Search

Monday, April 2, 2018

Unholy alliance of politicians, bureaucrats breeding corruption

Stopping corruption impossible without cleaning up top echelons of politics


Asia Pacific University vice-chancellor and former caretaker government adviser Jamilur Reza Choudhury said Sunday that it would be impossible to stamp out corruption from Bangladesh until and unless the nation’s top echelons of politics were cleaned up.

Speaking at a seminar organized by the Anti-Corruption Commission at its head office as part of its corruption prevention week, Jamil said that the unholy nexus between politicians and bureaucrats ‘breeds corruption in this country.’ ‘The unholy nexus was getting stronger by the day,’ he said.

Without breaking the unholy nexus curbing corruption would remain a distant dream, said Jamilur Reza Chowdhury. He said that a majority of the MPs committed forgery by submitting false wealth statements to the Election Commission with their nomination papers.

‘How could we expect them to protect our rights in Parliament when they began their journey by providing false statement?’ he asked.

He called nepotism as the root cause of corruption as it breeds massive irregularities during recruitments, transfers and postings by the government.
Expressing his frustrations over the ACC’s activities he advised the ACC catch some of known corrupt people at the ‘top level’. If the ACC succeeds in catching at least some of the big chaps known for indulging in corruption it would create pressure on the others, he said.

ACC chairman Iqbal Mahmood said that transparency in bureaucracy could prevent corruption as bureaucrats were working everywhere including the public and the private sectors as well as on the political arena. He said government officials who love their chairs more than their duties usually compromise with corruption.
He said that the ACC had plans to jail some of the officials who love their chairs more than their work.

He requested politicians to refrain from starting their parliamentary journey with falsehood as another general election was in the corner.

ACC commissioner Nasiruddin Ahmed said that the health service and the power utility were causing the highest public sufferings as none could get their service without greasing the palms of officials posted there.

Speaking as a guest speaker, barrister M Amirul Islam said political pollution was bound the affect the whole society unless quality of was improved immediately.
He urged the government to appoint an ombudsman to check evil practices. 

Former Bangladesh Bank deputy governor Khondkar Ibrahim Khaled advised the ACC to launch a campaign not to cast votes for the corrupt candidates.

Communist Party of Bangladesh president Mujahidul Islam Selim said that corruption became pervasive in all the sectors due to banishing ideological politics.
Former minister Mizanur Rahman Shelley said that without establishing accountability it would never be possible to free the administration and the society from the grip of corruption.

Ekushey TV CEO Monjurul Ahsan Bulbul moderated the seminar while East West University treasurer AZM Shafiqul Alam presented the keynote paper. 

Among the guest speakers were former caretaker government advisor M Hafiz Uddin Khan, Dhaka University professor Zarina Rahman Khan, ruling Awami League MP M Rahamatullah, Sushashoner Jonno Nagorik secretary Badiul Alam Majumder, Transparency International Bangladesh Executive director Iftekharuzzaman, BNP leader Chowdhury Kamal Ibne Yusuf, journalists Sohrab Hossain and Mozammal Babu, ACC commissioner AFM Aminul Islam and lawyer Tania Amir. 

  • Courtesy: New Age /Apr 02, 2018

দখলদারের পক্ষে সরকারি সংস্থা

বুড়িগঙ্গার পাড়ে অবৈধ স্থাপনা



ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের নবাবচরে বুড়িগঙ্গা নদী দখল স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। নদীর সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিবেদনের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চাপ এবং অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্যোগের অভাব।

বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গত বছরের এপ্রিলে বুড়িগঙ্গার কামরাঙ্গীরচর এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। এ সময় তিনি নদীর যে ১৩টি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে, সেগুলো ভাঙার ঘোষণা দেন। এরপর ১০ জুলাই বিআইডব্লিউটিএ অভিযান চালিয়ে তিনটি স্থাপনার বাইরের দেয়ালের সামান্য অংশ ভেঙে দেয়। সাংসদ হাজি সেলিমের মালিকানাধীন একটি স্থাপনার সীমানাদেয়াল ভাঙা হয়।

জানা গেছে, এরপরই নবাবচরে নদীতীরের ভবনমালিকেরা জেলা প্রশাসনের কাছে সীমানা নির্ধারণের আবেদন জানালে একটি কমিটি করা হয়। কমিটি সিএস (ক্যাডেস্টাইল সার্ভে) ও আরএস (রিভাইস সার্ভে) রেকর্ড অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণের প্রস্তাবসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপরই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসন বর্তমানে শুধু সিএস ও আরএস অনুসারে জরিপ করে সীমানা খুঁটি বসাতে চাইছে। তারা চায় নদীর ওপরে নয়, নিচে খুঁটি স্থাপন করতে। এতে নদীর স্বার্থ রক্ষা পাবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চারটি নদীর বিষয়ে ২০০৯ সালে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশে সিএস ও আরএসের কথা বলা হয়েছে মূলত নদীর অবস্থান নির্ণয়ের জন্য। সীমানা চিহ্নিত হবে নদীর আকার অনুযায়ী। আদেশে নদীর সীমানা নির্ধারণে সবকিছু বিবেচনায় নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ জেলা প্রশাসন প্রতিবেদনে শুধু সিএস ও আরএস মানচিত্র অনুসরণে জরিপ করতে চাইছে। এভাবে করা হলে বর্তমানে স্থাপিত খুঁটিগুলো ১০০ থেকে ২০০ ফুট নদীর দিকে নামিয়ে নিতে হবে।

জানতে চাইলে সদ্য যোগ দেওয়া জেলা প্রশাসক আবু সালে মো. ফেরদৌস খান বলেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তবে জেলা প্রশাসন অবশ্যই নদী রক্ষার স্বার্থে কাজ করবে।

এদিকে নবাবচরে নদীতীরের স্থাপনার মালিকেরা প্রথম আলোকে বলেছেন, নৌমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় জুলাইয়ের পরে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান প্রথম আলোকে বলেন, বাড়ির মালিকেরা এবং খাদ্যমন্ত্রী মাপজোখ করতে বলায় তখন উচ্ছেদ বন্ধ রাখা হয়।

আর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়ির মালিকেরা অভিযোগ করেছিলেন, ঠিকভাবে মাপজোখ না করেই নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই নৌমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। এখন যদি ভাঙতে চায়, ভেঙে দিক।’

স্থাপনা মেরামত ও বাড়ানোর উৎসব

নবাবচর এলাকাটি বুড়িগঙ্গা নদীর ঢাকা প্রান্তে। গত বৃহস্পতিবার সকালে এখানকার গুদারাঘাট-আশ্রাফাবাদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীতীরে অনেকগুলো পাকা ভবন। আরও ভবন তৈরির জন্য প্রচুর ইট, বালু, রড, সিমেন্ট জড়ো করা হয়েছে। আগে তৈরি বাড়িগুলোর কোনোটায় সদ্য রং লাগানো হয়েছে। ‘ভাড়া হবে’ সাইনবোর্ডও ঝুলছে। এগুলোর কিছু নদীর সম্পূর্ণ ও কিছু আংশিক জায়গায় অবস্থিত।

এলাকাবাসী জানান, গত জুলাইয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর বেশির ভাগ বাড়ির লোকজন সরে গিয়েছিলেন। মাসখানেক আগে আবার সবাই ফিরে এসেছেন। ভেঙে দেওয়া স্থাপনা মেরামত করা হয়। আগের স্থাপনার সঙ্গে নতুন অংশও যুক্ত হয়।

এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর অস্থায়ী সীমানা খুঁটির ভেতরের জায়গায় স্থাপনা রয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের মালিকানাধীন মদীনা ট্রেডিংয়ের রড-সিমেন্ট বিক্রির একতলা পাকা স্থাপনা ও স মিল। পাশের দোতলা ভবনের মালিক মো. সিরাজ নতুন অংশ যুক্ত করেছেন। মো. সিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি নদীর এক ইঞ্চি জায়গাও নেননি।

গুদারাঘাট সড়কের পাশেই একটি ছয়তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের পর ভবনটি তালাবন্ধ ছিল। তবে মাসখানেক আগে ভবনটি সংস্কার করে রং লাগানো হয়। নিচতলায় কুসুম কনফেকশনারি নামে একটি দোকান। দোকানি বলেন, দুই লাখ টাকা আগাম দিয়ে ভাড়া নিয়েছেন। পাশেই নদীতীরে কেরামত আলী নামের এক ব্যক্তির আংশিক ভেঙে দেওয়া দোতলা ভবন ও সীমানাদেয়াল মেরামত হচ্ছে।

অপর একটি দোতলা ও একতলা ভবনে নকিয়া ফ্রুট ইন্ডাস্ট্রিজ ও বেল্ট সু-প্লাস্টিক অ্যান্ড রাবার ফ্যাক্টরি। দক্ষিণ মুন্সিহাটি নদীর পাড়ে আরেকটি দোতলা ভবনে দোকানপাট। পাশেই পারফেক্ট ডেলটা ফ্যাক্টরি নামে একটি প্লাস্টিক ও ইনসাফ ফ্রুটস এগ্রো বেজ ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা। এ ছাড়া নদীতীরে রয়েছে ১৪টি স মিল, মিষ্টির দোকান, ডেইরি ফার্ম, গুদামসহ অবৈধ স্থাপনা।

এদের সবার পক্ষ থেকে ভবনমালিক মো. সিরাজ ও মো. মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বহু বছর ধরে এসব জায়গার খাজনা দিয়ে আসছেন। সুতরাং তাঁরাই জায়গার প্রকৃত মালিক।

তবে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, অর্থনৈতিক স্বার্থেই জেলা প্রশাসন ভবনমালিকদের পক্ষ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদন থাকলে চার নদী বিষয়ে যে মূল রায়, তা অকার্যকর হয়ে যাবে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নবাবচরে নদীতীরের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নির্মিত স্থাপনাগুলোর নকশার অনুমোদন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুর থেকে বসিলা পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় নদীতীরে শত শত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। একইভাবে তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যার জায়গা বেদখলে রয়েছে।

  • প্রথম আল/এপ্রিল ১,২০১৮  

Will CRR cuts bring down lending rate?

Zahid Hussain


The decision to reduce the Cash Reserve Ratio (CRR) by one percentage point constitutes quantitative easing of monetary policy. A key question is: will it achieve the stated objective of bringing down the bank lending rates back to single digits. There are good reasons to have some doubts.

First, there is slow pass-through of policy changes to bank interest rates. The extent of pass-through to the deposit rate is larger than that to the lending rate. Second, there is evidence of asymmetric adjustment to monetary policy: deposit rates do not adjust upwards in response to monetary tightening, but do adjust downwards to loosening; and, as experienced most recently when the Advance Deposit Ratio (ADR) was raised, the lending rate adjusts more quickly to monetary tightening than to loosening. 

On these assumptions, we can expect the deposit rate to fall quicker and to a larger extent than the lending rates in response to the reduction in CRR.

This decision also raises the question of the consistency of monetary policy decisions. Just two months ago, the Bangladesh Bank announced reduction of ADR, allowing the banks up to December 2018 to comply with the tighter ADR of 83.5 percent from the prevailing 85 percent. The reduction of CRR is a measure in the opposite direction.

Last but not the least, is it going to fix the underlying causes of liquidity shortfall that some banks are facing? Most analysts agree that the underlying cause is deficit in corporate governance in these banks, particularly in the areas of loan risk management and collection of non-performing loans. Banks who have done badly in these areas are the ones having the most difficulty in complying with the CRR. The CRR reduction will help them avoid the penalties for noncompliance, but it does little to incentivise improvements in corporate governance. 

The writer is lead economist at the World Bank's Dhaka office.

  •  Courtesy: The Daily Star Business Apr 02, 2018

Pvt banks given more benefits

Under pressure from owners, govt slashes cash reserve requirement; it'll help tackle liquidity crisis, says Muhith



In yet another compromise with directors of private commercial banks, the government yesterday decided to slash the cash reserve requirement or CRR of banks by one percentage point to 5.5 percent for their benefit.

The decision came just two months after the announcement of the monetary policy that advocates measures for reining in soaring private sector credit.

Many experts say the move goes against the monetary policy, and it may hurt the depositors' interest.

As per the existing rules, banks have to keep with Bangladesh Bank 6.5 percent of clients' deposits. Once the new system takes effect, they will need to keep with the BB 5.5 percent of the deposits.  Around 90 percent of the banks' funds are depositors' money and the rest are directors' equity.

Justifying the decision to cut the CRR, Finance Minister AMA Muhith yesterday said this would help banks address their ongoing liquidity crisis within a short time.

“We have made the decision, considering the proposals of different quarters, including directors of private commercial banks,” he told reporters after a closed-door meeting with directors of various private banks at the capital's Pan Pacific Sonargaon Hotel.

BB Governor Fazle Kabir and Bangladesh Association of Banks Chairman Nazrul Islam Mazumder, among others, were present.

Earlier at a meeting with directors and managing directors of different banks on Friday, Muhith had agreed to double the government deposits for private banks to 50 percent.

In January this year, the government amended the banking law to allow private banks to have four directors from a family instead of two, a move many analysts believe will establish family control over operation of the banks.

All these benefits are being given to the banks without making any move to reform the ailing banking sector. And no visible step has been taken yet to punish the wilful loan defaulters.

At yesterday's briefing, Muhith said the responsibility of reducing the CRR lies with the BB as it is the regulator, and that he can only influence the BB to do so.

“Directors demanded slashing the CRR by 3 percentage points, but we decided to cut it by 1 percentage point.”

SH/Salman Rahman’s suggestion

Muhith further said, “We will review the impacts of the CRR cut in June.” This review proposal came from Salman F Rahman, IFIC Bank chairman and private sector affairs adviser to Awami League President Sheikh Hasina.

“I think this is a very good suggestion. We will review it and see how it works. If we find that something further needs to be done, we will do that.”

Asked whether the CRR cut would fuel inflation, Muhith said it will not create any inflationary pressure.

“Impossible, [inflation] won't increase for sure,” the finance minister said.

Earlier at a programme yesterday morning, Muhith said directors of different banks had promised to bring down the interest rate to a single digit within a month.

Muhith made the comment referring to his Friday's meeting with directors of various banks.

When reporters at yesterday's briefing drew the BAB chairman's attention to Muhith's comment on lending rate, he said nobody could say for sure when it would come down to a single digit.

He said the CRR cut would help banks get an additional Tk 10,000 crore in investible funds, and it would mitigate the liquidity crunch.

“This is our money that we deposit with the central bank in the form of CRR. The fund cannot be invested, and it doesn't play any role in containing inflation. We also don't get any interest from the funds,” he said.

A private bank recently ran into trouble. This is just “an accident” but many state organisations withdrew deposits from other private banks, he mentioned.

“The lending rate has increased significantly in recent months. No businessman can run a business, paying interest at a rate of 14-15 percent.”

The state banks now have excess funds of over Tk 1 lakh crore, but they charge private banks more than 10 percent in interest on loans, Nazrul said.

“The finance minister has assured us that he will talk to the state banks about it,” he added.

Premier Bank Chairman HBM Iqbal, Standard Bank Chairman Kazi Akram Uddin Ahmed, Chairman of the Association of Bankers Bangladesh Syed Mahbubur Rahman, and Mutual Trust Bank Managing Director Anis Khan were present at yesterday's meeting.

SH/Unprecedented move

A number of economists and experts have criticised the decision to slash the CRR, saying this is an unprecedented move as the BB has never set the CRR upon discussions with directors of banks and the finance ministry.

The decision will have an adverse impact on the depositors' interest and also fuel inflation. The banks may go for an aggressive lending policy which will subsequently push up defaulted loans, they believe. 

Salehuddin Ahmed, ex-governor of the BB, said the finance minister's announcement about the CRR cut was illogical as the BB is the sole authority for restructuring the CRR.

The BB announced a tightened monetary policy two months ago with a view to containing inflation, he said.

“Now the banks may adopt an aggressive lending policy because of the latest move that may also increase defaulted loans further.”

The depositors' interest will be at stake as the clients' obligatory demand is fulfilled by taking funds from the CRR when a bank faces crisis, he added.

Zahid Hussain, lead economist at the World Bank's Dhaka office, said most analysts agree that the underlying cause of liquidity crisis is deficit in corporate governance in these banks, particularly in the areas of loan risk management and collection of non-performing loans. 

“Banks who have done badly in these areas are the ones having the most difficulty in complying with the CRR.  The CRR reduction will help them avoid the penalties for non-compliance, but it does little to incentivise improvements in corporate governance”.

Khondkar Ibrahim Khaled, ex-deputy governor of the BB, said it was an exception that the CRR was cut following pressure from directors of private banks and businesspeople.

It's not possible for the BB governor to reset the CRR freely if the finance minister intervenes in decision-making, he said.

“If this trend continues, the very existence of the central bank will be at stake.”

He opposed the decision to slash the CRR, and said if it is done, a large amount of funds might be diverted to fictitious firms.

The banking sector will face a risky situation as the CRR cut will harm the depositors' interest, he added.

  • Courtesy: The Daily Star Apr 02, 2018

Sunday, April 1, 2018

'উন্নয়নশীল’ দেশ স্বীকৃতি এবং বাস্তবতা

অধ্যাপক সারওয়ার মো. সাইফুল্লাহ্ খালেদ


১৯৬০-এর দশকের শেষার্ধে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্স করাচিতে স্টাফ ইকোনমিস্ট ছিলাম। তখন দেখেছি, এই ইনস্টিটিউটের বিদেশী রিসার্চ অ্যাডভাইজারেরা মাঝে মধ্যে তাদের বাসায় সন্ধ্যায় গার্ডেন পার্টি দিতেন। সেখানে যাওয়ার একাধিকদাওয়াত পেয়েছি এবং গিয়েছি।

একবার এক পার্টিতে নুরুন্নবী নামে এক স্টাফ ইকোনমিস্ট যিনি শিগগিরই ফোর্ড ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপে আমেরিকা পিএইচডি করতে যাবেন, তার বোতামখোলা কোটের বোতাম নিজ হাতেই লাগিয়ে দিতে দিতে এক মার্কিন রিসার্চ অ্যাডভাইজার বললেন- ‘জেন্টেলম্যান, ইফ ইউওয়ান্ট টু গো টু অ্যামেরিকা ইউ আর টু বাটোন ইউর কোট’। কথাটি স্মরণ করলাম এ কারণে যে, বাংলাদেশ সম্প্রতি ‘স্বল্পোন্নত’ দেশ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উত্তরণের ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্বব্যাংকের স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকা যেতে হলে যেমন পরিধানের কোট‘বাটোন্ড’ করতে হয়, তেমনি স্বল্পোন্নত দেশকে উন্নয়নশীল দেশ হতেও এমন কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যাতে সার্টিফিকেট প্রদানকারী পশ্চিমা দেশ বা তাদের সমর্থনপুষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে খুশি করা যায়।

বর্তমান বাংলাদেশে সমস্যার অন্ত নেই। দেশে শিক্ষার এমনই দুর্দশা যে, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক উভয়ই হতাশ। ফলে বিত্তশালী এবং সচ্ছল পরিবারগুলো ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়ালেখা শেখাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারদলীয় ছাত্রদের একছত্র দখলেই শুধু নয়, তাদেরঅনৈতিক তাণ্ডবে অচল হয়ে গেছে। সেখানে দলীয় রাজনীতি এত বেশি প্রবেশ করেছে যে, সরকারদলীয় ছাত্রদের বাইরের অন্য ছাত্ররা ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত প্রায়। শিক্ষকদের মধ্যে ছাত্রদের মতোই দলাদলি হাতাহাতি। দেশে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ এত এগিয়েছে যে,সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বল্পবিত্তের পরিবারগুলোর সন্তানদের পড়ালেখা প্রায় লাটে উঠেছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা এমন যে, কারো কারো মতে- দেশে মূর্খায়নের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। বিদ্যমান শিক্ষার পরিবেশ ও ব্যবস্থা মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্তরায়। অদূরভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার মতোসুশিক্ষিত লোক দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জোগান দিতে পারবে না। অর্থমন্ত্রীর মতে, শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে না পারলে অর্থনৈতিক অর্জন বিফলে যাবে।

অবকাঠামো খাতে রাস্তাঘাটের অবস্থার বিচারে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় খারাপ দেশ। দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় বিপুল লোক মারা যায়। দেশের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যসেবার অনিয়ম ও নিম্নমানের কারণে সচ্ছল লোকজন চিকিৎসার জন্য পাশের দেশ বা অন্য কোনো দেশে পাড়িজমান। গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিকেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেও বিদেশে ছোটেন। দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। দেশের সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলছেন, ‘এ খাতে পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি হচ্ছে’। উজানের দেশ ভারতএকতরফা পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় দেশের নদ-নদী-খাল-বিলগুলো পানিশূন্য হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে দেশের রাজধানী ও অন্যান্য শহরগুলো দিন দিন অনাবাসযোগ্য হয়ে পড়ছে। বাড়ছে বহুতল দালান কোঠা; ঘিঞ্জি শহরÑ এর মাঝে মানুষ কীট।যানজট, জনজট, জলজটসহ নানাবিধ সমস্যায় দেশের প্রধান নগরগুলো বিপর্যস্ত। জনজীবনে নানাবিধ দুঃসহ দুর্ভোগ। এ তালিকার শেষ নেই; সংবাদপত্রের পাতা উল্টালে বা টেলিভিশন খুললেই নিত্যদিন এসব চোখে পড়ে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। গুম, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, সংঘর্ষ, রাহাজানি, মাদকের আগ্রাসন প্রভৃতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রভাবশালী মহল প্রতিনিয়ত নদী, খাল, বিল দখল করে দেশকে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রতিদিনএ সব বিষয় জাতীয় মিডিয়ায় চোখে পড়ে। উদীয়মান পোশাক শিল্পে একমাত্র নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের বাদ দিলে এর ওপর যারা কর্মরত তাদের বেশির ভাগ বিদেশী। বছরে প্রায় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার এদেশে কর্মরত কেবল ভারতীয়রাই নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে প্রায় ১৫লাখ ভারতীয় নাগরিক বৈধ-অবৈধ উপায়ে কাজ করছেন। অথচ দেশে বেকারের সংখ্যা ৭৩ লাখের কাছাকাছি। বিদেশী ঋণে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তার ব্যয়ের বেশির ভাগ সেসব প্রকল্পের বিদেশী পরামর্শকদের পকেটে যায়। অথচ সে ঋণের বোঝা দেশের সাধারণনাগরিকদের টানতে হয়। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। বিনিয়োগে ভাটা পড়েছে। বিত্তশালীরা বিদেশে ‘সেকেন্ড হোম’ বানিয়ে দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এতসব নেতিবাচক বিষয়ের পরও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার মতো কিছু কাজ আছে। সরকার ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো বড় শহরে চোখ ধাঁধানো ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে এবং আরো করছে। ঢাকায় হচ্ছে মেট্রোরেল। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচদিয়ে টানেল নির্মিত হবে। সময়ের সাথে ক্রমবর্ধমান নিজ খরচে বিদেশী কলাকুশলীদের সহায়তায় পদ্মা নদীর ওপর দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মিত হচ্ছে। এ সবই দেশের বঞ্চিত পোশাক শিল্পের শ্রমিক, বিদেশে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমরত শ্রমিক এবং কৃষিশ্রমিকদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রাব্যয়ে আমদানি করা গাড়ি। এটা হচ্ছে প্রধানত চলাচলের সুবিধার্থে। ব্যয়বহুল বিদেশী গাড়ির আমদানি এতটাই বেড়েছে যে, ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলো যানজটে নাকাল। রামপালে সুন্দরবন ও পরিবেশবিধ্বংসী মেগা-বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ ভারতীয় সাহায্যে চলছে। রাশিয়ারসাহায্যে রূপপুরে বিপজ্জনক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।

এদিকে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপিত হবে। সরকারি অফিস আদালতগুলো ফুলেল সাজে সজ্জিত। বিদেশীদের আরাম-আয়েশ ও বিনোদনের জন্য কিছু বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল নির্মিত হয়েছে। বিদেশীদের পোশাকি সাধুবাদে সরকার এতটাই হৃষ্টচিত্ত যে, দেশের প্রকৃত অবস্থাবিবেচনায় না নিয়ে এবং দেশের লোকের বীতশ্রদ্ধার তোয়াক্কা না করে বিদেশীদের উন্নয়ন-সার্টিফিকেট লুফে নিচ্ছে। দেশে নগরকেন্দ্রিক বিদেশমুখী একটি বিত্তশালী ধনিকশ্রেণী গড়ে উঠেছে, যদিও প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে এদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এই সরকারেরসর্বাবিধ সুযোগ-সুবিধা ও আনুকূল্য লাভ করছে। মোট কথা বাংলাদেশ ‘হ্যাজ গট বাটোন্ড ইটস্ কোট’; সুতরাং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের সীমানা পেরিয়ে এখন ‘উন্নয়নশীল’ দেশে পরিণত।

পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ‘কারো সাথে বৈরিতা নয়, সকলের সাথে বন্ধুত্ব’ নীতি অনুসরণ করছে। ভালো কথা। তবে মিয়ানমারের মতো দেশের সাথেও যদি এ নীতি অনুসৃত হয়, তবে তা হবে নির্বুদ্ধিতার কাজ। মিয়ানমার পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কেবল চীনের সাথে নিবিড়সম্পর্ক রেখেও রোহিঙ্গা প্রশ্নে ‘সকল দেশের স্বপ্রণোদিত বন্ধু’ বাংলাদেশকে নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে। তদুপরি রোহিঙ্গারা যখন অপমানিত, লাঞ্ছিত হয়ে এবং জানমাল খুইয়ে পথের নিদারুণ কষ্ট শিকার করে দলে দলে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, তখনও বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী চালকিনতে মিয়ানমার ছুটেছেন। ভারতকে খুশি রাখতে দেশের পররাষ্ট্রনীতির একমাত্র ব্যতিক্রম ‘পাকিস্তানের সাথে বৈরিতা’। সেই ভারত ৪০ হাজার রোহিঙ্গা এবং আসাম থেকে এক কোটির অধিক মুসলমান বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রশ্নে পৃথিবীর কোনো দেশখয়রাতি খাদ্য-পোশাক এবং ঔষধ সাহায্য ছাড়া সংশ্লিষ্টদেশের বিপক্ষে ও বাংলাদেশের পক্ষে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। রোহিঙ্গাসহ এসব ইস্যু চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দেখিয়ে দিলো, বাগাড়ম্বর দায়িত্বশীল, আত্মমর্যাদাশীল ও কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তোলা যায় না।কথায় বলে- ‘ভাগের মা গঙা পায় না’। সরকার সবাইকে খুশি করতে গিয়ে কাউকে খুশি করতে পারেনি।

বর্তমান পাশ্চাত্য রীতিতে নতুন একটি স্লোগান উঠেছে- ‘মৌলবাদ, মৌলবাদ’; ‘জঙ্গিবাদ, জঙ্গিবাদ’। আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি মাহাথির মোহাম্মদ ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক আইন ডিগ্রি নিতে এলে সাংবাদিকেরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি কীমৌলবাদী’? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো মৌলবাদেই আছি’। মৌলবাদ সম্পর্কে তার অভিমত- ''I'm a fundamentalist in the true sense. That is to say, I follow the fundamentals of religion... But for over 1,400 years people have been interpreting and re-interpreting the religion to suit their own purpose! ... These [extremist and terrorist acts] are not Islamic fundamentals any more than the Christians who burned people at the stake are fundamentalist. They are actually deviating from the teachings of the religion!' (ইন্টারনেট)।

ইসলামের পবিত্র মূল নীতিগুলো যিনি মেনে চলেন, তিনিই মৌলবাদী। শান্তির ধর্ম ইসলামে এ নিয়ে হাঙ্গামার কিছু নেই। নবী করিম সা: পারলৌকিক ও ইহলৌকিক শান্তি বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যায় বলছেন, ‘আল্লাহ্ সঙ্গে শান্তির অর্থ- তাঁর ইচ্ছার প্রতি পরিপূর্ণভাবে নিজেকেসমর্পিত করা। মানুষের সঙ্গে শান্তির অর্থ- এমন জীবন যাপন করা যা কোনো মানুষের শান্তি বিনষ্টের কারণ না হয়’ (বোখারি ২/৩)। সুতরাং মৌলবাদে দোষের কিছু নেই যদি তা সততার সাথে অনুসৃত হয়।

জঙ্গিবাদ ইসলাম পছন্দ করে না। নবী করিম সা: তাঁর ওপর চাপিয়ে দেয়া ১৫/১৯টি যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে ‘যুদ্ধকে ধোঁকাবাজি বলে নামকরণ করেছেন’ (বোখারি ৩৪/১১৮০)। তিনি এটাও বলেছেন- ‘যে ধোঁকাবাজি করে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (মুসলিম)। এসত্য অনুধাবন না করেই অনেকে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ দুটোকে একত্রে গুলিয়ে তার স্বরে চেঁচামেচি করেন, ‘মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ সহ্য করা হবে না’। জঙ্গিবাদকে উৎখাত করতে গিয়ে তারা শান্তি ও নীতি-নৈতিকতার একটি উৎস ধর্মীয় মৌলবাদকেও নিরুৎসাহিত করেন। এ সবইঅমুসলিম ধনাঢ্য মুরব্বিদের সন্তুষ্ট করতে; ‘ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান (ও পৌত্তলিকগণ) কখনো তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করো’ (সূরা : বাকারা ২, আয়াত ১২০)। নিজেদের ধন-সম্পদ ধনাঢ্য দেশে গচ্ছিত রেখে সৌদি আরবও পশ্চিমাদেশগুলোকে সন্তুষ্ট রাখতে নিজেদের চিরায়ত ইসলামি সামাজিক রীতিনীতি বদলে ফেলছে। আমরাও সে পথে অনেকদূর এগিয়েছি। তাই দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা যা-ই হোক না কেন, আজ আমরাও ‘উন্নয়নশীল’ দেশ হিসেবে ‘উন্নত-বিশ্বের’ স্বীকৃতি পেলাম। 

  • Courtesy: নয়াদিগন্ত/৩১ মার্চ ২০১৮

স্বৈরতান্ত্রিক দেশে উত্তরণ

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী



ক’দিন আগে সরকার একেবারে ঢাকঢোল পিটিয়ে অফিস আদালত বন্ধ করে সরকারি কর্মচারী ও স্কুলের শিশুদের রাস্তায় নামিয়ে ঘোষণা দিলো যে, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। এ নিয়ে বাগাড়ম্বরও কম হলো না। প্রধানমন্ত্রী সহাস্যমুখে আমাদের জানান দিলেন, ১০ বছর ধরে তার সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গেছে। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা রাষ্ট্র ও জনগণকে একেবারে পঙ্গু করে দিয়েছে। তিন বছর ধরে মাথাপিছু ধারাবাহিক আয় বেড়েছে। আর এই মাথাপিছু আয়ের অঙ্ক বড় ভয়াবহ। আয় বেড়েছে আড়তদার, মজুতদার, ব্যাংক ডাকাত, ঘুষখোর আর দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি লুঠেরাদের। দ্রব্যমূল্যের চাপে জিহ্বা বের হয়ে যাওয়া নাগরিকদের এর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের অবস্থা ত্রাহি মধুসূদন।

এর আগে লিখেছিলাম, মাথাপিছু আয় বাড়লেই রাষ্ট্রের মর্যাদা উন্নত হয় না। আসলে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো দুই শ্রেণীতে বিভক্ত- উন্নত ও অনুন্নত। পৃথিবীর দেশগুলোকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে তিনটি জিনিস দরকার হয়। তার মধ্যে আছে জনগণের সেবা করার জন্য বিশাল কর্মীবাহিনী আর তাদের দেখভাল করার লোক। সেখানকার জনগণ ও শিল্পপতিরা যথাযথভাবে ট্যাক্স দেয়। অর্থনীতি থাকে স্থিতিশীল এবং ক্রম ঊর্ধ্বগামী। জনশক্তি থাকে দক্ষ। অনুন্নত দেশগুলোর অবকাঠামো থাকে পুরনো এবং ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। জনগণের খরচ করার মতো যথেষ্ট অর্থ থাকে না।

অনুন্নত দেশে উৎপাদিত পণ্যের মান খারাপ, সেবার মান উন্নত দেশগুলো থেকে নিম্ন। এ সব দেশে দুর্নীতি একটি বড় রোগ। তবে অর্থনৈতিক উন্নতি দৃশ্যমান। অনুন্নত দেশে থাকে বিপুল মানুষ। তবে তাদের কাজে লাগানোর যথাযথ কর্মসংস্থান থাকে না। সাধারণ মানুষের আয়ও কম। তারা সরকারকে করও দিতে চায় না। এটা প্রায় নিয়মিত ব্যাপার। এ ছাড়া এসব সরকার সাধারণত দুর্নীতিবাজ হয়। ফলে অনুন্নত দেশের সরকারগুলোকে সরকার বলা হাস্যকর হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষপর্যায়ে। সরকারের বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমি চোর।

মন্ত্রী-এমপিরা চোর। তিনি সরকারি কর্মচারীদের সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিলেও তাদের দুর্নীতির প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা তছরূপ হয়েছে। সরকার সেখানে দর্শক মাত্র। তাহলে উন্নয়নশীলের গর্ব কোথায়?

এর মধ্যেই উন্নয়নশীলের বেলুন ফুটো করার মতো সংবাদ এলো। তা হলো বিশ্বের নতুন পাঁচটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ঠাঁই করে নিয়েছে। এখানে গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত এক গবেষণায় এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের মানে অবনতি ঘটায় একসময় পঞ্চম বৃহৎ গণতন্ত্রের এ দেশটি ফের স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে’। জার্মান থিংকট্যাংক বারটেলসম্যান স্টিফটুং-এর গবেষণায় এ সব কথা বলা হয়েছে। এতে নতুন স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত অপর দেশগুলো হলো লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডা। স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে আরো যারা এগিয় আসছে তারা হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মালদোভা, নাইজার, ফিলিপিনস ও তুরস্ক। অবশ্য এদের স্বৈরতান্ত্রিক হওয়ার গতি একেক দেশের একেক ধরনের।

গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও সুশাসনের মান এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন অবনতির বেশির ভাগ হচ্ছে উন্মুক্ত সমাজগুলোয়, যেখানে সরকারগুলো ক্রমেই স্বেচ্ছাচারী শাসন চালাচ্ছে। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩২০ কোটি মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে বাস করছে। পক্ষান্তরে গণতন্ত্র উপভোগ করছে ৪২০ কোটি মানুষ। বারটেলসম্যানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব্য স্বৈরাচারী দেশে বড় সমস্যা হলো নাগরিক অধিকার সঙ্কুচিত হওয়া। ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় গণতান্ত্রিক দেশগুলোয়ও আইনের শাসন খর্ব হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন আর গণতান্ত্রিক নয়। বাংলাদেশসহ নব্য পাঁচ স্বৈরতান্ত্রিক দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মান পর্যন্ত মানছে না। এ সব দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করা হচ্ছিল। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণে তা ঘটেছে বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়।

গণতন্ত্র মানুষের ন্যূনতম মৌলিক মানবিক অধিকারগুলোকে সম্মান করে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন পরিস্থিতি অনুপস্থিতির কথা বলেছে আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন সলিডারিটি গ্রুপ ফর বাংলাদেশ। সলিডারিটি গ্রুপ গণগ্রেফতার করা বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। তাদের সুপারিশ, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি বিচারবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

জোরপূর্বক গুমকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ওই সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন চলছে। সেই সাথে সরকারের সমালোচকদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ হচ্ছে এবং মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে আইন তৈরি হচ্ছে। সলিডারিটি গ্রুপ ফর বাংলাদেশের সাথে যেসব সংগঠন রয়েছে তারা হলো- এশিয়ান ফেডারেশন এগেইন্সট ইনভলান্টারি ডিজএপিয়্যারেন্সেস (এএফএডি), এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার (এএলআরসি), সিভিকাস গ্লোবাল অ্যালায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইজিএইচ), অধিকার, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও ওয়ার্ল্ড অরগ্যানাইজেশন এগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)। এ বছরই এই ফোরামে যোগ দিয়েছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন নামে একটি গ্রুপ। তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেছে, গণগ্রেফতারের কড়া নিন্দা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে তারা বলেছে, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়েছে। তা শুরু হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে। বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির অভিযোগের মামলার রায়কে সামনে রেখে শুরু গ্রেফতার অভিযান। ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় দেয়া হয়। ফলে সাথে সাথে ব্যাপক হারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। এক মাসের মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে পাঁচ হাজার। এর মধ্যে এমন কিছু সাধারণ মানুষ আছেন, যাদের কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলের প্রতি সহানুভূতিশীল মনে করে। এসব মানুষকে সারা দেশেই গ্রেফতার করা হয়। তাদের বেশির ভাগই দেশজুড়ে বিভিন্ন কারাগারে আটক আছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এত বিপুলসংখ্যক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, সরকারের সমালোচক ও অধিকার কর্মীদের দমন-পীড়নের ফলে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মৌলিক স্বাধীনতা হরণের আক্রমণে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ যখন দাবি করছে, বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য তারা এ গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে দৃশ্যত তাদের এসব কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উপরন্তু বন্দী অবস্থায় বিপুল মাত্রায় নির্যাতন ও অশোভন আচরণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা ঘটে ১২ মার্চ।

পুলিশের হেফাজতে থাকা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা উত্তরের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেন মিলন মারা যান। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ৬ মার্চ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিরাপত্তার হেফজাতের থাকা অবস্থায় পর্যায়ক্রমে নির্যাতনের ফলে বাংলাদেশে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তার হেফাজতে থাকা অবস্থায় পায়ে গুলি করায় বহু ডজন মানুষ স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়েছেন। একই সময়ে ৪২২ জন মানুষকে জোর করে গুম করে দেয়া হয়েছে। আর ১৪৮০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে সলিডারিটি এসব ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে।

তাহলে মধ্য আয়ের দেশের ডঙ্কার কী হলো। সরকার তো এটা অস্বীকার করতে পারবে না যে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তারা গণহারে গ্রেফতার করছে না। তা ছাড়া বিএনপিকে কোথায়ও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। নতুন নতুন আইন তৈরি করে স্বাধীন মত প্রকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ইইউ ও ১০টি দেশের কূটনীতিকেরা একযোগে সরকারকে বলেছেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা গণতন্ত্রের স্বার্থে সংশোধন করা উচিত। তারা এও বলেছেন যে, এ আইনের অপব্যবহার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অর্থাৎ বাংলাদেশ যে একটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশকে নব্য পাঁচটি স্বৈরাচারী দেশের তালিকাভুক্ত করায় আওয়ামী চোঙ্গাবাজরা খুব একটা তড়বর করেনি।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম শুধু বলেছেন, হিটলারের দেশ থেকে আমাদের গণতন্ত্র শিখতে হবে না। আর ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে। ছয় বছর পরে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠেও যেতে পারে, সেরকম সময় জার্মানি কেন এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করল। তবে এক অতি আওয়ামী সমর্থক পত্রিকা জানিয়ে দিয়েছে যে, নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ ঘোষণার পর থেকে আগামী জুলাই হতে বাংলাদেশের জন্য কম সুদের ঋণ বন্ধ করে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

পাশাপাশি এ সংস্থা মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ায় সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেও গুনতে হবে বাড়তি চাঁদা। বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়নে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিম্ন আয়ের দেশ ছিল বাংলাদেশ। সে কারণে অল্প সুদে ঋণ পেয়েছে। তবে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর কম সুদে ঋণ পাওয়ার আর সুযোগ নেই। জুলাই থেকে কঠিন শর্তে ঋণ নিতে হবে বাংলাদেশকে। সে ঋণের সুদহার ২ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। যা এখন ০.৭৫ শতাংশ হারে পাওয়া যাচ্ছে। একই উদ্যোগ নেবে জাইকাও। তারাও সুদের হার বাড়িয়ে দেবে। মেয়াদকাল ও পরিশোধের সময় কমিয়ে দেবে। ধারণা করি, এডিবিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও একই পথ গ্রহণ করবে। তখন উন্নয়নশীলের আসল মজা বোঝা যাবে।

এইচ টি ইমাম ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বাইরে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্য কেউ তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। তবে এই নব্য স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে সামনে সুখের দিন খুব বেশি একটা নেই। ভারতনির্ভর এই সরকারের ধারাবাহিতকায় ভারতও যে সমর্থন করবে এমনটি এখন আর নিশ্চিত নয়। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারতের সম্পর্ক কোনো রাজনৈতিক দলেন সাথে নয়, বাংলাদেশের জনগণের সাথে। ইউরোপ আমেরিকা প্রতিকূল অবস্থান নিয়েছে। চীন কখনোই অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে না। সেই চীনের রাষ্ট্রদূতও সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, চীন বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। নব্য স্বৈরাচারী সরকারকে এর মাজেজা উপলব্ধি করতে হবে। 


  • উপসম্পাদকীয় - নয়াদিগন্ত/৩১ মার্চ ২০১৮ 





অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি নয়

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন



বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের বক্তৃতা–বিবৃতিতেও কিছুটা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এসেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আসলে কী, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁরা  দ্রুত ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে কারাগারে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং তাঁকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রয়োজন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সরকার অমানবিক নয়। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিলে তাঁকে বিদেশে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। কয়েক দিন আগে বিএনপির নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। কিন্তু গত বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানির দিন তাঁকে বিচারিক আদালতে হাজির না করায় তাঁর আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, তাঁর শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে আগে থেকে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে পরদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল, তা–ও স্থগিত করা হয়।

এই পরিস্থিতিতে বিএনপির তরফে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সাক্ষাৎ চাওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কারা আইনে তেমন সুযোগ নেই। কারা চিকিৎসক বিবিসিকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার আগে থেকেই হাঁটুতে যে সমস্যা রয়েছে, এর বাইরে কোনো সমস্যা নেই। আমার মনে করি এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক যেমন কাম্য নয়, তেমনি বিভ্রান্তি দূর করার দায়িত্বও সরকারের। তিনি যত দিন কারাগারে থাকবেন, নিয়ম অনুযায়ী তত দিন কারা কর্তৃপক্ষ তঁার প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসার উদ্যোগ নেবে—সেটাই প্রত্যাশিত। বিএনপির নেতারা তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সরকারের উচিত হবে তা দূর করা। এই প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টিও এসে যায়। বিচারিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্ট তাঁকে চার মাসের জন্য জামিন দিলেও আপিল বিভাগ সেই আদেশ স্থগিত করে ১০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। খালেদার আইনজীবীরা আপিল বিভাগের এই আদেশকে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

খালেদা জিয়া শুধু একটি বড় দলের প্রধানই নন, তিনি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সরকার অমানবিক নয়। আমরা আশা করব, তাদের কাজেও এর প্রতিফলন ঘটবে। আমরা চাই খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত অবসান হোক। প্রয়োজনে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন জনগণের সামনে তুলে ধরা হোক।

  • প্রথমআলো/আপ্রিল ১,২০১৮ 

মাটি ফেলে গণপূর্তের জমি দখল

খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা


নাসরিন আক্তার


খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রায় দুই একর নিচু জমি ভরাট করছে প্রভাবশালীরা। অধিদপ্তর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। কিন্তু দখলের কাজ থেমে নেই। রাতের বেলায় ট্রাকে করে মাটি এনে ফেলা হচ্ছে ওই জমিতে।

গণপূর্ত বিভাগ-৪ প্রথম আলোকে জানায়, খিলগাঁও এলাকার নিচু জায়গাটি গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন। খিলগাঁও মাটির মসজিদ–সংলগ্ন ওয়াসার ৭ নম্বর পানির পাম্পের পাশের এই নিচু জমি এক মাসের বেশি সময় ধরে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। জায়গার পাশে মাইলস্টোন হোমস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডও টাঙানো আছে।

এই সূত্রে ৭ মার্চ সরেজমিনে দেখা যায়, মাইলস্টোন মিম টাওয়ারের সাইনবোর্ডে ৭২ জন সম্ভাব্য ফ্ল্যাট মালিকের নামের তালিকা দেওয়া আছে। তালিকায় প্রথমে নাম আবু জাফর মো. সালেহ নামের এক ব্যক্তির। এরপর যথাক্রমে আছেন মো. মসিয়ার রহমান, এস এম আল হেলাল, মো. অলিউল্লাহ, রায়হানা বিনতে জহির, মো. দেলোয়ার হোসেন, মোসা. মৌসুমীসহ ৭২ জন। তাঁদের কারও পরিচয় জানা যায়নি।  

সর্বশেষ ২৮ মার্চ আবার সরেজমিনে দেখা যায়, সাইনবোর্ডটি নেই; সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে  আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ জমি ভরাট করা হয়েছে। ভরাট করা জায়গা টিন দিয়ে ঘিরেও দেওয়া হয়েছে। সাইদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি সেখানে ভরাটকারীদের পক্ষে দেখাশোনার কাজ করছেন। কারা জায়গা ভরাট করছে, তিনি বলতে রাজি হননি।

ঝিলের আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাটি ভরাটের আগে এই ঝিলের ওপর বাঁশ ও টিনের ঘর করে ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন আতিক, বাবু, জয় ও মিজান (মৃত) নামের পাঁচজন। অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির জন্য মাটি ফেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এসব বাড়িতে ভাড়া থাকা মানুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

ঝিল ভরাটের বিষয়ে জানতে পেরে গত সপ্তাহে রামপুরা থানায় জিডি করে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ। সাধারণ ডায়েরির অনুলিপি, জায়গার নকশা এবং সাইনবোর্ডের ছবিসহ ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল ২-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, ঢাকাস্থ খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার প্লট নং বি/২১৮, বি/২১৯, বি/২২০, বি/২২১, বি/২২২ এর পেছনে, শহর খিলগাঁও মৌজার সি এস দাগ নম্বর ২৫৪, ২৫৫, ২৫৬, ২৫৭ ও ২৫৮–এর প্রায় দুই একর সরকারি ঝিলের জমিতে জনৈক আবু জাফর মো. সালেহ গংসহ ৭২ জন ‘নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট মালিকগণের নাম’ শিরোনামে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেছেন। জনৈক আবু জাফর মো. সালেহ গং সরকারি জমিতে বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করছেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সরেজমিনে ঝিল ভরাট করতে নিষেধ করে এসেছেন। এরপরও ঝিল ভরাট চলছে। 

জানা যায়, ১৯৬১ সালের দিকে কমলাপুরে রেলওয়ে স্টেশন এবং রেললাইন নির্মাণের জন্য সরকার জায়গা অধিগ্রহণ করে। ঝিল থেকে মাটি খনন করে আশপাশের ভূমি উন্নয়ন করা হয়। তখন খিলগাঁও এলাকার নিচু জমিতে কমলাপুরে অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য এটি খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা নামে পরিচিত।

এই ঝিল ভরাট বন্ধে গত সপ্তাহে এলাকার ২৯ জন বাড়ির মালিক স্বনামে স্বাক্ষর করে একটি চিঠি গণপূর্ত অধিদপ্তর সার্কেল-৪ এ জমা দেন। এতে বলা হয়েছে, তাঁরা খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকায় বরাদ্দকৃত প্লটের মালিক। ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে আছেন। বর্ষাকালে এই এলাকার পানি ঝিল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রামপুরা এলাকা দিয়ে সরে যায়। এই ঝিল ভরাট হলে আগামী বর্ষায় পানি জমে এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে জনদুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। চিঠিতে বলা হয়, ইতিমধ্যে ঝিল ভরাট শুরু করায় আশপাশের বাড়ির নিচতলায় ঝিলের পানি ঢুকে পড়েছে। কয়েকটি বাড়ির নিচতলার ভাড়াটেরা বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন।

ওই স্বাক্ষরকারীদের কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, মাটি ভরাট করতে প্রথমে তাঁরা আপত্তি জানান, এখন গণপূর্ত জিডি করেছে। তারপরও ভরাট বন্ধ নেই; বরং রাতের বেলায় মাটির ট্রাক, বুলডোজারের শব্দ, মাটি ভরাটকারী শ্রমিকদের হট্টগোলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগের পর ঝিলে মাটি ভরাটের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তারপর খোঁজখবর করে জানতে পারেন, ঝিলে মাটি ভরাটের সঙ্গে জমির ভুয়া দলিল তৈরিকারী হিসেবে পরিচিত আলী মনসুর জড়িত। এর সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক ওয়ার্ড যুবলীগের নেতার জড়িত থাকার কথাও শুনেছেন তিনি। তবে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জানিয়েছেন, তিনি ঝিল ভরাটের বিষয়ে কিছু জানেন না।

এ বিষয়ে রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঝিল ভরাটের বিষয়ে তদন্ত করছি। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশ যাওয়ার খবর পেয়ে মাটি ভরাটকারীরা পালিয়ে গেছে। তবে জিডিতে নাম থাকা আবু জাফর মো. সালেহকে তার লোক দিয়ে ডেকে এনে ডিজির কপি রিসিভ করিয়েছি। তাকে ঝিল ভরাট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।’

আবু জাফর মো. সালেহ দাবি করেছেন, এই জমির দলিল তাঁর আছে। তিনি জায়গার মালিক।

কামরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ভরাট নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ থেকে মামলা করা হলে পুলিশ সব সহযোগিতা করবে। ভূমিদস্যুদের কোনো ছাড় নেই।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সার্কেল ৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা করার জন্য জড়িতদের নাম সংগ্রহ করছি। বিলবোর্ডে যে ৭২ জনের নাম পেয়েছি, সেসব নাম ধরে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

  • Courtesy: Prothom Alo/ Apr 01, 2018

BCL men assault IU theatre activist



Some activists of Islamic University unit of Bangladesh Chhatra League, ruling Awami League-backed student organisation, allegedly assaulted a theatre activist on the campus in Kushtia on Saturday afternoon.

The injured was identified as Ashraful Islam, a second-year student of Public Administration department of the university and also an activist of university theatre troop, Biswabidhalya Theatre. He is now undergoing treatment at the university’s central hospital.

Witnesses said an altercation between Ashraful and Abir, a final year student of the university’s biotechnology and genetic engineering department, also supporter of IU BCL unit secretary Jewel Rana Halim, took place over a silly matter around 4:00pm.

At one stage, Abir along with 10 to 12 IU BCL activists attacked Ashraful, leaving him critically injured. Later, students rescued Ashraful from the spot and sent him to IU central hospital for treatment.

However, IU BCL unit secretary Jewel Rana Halim denied the allegation saying a misunderstanding took place between them and it had been resolved.

IU proctor Professor M Mahbubar Rahman said that the university authorities would take necessary step after identifying the culprits.

  • Courtesy: New Age/ Apr 01 2018

No negative reporting!

Directors of private banks seek protection from scam-coverage by media


AKM Zamir Uddin


In an unprecedented move, directors of private commercial banks are now seeking protection from the government against what they say is negative reporting on the banking sector.

In their views, such news may create panic among people and customers may lose trust in banks.

Economists and experts have criticised the demand, saying any restrictions on reporting on financial scams may further worsen the situation.

The call from the private bankers comes in the wake of media reports that the top brass of several private banks were involved in some high profile loan scams. 

Bangladesh Association of Banks (BAB), a forum of bank directors, submitted a nine-point proposal to Finance Minister AMA Muhith during a closed-door meeting at the BAB office in the capital's Gulshan on Friday.

“To prevent negative publication of the media, an organisation can be established through promulgation of Financial Information Act under the finance ministry and Bangladesh Bank,” reads a letter, signed by BAB Chairman Nazrul Islam Mazumder, handed over to the minister.

Emerging from the meeting, Nazrul told reporters that the media should publish reports taking different issues into consideration as even “accurate information” could harm the sector.

He did not explain how.

He came down hard on the media as a whole, saying one newspaper published “false” information about EXIM Bank's defaulted loans, which harmed the bank's reputation.

Asked, Nazrul, also chairman of EXIM Bank, said they would discuss the promulgation of the Financial Information Act with the finance minister and the BB governor at a meeting today.

Premier Bank Chairman HBM Iqbal also requested reporters not to write anything negative about the sector.

Over the last two years, the banking sector has been hit hard by a series of loan scandals. The central bank investigations are revealing on a regular basis how different shady organisations had taken out huge sums in fake loans.

Some flagship names in business with long dubious reputations have viciously schemed to get new loans in the name of repaying old loans which they then usurped up as well without paying a penny.

BASIC Bank, which was once considered the best government bank, had huge loan irregularities amounting to Tk 4,500 crore between 2009 and 2012.

Bismillah Group embezzled Tk 1,100 crore from five banks between 2011 and 2012.

The loan forgery in Sonali Bank is still in public discussion. In 2012, Hall-Mark and five other companies took loans of over Tk 3,500 crore from the bank against fake documents.

Farmers Bank and NRB Commercial Bank became the latest examples of how money was taken freely and liberally out of the system. Now Farmers Bank is unable to pay off depositors' money.

Even, two banks that were established 35 years ago, are in serious trouble because of loan scams.

All these issues have put the banks and their customers in trouble.

Non-performing loans increased to Tk 74,303 crore at the end of December last year from Tk 62,172 crore a year ago.

Experts said businesses in Bangladesh rely massively on banks for supply of equity. And, when the banking system's health gets deteriorated for continued loan scams, it becomes a threat not only for the financial market but also for the entire economy.

SH/Experts take on BAB demand

Salehuddin Ahmed, former governor of the central bank, told The Daily Star yesterday that there was no need to formulate any such acts as people had the right to know what's happening in the banking sector.

“An individual or bank can go to the Press Council if any newspaper publishes any false report,” he said.

The BAB's demand is completely illogical as the existing act is enough to take action against false media reports, Salehuddin said.

Khondkar Ibrahim Khaled, former deputy governor of the central bank, echoed the view of Salehuddin, saying newspapers published “negative reports” because the sector was hit by financial scams.

“The banking sector will face a dire consequence if the media is not allowed to broadcast and publish financial scam-related reports. I completely oppose the demand of the directors,” he said.   

AB Mirza Azizul Islam, former finance adviser to a caretaker government, said the media should continue to publish scam-related report in the interest of the people.

The customers can choose the bank to deposit his hard-earned money by getting information from the media reports, he said.

“The banks publish their annual financial reports every year, but the clients usually do not read those. They mainly depend on media reports to deposit their money with the banks,” he said.

On the nine-point demands by the private commercial bank directors, the finance minister informed them that the government would allow state agencies to deposit 50 percent of their funds with the private banks, up from the existing ceiling of 25 percent.

The BAB requested the finance minister and the central bank to slash the cash reserve requirement (CRR) to 3.5 percent from the existing 6.5 percent so that they have more funds.

This measure will help banks to get an additional Tk 30,000 crore in liquidity, Nazrul told the reporters.

Also, the directors demanded the government slash the percentage of agriculture sector investment to one percent of their total loans instead of 2.5 percent.

The ceiling for deposit pension scheme should be increased to encourage customers to keep more money in banks, according to sources.

  • Courtesy: The Daily Star/Apr 01, 2018