Search

Thursday, November 1, 2018

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়েছিল - কাদের সিদ্দিকী


দেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে একটি সার্বিক ঐক্য চেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তবে তার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান কি হবে তা তিনি জানাতে সকলকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।  বুধবার মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

বঙ্গবীর জানান, আগামী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দেশে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। সে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সংবিধান প্রণেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঐদিনের আলোচনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীকে আমন্ত্রন জানাবেনও বলে জানান তিনি। এবিসয় উল্লেখ করে তিনি জানান কেন ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্টে যোগ দেননি।

তিনি বলেন, জাতীর সার্বিক ঐক্যে বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন না থাকায় তিনি (ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্টে) কোন অংশে যোগ দেননি বা নেই বলে জানান। তবে ৩ নভেম্বরের সে আলোচনা সভায় তার রাজনৈতিক অবস্থা জানাবেন বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি জানান আজ বুধবার রাতে তিনি তার মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে ড. কামাল হোসেনকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। 

তিনি আরও জানান গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম তার সাথে দেখা করেছেন। অপরদিকে গত সোমবার তিনি নিজে বি চৌধুরীর বাসায় তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। এসব বিষয়গুলি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলিই রাজনৈতিক’। এবং দেশে প্রতিদিনই রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংলাপের উদ্যোগকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসাবে অভিহিত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, সংলাপের মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেই নিতে পেরেছেন। তিনি জানান এ সংলাপের জন্য ফুটপাতে ৬৪ দিন কাটাতে হয়েছে। ৩০৮ দিন আমি ঘরের বাইওে থাকতে হয়েছে। তিনি বলেন, ফুটপাতে যখন ছিলাম তখন এই সরকারেরই সন্ত্রাসীরা টয়লেটে ব্যবহার করার জন্য আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়েছে।

রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচি তাদের সাথেও আলোচনায় বসতে হয়। যাদের কাছ থেকে আজকে পোড়াগন্ধ আসছে তার সাথেও আলোচনা করতে হয় এবং শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

বঙ্গবীর বলেন, দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই, আজকে শ্রমিকের মুখে কালি মাখা হলো। তবে এই কালি শ্রমিকের মুখে মাখেনি এটা আসলে দেশ ও জাতির মুখে মেখেছে। তিনি বলেন, প্রতি মুহুর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এই উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম তারেক।
  • কার্টসিঃ নয়াদিগন্ত/৩১ অক্টোবর ২০১৮

Wednesday, October 31, 2018

Dialogue, election can’t be fruitful with Khaleda in jail - BNP


BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir today said no dialogue and election will be fruitful keeping their chairperson Khaleda Zia in jail.

A day before Oikyafront's scheduled talks with Prime Minister Sheikh Hasina, he came up with the remark at a human-chain programme in front of the Jatiya Press Club in Dhaka.

"The government on one hand has offered dialogue and extended Khaleda Zia's punishment on the other. These are two conflicting moves, which don't demonstrate the government's sincerity for talks," Fakhrul said.

He further said, "Neither any dialogue nor any election will be fruitful keeping Khaleda Zia in jail. So, we would like to call upon you please return to the path of democracy and create a democratic atmosphere."

The BNP leader said the government must fully accept Oikyafront's seven-point demand for holding a credible and neutral election. "First of all, our leader (Khaleda) must be freed as no election can be meaningful without her release."

BNP formed the human chain protesting the conviction of its chairperson Khaleda Zia in Zia Charitable Trust corruption case.

Several hundred BNP leaders and followers formed the human chain around 11:00am in front of the Jatiya Press Club amid tight security.

They chanted various slogans demanding the immediate release of their leader Khaleda Zia.

Police cordoned off the protesters to fend off any trouble.

BNP senior joint secretary general Ruhul Kabir Rizvi on Monday announced a three-day countrywide programme, including the human chain, protesting the conviction of its Chairperson Khaleda Zia in the Zia Charitable Trust graft case.

As part of the programme, the party will also observe a token mass-hunger strike on Thursday in all metropolitan cities and district towns.

On Monday, a Dhaka court sentenced BNP chairperson Khaleda Zia and three others to seven years' rigorous imprisonment each in the much-talked-about Zia Charitable Trust corruption case.
  • The Daily Star/Oct 31,2018 

External debts up by 141pc in two years

Higher rate of short-term foreign borrowings blamed

Munima Sultana

The volume of Bangladesh's external debts surged by 141 per cent to US$ 54.73 billion in two years to June last, says the central bank.

The volume of external debts at the end of March 2016 stood at US$ 38.88 billion, the Bangladesh Bank (BB) said in its quarterly financial stability assessment report.

The report attributed the rapid rise in such debts in the last couple of years mainly to the higher rate of short-term foreign borrowings.

It said the short-term foreign borrowings accounted for 22 per cent of the total external debts in June 2018.

The cumulative growth of the same hit 205 per cent during the period of March 2016 to June 2018.

"Generally, rapid growth of short-term foreign debt is considered as an early indicator of potential vulnerability. However, current share of short-term debt to total debt portfolio seems to be considerably low," the report stated.

The central bank's study analysed the current external debt situation of the country from the financial stability standpoint.

It said the prospective inflow of external debts to Bangladesh might decline while the existing debts might also be affected.

However, the report stated that the current external debt-GDP ratio seemed to be low. In the fiscal year 2017-18, the external debt-GDP ratio stood at 20 per cent and the short-term external debt-GDP ratio 4.44 per cent.

Until June 2018, the ratio of short-term external debt to foreign exchange reserve in the country was 37 per cent against 99.69 per cent, 176.59 per cent, 203.23 per cent, and 40.98 per cent in Thailand, Indonesia, Korea and Malaysia respectively prior to the Asian financial crises.

The short-term external debt to remittance ratio stood at 81.63 per cent at the end of June 2018, implying that such debts could be fully off-set by yearly remittance inflow, the central bank said.

"Though it is still far from the point where sentiment of foreign lenders can precipitate a financial stress by sudden call back of their debt, resilience of Bangladesh financial system to withstand external shock needs to be enhanced," the report said.

The current external debt-GDP ratio of Bangladesh is still low. The current level of international reserve is adequate to redeem the short-term external debt obligation, the BB said.

Nevertheless, since short-term external debt is growing rapidly, utilisation of the same needs to be monitored prudently so that it cannot turn out to be a source of distress, the quarterly assessment report says.

  • Courtesy: The Financial Express /Oct 31, 2018

Blocking radioactive objects' passage

EDITORIAL

In a country lacking effective deterrents to stop illicit shipment of radioactive substances, proposals for helping it install a bulwark deserve serious appraisal. Even in the early 21st century, Bangladesh remains a free-for-all in terms of being a destination and transit route of all conceivable items. Illicit substances like drugs comprise a large segment of them. The US initiative to extend its logistics support in checking outbound and inbound shipments of radioactive materials through the Chattogram Port could not have been timelier. According to an FE report, a US team is due in the country in November to discuss the issue with the local officials. Already the National Nuclear Security Administration of the US Government has installed 12 Radiation Portal Monitors (RPMs) at Chittagong Port. In operation under the Megaports Initiative, the devices are meant to deter, detect, and stem illegal transportation of radioactive substances. For a country, like Bangladesh, vulnerable to being a virtual haven for different international syndicates, foolproof measures to detect and seize radioactive or nuclear materials at the port are a national imperative.

The collaboration with the US, a pioneer in nuclear issues, will surely rev up the country's ability to efficiently deal with the dreaded threat. The government of Bangladesh and the US signed a Memorandum of Understanding (MoU) on the matter in 2008. The US has already provided the required technology to the Chattogram Port Authority (CPA) and the Bangladesh Atomic Energy Commission to help detect the presence of radioactive substances in outbound cargos. The main segment of the technology comprises special monitors. Chittagong Customs House is reportedly operating the equipment. Of the 12 monitors, six have been installed at one gate of the port meant chiefly for outbound containers, with 4 (four) gates equipped with the rest. A troubling aspect of the surveillance network is seven other CPA gates' operating without these devices.

The issue, indisputably, is critical. Like many other countries threatened with newer types of ominous developments, Bangladesh may also be safe no longer. Europe has lately raised its threat and alert levels to preempt strikes of improvised N-devices. Europol has taken upon itself the task of monitoring the crime areas. Apart from direct strike, the threats comprise using the radioactive materials in violence and blackmailing carried out by organised crime groups. Much to the relief of the nation, Bangladesh is apparently far from being hit by nuclear violence -- at least for now. But its suspected use as a transit by global traffickers, and the largely unscreened entry of foreign discarded ships for the ship-breaking industry loom as a potential threat.

Bangladesh has few scopes for adopting a laidback attitude towards the newly-emerging scourge. It has potent reasons. The seizure of radioactive substances in a container at Chittagong Port and their disposal in August last year, and that of another consignment of radium and beryllium in 2014, calls for a mechanism of stringent monitoring to be in full operation.

  • Courtesy: The Financial Express/ Oct 31, 2018   

A silence too costly

Outrage over death of 3 kids during 48-hr transport strike; state's inaction denounced


The tragic death of three infants during the 48-hour strike by road transport workers has touched off an angry outcry in the country with rights activists putting the blame partly on the state because of its failure to ensure citizens' safety.

They said the babies could have been saved had the government acted properly. Demanding justice, they also urged the authorities to take sensible precautions in a situation like this so that no precious life meets an untimely end.

On Monday, a two-day-old baby boy, suffering from pneumonia, breathed his last on his father's lap while on their way to Sunamganj Sadar Hospital as the workers did not allow the vehicle to pass.

Two baby girls -- seven-day-old and eleven-month-old -- died on Sunday as their families could not take them to hospitals due to the strike in Barlekha upazila of Moulivbazar.

During the “work stoppage” enforced by Bangladesh Road Transport Workers Federation led by Shipping Minister Shajahan Khan, the workers smeared used engine oil on the faces of some drivers and passengers, including some female students.

The federation in a press release yesterday, however, said certain quarters made its "peaceful and logical movement" controversial by obstructing ambulances and harassing people. It demanded exemplary punishment to them.

Never before has the country seen ambulances or vehicles carrying patients being obstructed during a strike, said rights activist Nur Khan Liton. Similarly, used engine oil has never been smeared on people's faces.

With such activities, the transport workers spread a sense of panic and hatred, he observed.

"What actually happened in the name of strike is nothing but a total anarchy. And one of the consequences of the strike is the death of the children as they could not be taken to hospitals,” he also said.

"Those who enforced the strike in no way can avoid responsibility of the death. At the same time, the state also cannot shrug off its responsibility as such deaths could have been avoided had it acted properly and taken steps.”

Sheepa Hafiza, executive director of rights organisation Ain O Salish Kendra, said the transport workers barred an ambulance and harassed citizens. “But we're surprised to see how the state kept silent.”

She argued, "The state could have taken steps, and it can take steps if it wants, since this is what the state is entrusted with."

A strike could be observed in many ways, she added. The students showed how to handle an emergency situation skillfully during their recent demonstrations for road safety.

National Human Rights Commission Chairman Kazi Reazul Hoque said inflicting sufferings upon public, hurting businesses and humiliating people in the name of realising demands are unpardonable crimes and violation of human rights.

"Those who committed the crimes must be brought to book," he said.

What's more regrettable, the NHRC boss said, is that the workers federation issued a threat to go for such strikes further.

He hoped that the government would play a proactive role and hold discussions with them so that people would not have to suffer and no life is lost.

'MY SON DIED ON MY LAP'

The two-day-old son of Moynul Islam, a resident of Dakshin Sunamganj upazila, was found to have been suffering from pneumonia on Monday morning and local doctors at Ganiganj Bazar referred the infant to Sunamganj Sadar Hospital, around 10km from the place.

There were a few CNG-run auto-rickshaws at Ganiganj Bazar but the transport workers were not allowing any vehicle to run.

"My son died on my lap and I couldn't do anything for him," said Moynul, as he burst into tears.

"What was my newborn son's fault? I begged them to let us pass, but they did not," he said, adding the workers turned down the requests of the bazaar committee. 

On Sunday morning, Kuton Miah and Sayera Begum of Ojmir village of Barlekha upazila in Moulvibazar took their seven-day-old baby girl to Barlekha Upazila Health Complex.

The doctors there referred the baby to Sylhet MAG Osmani Medical College Hospital so they rented an ambulance.

"But as we started, we were blocked by transport workers first at the Upazila Bazar. After half an hour, we were allowed to pass only to be barred again in Dasher Bazar area," said Kuton.

"We requested them. But they beat up the ambulance driver instead. When they saw that my baby girl died, they let us move," he said as he described the tragic moment.

Crying inconsolably, Sayera Begum said, “I told them that my daughter is sick and we are going to hospital, but they did not listen to us ... My daughter died on my lap."

On Sunday afternoon, the life of 11-month-old girl Shukria Begum of Shahbajpur area of the same upazila was cut short.

Daughter of Hamida Begum and late Salik Ahmed, Shukria too was suffering from pneumonia, but the family could not take the baby to hospital, according to Selim Ahmed Khan, said panel chairman of Uttar Shahbajpur union.

Meanwhile, a lawyer brought the issue of the death of children to the attention of the High Court bench of Justice Sheikh Hassan Arif and Justice Razik-Al Jalil by placing two newspaper reports and sought a suo moto order.

The court asked the lawyer to submit a petition before it today in this regard, Deputy Attorney General Mokhlesur Rahman told The Daily Star.

Despite the deaths, police took no action against anyone so far as they are waiting for people to file complaint.

Yeasin Ali, officer-in-charge of Barlekha Police Station, said, "We are still waiting to get complaint from the affected family. If they do not file any case, we may then consider filing a police case."

Similar was the version of Ikhtiar Uddin Chowdhury, officer-in-charge of Dakshin Sunamganj Police Station.

"So far we know, the family did not find any vehicles on road, so the baby died. Now, who will stand accused?"

However, Golam Subhan Chowdhury, a lawyer of the Supreme Court, said the transport workers who created obstructions on roads can be made accused of murdering the babies and the police can take legal action on their own.

[Our Sylhet correspondent contributed to this report]

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 31, 2018

Agreeing to sit for talks shows political wisdom

EDITORIAL

Use the opportunity to resolve the thorny issues

It is a demonstration of political farsightedness on the part of the Prime Minister to have accepted the proposal of the Oikyafront for a dialogue. Coming against the background of statements from some party high-ups discounting any possibility of talks between the AL and the opposition, it is a very encouraging development. This a good start and we hope the opportunity will be seized upon to iron out and resolve certain thorny issues surrounding holding of the parliamentary elections. We have high expectations and would hope that both the parties would focus on the main point at issue, i.e. how to hold elections that are acceptable to all the political parties, as well as the general people.

To ensure that this meeting does not turn into a futile exercise, both the parties should display a flexible position in the discussions. There are some genuine concerns of both the opposition and the voters about the elections being free and fair. And the ruling party should allay those. The opposition too must not be rigid in their demands. Also, public perception regarding the role of the EC, and its ability to perform its tasks without let or hindrance have been much talked about, and should be addressed by the ruling party.

We understand that these issues cannot all be resolved during a one-off meeting. But dialogue cannot go on ad infinitum. Thus, we hope that both the parties would utilise the opportunity on November 1 to decide to create a mechanism of time-bound dialogue that would create a way to accommodate all the reasonable demands of the political parties contesting the upcoming elections, which can help ensure that the elections remain free, fair and credible.

  • Courtesy: The Daily Star/ Oct 31, 2018

Tuesday, October 30, 2018

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা - চার দিন পরও পুলিশ নীরব









গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই জায়গাটি দখল করে তোলা দেয়াল। ছবি: প্রথম আলো

শতাধিক যুবককে রড, লাঠি আর চাপাতি নিয়ে ছুটে আসতে দেখে একটি কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন শিরিন আক্তার। দুর্বৃত্তরা দরজা ভেঙে সেখানে ঢোকে। এরপর চুলের মুঠি ধরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। হাত–পা ছুড়ে যুবকদের হাত থেকে কোনোমতে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন এই নারী।

শিরিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনের আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক। গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে শিরিন বলছিলেন, ‘শুক্রবার দৌড়ে যখন পালিয়ে যাই, তখন ওড়না ওদের হাতে রয়ে যায়।’

শুধু শিরিনই নন, ওই দিন দুর্বৃত্তদের হাতে লাঞ্ছিত হন ইলেকট্রিশিয়ান মো. সবুজ আলম ও প্রকৌশলী আতিকুর রহমান। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয় গণবিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ুয়া মেয়েদের। যাঁরা হোস্টেলে থাকতেন তাঁদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ‘কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড’–এর মালিক কাজী মহিবুর রবের নির্দেশে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। প্রাথমিক হিসাবে ৮৬ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুট হয়েছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরো জায়গাটি প্রায় ৬২ একর। এর এক–তৃতীয়াংশ জায়গা নিজের দাবি করেছেন কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মহিবুর রব। মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। একবার ফোন ধরে কয়েক সেকেন্ড পর ফোন কেটে দেন।

আশুলিয়া থানায় করা মামলায় কাজী মহিবুর ১৯ দশমিক ৬৩ একর জমির ক্রয়সূত্রে মালিক হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। পুরো জায়গাটি গণস্বাস্থ্যের দখলে থাকলেও তিনি মামলায় নিজেকে ভোগদখলকারী বলে উল্লেখ করেছেন।

হামলার পর চার দিন পার হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আশুলিয়া থানায় দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মামলা নেওয়া দূরে থাক, পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেননি।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যে জায়গার ওপর রয়েছে, তার একটি অংশ কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড তাদের বলে দাবি করেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

লুটপাট, ভাঙচুরের বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন কিছুর সত্যতা আমি পাই নাই। পুলিশ কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছিল, তাদের প্রতিবেদন বলেছে, এটি আসলে তাদের আগের বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মামলা না নেওয়ার বিষয়ে ওসি রিজাউল হক বলেন, ‘কেউ হঠাৎ করে মামলা নিয়ে এলে সেটি তো আর নেওয়া যায় না। তাঁরা অভিযোগ দিয়েছেন, আমরা নিয়েছি। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবহিত আছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।’

পুলিশ ঘটনা নিয়ে সন্দিহান হলেও গতকালও পিএইচএ ভবনে গিয়ে ভাঙচুরের আলামত দেখা যায়। ভবনের প্রবেশমুখেই দুটো কক্ষের দরজা ও জানালার কাচের টুকরো ভেঙে নিচে পড়ে ছিল। দেয়াল থেকে ঝুলছিল সিসি ক্যামেরার তারগুলো।

সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো. নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে পিএইচএ ভবনের প্রবেশপথের মুখে দেয়াল নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে।

দখল অব্যাহত

মূল সড়ক থেকে পিএইএ ভবনে যাওয়ার প্রবেশপথের মুখে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন দখলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকেরা সেখানে দেয়াল নির্মাণ করছেন। স্থাপন করা সাইনবোর্ডে নাছির ছাড়াও তাঁর ভাই মো. আবু বকর সোহেলের নাম রয়েছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে বিতর্ক সুযোগ হিসেবে দেখছে কিছু লোক। তাঁদের এই কথার সত্যতা মেলে আওয়ামী লীগের নেতা নাছির উদ্দিনের কথায়ও।

জায়গা যদি আপনারই হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন কেন দখলে নেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে নাছির বলেন, ‘আমি সুযোগের সন্ধানে ছিলাম। এখন মনে হয়েছে দখল নেওয়া সম্ভব, তাই কাজ শুরু করেছি।’

সাম্প্রতিক সময়ে নানা ঘটনায় আলোচিত–সমালোচিত হন মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে মাছ, ফল চুরিসহ জমি দখলের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। এর কিছুদিনের মাথায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর হয়।

পিএইচএ ভবনের পরিচালক অনীল কুমার ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন থেকেই তাঁরা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ কোনো কথায় গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এর প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী হলেও পাঁচজনের একটি ট্রাস্টি বোর্ড এটি পরিচালনা করে। তাই কারও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঘিরে অনিয়শ্চয়তা

আগামী ১৫ থেকে ১৯ নভেম্বর জনস্বাস্থ্য নিয়ে পিএইচএ ভবনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। ১০৭টি দেশের ৬০০ প্রতিনিধি এতে অংশ নেবেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই সম্মেলন নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে আয়োজকদের।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁদের ভিসা ও প্লেনের টিকিট কেটে ফেলেছেন। এ–সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ। এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। একমাত্র সরকার বন্ধ না করলে সব বাধা ডিঙিয়ে তাঁরা সম্মেলন করবেন।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/৩০ অক্টোবর ২০১৮

নগদ অর্থনীতির ব্যাপকতা

সম্পাদকীয়

ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ ও সুশাসন নিশ্চিত হোক

যে দেশের অর্থনীতি যত উন্নত হয়, সে দেশে নগদ লেনদেনের পরিমাণ তত কমে বলে গবেষকরা দাবি করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম বলা চলে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধিও ঈর্ষণীয় পর্যায়ে রয়েছে। দেশজ উৎপাদন, মাথাপিছু আয়— সব অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নগদ অর্থনীতির আকার। বৈশ্বিক প্রবণতা অনুযায়ী বাংলাদেশের জিডিপির বিপরীতে নগদ অর্থনীতির আকার ছোট হয়ে আসার কথা। ব্যাংকিং ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণে বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক লেনদেন আরো কাঠামোবদ্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তা হয়নি। অর্থনীতির আকারের সমান্তরালে আর্থিক অবকাঠামোয় উন্নতি না হওয়াকে এজন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে ছায়া অর্থনীতি। রাজস্ব ফাঁকি দেয়া বা অবৈধ উপার্জন লুকানোর জন্য আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে লেনদেনকে পাশ কাটিয়ে নগদ লেনদেন করেন অনেকে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির বিস্তার ও সুশাসনের অভাব দেখা দিলে ছায়া অর্থনীতির আকারও বড় হয়। 

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমনটিই ঘটেছে বলে মনে করছেন অনেকে। দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ এখনো নিচের সারিতে। এখানে ব্যবসা করতে গেলে বড় অংকের ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ-দুর্নীতির ব্যাপকতা দেশে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে। এক দশক আগেও দেশের নগদ অর্থনীতির আকার ছিল জিডিপির ৮ শতাংশের মতো। এখন তা পৌঁছেছে ১২ শতাংশের কাছাকাছি। এক্ষেত্রে নগদ অর্থনীতির অধিক বিস্তার পরিলক্ষিত হলে অন্যান্য সূচকের সঙ্গে এর সম্পর্ক অনুসন্ধান জরুরি। সমসাময়িক বিভিন্ন আর্থিক অপরাধের প্রবণতার সঙ্গেও বিষয়টিকে মিলিয়ে দেখতে হবে। আমরা চাইব সরকার বিষয়টি বিশ্লেষণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেবে এবং নগদ বা ছায়া অর্থনীতির রাশ টেনে ধরতে দুর্নীতি কমিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করবে। নগদ অর্থনীতির একটি বড় অংশ বাইরে পাচার হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর সত্যতা মেলে অর্থ পাচারের তথ্যে। দেশে নগদ অর্থনীতির আকার যত বড় হয়েছে, অর্থ পাচার ততই বেড়েছে। ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছায়া অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের উপরে। তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী নগদ লেনদেনের প্রবণতা কমেছে। বাংলাদেশে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের টাকাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন হয়। কর ফাঁকি দিতে ধনীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে না গিয়ে অনানুষ্ঠানিক লেনদেন করেন বেশি।

দুর্নীতিমুক্ত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নগদ লেনদেনের চেয়ে আনুষ্ঠানিক লেনদেননির্ভর হওয়ার বিকল্প নেই। যখন কোনো অর্থনীতি নগদ মুদ্রার ওপর নির্ভরশীল হয়, তখন তার অভিশাপও অর্থনীতিকে ভোগায়। রাজস্ব আহরণ ও অর্থ পাচার বন্ধে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণও নগদ লেনদেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লেনদেন হলে সরকার সহজেই রাজস্ব আহরণ করতে পারত। নগদ অর্থনীতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে ভারত সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকিং খাতে লেনদেন বাড়াতে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও কালো টাকা ঠেকাতে বাতিল করা হয়েছে ৫০০ ও ১ হাজার রুপির নোট। উদ্দেশ্য ছিল নগদবিহীন সমাজে পরিবর্তন করা। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও মানুষের দোরগোড়ায় এ সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। নানা ফি ও চার্জের কারণে সাধারণ মানুষ বিমুখ এ খাত ব্যবহারে। ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাট, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ কয়েকটি ব্যাংক মূলধন সংকটে পড়ায় মানুষের মধ্যে শঙ্কা বেড়েছে আনুষ্ঠানিক খাত সম্পর্কে। এসব কারণে মানুষের মধ্যে নগদ লেনদেনে উৎসাহ বেশি। এক্ষেত্রে দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হলে নগদবিহীন সমাজের পথে যেতে হবে সরকারকে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এটি যে সম্ভব নয়, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বটে, তবে তার ফল আশানুরূপ নয়। নগদবিহীন লেনদেন বাড়াতে হলে এ ব্যাপারে উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে। তবে মূল প্রশ্নটি হচ্ছে সুশাসন নিশ্চিত করা। এটি হলে দুর্নীতি কমবে। আর দুর্নীতি কমলে নগদমুক্ত অর্থনীতিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে।

  • Courtesy: Banikbarta /Oct 30, 2018

ফুলেফেঁপে উঠছে শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়

সাইফ সুজন


দেশে প্রথম সারির কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এখনো ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো অবকাঠামো থাকলেও শিক্ষার্থীর তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলেছে টিউশন ফি। এতেই ফুলেফেঁপে উঠছে তাদের আয়।

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে গত সপ্তাহে। 

তাতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে শিক্ষা কার্যক্রমে থাকা ৯০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত আয় ছিল ৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে শিক্ষা কার্যক্রমে ৮৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত আয় ছিল যেখানে ২ হাজার ৯৩০ কোটি ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে এক বছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বেড়েছে প্রায় ২৭১ কোটি টাকা।

ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের এ তথ্য দিয়েছে কমিশনে পাঠানো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হিসাবের ভিত্তিতে। যদিও প্রকৃত আয় গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে। তাই প্রকৃত আয় হিসাবে নিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয় আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ইউজিসির কর্মকর্তারা।

সর্বোচ্চ আয়কারী বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবার উপরে আছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২২৯ কোটি টাকার মতো আয় করলেও ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় বেড়েছে ৩৩ কোটি টাকা। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের সর্বোচ্চ বৃদ্ধিও এটাই।

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৭ সালে শিক্ষার্থী ছিল ২০ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৭ হাজার ৫১৭ ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২ হাজার ৫০৮ জন। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় পড়ালেখা করছে ১ হাজার ১৬৮ জন। বাকি ১৮ হাজার ৮৫৭ জন শিক্ষার্থীকে অর্থ দিয়ে পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্নাতক কোর্স সম্পন্নে কম টিউশন ফি যে বিভাগগুলোয়, তার একটি ইংরেজি। বিভাগটিতে স্নাতক কোর্স সম্পন্নে একজন শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি বাবদ খরচ করতে হয় ৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এ হিসাবে ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টিউশন ফি বাবদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বছরে পায় ২ লাখ টাকার বেশি। এটি হিসাবে নিলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় হওয়ার কথা বছরে ৩৮০ কোটি টাকার মতো।

আয়ের প্রকৃত তথ্যই তারা ইউজিসিকে দেন বলে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই আমাদের আয় বাড়ছে। আয়ের পাশাপাশি আমাদের ব্যয়ের পরিমাণও কম নয়। শিক্ষকদের আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা, গবেষণা বৃত্তি প্রদান, শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে তোলার পেছনেও আয়ের বড় একটি অংশ ব্যয় হয়। সব মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে।

গত বছর আয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি)। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় ছিল মোট ৬৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৭ সালে এসে আয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০১ কোটি টাকায়। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বিইউবিটির আয় বেড়েছে ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৮ হাজার ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী। আর শিক্ষা কার্যক্রমে আছে ২০০৩ সাল থেকে।

২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেশি আয় করেছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি)। ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি আয় করেছে মোট ১৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় ছিল যেখানে ১১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

উচ্চ আয় করেছে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও। ইউজিসির হিসাবমতে, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা। যদিও ২০১৬ সালে ১৪৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা আয় করেছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির আয় বেড়েছে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

দেশের বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৭ সালে শিক্ষার্থী ছিল ৮ হাজার ৩০৩ জন। যদিও এর আগের বছর ৭ হাজার ৪০৩ জন শিক্ষার্থী ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ৯০০ জন।

শিক্ষার্থী ও আয় বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উচ্চশিক্ষার মৌলিক খাতগুলোতে ব্যয়ের পরিমাণ কমেছে। ২০১৬ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে ৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় করলেও ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকায়।

ব্র্যাকের পর আয় বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৪৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় করলেও ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৫৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইস্ট ওয়েস্টের আয় বেড়েছে ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশও (এআইইউবি) গত বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় করেছে। ইউজিসিতে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয়ের পরিমাণ ২১৮ কোটি টাকা। প্রথম সারির অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) ১০৫ কোটি, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ কোটি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) ৭৪ কোটি টাকা আয় করেছে।

যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রকৃত আয় এর চেয়ে বেশি বলে জানান ইউজিসির কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করে ইউজিসির এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী সংখ্যা ও আয়ের যে বিবরণী ইউজিসিতে পাঠায়, তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসাধুতা রয়েছে। আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ রয়েছে শীর্ষস্থানীয় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। এছাড়া টিউশন ফির বাইরে নামে-বেনামে বিভিন্ন ফি আদায় করে তারা। ইউজিসিতে যে হিসাব পাঠানো হয়, তাও প্রশ্নবিদ্ধ। নিরীক্ষিত প্রতিবেদন পাঠানোর কথা থাকলেও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই তা মানছে না।

এদিকে আয় বাড়লেও দেশের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই গবেষণা, গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় ব্যয়ের পরিমাণ কমছে। যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা, গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরির মতো উচ্চশিক্ষার মৌলিক খাতগুলোতে বার্ষিক বাজেটের একটি নির্দিষ্ট অংশ ব্যয় করতে বলা হয়েছে। ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষণা, গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরি খাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে গবেষণা খাতে অর্থ ব্যয় করেছে দেশের ৭৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট গবেষণা ব্যয়ের পরিমাণ ৭৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়প্রতি গড়ে ব্যয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৮ লাখ টাকা। যদিও ২০১৬ সালে ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানপ্রতি গড় ব্যয় ছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরপ্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও গবেষণা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ কমছে। একইভাবে ব্যয় কমেছে গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরি খাতে। ২০১৭ সালে ৭৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি খাতে মোট ব্যয় হয় ৪৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। যদিও ২০১৬ সালে এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৫৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বণিক বার্তাকে বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কাজ। এগুলো হলো গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান ধারণ ও জ্ঞান বিতরণ। এ তিনটি কাজ যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট হোক, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় বলা যাবে না। যদিও দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষকদের যন্ত্রের মতো ব্যবহার করে। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে, যেখানে একজন লেকচারারকে দিয়ে ছয়টি ক্লাস নেয়া হয়। তাহলে শিক্ষকরা গবেষণার সুযোগ পাবেন কীভাবে?
  • Courtesy: Banikbarta /Oct 30, 2018

Skill shortage hampers RMG sector’s climb up the value chain

Economists tell SANEM seminar


Bangladesh's garment industry needs to move up the value chain to remain competitive in the global market, experts have said.

They also underlined the need for enhancing negotiation capacity of entrepreneurs.

The suggestions came at a seminar on Monday organised by private think tank South Asian Network for Economic Modeling (SANEM) in Dhaka.

"We need to focus not only on price competitiveness but also on quality," said Dr. Selim Raihan, executive director of SANEM.He was presenting a keynote paper on the future of RMG industry in Bangladesh.

"We need to move up the value chain. From traditional products, we need to move to branded products," he added.

Dr. Raihan noted that the ongoing trade war between the United States (US) and China was already posing some uncertainties to the global trade regime.

"We are going to enter an era where lead time is going to matter, distance is going to matter," he said. "In the future, the US may tend to ship much more of its imports from Mexico or Europe will ship much more of its imports from Turkey due to lower lead time and geographical proximity," he added.

The SANEM executive director noted Bangladesh's apparel industry is seriously lacking skilled labour force, which is hurting the scope of moving up the value chain.

"In near future, Vietnam is going to pose a threat to our RMG market and that threat would come not in terms of price competitiveness but in terms of quality," Dr Raihan said.

"Already, a good portion of manufacturing jobs is shifting from China to countries like Vietnam and Cambodia but Bangladesh is yet to take benefit of that," he added.

Dr. Raihan noted managing the labour regime is an issue of serious concern for the local garment industry.

"Apart from ensuring adequate wage for the garment workers, workplace safety and compliance issues need to be addressed to remain competitive in the global apparel market," he said.

Quoting an ongoing international study, chairman of SANEM Dr. Bazlul Haque Khondker said apparel workers in Bangladesh work for 60 hours per week while it is 47 hours in Cambodia and 46 hours in India.

"At the same time, 54 per cent of garment workers are living below the minimum wage," he said, quoting the study.

Former governor of Bangladesh Bank Dr. Atiur Rahman, who chaired the event, called for introducing a pension scheme for the garments workers.

"Government, garment factory owners and workers need to work together to introduce this pension scheme in the apparel industry," Atiur said.

The former central bank governor also called for establishing a green transformation fund to encourage the industries to go green.

"We need to have a dedicated green transformation fund not only in Bangladesh Bank but also from the government," he said.

"We need to brand Bangladesh as a source of green textiles," Atiur added.

Experts at the seminar also emphasised incentivising other potential sectors to diversify the export basket.

"Bangladesh is struggling with its policy regime," said Dr. Zaidi Sattar, chairman of the Policy Research Institute of Bangladesh (PRI).

"We have hundreds of exportable items but we are not giving them the same incentives and policy regimes that we gave to the garment sector back in the early 80s", he added.

Speakers at the seminar also called for better integration with regional and international market to expand the export market.

"We need to integrate our economy regionally through platforms like the SAARC and the BIMSTEC," said member of the Planning Commission Professor Dr. Shamsul Alam.

"This, in turn, would help us expand our market within the region," he added.

Professor Alam noted Bangladesh's lack of Free Trade Agreements with countries around the world.

"While Vietnam has free trade agreements with around 20 countries, we have none", he said.

"There is a serious lack of marketing and negotiation capacity from Bangladesh side," said Fazlee Shamim Ehsan, vice president of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA).

Chief executive officer of Bangladesh Foreign Trade Institute Ali Ahmed also spoke at the event.

  • Courtesy: The Financial Express /Oct 30, 2018