আবদুল লতিফ মন্ডল
চলতি বছরের শুরু থেকেই খাদ্যসহ খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত আমন মৌসুমের শুরুতেই আমাদের প্রধান খাদ্য চালের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দিলেও জানুয়ারি মাসের শেষদিকে সরকার সব ধরনের চাল রফতানির অনুমতি দেয়ায় বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
গত কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের নজিরবিহীন উচ্চমূল্যের কারণে পণ্যটি গরিব ও নিম্নবিত্তের অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। বেড়েছে চিনি, আদা, রসুনসহ সব ধরনের মসলার দাম। এর সঙ্গে যোগ হল বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি। চলতি মার্চ থেকে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি ৩৬ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি দাম দিতে হবে গ্রাহকদের।
অন্যদিকে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহকৃত প্রতি হাজার লিটার আবাসিক পানির দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সার স্থলে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রতি হাজার লিটার আবাসিক পানির দাম ৯ টাকা ৯২ পয়সার স্থলে ১২ টাকা ৪০ পয়সা করা হয়েছে। চাল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মূল্যবৃদ্ধি একটি পরিবারের মাসিক সংসার খরচ বাড়ানোয় সীমাবদ্ধ থাকলেও, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশের পুরো উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে।
বাড়বে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত সব ধরনের পণ্যের দাম। ফলে বাড়বে সার্বিক মূল্যস্ফীতি, যা বেশ কয়েক মাস পর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। মূল্যস্ফীতি সব সময় মানুষের কাছে ভীতিকর, কারণ এতে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পহেলা মার্চ থেকে কার্যকর বিদ্যুতের নতুন মূল্য অনুযায়ী, আবাসিক খাতে লাইফলাইন ০-৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের ইউনিটপ্রতি দাম হবে ৩ দশমিক ৭৫ টাকা।
আগে ছিল ৩ দশমিক ৫০ টাকা। প্রথম ধাপে ০-৭৫ ইউনিট পর্যন্ত নতুন দাম হবে ৪ দশমিক ১৯ টাকা, যা আগে ছিল ৪ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে ৭৬-২০০ ইউনিট পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ টাকা ৭২ পয়সা, যা আগে ছিল ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। তৃতীয় ধাপে ২০১-৩০০ পর্যন্ত নতুন দর ৬ টাকা।
আগে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৭০ টাকা। চতুর্থ ধাপে ৩০১-৪০০ পর্যন্ত ৬ দশমিক ৩৪ টাকা। আগে এ হার ছিল ৬ টাকা ০২ পয়সা। পঞ্চম ধাপে ৪০১-৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ৯ দশমিক ৯৪ টাকা। আগের দাম ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা এবং ষষ্ঠ ধাপে ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীকে ইউনিটপ্রতি ১১ দশমিক ৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১০ টাকা ৭০ পয়সা। এ দামের সঙ্গে যুক্ত হবে ভ্যাট।
আবাসিক খাত ছাড়া অন্যান্য খাতেও বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। সেচ-কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাম্পের ক্ষেত্রে সব বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির জন্য ইউনিটপ্রতি দাম ৪ দশমিক ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এ দাম ছিল ইউনিটপ্রতি চার টাকা। এ ছাড়া মাসিক ডিমান্ড চার্জ ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এরও আগে কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ পাম্প ব্যবহারকারী পিডিবি, ডিপিডিসি, ডেসকো ও ওজোপাডিকোর এবং আরইবি ও পবিস গ্রাহকরা ৩ টাকা ৮২ পয়সা পরিশোধ করতেন। নতুন মূল্যহার অনুযায়ী কৃষিতে ব্যবহৃত সেচে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ইউনিটপ্রতি ১৬ পয়সা।
ক্ষুদ্র শিল্পে ফ্ল্যাট রেট করা হয়েছে ইউনিটপ্রতি ৮ দশমিক ৫৩ টাকা। অপরদিকে অফ-পিক সময়ে ইউনিটপ্রতি ৭ দশমিক ৬৮ টাকা। আর পিক আওয়ারে এর হার হবে ১০ দশমিক ২৪ টাকা। বাণিজ্যিক ও অফিস গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিটপ্রতি ৯ টাকা ০২ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ৮ টাকা ১২ পয়সা এবং পিক সময়ে ১১ টাকা ২৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিমান্ড চার্জ ৬০ টাকা।
শিল্প গ্রাহকের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিটপ্রতি ৮ টাকা ৪৫ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ৭ টাকা ৬১ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ৫৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিমান্ড চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা।
নির্মাণ গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিটপ্রতি ১০ টাকা ৬০, অফ-পিক সময়ে ৯ টাকা ৫৪ এবং পিক সময়ে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাসিক ডিমান্ড চার্জ ৬০ টাকা। অতি উচ্চচাপ বা ১৩২ কেভি এবং ২৩০ কেভি লাইন ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সাধারণ-১ (২০ মেগাওয়াট থেকে ১৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত ব্যবহারকারী)-এর ফ্ল্যাট রেট ইউনিটপ্রতি ৮ টাকা ৩৬ পয়সা, অফ-পিকে ৭ টাকা ৫২ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাধারণ-২ (১৪০ মেগাওয়াটের বেশি)-এর ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট রেট ইউনিটপ্রতি ৮ টাকা ৩০ পয়সা, অফ-পিকে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে ডিমান্ড চার্জ ৬০ টাকা।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান নানা ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমদানি করা কয়লার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করা হয়েছে, প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের ওপর ১০ পয়সা করে ডিমান্ড চার্জ আরোপ করা হয়েছে, অবচয় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ বেড়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোকে তুলনামূলক কম মূল্যে অধিক পরিমাণ বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে, অর্থাৎ সাধারণ জনগণের কাছে কম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোয় ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে এই কারণগুলোর ভূমিকা ছিল।
ক্ষমতাসীন সরকারি দল আওয়ামী লাগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদ্যুৎ ও পানির ‘সামান্য মূল্যবৃদ্ধিতে’ জনগণের ভোগান্তি হবে না। অন্যদিকে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, ভোক্তা সংগঠনসহ অনেকে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের এ মূল্যবৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, হঠাৎ করে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। এমনিতেই দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা, তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি।
বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি না করে বিষয়টি আবার বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যুতের দাম বাড়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ আটটি বাম দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটটি বলেছে, সরকারের ভুল নীতি, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে। খেলাফত মজলিসও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ইতিমধ্যে পোশাক শিল্প খাত ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। দেশের শীর্ষ পণ্য রফতানির পোশাক শিল্প যে কোনো সময়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ১ হাজার ৯০৬ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করা হয়েছে।
এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় খাতটি আরও নাজুক পরিস্থিতিতে পড়বে। বিদ্যুতের দাম বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটির জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেছেন, আবাসিক বা শিল্প খাতে কোনো পর্যায়ের ভোক্তার জন্যই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই। বিদ্যুৎ খাতে ‘অযৌক্তিক’ ব্যয় না কমিয়ে সরকার জনগণের ব্যয়ভার বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ভোক্তা যে মানের বিদ্যুৎ পায়, এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য পুনর্নির্ধারণ হোক।
তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি বলেছে, বিইআরসির গণশুনানিতে যুক্তি ও তথ্যে প্রমাণিত হয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয় বরং কমানো উচিত। দাম বাড়ানোর পেছনে গ্যাস-সংকটের কারণে তেলনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কথাকে অসত্য বলে আখ্যায়িত করেছে এ কমিটি।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে দাম অপরিবর্তিত রাখার বিকল্প উপায় ছিল কি না। বিইআরসি অবচয় ব্যয় বৃদ্ধিকে বিদ্যুতের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নিজস্ব ব্যবহারসহ যন্ত্রপাতির অবচয়, পরিবহন তারের রেজিস্ট্যান্সজনিত অবচয় এবং অন্যান্য কারিগরি-অকারিগরি অবচয়ের কারণে সামগ্রিক বিদ্যুৎ শক্তির অবচয় হয়। এটাকে বলা হয় সিস্টেম লস।
সত্তর ও আশির দশকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ সময় কর্মরত থাকাকালে বিদ্যুতের সিস্টেম লসের যে অবস্থা দেখেছি, সে অবস্থার পরিবর্তন হলেও আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৯ থেকে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিতরণ খাতে সিস্টেম লসের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর সঞ্চালন ও বিতরণ মিলে লস ছিল ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ।
অনুরূপভাবে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিতরণ খাতে লসের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬০ এবং ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর সঞ্চালন ও বিতরণ মিলে লসের পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৮৭ ও ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চালন ও বিতরণ মিলে লসের যে পরিমাণ ছিল, তার খুব সামান্য পরিমাণ ছিল সঞ্চালনে। বাকি পুরোটাই ছিল বিতরণে।
সহজ ভাষায় এটা ছিল চুরি। বিদ্যুতের বিতরণ বাবদ লস উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানো গেলে মূল্যবৃদ্ধি পুরোপুরি না হলেও বহুলাংশে কমানো যেত।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে এত প্রতিবাদ হয় কেন? এটি এমন একটি পণ্য, যার মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব অর্থনীতির প্রায় সব খাতের ওপর পড়ে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সেবা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সার উৎপাদন ও সেচে ব্যবহৃত কৃষি পাম্পের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সার্বিক কৃষি খাতের শস্য উপখাতে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষির অন্যান্য উপখাতে, বিশেষ করে ফিশ ফিড উৎপাদনে ও মৎস্য চাষে ব্যয় বাড়ে।
এতে দেশে প্রোটিনের প্রধান উৎস মাছের দাম বাড়ে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে শিল্প উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। অনেক রুগ্ন শিল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে বেকারের সংখ্যা আরও বাড়বে। এমনিতেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বর্ধিষ্ণু সেবা খাত অনেকটা বিপর্যস্ত। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে এ খাতটির পক্ষে টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে।
বর্তমান সরকার তার একটানা দীর্ঘ এগারো বছরের শাসনামলে একাধিকবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সরকারের উচিত হবে দাম না বাড়িয়ে বিদ্যুতের সিস্টেম লস উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা। এটি সম্ভব। বিশ্বের অনেক দেশ এটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এটি করা গেলে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম, বিশেষ করে উৎপাদন খাত ও সেবা খাতের উন্নয়নের গতি বেগবান হবে।
- আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
- কার্টসি - যুগান্তর/ মার্চ ৪, ২০২০