Search

Wednesday, December 12, 2018

দেশজুড়ে ধরপাকড়


নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ধরপাকড়। প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ বিরোধীদলীয়  নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করার দাবি ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। কিন্তু মোটেই মানা হয়নি সে দাবি। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের দিনও সারা দেশে অন্তত দুই শতাধিক বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকালও অব্যাহত ছিল গ্রেপ্তারের সে ধারাবাহিকতা। 

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, বিএনপি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনায় নেতৃত্ব দেয়ার কথা তাদেরই বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত এক মাসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপিসহ অঙ্গদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অন্তত এক হাজার গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কোনো কোনো জায়গায় গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের থানায় নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপি প্রার্থীদের উঠান বৈঠক, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ও গণসংযোগকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে। হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে। তবে গ্রেপ্তার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা সবাই ফৌজদারি মামলার আসামি। গোয়েন্দা তথ্যে নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্য যারা নাশকতা চালাতে পারে এবং অতীতেও যাদের বিপক্ষে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল তাদের নজরদারি ও পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

বিএনপির তথ্য মতে, চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরীর বাড়িতে নির্বাচনী সভা চলাকালে বাড়ির ১০০ গজ দূরে র‌্যাব-পুলিশের ১০-১২টি গাড়ি অবস্থান নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এ সময় আসলাম চৌধুরীর ভাই নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সভা শেষে ফেরার পথে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল আলম জহির, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, পাহাড়তলী বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, আব্বাস রশিদ, সীতাকুণ্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজী সেলিমসহ ২৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে জামালপুরের মেলান্দহে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে একটি মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে দুর্মূট ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ রাশেদুুজ্জামান অপুর বাসা ঘেরাও বিএনপি নেতা সাহেব আলী মেম্বার, আলমগীর মেম্বার, জিয়াউল, যুবনেতা মোতালেব, হযরত আলী ও হেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলা বিএনপি নেতা ও ইউপি মেম্বার ফারুক, ঝিনাইগাতি উপজেলার মালিঝিকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফর ও ছাত্রদল নেতা নূর মোহাম্মদকে একটি উঠান বৈঠকে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শেরপুরের এসপি’র নির্দেশে জেলা বিএনপির অফিসের সামনে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য টাঙ্গানো সামিয়ানা গুঁড়িয়ে দেয় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। এ ছাড়া নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইমাম হাসান আবু চাঁন ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মজিবুর রহমান এবং কুষ্টিয়া সদর থানা ছাত্রদল নেতা শফিকুর রহমান সাবু ও জিয়ারখি ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আবদু হান্নানের নির্বাচনী সভা চলাকালে পুলিশ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। কোনো মামলা ছাড়া গ্রেপ্তারের পর চাঁদপুর জেলা ২০ দলীয় জোট নেতা বিল্লাল হোসেন নিয়াজীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ভৌতিক মামলা। অন্যদিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।      
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার আবদুল আলিম নকীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুর রহমান, মিরপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আবদুল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দিন ও যুগ্ম সম্পাদক একেএম লুৎফল বারী মুকুলকে সোমবার ঢাকা জজকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফে তাদের গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তরে ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশীদ, শেরেবাংলানগর থানার বিএনপির জামাল, সেলিম, অলি, শামীম, নুর জামাল, অলিউল ইসলাম, শামীম হোসেন, শেখ রাসেল, রনি, জাহাঙ্গীর হোসেন, হিমু ও শানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে গতকাল দুপুরে দয়াগঞ্জ থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ও কদমতলী বিএনপির সভাপতি মীর হোসেন মিরু, কমিশনার মোজাম্মেল ও বাদশাসহ তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগের দিন গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বংশাল থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাজী আবুল হাশেম শাহজাহান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা খোকন ও কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদল নেতা সাহিদকে গ্রেপ্তার করে। রোববার রাত আটটায় রাজধানীর বিজয়নগর থেকে নেছারাবাদ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব রায়হান ও নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান শরীফকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ২০০টি মিথ্যা মামলার মধ্যে গত ১৪ই নভেম্বর হাইকোর্ট ১৪টি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। ৯ই ডিসেম্বর সরকারের হস্তক্ষেপের ফলে হাইকোর্ট বিভাগের এ্যাপিলেট বিভাগ কোনো কারণ ছাড়াই সে ১৪ মামলার জামিন বাতিল করে দেন। তিনি টাঙ্গাইল-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। 

এদিকে দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জে নাশকতার মামলার অভিযোগে দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সোমবার দুপুরে সিলেট-জকিগঞ্জ মহাসড়কের হেতিমগঞ্জ নামক স্থান থেকে ২নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরী এবং ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফয়ছলকে তার অফিসের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (গত ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে ফোন করে থানায় নিয়ে আটক করা হয়। তবে মামলায় উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়টি সাজানো বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এদিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা. ইদ্রিস আলী, নায়েবে আমীর মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ, আবদুল কুদ্দুস ও পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের অফিস সহকারী ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা জামায়াতের তিন নেতা সামাদ শেখ, কফিলউদ্দিন, হোসাইন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফেনীতে বিএনপি প্রার্থীর মিছিল শেষে ফেরার পথে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম মিলন, সদর থানা সম্পাদক মিলন ও সদস্য নয়নকে গ্রেপ্তার করেছে ফেনী সদর থানা পুলিশ। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগের রাতে রাজাপুর থানা পুলিশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস সিকদার ও ছাত্রদল নেতা গোলাম আজমকে গ্রেপ্তার করে। যশোর জেলার চৌগাছা থানা পুলিশ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও পাশাপোল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদের ও চৌগাছা পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল খালেককে গ্রেপ্তার করে। যশোরের মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শহীদ ইকবাল হোসেন ও তার দুই ছোট ভাই যুবদল সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক ও তুহিন হাসানসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৩৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৮৪ জনের নামে একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ ফারুক হোসেনসহ ১২ বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

এর আগে রোববার রাতে দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজ, হাকিমপুর উপজেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মির্জা, চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী, হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান মেফতাউল জান্নাত, পার্বতীপুরের রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাদো, নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ডাবলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসানুল মারুফ শিমুল, ময়মনসিংহের পাগলা বিএনপি নেতা আবদুল হামিদ চেয়ারম্যান, বাগেরহাটের কচুয়া বিএনপি নেতা আল মামুন, ভোলা লালমোহন থানা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিনসহ ৫ জন, টাঙ্গাইলের গোপালপুর বিএনপি নেতা আবুল কালাম, কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের দারুস সালাম থানা বিএনপির সভাপতি রহমান হাজীকে বাসায় না পেয়ে তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার লাকসাম পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা-৯ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তাজুল ইসলাম খোকনকে গতকাল ডিবি পুলিশ রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করেছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সবুজবাগ বিএনপি নেতা মিন্নত আলীকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালায়। তিনি এখন স্থানীয় একটি হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন। 

এদিকে সারা দেশের বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা সবাই ফৌজদারি মামলার আসামি। ফৌজদারি অপরাধে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নাই। সে যে দলেরই হোক না কেন। 

গোয়েন্দা তথ্যে নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে যারা নাশকতা চালাতে পারে এবং অতীতেও যাদের বিপক্ষে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল তাদেরকে নজরদারি ও পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও বিরোধী জোটের অভিযোগ রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে ধরপাকড় করা হচ্ছে। সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অপারেশন) জয়দেব কুমার ভদ্র মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ২০১৩ সালের আন্দোলন থেকেই বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক বা নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো গ্রেপ্তার হচ্ছে না। এখনো যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদেরকে পুরাতন ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে আমাদের সিলেট অঞ্চলে মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা খুবই কম। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো মহলকে নজরদারিতে রাখা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে নির্বাচন বানচাল বা নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন ব্যক্তি, নেতাকর্মী ও গোষ্ঠীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন মানবজমিনকে বলেন, রাজনৈতিক কারণে নয় ফৌজদারি মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ফৌজদারি অপরাধ করলে যে দলের হোক না কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। 

এ ছাড়া নির্বাচনে নাশকতা, ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা যেকোনো ধরনের সহিংস আচরণ করতে পারে এমন কিছু নেতাকর্মীদের আমরা চিহ্নিত করে রেখেছি। অতীতে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল মূলত তাদেরকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি ও গ্রেপ্তার করছি। আবার অনেকের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলা রয়েছে তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। যে সকল এলাকার ভোট কেন্দ্রে আগের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না সেগুলো নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করা হচ্ছে। কোনো তালিকা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নে এই ডিআইজি বলেন, তালিকা একটি চলমান কাজ। পুলিশ সব সময়ই একটি তালিকা নিয়ে কাজ করে। কিন্তু সেই তালিকা সব সময় ঠিক তাকে না। কখনো তালিকাভুক্তদের সক্রিয়তা কমে যায়। আবার তালিকার বাইরে থাকা অনেকের সক্রিয়তা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে তাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ 

No comments:

Post a Comment