সদ্য প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারআইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে বলেছে সংস্থাটি। গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জািতসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রবিনা শ্যামদাসানি। প্রয়োজনে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
রবিনা বলেন, গত সোমবার বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রণীত আইন ব্লগার, সমালোচক, ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিকদের কার্যক্রমের ওপর তীব্র প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতার যে অধিকার রয়েছে তার বৈধ চর্চাকে শাস্তির মুখোমুখি করবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশকে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই আইনের অনেক অপরাধকে জামিনের অযোগ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের প্রতি বাংলাদেশের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। এই আইনে কিছু অস্পষ্ট ধারা রয়েছে। যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এমন কোনো বক্তব্য অনলাইনে প্রচার করার দায়ে দীর্ঘ মেয়াদে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা আর্থিক জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন ‘আমরা অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুনর্বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এটি যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।
পাশাপাশি মত প্রকাশের আইনসিদ্ধ স্বাধীনতা চর্চায় অযাচিত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বন্দি করার ক্ষেত্রে এই আইন যেন ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন।
- কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১০ অক্টোবর ২০১৮
No comments:
Post a Comment