Search

Thursday, October 11, 2018

Bangladesh ‘least committed’ to cut rich-poor gap: Oxfam

Bangladesh is one of the least committed countries in the world to reduce the growing income disparity, according to a report released by Oxfam International on Tuesday. The country ranked 148 among 157 nations included in the Commitment to Reducing Inequality (CRI) Index-2018. Jointly prepared by Oxfam and Development Financial International (DFI), the index measured the governments’ action on social spending, tax, and labour rights – three areas critical to reducing the gap.

In South Asia, only Bhutan (ranked 152) lags behind Bangladesh on the state commitment to cut the socio-economic disparities between rich and poor. 

Interestingly, Singapore (ranked 149) also lags behind Bangladesh in the global ranking.

Denmark is the ‘most committed’ country in the world on reducing the income gap as it ranked first in the index, followed by Germany, Finland, Australia, and Norway.

The other countries in the list of top-10 most committed list are: Belgium, Sweden, France, Iceland, and Luxembourg.

  • Courtesy: The Financial Express/ Oct 11, 2018

Tax from biggies Tk 3.0b short of target in Q1

Doulot Akter Mala

Shortfall may even be bigger in Q2, fears LTUTax collection by the National Board of Revenue (NBR) from financial institutions fell short of the target by Tk 3.0-billion in the first quarter (Q1) of the current fiscal year (FY).

Officials attributed the shortfall to 2.5 per cent cut in corporate tax for banks, non-banking financial institutions, insurance and leasing companies in the national budget for FY 2018-19.

The Large Taxpayers Unit (LTU) under the income tax wing of the National Board of Revenue (NBR) faced the deficit during the July-September period.

A senior LTU official said they have received taxes worth Tk 34.90 billion against the target of Tk 37.82 billion set for the quarter.The unit collected Tk 32.20 billion in the corresponding period in FY '18.

"Usually, banks and other large taxpayers pay tax on a quarterly basis. We have found the shortfall against target after getting first instalment," he said.

The next instalment is due in December next where the shortfall may even be bigger, the official expressed the fear.

For FY '19, finance ministry has set a Tk 215-billion target for the LTU, representing a 27 per cent growth in revenue earning.

Officials felt that the target is ambitious as there is little scope to extract more taxes from the large taxpayers.They said the LTU has to focus on realising a large sum of tax arrears pending with the court cases.

Roughly Tk 125 billion income tax remains stuck up with the court cases filed by banks and mobile phone operators.

The LTU is a functional wing of the NBR established in 2003 with an International Monetary Fund guideline.

Around 300 large corporate taxpayers and 1000 individual taxpayers pay tax under the unit.

Individual taxpayers are mainly sponsor directors of different banks and large corporate bodies.

Around 60 per cent of the LTU's revenue comes from commercial banks.

In FY '18, a dozen banks paid 22 per cent of the LTU's aggregate revenue earning.

  • Courtesy: The Financial Express/ Oct 11, 2018

Wednesday, October 10, 2018

চিন্তাপরাধ, মগজে কারফিউ কিংবা মাস্টারের রিমান্ড

বখতিয়ার আহমেদ

মাইদুল ইসলাম

১৯২৮ সালে, ফ্যাসিস্ট নেতা মুসোলিনির মালিকানাধীন ইতালিতে, বিপ্লবী আন্তনিও গ্রামসিকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর যুক্তি হিসেবে সরকারি কৌঁসুলি (পাবলিক প্রসিকিউটর) বলেছিলেন, ‘ওনার মগজের কাজকারবার ২০ বছরের জন্য থামিয়ে রাখা দরকার।’

১৯২৬ সালে গ্রেপ্তার হওয়া এই কুঁজো কমিউনিস্টকে মুসোলিনির আদালত ১৯২৮ সালে ঠিক ২০ বছরের সাজাই দিয়েছিলেন, প্রচলিত আইনকানুনকে প্রায় কাঁচকলা দেখিয়ে।

গ্রামসি ২০ বছর বাঁচেননি। পরের ১১টা বছর এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে, জটিল সব অসুস্থতার চিকিৎসা না পেয়ে, ১৯৩৭ সালে, ৪৬ বছর বয়সেই মরে যান তিনি।

মরার আগে গ্রামসির এই ‘অপরাধী মগজ’ তিরিশটা খাতা আর হাজার তিনেক পৃষ্ঠার খোলা কাগজে নিজের চিন্তাগুলো ইতস্তত লিখে রাখছিল। সেই খাতা আর পাতাগুলো গোপনে কারাগার থেকে বাইরে চলে আসে গ্রামসির বোনের উদ্যোগে। ১৯৫০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ‘কারাগার ডায়েরিগুলো’। ১৯৭০ সালে প্রথম ইংরেজি অনুবাদ। আর তিনি হয়ে ওঠেন গত শতকের সবচে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তুকদের একজন।

কারাগার কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করার জন্য গ্রামসি প্রচলিত মার্ক্সীয় পরিভাষাগুলো এড়িয়ে যেতেন। তা করতে গিয়ে দেখা গেল, তিনি মার্ক্সীয় চিন্তার কিছু গোড়ার গলদেই হাত দিয়ে ফেলেছেন। মানুষকে অর্থনৈতিক জীব ধরে নিয়ে চিন্তা করার ছক থেকে বেরিয়ে তার চৈতন্যগত সত্তা নিয়ে ভাবার ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছেন।

মুসোলিনির স্বৈর-সন্ত্রাসের নির্মম ক্ষত শরীরে নিয়েও স্বৈরতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে তিনি নিপীড়নকে না, চিহ্নিত করলেন স্বৈরশাসনকে স্বাভাবিক আর অনিবার্য ভাবার পাবলিক কমনসেন্সকে।

গ্রামসিরও ৪০০ বছর আগে ফরাসি চিন্তুক আতিয়েনে দে লা বোয়েতিও একই মীমাংসায় আসছিলেন যে পাবলিকের আনুগত্যপ্রবণ ননসেন্স কমনসেন্স শুধু স্বৈরতন্ত্রের উর্বর জমিই না, সঙ্গে সার-পানি-কীটনাশক হিসেবে কিংবা স্বৈরাচারবিরোধী কাঁটা ওপড়ানোর কাজেও লাগে। আমজনতার প্রশ্নহীন আনুগত্য কিংবা নিরাসক্তি স্বৈরশাসনাকুল পরিস্থিতি তৈরি করে যেকোনো শাসনকেই স্বৈরতন্ত্র করে তুলতে পারে।

১৯৪৯ সালে লেখা ‘কমিউনিজমবিরোধী’ লেখক জর্জ অরওয়েলের উপন্যাস ‘১৯৮৪’-তে স্বৈরাচারসেবী পাবলিকের গণগান্ডুগিরির একটা গা শিউরানো গল্প আছে। বিগ ব্রাদারের শ্বাসরোধ করা শাসনে অরওয়েল কল্পিত রাষ্ট্র ইউরেশিয়ার এক সরকারদলীয় কর্মী ঘুমের ঘোরে গালি দিয়েছিলেন বিগ ব্রাদারকে। তার আদরের মেয়ে, সরকারের কিশোর ব্রিগেডের নিবেদিত কর্মী, সেটা শুনতে পেয়ে ‘চিন্তা পুলিশে’র হাতে ধরিয়ে দেয় বাবাকে। চিন্তা পুলিশ তাকে ধরে চিরতরে গুম করে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে দেখা হয়ে যায় প্রতিবেশীর সঙ্গে। তার কাছে বিগ ব্রাদারের প্রতি নিজের মেয়ের আনুগত্য, যেটা নিজের বাপকেও ছাড় দেয় না, তা নিয়ে ব্যাপক গর্ব করে মরার জন্য রওনা দেয় এই লোক।

এত কিছু এখন মাথায় আসছে শুধু ফেসবুক স্ট্যাটাসে সরকারের সমালোচনার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুলকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার খবর শুনে। কিছুতেই নিজের মাথার ভেতর এসব ‘ক্রাইম থিংকিং’ ঠেকিয়ে রাখতে পারছি না। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ততোধিক একজন পাবলিক শিক্ষক হিসেবে আমি ক্লাস নিচ্ছি, নির্বিকারভাবে কাজ করছি, যেন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ডজন শিক্ষক সমিতি–করা কয়েক হাজার শিক্ষক মাইদুলকে নিয়ে নীরব। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই আছেন স্বাভাবিক কর্মতন্দ্রায়। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষার মধ্যে থেকে চিন্তার সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পাওয়া শিক্ষকেরা যখন সুযোগ-সুবিধার আরামের লোভে কিংবা আরাম হারাম হওয়ার আশঙ্কায় স্বেচ্ছায় বিবেককে ঘুম পাড়ান, তখন বুঝতে হয় যে সমস্যার শিকড় শুধু সরকার কিংবা শাসনপ্রণালিতে না, স্বৈরতন্ত্রে স্বীয় স্বার্থ নিহিত থাকা এই স্বেচ্ছাসেবীদের কাণ্ডজ্ঞানের মধ্যেও ঢুকে আছে।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে প্রকাশিত চিন্তাই যদি গ্রেপ্তার করবার মত যথেষ্ট বড় অপরাধ হয়, তাহলে রিমান্ডে নিয়ে কী করা হবে? মাইদুলের মগজের ফরেনসিক টেস্ট হবে? তাঁর মাথায় আর কী কী চিন্তাপরাধ আছে, সেটা কোন ‘যন্তর-মন্তর’ ঘরে নিয়ে পরীক্ষা করা হবে? শেষমেশ কি কোনো মস্তিষ্ক প্রক্ষালন যন্ত্রে মগজধোলাই হবে? মাইদুলের মগজের বিরুদ্ধেও কি রায় হবে? রায় দিয়ে কি চিন্তা থামানো যাবে? চিন্তার ফৌজদারি করে কারও মর্যাদা রক্ষা করা যাবে? শাসন কিংবা শাসানি দিয়ে কোথাও কখনো কারও সম্মান কি রক্ষা করা গেছে? আইন কিংবা শাস্তি দিয়ে কারও মর্যাদা রক্ষার দরকার যখন পড়ে, তখন আসলে তাঁর মর্যাদার কতটুকুই-বা অবশিষ্ট থাকে?

মাইদুল সমাজতত্ত্বের শিক্ষক। নিজে সমাজবিদ্যার ছাত্র বলেই জানি মাইদুলের মাথায় সমাজ-সরকার-রাষ্ট্র-রাজনীতি নিয়ে শতসহস্র সংশয়ী চিন্তা থাকতে পারে। দলীয় মতাদর্শ কিংবা তৎপ্রসূত মাখনের ভাগে আগ্রহ না থাকলে যেকোনো নিষ্ঠাবান সমাজবিজ্ঞানীর মাথাতেই হাজারো মতামত থাকতে পারে, যেগুলো সরকার কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স বেবার, যাঁকে ছাড়া দুনিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই আধুনিক সমাজবিদ্যা সিলেবাস হয় না কিংবা পড়ানো হয় না, তিনি মনে করতেন, রাষ্ট্র মূলত একটা সন্ত্রাসী সংস্থা যার বৈধ সন্ত্রাসের একচেটিয়া কারবার আছে। সরকারের নজরদারি, খবরদারি, দখলদারি নিয়ে গবেষণা দুনিয়ার সব দেশেই চর্চিত সমাজবিদ্যা কিংবা মানববিদ্যার অংশ। কোনো চিন্তা, মতামত কিংবা বিশ্লেষণ কোনো সরকারের বিরুদ্ধে গেলেই যদি অপরাধ হয়ে যায়, তাহলে তো সমাজবিদ্যা কিংবা মানববিদ্যা মাত্রই অপরাধী বিজ্ঞান। সরকারের সমালোচনা অপরাধ হলে তো সমাজবিদ্যার বইপত্র মাত্রই ‘অপরাধমূলক চিন্তা’! বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া মাত্রই চিন্তাপরাধ (থট ক্রাইম)। ভিন্নমত অপরাধ হলে তো সমাজবিদ্যার নিষ্ঠাবান পড়ুয়া মাস্টার মানেই চিন্তাপরাধের মাস্টার মাইন্ড!

কী অদ্ভুত! যে শব্দবন্ধগুলো দিয়ে ১৯৪৯ সালে অরওয়েল ‘১৯৮৪’ সালের এক কল্পিত রাষ্ট্র, কথিত আছে স্ট্যালিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন মাথায় রেখে, স্বৈরতন্ত্রের জাঁতায় মানুষের মগজ পিষে ফেলার বীভৎস বর্ণনা দিয়েছিলেন, সে ভাষাতেই আজকের পরিস্থিতি পরিষ্কার বর্ণনা করা যাচ্ছে!

‘থট পুলিশ’, ‘থট ক্রাইম’, ‘ক্রাইম থিঙ্ক’ যখন আইনি বলপ্রয়োগের যুক্তি হয়ে মানুষের চিন্তাকে শাসাচ্ছে তখন আমাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে, ‘মনে অপরাধ না থাকলে’ ভয়ের কিছু নেই। মনে মনেই যদি অপরাধ করা যায় এবং সেই সম্ভাব্য অপরাধের জন্য যদি আইন বানানো যায়, এসব আইন যাঁরা বানান, সেই শাসকদের মন কিংবা চিন্তাভঙ্গী নিয়ে ভয় তো আর ঠেকিয়ে রাখা যায় না।

তাহলে কি মাস্টারিটা নামমাত্র করে, মাস্টারের মর্যাদাবোধকে মুক্তচিন্তার কাজে না লাগিয়ে মোসাহেবির লেবাস না বানালে যে-কেউ এখন যেকোনো সময় জেলে যেতে পারেন? মাস্টারদের মগজে যেভাবে কারফিউ জারি করা হচ্ছে, অধিকাংশ মাস্টার যেভাবে সেটা হামাগুড়ি দিয়ে মেনে চলছেন, সর্বোচ্চ সতর্কতায় তা পালন করছেন কিংবা আরও একধাপ এগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্নমত দমানোর পেয়াদা বনে যাচ্ছেন, তাতে মাইদুলের মতন হাতে গোনা কয়েকজন মাস্টারকে আর জেলে নিয়ে কাজ কী? বিশ্ববিদ্যালয়কে তো সরকারসেবী সংখ্যাগুরু শিক্ষকেরা চিন্তার কারাগার বানিয়েই ফেলেছেন। কিছু আন্তর্জাতিক বদনাম ছাড়া তো মাস্টারদের রিমান্ডে পাঠানোয় আমি সরকারের আর কোনো লাভ দেখি না।

আর যদি এটা মাইদুলের মতন কামাই কিংবা কামিয়াবির কমনসেন্সের বাইরে থাকাদের ভয় দেখানোর জন্য হয়, তাহলেও বেশি বাড়াবাড়িই হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষা করার ক্ষমতা কিংবা সাধারণকে সরকারবিরোধী শিক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা এই গুটি কয়েক মাস্টারের নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পাবলিকের কোনো মাথাব্যথা না থাকলে এই মাস্টারদেরও বড় কোনো জানবাজির দায় নেই। বড়জোর ওনারা পাবলিকের দেওয়া বেতনের দায় মেটাতে মাস্টারিটা নিষ্ঠার সঙ্গে করার চেষ্টা করতে পারেন। কপালের ফেরে বিজনেস কিংবা ন্যাচারাল সায়েন্সের মাস্টার না হয়ে আর্টস কিংবা সোশ্যাল সায়েন্সের মাস্টার হলে স্রেফ সৎ মাস্টারির দায়েই মাঝেমধ্যে মামলা-মোকদ্দমা-রিমান্ড-জেল কিংবা ফৌজদারি মারধরের শিকার হতে পারেন।

কী আর করা! মাস্টারি, মগজ আর মতামত আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে, চিন্তাভাবনা সন্তর্পণে ঢেকেঢুকে চলতে না পারলে ঝামেলা কিছু তো পোহাতেই হবে এই রাষ্ট্রীয় আবহে।

  • বখতিয়ার আহমেদ: সহকারী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
  • * এই লেখা প্রকাশের সময় উচ্চ আদালত মাইদুল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করে। এর আগে নিম্ন আদালত তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায়। কীভাবে কোন আইনী প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্ত হন, তা এখন দেখার অপেক্ষা।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১০ অক্টোবর ২০১৮

পরিবহনশ্রমিকেরা রাস্তায় কেন

সম্পাদকীয়

সড়কে নিরাপত্তা আনতেই হবে


বাংলাদেশে সড়ক পরিবহনে বিশৃঙ্খলা একটি গুরুতর জাতীয় সমস্যা হিসেবে বহু বছর ধরে আলোচিত হচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সবাই কথা বলছেন। সম্প্রতি স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেমে দেশজুড়ে বড় রকমের একটা ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। তাদের আন্দোলনের চাপে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের আশ্বাসবাণী উচ্চারণ করা হলো। কিছু বাস্তবিক পদক্ষেপও নেওয়া হলো। কিন্তু সড়ক–মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারানো কমেনি, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর আসছে।

আমরা যখন এ রকম হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চাইছি, তখন বাড়তি হতাশার কারণ যুক্ত হচ্ছে সড়ক পরিবহন খাতের মালিক ও শ্রমিকদের নতুন তৎপরতার মধ্য দিয়ে। সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন।

পরিবহনশ্রমিকেরা ঢাকা ও এর আশপাশের ১৭টি জেলায় সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন। আর পরিবহনমালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, ১২ অক্টোবরের মধ্যে আইনটি সংশোধন করা না হলে তাঁরা পরিবহন ধর্মঘটসহ আরও বড় কর্মসূচি নেবেন।

পরিবহনশ্রমিকেরা গত রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। পশ্চিম দোলাইরপাড় এলাকায় কিছু পরিবহনশ্রমিক পণ্যবাহী যানবাহন থামিয়ে চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করার নামে হেনস্তা করেন; লাইসেন্স ছিল না—এমন চালকদের মুখে পোড়া ইঞ্জিল অয়েল মেখে দেওয়া হয়। পরিবহনশ্রমিকদের একটা অংশ গাজীপুরে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, এমনকি প্রহারও করেছেন, পথচারীদের হেনস্তা করেছেন।

এইসব আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন, দাবি–দাওয়া জানাতে পারেন। কিন্তু এই ধরনের জবরদস্তিমূলক ও বেআইনি কর্মকাণ্ড অবশ্যই পরিহার্য। আর তাঁরা যে দাবিতে এসব করছেন এবং ধর্মঘটের হুমকি দিচ্ছেন, সেই দাবিরও যৌক্তিকতা আছে কি না, তা ভেবে দেখা উচিত।

লাইসেন্স ছাড়া বা ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে যানবাহন চালানো, ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়াভাবে যান চালিয়ে দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ঘটানো—এসব প্রবণতা ব্যাপক মাত্রায় রয়েছে। এই বাস্তব সত্য অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে পরিবহন খাতের পুরো শ্রমিকসমাজই এসব প্রবণতার শিকার।

দক্ষ চালকও অবশ্যই আছেন, তাঁরা বৈধভাবে লাইসেন্স নিয়েই যানবাহন চালান, ট্রাফিক আইনও মেনে চলার চেষ্টা করেন। কিন্তু যাঁরা এসবের ব্যত্যয় ঘটান এবং সেই কারণে সড়ক–মহাসড়কের বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি দিনকে দিন বাড়ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বা তাঁদের 
গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তি কমাতে হবে—এটা কোনো যুক্তিসংগত অবস্থান হতে পারে না।

আমরা আশা করব, সড়ক পরিবহন খাতের মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল নেতারা সড়কের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার গুরুত্ব উপলব্ধি করবেন। অযৌক্তিক ও জনস্বার্থের প্রতিকূল অবস্থান থেকে সরে আসবেন। 
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১০ অক্টোবর ২০১৮

গায়েবি মামলা হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশ


রাজধানীসহ সারা দেশে বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও দলটির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলা বন্ধ চেয়ে করা রিটের শুনানিতে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ বিষয়ে রুল জারি করলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি তাতে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন, রিট আবেদনটি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি মর্মে তা খারিজ করা হলো। গতকাল এ সংক্রান্তে শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিভক্তি আদেশ দেন। এর মধ্যে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী কথিত এসব ফৌজদারি মামলা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না, এসব মামলা দায়েরকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। 

পাশাপাশি ঢাকা মহানগর এলাকায় রিট আবেদনকারীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই মামলাগুলো তদারকি করতে ও অনুসন্ধানের পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শককে আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয় আদেশে। 

অন্যদিকে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল আদেশে বলেন, রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে যেহেতু ফৌজদারি মামলা হয়েছে তাই জনস্বার্থে বা সংক্ষুব্ধ হয়ে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এভাবে রিট আবেদন করতে পারেন না।

দরখাস্তকারীরা ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যথাযথভাবে এই আবেদনটি করেননি।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে এবং প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য একটি একক বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। এর আগে সোমবার এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও রিটের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করেন। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর এ রিট আবেদনটি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ তিন আইনজীবী। 

গতকাল শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ফৌজদারি আইনের যে বিধান তাতে এইসব মামলায় প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। তাই এই মামলাগুলোর ব্যাপারে রিট আবেদন করা চলে না। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক নেতা বা আইনজীবীরা যে অপরাধ করেন না তা তো নয়। এখন তদন্তে যদি দেখা যায় যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই তাহলে তারা এমনিতেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অন্যদিকে শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সংবাদপত্রের প্রতিবেদন উল্লেখ করে রিটের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, এসব মামলা বন্ধে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু তারপরও তা বন্ধ হয়নি। শুনানিতে এসব মামলার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের আর্জি জানান তিনি। 

আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি নিয়ে দু’জন বিচারক দু’রকম মতামত দেয়ায় বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে তৃতীয় কোনো বিচারকের কাছে পাঠানো হবে। রিটকারী আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকের মৌলিক অধিকার বলবৎ থাকা এবং পুলিশের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই রিট আবেদনটি করেছিলাম। হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ শুনানি নিয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন। তাতেও আমরা খুশি। একজন বিচারপতি রুল দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভক্ত আদেশ হওয়ায় বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে এবং প্রধান বিচারপতি অন্য একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। 

এর আগে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর এই রিট আবেদন করেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী ও দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া। রিটে ইতিমধ্যে দায়ের হওয়া মামলাগুলো তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি এবং পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে যে সব মামলা দেয়া হয়েছে সেগুলোর তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম যাতে আর অগ্রসর না হয়, কাউকে যাতে হয়রানি করা না হয় এবং যারা মামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১০ অক্টোবর ২০১৮

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জাতিসংঘের

সদ্য প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারআইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে বলেছে সংস্থাটি। গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জািতসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রবিনা শ্যামদাসানি। প্রয়োজনে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

রবিনা বলেন, গত সোমবার বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রণীত আইন ব্লগার, সমালোচক, ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিকদের কার্যক্রমের ওপর তীব্র প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতার যে অধিকার রয়েছে তার বৈধ চর্চাকে শাস্তির মুখোমুখি করবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশকে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই আইনের অনেক অপরাধকে জামিনের অযোগ্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের প্রতি বাংলাদেশের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। এই আইনে কিছু অস্পষ্ট ধারা রয়েছে। যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এমন কোনো বক্তব্য অনলাইনে প্রচার করার দায়ে দীর্ঘ মেয়াদে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা আর্থিক জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন ‘আমরা অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুনর্বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এটি যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।

পাশাপাশি মত প্রকাশের আইনসিদ্ধ স্বাধীনতা চর্চায় অযাচিত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বন্দি করার ক্ষেত্রে এই আইন যেন ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১০ অক্টোবর ২০১৮

নির্বাচনের আগে শিক্ষা প্রশাসনে নিয়োগ-পদোন্নতির হিড়িক

নূর মোহাম্মদ 

নির্বাচনের আগে শিক্ষা প্রশাসনে বড় ধরনের নিয়োগ ও পদোন্নতির তোড়জোড় চলছে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে বড় ধরনের নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। আরো কয়েকটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। নির্বাচনের আগেই এসব নিয়োগ ও পদোন্নতি শেষ করতে চায় সরকার। ক্যাডার থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এসব নিয়োগ ও পদোন্নতি চলছে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার পর অপেক্ষমাণ যত পদোন্নতি ও নিয়োগ রয়েছে সব শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে সহযোগী অধ্যাপক থেকে রেকর্ড সংখ্যক ৪০৯ জনকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদ না থাকার পরও ৪০৯ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

একইভাবে সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য আগামী ১৪ই অক্টোবর বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি (ডিপিসি) সভা ডাকা হয়েছে। পদ না থাকার পরও এ পদে হাজারের বেশি পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এ পদে ২১ ব্যাচের সবাইকে পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে মাউশি’র সংশ্লিষ্ট শাখা। এরপর চলতি মাসেই প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপকে আরো বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তুতি সেরে রেখেছে মাউশি। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, অধ্যাপক পদে যাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে সবাই পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে ২০১৩ সালে। পদের কারণে তাদের পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছিল না। একইভাবে সহযোগী ও সহকারী পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। তিনি বলেন, পদোন্নতিতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।

এদিকে নির্বাচনের আগে সরকারি বিদ্যালয় থেকে বেসরকারি বিদ্যালয় সব পর্যায়ে নিয়োগ দেয়ার তোড়জোড় চলছে। ইতিমধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২০ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৭১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং ৫২ জন সহকারী মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। নিয়োগের ২৭ বছর পর পদোন্নতি পেলেন তারা। এই পদোন্নতির মধ্য দিয়ে ওই শিক্ষকরা নবম গ্রেডে অর্থাৎ প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত হলেন। আর সারা দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ১৩৭৮ জন শিক্ষক। প্রথমবারের মতো পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে এ নিয়োগ দেয়ার জন্য গত ৯ই সেপ্টেম্বর পিএসসি এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গত ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন চলে। শিগগিরই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে পিএসসি। তারা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদায় নিয়োগ পাবেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বাংলায় ৩৬৫ জন, ইংরেজিতে ১০৬ জন, গণিতে ২০৫ জন, সামাজিক বিজ্ঞানে ৮৩ জন, ভৌতবিজ্ঞানে ১০ জন, জীববিজ্ঞানে ১১৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮ জন, ভূগোলে ৫৪ জন, চারুকলায় ৯২ জন, শারীরিক শিক্ষায় ৯৩ জন, ধর্মে ১৭২ জন এবং কৃষি শিক্ষায় ৭২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। 

অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা) ৩৮ হাজার ৮০০টি শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়োগ নির্বাচনের আগে শেষ করতে চায় সরকার। এজন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই বাছাই করে সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো সরকারি হাইস্কুলের ৫৫০০ হাজার সহকারী শিক্ষককে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ পদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। সরকারি হাইস্কুল শিক্ষকদের নতুন চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকের মোট পদের অর্ধেককে নতুন এ পদে পদোন্নতি দিতে কার্যক্রম শুরু করেছে মাউশি। সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের প্রমার্জন করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

আর পদোন্নতি তালিকায় আছে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকরা। তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাবে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি রয়েছে। এর ফলে শিক্ষকরা দশম গ্রেডে বেতন পাবেন। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ (টিটিসি), সরকারি আলীয়া মাদরাসাসহ সারা দেশে ৩২৭টি পুরাতন সরকারি কলেজসহ সদ্য সরকারি হওয়া ২৯০টি কলেজ সরকারি কলেজে শারীরিক শিক্ষকদের পদ সংখ্যা ৬০৭টি। দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত হলে নতুন সরকারি কলেজে পদ সৃজন হলে সেসব কলেজের শিক্ষকরাও সমমর্যাদা পাবেন। এ ব্যাপারে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর আব্দুল মান্নান মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে পদোন্নতি ও নিয়োগ বন্ধ ছিল। 

এ জট খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে নির্বাচন কোনো বিষয় না। তিনি বলেন, এসব শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। শুধু যে গণহারে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে তাই না, তাদের এসিআর (বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন) যাচাই-বাছাই করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করেই পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 

Revise Digital Security Act

UNHR office wants govt to act now so arbitrary arrests, curbs avoided


The United Nations Human Rights office has called for urgent revision of the Digital Security Act in a bid to ensure checks and balances against arbitrary arrests and other undue restrictions.

The call came in response to the newly enacted Act that has drawn serious concerns over press freedom and the right to freedom of expression.

“We call on Bangladesh to urgently revise the Digital Security Act, to ensure that it is in line with international human rights law and that it provides for checks and balances against arbitrary arrest, detention, and other undue restrictions of the rights of individuals to the legitimate exercise of their freedom of expression and opinion,” said a UN spokesperson.

“We stand ready to assist the Government,” said Ravina Shamdasani, the spokesperson for the Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR), at a press briefing in Geneva yesterday.

Earlier on Monday, President Abdul Hamid signed the bill into law amid wide-spread concern, criticism and protest against it both at home and abroad.

Shamdasani anticipated that the new law would seriously impede freedom of expression as well as the right to liberty of the people.

“The Act could have a severe impact on the work of journalists, bloggers, commentators and historians but [it] also penalises the legitimate exercise of the right to freedom of expression by any other individual, including on social media,” she said.

The law contains vague provisions that could impose long-term prison sentences up to seven years or a fine for any statement posted online that might disrupt the law and order situation, hurt religious feelings or ruin communal harmony, said the spokesperson.

Any kind of propaganda or publicity against the “Spirit of the Liberation War”, national anthem or national flag is punishable by imprisonment up to 10 years on first offence and/or a fine of Tk 10 million (nearly $120,000).

Provisions linked to digital offences under the colonial-era Official Secrets Act carry penalties of 14 years' imprisonment, and life imprisonment for repeat offenders.

“The Act gives the police wide powers of search and arrest without warrant. Many of the offences in the Act are unbailable. This is of particular concern given concerns about due process in Bangladesh,” said Shamdasani.

The Act also provides broad powers to the government to restrict and intercept digital information, she added.

Shamdasani told the press briefing that the law as it stands does not meet Bangladesh's obligations under the International Covenant on Civil and Political Rights, including provisions to respect and protect the right to be free from arbitrary arrest under Article 9; to protect from interference with privacy and correspondence under Article 17, and to guard freedom of opinion and expression under Article 19.

During the Universal Periodic Review by the UN Human Rights Council on September 20, the day after the act was initially adopted by Parliament, the government of Bangladesh agreed to recommendations relating to the freedom of expression and bringing national legislation in compliance with its international obligations.

However, Shamdasani said despite pledges to revisit the problematic provisions of the Act, it was signed into law.

Courtesy: The Daily Star Oct 10, 2018

Six months for release order to reach jail?

EDITORIAL

Decrepit state of bureaucratic efficiency


We really do not know what to say about the manner in which an innocent man, who passed 13 long years in Khulna jail on death row, died without seeing his family. The High Court declared Obaid innocent six months ago, by which time he was fighting a losing battle against colon cancer. Due to the excruciatingly slow pace with which our bureaucracy works, the paperwork for his release order only reached Khulna jail after six months, ironically, on the same day that Obaid died!

Obaid's case is a shoddy, horrendous example of the bureaucratic red-tape culture that has engulfed every facet of government. All he wanted was to spend his dying days in the company of his family, which he had been deprived of for 13 long years for a crime he did not commit. But then, Obaid is just another nameless ordinary citizen of this country for whom nothing but injustice was in store.

We wonder how many more such Obaids are languishing in the prison system, and like Obaid, their release orders may come too late. We hope that an inquiry into this sordid affair is launched to hold those responsible to account, because until we can establish accountability there will be no end to this state of affairs. The poor man was not able to die in peace surrounded by family. What could be more pathetic than that?

Courtesy: The Daily Star Editorial Oct 10, 2018

ওসমান ও হিরু নৌমন্ত্রীর অনুসারী, তারা চান না চালকরা প্রশিক্ষিত হোক - ইলিয়াস কাঞ্চন

আরাফাত সেতু

ইলিয়াস কাঞ্চন নায়ক হিসেবে সুপরিচিত হলেও, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছেন অনেক বছর ধরে। প্রায়ই তাকে পরিবহন মালিক- শ্রমিকদের রোষানলে পড়তে হয়। সম্প্রতি তাকে বাস টর্মিনালগুলোতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

দেশের সব বাস টার্মিনাল থেকে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। কারা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: গত রোববার ফুলবাড়িয়াতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ একটি সমাবেশ করেছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, একই সংগঠনের সহ-সভাপতি ছাদেকুর রহমান হিরুসহ পরিবহন খাতের অন্যান্য নেতারা। হিরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশ থেকেই আমাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আপনাকে কেন অবাঞ্ছিত করা হল?

ইলিয়াস কাঞ্চন: চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা তাদের একদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম। সেই কারণে অনেকগুলো টার্মিনালের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম যে, সামনে ২২ অক্টোবর আমরা চালকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে চাই। তারা বলেছিলেন অনুমতির ব্যাপারে আমাকে জানাবেন। কিন্তু তা না করেই তারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেন।

ওসমান আলী ও ছাদেকুর রহমান হিরু নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের অনুসারী। তারা কেউই চান না যে চালকরা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হোক। তারা যেটা চান তা হল- যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলুক। চালকরা দুর্ঘটনা ঘটাবে, এদের কোনো বিচার করা যাবে না।

কারণ পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা দেখেছেন যে, আইন নিয়ে কথাবার্তা যা কিছু হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমিই একমাত্র মুখ খুলেছি। সংসদীয় কমিটির সঙ্গে আমিই বসেছি। সেই কারণে পরিবহন সেক্টরে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা আমাকে সমস্যা হিসেবে মনে করছেন।

যারা সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করছেন, তারা ভালো করেই জানেন যে- তাদের জন্যই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে তারাই রাস্তাঘাটে নামিয়েছেন। তাদের ব্যবস্থাপনা অদক্ষ। চালকদের দক্ষতা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। দুর্ঘটনা রোধে নেতারা চালকদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ না করে, আইন যেন তাদের ওপর প্রয়োগ না হয় সেটিই চাইছেন। কেউ অন্যায় করবে কিন্তু শাস্তি পাবে না- পৃথিবীর কোথাও বোধহয় এমন নিয়ম নেই।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের এই ঘোষণা আপনাকে বিচলিত করে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: এ রকম হুমকি এটিই প্রথম নয়। স্কুলের বাচ্চাদের আন্দোলনের সময়ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও খুলনায় আমার ছবি পুড়িয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ২০১২ সালেও শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ ডেকে আমার ছবিতে জুতার মালা পরিয়েছিল তারা। পরে ছবিতে আগুনও দিয়েছে। এতে কী আসে যায়। আমি ভীত বা বিচলিত কোনোটাই নই। আমার কাজ আমি করে যাবই।

আমি তো তাদের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করছি না। আমি কাজ করছি সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে এবং তা কিভাবে রোধ করা যায় সেজন্য। সে কারণে যেখানে আইনের কথা বলা দরকার, আমি বলছি। কারণ আইন ছাড়া তো সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়।

আপনি ও আপনার পরিচালিত সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) তো বাসচালক ও সহযোগীদের সচেতনতায় কাজ করছে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের এমন কথার কারণে কি আপনাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: আমরা এসব হুমকিতে ভয় পাই না। এতে আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হবে না। নিসচা আগের মতোই তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এখন পরিষদের নেতারা যদি চালকদের প্রশিক্ষিত করতে না চান, তাহলে আমাদের একটি উদ্যোগ হয়তো বাধাপ্রাপ্ত হবে। শুধু চালকদের প্রশিক্ষণটিই মুখ্য নয়, পথচারী, যাত্রী, সাধারণ মানুষ এবং সরকার সবাইকে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। চালকেরা যদি প্রশিক্ষিত হতে না চান, বিরোধিতা করেন, তাহলে আমরা বাকি জায়গাগুলোতে কাজ করব।

সম্প্রতি পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের জন্য সাত দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

ইলিয়াস কাঞ্চন: আমার মনে হয়েছে, এ ব্যাপারে আমার চেয়ে বেশি চিন্তিত থাকা উচিত সরকারের। সরকারের মধ্য থেকেই তারা আমাকে অবাঞ্ছিত করেছে। সরকারের মধ্যে যারা আছেন, তাদের যে ফেডারেশন, তারাই এই কাজগুলো করছেন। সরকার এই ধরনের লোককে মন্ত্রিপরিষদে রাখে কারণ তারা সরকারকে বোঝাচ্ছে তারা নাকি দুই কোটি ভোটার, কিন্তু বাকি আট কোটি ভোটার তো বাকি থাকল। তাহলে এই আট কোটি ভোটারের কথা চিন্তা করবে সরকার, নাকি তথাকথিত দুই কোটি ভোটারের কথা ভাববে সেটি সরকারের সিদ্ধান্ত।

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের জন্য সরকারকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। অন্যথায় ১৩ অক্টোবর থেকে সারাদেশে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আপনার কি মনে হয় আইনটি সংশোধন করা উচিত সরকারের?

ইলিয়াস কাঞ্চন: পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সবসময় তাই করে আসছে। এরা সরকারের দুর্বল মুহূর্তগুলোতে আঘাত করে করে দাবি আদায় করে নিচ্ছে। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের আমলে সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান ছিল। এরশাদ সরকারের পতনের সময়েও এই পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আন্দোলন করে তিন বছরের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইনটি পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। যখনই নির্বাচন ঘনিয়ে আসে তখনই পরিষদ সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনে নেমে তাদের দাবি আদায় করে নেয়।

অথচ তারা নিজেরা দক্ষ হয় না। দুর্ঘটনা যাতে কমে, সড়কে যাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, মানুষ যাতে স্বস্তিতে চলাচল করতে পারে এমন সেবা দেওয়ার পক্ষে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই।

রাষ্ট্রপতি যেহেতু আইনটি এখনও অনুমোদন দিয়ে সই করেননি, সেক্ষেত্রে একটি খটকা থেকেই যায়। এখন সরকার আইনটি বাস্তবায়ন করবে, না পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সংশোধন করবে তা সরকারের ব্যাপার।

  • Courtesy: The Daily Star Bangla /Oct 09, 2018