Search

Sunday, August 26, 2018

Road crashes claim 23 lives in six districts on Monday


FE Online Desk

At least 18 people have died in separate road accidents in Narsingdi,Feni, Gaibandha and Mymensingh districts on Monday.

In Narsingdi, at least nine people were killed and nine others were
injured, some in critical condition, as a passenger bus collided with
a human hauler on Dhaka-Sylhet highway at Dorikandi area in Belabo upazila of the district around 8:00pm on Monday.

The identities of the deceased could not be known yet, local news agencies said. Belabo police station officer-in-charge (OC) Javed Mahmud confirmed the media about the fatal crash.
in Feni, six people were killed and eight others injured after a
cattle truck crashed into a microbus on the Dhaka-Chattogram Highway at Muhuriganj area in the district.

The accident occurred in the Sultana Filling Station area of Muhuriganj at around 3:00 am on Monday, said Muhuriganj Highway Police Outpost Sub Inspector Md Mahbub Alam.
Two of the dead are children and three are women, he said. All of them are members of the same family.

The injured have been admitted to Feni Sadar Hospital and a hospital at Baroiarhat in Chattogram’s Meersarai.
 In Gaibandha, four people, including a man and his son, have died in a road accident in Polashbari upazila of Gaibandha on Monday.

The accident occurred when a bus crushed a CNG-run auto-rickshaw at Chaumatha area of the upazila on Dhaka-Rangpur Highway in the  district.

The deceased were identified as Abdul Hannan (50), his on Abdur Rahman (15),  Arjina Begum (26) and driver of the auto rickshaw Sumon. All were the residents of Gaibandha district.
Officer-in-charge of Gobindaganj Highway Police Station, Abul Basar said a Dhaka bound bus of Zarin Paribahan hit a CNG-run auto-rickshaw around 4:30 pm at Chaumatha area.

 Police seized the bus but its driver managed to flee, he said.
 In Gazipur, two pedestrians were crushed under a covered van in
Konabari area of the district on Monday.

 The deceased were identified as Sadia Najnin Min (15) and Sanjida
(12). They were the residents of Kaliakoir upazila of Gazipur.
 In Sirajganj, a bus helper was killed in a road accident in
Kamarkhanda upazila of Sirajganj district on Monday.

In Mymensingh, a 20-year-old young man was killed in a road accident in Tarakanda upazila of Mymensingh on Monday.

 

 Courtesy: The Financial Express Aug 21, 2018

 

Youth ‘commits suicide’ in police custody


Star Online Report
 
A youth allegedly committed suicide by hanging himself in police custody today at Debiganj Police Station of Panchagarh.
The victim is Hasanur Rahman, 20, son of Habibur Rahman from Thanapara area of Debiganj upazila, reports our correspondent.
Hasanur hanged himself from the ventilator of the police station’s
toilet with a portion of blanket at around 11:00am, said Aminul Islam,officer-in-charge (OC) of the police station.
Hasanur used to work as a construction worker and was held by police from his own home on charges of carrying 50 grammes of hemp as he came home from Dhaka to spend the Eid vacation, the OC said. However, Hasanur's father alleged that he was picked up by police.
The family members said they received a message from the police this morning that Hasanur had asked for his clothes. Upon arriving at the police station, they could not find him where the detainees are kept.
Later, they found his body in the toilet.
In the afternoon, the body of Hasanur was recovered in presence of the Upazila Nirbahi Officer (UNO) Syed Mahmud Hasan, also the executive magistrate. The inquest report of the deceased was also made in his presence.
Hundreds of villagers besieged the police station claiming Hasanur was tortured to death in the custody. Later, the agitated people blocked Boda-Debiganj road demanding justice for the deceased with proper investigation.
Contacted, UNO Syed Mahmud Hasan told our correspondent that primarily it was ascertained that the youth committed suicide, adding that he examined the body but did not find any injury mark.
 
Courtesy: The Daily Star Aug 20, 2018
 
 
 
 

 

শহিদুল আলমসহ অন্যদেরও জামিন হোক


শিক্ষার্থী আন্দোলন

 
ঈদের আগে শিক্ষার্থীদের জামিনে মুক্তি নিশ্চিত করে সরকার শুভবুদ্ধির
পরিচয় দিয়েছে। এখন আমরা সরকারের কাছে আরও একটু উদারনৈতিক অবস্থান আশা
করতে পারি।

 
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরপরই নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ল।

উভয় আন্দোলনেরই যারা নিয়ামক শক্তি, প্রধানত তাদের দুটি বৈশিষ্ট্য

বিবেচনায় নেওয়ার দাবি রাখে। প্রথমত, শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট দুটি বিষয়ে

প্রতিকার চেয়েছে। কোটার মতো নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনও নিরাপদ এবং

নির্দলীয়, নিরপেক্ষ। এই দুই পর্বের কোনোটিতেই এমন কোনো কিছুর সঙ্গে

অন্তত শিক্ষার্থীরা জড়ায়নি, যাতে সরকার তাদের প্রতি ‘রাজনৈতিকভাবে’ বৈরী

আচরণ করতে পারে। প্রতিবাদ করা এবং দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করা

গণতান্ত্রিক অধিকার। নিরীহ ছাত্রছাত্রীরা বিশুদ্ধভাবে সেটাই করেছে। তাদের

প্রায় সবার জামিন লাভ সেই সত্যের প্রতি একটা স্বীকৃতি।

 

এখন এই দুটি উপলক্ষকে কেন্দ্র করে কিছু গুরুতর বিচ্যুতি সত্যিই ঘটেছে বলে

প্রতীয়মান হলে যথাযথ প্রক্রিয়া (ডিউ প্রসেস) অনুসরণ করাই প্রশাসনের রুটিন

কাজ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ও দৃক

গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমকে যে উপায়ে ‘গ্রেপ্তার’ করা

হয়েছে, তাতে আইনের শাসনের মূলনীতি মার খেয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

কেন নির্বাচনী বছরটিতে সরকারি দলের জন্য যথেষ্ট বিব্রতকর হতে পারে জেনেও

এ রকম হঠকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করল, তা আমাদের কাছে বিস্ময়কর। ১১ নোবেল

বিজয়ীসহ ২৮ বিশিষ্ট ব্যক্তির রোববারের বিবৃতি এবং বিশ্বের

মর্যাদাসম্পন্ন পত্রিকাগুলোর তরফে যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে, তাতে

তাঁর বাসভবন থেকে ‘অপহরণ’ করার অভিযোগটি সাধারণভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। অথচ

এ রকম ভীতিকর একটি আচরণ যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের

কোনো ঘোষণা সরকারের দিক থেকে আসেনি।

 

বাংলাদেশ সংবিধানে সন্দেহভাজন ও গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি রাষ্ট্রের কাছ

থেকে সদাচরণ পাওয়ার যে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে, তার পদ্ধতিগত লঙ্ঘন

ঘটছে। রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা, এমনকি বর্তমান

সরকার পুলিশি নির্যাতন রোধে যে উত্তম আইনটি করেছিল, আমরা দেখতে পাচ্ছি

সেসবের পরিষ্কার ব্যত্যয় ঘটছে, অথচ জনপ্রশাসন এ বিষয়ে কোনোভাবে

উদ্বিগ্ন বলে প্রতীয়মান হয়নি। এসব বিষয়ে উদাসীন থাকতে সরকারকে যাঁরাই

পরামর্শ বা উৎসাহিত করেন, তাঁরা একটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার বন্ধু

বলে গণ্য হতে পারেন না।

 

সার্বিক বিচারে আমরা আশা করব, ঈদের আগে জামিনে মুক্তিদানে সরকার যে একটি

উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে একটা অধিকতর মানবিক ও সার্থক রূপ দেওয়া হোক।

বিতর্কিত ৫৭ ধারার আওতায় যারা অভিযুক্ত, তাদের জামিন লাভের সুযোগ ঈদের

অবকাশে মহানগর দায়রা জজ নিশ্চিত করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের

পরামর্শক্রমে এই আদালত জামিনের দরখাস্ত ছুটির মধ্যেও শোনার এখতিয়ার

রাখেন।

 

ঈদের পরে জামিনপ্রাপ্তদের মামলা প্রত্যাহার করাই হবে সুবিবেচনাপ্রসূত। এ

বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলিদের (পিপি) উপযুক্ত নির্দেশনা দেওয়াসহ প্রচলিত আইনে

যেসব সুযোগ রয়েছে, তা শিক্ষার্থী আন্দোলন-সংশ্লিষ্টদের অনুকূলে

প্রয়োগে আমরা রাষ্ট্রপতির বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করি। দেশের ভাবমূর্তি

অক্ষুণ্ন রাখার একটি বিষয় যে এর সঙ্গে জড়িত আছে, তা তিনি ও প্রধানমন্ত্রী

বিবেচনায় নেবেন আশা করি। ঈদ উপলক্ষে দণ্ডিতদের সাজা মওকুফের ঐতিহ্যও

কিন্তু আমাদের আছে।

 

Courtesy: Prothom Alo Editorial: Aug 21, 2018

গরিবের চাল লুটপাট!


ইত্তেফাক ডেস্ক 

ঈদ উপলক্ষে গরিব ও দুঃস্থ জনসাধারণের জন্য সরকারের দেওয়া ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থানে চাল আত্মসাত্ করে কালোবাজারে বিক্রি, পাচারের চেষ্টা, ওজনে কম দেওয়া, ভুয়া কার্ড তৈরি, স্লিপ বিক্রি, প্রকৃত গরিবদের না দিয়ে অন্যদের মধ্যে বিতরণের অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। চাল আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল রবিবার দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা পৌরভবন থেকে শনিবার রাতে ট্রাক বোঝাই করে পাচারকালে ৩২৫৬ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়রের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন দুঃস্থ নারীরা। এছাড়া জামালপুরের বকশীগঞ্জে ৭৮ বস্তা চাল উদ্ধারের ঘটনায় একজন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাঘায় আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের বাসা থেকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 
দিনাজপুর অফিস জানায়, শনিবার সকালে দিনাজপুর পৌরসভায় আকষ্মিক উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুল ইসলাম চাল বিতরণে অনিয়ম দেখতে পান। পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে প্রতি ব্যাগে ২০ কেজির পরিবর্তে ১৮.৪০ কেজি চাল পাওয়ায় তাত্ক্ষণিকভাবে পৌরসভার স্টোর কিপার মজিবর রহমান বাচ্চুকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে দিনাজপুর পৌরসভার গুদামরক্ষক ও বিতরণকারী মো. মজিবর রহমান বাচ্চু (৫০), মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম (৫০) ও ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাসুদুর রহমান মাসুদের (৪৪) বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ পৌর মেয়রকে আটক করে। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেদওয়ানুর রহিম জানান, মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 
চয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে চাল বোঝাই একটি মিনি ট্রাক চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতর থেকে প্রধান প্রবেশদ্বার অতিক্রম করে রাস্তায় উঠতে দেখে জনগণের সন্দেহ হয়। লোকজন দ্রুত একত্রিত হয়ে ট্রাকটি আটক করে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাল বোঝাই ট্রাকটি থানায় নিয়ে যান। এসময় ট্রাকচালক খোকন জানান, সে এর আগেও গত ২ রাতে এই আবর্জনা ফেলার ট্রাকে করে পৌরসভার ভিজিএফের চাল নিয়ে গেছে।

 অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আটক ওই ট্রাকে ৪৪ কেজি ওজনের মোট ৭৪ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। ট্রাকের সমুদয় চাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ওই চালের ওজন দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৫৬ কেজি। তবে ট্রাকটি আটক রাখা হলেও চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভিজিএফের চাল পাচারের ঘটনার বিচার দাবি করে রাতেই ছাত্র-জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরদিন দুঃস্থ নারীরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া তারা পৌরসভার মেয়রের অপসারণ ও বিচার দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।

 মেলান্দহ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র অফিস থেকে ভিজিএফ’র ১০০ বস্তা (প্রতিবস্তা ৫০ কেজি হিসেবে ১ মে.টন) চাল জব্দ করা হয়েছে। চাল কালোবাজারে পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ইউএনও তামিম আল ইয়ামীন অভিযান চালিয়ে চালগুলো জব্দ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কারসাজিতে হতদরিদ্রদের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল।

 বকশীগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের ৭৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে চালগুলো উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান সিদ্দিক। ভিজিএফের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফারুক ও ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 
জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে ৪ হাজার ১৫৯ টি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ দেয় সরকার। ওইদিন সকালে প্রায় ২ শতাধিক কার্ডধারী চাল না পেয়ে ফিরে যান এবং বিকালে চাল না পাওয়ায় পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। খবর পেয়ে  সন্ধ্যায় ওই এলাকায় অভিযান চালান ইউএনও। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফারুক বলেন, ভিজিএফের চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। কার্ডধারীরা চাল না পাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।

 
বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতা জানান, শনিবার রাতে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের (৪ নম্বর) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আরব মাস্টারের ভাই লালনের বাড়ি থেকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরুল কায়েস । এ ঘটনায় পরদিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে বাঘা থানায় মামলা করেন। ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রতিনিধি হিসাবে আরব আলী মাস্টার ১০ বস্তা চাল গোপনে তার ভাই লালনের বাড়িতে রাখেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান,  আরব আলীর হাত দিয়ে যে ৩৮ টি কার্ড তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে ২৫ টি ছিল ভুয়া। তিনি ওই ২৫ টি কার্ডের বিপরীতে ১০ বস্তা চাল  সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন।

 
বাসাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, ভিজিএফের চাল বিতরণে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর হাফিজুরের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বাসাইল পৌরসভার উদ্যোগে শনিবার খাদ্যগুদাম থেকে এসব চাল বিতরণ করা হয়। প্রত্যেকের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও ১৬ থেকে ১৭ কেজি করে চাল দেওয়ার অভিযোগ উঠে। কোন বাটখাড়া দিয়ে না মেপে বালতি দিয়ে আনুমানিক মাপে চাল বিতরণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। অভিযুক্ত কাউন্সিলর জানান, চক্রান্ত করে আমার মানহানি করার চেষ্টা করছে একটি মহল। ২০ কেজির মধ্যে সাড়ে ১৯ কেজি হতে পারে। তবে ১৬ থেকে ১৭ কেজি হতে পারে না।

 
গঙ্গাচড়া (রংপুর) সংবাদদাতা জানান, উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ভিজিএফ চাল বঞ্চিত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষ। গতকাল রবিবার উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদে লোকজন চালের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। ইউনিয়নের আহমদপাড়া গ্রামের মর্জিনা, মোসলেমা, আর্জিনা, ব্যাংকপাড়া গ্রামের রোসনা, পারুল, সালেমা, হাসিনাসহ প্রায় ৫০জন হতদরিদ্র নারী-পুরুষ জানান, ‘তিন/চার দিন থাকি হামরা চেয়ারম্যানের বাড়িত ঘুরিচোল, তাও এখান ছিলিপ দেয় নাই। হামাক এখান ছিলিপ দেন।’ কেউবা বলছেন ‘মোরও নামটা নেখো বাহে।’ তাদের চেহারায় কষ্টের ছাপ। মলিন বসন। অনেক দুঃস্থ পরিবার চাল পায় নাই এমন অভিযোগের জবাবে আলমবিদিতর ইউপি চেয়ারম্যান আফতাবুজ্জামান বলেন, যারা পায়নি তাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সময় তার পকেটে অনেক স্লিপ দেখা যায়।

 
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, রবিবার সরেজমিনে উপজেলার যাদুরচর, দাঁতভাঙ্গা, বন্দবেড়, শৌলমারী, রৌমারী ও চরশৌলমারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণের তালিকায় নাম আছে কিন্তু তারা চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এসব চালের স্লিপ অন্যদের কাছে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যাদুরচর ইউনিয়নের চাল নিতে আসা ধনারচর গ্রামের হযরত আলী,আবু সমা, বাইমমারী গ্রামের শুকুর আলী ও ইসরাফিল বলেন, ‘তালিকায় নাম আছে চালের জন্য আসছিলাম। কিন্তু আমাদের নামের স্লিপ বিক্রি হয়ে গেছে। ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলাম কোন লাভ হয় নাই। আমরা না খাইয়া থাকুম। আল্লাহর্ কাছে বিচার দিলাম, একদিন গরিবের চাল খাওয়ার হিসাব হবে।’

 

Courtesy: Ittefaq Aug 20, 2018

 

 

রাজনীতি, বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা


পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ১০ পশ্চিমা দূতের বৈঠক
মিজানুর রহমান 
 
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বেশ কয়েকজন পশ্চিমা কূটনীতিক দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। গতকাল দিনের শুরুতে ১০ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের একটি দল পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। ওই দলে ২৮ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ঢাকাস্থ কার্যালয়ের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সসহ ওই জোটের সদস্য ৮ দেশের আবাসিক মিশনের প্রধান এবং ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও ছিলেন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে- পশ্চিমা দূতরা নিজে থেকেই সচিবের সঙ্গে দেখা করেন।
সচিবের দপ্তর সংলগ্ন সভাকক্ষে তারা বৈঠকে মিলিত হন। এক ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সন্দেহভাজনদের আটক-রিমান্ড, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র মতে, এই মুহূর্তে পশ্চিমা বেশির ভাগ রাষ্ট্রদূতই ঢাকায় নেই।
মূলত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরাই সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। তারা মোটা দাগে সরকারের প্রতি যে বার্তাটি দেয়ার চেষ্টা করেন তা হলো- রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ যেভাবে তার সীমান্ত এবং হৃদয় খুলে দিয়ে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে কোনো একটি ঘটনা বা কঠিন পরিস্থিতি যেন সেই অর্জনকে ম্লান করে না দেয়। পশ্চিমা কূটনীতিকরা ‘ডিফিক্যাল্ট চ্যালেঞ্জ’ শব্দদ্বয় ব্যবহার করেছেন জানিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ঢাকার এক কূটনীতিক মানবজমিনকে বলেন- আসলে তারা সম-সাময়িক ঘটনাগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। আরো স্পষ্ট করে বললে- নিরাপদ সড়কের দাবিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেই বুঝিয়েছেন তারা।
 ভিন দেশি জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিকরা বরাবরের মতো গতকালের বৈঠকেও সব পক্ষের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূিচ পালনের অধিকারসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া এবং রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন। সচিব ও পশ্চিমা দূতদের আলোচনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক দেশের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শহীদুল আলমের বিষয়টি স্থান পায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সচিব ও  দূতদের বৈঠককে ‘অনানুষ্ঠানিক এবং নিয়মিত’ বৈঠক হিসাবেই দেখছেন। এক কর্মকর্তা বলেন- এমন বৈঠক প্রায়ই হয়। তবে এবার সংখ্যায় একটু বেশী এবং তারা একসঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।
 সূত্র মতে, বাংলাদেশের পশ্চিমা বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সরকারকে জানিয়েছেন শহীদুল আটকের বিষয়ে তাদের নিজ নিজ দেশের সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম খুবই উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তারা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে চলেছেন। দূতাবাসের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের কাছেও তারা তার মামলার বিষয়ে প্রায়শই জানতে চান।
তারা এ নিয়ে তাদের হেড কোয়ার্টারের বেশ চাপে আছেন বলেও জানান বিদেশি কোনো কোনো কূটনীতিক। তবে প্রায় সব কূটনীতিকই আন্দোলন চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের ওপর হেলমেটধারী বাহিনীর আক্রমণের নিন্দা জানান। তারা এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের অনুরোধ জানান। যদিও সরকারের তরফে ছাত্রদের ব্যাগ থেকে চাপাতি নিয়ে আক্রমণের সচিত্র তথ্য তুলে ধরা হয়। কূটনীতিকরা আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তার না করে সাধারণ ছাত্র এবং যারা শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল তাদের হয়রানির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এদিকে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়েও জানতে চান ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। বিশেষ করে এ ঘটনা পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপ বিষয়েই জানার আগ্রহ ছিল তাদের। এ নিয়ে এক কূটনীতিক বলেন- আলোচনায় বিষয়টি তুলেন ইউরোপের এক কূটনীতিক।
সম-সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বিষয়টি আসে। এ নিয়ে আলাদা কোনো কথা হয়নি। পররাষ্ট্র সচিব কূটনীতিকদের বলেছেন- হামলার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। বিশ্বব্যাপী ‘বিদেশী বান্ধব বাংলাদেশ’ এর যে ঐতিহ্য ও সুনাম রয়েছে, এ হামলা তার সম্পূর্ণ বিপরীত।
সচিব প্রশ্ন রাখেন মোহাম্মদপুর এলাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে যাওয়ার বিষয়টি কেন আগে থেকে পুলিশকে অবহিত করা হয়নি? যদিও পুলিশের ত্বরিত পদক্ষেপেই রাষ্ট্রদূত এবং তার সহযাত্রীরা নিরাপদে অক্ষত অবস্থায় প্রস্থান করতে পেরেছেন। সচিব এ-ও বলেন, একজন কূটনীতিকের গাড়িতে হামলা বরাবরই নিন্দনীয়। সরকার আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
 ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছেন। খানিক অগ্রগতিও আছে। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়ে সচিব কূটনীতিকদের বলেন, এ হামলার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কেউই দায়মুক্তি পাবে না। উল্লেখ্য, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়েছিল স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
 সেখানে তিনিও পুলিশের তদন্ত চলছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করেছেন। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের এক কূটনীতিক এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি না হলেও তিনি বলেন- আমরা সব সময় স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি।
 বৈঠকে অংশ নেয়া ইতালি, স্পেন ও ডেনমার্কের কূটনীতিকরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি সম্পর্কে  জানতে চান। জবাবে সচিব বলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা রাখাইন ঘুরে এসেছেন। তারা মিয়ানমারের তরফে নেয়া প্রস্তুতির অগ্রগতিও দেখেছেন। তবে এটি দ্রুত বাস্তবায়নে এবং রোহিঙ্গাদের নির্ভয়ে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক চাপ ধরে রাখতে হবে।
 Courtesy: Manabzamin Aug 20, 2018
 
 

শহিদুল আলম ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি চান ১১ নোবেলজয়ী ও ১৭ বিশিষ্টজন


অনলাইন ডেস্ক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থী ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের শর্তহীন মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ডেসমন্ড টুটু, শিরিন এবাদিসহ ১১ নোবেলজয়ী ও বিশ্বের ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এক বিবৃতিতে সই করে তাঁরা এই দাবি জানান।

 আজ রোববার মার্কিন অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শ্যারন স্টোন তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে ওই বিবৃতি পোস্ট করে দাবির পক্ষে সমর্থন জানান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ আগে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে হাইস্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। তারা নিরাপদ সড়ক, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের দাবি জানায়। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়, পুলিশের উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের লোকজনের হামলার শিকার হয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সংবাদ কাভারের জন্য কর্তব্যরত সাংবাদিকেরা। আন্দোলন শুরুর কয়েক দিন পর হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে রাস্তায় নেমে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তখন তাঁদের গ্রেপ্তার করে মামলা দেওয়া হয়েছে। যেসব মামলায় তাঁদের রিমান্ড ও কারাদণ্ড হতে পারে।’

 
শহিদুল আলমকে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী হিসেবে অভিহিত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই ৫ আগস্ট সন্ধ্যার পর বেআইনিভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের হাতে শহিদুল তাঁর বাড়ি থেকে অপহৃত হন। গত সপ্তাহে তাঁকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আন্দোলনরত কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম হামলার ছবি তোলা এবং আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলে শহিদুল আলমের দেওয়া সাক্ষাৎকার বাক্‌স্বাধীনতার চর্চাকে অপরাধ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আটকের সপ্তম দিনে ১২ আগস্ট আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদেশে হঠাৎ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

 
এ দিকে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে বিবৃতিতে সই করা বিশিষ্ট অপর ১৭ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হারলেম ব্রান্টল্যান্ড, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, মার্কিন লেখিকা ও মানবাধিকারকর্মী কেরি কেনেডি, ভারতের অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শাবানা আজমি, হলিউড অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শ্যারন স্টোন, হাফিংটন পোস্টের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ানা হাফিংটন ও চলচ্চিত্র পরিচালক রিচার্ড কার্টিস।

 
বিবৃতিতে সই করা নোবেল বিজয়ীরা হলেন:
১. আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু (১৯৮৪ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
২. তাওয়াক্কল কারমান (২০১১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
৩. মাইরিয়াড ম্যাগুইরে (১৯৭৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
৪. বেটি উইলিয়ামস (১৯৭৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
৫. অস্কার এরিয়াস (১৯৮৭ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
৬. স্যার রিচার্ড যে. রবার্টস (১৯৯৩ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেলজয়ী)
৭. হোসে রামোস-হর্তা (১৯৯৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
৮. জোডি উইলিয়ামস (১৯৯৭ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
৯. শিরিন এবাদি (২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
১০. প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস (২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)
১১. লেহমাহ বয়ই (২০১১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী)

 

Courtesy: Prothom Alo Aug 19, 2018