Search

Wednesday, October 3, 2018

হাতিরঝিলে মামলা, কিছুই দেখেনি এলাকাবাসী

শুভ্র দেব 

পুলিশের মামলার এজাহারে তারিখ লেখা হয়েছে ৩০শে সেপ্টেম্বর রোববার। ঘটনার সময় দেয়া হয়েছে রাত ৮টা ৫ মিনিট। ঘটনার স্থান মগবাজার রেলগেট। মামলার বাদী পুলিশের উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রীয় নাশকতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম করার জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। এ ছাড়া যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের ওপর আক্রমণ, হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ করেছেন। মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, জামায়াত ও শিবিরের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের। এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে মির্জা আব্বাসকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।

বাকিরা হলেন- গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, রুহুল কবীর রিজভী। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমাবেশের আগে থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। তারপরও তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে এই নেতারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশে সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

পুলিশের এমন অভিযোগের পর গতকাল ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটার সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে বিস্মিত হয়েছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ বলছেন ভৌতিক বিষয় সামনে এনে এসব মামলায় জনগণের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ক্রমেই কমছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন শুধু বিএনপির সমাবেশের দিন কেন গত কয়েক বছরে ককটেল বিস্ফোরণ, মারামারি, পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। মগবাজার রেলগেট থেকে ১০ হাত দূরে চা-পান বিক্রি করেন মুজিবুর রহমান। ওই দিন রাতের বেলা তার দোকান খোলা ছিল। 

তিনি বলেন, অনেক সময় কাজের ব্যস্ততার জন্য অনেক কিছু চোখে পড়ে না আবার দেখাও যায় না। তবে এধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে এলাকায় একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ত। আর রেলগেট তো আমার চোখের সামনে। কিছু ঘটলে অবশ্যই চোখে পড়ত। কোনো শব্দও শুনতে পাইনি। ইউনিভার্স মটরর্সের কর্মী রহিম বলেন, আমি ওই রাতে ডিউটিতে ছিলাম। মারামারি বা ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারো মুখে এ ধরনের কোনো ঘটনার কথাও শুনিনি।

মগবাজার রেলগেট থেকে এফডিসি রেলগেট পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ পান-সিগারেট বিক্রেতা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, আমার যতটুকু মনে পড়ে ওই দিন সাড়ে ৮টার দিকে আমি এই এলাকায় ছিলাম। আমি একসঙ্গে অনেক লোক জমায়েত হতে দেখিনি। স্বাভাবিক ভাবেই যানবাহন চলাচল করছিল। কোনো যানবাহন ভাঙচুর হতে দেখিনি। রেলগেটের খুব কাছেই অবস্থান আকরাম অটো পার্টস ও সার্ভিসিং সেন্টারের। আকরাম বলেন, মগবাজার এলাকায় এখন আর এসব হয় না। এখানে কিছু ঘটলে আমরা জানতে পারি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বেআইনিভাবে সড়ক অবরোধ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ না করার জন্য পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশের ওপর আক্রমণসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় আশেপাশে থাকা ২টি সিএনজি ও ১টি বলাকা বাস ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের কারণে ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। গাড়িগুলো নিজেদের আত্মরক্ষার্থে দ্রুত চলে যাওয়ার কারণে গাড়িগুলোর নম্বর রাখা সম্ভব হয়নি। কিন্তু গতকাল রাজধানীতে চলাচলকারী বলাকা বাসের অন্তত ২০ জন চালক ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলে বলাকা বাস ভাঙচুরের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। মগবাজার এলাকায় বলাকা বাসের চালক শরীফ বলেন, আমাদের  কোনো বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বা অন্য কোনো ঘটনার শিকার হলে আমরা খবর পাই। তবে বিএনপির সমাবেশের দিনে কোনো বাস ভাঙচুর হয়েছে বলে আমার জানা নাই।  অপর এক বাসের চালকের সহকারী আলম জানান, সড়কে চলাচল করলে আমাদের বলাকা বাসের সব খবরই আমরা কোনো না কোনোভাবে পেয়ে যাই। তবে গত কয়েকদিন ধরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ বলছে, এসব ঘটনার পর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে কুমিল্লা জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া, বাড্ডা থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৮নং ওয়ার্ড কমিশনার মো. শফিউদ্দিন, ১৮নং গুলশান থানার বিএনপি সভাপতি রাশেদ বিন সোলায়মান, ভালুকা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, ৪১নং সাতারকুল বাড্ডা থানার যুবদল সভাপতি মো. সামছুল হক, লাঙ্গলকোট থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

মামলার বাদী হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, ঘটনাটি খুবই ক্ষণিকের। একদিকে গাড়ি চলাচল করছে অন্যদিকে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি বাস আরেকটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ লাগলে যে ধরনের শব্দ হয় ঠিক সে ধরনের শব্দই হয়েছিল। আশেপাশের লোকজন বুঝে উঠার আগে বিষয়টি শেষ হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমাদের অবস্থান কাছেই ছিল। আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ডিউটিরত অবস্থায় খবর পেয়ে মগবাজার রেলগেট এলাকায় এ ধরনের পরিস্থিতি দেখতে পাই। তখন আশেপাশে থাকা পুলিশের আরো কয়েকটি টিম মিলিত হই। আমাদের বাধা উপেক্ষা করে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমাদের ওপর লাঠি দিয়ে হামলা করে। গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি আশেপাশের মানুষ টের পায়নি বলে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও কি কেউ টের পায়নি এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাড়ির সংঘর্ষের শব্দের মতো হওয়ায় কেউ আর বুঝেনি।
  • কার্টসি: মানবজমিন/ ০৩ অক্টোবর ২০১৮

Bangladesh lags behind peers in internet usage

LIRNEasia survey finds


Bangladesh is still lagging behind its peers in Asia when it comes to internet usage and its awareness, found a recent survey.

Only 33 percent of the population aged 15-65 in Bangladesh know what the internet is, according to the 'AfterAccess' survey conducted by LIRNEasia, an Asia Pacific-based think-tank, between April last year and June this year.

Only 13 percent of the population in Bangladesh use the internet, the lowest among the countries surveyed in Asia.

However, according to the Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission, at the end of August there are 9.05 crore active internet connections in the country, meaning the internet penetration is more than 50 percent.

The survey interviewed 2,000 households and individuals from 100 wards and villages in 40 districts on a range of topics related to the use of mobile phones, internet, social media and other platforms.

The urban-rural gap in internet use was large in most countries, with rural dwellers lagging behind as much as 48 percent in India and 38 percent in Bangladesh.

The gender gap in internet use was markedly large in Bangladesh: 62 percent.

“Bangladesh has the worst gender gap not only in internet use but for mobile phone use as well as access of mobile phone,” said Helani Galpaya, chief executive officer of LIRNEasia, while unveiling the report at an event held at the capital's Pan Pacific Sonargaon hotel.

The cost of data was cited as a primary limitation to greater use by 30 percent of the internet users in Bangladesh -- the highest amongst the surveyed Asian countries.

Some 18 percent of the survey respondents in India and Pakistan quoted the data cost as a deterrent to greater internet usage, 29 percent in Nepal and 5 percent in Cambodia.

Bangladesh though fared better when it came to mobile phone ownership; in fact, it had the highest percentage of mobile phone usage among the Asian countries surveyed.

Some 74 percent of the 15- to 65-year-olds in Bangladesh have mobile phones, followed by Nepal at 72 percent, Cambodia at 68 percent, both India and Myanmar at 61 percent, and Pakistan at 57 percent.

Pakistan and Bangladesh had very small gaps -- 5 percent and 7 percent respectively -- indicating that rural dwellers are almost as likely to a mobile phone as urban dwellers.

The gender gap was the highest in India, with women 46 percent less likely to own a mobile phone than men. In Bangladesh the percentage is 34 percent, which is lower than Pakistan (37 percent) but higher than Nepal (19 percent), Myanmar (28 percent) and Cambodia (20 percent).

About 60 percent of the population in Bangladesh have internet-enabled handsets, which is the same as in Nepal but higher than India (45 percent), Pakistan (47 percent) and Cambodia (58 percent).

Bangladesh, however, has the highest number of users of mobile financial service in all countries surveyed. Around 27 percent of all mobile phone owners said they used MFS.

Awareness of websites or mobile apps to buy and sell goods or services was not particularly high in Bangladesh and Nepal, according to the survey.

Less than a quarter of the internet users in Bangladesh are aware of the various kinds of platforms for buying and selling goods and services. “When looking at overall numbers, usage was negligible.”

The main reason cited for non-use of the platforms was the lack of capability to use them, the survey found.

The report highlights the key issues in the telecommunications sector and provides deep insights on the disparity in use of mobile phones, internet, social media and platforms, Abu Saeed Khan, senior policy fellow at LIRNEasia, said at the event.

“It also underscores the potential for growth of a Digital Bangladesh, and we must use this data to inform future policy, regulatory and industry decisions,” he added.

Mahtab Uddin Ahmed, chief executive officer and managing director of Robi, who was present at the event, said the mobile operators face huge amount of challenges from the regulatory side, which is holding them back from achieving optimum growth.

Bangladesh has one of the lowest revenue per user but it is amongst the highest taxed countries, he said.

“The licensing regime is going against time. There are no consistencies in the policies, which is also hindering investors from investing more,” Ahmed added.

Michael Patrick Foley, chief executive officer of Grameenphone, said the industry has invested billions of dollars as there is potential, but the regulatory issues are holding them back.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 03, 2018

One-third population financially excluded

Experts blame high cost of financial transaction


One-third of the population in Bangladesh is still financially excluded because of the high cost of financial transaction and poor regulations, experts said yesterday.

Other major reasons for the exclusion include lack of banks' dedication to offer diversified services, existing collateral-based system for loan disbursement, low level of financial literacy, and information asymmetry, they said.

The observations came at the inaugural session of a workshop on rural financial inclusion, at Radisson hotel in Dhaka.

Bank Asia and the World Savings and Retails Banking Institute (WSBI) jointly organised the three-day event to focus on widening the access to basic financial services for people living in rural areas.

More than 50 banking leaders from nine countries in Asia took part in the event.

Mustafa K Mujeri, executive director of the Institute for Inclusive Finance and Development, said Bangladesh is performing well in terms of financial inclusion. But 33 percent of its people are still deprived of getting facilities from formal banks, non-banks and microfinance institutions.

Referring to a survey carried out by US-based InterMedia in 2016, Mujeri said 18 percent of the people aged over 15 have a full service account with banks and 22 percent are unbanked but have a multipurpose financial account with mobile financial services, agent banking or other formal channels.

Another 32 percent have access to the informal financial sector, he said.

The former director general of the Bangladesh Institute of Development Studies stressed the need for reducing the transaction cost and strengthening the regulatory frameworks to bring the unbanked people under the financial system.

Mohammed Arfan Ali, managing director of Bank Asia, said financial inclusion is a frequently discussed topic in Bangladesh as a huge number of people do not have access to banks. It is crucial to have them on board, Ali said.

Except a few banks, many lenders, both public and private, are still far away from helping the unbanked people, he said.

Ali said the major reasons for maintaining the distance from the unbanked people are the profitability issue and the infrastructural ecosystem that comes with serving the underserved.

He, however, said banks alone cannot be blamed for this inadequacy of financial inclusion.

“There are many other barriers in the financial sector that we face to give a boost to the financial inclusion,” he said, citing the lack of proper infrastructure and low literacy rate.

Ali said technological innovation, introduction of alternative business models and accessibility of data can create a unique opportunity to drive financial inclusion.

Mina Zhang, senior adviser of the WSBI, said inability and high cost of financing for micro-enterprises remains a common challenge in rural areas for most countries.

“Rural areas are still cash-dominant. Bringing the illiterate rural villagers to the formal financial system and comforting them to use the service is very costly,” she said.

SM Moniruzzaman, deputy governor of the central bank, said financial inclusion has become one of the country's core strategies to achieve the sustainable development goals and the Seventh Five-Year Plan.

This is the second WSBI workshop. The first one was held in Beijing last year.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 03, 2018

BNP in Run-up to Polls: Case-spree hints at a rough ride


The case filing spree that resumes after about three years' gap is making BNP leaders rethink strategies as they fear the days before the national elections will not be smooth for them.

Before this, several hundred cases were filed against the party men between 2013 and 2015. And charge sheets were submitted against senior BNP leaders in a number of cases.

The government has started implicating the BNP top brass again this year not only to weaken the party before the polls but also to provoke it into resorting to violence, the leaders alleged.

But the BNP high-ups want to move ahead defying all obstacles without walking into the trap, they added.

"We're not bothered about the cases. This is an old trick of the government. We will have to move forward despite such odds," BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir told The Daily Star yesterday.

"We will stage demonstrations tomorrow [today] and the day after tomorrow. We will hold more programmes step by step," he said.

More than a dozen cases were filed against senior BNP leaders on Monday, a day after the party high-ups asked its activists and supporters to prepare for both polls and movement from a rally at Suhrawardy Udyan.

While BNP Chairperson Khaleda Zia is in jail on graft charges, other top leaders including standing committee members, joint and organising secretaries now remain burdened with cases.

Mirza Fakhrul said the government filed as many as 4,098 cases against nearly 300,000 BNP men and arrested at least 4,300 activists in September alone.

"These are nothing but baseless and ghostly cases filed with political motives," said Fakhrul, accused in 87 cases.

Ruhul Quddus Talukder Dulu, one of the organising secretaries facing 107 cases now, said the government is filing false cases one after another as it has become desperate towards the end of its tenure.

"We are not worried about new cases. We have only two concerns now -- election and movement," he said.

A mid-ranking leader, wishing anonymity, said they will observe the situation till the announcement of election schedule. "We will go for movement only after the announcement of the election schedule."

The filing of fresh cases has prompted the BNP leaders to seek anticipatory bails from the High Court. Moudud Ahmed and Sanaullah Miah yesterday secured that in two separate cases filed on Monday.

Moudud, a standing committee member, is accused in 28 cases, while pro-BNP lawyer Sanaullah faces at least 9 cases. 

"The government wants to keep us away from the election and from movement, but we will not budge from our stances,” Khandakar Mosharraf Hossain told The Daily Star.

Mosharraf, another standing committee member, is facing 17 cases.

“The government is moving ahead with an outline for a one-sided and silent election without people's participation,” BNP Senior Joint Secretary General Ruhul Kabir Rizvi said at a press briefing at the party's Nayapaltan headquarters.

“Filing of the cases against our senior leaders is the first step towards implementing their plan"

He said police are always ready with a format of fictitious charges to arrest BNP leaders and activists, and implicate them in cases. “They used the same format to file cases against our senior leaders in the past.”

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 03, 2018

Job Regularisation in Malaysia: Agents rake in millions

Thousands of Bangladeshis pay them huge sums, fall prey to cheating, manipulation

Porimol Palma


Agents in Malaysia have swindled a huge sum of money from thousands of Bangladeshi workers in the Southeast Asian country, who, over the last two years, had applied to regularise their immigration status, victims and researchers said. 

The exploitation of workers began after Malaysia declared a rehiring programme in February 2016 and appointed three private companies -- MyEG, Iman Resources Sdn Bhd and Bukti Megah (BM) Sdn Bhd -- for processing documents of irregular foreign workers, including Bangladeshis.

The three Malaysian companies in turn subcontracted the work to hundreds of Malaysian agents who would liaison with undocumented migrants across the country.

This is where manipulation, bribery and even cheating took place on a massive scale. 

The official fee the three companies were supposed to charge for the regularisation of the workers was 1,150 Malaysian Ringgit (1RM: 20.36 TK). Including insurance and medical test fees totalling RM 350 and an annual levy of RM 2,400, which the employer is legally obligated to pay, the highest amount an irregular migrant was supposed to pay was RM 3,900, said a Bangladeshi broker in Kuala Lumpur on condition of anonymity.

However, according to migrants interviewed, the agents collected double or even triple the amount in different phases of registration -- collecting fingerprint, medical test report and final submission of the application to the immigration department. The agents charged fees ranging from RM 6,000 to 10,000 for each.

In many cases the migrants even had to bribe the employers for acquiring papers that showed they were hiring the foreign workers.

“LIVING IN A LIMBO”

Some eight lakh foreign workers applied to the immigration department for work permits under the rehiring programme, the Malaysian Employers Federation (MEF) Executive Director Shamsuddin Bardan said.

Considering that this figure may not show the true picture, as many agents had tricked migrants by taking money from them for the permits without filing any documents, the amount of money the agents received is “astronomical”.

Of some 10 lakh Bangladeshis working in Malaysia, half were undocumented, said an official at the Bangladesh High Commission in Kuala Lumpur, adding that almost all of the five lakh undocumented ones had applied for regularisation but did not get it.

“Even if the minimum amount of 6,000 Ringgit is considered, the five lakh Bangladeshis have paid 300 crore Ringgit, which is more than Tk 6,077 crore,” said Mohammad Harun Al Rashid, a Bangladeshi migrant rights activist in Kuala Lumpur.

Another problem was that the Bangladesh High Commission official did not know of the number of Bangladeshis who were issued work permits under the rehiring programme.

Bangladeshi migrants in Selangar, Kuala Lumpur and Melaka told this correspondent that not more than 20 percent of the applicants for regularisation got the work permits.

“This is a precarious situation. They paid so much of their hard-earned money but are still living in a limbo. Thousands of migrants are facing detention and risks of deportation,” Harun said. 

Between July 1 and last week, 10,495 workers from Bangladesh, Nepal, Indonesia, the Philippines, India and Pakistan have been held, Immigration Department Director-General Mustafar Ali said.

The exact number of the detained Bangladeshis could not be confirmed. However, Mustafar on September 4, said over 30,000 foreign workers had been detained since January and around 6,000 of them were Bangladeshis.

A Bangladeshi migrant, Saiful Islam, while describing his sufferings, said he paid 5,000 Ringgit to a Bangladeshi agent towards the end of November in 2016, but the agent disappeared before the final submission of his application to the immigration department. After failing to trace the agent, Saiful applied for a work permit through an agent of MyEG again in the middle of 2017.

“But I'm yet to receive the work permit,” he told this correspondent at a restaurant in Cyberjaya on September 12.

“I don't know why the immigration department has not issued my work permit. I am living in fear of arrest,” added Saiful.

NO REDRESS YET

Bardan, the MEF executive director, gave a brief picture of the applicants' status. He said of the eight lakh applicants some 3.5 lakh had been approved so far, while around some one lakh applications were rejected. The rest could be waiting for approval from the Malaysian home ministry.

He, however, expressed surprise at how only 800,000 undocumented foreign workers had applied when there was an estimated 30 lakh such workers in Malaysia.

Tian Chua, vice president of People's Justice Party, a component of the now ruling Pakatan Harapan (PH) coalition in Malaysia, said many of the agencies under the rehiring programme did not submit applications to the immigration department during the transition of the government. The PH coalition came to power, defeating Barisian Nasional, in the general polls in May this year.

“When the police pick them [migrants] up, they say they submitted applications to the agents. But many of them [agents] are corrupt. When they [police] check in the system…if the passports [included with the applications] are not found, you are stuck,” Chua, also an expert on labour issues, told this correspondent at a hotel in Kuala Lumpur on September 18.

Further complicating matters was the presence of fake agents involved in the rehiring programme. One such syndicate was busted by immigration police in Kajang and Nilai areas on August 15.

The syndicate, led by a 35-year-old Malaysian known as “Abang Is”, was found to have cheated over 270 foreign workers from India, Indonesia, Bangladesh and Myanmar, and earned RM 22 lakh, reported The Star, a Malaysian newspaper.

The migrants said fraudulent practices by the labour agents have been a massive problem in Malaysia. 

“The agents have made our lives hell. They are sucking our blood,” said Sarwar Hossain, a Bangladeshi migrant working at a construction firm in Cyberjaya.

Glorene Dass, executive director of Tenaganita, a rights body in Kuala Lumpur, said the agents defrauded and deceived people, but faced little action.

“For example, workers are not given receipts of rehiring payments and many agents cheat workers...there is no adequate redress mechanism that can investigate and track these agents,” she said.

Tian Chua admitted that many of the migrants were victims of corruption by the private companies and their agents who had connections with the previous government. The present government is trying to correct it, he said.

“We need to have a bilateral discussion with Bangladesh and see how we can find a solution,” said Tian Chua, also a former MP.

Harun, the Bangladeshi right activist, said Bangladesh High Commission should have created massive awareness among the migrants on how not to fall prey to the fraudulent agents, but it has done little in this regard.

This correspondent called High Commissioner Shahidul Islam and Labour Councilor Sayedul Islam several times on their phones, but  they did not answer.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 03, 2018

Tuesday, October 2, 2018

বারবার সুবিধা নেয় কিন্তু ঋণ পরিশোধ করে না অলটেক্স

মেহেদী হাসান রাহাত 

খেলাপি হয়ে যাওয়া ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ নিয়েছে অলটেক্স গ্রুপ। গত বছর ১২৯ কোটি টাকা সুদ মওকুফ সুবিধা গ্রহণের সুযোগও পায় গ্রুপটি। তার পরও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ৩৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করছে না অলটেক্স। ঋণের টাকা পরিশোধে অলটেক্স গ্রুপ তাদের বন্ধ কোম্পানি ও জমি বিক্রির চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় কার্যালয় (লোকাল অফিস) থেকে ঋণ নেয় অলটেক্স গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠান অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, অলটেক্স স্পিনিং ও অলটেক্স ফ্যাব্রিকস। এর মধ্যে ব্যাংকটির সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে, ২৩৬ কোটি টাকা। এছাড়া অলটেক্স ফ্যাব্রিকসের কাছে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ৪৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ব্যাংকটির ৮০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে অলটেক্স স্পিনিংয়ের কাছে। সব মিলিয়ে অলটেক্স গ্রুপের এ তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের ঋণের পরিমাণ ৩৬৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা এরই মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে।

২০১০ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে ৩৪ কোটি টাকার ডিমান্ড ঋণ নেয় অলটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০১১ সালে নেয় আরো ৯২ কোটি টাকার ঋণ। সুদাসলে শুধু অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছেই সোনালী ব্যাংকের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। যদিও এ ঋণ পরিশোধে ২০১৫ সালে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণের ওপর প্রযোজ্য মোট সুদের ৮৭ শতাংশ বা ৭২ কোটি টাকা মওকুফ করে সোনালী ব্যাংক। মওকুফের পর পাওনা দাঁড়ায় ১৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সুদহারও কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এজন্য ডাউন পেমেন্ট হিসেবে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ সোনালী ব্যাংককে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার তিনটি চেক দেয়। কিন্তু অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে চেক ডিজঅনারের মামলা করে সোনালী ব্যাংক এবং সুদাসলে পাওনা ২৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকাই রয়ে যায়।

প্রতিশ্রুতি অনুসারে ডাউন পেমেন্টের টাকা না দেয়ায় অলটেক্সের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিল হয়ে গেলেও আবারো গ্রুপটিকে একই সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নেয় সোনালী ব্যাংক। গত বছরের আগস্টে অলটেক্সের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে ১২৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয় সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ। এর মধ্যে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ২৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৭২ কোটি টাকার সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ তিন বছরের মধ্যে ঋণের টাকা পরিশোধ করার শর্ত দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও সুদহার নির্ধারণ করা হয় ১০ শতাংশ। সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখায় অলটেক্সের নামে থাকা চলতি হিসাব থেকে ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট হিসেবে কেটে রাখার কথা ছিল সোনালী ব্যাংকের।

অলটেক্স ফ্যাব্রিকসের কাছে থাকা ৪৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে সুদ বাবদ ২০ কোটি ৮১ লাখ টাকা মওকুফ করে সোনালী ব্যাংক। অবশিষ্ট ২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার শর্ত নির্ধারণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির আংশিক জমি কিনতে আগ্রহী ক্রেতার নামে থাকা ৬৪ লাখ ও ২০১৩-১৬ সাল পর্যন্ত কিস্তি হিসেবে ব্যাংকে জমা দেয়া ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পরও ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্টে ঘাটতি থেকে যায়। তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে টাকা আদায় হবে, এ আশায় প্রস্তাবটি অনুমোদন করে ব্যাংকের পর্ষদ।

গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান অলটেক্স স্পিনিংয়ের ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার সুদ মওকুফের পর ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায় ৪৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। এ প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে চলতি হিসাবে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা জমা থাকায় ৯০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা জমা দেয়ার শর্ত দেয়া হয়। এ শর্তও পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় অলটেক্স স্পিনিংয়ের কাছে ব্যাংকটির ঋণের স্থিতি ৮০ কোটি টাকা অপরিবর্তিত থাকে।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওবায়েদ উল্লাহ্ আল্ মাসুদ বলেন, অলটেক্সের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আটকে আছে। তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সুদ মওকুফ করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও গ্রুপটির কাছ থেকে টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি। টাকা আদায়ে আমরা চূড়ান্ত পদক্ষেপের দিকেই হাঁটছি।

সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোম্পানিটির কাছে নগদ টাকা না থাকায় তারা ব্যাংকের ডাউন পেমেন্টের টাকা দিতে পারেনি। এতে গত বছর পর্ষদে ঋণ মওকুফের যে সুবিধা দেয়া হয়েছিল, সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে অলটেক্স। তাছাড়া কোম্পানিটির জমি কিনতে আগ্রহী ক্রেতার সঙ্গে এ বিষয়ে এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রুপের বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠান অলটেক্স ফ্যাব্রিকস ও অলটেক্স স্পিনিং বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের জমিও আংশিক বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। কোম্পানি ও জমি বিক্রির টাকা দিয়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের শেষ চেষ্টা করছে তারা।

অলটেক্স গ্রুপের মূল উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমদ। গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তিনি। গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আছেন তার ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ। ঋণ পরিশোধের বিষয়ে জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রুপের একটি সূত্র জানিয়েছে, একসময় কোম্পানির ব্যবসা ভালো থাকলেও রফতানি কমে যাওয়ার কারণে লোকসানে পড়তে হয়েছে। এতে ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য ওয়ান টাইম এক্সিটের আওতায় সুদ মওকুফ ও ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তবে নগদ অর্থের সংকটে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই কোম্পানির জমি বিক্রি কিংবা অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থ সংস্থানের মাধ্যমে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য চেষ্টা চলছে। যদিও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

উল্লেখ্য, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ রফতানিমুখী একটি প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে পণ্য রফতানি করে কোম্পানিটি। হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ বেশ কয়েকবার রফতানির জন্য পদকও পেয়েছে। তবে ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অলটেক্স গত ২০ বছরে বিনিয়োগকারীদের মাত্র চারবার লভ্যাংশ দিয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে প্রকাশিত শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম আসছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের।

  • কার্টসি: বণিকবার্তা / ০২ অক্টোবর ২০১৮

Free Shahidul Alam — Wasfia sends message from New York sky


Boarding an airplane, Wasfia Nazreen, the first Bangladeshi to have climbed the Seven Summits, carried a banner message around the sky of New York city demanding the release of noted photographer Shahidul Alam.

The banner message “Free Shahidul Alam” the plane circled around the sky of Manhattan for one and half hours before the backdrop of a setting sun, Wasfia Nazreen said in a statement floated to the media yesterday.

The banner further urged to “free our teachers” referring to Shahidul’s role as a teacher, mentor and guide to the youth. The hashtags UNGA and Bangladesh could be seen.

Shahidul, also founder of Drik Picture Library, was picked up by plainclothes men from his home in the capital's Dhanmondi on August 5. He alleged he was tortured in jail.

He has been denied bail on several occasions and has been staying in prison since then.

Wasfia, also a national geographic explorer, carried the message from the sky, the statement reads.


“Dr. Alam is an inspiration for Bangladesh and beyond. He should be celebrated amongst Bangladeshis for the treasure and pride that he is. We, the youth of Bangladesh who comprise almost seventy percent of the Nation, urge the Government of Bangladesh to immediately and unconditionally release him and all our teachers. I hope our respected leaders will pay heed to our message.”

As the plane circled around the iconic Statue of Liberty, a packed crowd curiously cheered from below and a rainbow appeared in the sky, sometimes reflecting on the face of Shahidul Alam, the statement said.

This creative protest follows a weekend of demonstrations and talks held at the city calling for greater press freedom in Bangladesh, particularly addressing the case of Shahidul.

Demonstrators gathered outside the UN General Assembly on September 27 to call for freedom of the press and protection of journalists in Bangladesh.

At a separate event at the UN General Assembly, the Committee to Protect Journalists (CPJ) covered the imprisonment of Shahidul, along with journalists from Myanmar, Kyrgyzstan, and Egypt. They denounced several countries for imprisoning journalists, and others for failing to admonish those that do.


Shahidul, an internationally renowned Bangladeshi photojournalist, human rights activist and academic, has been in police custody since August 5, following an interview on Al Jazeera in which he claimed that the broader context of ongoing student protests was pent-up anger at government corruption and misuse of power, the statement said.

The 63-year-old Shahidul Alam says he has been beaten in custody, and his health has deteriorated in prison. His bail hearing has been postponed repeatedly, dragging out the judiciary process in a war of attrition, the statement said.

Shahidul’s imprisonment and the passage of the new Digital Security Act, point to a disturbing trend toward suppressing freedom of press and speech, it added.

The call for Shahidul’s release has been supported internationally by numerous organizations, including 12 Nobel Laureates and international figures including Kerry Kennedy, Archbishop Desmond Tutu, Hollywood actress and activist Sharon Stone, Amartya Sen, British MPs, including Tulip Siddiq, the niece of Bangladesh’s Prime Minister Sheikh Hasina.

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে ‘গায়েবি’ মামলা

  • ফখরুল, মওদুদ, মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর আসামি
  • আমীর খসরু বিদেশে ভ্রমণরত থাকলেও সমাবেশে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে 
  • জনসভায় অংশ না নিলেও অভিযুক্তের তালিকায় নাম এসেছে রুহুল কবীর রিজভীর



সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় দলীয় কর্মীদের আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গতকাল মামলা দিয়েছে পুলিশ।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে মগবাজার এলাকায় বিএনপি সমর্থকরা হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়, হত্যার উদ্দেশে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়, যানবাহন ভাঙচুর করে এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়। বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশেই এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ।

গতকাল সন্ধ্যায় ডেইলি স্টারের একজন প্রতিবেদক মামলায় উল্লেখিত ঘটনাস্থল মগবাজার রেলগেট এলাকার দোকানদার, বাসিন্দা ও পথচারী মিলিয়ে অন্তত ১০০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সবাই জানিয়েছেন, রোববার ওই এলাকায় ভাঙচুর, হাতবোমার বিস্ফোরণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তবে কয়েকজন ফেরিওয়ালা বলেছেন, মগবাজার ফ্লাইওভারের কাছ থেকে ওইদিন বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে বেশ কয়েকজন লোককে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের একদল লোক।

মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মওদুদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং মঈন খানকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে পুলিশ বলছে, রোববারের সমাবেশে বিএনপির নেতারা সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পর ফেরার পথে দলের সমর্থকরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।

যদিও মজার বিষয় হচ্ছে, আমীর খসরু গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। আর রিজভী সমাবেশে যোগই দেননি।

হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা এই মামলায় বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী, আমান উল্লাহ আমান এবং রুহুল কুদ্দুস তালুকদারসহ দলটির আরও ৪৫ জন নেতা-কর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে রমনা, শাহবাগ, মতিঝিল, পল্টন, যাত্রাবাড়ী, কদমতলি, লালবাগ এবং ধানমন্ডি থানাতেও রোববার বিকেল ও সোমবার সকালের মধ্যে বিএনপির নামি-বেনামি আরও কয়েকশো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অন্তত ৯টি মামলা করেছে পুলিশ।

তাদের সবার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড, ভাঙচুর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিবরণীতে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, ফখরুল এবং বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েই তারা অপরাধে জড়িত হয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও এমপি প্রার্থী মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরফুদ্দিন, ঢাকা ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশেদ বিন সোলায়মান, ভালুকা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন এবং ঢাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সামছুল হক।

পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল থেকেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলামত হিসেবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি বাঁশের লাঠি, দেড় লিটার পেট্রল, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ জব্দ করেছে।

বিএনপির একজন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেছেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এড়িয়ে আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।

তিনি আরও বলেছেন, এই ১০টি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গতকাল ঢাকার অপর একটি আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে, কয়েকজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং বাকিদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ৮৭টি মামলার আসামি মির্জা ফখরুল গতরাতে ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘সবগুলো মামলাই মিথ্যা। আমাদের হয়রানির জন্যই এসব মামলা সাজানো হয়েছে।’

  • ডেইলি স্টার/  ০২ অক্টোবর ২০১৮

প্রকল্প বাতিল, সুদ টানছে পেট্রোবাংলা - স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হোক

প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের সঞ্চালন লাইন স্থাপন প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হয় কয়েক বছর আগে। এ প্রকল্পের নামে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবির) কাছ থেকে নেয়া ২৫০ কোটি টাকার ঋণ ৫ শতাংশ সুদহারে পরিশোধ করতে হচ্ছে পেট্রোবাংলাকে। প্রকল্প বন্ধের পর অযত্ন-অবহেলায় খোলা আকাশের নিচে রয়েছে গ্যাস বিতরণের ১৪৮ কোটি টাকার পাইপ। গতকাল বণিক বার্তায় প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি সরকারের নির্দেশে নেয়া হলেও গ্যাসস্বল্পতায় সরকারের নির্দেশেই এটি বন্ধ করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, ২০০৯ সালে যখন প্রকল্প নেয়া হলো, তখনো সবাই জানত, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পাইপে সরবরাহের মতো গ্যাস দেশে অবশিষ্ট নেই। তার পরও কার পরামর্শে এমন একটি শ্বেত হস্তীমার্কা প্রকল্প নেয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অদূরদর্শিতার কারণে পেট্রোবাংলাকে প্রতি বছর সুদের ঘানি টানতে হচ্ছে। 

প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির পাশাপাশি জ্বালানি বিষয়ে সরকারের নীতির পরিবর্তনের কারণেই প্রকল্পটি থেকে সরে আসা হয়েছে। বর্তমানে ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজিসহ আবাসিকে গ্যাস ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি ও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে ব্যাপারে সরকারের নীতির পরিবর্তনের কারণেই প্রকল্পটি অসমাপ্ত রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রকল্পের জন্য কেনা সামগ্রী সরকারের অন্য কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়, সরকার ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে আর আগ্রহী নয়। বলা যায়, সরকার এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। এর অর্থ হলো, ওই অঞ্চলের মানুষ গ্যাস পাবে না, গ্যাসভিত্তিক কোনো শিল্প-কারখানা সেখানে গড়ে উঠবে না। আমরা যে সুষম উন্নয়ন বা আঞ্চলিক উন্নয়নের গুরুত্বের কথা সবসময় উচ্চারণ করি, এ সিদ্ধান্তে তা ব্যাহত হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পিছিয়ে থাকবে একটি বিরাট এলাকা। 

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রকল্প কোনো অজুহাতেই বন্ধ করে দেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হতে পারে না। সরকারের বা মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল, কেন প্রকল্পের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক হয়নি, কেন বারবার সময় বাড়িয়েও কাজ সম্পন্ন করা যায়নি, তা খুঁজে বের করা। এজন্য যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা দূর করা। এই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানিকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা। এ শ্লথতা, সময়ক্ষেপণ ইত্যাদির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বর্তমানে যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, সেখানেই প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না। গ্যাস সংকট নিয়েই চলছে শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন। সমুদ্র এলাকায় গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। স্থলভাগেও নতুন বড় গ্যাসের আধার সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। 

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সংকট মোকাবেলায় শিল্প-কারখানায় ধীরে চলো নীতিতে গ্যাস দেয়া হচ্ছে। কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে, রেশনিং করে গ্যাসের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন পাইপলাইনে গ্যাস দেয়া একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে আছে। অথচ সংকটের তথ্য জেনেই নেয়া হয়েছিল ওই প্রকল্প। এক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণের আগে আরো তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা উচিত। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেয়া বা নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হোক না কেন, সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও যথাযথ জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নইলে অর্থের এমন অপচয় বন্ধ হবে না। এতে জনগুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নও বাধাগ্রস্ত হয়।

কার্টসি: বণিকবার্তা / ০২ অক্টোবর ২০১৮

বেপরোয়া মোটরসাইকেল ঢাকায় দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে


রাজধানীতে বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। গত দুই মাসে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ ব্যক্তির সাতজনই ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী। একইভাবে ২০১৭ সালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার ২৭ শতাংশই ঘটে মোটরসাইকেলে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কাজ করা সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

ঢাকার মতো জনবহুল, যানজট ও দুর্ঘটনাপ্রবণ শহরে মোটরসাইকেলের মতো দুই চাকার বাহন কোনোভাবেই উপযুক্ত নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তবে বিআরটিএ মোটরসাইকেল নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রে পুরোপুরি লাগাম ছাড়া। খোদ বিআরটিএর হিসাব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে শুধু রাজধানীতে দৈনিক গড়ে ২৭২টি নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধন পেয়েছে। মোটরসাইকেল নিবন্ধন বৃদ্ধির কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকির পাশাপাশি রাস্তায় বিশৃঙ্খলাও বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকাসহ সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে নিসচা। বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, গত দুই মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন। এর সাতজনই মোটরসাইকেল আরোহী। ২০১৭ সালে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা গেছে, তার ২৭ শতাংশ মোটরসাইকেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০১৫ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৬২৬টি। একইভাবে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দুর্ঘটনা ঘটেছে যথাক্রমে ২ হাজার ৩১৬ ও ৩ হাজার ৩৪৯টি। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (সেপ্টেম্বর) ২ হাজার ৬৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল সাত লাখ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২২ লাখ। মোটরসাইকেলচালকদের একটা বড় অংশ কিশোর। তাদের বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি।

নিসচা সারা দেশে ২২ লাখের হিসাব দিলেও বিআরটিএর পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল রয়েছে ২৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই চলাচল করছে প্রায় ৫ লাখ ৭৮ হাজার মোটরসাইকেল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন পেয়েছে ৬৫ হাজার ৩৩২টি। গড় হিসাবে এ সময়ে ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন ২৭২টি করে নতুন মোটরসাইকেল নেমেছে।

নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) নুরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের তত্পরতার কারণে বর্তমানে কেউ আর হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন না। ট্রাফিক আইনও মেনে চলছেন। এর মধ্যেও যখন কেউ ট্রাফিক আইন ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিকভাবেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। যারাই আসছে, আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো যাচাই করে তাদের নিবন্ধন দেয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেল নিবন্ধন বিআরটিএর রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস।

বিআরটিএর এ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল আরোহীরা ট্রাফিক আইন মেনে চলছেন বা মানতে বাধ্য হচ্ছেন উল্লেখ করলেও সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। বেশির ভাগ পয়েন্টেই আরোহীরা ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে ফাঁকফোকর দিয়ে চলছেন। এখনো ফুটপাত দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। তবে দুজনের বেশি আরোহী না থাকা ও চালক-আরোহী সবাইকে হেলমেট ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকায় মোটরসাইকেলে বিভিন্ন কোম্পানি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা শুরু করার পরই মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে ঢাকায় উবার, পাঠাও, ওভাই, স্যাম, চলো, ইজিয়ার, আমার বাইক, সহজ রাইডার্স, বাহন, আমার রাইড, ঢাকা রাইডার্স, ঢাকা মটোসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারের সুবিধা দিচ্ছে। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর বদৌলতে ক্রমবর্ধমান মোটরসাইকেল ঢাকার যানবাহন ব্যবস্থাপনাকে বিশৃঙ্খল করে তুলছে বলে মত দিয়েছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, দুই চাকার গাড়ি কখনই নিরাপদ বাহন নয়। বাণিজ্যিকভাবে যখন ব্যবহার হয়, তখন এগুলো আরো অনিরাপদ হয়ে ওঠে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। দুঃখের বিষয়, রাইড শেয়ারিং নীতিমালায় মোটরসাইকেলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা একটা ভুল পদক্ষেপ। মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চলাচল ঠেকাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

  • কার্টসি: বণিকবার্তা / ০২ অক্টোবর ২০১৮