উঠেছে। কিন্তু নির্বাচনের বছরে এমন আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বেশ সতর্ক রয়েছে। মূলত এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার আন্দোলন নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে। বলপ্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনার ঘটনা থেকে এটা বোঝা যায়। 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাংলাদেশে এক ধরনের রাজনৈতিক শূন্যতা ফুটে উঠেছে। বর্তমানে সেখানে গঠনমূলক সমালোচনা অনুপস্থিত। যখন এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন জনসম্পৃক্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজের মানুষের চেপে রাখা আকাঙ্ক্ষা ও দাবির বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া, দেশের নির্বাচনে পরাজিত দলের ফল মেনে না নেয়া ও সংসদে হাজির না হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনেই অংশ নেয়নি। এতে আওয়ামী লীগ অনায়াসে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজনৈতিক ইতিহাস থেকেই বর্তমান  পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থায় টিকে থাকা কঠিন। বাংলাদেশকে অতীতের বিষয় নিয়ে রেষারেষি বন্ধ করে ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ভূমিকার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তখনই তারা পুরো বাংলাদেশি সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। অন্যথায় বাংলাদেশে জনসম্পৃক্ত আন্দোলন হতেই থাকবে। এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বে এসব আন্দোলনে বহিঃশক্তির ইন্ধন থাকতেই পারে। তাই বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যা মেনে নিয়ে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলে এবং পরবর্তী নির্বাচনে সকল বৈধ দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেই ভালো হবে। 

(টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধের অনুবাদ। নিবন্ধটি লিখেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি পত্রিকাটির সহকারী সম্পাদক।) 
কার্টসিঃ মানবজমিন/আগস্ট ৯,২০১৮  

শহিদুলের মুক্তি দাবি চার শতাধিক ভারতীয় শিল্পী-আলোকচিত্রীর


আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের নিঃশর্ত ও সম্মানজনক মুক্তি দাবি করেছেন ভারতের চার শতাধিক শিল্পী ও আলোকচিত্রী। তারা শহিদুল আলমের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আমরা ভারতীয় ফটোগ্রাফার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিল্পীগোষ্ঠী শহিদুল আলমের গ্রেপ্তার নিয়ে চিন্তিত ও ক্ষুব্ধ। এতে তারা শহিদুল আলমকে নিজের সহকর্মী, বন্ধু ও অভিভাবক অভিহিত করে বলেন, তাকে অকারণে ও বিধিবহির্ভূতভাবে আইসিটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে তুলে ধরে শহিদুল আলম কোনো ভুল করেননি। এসময় তারা সড়কে অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশে অনেক অপ্রত্যাশিত মৃত্যু হয় জানিয়ে চলমান ছাত্র আন্দোলনকে যুক্তিসঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ দাবি করেছেন। তারা বলেন, সরকারের যেকোনো পদক্ষেপের সঙ্গে একমত না হওয়া ও তার সমালোচনা করা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এ জন্য যদি শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে বুঝতে হবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, শহিদুল আলম তার ওপরে শারীরিক নির্যাতনের যে দাবি করেছেন তা নিয়ে ভারতীয় এই শিল্পীগোষ্ঠী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে ৪৩৮ জন স্বাক্ষর করেছেন।

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/আগস্ট ৯,২০১৮  

Wednesday, August 8, 2018

পাঁচ বছরে ঋণ পুনঃতফসিল ৮৪ হাজার কোটি টাকা

২০১৬ সালে দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছিল ১৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। সেখান থেকে প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়ে গত বছর এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ হাজার ১২০ কোটি টাকায়। সব মিলিয়ে গত বছর মোট ঋণের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ পুনঃতফসিল করতে বাধ্য হয়েছে ব্যাংকগুলো। এভাবে গত পাঁচ বছরে মোট ৮৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ঋণ পুনঃতফসিলের পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার জারি হয় ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সময়ে আরো দুই দফায় সার্কুলার জারি করে ওই নীতিমালার কিছু শর্ত শিথিল করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নীতিমালার সুবিধা নিয়ে ২০১২ সালে মোট ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করে ব্যাংকগুলো। এর পরের বছর থেকে ব্যাংকগুলোর ঋণ পুনঃতফসিলের গতি বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। ২০১৩ সালে ১৮ হাজার ২০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ পেয়েছিলেন খেলাপি গ্রাহকরা। এরপর ২০১৪ সালে ১২ হাজার ৩৫০ কোটি ও ২০১৫ সালে ১৯ হাজার ১৪০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। ২০১৬ সালে ১৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করার পর গত বছর আরো ২৪ শতাংশ বেড়ে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ হাজার ১২০ কোটি টাকায়। সব মিলিয়ে শুধু গত পাঁচ বছরেই ব্যাংকগুলো থেকে ৮৪ হাজার ৫০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েছেন খেলাপি গ্রাহকরা। নির্বাচনী বছর হওয়ায় চলতি বছর দেশের ব্যাংকিং খাতে ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকাররা বলছেন, গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়ের স্বার্থেই ঋণ পুনঃতফসিল করতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে চাপের মুখে প্রভাবশালী গ্রাহকদের পুনঃতফসিল সুবিধা দিতে বাধ্য হচ্ছে ব্যাংক। এমনকি একই গ্রাহকের কোনো কোনো ঋণ ১০ বারও পুনঃতফসিল করতে হয়েছে। এর পরও এসব গ্রাহকের কাছ থেকে ব্যাংকের টাকা আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য হলো, বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও প্রভাবশালী কিছু গ্রাহককে অনৈতিক সুবিধা দিতে গিয়েই ব্যাংকগুলো ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধার অপব্যবহার করছে। বছরের পর বছর ধরে একই গ্রাহককে নানা ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

ব্যালান্সশিটে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে গিয়েই ব্যাংকগুলো ঢালাওভাবে বড় কিছু গ্রাহককে ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দিচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঘাটতির কারণে বিশৃঙ্খলা চলছে। এ সুযোগে অসৎ ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা জনগণের আমানতের অর্থ তছরুপ করছেন। ঋণের নামে ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এর দায় এসে পড়ছে সৎ ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, আমানতকারীসহ সাধারণ মানুষের ওপর।

তিনি বলেন, নানা কারণে ব্যাংকগুলো কিছু গ্রাহককে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। সে ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ায় ব্যাংক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এখন ঝুঁকি কমাতে গিয়ে ওই গ্রাহকদের বারবার পুনঃতফসিল সুবিধা দিতে বাধ্য হচ্ছে। ভালো গ্রাহকরা ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। আর খারাপ গ্রাহকরা এটিকে অর্থ আত্মসাতের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। ঢালাওভাবে পুনঃতফসিল সুবিধা না দিয়ে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব হবে অর্থ আদায়ে মনোযোগী হওয়া। বড় ঋণ থেকে বেরিয়ে এসএমই, কৃষিসহ উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগ বাড়ালে ব্যাংক ঝুঁকিমুক্ত হবে।

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঋণ পুনঃতফসিল করার বিষয়টি ব্যাংকিং খাতের নতুন কোনো ধারণা নয়। তবে ঢালাওভাবে এ সুবিধা দেয়ার পক্ষপাতী আমি নই। ব্যাংকের ব্যালান্সশিট পরিচ্ছন্ন রাখতে অনেক সময় ঋণ পুনঃতফসিল করতে হয়। তবে ক্যাশ ফ্লো দেখে তবেই গ্রাহকদের ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দেয়া উচিত। অন্যথায় একই সুবিধা বারবার দিয়েও গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাংকের অর্থ আদায় সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে পুনঃতফসিলকৃত ঋণের ৫৩ দশমিক ১ শতাংশই দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর। ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ ঋণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পুনঃতফসিল করেছে। এক্ষেত্রে সরকারি বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবদান ৪ দশমিক ১ শতাংশ। যদিও বিদেশী ব্যাংকগুলো ১ শতাংশেরও কম ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দিয়েছে।

তবে কোন শ্রেণীর ব্যাংকঋণের কত শতাংশ পুনঃতফসিল করেছে, এমন পরিসংখ্যানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ২০১৭ সালে এ ব্যাংকগুলো ঋণের ২৩ দশমিক ২ শতাংশই পুনঃতফসিল করতে বাধ্য হয়েছে। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এ হার ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। বেসরকারি ৪০টি ব্যাংক বিতরণকৃত ঋণের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ পুনঃতফসিল করেছে। যদিও বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ।

২০১৭ সালে ঋণ পুনঃতফসিলকৃত ঋণের অর্ধেকের বেশি বা ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশই করেছে মাত্র পাঁচটি ব্যাংক। এ তালিকায় নাম রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি ও বেসরকারি দুটি ব্যাংকের। একইভাবে পুনঃতফসিল করা ঋণের ৭০ দশমিক ৬ শতাংশই মাত্র ১০টি ব্যাংকের। এ তালিকায় রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের পাশাপাশি নাম রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের।

বিশেষ শ্রেণীর গ্রাহকের ঋণ প্রতি বছর পুনঃতফসিল করা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলছেন, নীতিমালায় কোনো ঋণ সর্বোচ্চ তিন দফায় পুনঃতফসিলের কথা উল্লেখ থাকলেও ১০-১৫ বারও এ সুবিধা পাচ্ছেন কোনো কোনো গ্রাহক। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আবদার ও প্রভাবশালীদের চাপের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক নতি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও চায় দেশে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে থাকুক। এজন্য বছরের শেষের দিকে বাছবিচার ছাড়াই ঋণ পুনঃতফসিল আবেদনের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতে ঋণের ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর বাইরে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অবলোপন করে ব্যালান্সশিট থেকে বাদ দিয়েছে ব্যাংকগুলো।

 কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ আগস্ট ৮,২০১৮

দিনে লাখ টাকা ‘চাঁদা আদায়’


মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর ঘিরে ফুটপাতে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই হাজার হকার বসেন। এতে পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসা করার জন্য প্রতিদিন তাঁদের ৫০-১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।

মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩, ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। এর মধ্যে পদচারী-সেতুর দক্ষিণ পাশের পুরোটাই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

গত রোববার গোলচত্বর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতজুড়ে নানা ধরনের স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে ফল, মুঠোফোনের সরঞ্জাম, কাপড়চোপড়, মানিব্যাগ, বেল্ট, প্রসাধনসামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ফুটপাতে পুরোনো বই, পত্রিকা, কাপড়, চা ও খাবারের স্থায়ী দোকানও আছে। কোনো কোনো জায়গায় প্রায় পুরো ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটপাতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিটি দোকান থেকে লাইনম্যানরা ব্যবসার ধরনের ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলেন। দিন শেষে সে টাকার পরিমাণ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সে টাকা স্থানীয় পুলিশ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়। ছয়জন লাইনম্যান টাকা তোলেন। তবে ব্যবসায়ীরা লাইনম্যানদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

শাহ আলী প্লাজার সামনে মুঠোফোনের সরঞ্জামাদির একজন বিক্রেতা বলেন, ‘রাস্তায় ব্যবসা করতে হলে সবাইকে খুশি রাখতে হয়। এরপরও মাঝেমধ্যে পুলিশ ঝামেলা করে।’

ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের ছবি তোলার সময় এই প্রতিবেদককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন একজন ফল বিক্রেতা। তিনি মুঠোফোন থেকে ছবি মুছে দিতে বলেন। নাম জানতে চাইলে তিনি সেখান থেকে সরে যান।

এদিকে ফুটপাতজুড়ে দোকান বসানোর কারণে পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান মিরপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ফুটপাতজুড়ে সারি সারি দোকান। হাঁটাচলা করা যায় না। অনেক সময় বাসের জন্য মূল সড়কেই অপেক্ষা করতে হয়।

সেনপাড়া পর্বতার বাসিন্দা হারিচ মোল্লা বলেন, সকালে মেয়েকে কলেজে নিয়ে যাওয়ার সময় হাঁটার জন্য রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করতে হয়। এই বিড়ম্বনা এড়াতে অনেক শিক্ষার্থী মূল সড়ক দিয়ে হাঁটে।

গত রমজানে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন রশীদ ঈদের পরে তাঁর ওয়ার্ডের অংশের হকার উচ্ছেদ করা হবে বলে প্রথম আলোকে বলেছিলেন। কিন্তু এখনো উচ্ছেদ না হওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হকার উচ্ছেদের বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে করা যাবে না। এটা যৌথভাবে করতে হবে। যাতে উচ্ছেদের পরেই আবার না বসতে পারে।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোবাশ্বের চৌধুরী বলেন, মেয়র আনিসুল হকের সময় একবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদুল কবীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী চাঁদা তোলা ও টাকা ভাগাভাগির সঙ্গে জড়িত নন। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে কিছু করলে এর দায়ভার আমাদের নয়।’

ফুটপাতে অবৈধ ব্যবসায়ী উচ্ছেদের দায়িত্ব ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের। প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ফুটপাত সংস্কার বা অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখে উচ্ছেদ করা হয়। আপাতত মিরপুরের গোলচত্বরে উচ্ছেদের পরিকল্পনা নেই। কারণ, উচ্ছেদের পরের দিনই আবার দোকান বসে যায়।

কাফরুল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘থানার কে কী করে জানি না। তবে আমি ফুটপাতের হকার কেন, কারও কাছ থেকে টাকা নিই না। খুব স্বাভাবিক জীবন যাপন করি।’

অন্যদিকে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে বদলি হয়ে এই থানায় এসেছি। আসার পরেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি ছাত্র আন্দোলন নিয়ে। তবে অভিযোগের বিষয়টি আমি দেখব।’
  •  কার্টসিঃ প্রথম আলো/ আগস্ট ৮,২০১৮ 

Govt must get down to work, stop beating about the bush

Editorial


THE protests of the school and college students, who had taken to the streets for nine days on end till Monday demanding justice for the death of their fellows in a road accident in Dhaka on July 29, road safety and the cleansing of the road transport administration, ended, bringing to the fore the failures of the government and showing how to do the job that has not been done for decades because of corruption. But what the government has done, and is doing, surrounding the protests of the students reeks of a foul play on a few counts. 

The police, who stopped attacking the protesters after the first two days, got back into their usual self attacking the protesters on August 2 while the activists of the Chhatra League, the student wing of the ruling Awami League, attacked the students continuing with their peaceful protests and the journalists covering the protests in August 3–6. The attacks, by Chhatra League activists, in helmets or with their face wrapped around with pieces of cloth, brandishing arms and sharp weapons, left scores of protesters and about two dozen journalists wounded, a few of them grievously, in the very presence of law enforcers, who are reported to have aided the attackers.


The Editors’ Council has rightly condemned the attack on journalists, saying that such attacks are an affront to the freedom of expression and the media, as is guaranteed by the constitution. Democracy, which is one of the hard earned gains of the liberation war, would be, the council says, destroyed if the media are not allowed to function freely. The Awami League’s general secretary, at a news conference, meanwhile, on Monday, said that the party would take steps against any Chhatra League activists who would be found responsible for attacks on the student protesters and journalists. 

For that to happen, the complaints need to have evidence against Chhatra League activists proving them to be guilty. A group of young people, older than school and college students, attacked the protesters and journalists on three consecutive days and the police are reported to have either stood idle or helped the attackers. Many of the journalists wounded in the attacks had to be treated in hospital. Newspapers and electronic media have published photographs and video footage of the groups of young people attacking the protesters and journalists. 

Yet, the party’s general secretary now claims that they need evidence to act on the marauding Chhatra League activists. The police should find them out by examining the photographs and video footage and hold them to account. The police should, in any case, do this even if the attackers were, as the ruling party leaders claim, not from the Chhatra League. 

What the government has done, or is doing, in a situation like this, seems to be the manifestation of high-handedness and coercion. The government must stop resorting to such ploys to defuse the force that the protests of the students have showed the nation.

  • Courtesy: New Age/ Aug 8, 2018

Why are universities under attack?

EDITORIAL

Uphold the sanctity of the places of education


We deplore the heavy-handed police actions on Monday on the students of several private universities who were protesting against attacks on their peers. Why did police, supplemented by armed goons, fire rubber bullets and tear gas into campuses filled with students leaving scores injured? Can anyone not exercise his or her constitutional right to protest?

The students of several private universities were protesting inside or around their campuses. They clearly did not pose any threat to public safety. We understand the police were not called in by the authorities of those universities either. In fact, one university opened its gate for everyone under attack to take refuge. We, therefore, wonder why such heavy police presence was warranted in a sacrosanct place like a university campus in the first place. What's more disturbing is the fact that police, reportedly, had sought “assistance” from a pro-ruling party youth organisation to deal with the protests.

We believe the rights to protest and expression are an integral part of democracy. We cannot claim to be a democratic country when citizens are denied a minimum space for expressing their dissent. By handling almost every youth movement, regardless of its legitimacy and rationality, in a ham-fisted manner, the government runs the risk of alienating our young generation.

  • Courtesy: The Daily Star/ Aug 08, 2018

Road Transport Bill, 2018 falls short

EDITORIAL

Will not deter reckless driving


The cabinet has given final approval to the proposed Road Transport Bill, 2018. There are some good measures in the proposed act like minimum educational qualification (Grade 8) and minimum age (18 years) to get a professional driver license, and introduction of a 12-point system which would lead to ultimately cancellation of license for violation of law. But looked in totality, the proposed bill fails to meet the expectations of all the stakeholders.

The draft bill has drawn flak from road safety experts to activists for good reasons. Although maximum punishment for causing death due to reckless driving has been increased from three years to five, it falls far short of the 10 years that campaigners had been demanding. The rationale for fixing a five-year jail term defeats our comprehension. Similar or lesser offences than “death by reckless driving” carry greater punishment. 

For example, robbery on highways at night carries a maximum 14 years and defamation on social media a minimum of seven years—as if one's life is less important than one's reputation. Even the High Court's verdict in 2014, that seven years' jail term was “insufficient” for a driver causing death by reckless driving, has been ignored.

The purpose of a law and the punishment therein for breach of that is to make citizens' life comfortable and safe and deter transgression of the law. We are afraid the proposed law would fail to do that. By going easy on reckless driving, the whole purpose of introducing a strict regime will be defeated. We had been waiting for long for a law that would bring some semblance of order in the transport sector by imposing strictest punishment for death due to careless and irresponsible driving. The proposed road transport bill dismays us.

  • Courtesy: The Daily Star / Aug 08, 2018

Students sued, not attackers










Some students, arrested during Monday's clash between private university students and police, being produced before a Dhaka court in handcuffs yesterday. Such a treatment goes against the police regulations, which say the use of handcuffs or ropes is “often an unnecessary indignity”. Photo: Palash Khan

Leaving out the alleged ruling party men involved in attacks on road safety demonstrators and journalists, police have made students accused in cases filed over the last few days' violence in the capital.

The complainants in all the 29 cases filed with 16 police stations mentioned that the attackers were unknown students, many of whom were in school and college uniforms.

The case documents also state that some of the attackers were unidentified youths believed to be the infiltrators into the student movement sparked by the killing of two of their peers in a road crash on July 29.

This correspondent went through some of the case statements and talked to police officials in this regard. 










Anxious relatives throng Tejgaon Industrial Police Station to get other arrested students freed. Photo: Amran Hossain

Asked why they did not sue anyone belonging to the Awami League or its front organisations, a senior official of Dhaka Metropolitan Police, wishing anonymity, said, “Does any officer has the guts to file a case against ruling party activists unless a political decision comes to that end?”

Twenty-seven cases have been filed against several thousand unidentified students and youths for assaulting police, damaging government property and obstructing law enforcers from discharging duties.

Two other cases were filed by an AL leader for attacking the party president's office in Dhanmondi.

Alleged pro-AL men aided by police had pounced on demonstrators, prompting students to turn violent in some places including Jhigatola, Dhanmondi, Science Lab intersection, Uttara and Mirpur.

Many of them were in helmets and some carrying machetes. Some others were firing gunshots during running battles with the students.









A total of 22 private university students are placed on two-day remand by a Dhaka court on August 7, 2018 in two separate cases filed over vandalism and attacks on police. Photo: Palash Khan/Star

Besides, journalists covering the incidents and passersby were also beaten up.

Take the incident at Jhigatola on August 4.

Around 1:30pm, a group of pro-AL activists allegedly attacked some students who were checking papers and licences of vehicles in Jhigatola as part of their road safety campaign.

The students took the injured to nearby hospitals while some others informed it to their peers who were staging protests at Science Lab intersection.










A woman waits leaning against the boundary wall of Dhaka CMM court after her son, a North South University student arrested during Monday's clash with police, was produced before the court yesterday. Photo: Palash Khan

Several hundred students with brick chips picked from an under-construction building marched towards Jhigatola. They came under attack by armed men but retaliated by throwing stones.

They also threw brickbats at the AL president's office.

As a fierce battle ensued, at least 150 people including journalists and pedestrians were wounded. Rumours of death and sexual harassment had aggravated the situation.

Amid chase and counter chase, a red-shirted young man with helmet was seen brandishing a pistol and firing shots.

During the violence next day, ruling party men, mostly BCL activists, equipped with iron rods, sticks, machetes came out of the AL office. They caught several persons passing by and beat them up, thinking them to be protesters.

The first attack was carried out on August 2. It was on students in Mirpur by alleged ruling party men, many of whom had their faces covered or wore helmets.

The students were stopping vehicles to check license and registration papers in front of the Bangladesh Road Transport Authority office in the afternoon. The attack came after police tried to disperse them, witnessed said.

Over the incidents of violence, 29 cases have been filed under the Penal Code and 41 people, including 22 students of private universities, arrested.

Police also filed five cases under the ICT Act and arrested six, said Md Masudur Rahman, deputy commissioner (media) of DMP yesterday.

According to Home Minister Asaduzzaman Khan, at least 317 vehicles were vandalised and eight others were torched during the student protests that began after the July 29 crash.

Besides, a police official was attacked while brick chips were thrown at Rajarbagh Police Lines, Kafrul Police Station and some other police establishments, he told reporters earlier. 

After days of violence, normalcy returned in the city yesterday. There was no violence or road blockade in any university or elsewhere. The number of vehicles, particularly passenger buses, was relatively low on the streets.

Police freed 37 students, detained during the protests on Monday, and handed them over to parents yesterday.

Mohammad Rasheduzzaman, inspector (investigation) of Tejgaon Industrial Police Station, said, “We have released the students on bonds after guardians came to the police station for their release.”

Besides, Shahbagh police released three Dhaka University students nine hours after a group of BCL activists handed them over to the law enforcers amid demonstrations.

Early yesterday, some BCL men of Fazlul Huq Muslim Hall of DU beat up Tariqul Islam of mathematics department, Mashiur Rahman Sadik of ICT and Zobaidul Haque Rony of physics, alleging that the three spread rumours on Facebook.

Rony is an activist of Samajtantrik Chhatra Front while the two others appear to have no political affiliations.

BCL men called them to the dormitory's guestroom, quizzed them over their Facebook posts and beat them up before handing them over to police, students alleged.

22 STUDENTS REMANDED

A Dhaka court yesterday placed 22 private university students on a two-day remand in two separate cases filed over vandalism and attacks on police.

Dhaka Metropolitan Magistrate Abdullah Al Masud gave the order after officials of Badda and Bhatara police stations produced the arrestees before the court with seven days' remand prayer.

The arrestees are students of East West University, North South University, South East University and Brac University.

Their lawyers said in the court that the detainees were tortured in police custody. Some of the students were arrested while they were returning home after classes.

Police rejected the allegations.

Courtesy: The Daily Star /Aug 08, 2018

Shahidul Alam taken to BSMMU


Photographer Shahidul Alam was taken to Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSMMU) this morning following a High Court order.

He was shifted to BSMMU from police custody around 9:30am, sources in Dhaka Metropolitan Police said.

Yesterday, the HC directed the authorities concerned of the government and police to immediately send the detained photographer to BSMMU for his treatment.

In response to a writ petition filed by his wife Rahnuma Ahmed, the HC also ordered the BSMMU authorities to examine Shahidul's physical condition and submit a report before the court by 10:30am tomorrow.

Shahidul Alam was picked up by plainclothes men on Sunday night and was placed on a seven-day remand by a Dhaka court on Monday in a case filed against him under the controversial Section 57 of Information and Communication Technology (ICT) Act. He was also “tortured in police custody.”

The bench passed the order following the writ petition filed challenging a lower court order that placed Shahidul on remand in the case.

  • Courtesy: The Daily Star/ Aug 08, 2018

Record Boro yield, rice import fail to rein in rising prices

Market syndicates blamed


Rice prices rose steeply in the city market again despite an all-time high Boro yield and record import of the staple grain.

The price surge has left the consumers worried, who are already battered by the increasing prices of essentials, market experts said.

On Tuesday, Brridhan-28 was selling at Tk 55-Tk 57 a kg on the retail market while coarse varieties like swarna at Tk 46-Tk 50 a kg, registering a hike of Tk 4.0 in a week.

Fine quality rice like Miniket, jeerashail and najirshail saw an increase of Tk 5.0 per kg in seven days -- now selling at Tk 65-Tk 78 a kg.

The rice output in the just-concluded Boro season, according to the Bangladesh Bureau of Statistics, was an all-time high of 19.5 million tonnes, but it failed to have an impact on the rice market.

Also, the last financial year (FY '18) saw a record rice production -- 36.2 million tonnes.

The food ministry data revealed that rice import was also all-time high in the last financial year -- 4.1 million tonnes.

Traders attributed the price hike to persistent high paddy prices, rains and re-imposition of higher import duty on rice.

But experts see market syndicates behind the price surge.

Wholesale rice markets in the city -- Badamtoli, Babubazar and Mohammadpur Krishi Market -- saw a hike of Tk 2.0-Tk 2.5, trading sources said.

Mohammad Asadullah, joint secretary of Badamtoli-Babubazar Rice Wholesalers Association, told the FE that the rice prices have been on the uptrend at mill gates for the last ten days.

The price of one sack of Brridhan-28 (50 kgs) has increased by Tk100-Tk150 during the period, he said.

President of Bangladesh Auto Major Husking Mill Owners Association (BAMHMOA) Md Abdur Rashid said paddy are now selling at much higher rate.

The price of Brridhan-28 paddy is Tk 850-Tk 900 a maund (40 kg) and jeerashail Tk 1000-Tk 1050, he said.

Many traders and well-off farmers are now stockpiling paddy for further profits, causing a short supply of the grain to the market, he added.

Md Jikrul Hoque, managing director of Jikrul Auto Rice Mill in Nilphamari, said continual rains have hampered paddy-drying process, resulting in such a hike.

Contacted, Sarwar Alam Kajol, a Naogaon-based importer, said the import of the staple grain remained almost halted following the re-imposition of higher duty.

He said the import cost of Indian ratna (similar to Brridhan-28) now stands at Tk 48-Tk 50 a kg, compared to Tk 44-Tk 46 a kg at local mills.

Imports have now declined to just 900-950 tonnes a day, which was more than 10,000 tonnes a day before the re-imposition of duty, he said.

Consumers Association of Bangladesh (CAB) president Ghulam Rahman termed unusual the recent rice price hike against the backdrop of bumper Boro output.

He said CAB market reports showed milling cost of Brridhan-28 would not be more than Tk 40 a kg as per the trend in paddy prices, but the rice is being traded at Tk 55-57 a kg on the retail market in Dhaka.

Centre for Policy Dialogue (CPD) research fellow Towfiqul Islam Khan told the FE that consumers didn't get the benefits from record rice production and imports.

Such hike in prices is abnormal as there is no supply shortage, he said.

Millers, importers and their allied traders should be brought under close scrutiny to rein in any artificial price hike, he added.

He said the government stock of rice is now pretty good -- 1.3 million tonnes -- and it could be increased further.

The government should start its open market sale to stabilise the market so that the limited-income groups could buy rice at affordable rates, he suggested.

The expert also urged the government to take steps immediately to minimise the huge price gap between the farmers' end and the consumers' end.

  • Courtesy: The Financial Express/ Aug 08, 2018