বদিউল আলম মজুমদার
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে প্রবীণদের সঙ্গে বিশেষভাবে তারুণ্যকে প্রাধান্য দেওয়া নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় দিক। নারী প্রার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে একজন বেড়েছে। তবে সংখ্যালঘু প্রার্থী আরও বাড়তে পারত।
যা হোক, তারা একটি প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, এটিও একটি ইতিবাচক দিক।
দলটি নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে যেটা নেতিবাচক, তা হলো সমালোচিত কিছু নেতা মনোনয়ন পেয়েছেন, আলোচিত ও ত্যাগী কিছু নেতা বাদও পড়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ–বিক্ষোভ হয়েছে। কিছু প্রার্থী কেন মনোনয়ন পেলেন, তার সদুত্তর নেতা–কর্মীরাও জানেন না। এটা অপ্রত্যাশিত।
বিএনপির মনোনয়নে উত্তরাধিকারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অর্থাৎ যাঁরা একসময় দলের বড় নেতা-মন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন—তাঁদের ছেলে-মেয়ে বা স্ত্রী কিংবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা সাংসদ হবেন—এটা কাম্য নয়। এভাবে উত্তরাধিকারের রাজনীতি গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তবে এবারের মনোনয়নে বিএনপি প্রবীণের সঙ্গে তারুণ্যের বড় সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে, এটা ইতিবাচক বলে মনে করি।
- বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন
- কার্টসিঃ প্রথম আলো/১২ ডিসেম্বর ২০১৮
No comments:
Post a Comment