Search

Wednesday, October 17, 2018

মানে বেলাইনে রেললাইন

কমল জোহা খান


বাড়াতে হলে দেশের সমৃদ্ধি, করতে হবে রেললাইন বৃদ্ধি’—রাজধানীর আবদুল গণি রোডে রেল ভবনের সামনে বিল বিশাল একটি বোর্ডে এই দুটি লাইন লেখা। ১৪ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় বিল বোর্ড স্থাপন করেছে।

একদিকে দেশের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন রেললাইন স্থাপনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে পুরোনো রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকমতো করতে পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে মোট রেললাইন দুই হাজার ৯২৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে মানসম্পন্ন রেললাইন মাত্র ৭৩৯ কিলোমিটার বা ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। সে অনুযায়ী, দেশের দুই হাজার ১৯০ কিলোমিটার বা ৭৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ রেললাইন চলছে নির্ধারিত মান ছাড়াই।

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, যন্ত্রাংশের সংকট ও চুরি, লোকবলের অভাব, রেললাইনের ওপর মানুষের চলাচল এবং রেললাইনের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য ব্যালাস্ট পাথর না পাওয়ার কারণে দেশের রেললাইনের এই বেহাল দশা। তাঁদের মতে, এসব সমস্যার সমাধান না করে শুধু নতুন নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হলে রেলওয়ের আধুনিকায়নের সুফল পাওয়া যাবে না।

রাজধানী ঢাকাতেই নয়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, সংস্কারে ত্রুটির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে গতি তুলতে পারছে না ট্রেনগুলো। ২০০১ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের প্রায় পুরোটাতেই ৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করত। এখন গতি কমিয়ে চলছে ৭২ কিলোমিটারে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রুটে ৬৫ কিলোমিটারের বদলে ট্রেন চলছে ৫০ কিলোমিটারেরও কম গতিতে।

রেলওয়ের নিরাপত্তা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফিশপ্লেট দিয়ে রেললাইনের একটি পাতের (রেল) সঙ্গে আরেকটি পাতকে যুক্ত করে রাখা হয়। কিন্তু এই ফিশপ্লেট ঢিলে হয়ে যাওয়ায় রেললাইন বেঁকে যায়। এতে ট্রেনের গতিও ঠিক থাকে না। এ জন্য প্রায়ই ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেললাইনের নিরাপত্তার তদারকির দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন রেললাইনে এ ধরনের সমস্যা নেই। তবে পুরোনো রেললাইনে এই সমস্যা প্রকট। রেললাইন ঠিক রাখার জন্য ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও কীম্যানদের পাওয়া যায় না। তারা ঠিকমতো রেললাইন মেরামত করেন না।

তবে রেলকে গতিশীল করতে নতুন রেল লাইন নির্মাণ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কাজী রফিকুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এক শ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলাচল উপযোগী করে নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। সংকটের বিষয়গুলো স্বীকার করে তিনি বলেন, রেলওয়েতে লোকবল সংকট রয়েছে। ব্যালাস্ট পাথর কিনতে রাজস্ব বরাদ্দ কম পাওয়া যায়। তারপরও রেলওয়েকে গতিশীল রাখা হচ্ছে। নতুন রেললাইনে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন ইঞ্জিন কেনা হচ্ছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন। এরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

যেভাবে রেললাইন তৈরি হয়: রেললাইন নির্মাণে প্রথমে মাটি দিয়ে বাঁধের মতো রাস্তা তৈরি করা হয়। এর পর গর্ত করে নতুন মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। সেই জায়গা পরিষ্কার করে পানি ছিটিয়ে রোলার দিয়ে সমান্তরাল করা হয়। সমান্তরাল করে সাবগ্রেড করতে হয়। এ জন্য খোয়া ফেলে একটি স্তর তৈরি করতে হয়। সাবগ্রেডের পর সাব ব্যালাসড করানো হয়। এ জন্য খোয়া ও বালি ফেলতে হয়। এরপর সম্পূর্ণ পাথরের স্তর তৈরি করতে হয়। এই স্তরের ওপরই স্লিপার বসানো হয়। ব্রিটিশ আমলে কাঠের স্লিপার দিয়ে রেললাইন নির্মাণ করা হতো। কাঠের স্লিপারের স্থায়িত্ব কম থাকায় বর্তমানে কংক্রিটের স্লিপার স্থাপন করা হয়। সিমেন্ট, বালু ও রড দিয়ে তৈরি করা হয় কংক্রিটের স্লিপার। ডুয়েল গেজের কংক্রিটের একটি স্লিপারের ওজন ৩৫০ কেজি, ব্রড গেজের ৩০০ কেজি এবং মিটার গেজের স্লিপারের ওজন ২৫০ কেজি। একইভাবে দৈর্ঘ্যও কমবেশি হয়ে থাকে। এই কংক্রিটের স্লিপারের ওপর ইস্পাত লাইন বসানো হয়। বাংলাদেশে এখন যে ধরনের রেললাইন তৈরি হচ্ছে, তার ওপর দিয়ে এক শ কিলোমিটারের কিছু বেশি গতিতে ট্রেন চলানো সম্ভব বলে দাবি রেলওয়ের প্রকৌশলীদের।

 মানসম্পন্ন রেললাইন: রেলওয়ের প্রকৌশলী বিভাগ থেকে ১৪টি রুটকে মানসম্পন্ন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো পার্বতীপুর-পঞ্চগড় ১৩২ কিলোমিটার, কাঞ্চন-বিরল সীমান্ত ১২ কিলোমিটার, লালমনিরহাট-বুড়িমারী ৮৫ কিলোমিটার, রাজশাহী-রোহনপুর সীমান্ত ৮৫ কিলোমিটার, আমনুরা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৩ কিলোমিটার, মাঝগ্রাম-পাবনা ২৫ কিলোমিটার, টঙ্গী-ভৈরববাজার (ডাউন লাইন) ৬৪ কিলোমিটার, লাকসাম-চিনকী আস্তানা (ডাউন লাইন) ৫১ কিলোমিটার, ষোলোশহর-দোহাজারী ৪১ কিলোমিটার, লাকসাম-চাঁদপুর ৩১ কিলোমিটার, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া ৭৫ কিলোমিটার, কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-গোবরা ৪৭ কিলোমিটার, পাচুরিয়া-ফরিদপুর ২৫ কিলোমিটার, পাবনা-ধালারচর ৫৩ কিলোমিটার।

তবে ৭৩৯ কিলোমিটার মানসম্পন্ন রেললাইনের বাইরে বাকি দুই হাজার ১৯০ কিলোমিটারকে ‘মানহীন’ বলতে নারাজ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরোনো রেললাইন দিয়েই ট্রেন সার্ভিস সচল রাখা হচ্ছে। নতুন নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। পুরোনো রেললাইনগুলোও সংস্কার করা হচ্ছে। আশা করা যায়, এর সুফল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে।’ 

৪৮ বছরে রেললাইন বেড়েছে ৭১ কিলোমিটার: বাংলাদেশে রেলওয়ের ইতিহাস দেড়শ বছরেরও বেশি। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর ব্রিটিশ শাসনামলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতী পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার লাইন দিয়ে এই অঞ্চলে রেলওয়ের যাত্রা শুরু হয়। আসাম-বাংলা রেলওয়ে থেকে পাকিস্তান আমলে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইবিআর) এবং স্বাধীন দেশে নাম হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ভারত বিভক্তিতে ইবিআর উত্তরাধিকার সূত্রে পায় দুই হাজার ৬০৬ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার রেললাইন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে পায় দুই হাজার ৮৫৮ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন। তবে ২০১০-১১ অর্থবছরে রেললাইন কমে হয় দুই হাজার ৭৯১ কিলোমিটার। পরের বছর ২০১১-১২ সালে রেললাইন বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৮৭৭ দশমিক ১০ কিলোমিটার। ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত সংখ্যাটি একই থাকে। সবশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট রেললাইন দাঁড়ায় দুই হাজার ৯২৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে। ৪৮ বছরে ৭০ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার রেললাইন বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৯০ দশকে বিশ্ব ব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো রেল খাতে ঋণ দেওয়া একেবারেই কমিয়ে দেয়। তখন বাংলাদেশ রেলওয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় সড়কপথে অর্থ বরাদ্দ হতে থাকে। এর ফলে ওই সময় এ দেশে রেলওয়ে সেক্টর অবহেলিত হয়ে পড়ে। বয়সের ভার, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব আর লোকবল সংকটে রেললাইন ও ইঞ্জিনগুলো ধুঁকতে থাকে।

রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে ২০১১-১৫ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ৪৩ হাজার ৫০৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৬-২০ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এ খাতে ৬৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন ৮৫৬ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ, এক হাজার ১১০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ এবং ট্রেনের গতি বাড়ানো ও নিরাপদ চলাচলের প্রকল্প রয়েছে।

তবে রেললাইনগুলোকে বাধাহীন করলে রেলওয়েতে গতি আসবে বলে মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক। তিনি বলেন, লেভেল ক্রসিংগুলোকে বাধাহীন করতে হবে। একই সঙ্গে রেললাইনের পাশে ভূমির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। বর্তমান কাঠামোতে ৭০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো সম্ভব। কিন্তু যথাযথ যাচাই না করে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকার প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। নতুন রেললাইনের মাধ্যমে বাসের মতো ডোর টু ডোর সেবা রেলওয়ে দিতে পারবে কিনা সেসব বিষয় ভাবা হচ্ছে না।

রেললাইন সামগ্রীর দুষ্প্রাপ্যতা: রেললাইনের নির্মাণসামগ্রী বেশ দুষ্প্রাপ্য। মাটি ছাড়া সব উপকরণ আমদানি-নির্ভর। রেললাইনের পাত চীন থেকে তৈরি করিয়ে আনতে হয়। কংক্রিটের স্লিপার তৈরির জন্য রড ও পাথর আমদানি করা হয়। বালু ও সিমেন্টের স্লিপার সিলেটের ছাতক ও পঞ্চগড়ে তৈরি করা হয়। রেললাইনের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য ব্যালাস্ট পাথর ভারত থেকে আমদানি করা হয়। তবে ভিয়েতনাম থেকেও পাথর আনা হয়। 

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুসারে, রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিবছর পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ঘনফুট ক্রাশড স্টোন বা চূর্ন পাথর প্রয়োজন হয়। কিন্তু মেলে মাত্র এক লাখ ঘনফুট পাথর।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রতি মিটার রেললাইন নির্মাণে প্রয়োজন হয় দুই ঘনমিটার পাথর। প্রতি কিলোমিটারে দুই হাজার ঘনমিটার পাথর। ট্রেন চলাচল, বন্যাসহ প্রাকৃতির নানা কারণ এবং মানুষের চলাচলের কারণে প্রতিবছর রেললাইন থেকে ১০ শতাংশ পাথর কমে যায়। এই ১০ শতাংশ পাথর রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজন হয় ৫৬ হাজার ঘনফুট পাথর।

পর্যাপ্ত পাথর না থাকলে ট্রেন চলাচলের সময় রেললাইনের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। তাই পাথর স্বল্পতায় ট্রেনের গতিও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে খোদ রাজধানী ঢাকায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ব্রডগেজ ও মিটারগেজ—দুই ধরনের রেললাইন রয়েছে ঢাকায়। এর দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলার উপযোগী করে ব্রডগেজ রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। গত এক বছরে ঢাকায় ট্রেন চলাচলে ট্রেনের গতি চার কিলোমিটার কমিয়ে ঘন্টায় ৩৬ কিলোমিটার থেকে ৩২ কিলোমিটার করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (প্রকৌশল) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একটি ট্রেনের সম্পূর্ণ ওজন চাকাগুলোর ওপর এসে পড়ে। সেখান থেকে এই ভার পড়ে রেললাইনের নিচে থাকা স্লিপারে। ট্রেনের সঙ্গে স্লিপারের ভারসাম্য রাখতে রেললাইনে পাথর বা ব্যালাসড বসানো হয়। কিন্তু ঢাকায় রেললাইনে এখন পাথর রাখা যাচ্ছে না। ট্রেনের গতিবেগের সঙ্গে কম্পনের বিষয়টিও জড়িত। এসব বিবেচনা করে রেললাইন নির্মাণ করা হয়। ট্রেন চলাচলে প্রতিবছর ১০ শতাংশ পাথর মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তবে রাজধানীতে রেললাইনের ওপর ২৪ ঘণ্টাই মানুষের চলাচল রয়েছে। এতে রেললাইনের ওপর পাথর থাকছে না।

যন্ত্রাংশের সংকট: এ দেশে সনাতন রেললাইনের লোকোমোটিভ চালিয়ে ত্রুটি শনাক্ত করা হয়। অনেক সময় ট্রলি চালিয়ে এই ত্রুটি শনাক্ত করা হয়। রেলওয়ের বেশ কয়েক জন প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে এমন কথাই জানা গেল। তাদের মতে, রেললাইনে চলার সময় ঝাঁকুনি খেলে সমস্যা ধরা যায়। তবে আধুনিক ব্যবস্থায় টেম্পিং মেশিন দিয়ে রেললাইনে ত্রুটি শনাক্ত করা হয়। এই মেশিন দিয়ে দ্রুত ত্রুটি শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়েতে মাত্র চারটি টেম্পিং মেশিন রয়েছে। কিন্তু রেললাইনের অনুপাতে ২২টি টেম্পিং মেশিন দরকার। শুধু মেশিন হলেই চলবে না, এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা জনবল ও ওয়ার্কশপ প্রয়োজন। এর কিছুই রেলওয়েতে নেই।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১৭ অক্টোবর ২০১৮

ইসির ইভিএম-বিলাস

সম্পাদকীয়

অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় উচ্চ দামে আমদানি নয়


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে হবে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাও বলেছিলেন, ‘সবাই চাইলে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে, না চাইলে হবে না।’ রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়টি বাদ দিলেও কারিগরিভাবেও নির্বাচনের আগে ইভিএম চালু করা সম্ভব নয়। তারপরও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ইভিএম কেনা নিয়ে যে কাণ্ড ঘটছে, তা অগ্রহণযোগ্য, এমনকি স্বেচ্ছাচারিতা বললেও কম বলা হয়। সব থেকে বড় কথা, ইভিএম বিতর্কমুক্ত নির্বাচনবান্ধব প্রযুক্তি হিসেবে বিশ্বে এখনো সাধারণভাবে স্বীকৃতি লাভ করেনি। অনেক উন্নত দেশ এটি চালু করেও পরিত্যাগ করেছে। সুতরাং ইভিএম নিতে হলে বেশি হুঁশিয়ার থাকতেই হবে। বিষয়টিকে আমরা কেবল উচ্চমূল্যে আমদানির জায়গা থেকেই উদ্বেগজনক মনে করি না। 

গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) নাটকীয়ভাবে ইভিএম কিনতে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস করে। দেড় লাখ ইভিএম কিনতে ওই প্রকল্পে ৩ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৯২ শতাংশ। আগামী ছয় বছরে তিন পর্যায়ে দেড় লাখ ইভিএম কেনার ঘোষণা দেওয়া হলেও চলতি অর্থবছরেই ১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ইসিকে নতুন ইভিএম সরবরাহ করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ইতিমধ্যে চীন ও হংকং থেকে ইভিএমের মূল যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আনার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে বিএমটিএফ। তবে আমদানির প্রক্রিয়া ভিন্ন বলে ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ইভিএম আমদানির জন্য এ ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমোদন দিতে হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ইসির জন্য যে ইভিএম তৈরি করেছিল, তার প্রতিটির দাম পড়েছিল ২০-২২ হাজার টাকা। বাংলাদেশি টাকায় ভারতের ইভিএমের দাম পড়ে ২১ হাজার ২৫০ টাকা। এর অর্থ প্রতিবেশী ভারতে ব্যবহৃত ইভিএমের দামের চেয়ে ১১ গুণ বেশি দিয়ে চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো কেনা হচ্ছে। এসবই দুর্ভাগ্যজনক।

বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ইভিএমে কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট ও ডিসপ্লে ইউনিট আছে। এতে ভোটারের নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করতে আঙুলের ছাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিসপ্লেতে ওই ভোটারের ছবিসহ যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। ব্যাটারির মাধ্যমে ইভিএম চলবে। কিন্তু যে জিনিসটি নেই, তা হলো ইভিএম তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরি কমিটি যে ইভিএমে ভোটার ভ্যারিয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা ভিভিপিএটি (যন্ত্রে ভোট দেওয়ার পর তা একটি কাগজে ছাপা হয়ে বের হবে) সুবিধা। অথচ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি এটি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। নির্বাচন কমিশন সেটি বাদ দিয়েছে। ফলে এ কথা বলার সুযোগ নেই যে কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ইভিএম কেনা হচ্ছে।

আমরা স্মরণ করতে পারি যে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টও ভিভিপিএটি অন্তর্ভুক্ত করার শর্তে ইভিএম ব্যবহারের নির্দেশ দিলে ভারতীয় ইসি তা বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনেছিল। সবচেয়ে মানসম্পন্ন ইভিএম তৈরি এবং তা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের যুক্তি নিশ্চয় গ্রহণযোগ্য। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দামের তুলনা করে তারা দাবি করছে, বাংলাদেশের ইভিএমের দাম তুলনামূলক কম পড়ছে। কিন্তু জনগণের কাছে এটা পরিষ্কার করা দরকার যে, তুলনার ভিত্তি কী। কারণ প্রযুক্তিগত উপকরণ ও ব্যবহারিক সুবিধার রকমফেরের মানদণ্ডে বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত ইভিএমের মধ্যে কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্যগত ফারাক থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কারিগরি কমিটিকে পাশ কাটিয়ে যে উপায়ে ইভিএম আমদানির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার উদ্যোগী হয়েছে, সেটা অনভিপ্রেত।

তাড়াহুড়ো করে উচ্চ দামে ইভিএম কেনার এই বিলাসিতা বন্ধ হোক।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১৭ অক্টোবর ২০১৮

Tuesday, October 16, 2018

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যয়ে পরিবারে ঋণগ্রস্ততা বাড়ছে

সাইদ শাহীন|
 
মেয়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পা রাখার আগ পর্যন্ত কখনো ঋণ করতে হয়নি নড়াইলের মহিষখোলা গ্রামের সাইফুল ইসলামকে। চার বছর আগে বড় মেয়ে তামসী লাইলা প্রাপ্তিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর পরই ঋণের জালে জড়িয়ে যান তিনি। মাসে মাসে টিউশন ফির টাকা জোগাড় করতে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হয়েছে তাকে। সেই ঋণ পরিশোধে প্রতি মাসে এখন ৮ হাজার টাকার কিস্তি টানতে হচ্ছে সাইফুল ইসলামকে।


 
ছোট একটি পোলট্রি খামার ছিল দিনাজপুরের রফিকুল ইসলামের। দুই বছর আগে স্ত্রীর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ার পর সেটি বিক্রি করে দেন তিনি। স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে একটি এনজিও থেকে ঋণও করতে হয় তাকে। সব খুইয়েও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি। উল্টো ঋণের জালে জড়িয়েছেন। স্ত্রী-সম্পত্তি হারিয়ে কিস্তি পরিশোধের তাগিদে রফিকুল ইসলাম এখন ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন।
 
শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যয় সংকুলানে সাইফুল, রফিকুলের মতো অনেকেই এভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। আগে থেকেই যাদের ঋণ আছে, বাড়ছে তাদের ঋণও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০১৬-এর প্রাথমিক তথ্য বলছে, ২০১০ সালে মোট ঋণের মাত্র ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ একজনকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করতে হয়েছিল। ২০১৬ সালে তা উন্নীত হয়েছে ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশে। যদিও ঋণ গ্রহণ ও তা ব্যয় হওয়ার কথা মূলত ব্যবসা, কৃষি ও শিল্প খাতে।
 
প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাতীয়ভাবে ঋণ গ্রহণের পরিমাণও বেড়েছে। ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে এ বৃদ্ধির হার প্রায় ৩৫ শতাংশ। ২০১০ সালে পরিবারপ্রতি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৬২ টাকা। ২০১৬ সালে তা উন্নীত হয়েছে ৩৭ হাজার ৭৪৩ টাকায়। ঋণ গ্রহণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বেশি ভূমিকা রাখছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় বৃদ্ধি।
 
চিকিৎসার ব্যয়ভার সমাজের বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসুখ-বিসুখ নিরাময়ে ব্যক্তিগত ব্যয়ের যে হার, সারা বিশ্বের মধ্যেই বাংলাদেশে তা অন্যতম সর্বোচ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৬৭ শতাংশই বহন করতে হয় ব্যক্তিকে। বিপুল এ স্বাস্থ্য ব্যয় সংকুলানেও অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
 
মেয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন নীলফামারীর দেবেন সরকার। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের টাকায় ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত মেয়ে বিপাসার (১৪) অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। এর বাইরে প্রতি মাসেই খরচ করতে হচ্ছে ওষুধ-পথ্য বাবদ মোটা অংকের অর্থ। মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে ঋণগ্রস্ত দেবেন সরকারের এখন নিঃস্ব হওয়ার দশা।
 
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সীমিত হওয়ায় স্বল্প আয়ের পরিবারের সন্তানরাও এখন উচ্চশিক্ষার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। ভর্তি হওয়ার পর উচ্চব্যয় বহন অনেকের পক্ষেই কঠিন হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে ঋণ করতে হচ্ছে অনেক পরিবারকে।
 
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগভেদে স্নাতক প্রোগ্রামের টিউশন ফি ২ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। প্রতি সেমিস্টারেই টিউশন ফি বাড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
যেসব উৎস থেকে পরিবারগুলো এ ঋণ নিচ্ছে, সেগুলোর অন্যতম গ্রামীণ ব্যাংক। ২০১৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের মোট ঋণের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ গেছে শিক্ষা খাতে। আর স্বাস্থ্য খাতে দেয়া হয়েছে ব্যাংকটির বিতরণ করা মোট ঋণের ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।
 
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের ঋণেরও উল্লেখযোগ্য অংশ যাচ্ছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। ২০১৬ সালে ব্র্যাকের ঋণের ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ গেছে শিক্ষায়। স্বাস্থ্যে গেছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
 
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা বণিক বার্তাকে বলেন, বিনিয়োগের বড় দুই খাত হলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। সেখানে যদি কোনো ধরনের ঘাটতি থাকে, তাহলে ব্যক্তি খরচ বেড়ে যায়। আর সেটি মেটাতে ব্যক্তিকে অনেক সময় ঋণ গ্রহণ করতে হয়। চাহিদা থাকলে বেসরকারি খাত বিকশিত হয়। গত কয়েক বছর প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বেশ দক্ষতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোও এতে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আমাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারিভাবে ততটা চাহিদা মেটাতে পারছি না। আবার স্বাস্থ্য খাতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান এখন বেশ এগিয়েছে। কিন্তু জটিল রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এটি মেটাতে গিয়ে মানুষকে ঋণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। সেজন্যই স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই এখন দিতে হচ্ছে ব্যক্তি পকেট থেকে, যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ব্র্যাক অর্থের চাহিদা মেটাতে যেমন কাজ করছে, তেমনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
 
আরেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশাও তাদের মোট ঋণের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ দিয়েছে শিক্ষায়। স্বাস্থ্যে গেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। অন্যান্য এনজিওর মোট ঋণের ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ গেছে শিক্ষায় ও ৭ দশমিক ৩ শতাংশ স্বাস্থ্যে।
আশার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারিভাবে যে হারে বিনিয়োগ দরকার, সেটি না হওয়ার কারণেই ব্যক্তি খরচ বাড়ছে। চাহিদা মেটাতে তারা নানা উৎস ব্যবহার করছে। তবে ব্যক্তি খাত সেটিকে বিনিয়োগ হিসেবেই নিচ্ছে। আর চাহিদা মেটাতে ঋণ করেই সেটি পূরণ করছে। সুস্বাস্থ্য ও শিক্ষিত জনসম্পদ ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো এগিয়ে এসেছে। সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, যা স্বল্প মূল্যে মানুষের চাহিদা পূরণ করছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় এনজিওর বড় উদ্যোগ রয়েছে। তবে অসংক্রামক বা জটিল রোগের ক্ষেত্রে দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো সম্প্রসারণ করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
 
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণেরও বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে এ দুই খাতে। ২০১৬ সালে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে নেয়া মোট ঋণের ৩ দশমিক ২২ শতাংশ ছিল শিক্ষা ও ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ স্বাস্থ্যে।
 
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন। কিন্তু সেটিতে যে ঘাটতি রয়েছে, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিয়োগের সময়ই আমরা তা অনুধাবন করতে পারি। আবার স্বাস্থ্য খাতে এখনো ভালো মানের হাসপাতালের অভাব রয়েছে। মানুষজন তাদের ব্যয় মেটাতে এক খাতের ঋণ অন্য খাতে ব্যয় করছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ালে সাধারণ মানুষের এ দুটি খাতে অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে না। তখন ঋণগুলোও উৎপাদনমুখী বা মুনাফা বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার করা যাবে।
 
তবে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশ পূরণ করছে মানুষ। বন্ধু কিংবা পরিজন থেকে নেয়া অর্থের ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ শিক্ষায় ও ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্যে ব্যয় করছে তারা। আবার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নেয়া অর্থের ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে শিক্ষায় ও ১৮ দশমিক ২৫ শতাংশ স্বাস্থ্যে।
 
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারি বিনিয়োগের যেমন অপ্রতুলতা রয়েছে, তেমনি এ দুই খাতে ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অহেতুক ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি, রোগীদের অযথা প্রেসক্রিপশন ও টেস্ট করানোর ফলে ব্যক্তি ব্যয় বাড়ছে। আবার শিক্ষা খাতে বাড়তি কোচিং ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চফির কারণে শিক্ষা ব্যয় বাড়ছে।
 
 Courtesy: BanikBarta Oct 16, 2018
 

 






 

QUESTION PAPER LEAK

DU postpones ‘Gha’ unit intake test result

Students Against Repression stages protests for cancelation of exam


DU Correspondent
     
 Dhaka University authorities have postponed publishing the results of its admission test for Gha unit without showing any valid reason.
On Monday morning, the authorities issued a press release saying that the results will be published on Tuesday. But hours later, they issued a second press release saying that fresh date of publishing results will be announced soon.



The suspension of publishing result came on the heels of widespread allegation of question paper leak during the admission test held on Friday.

Meanwhile, a section of students of Dhaka University under the banner of ‘Students Against Repression’ demonstrated at the campus demanding cancellation of Friday’s admission test and retaking of the test.

Meanwhile, the university authorities shortly after Saturday midnight filed a case under Digital Security Act against six named accused and many unnamed accomplices alleging that they had leaked 72 questions of ‘Gha Unit’s admission test on Friday.
The case was filed with the Shahbagh police station after the six named accused, all from Bogura, were arrested at the Doel Chattar on the DU campus.

The suspects face the charge of cheating using digital and electronic devices and recording and transferring information after illegally entering into computer system, he said.

The question paper of Dhaka University admission test, held on Friday, was leaked 43 minutes before the tests commenced, the admission seekers and guardians said.

A total of 95,341 candidates appeared at this year’s admission test for the Gha Unit offering 1,615 seats.


   Courtesy: New Age Oct 16, 2018

1,200 factories shuttered in four years

BGMEA says


Star Business Report
Some 1,200 garment factories have been closed down over the last four years because of their lack of compliance and falling behind in the competitive landscape, BGMEA said yesterday.

“It is our apprehension that some more factories will be shuttered soon as they are failing to make profits,” said Siddiqur Rahman, president of Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association, the garment makers' platform, at a press conference at its office in Dhaka.



Bangladeshi garment products have been losing competitiveness because of longer lead time, poor productivity and poor demand for apparel worldwide, Rahman said.

In 2014, the global market size for apparel was $483 billion; in 2017, the figure declined to $454 billion.

Between 2014 and 2018, the prices of Bangladeshi garment items declined in the US market by 11.72 percent while the cost of production increased 29.54 percent, the BGMEA chief said. Similarly, the prices of locally made garment items declined in the EU markets.

But at the same time, each of the garment owners has spent Tk 3-5 crore for fixing the electrical and structural loopholes as per the recommendations of the Accord and Alliance experts.

The cost of production will go up further after the implementation of the recommended minimum wage of Tk 8,000 from December this year, Rahman said. At present, the garments sector's minimum wage is Tk 5,300.

The wage comprises nearly 5 percent of the total production cost of garment items, according to industry insiders.
However, a section of people have been dissemin
ating wrong information for creating a chaotic situation in the garment sector ahead of the implementation of the proposed wage structure, he said.

For instance, the National Garment Workers Federation at a recent press conference said only 3 to 5 percent of the total workers in the garment sector are in the seventh grade.

“This information is wrong,” Rahman said, adding that more than 20 percent of the workers belong to the seventh grade or the entry level now.

The BGMEA leader also praised the statement of the Clean Clothes Campaign, the International Labour Rights Forum and the Maquila Solidarity Network, which urged 25 international retailers to hike the prices of garment items sourced from Bangladesh.

At the same time, American Apparel and Footwear Association, which last year sent a letter to the prime minister of Bangladesh for increasing the wage of the workers, should now urge the buyers to increase the prices of the products.

The garment sector has been witnessing a peaceful and calm situation over the last four years as there were no incidents of unrest. But, if a section of trade unions disseminates wrong information there is a possibility of unrest in the sector, he said.
A lot of workers will lose their jobs if any garment factory is shut down for any reason, he added.

  Courtesy: The Daily Star Business Oct 16, 2018

বৈঠক থেকে মাহবুব তালুকদারের বেরিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে

স্টার অনলাইন রিপোর্ট
 
নির্বাচন কমিশনের আরও একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক চলছিলো। আজ (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় তিনি ওয়াক আউট করেন।
 
পরে এক লিখিত বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন মাস নির্বাচন কমিশন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। এতে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়াও সুশীল সমাজ, মিডিয়া, পর্যবেক্ষণকারী, নারীনেত্রী প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।”
ঐ সংলাপকে একপক্ষীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন তাদের বক্তব্য শোনা ছাড়া নিজেদের মতামত প্রদান করেনি। সবার সংলাপ সুদৃশ্য গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হলেও সংলাপের সুপারিশ বা প্রস্তাব সম্পর্কে এ পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।”
সংলাপের কোনো কার্যকারিতা না দেখে তিনি ব্যক্তিগতভাবে উক্ত সংলাপ পর্যালোচনা করে কমিশন সভায় কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করতে চেয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ও অংশীদারমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ‘কতিপয় প্রস্তাবনা’ শিরোনামে আমি যা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম আমাকে নির্বাচন কমিশন সভায় তা উপস্থাপনা করতে দেওয়া হয়নি।”
“অথচ বিগত ৮ অক্টোবর কমিশন সচিবালয় থেকে ইউ ও নোটের মাধ্যমে আমাকে আজকের সভায় তা উপস্থাপনার অনুরোধ জানানো হয়েছিলো। আমাকে আমার প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করতে বলে তা উপস্থাপনা করতে না দেওয়ায় আমি অপমানিত বোধ করেছি,” যোগ করেন মাহবুব।
তার মতে, “বাক প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান প্রদত্ত আমার মৌলিক অধিকার নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার এই অধিকার খর্ব করতে পারে না। এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এ রকম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করেছি এবং এর প্রতিবাদ স্বরূপ নির্বাচন কমিশন সভা বর্জন করেছি।”
 
যা ছিলো মাহবুব তালুকদারের পাঁচ দফায়?
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের পাঁচ দফায় থাকা বিষয়গুলো নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:
১. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন: আগের নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম মূল্যায়ন করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কীভাবে তাদের ব্যবহার করা যায় তা ঠিক করতে হবে।
২. অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে নির্বাচনে অনিয়মের পথ বন্ধ হয়। নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ না হলে তা গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশকে সমর্থন করে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশন দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে আলোচনা করতে পারে।
৩. নির্বাচনে নিরপেক্ষতা: নির্বাচনে নিরপেক্ষতা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ওপর নির্ভর করে। নির্বাচনকালে সংসদ সদস্যদের নিষ্ক্রিয় রাখা নির্বাচন কমিশনের একার ওপর তা নির্ভর করে না। এতে সরকারের সহযোগিতা দরকার।
৪. নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি: নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। কিন্তু, ক্ষমতা প্রয়োগে সীমাবদ্ধতাও আছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে রাজনৈতিক বাস্তবতায় কমিশন ক্ষমতা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর খুব একটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে না। ক্ষমতা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কীভাবে আরও নিয়ন্ত্রণাধীন করা যায়, তা দেখা উচিত।
৫. সরকারের সঙ্গে সংলাপ: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার নির্বাচন কমিশনের বড় অংশীজন। সংলাপে দেখা যায় কিছু বিষয় রাজনৈতিক বা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। এসব বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ আবশ্যক।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের বৈঠক থেকে ২০ মিনিট পরই বের  হয়ে যান মাহবুব তালুকদার। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব সংক্রান্ত আলোচনায় সেদিনও আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি।
 Courtesy: The Daily Star Bangla Oct 16, 2018

Rescheduled loans jump in Q2

AKM Zamir Uddin

Banks went on a loan rescheduling spree once again in the second quarter of 2018 after holding back in the first quarter.

Between the months of April and June, default loans amounting to Tk 5,879 crore were rescheduled, in contrast to Tk 1,458 crore three months earlier, according to data from the central bank.
Of the total amount rescheduled by banks, two banks accounted for 42.69 percent: state-run Sonali rescheduled Tk 1,340 crore and Islami Tk 1,169 crore.





Bangladesh Bank officials said the large scale rescheduling of non-performing loans would not bring any good to the chaotic banking sector as most of the default loans were regularised bypassing the central bank's instructions.

For instance, Sonali rescheduled more than Tk 1,200 crore of classified loans of a controversial business group by taking only 1 percent down payment.

As per central bank instructions, banks would have to take down payment of 10 percent to 50 percent when rescheduling the toxic loans.

The repayment track record of the business group, which was marked the top defaulter of the bank in December last year, is poor: it became a defaulter despite rescheduling its NPLs a number of times, said a BB official.

The group sought the latest round of rescheduling as its owner will contest in the upcoming national election, said a Sonali official.     
Contacted, Md Obayed Ullah Al Masud, managing director of Sonali, told The Daily Star the lender had secured prior approval from the central bank to reschedule the default loans. The group is now making its loan instalments on a regular basis, he added.
Some banks have frequently breached the central bank's norms while rescheduling default loans, the BB official said.

A central bank inspection team has recently found that a first generation bank rescheduled more than Tk 4,000 crore last year by grossly violating banking rules.

The central bank termed the non-performing and rescheduled loans as stressed assets of the lenders as such loans are highly risky for them.

Last year, Islami Bank also rescheduled Tk 3,099 crore and it has also kept the same track this year.

There is a requirement for banks to get no-objection certificate from the central bank when they want to reschedule default loans under extraordinary circumstances.

In recent years, the central bank has given such NOCs to banks on a wholesale basis to keep down the default loan figure, the BB official said upon conditions of anonymity to speak candidly on the matter.

The practice will be damaging for the entire banking sector in the days to come as many of unscrupulous persons receive fresh loans after rescheduling their default ones.

“They then refuse to repay the loans, which is harmful both for the depositors' interest and financial health of banks,” he added.
In 2017, all 57 banks operating in Bangladesh had rescheduled NPLs amounting to Tk 19,120 crore, up 24 percent year-on-year.
Despite huge loan rescheduling, NPLs in the banking sector surged Tk 89,340 crore in June this year, up from Tk 74,149 crore a year earlier.
Courtesy: The Daily Star Oct 16, 2018

Bangladesh slips 5 notches in Global Passport Power Index

Unb, Dhaka
Bangladesh has ranked 100th in the Global Passport Power Rank 2018, slipping five notches from its previous ranking.
In 2017, Bangladesh ranked 95th with visa-free access to 38 countries, according to the rankings released on Tuesday by Henley & Partners, a US-based citizenship and planning firm.
Bangladesh is placed at 100th position jointly with Lebanon, Iran and Kosovo in the global ranking for 2018, all having visa-free access to 41 countries, according to the index.



Japan has the most powerful passport, according to the ranking, with visa-free access to 190 countries in the world. Singapore secured the second position with visa-free access to 189 countries. Passports of France, Germany, and South Korea, all of which have visa-free access to 188 countries, have been placed third.

Iraq and Afghanistan remained at the low end of the spectrum, providing visa-free access to 30 countries each, with Syria and Somalia just ahead with 32 visa-free destinations.

Among Bangladesh's neighbours, India and Pakistan placed 81st and 104th while Myanmar on the 93rd spot with Nepal 101st and Bhutan 86th position, the report revealed.

The statistics of the Henley Passport Index are based on exclusive data from the International Air Transport Association, which maintains the world's largest and most accurate database of travel information, and is enhanced by extensive in-house research.

   Courtesy: The Daily Star Oct 16, 2018

Editorial

With recognition comes decision-making power

The lack of recognition of women's unpaid work in Bangladesh is something that has fortunately begun to be discussed. This was highlighted yet again at a press conference on Sunday marking the International Day of Rural Women. While it is a good sign that we have begun to at least talk about the issue, we are far from monetising unpaid work and giving these women the due recognition for their valuable labour.



According to a joint study published by the Centre for Policy Dialogue and Manusher Jonno Foundation in December 2015, 89.5 percent of women are employed in the informal sector “with varying and often unpredictable earning patterns.” The results of the study were eye-opening: it estimated that the value of women's unpaid household work amounted to nearly 77 percent of the country's GDP in 2013-14. Furthermore, the rate of women working in the informal sector is much higher than the world average, according to ILO, which largely explains why much of their labour remains unrecognized.

The consequences of unremunerated work have been far-reaching for rural women. It has resulted in the deprivation of their social status and severely limited their decision-making power in the household. The fact that 93 percent of landless women are not availing the benefits of the Vulnerable Development Group (VGD), a safety net programme assisted by the World Food Programme—as reported in a Bangla daily yesterday—gives rise to new concerns about the effectiveness of existing initiatives which are supposed to help uplift women from poverty.

The government should think about forming a satellite account, as recommended by researchers and economists, to show women's contribution in the economy. And it is imperative that programmes targeted at rural women are implemented properly and funds used efficiently.

   Courtesy: The Daily Star Editorial Oct 16, 2018

Oikyafront looks for expansion

Works on BNP's proposal for taking in 4 members of 20-party combine

Mohammad Al-Masum Molla

The Jatiya Oikyafront, formed recently with the BNP and several other parties, now wants to expand by including more partners from the BNP-led 20-party alliance.



Senior leaders of the Oikyafront are now working on it in the light of a proposal made by the BNP, sources in the platform said.
According to the proposal, four components of the 20-party alliance -- Liberal Democratic Party, Bangladesh Kalyan Party, Bangladesh Jatiya Party, and Jatiya Party (Kazi Zafar-led faction) -- may be invited to join the Oikyafront soon, they added.

“The door of the Jatiya Oikyafront is open to all and anyone can join. If any component of the BNP-led 20-party alliance wants to join, we will welcome them,” Moudud Ahmed, BNP's standing committee member, told The Daily Star yesterday.

Asked about this development, a top leader of Oikyafront Mahmudur Rahman Manna, said, “The Oikyafront leaders will sit tomorrow [today] at 12 noon to discuss issues, including expansion of the alliance.”

Manna, also convenor of Nagorik Oikya, may be made the spokesperson for the Oikyafront, a senior BNP leader said.
Even after inclusion of some components of the 20-party combine in the Oikyafront, the 20-party will function as a separate platform.
“The demands and goals of all the opposition forces are the same. We will chalk out our action programmes in consultation with the Oikyafront leaders. The 20-party alliance will hold the programmes simultaneously with those of the Oikyafront,” said Goyeshwar Chandra Roy, BNP's standing committee member.

Senior leaders of the 20-party alliance yesterday in a meeting welcomed the formation of the Oikyafront. In the meeting at the BNP chief's Gulshan office, party's Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir and standing committee member Nazrul Islam Khan briefed the 20-party alliance leaders about the aims and objectives of the Oikyafront, meeting sources said.

A senior BNP leader is in communication with the leaders of left-leaning political parties, urging them to take to the streets with a similar demand for a free and fair election under a non-partisan interim government.

After weeks of talks and intense negotiations, the BNP and four other political parties formally launched an alliance called Jatiya Oikyafront on Saturday, excluding Bikalpadhara Bangladesh led by former president Prof Badruddoza Chowdhury, just months before the national election.

The four other parties are -- Gonoforum led by Dr Kamal Hossain, Jatiya Samajtantrik Dal led by ASM Abdur Rab, Nagorik Oikya and Forward Party.

  Courtesy: The Daily Star Oct 16, 2018