Search

Monday, October 8, 2018

আবার টাকার মান কমল

  • ডলারের বিনিময়মূল্য ৫ পয়সা বেড়ে ৮৩ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে 
  • আমদানি দায় শোধ করতে এ হার বেঁধে দেওয়া হয়েছে
  • তবে খোলা বাজারে ডলারের দাম ৮৬ টাকায় উঠেছে
  • ভারতে ৩ মাসে ডলারের দাম ৫-৬ রুপি বেড়েছে



তিন মাস আটকে রাখার পর ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়তে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সপ্তাহের শেষ তিন দিনে ৫ পয়সা বেড়েছে প্রতি ডলারের দাম। ফলে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮৩ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে। মূলত আমদানি দায় শোধ করতে এ হার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে খোলা বাজারে ডলারের দাম ৮৬ টাকায় উঠেছে।

এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত তিন মাসে ডলারের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৫ থেকে ৬ রুপি বেড়েছে। ভারতে গত জুনে প্রতি ডলারের দাম বিনিময়মূল্য ছিল ৬৮ দশমিক ৮০ রুপি, গত শুক্রবার তা বেড়ে ৭৪ রুপি ছাড়িয়ে যায়। দেশটির মুদ্রানীতিতে নীতিনির্ধারণী সুদ হারের কোনো পরিবর্তন না আসার পরই ব্যাপক হারে রুপির দরপতন হয়। যেটা ভারতের ইতিহাসে রেকর্ড।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে যেভাবে রুপির মান হারাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ ডলারের আয় হারাতে পারে। এ জন্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয় ধরে রাখতেই টাকার মানে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আরও কয়েক দিন এমন প্রবণতা চলবে।

জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমদানি ব্যাপক হারে বাড়ছে। অনেক বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। তাতে সামনের দিনগুলোতে ডলারের ওপর চাপ আরও বাড়তে পারে। তাই টাকার মান অবনমন করলে অনেক বুঝে করা প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নির্দিষ্ট করে দেয়। ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয়, ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সার বেশি দামে আমদানি দায় শোধ করা যাবে না। এ জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ডলার বিক্রি করে, তার দামও ছিল ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা।

গত ২৮ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডলারের দাম এভাবেই আটকে রেখেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আর একই সময়ে বাজারের সংকট সামলাতে ব্যাংকগুলোর কাছে ২০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে তারা। গত বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১৯৭ কোটি ডলার।

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের তুলনায় আমদানি দায় বেশি হওয়ায় এ সংকটের সূত্রপাত। এখন পর্যন্ত এই সংকটের কোনো সুরাহা হয়নি।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ০৮ অক্টোবর ২০১৮

মানুষকে আবার জিম্মির চেষ্টা

  • নতুন আইনে সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর
  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সাজা পর্যাপ্ত নয়
  • সাজা কমানোই এখন বড় দাবি শ্রমিকদের
  • পরিবহনশ্রমিকেরা রাস্তায়
  • ঢাকা বিভাগে পণ্য পরিবহন বন্ধ
  • বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে বাধা
  • ধর্মঘটসহ বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকি


সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে মাঠে নেমেছেন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা। ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলায় সব ধরনের পণ্য পরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। ১২ অক্টোবরের মধ্যে আইন সংশোধন করা না হলে পরিবহন ধর্মঘটসহ বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নামেন পরিবহনশ্রমিকেরা। যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পশ্চিম দোলাইরপাড় এলাকায় শ্রমিকেরা সড়কে পণ্যবাহী গাড়ি (পিকআপ-ট্রাক) থামিয়ে চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। লাইসেন্স না থাকলে চালকদের মুখে পোড়া ইঞ্জিন অয়েল মেখে দেওয়া হয়।

এদিকে গাজীপুরে শ্রমিকেরা কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় সাংবাদিকদের মারধর ও পথচারীদের হেনস্তা করা হয়। গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন বেলা ১১টার দিকে টঙ্গী আনারকলি সড়কের উল্টো দিকে ট্রাকস্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে মালবাহী ট্রাক ও পিকআপের গতিরোধ করে লাইসেন্স নিয়ে যান। কোনো কোনো চালককে মারধরও করা হয়।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। সেদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে তড়িঘড়ি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে সড়ক পরিবহন বিল পাস করা হয়। তবে রাষ্ট্রপতি এখনো এই বিলে সই করেননি।

নতুন আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় অপরাধ প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে দোষী চালকের সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া আইনে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও বিধান আছে। সে ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা বলেছেন, সড়কে চলা দীর্ঘদিনের নৈরাজ্য বন্ধে আইনে রাখা শাস্তির বিধান পর্যাপ্ত নয়। মন্দের ভালো সেই আইনও মানতে রাজি নন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন প্রথম আলোকে বলেন, জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের পুরোনো অভ্যাস। ১৯৮৩ সালের আইনে সড়ক দুর্ঘটনার সাজা ১০ বছর ছিল। শ্রমিকেরা জনগণকে জিম্মি করে ধারাগুলো জামিনযোগ্য ও সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর করতে বাধ্য করেছিলেন।

পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে। কেউ বললেই সেই আইনে সংশোধনী আনা যায় না। দাবি জানালেই এভাবে দাবি মেনে নেওয়া যাবে না। পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টির সমাধান করবে।

সড়কে শ্রমিকেরা

গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-পোস্তগোলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। একপর্যায়ে পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে শুরু করেন শ্রমিকেরা। পশ্চিম দোলাইরপাড় এলাকায় দেখা যায়, যেসব চালকের লাইসেন্স নেই, তাঁদের নাকেমুখে পোড়া ইঞ্জিন অয়েল মেখে দেওয়া হয়। যাঁদের কাছে বৈধ লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছিল, তাঁদের গাড়ি চালানো বন্ধ করে আন্দোলনে নামতে বলপ্রয়োগ করা হয়। দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১০০ ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান সেখানে আটকে রাখেন শ্রমিকেরা।

পশ্চিম দোলাইরপাড় এলাকায় শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আইনে মৃত্যুদণ্ড আর পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে। এই বিধান মাথায় নিয়ে আমরা গাড়ি চালাব কী করে?’

সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কারও মুখে রং লাগানো বা লাইসেন্স চেক করে সেই লাইসেন্স নিজেদের কাছে রাখার আইনি অধিকার শ্রমিকদের নেই।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর-বছিলা সড়কের তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, পরিবহনশ্রমিকেরা প্রতিটি সড়কে বাঁশ, ইট, কাঠের টুকরা দিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন। বেড়িবাঁধ সড়ক, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সড়ক এবং বছিলা হয়ে কেরানীগঞ্জে যাওয়ার সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সকাল আটটার দিকে গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়তে বাধা দেওয়া হয়। ঢাকার ভেতরে চলাচলকারী বাস ছাড়তেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। জানতে চাইলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আহাম্মদ বলেন, একদল শ্রমিক বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। পুলিশ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

গত শনিবার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে সমাবেশ করে বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন শ্রমিক-মালিক ঐক্য পরিষদ। সেখানে নেতারা সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঐক্য পরিষদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা নেওয়া যাবে না, ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল করা, জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা, ভারী যানবাহনচালকদের হালকা লাইসেন্স না দিয়ে ভারী যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়া ইত্যাদি।

বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মুকবুল আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন। নেতারা তাঁদের সরিয়ে দিয়েছেন। আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলে তার প্রভাব পড়বে কাঁচাবাজার, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। জানতে চাইলে কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী বহুমুখী সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রতিদিন চার শ থেকে সাড়ে চার শ ট্রাক মালামাল নিয়ে আসে। পরিবহন বন্ধ থাকলে পণ্যের সংকট দেখা দেবে।

গত শনিবার রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বিআরটিসি বাস ডিপো প্রাঙ্গণে আলাদা সমাবেশ করে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এই পরিষদে রয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

এর আগেও বারবার মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের কৌশল নেয় পরিবহনমালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের প্রাণহানির মামলায় গত বছর বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এরপর সাভারে ট্রাকচাপায় এক নারীকে হত্যার দায়ে চালকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এই দুটি রায়ের প্রতিবাদে ধর্মঘট করেছিলেন পরিবহনমালিক-শ্রমিকেরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং সেফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক হোসেন জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা জনজীবনকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের যে চেষ্টা করছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থাকার জন্য শ্রমিকেরা আইন সংশোধনসহ এসব দাবি করছেন। শ্রমিকদের এমন দাবির প্রতি সরকারের কোনোভাবেই সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত হবে না।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ০৮ অক্টোবর ২০১৮

Sunday, October 7, 2018

অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করছে বিপুল সঞ্চয়পত্র

হাছান আদনান

সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাবদ সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি। ছয় বছর আগেও এ বাবদ ঋণ ছিল মাত্র ৬৪ হাজার কোটি টাকা। বিপুল অংকের এ সঞ্চয়পত্র বিক্রির কারণে ব্যাংকের আমানত প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। বিনিয়োগ মন্দায় ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজারও। উচ্চসুদের এ বিপুল সঞ্চয়পত্র সরকারের ব্যয়ও বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা অদূরভবিষ্যতে অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে ব্যাংকঋণ ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার। মূলত জনগণকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, নারী, প্রবাসী বাংলাদেশী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার জন্যই সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার। যদিও বাংলাদেশে সরকারের ঘাটতি অর্থায়নের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে এ সঞ্চয়পত্র।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১-১২ অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে সরকারের ঋণ ছিল ৬৩ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে নিট ৪৭৯ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। এরপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ৭৭২ কোটি টাকার। এর পর থেকেই লাগামহীন গতিতে বেড়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়ে ১১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ওই অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র খাতে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা।

২০১৪-১৫ অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র খাতে সরকারের ঋণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ওই অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার। এরপর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৩ হাজার ৬৮৮ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। গত অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে আরো ৫ হাজার ৩৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার। সব মিলিয়ে জুলাই শেষে সঞ্চয়পত্র খাতে সরকারের ঋণের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৮০২ কোটি টাকা।


সঞ্চয়পত্রে সুদহার না কমালে এর বিক্রি বাড়তেই থাকবে বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তাই সুদহার কমিয়ে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি সীমিত করার পক্ষে মত দেন তিনি। ড. আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, সঞ্চয়পত্রের কারণে সরকারের ঋণের ভার বাড়ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ঋণের ভার সরকার তিন-চার গুণ বেশি বড় করে ফেলেছে। উচ্চহারের সুদে এটি বড় করা হচ্ছে। এর দায়ভার আগামীতে জনগণকেই নিতে হবে। সঞ্চয়পত্রের কারণে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকে টাকা না গিয়ে সঞ্চয়পত্রে চলে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়ে মানুষ সঞ্চয়পত্র কিনছে। এতে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা চলছে। ব্যাংকিং খাতে ঋণের সুদহার না কমার পেছনেও সঞ্চয়পত্রের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে।

বর্তমানে দেশে ১৭ ধরনের সঞ্চয়পত্র ও সরকারি বন্ড বিক্রি করে সরকার। সঞ্চয়পত্রে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পরিশোধ করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনায় তিন মাস মেয়াদি আমানতের সুদহার ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে ব্যাংকগুলো। সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদহারে বিশাল ঘাটতি মানুষকে ব্যাংকবিমুখ করে তুলছে। ফলে মানুষ ব্যাংক থেকে আমানত তুলে সঞ্চয়পত্র কিনছে। সুদহারের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের সংখ্যা কমিয়ে এর বিক্রি সীমার মধ্যে রাখার কথা বলছেন ব্যাংকাররা।

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকের আমানত সঞ্চয়পত্রে চলে গেছে। এ কারণে আমানতের প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। ব্যাংকের কাছে আমানত না থাকায় বিনিয়োগ করা যাচ্ছে না। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে ঋণের প্রবৃদ্ধিতে। গত কয়েক মাসে ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক পরিস্থিতিতে চলে গেছে। সরকারের নির্দেশনার কারণেই আমরা ঋণ ও আমানতের সুদহার কমিয়ে এনেছি। আমানতের সুদহার কমার কারণে মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কিনছে।

সঞ্চয়পত্রের কাঠামো ও সুদহারে সংস্কার প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব না হলে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য হোঁচট খাবে। ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব না হলে দেশের প্রবৃদ্ধিতেও ধাক্কা লাগবে। সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ঋণ না বাড়িয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুদ ব্যয় অনেক কমে আসত।

সঞ্চয়পত্রের উচ্চসুদের ধাক্কা সইতে হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারকেও। গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স রেট হিসেবে সঞ্চয়পত্রের উচ্চসুদ বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত রিটার্ন বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কস্ট অব ইকুইটি বেড়ে যাচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারীই পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের পরিবর্তে সঞ্চয়পত্রে লগ্নি করছেন। উদ্যোক্তা শ্রেণীর পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররাও তাই দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

সঞ্চয়পত্রের সুদহার ও পুঁজিবাজারের সূচকের ঐতিহাসিক সম্পর্ক তুলে ধরে তারা বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদ কমায় ২০০৬-০৭ সালে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগপ্রবাহ অনেক বেড়েছিল। সঞ্চয়পত্রের সুদহার বৃদ্ধির পর তা আবার কমতে থাকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করা ও উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারী সব মহলের কাছে এর আকর্ষণ বাড়াতে বিশ্লেষক ও বাজারসংশ্লিষ্টরা যেসব পরামর্শ তুলে ধরছেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো তার মধ্যে অন্যতম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বণিক বার্তাকে বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহারের সঙ্গে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদহার বেশি থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসবে না। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সঞ্চয়পত্রের সুদহার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা প্রয়োজন।

সঞ্চয়পত্রের ওপর সরকারের অতিরিক্ত নির্ভরতাকে দেশের অর্থনীতির জন্য সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ)। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ও সমস্যা নিয়ে প্রকাশিত চলতি বছরের জুন সংখ্যার প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সংস্থাটি। সংকট সমাধানে পাকিস্তানের উদাহরণ তুলে ধরে সংস্থাটি বলেছে, পাকিস্তানে চলতি শতকের শুরুর দিকেও ৩০ ধরনের বেশি সঞ্চয়পত্র ছিল। উচ্চ রিটার্নের জন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি সব পক্ষই সেখানে বিনিয়োগ করছিল। ২০০০ সালে দেশটির সরকার সঞ্চয়পত্র সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়। এ সংস্কার সরকারের সুদব্যয় কমানো, আর্থিক বাজার সুশৃঙ্খল করা, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগপ্রবাহ বাড়ানোর মতো উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সফল হয়।

বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্রের বাড়তি সুদহার অর্থনীতির জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহার কিছুটা কমানো হলেও সরকারি বন্ড বা গ্যারান্টি হিসেবে যেকোনো ব্যাংকের এফডিআরের চেয়ে এটি মানুষের কাছে বেশি লোভনীয় হবে। দেশে নির্ভরশীল মানুষের জন্য তেমন কোনো আর্থিক নিরাপত্তা উপকরণ নেই। এ কারণে মানুষ সঞ্চয়পত্র কিনতে বাধ্য হচ্ছে। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা যখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হয়, তখন এর লক্ষ্য ব্যাহত হয়। এটি মূলত প্রশাসনিক সমস্যা। সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা দরকার। কারা এটি কিনছে, তাদের পরিচয় উদ্ঘাটন করা সম্ভব হলে মানুষ ব্যাংকমুখী হবে।

প্রতি বছর বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে, তা অর্জিত না হওয়ার কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর জোর দিতে হচ্ছে সরকারকে। বাজেটে রাজস্ব আহরণের বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কয়েক বছর ধরেই তা আহরণে ব্যর্থ হয়ে সংশোধনের পথে হাঁটতে হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। সর্বশেষ অর্থবছরে মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে সংশোধন করে ২৫ হাজার কোটি টাকা কমানো হলেও অর্থবছর শেষে সে লক্ষ্যও পূরণ করতে পারেনি সংস্থাটি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার মূল লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সাময়িক হিসাবে এনবিআরের রাজস্ব এসেছে ২ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছর শুধু এনবিআরের ঘাটতি মূল লক্ষ্যমাত্রার ৪১ হাজার কোটি টাকা; এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব যোগ করে ঘাটতি হিসাব করলে যার পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও মূল লক্ষ্য থেকে রাজস্ব কম এসেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরটিতে ২ লাখ ১০৩ কোটি টাকার মূল লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে এনবিআর। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম রাজস্ব পেয়েছে সংস্থাটি। আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক মিলিয়ে এ দুই মাসে ৩৫ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এনবিআর আহরণ করেছে ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। এ দুই মাসে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। পুরো অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয় প্রায় ৩২ শতাংশ।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ ০৭ অক্টোবর ২০১৮

BD to miss SDG target at present pace of housing

Experts for social housing to address the problem



The overall housing situation of the country is poor compared to the pace of development with 6.0 million housing shortages, according to experts.

They spoke of the government's lack of interest to take realistic measures to formalise and augment the housing supply process. The government's contribution is only 1.0 per cent of the total demand for housing, the experts observed.

Bangladesh will not be able to achieve the sustainable development goals' 11th target of housing for all by 2030 if the current trend continues, they said.

All the ad hoc basis initiatives have been failing due to corruption, lack of monitoring and coordination among ministries, the experts mentioned.They suggested social housing either by public or private or by the both.

Their main objective will be to ensure housing for all through a master plan, not to make a profit.

They made the views at a seminar on 'Housing for All' hosted by the Bangladesh Institute of Planners (BIP) in the capital, marking World Habitat Day 2018.

Urban Development Directorate (UDD) director Khurshid Zabin Toufique was present as the chief guest.

Four presentations were made on various issues of housing at the seminar held in the BIP conference hall.

BIP general secretary Adil Muhammed Khan made a presentation on 'Social Housing Concept and Housing for Low-income People in Bangladesh'.

He said the SDG target 11 stresses access for all to adequate, safe and affordable housing and basic services and upgrade slums by 2030.

About housing deficit in Dhaka city, he spoke of an imbalance between the total number of households and the total housing stock.The floor area per person is as small as 12 square metres, he mentioned.

Mr Khan identified the scarcity of land and high building cost as major constraints for housing development in Dhaka.

High land price also excludes poor from land and home ownership, he added.

Experts said there is neither cost recovery nor cross subsidisation approach here by which housing can be ensured as it is a basic right.

According to the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS), there was a housing shortfall of 4.6 million units for 43.43 million people in 2010. The shortage is projected to reach 8.5 million units for 60 million urban people by 2021, it revealed.

In her presentation, Arc planner Salma A Shafi said the total urban population will reach 100 million by 2050.

The government even does not supply 1.0 per cent of the total housing demand, she added. A minimum of 0.1 million housing units should be supplied in the market every year, Ms Shafi said.

The government talks about only 10,000 units supplied by them, she noted.

Ms Shafi said the limited number of pilot projects will not be effective in solving housing crisis. Housing finance is a major part of the issue. She suggested approval of an urban sector policy, an implementable housing policy and redevelopment of old areas like Shahjahanpur and the old town.

Meanwhile, Mr Toufique said the government has a gazette on social housing, but according to the housing policy 2016, it will not provide housing for all. Rather it will work as a facilitator, he mentioned.

Only people from river erosion areas, destitute women left by husbands and the elderly will be eligible for housing, he added.

Housing has been recognised as an industry which means lots of incentives can be provided in the sector, said the noted planner.

About exorbitant land prices, he said the prices of land in Dhaka are close to that of New York or Tokyo which is a bubble.

If this cannot be controlled, Mr Toufique said, people will continue to grab rivers and other water bodies.

Speakers said urban financing cannot be ensured by the government only. It can be make a strategic alliance of public, private and community to solve housing problem.

Housing is a priority issue in all the countries as social instability will be there if housing problem is not resolved.But housing has become a lucrative business for the realtors which provide housing for the better-off.

There is hardly any trend among developers for low-cost housing. It is the government which should engage the developers in doing so, they stated. Rajuk and other agencies undertake housing projects mostly for professional groups and other affluent sections, they observed.

The speakers said privatisation happens in the open economy, but there is no equilibrium in society now. Housing is not a business opportunity rather it should be recognised as a right, the speakers went on.

For that, political will is the main issue, they said.

  • Courtesy: The Financial Express /Oct 07, 2018 

Bangladesh loses Tk 7,000cr a year for breach of IP rights


Bangladesh is losing a huge amount of revenue due to the infringement of intellectual property rights (IPR) in economic activities, analysts said yesterday.

The IPR allows inventors or owners of patents, copyrights or brand owners to benefit from their creations or their investment in creation. It helps in the professional marketing of a product and avoid piracy.

“The government is losing more than Tk 7,000 crore in revenue in a year for intellectual property rights not being followed in our country,” said Md Azizur Rahman, council member of the Institute of Chartered Secretaries of Bangladesh (ICSB).

Giving a presentation on the impact of the IPR, Rahman, also director general of the Intellectual Property Association of Bangladesh (IPAB), said abiding by the IPR could add at least Tk 50,000 crore a year to the gross domestic product.

“As pirates don't get registration, so they don't pay tax and registration fee along with denying other government payments, so revenue falls to thievery,” he said, citing that the information he provided was based on an IPAB research.

Rahman was addressing a Continuing Professional Development programme on “Intellectual property rights in Bangladesh” organised by the ICSB at Dhaka Club.

Md Abdul Halim, secretary in charge of the industries ministry, said the country should adapt to global norms by bringing necessary changes while formulating the intellectual property act which would contribute to the GDP.

He said Bangladesh does neither have a standalone IP policy or strategy nor was IP protection adequately integrated into the country's development strategies.

The legal framework is still incomplete and now it is being formulated, he said. “Now we need to increase awareness on IPR.”

Md Sanwar Hossain, registrar (additional secretary) of the Department of Patent, Design and Trademarks (DPDT), presented a keynote paper on the “Regulations Relating to IPRs and functions of DPDT”.

Mohammad Asad Ullah, former ICSB president, chaired the session while Mohammad Sanaullah, current president, was present.

  • Courtesy: The Daily Star/ Oct 07, 2018 

Impending Aedes outbreak in the city

Editorial

Launch massive campaign to prevent it


Officials from the directorate of health are raising the alarm on a spike of dengue cases in the city. According to official data, there have been 6,479 cases since January which is three times the number a year before. The threat has evolved into type 2 and type 3, which means that with the advent of new varieties of dengue virus, the risk of infection has also multiplied. Experts are calling it “cross-infection” where a patient may be bitten multiple times and that increases the fatality levels for patients.

The Directorate General of Health Services (DGHS) that carried out another survey from July 31 to August 9 found that 66 percent areas under Dhaka North City Corporation and 61 percent areas of Dhaka South City Corporation are “risky”. While it is very easy to point the finger at the two city corporations for not doing enough, we have to agree that residents also need to keep their homes and surrounding areas clean and dry—so that breeding grounds for this deadly mosquito are curtailed.

Of course this will not be easy. The bulk of Dhaka's population come from rural areas and residents are lacking in knowledge about the necessity of a clean environs. The authorities need to partner with both print and electronic media to launch a massive public awareness-raising campaign. Local community organisations, both NGOs and voluntary organisations, need to be mobilised to take the message to the people that unless they clean up their homesteads, the Aedes mosquito menace cannot be combated effectively. The two city corporations need to increase their budgets to clean the water bodies in the city too. If we are to stop this very real public health hazard, everyone must pitch in.

  • Courtesy: The Daily Star / Oct 07, 2018

Truck owners, workers on strike protesting transport act


Truck owners and workers under the Bangladesh Goods Transport Owners Workers United Association started their work abstention across the country since this morning to press home their seven-point demand, including bringing changes to the Road Transport Act-2018.

Following their work abstention, no truck left or entered Dhaka since 6:00am, Tajul Islam, member secretary of the association, told The Daily Star.

Leaders of the platform, which represents around 80,000 owners and workers, yesterday said they would not transport any goods, including life-saving medicine and food, until their demands were met.

“The death penalty for truck drivers is an illogical punishment as they provide services to the nation by transporting goods. If the government does not take an initiative to amend the law, we will continue abstaining from work,” Mukbul Ahmad, convener of the association, said at a rally in the city's Tejgaon Truck Stand yesterday.

Their demands include unconditional release of driver Hasmot Ali, member of Tangail Truck Owners Association, and all staffers arrested in connection with road accident cases; issuing  heavy vehicle driving licence to all drivers of heavy vehicles and allowing them to drive trucks with light vehicle driving licence until they are given heavy vehicle driving licence; stopping police harassment; setting up truck terminals and stands at suitable spots with sufficient facilities; returning driving licences to drivers without imposing a fine; and stopping overloading of trucks.

  • Courtesy: The Daily Star/ Oct 07, 2018 

Govt trying to control people’s voice ahead of polls

DIGITAL SECURITY BILL



Politicians and right activists on Saturday said that the government passed the controversial Digital Security Bill to use it as a weapon for controlling people’s voice in the run up to the general election.

Addressing a discussion organised by Ganasanghati Andolan on the issue at Monir-Azad seminar room of Moni Singh-Farhad Smriti Trust in the capital they said that the ruling Awami League was desperate to cling to power at any cost.

Rights activist and Jahangirnagar University economics professor Anu Muhammad said that since the Digital Security Bill seeks to stop research work and new thinking what could be the justification of keeping the universities whose main function was research and working with innovative thinking.

He criticized the move of university teachers to attend a meeting with the prime minister after Chittagong University teacher Maidul Islam had been sent to jail after implicating him in a case under the draconian Section 57 of the ICT Act 2006. 

‘The scholastic society is passing through a barren phase with everyone keen to surrender. Nothing like this happened in the past in this country,’ Anu said.

He asked the government to review its stand and dropping the controversial bill.

Revolutionary Workers Party of Bangladesh Saiful Haq said that the nation expects that the High Court Division would issue a suo moto ruling on the government about the legality of the bill as it contradicts the spirit of the Liberation War and the Constitution.

He also urged newspapers and the electronic media to stop work for one day in protest against the passage of the controversial bill.

Ganasanghati Andolan chief coordinator Zonayed Saki said that the government was trying to use the draconian bill to centralize power by extending indemnity to bureaucrats and the law enforcement agencies. He said that the bill would be used as legal coverage for torturing people as well as political activists.

Moderated by Ganasanghati Andolan central leader Feroz Ahmed the discussion participants included GA acting executive coordinator Abul Hasan Rubel, cultural activist Arup Rahee, human rights activist Hasnat Quaiyum and Bangladesh Cell Phone Users Association president Mohiuddin Ahmed. 

  • Courtesy: New Age /Oct 07, 2018.

জ্বালানি তেলের দাম

সম্পাদকীয়

আমদানিনির্ভরতা হ্রাসে উদ্যোগ নিন

অনেক বছর ধরে জ্বালানিসামগ্রীর দাম বিশ্ববাজারে বলা চলে সহনীয় পর্যায়ে আছে। সম্প্রতি তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেনি। তাই বলে তেলের দাম কম থাকার সুবিধা বাংলাদেশের ভোক্তারা সেভাবে পায়নি। না পাওয়ার কারণ সরকার কম দামে বিদেশ থেকে তেল কিনলেও ভোক্তাদের কাছ থেকে বেশি দাম নিয়েছে। এর জন্য সরকার অতীতের লোকসানের দোহাই দিলেও তা কতটা গ্রহণযোগ্য, সে বিষয়ে বিতর্ক আছে। ডলারের দাম বাড়ার প্রবণতাসহ নানা নেতিবাচক  প্রভাবের কথা ভেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবার জ্বালানি খাতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছে। তাই শঙ্কা থেকেই সরকার আবার জ্বালানির দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।

সরকারের এই ভাবনা সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। জ্বালানি খাতে যে পুকুরচুরি হচ্ছে, সেটি বন্ধ করলেই এর চেয়ে অনেক বেশি সাশ্রয় করতে পারে সরকার। কিন্তু সেই দুরূহ পথে না গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হয়তো দাম বাড়িয়ে লোকসানের দায় ভোক্তাদের ওপর চাপানোর সহজ উপায় খুঁজছেন। বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে যে বিশ্ববাজারে তেল ও ডলারের দাম বাড়লেও যাতে অভ্যন্তরীণ জ্বালানি খাতের স্থিতি নষ্ট না হয়। অন্যদিকে জ্বালানির দাম যে অনির্দিষ্টকাল সহনীয় অবস্থায় থাকবে, তা–ও ধরে নেওয়া সমীচীন হবে না। অনেক উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক স্থিতির সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামের নিগূঢ় সম্পর্ক আছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জ্বালানির দাম কমার পর সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকা (২০১৪-১৬) মুনাফা করলেও জনগণ তা থেকে প্রত্যক্ষ সুবিধা পায়নি। এমনকি সরকার দেশীয় জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে ঔদাসীন্য দেখিয়েছে।

অথচ কাজ কী কী করতে হবে, তা অনেক আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। যেমন কারও অজানা ছিল না যে বাংলাদেশ তেলসম্পদ আহরণে সুবিধা করতে পারবে না। তাকে গ্যাস ও কয়লা সম্পদের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। বাপেক্স শতাধিক কূপ খননের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিল অনেক আগেই। গ্যাসের মজুত যে তলানিতে ঠেকতে পারে, তা–ও অজানা ছিল না। সমুদ্রে গ্যাসসহ খনিজ সম্পদ আহরণে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল; যদিও তার কোনো লক্ষণ নেই। কয়লা সম্পদনির্ভর কয়েকটি প্রকল্প নিকট ভবিষ্যতে চালু হবে। কিন্তু তা থেকে প্রাক্কলিত জ্বালানি চাহিদা মিটবে না। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, অনেক দেশ তার অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চাহিদার সিংহভাগ আমদানি করেও দেশকে উন্নতির শিখরে নিতে পেরেছে। সুতরাং ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই।

 এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে নিজস্ব সামর্থ্য বাড়ানো সম্ভব না হলে বাংলাদেশকে বিশ্ববাজারের কোনো আকস্মিক দুর্বিপাকে কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে। বাপেক্সের দক্ষ জনবল নেই এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকেরা ওয়াকিবহাল এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত। কিন্তু মুশকিল হলো, বছরের পর বছর যায়, বাস্তবে কিছুই ঘটে না। রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে যৌথ উদ্যোগের কথা আলোচিত হলেও তার অগ্রগতি ঘটছে না।

সরকারকে ধরে নিতে হবে যে জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য যদিও এ মুহূর্তে বড় ধরনের বৃদ্ধির পূর্বাভাস নেই, কিন্তু এটা ঘটতে কতক্ষণ! তাই জ্বালানি সম্পদের অনুসন্ধান ও আহরণকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আলসেমি বা গাফিলতি মার্জনা করা যাবে না। নির্বাচন সামনে রেখে সরকার তেলের দাম আপাতত না বাড়ালেও ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নিজস্ব জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণ বাড়াতে না পারার দায়ে কারা অভিযুক্ত, সেটা চিহ্নিত হওয়াও দরকার।


  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ০৭ অক্টোবর ২০১৮

নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে, তা আমরা বলিনি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা হবে, এটা এখনো ঠিক হয়নি। নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে, এটা আমরা বলিনি। যাঁরা বলেছেন, সেটা তাঁদের কথা। উনারা উনাদের হিসেবমতো বলেছেন।’ শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জে উন্নয়ন মেলায় ইভিএম প্রদর্শন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘যারা ইভিএম নিয়ে বিরোধিতা করছে, তাদের ইভিএমের ব্যবহার দেখতে বলছি। তাহলে তারা আর বিরোধিতা করবে না।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করতে হলে আরপিও সংশোধন করতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, এ জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে ৬৪ জেলায় ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। সীমিত আকারে ব্যবহার হবে। ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য ৬৪ জেলায় উন্নয়ন মেলায় সেটি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আজ বেলা তিনটায় সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় আসেন। মেলায় ইভিএম কার্যক্রম নিয়ে অংশ নেওয়া স্টল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদারসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিইসির সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা উন্নয়ন মেলার অংশ হিসেবে জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত কুস্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ০৭ অক্টোবর ২০১৮