Search

Sunday, September 16, 2018

ঋণ আদায়ে চাই কঠোর আইনি পদক্ষেপ

সম্পাদকীয়

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কথা রেখেছেন। তিনি গত বুধবার জাতীয় সংসদে শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে, তাঁর প্রকাশিত তালিকার বাইরেও অনেক ঋণখেলাপি আছেন, রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা হিসাবের কারসাজিতে নিজেদের নাম আড়াল করতে সক্ষম হয়েছেন; যাঁদের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের মালিকেরাও রয়েছেন।

ব্যাংকঋণের বিষয়টি পুরোপুরি ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয় হলেও এর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, যেসব বড় খেলাপির নাম প্রকাশ করা হয়নি, তা যত না আইনি জটিলতা, তার থেকে রাজনৈতিক সমস্যা বেশি।  

শীর্ষ ঋণখেলাপি হিসেবে যাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, তাঁদের লজ্জা হবে কি না কিংবা তাঁদের কাছে পাওনা অর্থ অদূর ভবিষ্যতে ফেরত পাওয়া যাবে কি না, সেই প্রশ্নের জবাব ভবিষ্যৎই দিতে পারে। ১০০ শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় ব্যবসার সূত্রে রাজনীতিক বনে যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যাও কম নয়। যখন রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সেই ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে কোনো পরিচালক খেলাপি হন, তখন সেটি আইনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ। কৌতূহলের বিষয় যে এই রাজনীতিক বনে যাওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে যেমন আওয়ামী লীগের সাংসদ আছেন, তেমনি আছেন সাবেক মন্ত্রী এবং বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারাও। এঁরা যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঋণ নিয়েছেন এবং পরিশোধে অনাগ্রহ দেখিয়ে যাচ্ছেন, তাতে সন্দেহ নেই।

অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঋণখেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ এবং এঁদের কাছে আটকা আছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি ব্যাংকের মালিকদের নানাভাবে প্রণোদনা দেওয়া, অন্যদিকে তাঁদের ঋণখেলাপি হওয়া ব্যাংকিং খাতের অসুস্থতারই লক্ষণ।

অর্থমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, খেলাপি ঋণের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকের সংখ্যা ৮৮ এবং  সিংহভাগ খেলাপি ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ সোনালী ব্যাংকের, ১৮ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। এরপর যথাক্রমে জনতা ব্যাংকে ১৪ হাজার ৮৪০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৯ হাজার ২৮৪ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ৯০১ কোটি, বেসিক ব্যাংকে ৮ হাজার ৫৭৬ কোটি, কৃষি ব্যাংকে ২ হাজার ১৭৮ কোটি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে পূবালী ব্যাংকে ২ হাজার ১১৬ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকে ৫ হাজার ৭৬ কোটি, ইসলামী ব্যাংকে ৩ হাজার ৫২০ কোটি আর প্রাইম ব্যাংকে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা খেলাপি রয়েছে।

খেলাপি ঋণের সমস্যাটি বেশ পুরোনো এবং পূর্বাপর সব সরকার একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও ঋণখেলাপিদের কাছে প্রাপ্য অর্থ উদ্ধারের কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।  

আরও উদ্বেগের বিষয়, যে সরকার খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ, সে সরকারের দুজন সাংসদের কোম্পানিও শীর্ষ খেলাপি ঋণের তালিকায় আছে। এগুলো হলো যথাক্রমে ঢাকার সাংসদ আসলামুল হকের নর্থ পাওয়ার ইউটিলিটি ও রাজশাহীর সাংসদ এনামুল হকের নর্দান পাওয়ার সল্যুশন। যাঁদের দায়িত্ব খেলাপি ঋণ আদায়ে আইন করা, তাঁরাই যদি খেলাপি ঋণে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরে আসবে কীভাবে?  

সংসদে শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করলেই অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। তাঁর সময়েই হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংকের মতো ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে।  ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে খেলাপি ঋণ আদায় করার বিকল্প নেই।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ১৬,২০১৮  

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হুমকির মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা

উৎপল রায় 

মঙ্গলবার বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলের ওপর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই বিলের ওপর সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন পেশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। 

এদিকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল’ চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অংশীজনদের মতামতকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটিকে দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে এ নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি প্রস্তাবিত এই বিলটি জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার আগে সংশোধনীর তাগিদ দিয়েছেন সম্পাদক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, প্রস্তাবিত এই আইন বাস্তবায়িত হলে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। 

এ বিষয়ে ‘ডেইলি স্টার’ সম্পাদক মাহ্‌্‌ফুজ আনাম মানবজমিনকে বলেন, ‘সংসদীয় কমিটি, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। দুই দফা আলোচনায় আমরা যে আভাস-ইঙ্গিত পেয়েছিলাম বিশেষ করে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম এবং পরবর্তীকালে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, এই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আমাদের সঙ্গে বসবে। কিন্তু পত্রিকায় দেখলাম প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

কিন্তু সেখানে আমাদের যে মূল দাবিগুলো ছিল সেগুলো বিকৃত হয়েছে বলে আমি মনে করি। এখানে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার স্বাধীনতা একেবারেই সুরক্ষিত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি যে এভাবে একটি ব্যুরোক্রেসি স্ট্রাকচারের মধ্যে গণমাধ্যমের পুরো স্বাধীনতা শৃঙ্খলিত হচ্ছে। এই আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কম্পিউটার তল্লাশি করা, সিজ করা, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বন্ধ করা এবং প্রয়োজনবোধে গ্রেপ্তারের অধিকার দেয়া হয়েছে। এটি খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি প্রেস কাউন্সিলে পাঠানোর প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম। প্রেস কাউন্সিল একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তার আইনি কাঠামো আছে। যা কিছু হবে ওখানে শুনানি হবে। প্রেস কাউন্সিল থেকে যদি অনুমতি দেয়া হয় যে নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে তাহলে পদক্ষেপের ব্যাপার হতে পারে। আরেকটি প্রস্তাব করেছিলাম যে, দেশে যে তথ্য অধিকার আইন আছে, সেই আইনে গণমাধ্যমের জন্য যে ধরনের স্বার্থরক্ষা হয়েছে সেগুলো যেন সমুন্নত থাকে। একই সঙ্গে তথ্য অধিকার আইন এবং এই আইনে কোথাও যদি সাংঘর্ষিক হয় তাহলে তথ্য অধিকার আইন প্রাধ্যান্য পাবে। কিন্তু এগুলোর কোনো কিছুই রক্ষিত হয়নি বলে আমাদের ধারণা। আমি মনে করি এভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।’ 

‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘এ বিষয়ে সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং অন্যান্য সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তার একটিও গ্রহণ না করা খুবই দুঃখজনক। সেই সময় আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অসঙ্গতিপূর্ণ ধারাগুলো বাদ দেয়া হবে। কিন্তু এর একটিও বাদ না দিয়ে শুধু শব্দগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেটি সাংবাদিকদের অধিকারের জায়গাটুকু হরণ করার মতো, সেগুলো বহাল রেখে এই আইন পাস করার যে প্রক্রিয়া তৈরি করা হচ্ছে এবং সংসদীয় কমিটির যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে আমি এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছি। 
তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি, এধরনের কালাকানুন পাস হয়েছে। যার পরিণতি শুভকর হয়নি।’ নঈম নিজাম বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমের জন্য সরকার আলাদা আইন করতে পারতো এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। কিন্তু সেটি না করে মূলধারার গণমাধ্যমকে আরো কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই আইন পাস করা হচ্ছে। আমি আশা করবো, এখনো সময় আছে আইনটি সংসদে পাস হওয়ার আগে সংশোধনী এনে এ জায়গাগুলো সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা করবে। এর অন্যথা হলে বাংলাদেশের আগামী দিনের গণমাধ্যম হুমকির মুখে পড়বে।’ 

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি চূড়ান্ত করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন টিআইবি’র (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। 

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থি। অংশীজনদের মতামত অগ্রাহ্য করে গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতা হরণের ঝুঁকিপূর্ণ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল’-এর বিতর্কিত ধারাসমূহ অপরিবর্তিত রেখে সংসদীয় কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এই আইন প্রণয়নে সরকারকে আরো দূরদর্শী হওয়ার আহবান জানান ইফতেখারুজ্জামান। 

তিনি বলেন, একদিকে প্রস্তাবিত বিলের ৮, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাগুলোর ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্বেগ ও মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা তাদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে বিতর্কিত ৩২ ধারার ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ অনুসরণের সুপারিশ করার দৃষ্টান্ত অত্যন্ত হতাশা ও দুঃখজনক।

তিনি বলেন, সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ সুশাসন নিশ্চিত হওয়ার যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে প্রস্তাবিত আইনটি সেক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। 

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারার অপপ্রয়োগের ফলে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তথ্য জানার আইনি অধিকার ব্যাপকভাবে রুদ্ধ হবে। এছাড়া এই ধারাটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং যেকোনো ধরনের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে, যা সংবিধানের মূল চেতনা, বিশেষ করে মুক্তচিন্তা বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশের পথ ব্যাপকভাবে রুদ্ধ করবে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ১৬,২০১৮ 

ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ, চার দিন ধরে নিখোঁজ ৫ জন


রাজধানীর বিমানবন্দর ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তুলে নেয়ার চার দিন পরও নিখোঁজ রয়েছেন দুই শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন। রাজধানীর বিভিন্ন  থানা ও ডিবি কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি। এমনকি চার দিন পার হলেও তাদের আদালতে হাজির করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ ওই ব্যক্তিদের স্বজনরা। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বজনরা এমন অভিযোগ করেছেন। স্বজনরা বলেছেন, চোখের সামনে সন্তানদের তুলে নেয়ার ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 

অবিলম্বে যেন তাদের সন্তানদের আদালতে হাজির করা হয়। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন, টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাধাই এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাফিউল আলম ও তার ছোট ভাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মনিরুল আলম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মো. আবুল হায়াত। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার পশুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ এবং ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকার ডগাইর ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোশারফ হোসাইন মায়াজ। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বজনদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাফিউল আলম ও মনিরুল ইসলামের মা রমিছা খানম। তিনি বলেন, ১২ই সেপ্টেম্বর রাতে আমাদের পাঁচ সন্তানকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে গেছে। ওই দিন পবিত্র হজ পালন শেষে আমি ঢাকা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি মাইক্রোবাসে উঠি। ঠিক তখনই একদল অপরিচিত লোক আমার দুই ছেলেকে গাড়ি থেকে নামানোর জন্য টানা-হেঁচড়া শুরু করে। তখন আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওরা তাদের পরিচয়পত্র ও অস্ত্র দেখিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ দাবি করে। আমি তখন আমার ছেলেদের কী অপরাধ জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু তারা কিছু না বলে আমার চোখের সামনে থেকে আমার দুই ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা আমার ছেলের বন্ধু মো. আবুল হায়াতকেও তারা তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই ডিবি পরিচয়দানকারীরা আমার ছেলে শাফিউলকে নিয়ে গভীর রাতে তার বাসায় যায়। সেখান থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা শাফিউলের বন্ধু অপর দুই রুমমেট শাফিউল্লাহ ও মোশারফ হোসাইন মায়াজকে তুলে নিয়ে যায়। 

রমিছা খানম বলেন, গত চারদিন ধরে দুই সন্তানের খোঁজ না পেয়ে আমার চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। শুধু আমার না নিখোঁজ অন্যান্য সন্তানদের মায়েদেরও একই অবস্থা। সন্তানকে না পেয়ে তারা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। দুজন মা তাদের সন্তানদের খোঁজ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছেন। তাই দয়া করে আমাদের সন্তানদের সন্ধান দেন। তারা যদি কোনো অপরাধ করে থাকে তবে তার জন্য আইন আছে। তাদের আদালতে হাজির করে আইনের আওতায় আনুন। 

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করলে আইন অনুযায়ী স্বজনদের দেখা করার সুযোগ থাকে। কিন্তু আমরা সেই সুযোগও পাচ্ছি না। চার দিন পরও তাদের আটক না দেখানো দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি। এমনকি উচ্চ আদালতের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন; যা অস্বাভাবিক বিষয়। আমরা এখন আমাদের সন্তানদের নিয়ে শঙ্কিত। আমাদের আকুল আবেদন সন্তানদের যেন আমাদের কাছে নিরাপদে হস্তান্তর করা হয়। তাদের নিয়ে যেন কোনো নাটক সাজানো না হয়। তারা যদি সত্যিই কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাদের আদালতের মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করা হোক। আমরা দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমাদের সন্তানদের আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।

রমিছা খানম ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহর ছোট ভাই মো. নাসিরুউল্লাহ, মোশারফ হোসাইন মায়াজের বাবা সাইদুল ইসলাম, তার মা রোকেয়া বেগম ও বোন কামরুন নাহার। তবে মো. আবুল হায়াতের কোনো স্বজন উপস্থিত ছিলেন না। মোশারফ হোসাইন মায়াজের বড় বোন কামরুন নাহার মানবজমিনকে বলেন, আমরা চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে মায়াজ সবার ছোট। মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি সে প্রাইভেট পড়ায়। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। অন্যান্য দিন ১০টার দিকে বাসায় ফিরলেও ওই দিন সাড়ে ১১টায় বাসায় ফেরেনি। এজন্য বাবা-মা সবাই চিন্তায় পড়ে যান। আমার মা আমার শোবার রুমে এসে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। তার বন্ধুদের ফোন দিলেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। কামরুন নাহার বলেন, এভাবে সারা রাত ও পরের দিন যাত্রাবাড়ী থানাসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। পরে বিকালবেলা আমার এক মামার মাধ্যমে জানতে পারি তাকে ডিবি ধরে নিয়ে গেছে। শফিউল্লাহর ভাই নাসিরউল্লাহ বলেন, আমার ভাই যাত্রাবাড়ীর মীর হাজারীবাগে একটি মেসে থেকে লেখাপড়া করে। সে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ১৬,২০১৮ 

Thursday, September 13, 2018

গরিব দেশে এত ধনকুবের!

সম্পাদকীয়

মাত্র কিছদিন আগেও বাংলাদেশ ছিল স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায়। উন্নয়নশীল দেশের সারিতে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করতে উন্নয়নের ধারা টেকসই করতে হবে। এমন একটি দেশে অতি ধনী বা ধনকুবের বৃদ্ধির হার মহাসম্পদশালী দেশ আমেরিকা কিংবা বিশ্বে এক নম্বর অর্থনীতির দেশ হতে চলা চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তথ্য বিস্ময়কর বৈকি। এ যে গরিব দেশে ধনকুবেরের ছড়াছড়ি! 

ওয়েলথএক্স নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তিন কোটি ডলার বা আড়াইশ' কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে, বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে এমন লোকের সংখ্যা বেড়েছে ১৭.৩ শতাংশ, যা চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশের তুলনায় ঢের বেশি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত ডিসেম্বরে বিভিন্ন ব্যাংকে এক কোটি টাকা বা তার বেশি অর্থ জমা রাখা বেসরকারি অ্যাকাউন্ট ছিল প্রায় ৫৫ হাজার। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, ধনকুবের সংখ্যা কিন্তু উন্নত দেশগুলোতেই অনেক বেশি। চীন ও ভারতের মতো জনবহুল দেশেও আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থনীতির ভিত মজবুত হতে থাকলে, জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বাড়লে ধনকুবের সংখ্যা বাড়তেই পারে। কিন্তু সেটা যদি আয়-বৈষম্য প্রকট করে, তবে উদ্বেগের কারণ হয় বৈকি। বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য এমন একটি ইঙ্গিত আগেই দিয়েছে।

তাদের হিসাবে, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে ধনী পাঁচ শতাংশ পরিবারের আয় বেড়েছে বিপুল হারে; কিন্তু এর বিপরীতে সবচেয়ে দরিদ্র পাঁচ শতাংশের আয় হ্রাস পেয়েছে উদ্বেগজনক হারে। সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মাসিক আয় প্রায় ৮৯ হাজার টাকা; সবচেয়ে গরিবের ৭৩৩ টাকা! এ বৈষম্য বাংলাদেশের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে মোটেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা, তাদের নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। কেন এ বৈষম্য? 

গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে হঠাৎ করেই কিছু লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করছে। ব্যাংকের ঋণ নিয়ে সময়মতো ফেরত দিচ্ছে না। কেউ কেউ আদৌ ফেরত দিতেও আগ্রহী নয়। এ দলে কয়েকশ', এমনকি দুই-তিন হাজার কোটি আত্মসাতের ঘটনাও রয়েছে। কেউ কেউ বড় বড় নির্মাণ কাজ কিংবা ব্যবসায়িক চুক্তি পায়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে রফতানি প্রণোদনা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশের ব্যাংকে তা জমা রাখে। নদী-চর-সরকারি খাস জমি কিংবা দরিদ্রদের ভূখণ্ড দখল করে চলতে পারে আবাসন ব্যবসা। যথাযথ আইনের শাসন না থাকায় তাদের ধনী হওয়ার গতি থাকে বাঁধনহারা। তারা ব্যক্তিগত আয়কর কিংবা করপোরেট কর ফাঁকি দিয়েও পার পেয়ে যায়। ফলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সরকার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্থের জোগান পায় না। এ ঘাটতি পূরণে বাড়তে থাকে পরোক্ষ করের বোঝা, যা থেকেও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল এ মধুলোভী চক্রের জানা। অধিকতর সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের এমন পরিণতি তো কাম্য ছিল না।

  • কার্টসিঃ সমকাল/ সেপ্টেম্বর ১৩,২০১৮ 

Unrealised loan totals Tk 1.31t from 230,658 defaulters: Muhith

The number of loan defaulters in the country reached 230,658, and the amount of unrecovered loan from them totalled over Tk 1.31 trillion until June 2018, according to the central bank.
Finance Minister A M A Muhith disclosed the information in the Jatiyo Sangsad (JS) on Wednesday in response to a query of Member of Parliament (MP) Pinu Khan.

The finance minister also informed JS that the loan defaulters were involved with 88 banks and financial institutions (FIs).

Of the banks, the volume of default loans with Sonali Bank was Tk 186.62 billion, followed by Janata Bank Tk 148.40 billion, Agrani Bank Tk 92.84 billion, Rupali Bank Tk 49.01 billion, Basic Bank Tk 85.76 billion, Bangladesh Krishi Bank Tk 21.78 billion, and Bangladesh Development Bank Tk 23.32 billion.

The amount of default loans with Pubali Bank was Tk 21.16 billion, National Bank Tk 50.76 billion, Islami Bank Tk 35.20 billion, and Prime Bank Tk 35.85 billion, Mr. Muhith also said.

Mr Muhith unveiled the list of the top 100 loan defaulters that includes Elias Brothers, Quantum Power System, Remix Footwear, Max Spinning, Rubia Vegetables Industries, Rising Steel, Dhaka Trading House, Bentex Industries, Anowara Spinning, Crescent Leather Products, Yasin Enterprise, Chowdhury Knitwear, Siddique Traders, Rupali Composite Leatherwear, Alpha Composite Towels, Hall-Mark Fashion, Munnu Fabrics, Fair Yarn Processing, Fair Trade Fabrics, Shaharish Composite Towels, Mark International, Suruj Miyan Jute Spinning Mills, Pacific Bangladesh Telecom, Saleh Carpet Limited, and Padma Poly Cotton Knit Fabrics.

Other defaulters include S K Steel, Helpline Resources, H. Steel Re-rolling, Ottobi, Bismillah Towels, Taipei Bangla Fabrics, Dhaka North Power Utility, T & Brothers Knit Composite, Tania Enterprise Unit-2, Six Seasons Apartment, Islam Trading Consortium, Rahman Spinning Mills, Japan-BD Sec Printing and Papers, Bangladesh Industrial Finance Company, Semat City General Trading, M K Ship Bulders, Cotton Corporation, National Steel, M B M Garments and Textile, Sonali Jute Mills, Expertech Limited, Walmart Fashion, Sad Musa Fabrics, Chittagong Ispat, Agro Industries, Himalaya Paper and Board Mills, Amader Bari Ltd, Emdadul Haq Bhuiyan, Chowdhury Towels, Chowdhury Leather, Earth Agro Farm, Northern Power Solution, Mac Ship Builders, The Arab Contractors, One Denim Mills, Liberty Fashion Ware, Biswas Garment, Mastered Trading , Hindul Wally Trading, Sagir & Brothers, Globe Metal Complex, Ornate Services and Jalal and Sons.

  • Courtesy: The Financial Express/ Sep 13, 2018

খেলাপি ঋণে শীর্ষ ১০ - কীর্তিমান দুই সহোদর


অর্থমন্ত্রী গতকাল সংসদে যে ১০০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার শীর্ষ দশের বেশির ভাগই পুরনো। নতুন করে ঢুকেছে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী দুই প্রতিষ্ঠান রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টস লিমিটেড। এর কর্ণধার দুই সহোদর এমএ আজিজ ও এমএ কাদের। ঋণের নামে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে তারা বের করে নিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এ দুই সহদর এখন জনতা ব্যাংকেরও শীর্ষ ঋণখেলাপি।

রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এমএ আজিজ। চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ারও চেয়ারম্যান তিনি। কয়েক বছর ধরে দেশের ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র আসছে তার প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারেই। সংসদে প্রকাশ করা শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় এমএ আজিজের রিমেক্স ফুটওয়্যার রয়েছে তৃতীয় স্থানে। শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টস লিমিটেড রয়েছে দশম স্থানে। এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এমএ আজিজের বড় ভাই এমএ কাদের।

চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসায় দুই সহোদরকে উদার হাতে ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। ২০১৩ সাল-পরবর্তী পাঁচ বছরেই জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন এমএ কাদের ও এমএ আজিজ। এর মধ্যে পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা তহবিল থেকে তুলে নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। দুই সহোদরকে দেয়া জনতা ব্যাংকের এ ঋণের বড় অংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুই ভাই-ই নাম লিখিয়েছেন শীর্ষ ১০ ঋণখেলাপির তালিকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডাটাবেজে রক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদে গতকাল শীর্ষ ১০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সংসদ টেবিলে এ তালিকা তুলে ধরেন তিনি। তালিকাটি করা হয়েছে ২০১৮ সালের জুনভিত্তিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। তবে শীর্ষ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কী পরিমাণ ঋণ রয়েছে, সে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের সবক’টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের তালিকাও সংসদে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় এবারো প্রথম স্থানে আছে চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের নাম। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই সংসদে প্রকাশ করা শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির তালিকায়ও শীর্ষে ছিল প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিতীয় শীর্ষ ঋণখেলাপি হিসেবে নাম এসেছে বিদ্যুত্ খাতের প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেডের। জনতা ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২৬ কোটি টাকা বের করে নিয়ে তৃতীয় শীর্ষ ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছে এমএ আজিজের রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড।

সংসদে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশে কার্যরত ৫৭টি তফসিলি ব্যাংক  ও ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮। এসব খেলাপির কাছে অনাদায়ী অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

ঋণখেলাপিদের তালিকায় চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম স্থানে আছে যথাক্রমে ম্যাক্স স্পিনিং মিলস, রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লি., রাইজিং স্টিল লিমিটেড, ঢাকা ট্রেডিং হাউজ, বেনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও আনোয়ারা স্পিনিং মিলস। দশম স্থানটি ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টসের।

তালিকায় শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির মধ্যে এর পরই আছে যথাক্রমে ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী নিটওয়্যারস, সিদ্দিক ট্রেডার্স, রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার, আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস, হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেড, মুন্নু ফেব্রিকস, ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং লিমিটেড, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিকস ও শাহরিজ কম্পোজিট টাওয়েল লিমিটেড।

শীর্ষ ঋণখেলাপিদের তালিকায় পরের ২০টি প্রতিষ্ঠান হলো— ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, সুরুজ মিয়া জুট স্পিনিং মিলস, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেড, পদ্মা পলি কটন নিট ফেব্রিকস, এসকে স্টিল, হেল্পলাইন রিসোর্সেস লিমিটেড, এইচ স্টিল রি-রোলিং মিলস, অটবি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস লিমিটেড, তাইপে বাংলা ফেব্রিকস, ঢাকা নর্থ পাওয়ার ইউটিলিটি কোম্পানি লিমিটেড, টি অ্যান্ড ব্রাদার নিট কম্পোজিট, তানিয়া এন্টারপ্রাইজ ইউনিট-২, সিক্স সিজনস অ্যাপার্টমেন্ট লিমিটেড, ইসলাম ট্রেডিং কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, রহমান স্পিনিং মিলস লিমিটেড, জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) লিমিটেড ও সিমেট সিটি জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি।

অর্থমন্ত্রীর প্রকাশ করা শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় ৪১তম স্থানে আছে এমকে শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড স্টিলস লিমিটেড। ৬০তম শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানটি ওয়ান ডেনিম মিলস লিমিটেড। ঋণখেলাপির তালিকায় ৪২ থেকে ৫৯তম স্থানে আছে যথাক্রমে কটন করপোরেশন, ন্যাশনাল স্টিল, এমবিএ গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড, সোনালী জুট মিলস লিমিটেড, এক্সপার টেক লিমিটেড, ওয়াল-মার্ট ফ্যাশন লিমিটেড, সাদ মুসা ফেব্রিকস লিমিটেড, চিটাগং ইস্পাত, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, হিমালয়া পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড, আমাদের বাড়ি লিমিটেড, এমদাদুল হক ভুইঞা, চৌধুরী টাওয়েল ইন্ডা. (প্রা.) লিমিটেড, চৌধুরী লেদার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, আর্থ এগ্রো ফার্মস লিমিটেড, নর্দান পাওয়ার সলিউশন লিমিটেড, ম্যাক শিপ বিল্ডার্স ও দি আরাব কন্ট্রাক্টরস বাংলাদেশ লিমিটেড।

শীর্ষ ঋণখেলাপির এ তালিকায় ৬১ থেকে ৮০তম স্থানে আছে যথাক্রমে লিবার্টি ফ্যাশন ওয়্যারস লিমিটেড, বিশ্বাস গার্মেন্টস লিমিটেড, মাস্টার্ড ট্রেডিং, হিন্দোল ওয়ালী টেক্সটাইল লিমিটেড, সগির অ্যান্ড ব্রাদার্স, গ্লোব মেটাল কমপ্লেক্স লিমিটেড, অরনেট সার্ভিসেস লিমিটেড, জালাল অ্যান্ড সন্স, করোল্লা করপোরেশন বিডি লিমিটেড, সাইদ ফুডস লিমিটেড, এপেক্স নিট কম্পোজিট লিমিটেড, এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড, আলী পেপার মিলস লিমিটেড, ড্রেজ বাংলা প্রাইভেট লিমিটেড, গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেড, আরজান কার্পেট অ্যান্ড জুট উইভিং মিলস লিমিটেড, ইন্ট্রাকো সিএনজি লিমিটেড, ফরচুন স্টিল, ফাইবার শাইন লিমিটেড ও দোয়েল অ্যাপারেলস লিমিটেড।

অর্থমন্ত্রীর প্রকাশ করা শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির তালিকায় শেষ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো— জাহিদ এন্টারপ্রাইজ, মজিবর রহমান খান, কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, জয়নব ট্রেডিং কোম্পানি, তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজ, এপেক্স উইভিংস অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, রিসোর্স ডেভেলপমেন্টে ফাউন্ডেশন, দ্য ওয়েল টেক্স, ডেল্টা সিস্টেমস, টেলিবার্তা, এমআর সোয়েটার কম্পোজিট, রেফকো ফার্মাসিউটিক্যালস, মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, নর্দান ডিস্টিলারিজ, নিউ রাখি টেক্সটাইলস, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, শফিক স্টিল, জারজিস কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজ ও হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা।

অর্থমন্ত্রী এদিন খেলাপি ঋণের সঙ্গে জড়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও প্রকাশ করেন। তালিকা অনুযায়ী সংখ্যাটি ৮৮। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬১ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। দেশের সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে ১৮ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৪০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৯ হাজার ২৮৪ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ৯০১ কোটি, বেসিক ব্যাংকে ৮ হাজার ৫৭৬ কোটি, কৃষি ব্যাংকে ২ হাজার ১৭৮ কোটি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ২ হাজার ৩৩২ কোটি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ৬৯৬ কোটি টাকা।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৭৬ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বেসরকারি অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৯৯৮ কোটি, প্রাইম ব্যাংকে ৩ হাজার ৪৫৮ কোটি, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে ৩ হাজার ৫২০ কোটি, এবি ব্যাংকে ২ হাজার ৯৪৭ কোটি, দ্য সিটি ব্যাংকে ২ হাজার ৬৭১ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকে ২ হাজার ৭২ কোটি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) ২ হাজার ৫১৮ কোটি, পূবালী ব্যাংকে ২ হাজার ১১৬ কোটি, উত্তরা ব্যাংকে ১ হাজার ৪৫৭ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংকে ১ হাজার ৬২৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকে ২ হাজার ৫৩১ কোটি. আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে ২ হাজার ১৮০ কোটি ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে ২ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে খেলাপি ঋণ রয়েছে ১ হাজার ১৫৭ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ১ হাজার ১৯২ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে ১ হাজার ৮২ কোটি, ওয়ান ব্যাংকে ১ হাজার ৩২৬ কোটি, এক্সিম ব্যাংকে ১ হাজার ৬৮৩ কোটি, ব্যাংক এশিয়ায় ১ হাজার ৬৭৩ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ১ হাজার ৪৪৩ কোটি, ব্র্যাক ব্যাংকে ১ হাজার ৭৬০ কোটি, ফারমার্স ব্যাংকে ১ হাজার ৩৯৪ কোটি ও ট্রাস্ট ব্যাংকে ১ হাজার ৩১ কোটি টাকা। 

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা / সেপ্টেম্বর ১৩,২০১৮ 

কোন কারণে জেলের ভেতর এত নাটক? - ড. কামাল


নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা. গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, জেলখানায় আদালত কাঙ্ক্ষিত নয়। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আইনজীবী সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।  ড. কামাল হোসেন বলেন, কোন কারণে জেলের ভেতর এত নাটক করা হচ্ছে? বেসামরিক সময়ের তথাকথিত জেলখানায় আদালত কাঙ্ক্ষিত নয়। তিনি বলেন, সামরিক সময়ে কর্নেল তাহেরের বিচারালয় কারাগারের ভেতর স্থাপনও মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। 

ড. কামাল বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে যারা অপমানিত করছে তারা অসভ্য। তাদের বিচার একদিন হবেই। অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে বিএনপি নেতা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বক্তব্য রাখেন।  দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদন্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা আরও এক মামলা তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন। সেই মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত বসানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর থেকে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।

ড. কামাল বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীকেতো নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়া যায়না। ইতিপূর্বে কি পটভূমিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল আপনারা সবাই জানেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে যাতে প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব না করে সেজন্যই এসেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারকেতো নিরপেক্ষ থাকতে হবে। 

ড. কামাল বলেন, জেলখানায় আদালত স্ববিরোধী। জেলখানায় জেলখানা হবে। আদালতে আদালত হবে। জেলখানা আদালত হতে পারেনা। এসব অস্বাভাবিক কাজ কেন করা হচ্ছে। এটা কেন প্রয়োজন হলো তা বুঝতে হবে। তিনি বলেন, জেলখানায় আদালত নিয়ে কত নাটকীয়তা কেন? ড. কামাল বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। অসুস্থ ব্যক্তিকেতো হাসপাতালে নিতে হবে। চিকিৎসা দিতে হবে। এটা সংবিধানে তার স্বীকৃত অধিকার। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮ 

Protesters demonstrate for gazette

QUOTA REFORM MOVEMENT









Bangladesh General Students’ Rights Protection Council brings out a procession on Dhaka University campus on Wednesday in protest against the issuance of 40th BCS recruitment circular without reforming quota system. — Sony Ramany

Students and jobseekers staged protests at the Dhaka University on Wednesday for immediate publication of a gazette notification reforming quota system in government jobs as the government on Tuesday issued circular for the 40th Bangladesh Civil Service recruitment with existing quota system.

Hundreds of students bought out a procession from science library that paraded all important streets on the campus, including Arts Faculty, Business Faculty, Central Library, Madhu’s Canteen and Raju Sculpture.

Bangladesh General Students Rights Protection Council central leaders Rashed Khan, Faruk Hasan among others joined the first procession after their release on bail.

Addressing the rally, council joint convener leader Nurul Haq Nur said that five months had elapsed since prime minister Sheikh Hasina announced the abolition of quota system in parliament but the government was yet to take any visible step causing frustration among students.

He said that they never wanted the abolition of quota system in government jobs, but demanded its reform.

Nurul urged the government to publish the gazette notification as soon as possible, withdraw ‘false’ cases against the students and ensure exemplary punishment for attackers on protesters.

Bangladesh Public Service Commission published the circular for the 40th BCS on Tuesday keeping previous quota system.

A secretary-level committee for a review of the quota system in public service recruitment was yet to finalise its report although the protesters’ deadline for publication of gazette notification reforming the quota expired on August 31.

Earlier on August 12, the protesters threatened to launch a tougher movement paralysing the country from September if their detained fellows were not released and a gazette notification reforming the quota system was not published by August 31.

Students and jobseekers took to the streets on February 17 and continued protests for reducing the quota in government jobs to 10 per cent from the existing 56 per cent, including 30 per cent for freedom fighters’ children and their grandchildren, 10 per cent for women and 10 per cent for districts, 5 per cent for ethnic minorities and 1 per cent for physically challenged people. 

The government on July 2 formed the seven-member committee to reform or abolish the quota system. 

The committee that includes secretaries from the Prime Minister’s Office, public administration ministry, finance division, legislative division, Liberation War affairs ministry and Public Service Commission was initially given 15 working days to submit the report. The timeframe was later extended to 90 working days.

Amid countrywide protests for reform of the quota system, prime minister Sheikh Hasina on April 11 told parliament that there would be no quota in government jobs. 

  • Courtesy: New Age/ Sep 13, 2018

Unlicensed hospitals a menace to public health

Editorial 

In response to a public litigation, the High Court (HC) ruled on September 11 that authorities must close down 14 private hospitals and clinics in the city's Mohammadpur residential area. These hospitals and clinics have been operating with neither valid documents nor requisite facilities or medical personnel. Indeed, from what has been reported in the press, we understand that these establishments were frequently visited by doctors on government payroll and the clientele were procured by middlemen.

That such medical establishments were allowed to operate in the heart of the capital city is alarming, to say the least. We are looking at all sorts of clinics and hospitals here, offering services from general medicine to diagnostic services; mental health to trauma care. We would like to know why the Directorate of Heath Services has to be directed by the HC to take action against the operation of these illegal medial establishments, many of which are run by public servants.

We would probably never have known of these illegal establishments had it not been reported in media. But now that the report has been followed up by a HC order, we expect authorities to come back with concrete actions within four weeks as to what steps they have taken to stop these clinics and diagnostic centres from operating. The quality of public health in our country is already highly suspect and the last thing we need is for illegal medical centres to crop up and operate with impunity in our urban centres where the chances of medical malpractice are much higher, putting public health in jeopardy.

  • Courtesy: The Daily Star/Sep 13, 2018

Arrest 'trade' goes on

Errant policemen make money from arbitrary detention, release









Relatives of people arrested have a last glimpse of their loved ones and exchange a few words through the vent of a prison van just before it left Sylhet Judge Court for jail yesterday. They were picked up by law enforcers during the ongoing drive against militants. Photo: Dwoha Chowdhury

Muhammad Jahidul Islam is an activist of Bangladesh Chhatra League. His entire family strongly supports the Awami League.

Yet, in the case filed against Jahid, Sub-Inspector Anwarul Islam of Khoksa Police Station mentioned that the accused was held on suspicion that he and some others had met to plan subversive activities to topple the government.

Jahid, who appeared in this year's HSC examinations, was returning to his home in Satpakhia village of Khoksa upazila, Kushtia, around 10:30pm on Friday when a team of police detained him.  

Jahid was never accused in any case before this, family members said.

Jahid's father Shafiullah alleged that he gave Tk 10,000 to SI Anwar as the official assured him of pressing a petty charge against his son.

The SI had threatened to file a case against Jahid under the Special Powers Act if he was not paid. In such a case, Jahid would not get bail even in a month, he had warned.

Jahid is another victim of the arrest trade police allegedly indulged in after launching a special crackdown against militants and criminals across the country on Friday.

The weeklong operation came in the wake of a string of targeted killings, especially the murder of SP Babul Akter's wife in Chittagong on June 5. 

As part of the drive, police arrested 11,684 people, including 145 suspected militants, till yesterday morning. As many as 3,155 people, including 26 suspected militants, were nabbed in 24 hours till yesterday morning.

There are allegations that police are releasing many of the arrestees taking money from families.

“We always vote for Awami League. How come my son was involved in a plot to topple the government?” said Jahid's father while talking to our correspondent on the court premises in Kushtia.

Khoksa unit AL General Secretary Torikul Islam too says that Jahid's family members are diehard AL supporters.

Jahid was released on bail granted by the chief judicial magistrate yesterday.

“I have been harassed socially with this incident,” said Saifullah, who also spent additional Tk 15,000 for other expenditures related to the case.

SI Anwarul denied receiving any money. “If I had taken the money, Jahidul would have been released already,” he added.

Contacted, eminent jurist Shahdeen Malik said he is not surprised at such malpractices relating to arrests.

A rising number of allegations against law enforcers of taking bribe and being involved in extortion were already anticipated, he said.

MONEY BUYS FREEDOM

Nurunnabi, 55, is a utensil shop owner of Bazalia Bazar in Satkania.

He was asked by some cops to go to Satkania Police Station with them to have some talks while returning home after closing the shop around 4:00pm on Monday.

At the police station, he was confined to the lock-up, and his family was asked to come over.

As the family members went to the police station, some officials said Nurunnabi is a Jamaat man and he would be made accused in several cases if Tk 50 thousand is not paid.

“The family members paid the cops accordingly and he was released from police custody,” a neighbour of Nurunnabi told The Daily Star, wishing anonymity since he was involved in the whole process.

Contacted over the phone, Nurunnabi said he does not want to go through further harassment by describing what police did to him.

Maulana Sahabuddin, a madrasa teacher in Purangar union under Satkania upazila in Chittagong, was released from custody around two hours after his detention. His family had to pay a hefty amount of money to cops.

Seven policemen picked him up from a tea stall at Purangar Bazar around 10:00pm on Sunday.

Sahabuddin declined to give further details and disclose the amount he gave to police fearing trouble again.

Mahmudul Huq, 30, a hardware store owner at Bazalia Bazar, however, is not fortunate enough to get released although he provided a good amount to police. He, however, was implicated in a simple case which helped him get bail from court.

He said three policemen asked him on Sunday afternoon to go with them to be a witness in a case. As soon as they reached the police station, he was detained in a lock-up and his family was informed.

“When my elder brother came to the police station they said to him that I am a Jamaat man,” Mahmudul said, adding that he was never involved in politics and has no case against him.

Sub-Inspector Najmul Hossain of Satkania Police Station admitted that there was no case against Mahmudul. He was arrested on suspicion of taking drugs and creating chaos.

Asked about the amount given to police, Mahmudul said, he does not know as his brother paid it. “I am a small businessman. I want no trouble with police,” he added.

Farid Uddin Khandakar, officer-in-charge of Satkania Police Station, however, denied all the allegations, saying that they only arrest the criminals and arrestees were sent to court.

“None was released in exchange for money. This allegation is completely false,” he said. 

PRO-BNP MEN ARRESTED

Monirul Islam, 20, a diploma student at Agriculture Training Institute in Ishwardi, Pabna, was picked up on Monday and made accused in a case filed earlier against unnamed persons for stealing an electric transformer in his locality.

Monirul, who is from Debottar village in Atghoria upazila, is the information affairs secretary of Pabna district Jatiyatabadi Chhatra Dal, a pro-BNP student body, according to his elder brother Md Mahabub Alam.

Mahbub claimed his brother is innocent.

Faruk Hossain, officer-in-charge of Atghoria Police Station, said Monirul was arrested as there are specific allegations against him.

Cops of Kawkhali Police Station in Pirojpur arrested Jakir Hossain Jewel, 40, in front of a mosque in his village Keundiya around 8:30pm on Monday when he went there to offer Tarabih prayers.

Jakir, son of late Abdul Mannan, is the organising secretary of ward-6 unit BNP in Kawkhali union.

Although Jakir was arrested at 8:30om on Monday, police in the case mentioned that it was 2:00am yesterday, said his cousin Nizamuddin.

Jewel was shown arrested in a case relating to a ballot paper snatching incident in the first phase of UP polls held on March 22. There are around 200 unnamed accused in the case.

ASI MALEK TRANSFERRED

Meanwhile, ASI Malek of Naldanga Police Station was transferred to Range Reserve Force (RRI), a day after he demanded Tk 20,000 from a union parishad chairman for the release of Milon Hossain, a shop owner in Natore's Naldanga upazila.

Police picked up Milon on Saturday and produced before a court after 48 hours.

Natore SP Shyamal Kumar Mukherjee said Malek was transferred following the allegation and step would be taken if the allegation against him is proved in investigation.

[Shariful Islam wrote the story based on reports from Amanur Aman of Kushtia, Minhaj Uddin of Chittagong, Ahmed Humayun Kabir Tapu of Pabna and Habibur Rahman of Pirojpur]  

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 13, 2018