Search

Thursday, December 20, 2018

Rift in EC deepens

CEC, Election Commissioner Mahbub Talukdar at odds over level playing field


The rift between the chief election commissioner and an election commissioner has deepened further over the issue of level playing field. A day after CEC KM Nurul Huda's comment that his colleague Mahbub Talukdar did not speak the truth about level playing field, Mahbub yesterday hit back, and said the CEC "struck at the core of the existence” of an election commissioner by making such remarks.

"It must be kept in mind that the chief election commissioner and all other election commissioners are equal," Mahbub told a press briefing at the Nirbachon Bhaban in the capital.

"Earlier, the chief election commissioner made some negative comments about me in public. I never protested his comments. But I can't help protesting after his remark that I have lied by saying there is no level playing field," he said in a written statement.

"I strongly protest the [CEC's] statement," he said. "On December 17, I told reporters that they will get an answer as to whether there is a level playing field for the polls if they ask the question to their conscience.

"I'm still telling everyone concerned that you consider the situation yourselves and ask yourselves whether a level playing field exists or not."

Mahbub, however, did not take any question from reporters.

Earlier on Monday, he told journalists that level playing field was still absent and the words “level playing field” had become meaningless.

The next day, the CEC told reporters in Rangamati, "He [Mahbub] did not speak the truth. The overall election atmosphere is good."

The face-off between the two comes amid civil society's concerns about the absence of level playing field and continued attacks on the opposition camps in different parts of the country.

The BNP and other opposition parties have long alleged that a congenial polls environment is totally absent, although the ruling Awami League insists that is not the case and that the election field is very much level.

On the ground, however, at least 13 BNP and Jatiya Oikyafront candidates and 900 of their supporters have been injured in attacks allegedly by ruling party men since December 10, the day the campaign began.

AL men allegedly attacked campaigns and motorcades of at least 28 BNP and Oikyafront candidates. Police detained around 255 BNP men during the time, according to media reports.

Following days of violence, the authorities deployed 1,016 platoons of Border Guard members across the country on Tuesday (one platoon has 20-30 members).

The BNP also alleges that its leaders and activists are being harassed and arrested throughout the country even during the campaign.

At least 15 opposition candidates, arrested before and after the campaign began, remain behind bars although election is just 10 days away, according to BNP sources. 

On Tuesday, eminent citizens alleged that the EC was not performing its duty in line with the constitution, and that it created scope for tainting the election.

At a seminar organised by the Centre for Governance Studies (CGS), they pointed at the EC's inadequate steps to deal with pre-election violence and said this could lead to a questionable election and post-election crisis.

The latest discord in the EC has raised concerns among experts, who stressed resolving the differences immediately.

"I am worried about the division between the chief election commissioner and an election commissioner,” former cabinet secretary Ali Imam Majumder told The Daily Star yesterday.

There might be differences of opinion between them, but that has to be resolved in the commission meeting, he said.

Instead of doing so, they are speaking against each other publicly which is not a good sign, he noted. 

"As a result, people will get confused and the electoral activities may be hampered. This division should be resolved as soon as possible," he said.

Former election commissioner Brig Gen (retd) M Sakhawat Hussain said the election was taking place in such a situation that it was difficult to create a level playing field for all political parties.

"But it is the responsibility of the Election Commission to reduce the gap. However, it is not that much visible that the commission has taken any steps to create level playing field," he said.

But AL General Secretary Obaidul Quader defended the CEC yesterday, saying Mahbub Talukdar's remark on level playing field was not right.

"The Election Commission is formed with five members. The commission makes decisions on the basis of majority's opinion. So the chief election commissioner has said the right thing,” he told a programme at Kabirhat in his Noakhali constituency.

ANNOUNCE ACCURATE RESULTS: CEC

In another development, the CEC yesterday instructed polls officials to announce accurate results.

"We are overwhelmed by the interest people have shown about the elections. So we have to be cautious …. Announce results correctly and convey it to the authorised person. A minor flaw in results may lead to a major anarchy. So you have to be very cautious,” he told EC officials involved in the result management system.

He also called on election officials not to let down the people since they put trust in the commission.

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 20,2018

Wednesday, December 19, 2018

‘Sheaf of paddy’, symbol of democracy — Manna


Mahmudur Rahman Manna, convener of Nagorik Oikya and Oikyafront contender for Bogura-2 constituency, said “sheaf of paddy” is the symbol of democracy while “boat” stands for autocracy.

Manna said he is hopeful of landslide victory. “But the ruling party is plotting to snatch away 50 seats (from Oikyafront) by illegal means.

“We will stay on the battle field till December 30," he said at a press conference in at Press Club today, our district correspondent reports.

Manna alleged that his main election office has been vandalised by AL activists who have also tore down his posters.

He urged the journalists to unveil the truth as the ruling party is also trying to control media.

The AL is not following Bangabandhu's ideologies at present, he alleged.
  • The Daily Star/Dec 19,2018 

সারা দেশে সাড়ে ৫ হাজার কিমি ভাঙাচোরা সড়ক

যানবাহনপ্রতি অতিরিক্ত ব্যয় কিলোমিটারে গড়ে ১১ টাকা

শামীম রাহমান

সড়ক ভালো থাকলে পণ্য পরিবহনে একটি বড় ট্রাকের পরিচালন খরচ হয় প্রতি কিলোমিটারে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা। খারাপ সড়কে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা। অর্থাৎ ভাঙাচোরা সড়কে ট্রাকপ্রতি পরিবহন মালিককে পরিচালন ব্যয় বাবদ প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ৯ পয়সা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়।

ভালো সড়কে দূরপাল্লার একটি বাস পরিচালনায় কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয় ৩৫ থেকে ৩৯ টাকা। ভাঙাচোরা সড়কে এ ব্যয় কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৫৯ টাকা পর্যন্ত উঠছে। এ হিসাবে ভাঙাচোরা সড়কে বাস পরিচালনায় কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ৪২ পয়সা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে মালিকদের।

সারা দেশে ভাঙাচোরা সড়ক রয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার, দেশের মোট সড়কের যা ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটারের বেশি সড়ক। ভাঙাচোরা এ সড়কে পরিচালন ব্যয় বাড়ছে সব ধরনের মোটরযানের। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সড়ক গবেষণাগারের প্রতিবেদনমতে, যানবাহনপ্রতি (সব ধরনের) কিলোমিটারে অতিরিক্ত এ ব্যয়ের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৯ পয়সা।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাঙাচোরা সড়ক প্রধানত দুভাবে যানবাহনের পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। প্রথমত, ভাঙাচোরা সড়ক যানবাহনের কারিগরি ক্ষতি করে। এতে মেরামত খরচ বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, খারাপ সড়কে গাড়ির গতি কমে আসে। ভাঙা অংশ পার হতে ইঞ্জিনে বাড়তি চাপ পড়ে। তখন জ্বালানি খরচও বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, সড়ক ভালো থাকলে রোড ইউজার কস্ট সহনশীল পর্যায়ে থাকে। কিন্তু খারাপ হলে যানবাহনের ট্রিপের সময় বেড়ে যায়। এর প্রভাবে বেড়ে যায় ভ্যালু অব ট্রাভেল টাইম। একইভাবে বেড়ে যায় যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও। বাড়তি জ্বালানির প্রয়োজন হয়। ভালো সড়কে একটি গাড়ি ঘণ্টায় যে পথ পাড়ি দেবে, খারাপ সড়কে একই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে তার দেড়-দুই গুণ। এ পুরোটা সময়ই কিন্তু গাড়ির ইঞ্জিন চালু থাকে। ফলে জ্বালানি ব্যয় বাড়ে।

ভাঙাচোরা সড়কে যানবাহন পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ার কথা বলছেন পরিবহন মালিক ও চালকরাও। অভিজ্ঞতা থেকে তারা জানান, খারাপ সড়ক যানবাহনের গতি কমিয়ে দেয়। এতে ট্রিপের সংখ্যা কমে যায়। এটাকেও আর্থিক ক্ষতি হিসেবে দেখছেন তারা।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের মহাসড়ক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের (এইচডিএম) তথ্য বলছে, দেশের এক-চতুর্থাংশ সড়ক-মহাসড়ক খারাপ অবস্থায় রয়েছে। (সওজ) অধিদপ্তরের নেটওয়ার্কভুক্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ৪৮১ কিলোমিটার। সরকারি হিসাবেই বর্তমানে দেশে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার সড়ক ভাঙাচোরা দশায় রয়েছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল রাফনেস ইনডেক্স’ বা আইআরআই সূচক অনুযায়ী সারা দেশে প্রায় ১৮হাজার কিলোমিটার সড়কে জরিপ করে ভাঙাচোরা সড়ক পরিমাপ করেছে এইচডিএম।

আইআরআই সূচকের মান ধরা হয়েছে ১ থেকে ১৪ পর্যন্ত। এ মানদণ্ডের ভিত্তিতে পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় সড়ক-মহাসড়ক। এর মধ্যে ১ থেকে ৬ সূচকের মধ্যে থাকা সড়কগুলো ‘ভালো’ ও ‘চলনসই’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। আইআরআই সূচকে ৬ থেকে ৮ পর্যন্ত থাকা সড়কগুলোকে চিহ্নিত করা হয় ‘দুর্বল’ হিসেবে। ৮ থেকে ১০ সূচকপ্রাপ্ত সূচকগুলোর মান ‘খারাপ’। আর ১০ থেকে ১৪ সূচকে থাকা সড়কগুলো ‘খুব খারাপ’-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

এইচডিএমের হিসাব বলছে, সারা দেশে ৬-৮ আইআরআই সূচকের ‘দুর্বল’ সড়কের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৫২৮ কিলোমিটার। ৮-১০ আইআরআই সূচকের ‘খারাপ’ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২৮২ কিলোমিটার, আর ১০-১৪ আইআরআই সূচকের ‘খুব খারাপ’ সড়ক রয়েছে ১ হাজার ৮৪৩ কিলোমিটার।

সড়কের মান যত খারাপ হয়, যানবাহন পরিচালন ব্যয় তত বাড়ে— এমনটাই বলা আছে সড়ক গবেষণাগারের প্রতিবেদনে। ভাঙাচোরা সড়কে বড় ট্রাক, মাঝারি ট্রাক, ছোট ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, ইউটিলিটি যান, প্রাইভেট কার, টেম্পো, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল— ১১ ধরনের যানবাহন পরিচালন ব্যয় নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ‘দুর্বল’ সড়কে সব ধরনের যানবাহনের অতিরিক্ত পরিচালন ব্যয় কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ গড়ে ১ টাকা ৯২ পয়সা। ‘খারাপ’ সড়কে এর পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪ টাকা ৪৬ পয়সা। আর খুব খারাপ সড়কে যানবাহনের কিলোমিটারপ্রতি অতিরিক্ত পরিচালন ব্যয় গড়ে সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৬ পয়সা।

নির্দিষ্ট যানবাহনের হিসাব করে দেখা গেছে, ‘দুর্বল’ সড়কে একটি ভারী ট্রাক পরিচালনায় কিলোমিটারপ্রতি অতিরিক্ত ব্যয় হয় সর্বোচ্চ আড়াই টাকা। ‘খারাপ’ সড়কে অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ টাকা, আর খুব খারাপ সড়কে একটি ভারী ট্রাকে কিলোমিটারপ্রতি অতিরিক্ত ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ৯ পয়সা। মাঝারি ট্রাকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় সর্বনিম্ন ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ১০ পয়সা। ভাঙাচোরা সড়কে ছোট ট্রাকে অতিরিক্ত ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ১০ টাকা ২ পয়সা।

‘দুর্বল’ সড়কে একটি বাস পরিচালনায় কিলোমিটারপ্রতি অতিরিক্ত ব্যয় হয় ৩ টাকা। ‘খারাপ’ সড়কে অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ ৭ টাকা, আর ‘খুব খারাপ’ সড়কে একটি দূরপাল্লার বাস পরিচালনায় কিলোমিটারপ্রতি অতিরিক্ত ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ৪২ পয়সা। একইভাবে একটি মিনিবাস পরিচালনায় সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬ টাকা ৭৭ পয়সা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হয়।

সড়ক গবেষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, ভাঙাচোরা সড়কে একটি মাইক্রোবাস পরিচালনায় কিলোমিটারপ্রতি অতিরিক্ত ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৮১ পয়সা, ইউটিলিটি যানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৩৩ পয়সা, প্রাইভেট কারে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৮৩ পয়সা, টেম্পোতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ টাকা, অটোরিকশায় সর্বোচ্চ ১ টাকা ৭ পয়সা ও মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৫ পয়সা।

খারাপ সড়কে শুধু পরিচালন ব্যয়ই বাড়ে না, যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কালও কমে যায়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক তালুকদার বলেন, সারা দেশেই ভাঙাচোরা সড়ক রয়েছে। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে আমাদের কোনো গাড়িই বেশি দিন ভালো অবস্থায় রাখা যায় না। নানা ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশও ঘন ঘন বদলাতে হয়। রাস্তা ভালো হলে একটি গাড়ি ১০-১২ বছর অনায়াসে চালিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে সব ধরনের যানবাহনের আয়ুষ্কাল দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

এইচডিএমের তথ্যানুযায়ী দেশের ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ জাতীয়, ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ আঞ্চলিক ও ২৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ জেলা সড়ক খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের কোনো মহাসড়ক ভাঙাচোরা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশের কোনো মহাসড়ক আর ভাঙাচোরা নেই। ভাঙাচোরা বলতে আছে শুধু কিছু গ্রামীণ সড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-যশোর, ঢাকা-খুলনা সড়কগুলো ভালো অবস্থায় রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে। বেশির ভাগ সড়কের কোনো না কোনো উন্নয়নকাজ চলছে।

ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানবাহনের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি সাময়িক হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দরকার, সে পরিমাণ বরাদ্দ আমরা পাই না। এক অর্থবছরে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে যা বরাদ্দ দেয়া হয়, তা দিয়ে সারা দেশের সড়ক মেরামত করা কঠিন। এর পরও চলতি অর্থবছর আমরা ওভার প্রোগ্রামিং করে সব প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। আগামী জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কাজ হবে। এসব কাজ শেষ হলে দেশে ভাঙাচোরা সড়কের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।

  • Courtesy: Banikbarta /Dec 19, 2018

A minister’s moments of truth that flounder in inaction

Editorial

THE finance minister’s admission of Monday that growing non-performing loans, especially in state-owned banks, is the main problem in the banking sector contradicts with what he has so far maintained, saying that the problem is not as grave as it has been portrayed. A Centre for Policy Dialogue report early December said that Tk 225.02 billion had been plundered from 14 public and private banks through scams, irregularities and theft in the past one decade. The amount accounts for 39 per cent of the income tax collected in the 2017–2018 financial year. Three days later, the minister sought to term the report ‘just rubbish.’ Bad loans in the banking system have increased to about Tk 1,000 billion amidst lack of the political will required for the recovery of defaulted loans. The amount of loans in default, as of September, stood at Tk 993.7 billion, accounting for 11.48 per cent of the total of Tk 8,659.3 billion in outstanding loans in the banking system, as the latest central bank data show. The minister in the two consecutive tenures of the Awami League in office has on a few occasions turned around on what he earlier said. The minister’s saying no to a banking commission in early June and saving the task for the next government is another case in example.

The minister brushed aside the allegations of the banking sector being mired in lack of good governance that economists and experts have on many occasions come up with. But the Financial Institutions Division is reported in November to have planned a training programme for the bank directors to safeguard the interest of state-owned banks. While no people not good at safeguarding the interest of the banks should be on the boards, the decision that the directors need to be trained in banking governance hints at lack of governance. The minister also ruled out the chance for the institution for a commission on the banking sector but said that he would leave recommendations for the next government to arrest the high growth of non-performing loans. It is yet to be seen if the recommendations of the minister who could not stop the growing amount of loans in default, stop loan scams and iron out irregularities in the banking sector during two tenures of the government would at all effectively work for the next government, but this suggests that he has not ventured to play the good cards that he thinks he has up his sleeve — one of them is the institution of an independent banking commission that he is willing to leave for the next government.

In light of what has happened, it appears that the minister understands what has gone awry in the banking sector, as his belated admissions show, but he has only been unwilling, if not unable, to sort out the prickly issues. The banking sector, as statistics show, has been in a deplorable condition and people deployed in the banking sector may be responsible for all this. But the finance minister cannot shrug off the responsibility and he needs to be held to account.

  • Courtesy: New Age /Dec 19, 2018

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই

সম্পাদকীয়

সরকারের নৈতিক বৈধতা

গত রোববার বেসরকারি সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) ঢাকায় ‘গুণগত মান ও মর্যাদা নিয়ে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ: বাংলাদেশের অ্যাজেন্ডা’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপের আয়োজন করেছিল। সেখানে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এবারের ভোটের পর যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তার নৈতিক বৈধতার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জরুরি।

আমরা তাঁর এ বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করি। এমন বক্তব্য এসেছে সম্ভবত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচনের হতাশাব্যঞ্জক অভিজ্ঞতার স্মৃতি থেকে, যে নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৪টিতেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কারণ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। অর্থাৎ নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হয়নি, এবং সেই কারণে ওই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারকে আইনত বৈধ বলা হলেও তার গ্রহণযোগ্যতার ঘাটতি খোদ সরকারি মহলেও অনুভূত হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছিল। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচন আসছে, তখন সবাই চাইছেন নির্বাচন যেন পূর্ণমাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হয়।

প্রাথমিকভাবে সেই সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে: আসন্ন নির্বাচনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিএনপিসহ প্রায় সব দলই অংশ নিতে যাচ্ছে। এই সর্বজনীন অংশগ্রহণ ভোট গ্রহণের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সুনিশ্চিত করতে হলে নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এই দায়িত্ব প্রধানত নির্বাচন কমিশনের। প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন মোটের ওপর সন্তোষজনক ছিল। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে, অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে সংঘাত–সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যেভাবে বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীরা এবং তাঁদের কর্মী–সমর্থকেরা হামলার শিকার হচ্ছেন, এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। এসব হামলার আইনি প্রতিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন ও সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।

গতকালের এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে আমরা উল্লেখ করেছি, বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীদের প্রচারকাজে বাধা দেওয়া এবং স্বয়ং প্রার্থীদের ওপর হামলা চালানোর ফলে নির্বাচনে সব প্রার্থীর সুযোগের সমতার নীতি লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই গুরুতর নির্বাচনী অপরাধের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয় থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি হামলার অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া নির্বাচন কমিশনের জরুরি দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা আসন্ন নির্বাচনের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীদের ওপর হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করছেন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে পরিপূর্ণ সততা ও পক্ষপাতহীনতার সঙ্গে প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করতে হবে।

আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিতব্য সরকারের আইনগত বৈধতার তাগিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যে ঊহ্য থেকে গেছে, তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন আগামী সরকারের নৈতিক বৈধতার ওপর। এ বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে কোনো সরকারের আইনগত বৈধতাই যথেষ্ট নয়, তার নৈতিক বৈধতাও অত্যাবশ্যক। আমরা মনে করি, কোনো সরকারের আইনগত বৈধতা নৈতিক বৈধতা ছাড়া পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। পরবর্তী সরকারের নৈতিক বৈধতা নির্ভর করছে আসন্ন নির্বাচনের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার ওপর। নির্বাচন শুধু তখনই সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে, যখন তা সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়। 

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত - শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন

অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার। বলা হয়েছে, ওই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণমানুষের ইচ্ছার  প্রতিফলন দেখতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার মার্কিন দূতের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। 

এ বিষয়ে বিলম্বে প্রচারিত মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক বার্তায় জানানো হয়েছে- সেই সাক্ষাৎ-বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছেন, সারা দেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সমর্থন  দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া রাজনৈতিক দল বা সেন্টিমেন্ট যাই হোক না কেন, প্রতিজন মানুষকে শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র। সবাইকে সহিংসতা এড়িয়ে এর নিন্দা জানাতেও উদ্বুদ্ধ করছে দেশটি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত উভয়ে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধন আরো শক্তিশালী ও টেকসই করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। 

  • Ourtesy: Manabzamin /Dec 19, 2018

নির্বাচন নিয়ে জনমনে অজানা ভয় ফুটে উঠেছে

দিনের সাক্ষাৎকার

আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সার্বিক জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন গুড গভর্নেন্স ফোরাম এর স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ড. মিজানুর রহমান শেলী। বলেন, অনেক বছর পর একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে ধারণা করছি। যেখানে শক্তিশালী বিরোধীদল এবং সরকারীদল অংশগ্রহণ করবে। তবে এর মধ্যে নানা ধরনের শঙ্কা রয়েছে। ভয় রয়েছে। যে কোন ধরনের সহিংসতা হতে পারে, এরকম একটি অজানা ভয় সাধারণ মানুষ এবং অংশগ্রহণকারীদের মনে ফুটে ওঠেছে। যদি এটাকে এড়ানো যায় তবেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। 

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে সরকারের হাতে।সরকারি দল যদি এটা সঠিকভাবে করতে পারে, তাহলে এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে যাবে। বিশিষ্ট এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন,  বিরোধীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারছে না, এটা অত্যন্ত দু:খজনক ব্যাপার। এর ফলে নির্বাচন সর্বজনগ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কারণ বিষয়টি এতই অনাকাঙ্খিত যে, এটাকে যেকোন মূল্যে পরিহার করা প্রয়োজন। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন এবং যারা ক্ষমতায় আছেন উভয়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি। 

কেমন হবে একাদশ সংসদ নির্বাচন? এমন প্রশ্নের জবাবে কলামনিস্ট ড. শেলী বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সন্দেহ, কিছুটা আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে আশাও। আশা এ জন্য যে, নির্বাচনটা খুব কাছে। আর ক’টি দিন ধৈর্য্য ধরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে এবং সুবিচারের পথে অগ্রসর হতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর হবে। সারা দুনিয়ার কাছে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। 

বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক ইশতেহার প্রসঙ্গে এই বুদ্ধিজীবী বলেন, তাদের ইশতেহারকে ভালোই মনে করতাম, যদি না ব্র্যাকের জরিপটি দেখতাম। ব্র্যাকের এক জরিপে বলা হয়েছে, শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ বা ভোটার নির্বাচনের এই ইশতেহার পড়েন না, অনেকে পড়লেও বোঝেন না। সুতরাং এটা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিচারের একটি মাপকাঠি বলা হলেও এবারের নির্বাচনে তা নিয়ামক হবে না। 

  • Courtesy: Manabzamin /Dec 19, 2018

Banking sector under threat from conglomerate

EDITORIAL

Why weren't steps taken to contain it?


The finance minister has a track record of revealing the truth from time to time, no matter how unpalatable the truth may be. We commend his remarks about a certain Chattogram-based business conglomerate having grown all too powerful in the financial sector. That this conglomerate now owns multiple banks and has been taking loans out from them to conduct its operations has been an open secret for some time now. Unfortunately, these revelations by the finance minister bounce back on him, in the sense that the unprecedented rise of this business house took place during his 10 years in office as finance minister.

Hence the question: why is Mr Muhith coming out with the facts now, at the tail end of the government's present tenure? Why could he not take steps to curtail the ominous growth of the group as it gobbled up one bank after another? Not only that, when the finance minister talks about banks failing to rein in on default loans, why did he allow for the passage of an amendment to the Bank Company Act that paved the way for four members of the same family to be on the board of the bank? This single act has been touted by banking experts as counterproductive for good governance in the financial sector.

While the finance minister sees only glory of achievement upon achievement, he fails to see that nonperforming loans have reached record highs in the last decade. The facts speak for themselves about the state of governance in the financial sector and merely hinting about a certain business group having grown too powerful is not going to cover up the failure to stop the contagion that seems to have spread far and wide across our banking system.

Courtesy: The Daily Star Dec 19, 2018

TIB airs concern over attacks on opposition candidates

Criticises EC for self-contradictory stance


Transparency International, Bangladesh (TIB) expressed its grave concern over 'rampant attacks on and harassment of' the opposition party candidates, contesting in the 11th general election due on December 30. The organisation, in a statement on Tuesday, also criticised Election Commission (EC) for its inaction to this effect.

TIB also drew EC's attention towards the opposition candidates facing 'various barriers and repression' in conducting their electoral campaigns, and filing of cases against them ahead of the general election.

The independent watchdog also expressed worry over the 'self-contradictory' stance of EC in barring live media streaming from election centres and use of cell-phone there.

TIB observed that these steps would further decrease people's confidence on the country's election conducting body.

It urged EC to take steps in accordance with the country's constitution, and play its due role with self respect and courage to hold a credible election.

"Since the beginning of election campaigning, opposition candidates are being attacked, sued, intimidated and harassed," TIB Executive Director Dr. Iftekharuzzaman mentioned in the statement.

EC's inaction and indifference in dealing with the situation is raising worries, he further said.

"The opposition candidates are not only being harassed and oppressed by the ruling party members, but policemen are also playing a discriminatory role against the opposition candidates."

Instead of taking strong steps in controlling these incidents, EC is maintaining silence, which is shameful and unexpected from such a constitutional institution.

EC is yet to be successful in ensuring a level-playing field for all, he added.

TIB also urged EC to ensure a congenial environment for media personnel, so that they can work independently and uninterruptedly during the election.

In order to ensure it, TIB urged EC to provide a guideline for media by taking suggestions from the authorities concerned.

  • Courtesy: The Financial Express/ Dec 19, 2018

Imbroglio over LNG supply

Editorial

That the government agencies are incapable of delivering designated services due to their incompetence and lack of coordination has again been proved in the case of an important energy sector operation---import of liquefied natural gas (LNG) and supply of the same to the transmission pipeline through re-gasification at a floating terminal. Their incapability is responsible for a couple of negative outcomes--- the consumers are not getting sufficient gas and the government is counting financial loss in the form of 'capacity payment'. The entire LNG operation is dependent on external sources. The LNG is an imported energy item and its re-gasification is done at a floating terminal under contract with a US-based company at a substantial cost. Projects of this type do demand meticulous planning and efficient operations. But those are the areas where the state enterprises have been faltering. Things have not been in right order since the beginning. The government struck deals with external supplier of LNG and commissioned FSRU (floating, storage and regasification unit), but could not make available gas to the consumers since the transmission line was not in place.

Another state-agency, the Gas Transmission Company Limited (GTCL) could not complete the construction of the transmission line.  The Petrobangla had to count a large amount as capacity payment on daily basis for its failure to use the capacity of the FSRU for nearly three and a half months. Now the situation is altogether reverse. The long-awaited Anwara_Fouzdarhat section of gas transmission line is fully functional, but it is receiving a very small quantity of gas from the FSRU for scarcity of imported LNG.  And the Petrobangla is now making capacity payment to the FSRU since it does not have enough LNG for regasification.

The Petrobangla, to be honest, has been in a difficult situation since it started its LNG operation. The delay in laying the transmission line made things difficult for it. The corporation had made deals with external LNG supplier/s and floating terminal contractor as per the schedule given by the GTCL. When the latter failed to complete the laying of the transmission line, the Petrobangla got into troubles. Now the transmission line is ready, but there is scarcity of LNG. The import of a fresh LNG consignment takes at least three months.

The government has gone for LNG import to help consumers suffering badly due to poor supply of this cheap and clean energy. But the lack of coordination among relevant state agencies has largely defeated the very purpose of the move. Rather, anomalies of all sorts have been subjecting the national exchequer to unnecessary compensation payments. In this case, it would have been better for the Petrobangla to wait for completion of the transmission line before going for deals with external agencies. The delayed execution of projects has emerged as a serious national problem in recent years. It is taking a heavy toll on the national economy, in terms of cost overruns, in addition to creating other problems. Allegations have it that the delay is often caused deliberately. However, the government instead of addressing the problem has taken a lenient approach to it. Issues like the failure to supply gas in adequate volume would continue to crop up in greater numbers in the future if the government is not serious about dealing with the problem of delayed implementation of projects and programmes.

  • Courtesy: The Financial Express /Dec 19, 2018