মোঃ আসাদুজ্জামান
প্রাণেশ্বরী মাধবী আমার,
তুমি তো জানো — তুমি আমার স্বপ্ন, কল্পনা আর প্রাণাধিক মানবী! তুমি অস্তিত্বহীন হলেও কল্পনার নিখুঁত আঁচড়ে আমার জীবনে অনবদ্য, অনন্যা, আমার আঁধার কালোসময়ে আঁধার মানিক সম! মনটা আজ ভীষন বিক্ষিপ্ত। ইদানীং তোমার সাথে কথপোকথনের সময় সমসাময়িক সময়ের রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থা, মানুষের অধিকার হরণ, বিচার বিভাগের জীর্ণতা চিন্তার মাঝে ঢুকে পড়ে, তুমি হারিয়ে যাও অনন্ত অতলে। তোমাকে আজ এক মায়াবী রাষ্ট্রের বিচারাঙ্গনের কথা শুনাবো, যে গল্প বাস্তবের চেয়েও বাস্তব, তোমার কল্পনাতেও এই ব্যবস্থার এতো অবনতি আসবে না। আইনজীবি হিসাবে বিচার কর্মক্ষেত্র তথা বিচার বিভাগ নিয়ে আমার আগ্রহটা একটু বেশী! বিচারঙ্গন নিয়ে আমার আগ্রহ থাকলেও আমার কল্পনার সমস্ত জগত জুড়ে শুধু তুমি, অন্য কেহ নয়! কোন ভুল বুঝ না যেন।
মাধবী, তুমি নিশ্চয়ই শুনেছ, ‘জাস্টিস ইজ ডিভাইন-ন্যায় বিচার স্বর্গীয়’ - এটা অনেক পুরানো একটি প্রবাদ বা তত্ত্ব । অনেক গল্প সিনেমায় এভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে আমাদের গভীরে তাই ঢুকেছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটা দেখেছি এবং দেখিও। তবে, যে কল্পনার রাষ্ট্রের কথা বলছি সেখানে এটা ক্রমাবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। নতুন তত্ত্ব হলো - ‘জাস্টিস ইজ ডিভাইডেড - ন্যায় বিচার বিভক্ত’। এই তত্ত্ব আজ সেই দেশের বিচার বিভাগ ক্ষয়িষ্ণু ধারায় প্রবাহিত। যার সুদূরপ্রসারী প্রভাবে সেই দেশ আজ গণতন্ত্রহীন, স্বৈরাচারের চারণক্ষেত্র । সেখানে যারা আইন আদালত নিয়ে একটু কাজ করে শুধু তাঁরাই নয়, সেদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যে কেউ এই তত্ত্বের অস্তিত্ব জানান দিবে। সমবেত কণ্ঠেই তারা বলবে, ন্যায় বিচার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের vicious cycle এ বন্দি। সরকারি দলের নেতা কিংবা দুর্বৃত্তদের হাতেই অজস্র নাগরিক বিচারহীনতার শিকার হন। সে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেনো। এর প্রথম এবং প্রধান কারণ রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন বা criminalisation of politics এবং যার ফলে বিচার বিভাগ কিংবা বিচার বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট যে কোন অফিস কিংবা ব্যক্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে উন্নত হতে দেওয়া হয়নি বা সঠিক ভাবে Institutionalised করা হয়নি ।
জানো মাধবী, আমার কল্পনার সেই দেশে দুর্বৃত্তদের চৌকি পেরিয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রাথমিক সিঁড়ি তথা থানা-পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পৌঁছানো এখন দুরহ ব্যাপার। সেখানে পৌঁছানোর আগে স্থানীয় রাজনৈতিক দূর্বৃত্তদের বিষাক্ত থাবা পেরোতে হয়। থানা পুলিশ বিচার বিভাগ নয়, তবে ফৌজদারী বিচারব্যবস্থার কিংবা ন্যায় বিচার বা বিচার যাই বলি না কেনো সেটা প্রাপ্তির প্রাথমিক স্তর। সেখানে বিচারপ্রার্থী একা গেলে অনেকটা উপেক্ষিত হয়, বিরোধী দলীয় কারও সাহায্যে গেলে অপমানিত হতে পারে, সরকার দলীয় লোকের মাধ্যমে গেলে সন্মানিত হবে এট নিশ্চিত। এটা এক ধরনের ‘ডিভাইডেড জাস্টিস’! সেদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য সরকারী সংস্থা অনেক মানবিক কাজ করেন, অনেক জনন্দিত কাজের জন্য তাঁরা সমাদৃতও বটে। কিন্তু বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের দমনপীড়নে, ভিন্নমত রুখতে, রাতের নিকশ কালো আঁধারে মোমবাতির আলোয় ভোট কাটতে কিংবা গনতন্ত্র হত্যায় তাদের ভূমিকা সর্বগ্রাসী, সর্বনাশা, দেশ ধ্বংসের উন্মত্ত নগ্ননৃত্য। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার এমন দেশ, সে দেশের নাগরিকগন চায়নি মাধবী? এটা আমি নিশ্চিত ।
মাধবী, ন্যায় বিচারের ধারণা সম্পর্কে বলা হয়, Justice should not only been done, it should also seen to have been done! কিন্ত ঐ দেশের বিচার ব্যবস্থা উল্টো পথে চলছে। সম্প্রতি, কিছু কিছু মামলাতে সেদেশের জনগন উপলব্ধি করলো Injustice is not only been done, injustice is also seen to have been done!
সে যাইহোক, বিচারের জন্য সেদেশের মানুষ আদালতে যায়, সেখানে মামলার মেরিটের সাথে দেখা হয় আইনজীবি কে? বড় কোন হোমড়া চোমড়া না কি সাধারন কিংবা তরুন কোন আইনজীবি? সরকার দলীয় আইনজীবি নাকি বিরোধী দলীয় আইনজীবি? মামলার মেরিটের আগে উক্ত বিষয়গুলো মামলায় প্রতিকারের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই সংস্কৃতি আবহমান কাল থেকে সেখানে প্রচলিত থাকলেও, নীতিনৈতিকতার অবক্ষয়ের ফলে এই যুগে এটা অনেকটা দৃশ্যমান ভাবে প্রতিভাত! এটাও এক ধরনের ‘ডিভাইডেড জাস্টিস’, ‘ডিভাইন’ নয়! একজন বিচারপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হলে তাকে পুলিশ-কেরানী-মুহুরীর চক্রে ঘোল খেতে হয়। তারপর উকিল সাহেবরা তো আছেই! সেদেশের উকিল সাহেবদের স্বভাব চরিত্র এবং পয়সার প্রতি হ্যাংলামো তো তোমার জানার কথা! সেখানে উকিল সাহেবদের সম্পর্কে নাগরিকদের ধারনা খুব বেশী উন্নত নয়, সেই আদিকাল থেকেই। তারপর থাকে পেশকার-পিওন-আরদালী। সব পেরিয়ে বিচারকের সামনে গেলে তখন মেরিটের আগে উক্ত বিষয়গুলো আসে! ইদানীং শোনা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক লেনদেন, নেপোটিজম, সরকারের নিয়ন্ত্রন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিচারকে কলুষিত করছে সেখানে! এটাও এক প্রকার ডিভাইডেড জাস্টিস, ডিভাইন নয় মাধবী!
মাধবী, সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে তোমাকে আর নতুন করে কি কথা বলবো! আমার দেশের এই প্রান্তর নিয়ে আমার প্রতিদিনের দহনের স্বাক্ষী তুমি! কল্পনার ঐ দেশের ন্যায় বিচারের ধারনা বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত ন্যায় বিচারের ধারনার থেকে কিছুটা হলেও distinct and separate। আমার এক কল্পিত বন্ধু তার পেশাগত জীবনের গত আড়াই দশক ধরে দেখেছে কিভাবে সেখানকার অনেক মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গন ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা আইনজীবি সহকর্মীদের নির্লজ্জ-পর্দাহীনভাবে উন্মুক্ত আদালতে প্রশংসার জোয়ারে ভাসাতে থাকেন। এই ধরনের আচরনে উনাদের লজ্জা না লাগলেও, যে আইনজীবি বন্ধুকে এভাবে প্রশংসা করা হয় তিনি প্রথমদিকে কুন্ঠিত কিংবা বিব্রত হন। পরবর্তীতে অবশ্য উপভোগ এবং ভোগ করেন। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন, আর আমার বন্ধুর বিজ্ঞ ক্ষমতাধর সহকর্মীবৃন্দতো রক্ত মাংসের মানুষ। যতদিন দল ক্ষমতায় থাকে ততদিনে সেখানে গোটা শহর ছড়িয়ে কারাগার পর্যন্ত পৌঁছে যায় কোন দেবতা কোন ফুলে তুষ্ট, অর্থাৎ, কোন বিচারকের সামনে কোন আইনজীবির নৈবেদ্য নিবেদন গ্রহনযোগ্য! পেশাগত জীবনে এই সংস্কৃতি দেখতে দেখতে আমার বন্ধুটি বড্ড ক্লান্ত মাধবী ।
আমার মনে পড়ে, কোন এক মামলায় আমারও এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। কোন এক মামলায় আমার প্রতিপক্ষ ছিলেন সাবেক এক মন্ত্রীর পুত্র । মান্যবর প্রিজাইডিং বিচারপতি ফাইল ধরেই আমার বক্তব্য পেশ করার পূর্বে আমাকে একটু বসতে বলে অন্যপক্ষের আইনজীবি, মন্ত্রি পুত্রকে পোডিয়ামে ডাকলেন, তাঁর কুশলাদি জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁর বাবার কুশলাদি জানলেন। এরপর প্রায় আধাঘন্টা বিচারপতি মহোদয় মন্ত্রী বাহাদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, আমার একবারও মনে হয়নি তিনি এভাবে প্রশংসা করতে বিব্রত বোধ করছেন। পাশে বসা তাঁর ব্রাদার জাজ নির্বাক হয়ে শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে! এক পর্যায়ে, আমি বললাম, মাই লর্ড, মন্ত্রী মহোদয় এখনো বেঁচে আছেন, ফুল কোর্ট সভায় মৃত ব্যক্তিদের যেভাবে গুণকীর্তন করা হয়, সেভাবে না করলেও চলবে, উনার কানে গেলে উনি মাইন্ড করতে পারেন, একটু থামুন, আমার মামলাটি এখানে শুনানী করতে চাই না। মনে হলো, হিজ লর্ডশীপ জগতে ফিরলেন, মামলা দ্রুত শুনে রায় দিলেন, ফলাফল নিশ্চয়ই আপনাদের বলতে হবে না। কয়েকদিন পর তিনি আপীল বিভাগে এলিভেটেড হয়েছিলেন।
মাধবী, তোমাকে যে দেশের বিচার ব্যবস্থার কথা বলছি সেখানে মন্ত্রীর সন্তান, ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতাধর কিংবা পাতি নেতা, বিচারপতির সন্তান কিংবা স্ত্রী উচ্চ আদালতে প্র্যাকটিসে বিশেষ আনুকূল্য পান এটা সর্বজন বিদিত! এটাও এক ধরনের ডিভাইডেড , নট ডিভাইন, জাস্টিস!
জানো মাধবী, ঐ দেশটার সুপ্রীমকোর্ট সংবিধানের অভিভাবক! অভিবাবক দুর্বল হলে, অন্য সদস্যরা বখাটে হয়, চোর , ডাকাত, নৈরাজ্যবাদী কিংবা নষ্টামীর চরম সীমায় পৌঁছায়। যেমনটি হয়েছে ঐদেশের সকল সেক্টরে। সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট তথা সংবিধানের অভিভাবকের দুর্বলতার কারণে সংবিধান আজ পদদলিত, সেদেশ আজ গনতন্ত্রহীন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিষ্পেষিত। গণতন্ত্রের অন্যতম মৌল উপাদান ভোট বা ভোটাধিকার আজ সেখানে কাগজে আছে বাস্তবে নেই। বিনা বিচারে হত্যা, গুম, নির্যাতন আজ ফ্রাংকেনস্টাইন সেখানে। এ সবই সেখানকার সুপ্রিমকার্ট এর দুর্বলতা কিংবা নীরবতার ফসল বলে আমি মনে করি। সুপ্রীমকোর্ট এসব ক্ষেত্রে খুবই টেকনিক্যাল হয়ে যায়, পাশকাটানোর কৌশল অবলম্বন করেন। আর এই সুযোগেই গনতন্ত্রের সংগ্রামকে নস্যাৎ করতে নীতি নৈতিকতাহীন রাজনৈতিক দূর্বৃত্বায়ন সচল হয়, খুন-গুম-হেফাজতে মৃত্যু-ভোট ডাকাতির পথ ধরে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়,স্বৈরাচারের শিকড় প্রথিত হয়, যা সেখানে হয়েছে।
মাধবী, অনেক অর্জন, অনেক সাহসী রায়, অধিকাংশ মামলায় ন্যায় বিচার করার নিরন্তর প্রচেষ্টা থাকলেও, সেখানকার বিচার বিভাগে আজ লোভ এবং ভয়ের সংস্কৃতির মধ্যদিয়ে সময় পার করছে। লোভের জায়গা হলো উচ্চতর পদে যাওয়া, ভালো পোস্টিং কিংবা এখতিয়ার পাওয়া কিংবা অবসরের পর সেদেশের আইন কমিশন কিংবা অন্য কোন ট্রাইবুনাল বা আপীল ট্রাইবুনালে চাকরী পাওয়া। আর ভয়ের জায়গাটা হলো , কোন রকম হেনস্তা না হওয়া, জোরপূর্বক অসুস্থ বানিয়ে বাসায় অতন্দ্র প্রহরায় ছুটি না কাটানো কিংবা দেশ ছাড়তে বাধ্য না হওয়া, ঠিক যেমনটি ঘটেছিলো সেদেশের একজন সার্ভিস প্রধান বিচারপতির সাথে। এসবই সেই দেশের বর্তমান বিচারাঙ্গনের চিত্র। বিদ্যমান প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে তা সমসাময়িক বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে সেদেশের কোন ন্যায় বিচারক পদত্যাগ করেন নি, তাদের বিবেক কিছু বলে নি মাধবী। সেদেশে বিচারকগন সহকর্মীর অধিকার লংঘন করে উপরে উঠতে চায়, কুন্ঠিত কিংবা বিব্রত হন না। কেউ না জানুক, তুমি তো জানো মাধবী , আমার বিশেষ সেই বন্ধুটি সেই নিগ্রীহিত প্রধানবিচারপতির ফ্যান ছিলাে না, তার কোন সুবিধাভোগী কিংবা উচ্ছিষ্টভোগী ছিলো না, তার favouratism এর beneficiary ছিলাে না। সে তার ঘোরতর সমালোচক ছিলো। কারন, সেদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য তার ভূমিকাও কম নয়, সেও বিচার বিভাগের অভিভাবকত্বের এখতিয়ারকে সংকুচিত করেছিলো। আর যখনই যে কোন কারনেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছে, তখনই তার পরিণতি সে ভোগ করেছে। আর এটা ছিলো ঐ দেশের সব বিচারপতিদের জন্য একটা বার্তা, ভয়ের বার্তা। স্বাধীন দেশের একজন প্রধান বিচারপতি যখন অন্য কোন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়, নিশ্চয়ই তাকে বলতে হয় এদেশে গণতন্ত্র নেই, এখনকার বিচারবিভাগ একজন প্রধান বিচারপতির উপর হয়ে যাওয়া অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে না, ন্যায় বিচার দিতে পারে না। তাহলে সে দেশের সাধারন মানুষের কথা একবার ভাবতো মাধবী!
জানো মাধবী, আমাদের সুপ্রিমকোর্টে নিয়ে গর্ব এবং অহংকার করার মত অনেক কিছু আছে, এটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন, এর ভেতরকার সবুজ মনোরম পরিবেশ, ফুলের বাগান, পাখির ডাক আমাকে টানে, মুগ্ধ করে। তুমিতো জানো, কতটা দুরন্ত ও বিমোহিত হই এই প্রাঙ্গনের জন্য! তুমি ঈর্ষান্বিত হইও না, তোমার সাথে কারও তুলনা করি না। তুমি জেনে আনন্দিত হবে যে, এখানে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি আছে। এখানকার প্রবীণ আইনজীবীগণ নীতি নৈতিকতা আর জ্ঞান গরিমায় বিদগ্ধজন। তরুন আইনজীবিদের প্রানোচ্ছল মেধার প্রয়োগ আর সৃষ্টিশীলতা অনন্য। কিন্ত আমার ভয় হয় এরা হারিয়ে না যায়, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের cycle এ এরা নষ্ট হয়ে না যায়! তাহলে আমাদের, আমার এবং বাংলদেশের মানুষের এই রক্তস্নাত অর্জন-আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের সংবিধান, আমাদের সুপ্রিমকার্ট অরক্ষিত হয়ে পড়বে! বিদগ্ধ জনের অভাবে এখানে বিরানভূমি হবে, সমৃদ্ধ লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা হারাবে , আমাদের গর্বের স্বাধীনতা অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের কাছে হারিয়ে যাবে!
আজ আর নয় মাধবী! শুধু বলবো, তুমি কেমন যেন হিংসুটে হয়ে গেছো, আমাকে তোমার উপেক্ষা পোড়ায়, নীল বেদনা দেয়। তুমি যখন ভালোবাসবে তখন একবুক সমুদ্র নিয়ে ভালোবাসবে, এক বুক সমুদ্র, ঠিক আমার মতো !
- লেখক — আইনজীবি ও রাজনৈতিক কর্মী।