Search

Monday, January 21, 2019

এ নির্বাচনে জয়ী বা বিজয়ী বলে কিছু নেই — মির্জা আলমগীর


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট কারচুপি করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ কারণে এ নির্বাচনে জয়ী বা বিজয়ী বলে কিছু নেই।

সোমবার লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট চরে জাতীয় নির্বাচনের দিন নিহত ইউনিয়ন বিএনপির পরিবার ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হকের মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিত্ব হয়নি। জনগণের ভোটাধিকার ডাকাতি করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ নির্বাচন বয়কট করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়া না নেয়ার কিছু নেই। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদাকে মুক্তি দিতে হবে।

ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছি, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এ কারণে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ সময় মির্জা ফখরুলের সাথে ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ রংপুর ও লালমনিরহাটের স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন স্থানীয় পাগলারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত হন তোজাম্মেল হক। এ ঘটনায় তার ছেলে মোস্তফা বাদি হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে। পরে রাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করা হয়।
  • নয়াদিগন্ত/ জানু ২১, ২০১৯ 

আ’লীগ কোনো দিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি — মির্জা আলমগীর


আওয়ামী লীগ সরকার কোনো দিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট কারচুপি করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের পাগলার হাট এলাকায় এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন দিনমজুর তোজাম্মেল হক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।

নিহত তোজাম্মেল লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ কোনো দিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। ভবিষ্যতেও তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে না।

একাদশ নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নামাতে হবে।

আন্দোলনের মাধ্যমে এই ক্ষমতাসীন সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৯৮ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ২৬ লাখ।

প্রতিবাদ সভায় ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, তোজাম্মেলের কী অপরাধ ছিল। তার অপরাধ তিনি ধানের শীষের লোক ছিলেন। তিনি ধানের শীষে ভোট দিতে এসেছিলেন বলে আওয়ামী লীগের লোকেরা তাকে হত্যা করেছে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, এ রকম নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও হয়নি। জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেয়নি। তাই এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নামাতে হবে।

ওই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ( রংপুর বিভাগীয়) আসাদুল হাবিব দুলু।

এর আগে পৌনে দুপুর ১টার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন লালমনিরহাটে নিহত দিনমজুর তোজাম্মেল হকের বাড়িতে আসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে তার কবর জিয়ারত করেন। এরপর প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন তারা।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার দিকে তোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন।পথে রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন তার বাড়ির সামনে তাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন।

একপর্যায়ে তোজাম্মেল হককে মারপিট ও পেটে ছুরি মারা হয়।পরে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।

এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা।

আসামিরা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মাস্টার, আঙুর মিয়া ও তার ভাই লেবু মিয়া, সিদ্দিক আলী, শাহীন, মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও মজি। পরে আদালতের নির্দেশে সদর থানায় ৯ জানুয়ারি মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
  • যুগান্তর/ জানু ২১, ২০১৯ 

গণতন্ত্রের আয়নায় নিজেকে দেখুন, দেখবেন স্বৈরতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন — দুদু


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আপনি গণতন্ত্রের আইনায় নিজেকে দেখেন। আর দেখলে আপনি দেখবেন আপনি স্বৈরতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনার এই চেহারা গণতন্ত্রের সাথে যায় না, ৭১ সালের স্বাধীনতার সাথে যায় না।’

সোমবার, ২১ জানুয়ারি, দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সহ- সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিবাদ সভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘৩০ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছে এটা লজ্জার নির্বাচন। নির্বাচনের নামে একটি তামাশা হয়েছে দেশে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। কোনো সুষ্ঠু স্বাধীন গণতান্ত্রিক জাতি এবং এ দেশের মানুষও এটাকে মেনে নেয়নি।আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে তিনি বিজয় উৎসবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমি তাকে সমর্থন করতাম যদি তিনি নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করতেন।’

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘এদেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিটা হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি বলেন, ভোট চুরি বলেন আর যাই বলেন এরকম একটি নির্বাচনকে যারা জায়েজ করে তারা দুর্নীতির বিচার করতে পারবেন, দুর্নীতি বাদ দিতে পারবেন- এটা আমরা মনে করি না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আপনি গণতন্ত্রের আইনায় নিজেকে দেখেন। আর দেখলে আপনি দেখবেন আপনি স্বৈরতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনার এই চেহারা গণতন্ত্রের সাথে যায় না, ৭১ সালের স্বাধীনতার সাথে যায় না।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘৩০ তারিখে ভোট হয়নি, ভোট হয়েছে ২৯ তারিখের মধ্য রাতে। ৩০ তারিখ ভোট হলে আপনাকে অভিনন্দন জানাতাম। আপনি পুলিশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে রেখেছেন, পুলিশ এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারে না। আমার প্রশ্ন পুলিশ তো সরকারি চাকরি করে, কেন তাদের এরকম ভাবে ব্যবহার করলেন। আপনারা র‍্যাব, ডিসি-এসপি, টিওনো যারা মর্যাদাশীল এই চাকরিজীবীদের জাতির সামনে এতো ছোট করলেন কেনো? তাদেরকে কেন বাধ্য করলেন তথাকথিত ভোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে?’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি হয়তো এই অবস্থায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নাই। কিন্তু এ কথা ভাবার কোনো কারণ নাই, আগামী ৫  তারা(সরকার) ক্ষমতায় থাকবে। কারণ যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় অসত্যের পতন হয়। সত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন যা চলছে তা অসত্য।’

দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি ডাকাতি করতে পারে তাহলে ব্যবসায়ীরা করতে পারবে না কেনো।’

স্বৈরতন্ত্রের কাছে গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রের কাছে গণতন্ত্রের পরাজয় সার্বজনীন, দীর্ঘকালীন চলতে থাকবে এ কথাটা ঠিক নয়। গণতন্ত্রের কাছে স্বৈরতন্ত্রের পরাজয়-পতন হবে। পূর্বে কেউ ঠিকে থাকতে পারে নাই, এখনও পারবে না। এ জন্য আমাদের সর্বশেষ কথা হচ্ছে উঠে দাঁড়াতে হবে। উঠে দাঁড়ানো অর্থই হচ্ছে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকা। গণতন্ত্র ধারণ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘সময় থাকতে বুঝবার চেষ্ঠা করেন, আপনার পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচন যা ২০১৮ সালের নির্বাচন তা। দেশে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নাই, এখন আছে পুলিশ, প্রশাসন, র‍্যাব। একদিনের জন্য পুলিশ প্রশাসন যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে আওয়ামী লীগ বুঝবে কত ধানে কত চাল। আসলে পুলিশ দিয়ে তারা শুধু গণতন্ত্রে ধ্বংস করে নাই আওয়ামী লীগকেও ধ্বংস করেছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান কামালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন, মো. শাফিন, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ বক্তব্য দেন।

  • কার্টসিঃ ব্রাকিং নিউজ / জানু ২১, ২০১৯ 

লালমনিরহাটে ভোটের দিন নিহত দিনমজুরের বাড়িতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন লালমনিরহাটে নিহত দিনমজুর তোজাম্মেল হকের বাড়িতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

সোমবার দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে সড়কপথে লালমনিরহাট সদরে নিহতের বাড়িতে আসছেন।

মির্জা ফখরুল ছাড়াও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।

প্রথমে তারা লালমনিরহাট সদরের রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাটে তোজাম্মেল হকের কবর জিয়ারত করেন। এর পর নিহতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়। 

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার দিকে তোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন।পথে রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন তার বাড়ির সামনে তাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন। এতে দুপক্ষের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তোজাম্মেল হককে মারপিট ও পেটে ছুরি মারা হয়। পরে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
  • যুগান্তর/ জানু ২১, ২০১৯ 

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরও নড়বড়ে অবস্থা, খেলাপি ঋণ ৭৪৯০ কোটি টাকা!


অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরও এখন নড়বড়ে অবস্থা। নানা অনিয়ম করে বিতরণ করা ঋণ আদায় করতে পারছে না তারা। ফলে লাগামহীনভা‌বে বাড়‌ছে খেলা‌পি ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন বল‌ছে, ২০১৮ সা‌লের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়ি‌য়ে‌ছে ৭ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। যা এ খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ২০ শতাংশ।

এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে। তারা একদিকে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করছে অন্যদিকে ঋণ বিতরণে কোনো যাচাই-বাছাই করছে না। ফলে ত্রুটিপূর্ণ ঋণ আর ফেরত আসছে না। যার কার‌ণে খেলা‌পি ঋণ বে‌ড়েই চল‌ছে।’

নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদা‌রির অভা‌বে এসব প্র‌তিষ্ঠানগু‌লো নিয়মনী‌তি না মে‌নে ই‌চ্ছেমতো চল‌ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক য‌দি এখনই এসব প্র‌তিষ্ঠান‌কে নিয়ন্ত্রণ না ক‌রে তাহ‌লে আ‌রো খারাপ অবস্থায় চ‌লে যা‌বে ব‌লে জানান প্রবীণ এ অর্থনী‌তি‌বিদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত খেলাপি ঋণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গে‌ছে, ২০১৮ সালে আ‌র্থিক প্র‌তিষ্ঠানগু‌লোর প্রতি প্রান্তিকেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ছিল ৪ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। তিন মাসে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা বেড়ে মার্চ প্রান্তিক শেষে হয় ৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। জুন প্রান্তিকে আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকায়। সেপ্টেম্বর শেষে তা উঠেছে ৭ হাজার ৪৯০ কোটি টাকায়, যা এ খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ২০ শতাংশ। তিন মাস আগে জুনে এ হার ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আর গত বছরের ডিসেম্বরে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।

গেল বছর তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে খেলা‌পি ঋণ বেড়েছে ২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা বা প্রায় ৬৬ শতাংশ। এর আ‌গে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাপি ঋণ ছিল ৪ হাজার ৫২০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে গত অক্টোবরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপনায় গড়ে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ব্যয় হয়। গত ৪২ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের গড় সুদহার বাড়ছে।

উচ্চ ঝুঁকিতে ১২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতি তিন মাস অন্তর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাই প্রতিবেদন প্রস্তুত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে কার্যরত ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেপ্টেম্বর শেষে রেড জোন বা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ১২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

এ‌দি‌কে ব্যাং‌কিং খাত নি‌য়ে খেলাপি ঋণের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এর ম‌ধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত জুনে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ।

  • জাগো নিউজ/ জানু ২১, ২০১৯

বগুড়ায় এমপির গণসংবর্ধনা দেওয়ার জন্য চাঁদাবাজির অভিযোগ

  • সাংসদ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর গণসংবর্ধনা দুপুরে
  • সংবর্ধনার কথা বলে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ 
  • ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন
  • জবাবে তাঁদের হুমকি 

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে নবনির্বাচিত সাংসদ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে গণসংবর্ধনা দেওয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে মহাস্থান বাজার বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিফুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। এবার তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

নির্বাচনে বিপুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় শরিফুলকে সোমবার বেলা তিনটায় মহাস্থানগড় শাহ সুলতান বলখী (রহ.) আলিম মাদ্রাসা মাঠে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। শিবগঞ্জের রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ সাংসদ শরিফুলের শ্যালক। তাঁর তত্ত্বাবধানে মহাস্থানগড়ে প্রায় ২০ জন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে চাঁদাবাজি করছেন ইউনিয়নের দুই সদস্য সানাউল হক ও তোফাজ্জল হোসেন এবং জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম রাব্বানী।

রায়নগর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মহাস্থান বাজার) তোফাজ্জল হোসেন স্বীকার করেছেন, অনুষ্ঠানের জন্য ২১ জন ব্যবসায়ীকে ‘দাওয়াত কার্ড’ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা হচ্ছিল। তবে ব্যবসায়ীরা খুব কম টাকা দিতে চান। এ কারণে গত রাতেই (রোববার রাত) সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।’

এখন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিজেরাই করছেন বলে দাবি করছেন তোফাজ্জল। তিনি নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা সংবাদ। কারও কাছে টাকা চাইনি। শুধু ২০ জনকে দাওয়াত কার্ড দিয়েছি।’

ব্যবসায়ীদের চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘টাকা চাওয়ার কথা বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁদের আমরা চিহ্নিত করব।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহাস্থান বন্দরের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীকে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দোকানভেদে টাকার পরিমাণ আলাদা। সাংসদের ছবিসংবলিত চিঠিতে লেখা রয়েছে, রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সাংসদকে বিশাল গণসংবর্ধনা। চিঠির নিচের অংশে টাকার বিষয়টি উল্লেখ করা।

গতকাল দুপুরে মহাস্থান বাজারে কথা হয় এক দোকানির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে সবার মধ্যে এখন আতঙ্ক। ভোটের পর থেকেই এমন চলছে। টাকার কথা কোনোভাবে ওরা জানতে পারলে আমার রুটি-রুজির ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।’ সাংসদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁকে ১০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা যা শুনেছেন, তা ঠিক। এখানে প্রতিবাদ করে লাভ নেই। প্রশাসনও তাদের ভয়ে কিছু বলে না।’

বাজারের অন্তত পাঁচজন দোকানির সঙ্গে কথা হয়েছে এ প্রতিবেদকের। সবাই চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা এখন এমনই। সাংবাদিকদের বলেও লাভ নেই।

সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য দোকান বন্ধ করে প্রায় ৫০ জন ব্যবসায়ী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের অন্যতম শফিউল ইসলাম বলেন, তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। পরে ২০ জন ব্যবসায়ী মিলে দোকান বন্ধ করে এর প্রতিবাদ করেন।

জানতে চাইলে মহাস্থান বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন বলেন, ‘ওই বিষয়ে আর টাকা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি, অনুষ্ঠানের জন্য কোনো টাকা দেওয়া হবে না। চেয়ারম্যানকেও এই কথা বলেছি।’

চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘টাকা তোলার অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। এটা সমাধান হয়ে গেছে। নিজ ইচ্ছায় কেউ দিতে পারেন। না দিলে আপত্তি নেই। তবে চিঠি দিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয় ঘটেনি। এটা ভুল–বোঝাবুঝি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ টাকা তোলেনি। সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাংসদের ভোট সবাই মিলে করেছেন, কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দরকার নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকায়। মহাস্থানে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে জানলাম, মহাস্থানে আমার লোকজন কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়। অন্য কেউ করতে পারে।’
  • প্রথম আলো/ জানু ২১, ২০১৯ 

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে — আ স ম রব


আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। এসময় তিনি আরো বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এসব ধর্ষকের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তারা।’

সোমবার, জানুয়ারি ২১, সকাল ১১টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অসাংবিধানিকভাবে নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে একক আধিপত্য বিস্তার করার কারণে মহাজোটের শরীকদের ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। যা আগামীতে আরো অবনতির দিকে যাবে এবং এর ফলে একটা অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর ফলে আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে পারবে না। এমনকি কোনোরকম রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়াই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে পালাতে বাধ্য হবে। এখনই যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে মাদক নির্মূলের নামে ক্রসফায়ারের মাধ্যমে চুনোপুটি কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হচ্ছে। এর ফলে প্রকৃত মাদকসম্রাট তথা রাঘব বোয়ালরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে। যা তাদের জন্য এক সময় বুমেরাং হয়ে দেখা দিবে।’

‘পাশাপাশি বহির্বিশ্ব তথা জাতিসংঘসহ দাতা সংস্থাগুলোর চাপের মুখে সরকার কুননৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। কিন্তু তা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হবে না। এতে বোঝা যায় সরকার তাদের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কূটনীতিকদের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন’, বলেন রব।
  • কার্টসিঃ শীর্ষনিউজ/ জানু ২১,২০১৯ 

Confusion over power purchase deal

EDITORIAL

The power subscribers are a bit confused over the disclosure made by the state minister for power, energy and mineral resources that the government has no plan to renew the existing contracts of the privately-owned oil-fired power plants. They do have at least a couple of genuine reasons for being sceptical about the government's stance. The first reason is the government's past track record in the matters of granting permission to the oil-fired rental small- and medium-scale power plants and the second one relates to the non-availability of large and low-cost replacement for the rental power plants.

The government allowed operation of both gas- and oil-fired small and medium power plants as a stop-gap arrangement under a law, titled, the Speedy Supply of Power and Energy (special provision) Act 2010. The law, made effective initially for two years, contains a couple of provisions that, many allege, promotes non-transparency in bidding process and other financial matters. It empowers the government to award power and energy sector contracts on the basis of unsolicited offers and grants the officials involved in such contract-awarding activities immunity from prosecution. Moreover, the tenure of the law was extended four times since its enactment. The contracts with power plants also got multiple extensions.

One might find the opposition to the renewal of contracts with oil-fired rental power plants quite intriguing, for these plants have saved the power subscribers from a perennial problem of severe load-shedding. The power generation capacity has recorded nearly fourfold increase during the past eight years, helping the economy maintain a decent growth rate. There is no denying that the power subscribers, under no circumstances, are ready to go through the nightmarish experience of unending power outages again. They also do not endorse the government's continued dependence on expensive private rental plants for power generation. It is exacting a substantial cost from them, directly and indirectly. Their monthly power bills, on the one hand, have increased manifold during the past decade and a part of the money they pay to the government as tax annually is being spent on subsidising the power purchased from these private plants, on the other. What turned out to be more distressing for the power subscribers are the irregularities in disbursement of funds to the private rental plants as 'capacity payments'. The government is required to make such payments if the plants remain idle for the government's failure to buy power from those. This particular provision in the contracts signed between the Power Development Board and the private power plants has given rise to a strong suspicion about financial irregularities.

It is, however, not clear from the minister's statement as to how the government would meet the demand for power following the non-renewal of existing contracts with the private power plants. Will it sign contracts with new private power producers by extending the special law yet again? Such a question arises since the government is not left with many options. The problem is that the relevant authorities have failed to make available reliable and low-cost power generation alternatives despite having enough time to do that. It has initiated a number of coal-fired large power plants, but they are unlikely to start their operation on schedule. And the nuclear power plant, too, would take some more years to start power production.

The government, no doubt, is trying other options to ensure supply of sufficient power to the people at an affordable price. Power import from neighbouring India and construction of joint venture hydro-power plants in Nepal and Bhutan are among such options. The government might also explore the option of using liquefied natural gas (LNG) for power generation. It would, surely, be a better alternative to power purchase from rental plants at exorbitant prices.

  • Courtesy: The Financial Express /Jan 21, 2019 

ধর্ষণের মামলায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রাজধানীতে কর্মরত পুলিশ সদস্য তরুণ কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার রোববার এ পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, গত বছর ১৮ই অক্টোবর ঢাকার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক শফিউল আজমের আদালতে মামলাটি করা হয়। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।  গত বছরের ২০ নভেম্বর পিবিআইর পরিদর্শক শামীম আহমেদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আইনজীবী আরো জানান, রোববার এ মামলার ধার্য তারিখে বিচারক  মামলার  তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলার থেকে জানা যায়, গেল ২০১৫ সালের মে মাসে পুলিশ সদস্য তরুণ কান্তি বিশ্বাস ওই নারীর ভাড়া করা বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া নেন। একদিন দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নারীকে অচেতন করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন তরুণ। পরে সে সেটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে নানা সময়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ২০-০১-২০১৯ইং ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।।
  • Courtesy: Manabzamin/ Jan 21, 2019

Banks blame influential quarter for rising bad loans

AKM Zamir Uddin

Habitual and influential defaulters are the main barriers to bringing down delinquent loans in the state-owned commercial banks, according to the assessment of the lenders. The banks placed separate reports to the finance ministry last month articulating the major reasons behind their rising defaults loans and ways to bring them down.

On December 26 last year, the reports were discussed in presence of Banking Division Secretary Asadul Islam at a meeting held at the finance ministry. Managing directors of the six banks were also present there.

In the first 11 months of 2018, classified loans in the six state-run banks -- Sonali, Janata, Agrani, Rupali, Bangladesh Development and BASIC -- escalated by Tk 11,297 crore to Tk 48,623 crore.

In its report, Sonali Bank said that 52.33 percent of its outstanding default loans of Tk 12,811 crore were stuck with the top 100 defaulters.  The majority of the defaulters are habitual and they have been continuing to show unwillingness to return the depositors' money, it said.

The long drawn-out process for resolving the court cases with the Artha Rin Adalat (money loan court) has also created an impediment to cutting down its default loans.

Sonali has already started a special drive for loan recovery, said its Managing Director Md Obayed Ullah Al Masud recently.

“We have instructed our 15,000 officials to recover at least one overdue loan last year,” he added.Only the branch managers were earlier assigned to recover default or overdue loans.

Janata Bank has frequently failed to realise instalments of restructured and rescheduled loans from defaulters. In many cases, despite offering interest rate waiver, the bank failed to recover the sums.

Some borrowers did not invest the loan amount in the sector mentioned in their credit proposal.

In its report, Janata said that the amount of down payment set by the central bank for rescheduling non-performing loans (NPLs) should be relaxed. Influential borrowers are one of the core problems behind the rising default loans in Agrani.

“The bank can arrest the rising default loans if it could sanction loans without facing pressure from influential corners,” said the bank in its assessment report.

To recover the default loans the bank has recently taken several initiatives, said Mohammad Shams-Ul Islam, managing director of Agrani Bank. He is hopeful that the NPLs would not go up this year because of the ongoing recovery drive. 

Rupali Bank said the habitual defaulters should be sent to jail. The lender has also suggested introducing strict regulations for defaulters.

The rescheduled loans of BASIC Bank frequently get defaulted as majority of the defaulters did not have strong business position to pay installments.

Some defaulters fled the country, forcing the lender to face difficulties in recovering classified loans, according to its report.

Bangladesh Development Bank is on the same boat as the other five when it comes to tackling NPLs.

  • Courtesy: The Daily Star /Jan 21, 2019