Search

Wednesday, December 19, 2018

নির্বাচন নিয়ে জনমনে অজানা ভয় ফুটে উঠেছে

দিনের সাক্ষাৎকার

আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সার্বিক জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন গুড গভর্নেন্স ফোরাম এর স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ড. মিজানুর রহমান শেলী। বলেন, অনেক বছর পর একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে ধারণা করছি। যেখানে শক্তিশালী বিরোধীদল এবং সরকারীদল অংশগ্রহণ করবে। তবে এর মধ্যে নানা ধরনের শঙ্কা রয়েছে। ভয় রয়েছে। যে কোন ধরনের সহিংসতা হতে পারে, এরকম একটি অজানা ভয় সাধারণ মানুষ এবং অংশগ্রহণকারীদের মনে ফুটে ওঠেছে। যদি এটাকে এড়ানো যায় তবেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। 

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে সরকারের হাতে।সরকারি দল যদি এটা সঠিকভাবে করতে পারে, তাহলে এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে যাবে। বিশিষ্ট এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন,  বিরোধীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারছে না, এটা অত্যন্ত দু:খজনক ব্যাপার। এর ফলে নির্বাচন সর্বজনগ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কারণ বিষয়টি এতই অনাকাঙ্খিত যে, এটাকে যেকোন মূল্যে পরিহার করা প্রয়োজন। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন এবং যারা ক্ষমতায় আছেন উভয়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি। 

কেমন হবে একাদশ সংসদ নির্বাচন? এমন প্রশ্নের জবাবে কলামনিস্ট ড. শেলী বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সন্দেহ, কিছুটা আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে আশাও। আশা এ জন্য যে, নির্বাচনটা খুব কাছে। আর ক’টি দিন ধৈর্য্য ধরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে এবং সুবিচারের পথে অগ্রসর হতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর হবে। সারা দুনিয়ার কাছে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। 

বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক ইশতেহার প্রসঙ্গে এই বুদ্ধিজীবী বলেন, তাদের ইশতেহারকে ভালোই মনে করতাম, যদি না ব্র্যাকের জরিপটি দেখতাম। ব্র্যাকের এক জরিপে বলা হয়েছে, শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ বা ভোটার নির্বাচনের এই ইশতেহার পড়েন না, অনেকে পড়লেও বোঝেন না। সুতরাং এটা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিচারের একটি মাপকাঠি বলা হলেও এবারের নির্বাচনে তা নিয়ামক হবে না। 

  • Courtesy: Manabzamin /Dec 19, 2018

No comments:

Post a Comment