Search

Wednesday, November 30, 2016

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি

জন গোমেজের সমালোচনা, আর কোন টাকা দেবে না : এবিএস-সিবিএন নিউজ

নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলাকেই দায়ী করেছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন। এ কারণেই আর কোন টাকা দেবে না বাংলাদেশকে।

এছাড়াও ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজের সমালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, অনৈতিকভাবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ফিলিপাইন সরকারকে অর্থ পরিশোধ করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

আরসিবিসি ব্যাংকের পরামর্শক থিয়া ডায়েথ বলেছেন, এ চুরি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলারি কারণেই হয়েছে। তাছাড়া আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি তারা যাতে ফিলিপাইন সরকারের কাছে যথার্থ প্রমাণ উপস্থাপন করে এবং প্রকৃতপক্ষে কারা এই চুরির জন্য দায়ী তাদের চিহ্নিত করে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে আর কোন অর্থ দেবে না রিজাল ব্যাংক। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংককে তাদের নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দোষীদের চিহ্নিত করারও আহ্বান জানান দায়েপ।

উল্লেখ্য, এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখায় স্থানান্তর করে অজ্ঞাত হ্যাকারেরা। যার বেশির ভাগ অর্থই ফিলিপিন মুদ্রা পেসোয় রূপান্তরিত হয়ে ক্যাসিনোয় চলে যায়। ক্যাসিনো থেকে অর্থ আদায়ের দুর্বল ব্যবস্থার কারণে সেখান থেকে মাত্র ১৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে পেরেছে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ।

এই ঘটনায় ইচ্ছাকৃতভাবে সন্দেহজনক লেনদেনসমূহ সংঘটিত হতে দেয়ায় রিজাল ব্যাংকের এক কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে ফিলিপাইনের এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল। এছাড়াও এ ঘটনায় ব্যাংকটিকে রেকর্ড ১ বিলিয়ন পরিমাণ জরিমানা করে কর্তৃপক্ষ। সূত্র : এবিএস-সিবিএন নিউজ।


এ ওয়ান নিউজ

Monday, November 28, 2016

নির্বাচন কমিশন গঠন : শুভবুদ্ধি ও সদিচ্ছার আলামত দেখার ব্যর্থ প্রতীক্ষা


By আমীর খসরু
 


রাজনীতিতে এবং শাসনকাজে মাঝে মাঝে নীরবতা এবং সব কিছুই চুপচাপ ঠিকঠাক চলছে – অনেকের ধারণা মতে এমন একটি সময়কাল বর্তমানে অতিক্রান্ত হচ্ছে। জনঅংশগ্রহণ যদিও এই গণতান্ত্রিক সমাজে দিনে দিনে কমেছে এবং এর দেখা পাওয়াটা এখন দুষ্কর। তবে জনঅংশগ্রহণবিহীন কথিত গণতন্ত্রে কতোটা সিস্টেমের অন্তর্গত দুর্বলতা অথবা শাসকসৃষ্ট এহেন পরিস্থিতি – তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হতে পারে। আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এবং রাজনীতিতে অতিসজ্জন বলে পরিচিত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ বছরেই এ ধরনের নীরবতামূলক পরিস্থিতির বিদ্যমানতায় বেশ কিছুটা শংকা প্রকাশ করেছিলেন। অবশ্য সৈয়দ আশরাফের প্যাটার্নটাই এমন যে, তিনি আকার-ইঙ্গিতে বহু কথা বলেন, বহু কথা না বলেই। বিষয়টা এমন যে, ‘অনেক কথা যাও যে বলে, কোনো কথা না বলে।’ এসব নীরবতাকে কখনো কখনো অস্বস্থিকর, যাকে ইংরেজিতে ‘আনইজি কাম’ বলা হয়ে থাকে। আর এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে কোন কিছু নিয়েই এখন আর প্রকাশ্য কোনো মাথা ব্যথা নেই। দিনে দিনে পরিস্থিতি যা দাড়াচ্ছে তাতে এসব বিষয়ে তাদের মাথাও যেমন থাকবে না, তেমনি ব্যথারও কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রথমেই অতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থা বৃহদাকার ধারন করায় প্রতিনিধিত্বশীল শাসন ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। তবে প্রতিনিধিত্বশীল শাসন ব্যবস্থার প্রণেতা এবং দার্শনিকরা নিজেরাই এ কথা গোড়াতেই কবুল করে নিয়েছেন যে, আদতে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থাটি ঘুরেফিরে সেই কতিপয়ের শাসনই পরিণত হয়- যদি না আগেভাগে যথাযথ ব্যবস্থাবলী গ্রহণ করা হয়।

কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বর্তমানে ‘আমার ভোট আমি দেবো’ এমন ব্যবস্থাটি অর্থাৎ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতাই আর চালু নেই। এটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে এমনটা ঘটছে। তবে এখানে জোর দিয়েই একটি কথা বলতে হচ্ছে, নির্বাচন বা ভোট যখন গণতন্ত্রের অপর নাম হয়ে দাড়ায় অথবা সমাথর্ক বলে কতিপয়কেন্দ্রীক শাসন এবং স্বৈরশাসকগণ স্বজ্ঞানে, কূটকৌশলের অংশ হিসেবে যখন এমনটা চর্চা বা প্র্যাকটিস করতে শুরু করলো -তখনই প্রকৃত গণতন্ত্রের ছিটেফোটাও যা বাকি ছিল, তারও বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। কারণ নির্বাচন বা ভোট এবং গণতন্ত্র যে এক কথা নয়, সাধারণের মনোজগত থেকে সে কথাটি পর্যন্ত স্বৈরশাসকবর্গ সুকৌশলে মুছে দিয়েছে। বাংলাদেশও কোনোক্রমেই এর বাইরে নয়।

এক্ষেত্রে অবিভক্ত পাকিস্তানের বহু উদাহরণ দেয়া যায়। গণতান্ত্রিক পথ-প্রথা, পদ্ধতি ভাঙ্গার জন্য প্রথমে মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেছিলেন আইয়ুব। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তার শুরুটা যেসব কারণে হয়েছিল তার অন্যতমটি ছিল গণতন্ত্র। অর্থাৎ স্বাধীনতার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রাপ্তি ও চর্চার মধ্যদিয়ে সবার জন্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু শুধুমাত্র ভোটই যে গণতন্ত্র এমন একটি অপকৌশল বাস্তবায়ন করা হয় শাসকবর্গের পক্ষ থেকে, দেশটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অল্পকাল পরেই। যার স্পষ্ট আলামত প্রথমবারে দেখা যায় ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এরপরে ছোট বড় যতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার প্রায় সবই অনুষ্ঠিত হয়েছে দলীয়, নানাবিধ প্রভাব আর পেশী ও অস্ত্রশক্তির উপর ভর করে। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পরে সামরিক শাসন আমলের নির্বাচনে আমরা আইয়ুব খানের নির্বাচনের প্রতিচ্ছবি দেখেছি কমবেশি। আমাদের দেখতে হয়েছে হ্যাঁ-না ভোট, এরশাদ জামানার নানা কিসিমের নির্বাচন।

একটি বিষয় বলতেই হবে, যৎসামান্য হলেও নির্বাচন জনগণের জন্য গণতন্ত্র প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ও সুরক্ষা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে জনমনে সামান্য হলেও অধিকার আদায়ের শক্তিটুকু দিয়ে থাকে; যার সবকিছুই এখন বিদায় নিয়েছে। একথাটিও বলতে হবে, ১৯৯০ সালের স্বৈরশাসনের বিদায়ের পরে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে একে একে নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠানোর যে ত্বরিৎ কর্মটি আমরা নানা সময়ে বাধ্য হয়ে প্রত্যক্ষ করেছি, তা প্রতিবারই নিত্যনতুন কৌশল উদ্ভাবনকারী এবং অবিশ্বাস্য। বিশেষ করে ২০১৪’র ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন তথাকথিত ভোটদান পর্বকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নেতিবাচক ইতিহাস হিসেবেই বহু বহুকাল বিবেচিত হবে। অথচ এ কথাও আমাদের স্মরণে আছে, ২০০৮-এ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে নানা সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছিল। এতে আরো নানা প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছিল; যার দু’একটির উল্লেখ করা প্রয়োজন। নির্বাচনী ইশতেহারে অগ্রাধিকারের প্রধান ৫টি বিষয়ের ৫.৩ দফায় নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পদ্ধতির ইতিবাচক সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল। ওই ইশতেহারে ভিশন ২০২১-এর প্রথম দফায়ই বলা হয়েছিল, ‘একটি নির্ভরযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা, নিয়মিত নির্বাচন, সরকারের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হবে।’

এসব প্রতিশ্রুতির পরে শুধু সংসদ নির্বাচনই নয়, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, এমনকি বাজার-স্কুল কমিটির নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন পক্ষের নানা তেলেসমাতি আমাদের দেখতে হচ্ছে ও হয়েছে। নির্বাচনকে অকার্যকর মাধ্যম হিসেবে পরিণত করে এমন প্রথা-পদ্ধতি ও ঐতিহ্যকে নির্বাসনে পাঠানোর যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্নের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক  সরকার ব্যবস্থাও বাতিল করা হয়। অর্থাৎ পরে জিগিরও তোলা হয়- গণতন্ত্র নয়, উন্নয়ন।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ার এমন ওলোট-পালট অবস্থার প্রেক্ষাপটে বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎ কেন জানি সরগরম হয়েছে। বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন সম্পর্কে যে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তা যে নতুন কোনো উদ্ভাবন বা আবিষ্কার তা মনে করার কোনো কারণ নেই। বিএনপির প্রধান যে দাবি তা হচ্ছে – একজন যোগ্য ও নিরপেক্ষ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের তালাশ-তল্লাশি করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা। তাছাড়া সামরিক বাহিনীকে নির্বাচনকালীন কিছু ক্ষমতা প্রদানের জন্যও বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিএনপি রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চায়। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী অর্থাৎ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন।

বাস্তবে আওয়ামী লীগ বিশেষভাবে জানে যে, বাস্তবে কি ঘটতে যাচ্ছে। আর বিএনপি এতোকাল পরেও নানা অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ হয়ে রাষ্ট্রপতির শুভবুদ্ধি ও সদিচ্ছার উন্মেষ ও উদয়ের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির শুভবুদ্ধির বা সদিচ্ছার মূল্য আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান অনুযায়ী কতোটুকু দেবে বা শুভবুদ্ধির অংকুর কতোটুকু বাড়তে দেবে-তা তাদের উপরই নির্ভর করে। সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও  ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোন পরামর্শদান করিয়াছেন কি না এবং করিয়া থাকিলে কি পরামর্শ দান করিয়াছেন, কোন আদালত সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্নের তদন্ত করিতে পারিবেন না।

কাজেই ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন যথারীতি সাংবিধানিক নিয়মে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমেই গঠিত হবে।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিএনপির ১৩ দফার মধ্যে প্রকারান্তরে সরকারের সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যের কথা আকার ইঙ্গিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এবারে এবং আগেও আওয়ামী লীগ এসব প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই রাজনৈতিক সংলাপ এবং জাতীয় ঐকমত্যের প্রস্তাব নাকচ করে দিচ্ছে-এবারেও দিয়েছে। বিএনপির সাংগঠনিকসহ নানা রাজনৈতিক দুর্বলতার কারণে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এনিয়ে নানা ফায়দা লুটবে- এটাই স্বাভাবিক।

তাহলে প্রশ্ন উঠে যে, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে কেন একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছিল? যতোদূর জানা যায়, ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পরে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকগণ এটা মনে-প্রাণে দেখাতে চেষ্টা করেছিলেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হলেও অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ ও সদিচ্ছার কোনোই কমতি নেই। কিন্তু লোক দেখানো ওই ব্যবস্থা যেমন বেশিদিন স্থায়ী হওয়ার নয়, তেমনি তা হয়ওনি।

এবারেও ঐকমত্য, সংলাপ, বিএনপির কথা মতো সার্চ কমিটি গঠন এবং এ জাতীয় কর্মকান্ডের ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের সদিচ্ছা ও শুভবুদ্ধির উদয় হবে-তা মনে করার আদৌ কোনো কারণ নেই। শুভবুদ্ধির উদয় এবং সদিচ্ছার উত্থান ঘটতো যদি বিএনপি তার নেতৃত্বের দক্ষতা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা ও শক্তি প্রদর্শন করে আওয়ামী লীগকে বাধ্য করতে পারতো। বিএনপিকে এ বিষয়টিকেও মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন ও ১৩ দফা প্রস্তাবনা যদি রাজনৈতিক কৌশল হয়েই থাকে তবে তা অচিরেই ব্যর্থ হবে। এখানে বিএনপির বড় দুর্বলতা হচ্ছে, বিএনপি নিজেই।

-    amaderbudhbar.com

Sunday, November 27, 2016

নির্বাচন কমিশন এবং বিএনপির ভাবনা

By রুমীন ফারহানা

 
সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ১৮ নভেম্বর তিনি এ প্রস্তাব দিয়েছেন। তার পুরো বক্তব্যে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা হলো- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ, সৎ, সাহসী ও দক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের একটি কমিশন কী করে, কাদের সমন্বয়ে গঠন করা যায়, যার প্রতি জন-আস্থা ফিরে আসবে, তা-ই ছিল মূলত এই প্রস্তাবের প্রধান আলোচ্য বিষয়।

বর্তমানে বহুল বিতর্কিত যে নির্বাচন কমিশন আছে, তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মেয়াদ শেষে নতুন যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০১৪ সালে ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক এক নির্বাচনের পর ২০১৮-এর শেষে বা ২০১৯-এর শুরুতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানা দিক দিয়ে তা গুরুত্ব বহন করে। এ কারণেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ ও নির্বাচনের সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা নিশ্চত করা সরকারের জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান বাহন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে- ‘দেশের সকল ক্ষমতার উৎস এর জনগণ’। জনগণ এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রতি পাঁচ বছর পরপর ভোটের মাধ্যমে পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। যেহেতু জনপ্রতিনিধিরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন, তাই তাদের জবাবদিহিতা থাকে জনগণের প্রতি। কোনো সরকার যদি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত না হয়, তাহলে জবাবদিহিতার প্রশ্ন হুমকির মুখে পড়ে এবং গণতন্ত্রের অন্যান্য যে বাহন বা নিয়ামক যেমন- আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, সুশাসন, মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা এ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারকে তখন তার ন্যায্যতা কায়েম করতে ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’, ‘বেশি উন্নয়ন কম গণতন্ত্র’, ‘সীমিত গণতন্ত্র’ ইত্যাদি নানা অগণতান্ত্রিক ফর্মুলার আশ্রয় নিতে হয়, যার কোনোটিই রাষ্ট্র, সরকার বা জনগণের জন্য শুভ পরিণতি বয়ে আনে না। আর গণতন্ত্রের প্রধান বাহন যে নির্বাচন- তা যদি একটি দক্ষ, যোগ্য, সৎ, নিরপেক্ষ, সাহসী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশনের অধীনে না হয়- তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এ কারণেই একটি কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রথম ও প্রধান শর্ত। নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কে আমাদের সংবিধানের ১১৮ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে- ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলিসাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দান করবেন।’ দুঃখজনক হলেও সত্য, এ আইন বা বিধানাবলি আজো প্রণীত হয়নি। ঠিক সে কারণেই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্কের ধারাও অব্যাহত আছে। আর তাই নির্বাচন কমিশন গঠন ও তা শক্তিশালীকরণ সংক্রান্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা প্রণয়ন বাঞ্ছনীয়। তবে যত দিন পর্যন্ত না আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত স্থায়ী ব্যবস্থা প্রণীত হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে কী করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন ও তা শক্তিশালী করা যায়, সেটিই ছিল বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এ বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটি চর্বিত চর্বণ, অন্তঃসারশূন্য, হাস্যকর, জাতির সাথে তামাশা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার। আমাদের এই স্বাধীন দেশে অন্তত ক্ষমতায় যারা আছে, তাদের যথেচ্ছ মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে ওবায়দুল কাদের তার ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতেই পারেন। তবে এটি যদি তাদের দলীয় বক্তব্য বা স্ট্যান্ড হয়ে থাকে তাহলে প্রশ্ন ওঠে, কোন প্রক্রিয়ায় ১৩ দফার এই প্রস্তাবটি আওয়ামী লীগ ১৩ সেকেন্ডের কম সময়ে কোনোরকম বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই নাকচ করে দিলো? অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের কোথাও এটি স্পষ্ট হলো না যে, তিনি বা তারা এর কোন কোন অংশের সাথে দ্বিমত পোষণ করছেন, কেন করছেন, এর বিকল্প প্রস্তাব কী হতে পারে, একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের ভাবনাই বা কী? ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বারবারই বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। এটি আংশিক সত্য। কিন্তু যে অংশটি তারা বাদ দিয়ে যাচ্ছেন তা হলোÑ সংবিধানের ৪৮(৩) ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে। এখানেই যত বিপত্তি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নাম যদি সব রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবে অভিন্ন না হয়, তখনই বিতর্কিত দলীয় নিয়োগের বিষয়টি সামনে চলে আসে। আর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন কোনো অবাস্তব প্রস্তাব নয়। ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ বহু দেশে সরকার ও বিরোধী দল যৌথভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করে থাকে। তবে আশার কথা হলো, আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে প্রস্তাবটি নাকচ করলেও দেশের সুধীসমাজ ও বেশ কয়েকজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং স্বীকার করেছেন যে, প্রস্তাবটি আলোচনার দাবি রাখে। এখানেই এ প্রস্তাবের স্বার্থকতা।

বেগম খালেদা জিয়ার এ প্রস্তাবকে বিতর্কিত করার প্রথম চেষ্টা হিসেবে বলা হয়েছে- বিএনপির এ প্রস্তাব কৌশলে জামায়াতকে সাথে রেখেই নির্বাচনের একটি কৌশল। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো- প্রস্তাবনায় সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী নেই। কারণ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে। তবে দ্বিতীয় বিকল্প অর্থাৎ কী ধরনের রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা হতে পারে, সে প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- ‘স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন সব রাজনৈতিক দল’। উল্লেখ্য, প্রস্তাবের প্রথম ও দ্বিতীয় বিকল্পের মাঝে ‘এবং’ ‘অথবা’ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। যদি দ্বিতীয় বিকল্পের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির আপত্তি থাকে, তাহলে তাকে প্রথম বিকল্প অর্থাৎ কেবল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেই আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুতরাং সুকৌশলে নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দল জামায়াতকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করেননি বেগম খালেদা জিয়া। বরং অযাচিতভাবে জামায়াতকে সামনে এনে অযথা বিতর্কের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হয়।

কোনো কোনো মহল আবার নির্বাচনের সময় বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাবে গোস্বা হয়ে এমনও প্রশ্ন তুলেছেন যে, এ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বিএনপি দেশে একটি সামরিক আইন জারি করতে চায়। এ প্রসঙ্গে একটু মনে করিয়ে দিতে চাই, জাতীয় প্রয়োজনে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োজিত করার সুযোগ আছে। সিআরপিসিতে যার অনেক নজিরও আছে। এ ধরনের মোতায়েনকে সামরিক আইন বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রিরিয়াল ক্ষমতা প্রদান বিচারকাজ পরিচালনার ক্ষমতা বুঝায় না। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রতিরক্ষা বাহিনী আইনানুগভাবে তথা সীমা লঙ্ঘন না করে, অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ না করে দায়িত্ব পালন করবে। বর্তমানে মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যাক্টের অধীন পুলিশ কমিশনার এ ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। প্রতিরক্ষা বাহিনীকে কেবল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োগ করলে কার্যকর ও সন্তোষজনক ফল পাওয়া সম্ভব হয় না বিধায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০০৯ সালে আরপিও সংশোধনের আগ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও দু’টিতে বিএনপি জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের পর থেকে নির্বাচনের কাজে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বাদ দেয়ার পর যে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়, তাতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির ভূমিকা সমালোচিত হয়েছিল এবং বিভিন্ন সময় এসব বাহিনীপ্রধানদের রাজনৈতিক বক্তব্যও দিতে দেখা গেছে। তাই জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো বিকল্প নেই।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, তিনি আর কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আসলে কেউই চায় না। কিন্তু নির্বাচন যাতে আর প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকেই। প্রশ্নমুক্ত নির্বাচনের প্রাথমিক শর্তই হলো একটি প্রশ্নমুক্ত ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন। তাই সরকারের এ বিষয়ে সদিচ্ছা কতটুকু বা পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সরকার আসলে কেমন দেখতে চায়, সেটা পরিষ্কার হবে ২০১৭ সালের নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়েই।                 

-       লেখক : আইনজীবী ও রাজনীতিক 

Ignoring the UN's plea

David Bergman / Scroll.In

Sheikh Hasina pledged support to refugees at the UN, but Bangladesh is shutting out Rohingyas
Two months ago, Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina stood at the United Nations General Assembly in New York and gave a speech in front of assembled government delegations. After quoting her father, the country’s independence leader Sheikh Mujibur Rahman, Hasina said:
“Violent conflicts continue to rage in several places, with heavy toll of human lives. Those fleeing from conflicts are often denied protection across borders. Dire humanitarian needs are at times ignored or access blocked. What crime Aylan Kurdi, the 3-year innocent child of Syria who drowned in the sea, had committed? What was the fault of 5-year-old Omran, who was seriously wounded by airstrike at his own home in Aleppo? It is indeed hard to bear all these cruelties as a mother. Won’t these happenings stir the world conscience?”
Such views would, of course, be expected from the leader of a country whose independence in 1971 followed a war that resulted in many millions of Bengalis obtaining sanctuary in India.
Two months on from her speech to the UN, however, the prime minister seems to have totally forgotten her very own words – and her country’s history.
Rather than giving sanctuary to thousands of Rohingyas fleeing extreme Army violence in Myanmar’s Rakhine state, Hasina’s government is using armed guards to prevent boats carrying hundreds of the refugees, including children, from landing on the coast of southern Bangladesh, and has rejected the United Nations’ plea to open the country’s borders.
Amnesty International has described the Bangladesh government’s decision to push back the fleeing Rohingyas as callous.
Deaf to UN plea
On November 18, the United Nations urged the government to give sanctuary to Rohingyas fleeing a Myanmar military operation that is alleged to have razed villages and brutalised residents. The military operation followed attacks on police outposts that killed 10 police officers on october 9, which the Myanmar government claims were committed by a Rohingya group.
“We are appealing to the government of Bangladesh to keep its border with Myanmar open and allow safe passage to any civilians from Myanmar fleeing violence,” Adrian Edwards, a spokesperson for the United Nations High Commissioner for Refugees, stated at a press briefing in Geneva.
A spokesman for the UN’s Office for the Coordination of Humanitarian Affairs told AFP, “Up to 30,000 people are now estimated to be displaced and thousands more affected by the October 9 armed attacks and subsequent security operations across the north of Rakhine state. This includes as many as 15,000 people who, according to unverified information, may have been displaced after clashes between armed actors and the military on November 12-13.”
The news agency AFP reported that on the same day the UN made its appeal, Bangladesh government enforcement authorities patrolling the Naf river, which separates the country’s southeastern border from western Myanmar, pushed back a group of Rohingyas trying to enter the country. “There were 125 Myanmar nationals in seven wooden boats,” Coast Guard official Nafiur Rahman told AFP. “They included 61 women and 36 children. We resisted them from entering our water territory.”
Another Coast Guard officer said he saw two bodies floating in the river while on patrol.
Two days later, Bangladesh Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal said that the Border Guard Bangladesh and the Coast Guard had been alerted to prevent the illegal entry of Rohingyas at the Bangladesh-Myanmar border. “Rohingya migration is an uncomfortable issue for Bangladesh,” Kamal was quoted as saying by the Dhaka Tribune.“Hopefully, no more illegal migration will happen now.”
The Daily Star reported that at Teknaf, the Border Guard Bangladesh had increased the number of troops at border outposts to prevent infiltration. A colonel with the paramilitary force was quoted as saying that they were holding meetings with residents, including fishermen, to help them stop the Rohingyas from entering the country.
And four days later, AFP continued to report that the government was doing all it could to stop the Rohingyas from landing. It said Border Guard Bangladesh troops had blocked nearly 300 Rohingyas from crossing the border overnight, the highest number since the crisis began last month. “We’re preventing them on the zero line, especially those who were trying to cross the barbed-wire fences erected by Myanmar,” an official was quoted as saying.
Despite these efforts, however, as many as 2,000 Rohingyas are reported to have avoided detection and entered Bangladesh, though the government maintained that it was determined to push back into Myanmar those they can detain.
Rohingyas in Bangladesh
There is a sizeable Rohingya population in Bangladesh with hundreds of thousands of them having fled to the country in the last 25 years to escape persecution from the military junta and Buddhist nationalists.
At present, there are two distinct groups of Rohingyas living in Bangladesh. There are 33,000 registered refugees living under UNHCR protection in camps near Cox’s Bazaar, which they can only leave with permission from camp commanders. And then there are another 300,000 or so unregistered Rohingyas living in makeshift settlements surrounding the official camps who have no legal status and no legal rights.
The United Nations High Commissioner for Refugees has expressed willingness to help the Bangladesh government cover the costs of registering the unregistered refugees and providing them services, but the government has refused to allow this to happen.
In Bangladesh, Rohingya camps are perceived as a hotbed of criminality as well as a national security concern. Government officials also argue that the country is small and heavily populated and they do not have the resources to assist the Rohingyas. In addition, Rohingyas are viewed with additional suspicion as they are religiously conservative and seen as natural allies of the Opposition political party Jamaat-e-Islami.
Sheikh Hasina’s stand
The Bangladesh prime minister’s current position is more consistent with her past record than her sweet words at the UN General Assembly.
In an interview to Al Jazeera Television in 2012, which was also a time when the government was stopping fleeing Rohingyas from entering Bangladesh, Sheikh Hasina was asked, “These are people in a desperate humanitarian situation and surely, there are basic principles, human principles, moral principles that compel you to help them?” She had replied, “Bangladesh is already an overpopulated country. We cannot bear this burden.”
The interviewer then said, “But we have seen pictures ourselves. Bangladeshi guards physically turning people back, returning them to danger.” The prime minister said the guards had behaved in a humanitarian manner, “providing food for them, medicine for them, money for them and just allowed them to return to their own homes”.
She denied the claim made by Al Jazeera that the Rohingyas were “forced to return to their homes”, saying, “No, they did not force them. Rather they pursued them, that they should go back and they went back.”
The interviewer then said the prime minister “must know full well [the Rohingyas] are being persecuted in their own country, they tried to run away and they are refused entry to your own country”. To this, Hasina replied, “Why should we let them enter our country?” She added that she believed Myanmar government officials who had told her that the Rohingyas were living in a “convivial atmosphere” in their country.
Dhaka embarrassment?
Sheikh Hasina’s failure to live up to her words and commitments at the United Nations is certainly tragic for the Rohingyas, but it may also prove embarrassing for her government, which is due to host the Global Forum on Migration and Development in two weeks time in Dhaka.
This forum is intended to build on the work undertaken at the UN Summit on Migrants and Refugees, which had taken place just days before Hasina spoke at the General Assembly, and where she had, surprisingly given her previous position, been a leading participant. At the refugee summit, Bangladesh had become a signatory to the New York Declaration that referred to “our profound solidarity with, and support for, the millions of people in different parts of the world who, for reasons beyond their control, are forced to uproot themselves and their families from their homes”.
The declaration added, “Refugees and migrants in large movements often face a desperate ordeal. We are determined to save lives. Our challenge is above all moral and humanitarian.”
The concept paper for the meeting in Dhaka refers to the need to provide “safe and legal pathways for [migrants and refugees] seeking protection”.
This is something the government is steadfastly refusing to do in relation to the Rohingyas seeking sanctuary in Bangladesh.

Saturday, November 26, 2016

A timely proposal

By Israfil Khosru

On November 18, BNP chairperson Begum Khlaeda Zia revealed a detailed proposal for strengthening the Election Commission on behalf of her party. While the ruling Awami League almost immediately brushed the proposal aside, many experts believe that this revelation has created scope for meaningful dialogue between the major parties.



The BNP quite evidently seems to have opted for a more pragmatic approach by coming through with this proposal in the context of current reality.

The proposal outlines a set of suggestions/prescriptions that, the BNP believes, has to be implemented to ensure the neutrality of the commission and eventual capacity-building. While the proposal is made up of several systemic adjustments that hint towards institutional reform, the key guiding principle that is evident across the content is “consensus.”
In fact, the proposal begins by implicitly declaring consensus of all political parties as a starting point and a compulsory pre-condition before resorting to any measures. In a political environment rife with animosity and mistrust, a consensus on a single issue could prevent us from at least reaching the nadir.

The proposal also immediately delves into the role that can be played by the president of Bangladesh to ensure the much-needed consensus by meeting representatives of all political parties.

This shows that the BNP has kept unbounded faith in the constitutional head of state in terms of fair disposal of his duties. Furthermore, it also reflects the BNP’s willingness to work with the establishment to break the political deadlock by means of a substantial institutional reform that will serve as a long-term solution to election-related woes.

One must also keep in mind that the proposal floated by the BNP strictly focuses on the Election Commission reforms and does not suggest any constitutional amendments. The proposal seems to clearly rest on the fulcrum of belief that if a consensus can be achieved then the execution aspect can take place in good faith.

While political consensus is at the heart of the proposal, the key content of the proposal can be divided into three broad sections: The first broad section deals with the recommendations regarding the formation of a neutral “search committee” which will partake in the selection of the election commissioners. It clearly states that the president of the republic “will constitute the search committee on the basis of consensus among all registered political parties of Bangladesh and/or among all political parties who, over different periods, had representation in the National Parliament since the liberation of Bangladesh.”

The proposal then recommends a search committee constituting of five members including a convener. The proposal emphasises on the need for impartiality, experience, respectability, strong will, and high moral standards of these individuals. There should be no ambiguity regarding the essentiality of these traits and hence the proposal continuously harps on the notion of integrity.

The second broad section outlines a set of qualifications for the Chief Election Commissioner and the election commissioners and their subsequent appointment procedure. It should be mentioned that previously there has been no specific set of guidelines in terms of qualification to select Election Commissioners.

It is rather refreshing to see that this proposal contains specific yardsticks which can be utilised by the search committee to make an informed and unbiased decision. Apart from various procedural recommendations, one of the key suggestions is that “an employee of the Republic or statutory government authority or defense personnel, who has not completed three years after retirement, or resignation, or dismissal, or has not completed a span of three years after completion contractual appointment, or cancellation thereof, shall not be entitled to be election commissioner.”

This specific suggestion in essence holds the key to minimising the influence of the executive on the Election Commission to force an outcome. Yet again, in the context of current political scenario, this particular recommendation holds a lot of water. The third broad section of the proposal deals with the empowerment and strengthening of the Election Commission. While it would be rather difficult to dwell on all the recommendations within a short space, certain recommendations require special attention.

One of the key recommendations in this particular case is that the Bangladesh Election must have its own secretariat. It states clearly that “according to Article 79 of the Constitution, Bangladesh National Parliament has its own secretariat. Likewise, the Bangladesh Election Commission must have its own secretariat as well. Bangladesh Election must have financial power.”

Aimed at empowering the Election Commission, this particular prescription has a long-term implication in terms of delivery of service, capacity building, efficiency and accountability. Furthermore, a secretariat will enable the Election Commission to develop its own resources and gain financial strength. One of the recommendations that has already drawn a lot attention is the deployment of the defense forces during election time.

However, the more specific suggestion in this regard is that “during National Election, the Election Commission will arrange to deploy Defense Forces with magisterial power, especially, at the polling centers and other strategic places. This deployment will come into force seven days ahead of Election Day till gazette notification of the election results.”

Given the nature of elections observed during the recent Dhaka and Chittagong mayoral race, this recommendation has become a necessity to ensure order and fairness. If the member of the forces is not empowered with magisterial power, they will not be able to resolve problems immediately in order to bring order.

Furthermore, magisterial power will also ensure that they will not come under any undue influence during disposal of duties. Given that our defense forces have always stepped forward with integrity whenever calamities arose, ranging from natural disasters to traffic control, it is only rational to think that they should and would play a pivotal role in securing, for the general citizens, the right to vote freely.

As we gradually approach towards an election year in 2019, it is rather heartening to see the BNP come up with a proposal well ahead of time. While the proposal contains a lot of technical details, the crux remains to be the notion of consensus and integrity.

There is enough room and time to at least start a feasible dialogue to move towards resolution. The BNP has already extended an olive branch in the form of this proposal. They at least deserve a hearing. The modalities can be discussed but a partisan approach of being absolutely dismissive will not bear any fruit. The forum is open now and the whole nation is watching.

-    Israfil Khosru is a businessman and a concerned citizen.
 

Saturday, November 19, 2016

জাতীয়তাবাদী শক্তির সোনালী ফিনিক্স তারেক রহমানকে জন্মদিনের হিরন্ময় শুভেচ্ছা

আসাদুল করিম শাহীন

সহ প্রচার সম্পাদক, বিএনপি

২০ নভেম্বর দিনটি ছিল সুন্দর, হালকা রোদ্দুর, মনোরম, হেমন্তের আকাশ ছিল ঈষৎ নীলাভ। প্রকৃতির মধ্যে এক ধরণের আনন্দ অনুরণিত। ৫১ বছর আগে এইরকম একটি আনন্দঘন পরিবেশে, একটি আদর্শিক পরিবারে জন্ম নেয় এক কাংখিত শিশু। সেই শিশুটিই আজকের স্বপ্নবান তারেক রহমান। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা। আগামী বাংলাদেশের পথ প্রদর্শক। তাঁর শুভ জন্মদিনে তাকে এবং সকল ভক্ত অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মূহুর্তে সবচেয়ে যোগ্য মেধাবী দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা তারেক রহমান। ১৯৮৮ সালে নিজ জেলা বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির একজন সাধারণ সদস্য হিসাবে তাঁর আনুষ্ঠানিক রাজনীতি শুরু। যদিও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে কখনও বা পরামর্শদাতা হিসেবে মাঝে মাঝে তাকে দেখা যেত। তিনি আগে বিএনপি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়া ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশেষ অবদান রাখেন দেশ বরেণ্য এই তরুণ নেতা। ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ স্বৈরাচারী হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে বন্দুকের নলে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে, বিএনপির সেই চরম ক্রান্তিকালে আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরেন। বিএনপির অনেক নেতাই সেদিন বিএনপি ত্যাগ করে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থে জেনারেল এরশাদের অবৈধ সরকারে যোগ দেয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলকে সাথে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, অগ্নিঝরা দুঃসময়ে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে মহাসংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। সেই কঠিন সময়ে সদ্য কৈশরোত্তীর্ণ তারেক রহমান ছাত্রাবস্থায় তাঁর মায়ের পাশে থেকে বিএনপি পুনর্নিমাণে অনেক সহযোগিতা করেছেন, যা বিএনপির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে গতিময়তাদানের জন্য তাঁর রাজনীতিতে আর্বিভাব। যিনি বুকের গভীরে লালন করেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। আব্রাহাম লিঙ্কন এর প্রদর্শিত গণতন্ত্রই তাঁর প্রথম পছন্দ, “জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন, যা কখনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবেনা। তাঁর স্বপ্ন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তিনি শুরুতেই ছুটে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে। পথে প্রান্তরে হেঁটে বেড়িয়েছেন তিনি। এই আদর্শ অনুপ্রেরণা তিনি লাভ করেছেন তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর কাছ থেকে। পিতার আদর্শ ও কর্মসূচি হৃদয়ে ধারণ করে দেশপ্রেমের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সত্য-ন্যায় ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় নিয়েছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তিনি রাজনীতিতে আসার আগে ও পরে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন, তাঁর পিতাই তাঁর শিক্ষক। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বরণের কিছু পরে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন “আমার শিক্ষক” শিরোনামে, তাতে তাঁর পিতার সাথে কিছু স্মৃতির উল্লেখ করেছেন। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “১৯৮১ সালের ৩০ মে বহুবার এসেছে জীবনে। যতদিন বেঁচে থাকব ঘুরে ঘুরে প্রতিবছর দিনটি আসবে। কিন্তু আমরা তো কখনও ১৯৮১ সালের ২৯ মে’তে ফিরে যেতে পারবো না। ৩০ মে’র পর যখন দেখলাম লাখ লাখ মানুষ চোখের পানি নিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে একটি কফিনের পেছনে দাঁড়িয়ে তাদের নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তখন শুধু এইটুকুই মনে হয়েছিল, একটি মানুষ কিভাবে এত লাখো কোটি মানুষ আপন করে নিতে পারেন, কেমন করে পারেন কোটি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিতে। সেই লাখো কোটি মানুষের প্রিয় জিয়াউর রহমানের সন্তান আমি, এটি মনে হলে বাবাকে হারানোর ব্যথা একটু হলেও লাঘব হয়। যখন মনে পড়ে, লাখ লাখ লোক জানাজায় এবং রেডিও-টিভির সামনে বসে কোটি কোটি মানুষ আল্লাহর দরবারে তাদের প্রিয় মানুষটির জন্য দোয়া করছে, তখন পিতার মৃত্যুর বেদনা অল্প হলেও প্রশমিত হয়। আজো মনে পড়ে জানাজার দিনের সেই অচেনা মুরব্বীর কথা, তিনি বলেছিলেন, ‘বাবা, কাঁদতে নেই; দেখ লাখ লাখ মানুষ এসেছে এই জানাজায়। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার বাবাকে বেহেশত নসিব করবেন; তোমরা কাঁদলে তোমার বাবার আত্মা কষ্ট পাবে।’ আজও যখন বাদজুমা বাবার কবর জিয়ারতে যাই, একজন মানুষ হলেও পাই সেখানে সেই সময়ে, যে তার নেতার জন্য দু হাত তুলে দোয়া করছে। যাকে আগে কোনদিন দেখিনি; হয়ত আর কোনোদিন দেখবও না। আসলে এত মানুষের দোয়ার জন্য আজও মাঝে মাঝে মনে হয়, বাবা আমাদের মধ্যেই আছেন, হয়ত অফিসে গেছেন, কাজ শেষ হলেই চলে আসবেন। যেমন মনে হয়েছিল ২৯ মে ১৯৮১ সালে। আমার বাবা যখন মারা যান, তখন আমার বয়স ১৪/১৫ বছর। অর্থাৎ যে সময় একজন কিশোরের জীবনের পথ চলতে শেখার জন্য দরকার তার জীবনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য শিক্ষককে, অর্থাৎ তার বাবাকে। কিন্তু আমার এবং ভাই কারও এই শিক্ষকের কাছ থেকে সরাসরি বেশি কিছু শিখার অবকাশ হয়নি। তার প্রধান কারণ, আমাদের এই শিক্ষকের কাঁধে ন্যস্ত ছিল সেই সময়ে সমগ্র দেশ ও জনগণের গুরুদায়িত্ব। তাই জীবনের পরবর্তী সময়ে আমাদের শিখতে হয়েছে এই শিক্ষকের রেখে যাওয়া সততা থেকে, শিখতে হয়েছে তার রেখে যাওয়া আদর্শ থেকে এবং সেই সব কর্ম থেকে, যা তিনি একজন পিতা হিসেবে আমাদের দিয়ে করিয়েছেন, বলেছিলেন করতে, তা থেকে। তারই ছোট ছোট অনেক ঘটনা রয়েছে। ঘটনাগুলো বিচার করলে এর প্রভাব আমাদের জীবনে অনেক।”
কঠিন দুঃসময়ে তারেক রহমান রাজনীতিতে আগমন করেন, তাঁর সেই আগমন ছিল রাজনীতির বদ্ধঘরে খোলা জানালার মত, যে জানালা দিয়ে রাজনীতির বদ্ধ ঘরে ঢুকতে পেরেছিল একমুঠো মিষ্টি সুবাতাস। রাজনীতিতে তারেক রহমানের আগমনে তখনকার ছাত্র-যুবক-শ্রমিক, তথা সকল তরুণ কর্মীদের মাঝে উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল, জাতীয়তাবাদী আদর্শের  সৈনিকেরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখেছিলেন তাঁর মধ্যে। কর্মে-কথায়-আচরণে তৃণমূল নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের মনে আশা-ভালোবাসার সঞ্চার করেছিলেন তিনি। যে ভালোবাসা এখনও অটুট অম্লান রয়েছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর গোলাম আলী ফকির তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন এই ভাবে - “ঐক্যবদ্ধ অগ্রগতির অমোঘ দাবি উৎপাদনের রাজনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্র। এই কর্মসূচি নিয়ে একদিন গ্রামের পর গ্রামে ছুটে গেছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান। তারই প্রদর্শিত পথে পা রাখলেন তারেক জিয়া এবং গণমানুষের প্রাণের ছোঁয়া পেয়ে তিনিও উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলেন। সেই থেকে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন তারেক জিয়া। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সরাসরি শোনা এবং সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এক নতুন ইতিহাস গড়ে তুলতে তৎপর হন। তারেক জিয়া নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে এক অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাঝে গড়ে তোলেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এক একটি সাধারণ হাত হয়ে ওঠে তখন কর্মীর হাতিয়ার।
নারীর ক্ষমতায়নে শিক্ষার আলো জ্বালাতে তিনি কিছু কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ফলে তাদের মধ্যেও জেগে ওঠে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সমাজে তাদের অবদান রাখার স্পৃহা। ফলে নারীরাও সমাজ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসার মানসিক প্রস্তুতি নেন। পল্লী উন্নয়নে তারেক জিয়া গ্রহণ করেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে অক্ষরজ্ঞান দান, জীবনমুখী শিক্ষার প্রসার, উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করা, বিদ্যুতায়ন প্রক্রিয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের জন্যও তিনি সার্বিক প্রয়াস চালাতে সচেষ্ট হন। মূলত গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব বলে তারেক জিয়া পল্লী উন্নয়নের ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা চালান। তিনি মনে করেন, আলোকিত গ্রামই আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত। তারেক জিয়া ইতোমধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, বন্যা-সিডর-আইলা-মঙ্গা ইত্যাদিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম, শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা, ক্যাম্প, বীজ ও সুপেয় পানি প্রকল্প, বৃত্তি প্রকল্পসহ সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে গণমানুষের মাঝে আশা ও উদ্দীপনার সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছেন। এমনকি ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রেও তারেক জিয়া ফলপ্রসূ কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এসব কর্মসূচির লক্ষ্য আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে নিরক্ষরতামুক্ত-সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। একটি সুশিক্ষিত স্বনির্ভর জাতি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্ব দরবারে আপন মহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতিকথায় লিখেছেন- আমি তারেককে ভালোবাসি। “তারেক রহমানকে আমি দেখি একজন শিক্ষকের দৃষ্টি দিয়ে। ভাল ছেলে। বিনয়ী, সদাশয়, মৃদুভাষী। নন্দিত জাতীয় নেতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। নেতা-নেত্রীর কাতারে বুদ্ধিদীপ্ত অগ্রগামী তারুণ্যের প্রতীক। দীর্ঘজীবী হোক এই কামনা প্রতি মুহূর্তের।
তাকে চিনি দীর্ঘদিন ধরে। কোন আলোচনা সভা বা সেমিনার নয় বরং ঘরোয়া পরিবেশে। সুশীল তরুণ হিসাবে। তার বক্তব্য ঋজু। চিন্তা-ভাবনা সুস্পষ্ট। কৃত্রিমতা এখনো তাকে স্পর্শ করেনি। স্পর্শ করেনি দুর্বুদ্ধিপ্রসূত কোন জটিলতা।”
বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির মানসপুত্র তারেক রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন সকাল সৃষ্টির জন্য তাঁর আগমন। তারেক রহমান এবং তার অনুগামি জাতীয়তাবাদী শক্তির চাওয়া নির্বাচন কেন্দ্রিক বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। দেশে চলছে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন। এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই। তারুণ্যের প্রতীক বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তারেক রহমান আমাদের মুক্ত করবেন, নতুন আলোর পথ দেখাবেন। বাংলাদেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত গণতন্ত্রের ভঙ্গস্তুুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো তাঁর উত্থান হোক জন্মদিনে এই প্রবল প্রত্যাশা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী আপমর মানুষের।

Friday, November 18, 2016

ঢাকায় বেড়ে চলেছে নগর দারিদ্র্য

হারুন উর রশীদ স্বপন / ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশে রাজধানীমুখী মানুষের সংখ্যা কমছেনা৷ যে কারণে নগর-দারিদ্র্যও কমছে না৷ নগর গবেষক এবং জনসখ্যা বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গ্রামের মানুষ এখনো মনে করছে শহরে কাজের সুযোগ বেশি তাই শহরে এসে নতুন করে নগর-দারিদ্র্য বাড়াচ্ছে৷
বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, প্রতি বছর কাজের জন্য গ্রাম থেকে ঢাকায় আসছে পাঁচ লাখ মানুষ৷ তাদের তিন-চতুর্থাংশই বস্তিতে বসবাস করেন৷ সরকারি জমিতে আগে তারা ঘর (বস্তি) তুলে বসবাস করলেও এখন সে সুযোগ তেমন নেই৷ এ কারণে রাজধানীতে ব্যক্তি মালিকানার বস্তি গড়ে উঠেছে৷ এসব বস্তিতে ভাড়া বেশি, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা কম৷ তারপরও গ্রামের মানুষ ঢাকায় আসছে৷ নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম মনে করেন, ‘‘ঢাকায় প্রতিবছর সাত লাখ নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে৷ এবং এদের শতকরা ৯০ ভাগই দরিদ্র৷ তারা নানা কারণে গ্রামে সহায়-সম্বল হারিয়ে ঢাকামূখী হয় কাজের জন্য, আয়ের জন্য৷''
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জনসংখ্যা বিজ্ঞানী অধ্যাপ ড. এ কে এম নুর-উন নবী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ঢাকা শহরে গ্রামের মানুষ আসা কিছুটা কমেছে, কিন্তু জনস্রোত থামেনি৷ আগে গড়ে প্রতিদিন ঢাকায় ২৪শ' নতুন লোক যোগ হতো, এখন যোগ হয় ১৭শ'৷ সংখ্যায় কমছে৷ কিন্তু প্রবণতা কমেনি৷ আর যারা আসেন তাদের বড় অংশই নিম্নবিত্ত৷ তারা মনে করেন, ঢাকায় কাজ পাওয়া যাবে৷''
স্বাধীনতার পর যেমন ছিল এখন ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা তার চারগুণ হয়ে প্রায় ২ কোটিতে পৌঁছেছে৷ ২০৫০ সাল নাগাদ লোকসংখ্যা সাড়ে তিন কোটির বেশি হতে পারে বলে আভাস রয়েছে৷ এদিকে গ্রামীণ দরিদ্রের সংখ্যার তুলনায় শহুরে দরিদ্রের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ ১৯৯১ থেকে ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে শহুরে দরিদ্রের সংখ্যা ৬০ লাখ থেকে বেড়ে ৮০ লাখ হয়েছে৷ আর একই সময়ে গ্রামীণ দরিদ্রের সংখ্যা কমেছে৷ গ্রামীণ দরিদ্রের সংখ্যা ৫ কোটি ৫০ লাখ থেকে কমে ৪ কোটি ৬০ লাখ হয়েছে৷
২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত আরবান স্লাম সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে বস্তিবাসীদের প্রতি ১০ জনে ৯ জনের জন্ম ঢাকার বাইরে৷ এর মধ্যে এক পঞ্চমাংশ দরিদ্র৷ নগর গবেষক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন ঢাকা শহরের ৪০ ভাগ মানুষ বস্তিতে বসবাস করেন৷ ঢাকায় বস্তির জায়গাও আর নাই৷ তাই ঢাকার পাশে গাজীপুরসহ আরো কয়েকটি এলাকায় বস্তি সম্প্রসরাতি হচ্ছে৷ ঢাকার পাশের উপ শহরগুলো বস্তির শহরে পরিণত হচ্ছে৷ অনেকে সেখানেই কাজ করেন৷ আবার কেউ কেউ ঢাকায় কাজ করলেও থাকেন গাজীপুর বা ঢাকার আসপাশে উপ শহরের বস্তিতে৷''
এই পরিস্থিতি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শহুরে দরিদ্রদের পরামর্শ দানকারী সংগঠন ‘কোয়ালিশন'-এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,‘‘শহরগুলোতে আয়ের উৎস রয়েছে৷ আপনি যদি শহরে অবকাঠামো তৈরি করেন, তবে কিভাবে ভাবতে পারেন যে গ্রামের লোকজন শহরে আসবে না? যদি গ্রামে আয়ের উৎস এবং মিল-কারখানা থাকতো তবে লোকজনকে ঢাকায় আসতে হতো না৷''
তবে অধ্যাপক ড. এ কে এম নুর উন নবী বলেন, ‘‘এটা উন্নয়নের সমস্যা৷ গ্রামে যে উন্নয়ন হচ্ছে না, অবকাঠামো হচ্ছেনা তা কিন্তু ঠিক নয়৷ গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে৷ কিন্তু কেউ কেউ তাতে সন্তুষ্ট নয়৷ ঢাকায় একজন রিকশা চালকেরও আয় অনেক৷ তাই গ্রামের নদী ভাঙা বা অন্য কারণে বিপদগ্রস্থ মানুষ ঢাকায় আসছে৷ এখন গ্রামে কৃষি শ্রমিকও তেমন আর পাওয়া যায় না। তারা বেশি আয়ের জন্য ঢাকা আসেন৷ তাদের কাছে কষ্টের বস্তিজীবন আয়ের বিবেচনায় সহনীয়৷''
অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘গ্রাশের তুলনায় ঢাকায় গরিব আবাসন, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সুবিধা সংকুচিত৷ তারপরও তারা আসছেন, কারণ, তারা জানেন, ১০ বছর কষ্ট করে ঢাকা থাকতে পারলে তার অর্থিক ভিত শক্ত হবে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘নগরে যে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে তারা নুতন৷ আগে যারা এসেছেন তারা কিন্তু দরিদ্র বা অতি দরিদ্র নয়৷ এর সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে চাপ তা-ও ঢাকাকে চাপের মুখে রাখছে৷ তাই ঢাকার পরিস্থিতি খারাপই বলতে হবে৷''

Wednesday, November 16, 2016

Why the govt is pleased Trump will be the next US President

By David Bergman / The Wire


One of the very first letters of congratulation received by Donald Trump after his startling defeat of Hillary Clinton in the US presidential elections came rather surprisingly from the prime minister of Bangladesh, Sheikh Hasina.

In the letter, sent apparently “within hours of the victory’”, Hasina told Trump (addressing him as ‘Excellency’) that she thought his electoral success was down to his “extraordinary leadership to serving the American people and also the global humanity” (sic), and she invited the president-elect and his wife to Bangladesh.

Some media have commented on the effusive tone of this letter, including the UK’s Independent, which published an article titled ‘The Muslim country congratulating ‘His Excellency’ Donald Trump’.

The Independent report wondered why, in light of Trump’s comments about Muslims, the prime minister of a country “with the fourth largest Muslim population in the world” would “welcome Donald Trump with open arms and a fawning letter”.

The paper perhaps could also have added that the welcome to Trump comes despite the fact that his success will stymie many Bangladesh government priorities, including its demand for greater tariff-free access for its exports into the US and the implementation of the climate change treaty.
Whilst the letter could simply be a reflection of ‘diplomatic necessity’ – the need for Bangladesh to seek as positive a relationship as possible with whoever is the US president – rather than any ‘genuine conviction’ for Trump, Hasina nonetheless is likely to have heaved a huge sigh of relief that Clinton did not win.

The Muhammad Yunus affair

To understand why Hasina will have been relieved that Clinton lost, one must first go back to the vicious 2010 dispute between the Bangladesh government and Noble Peace Prize winner Muhammad Yunus, the founder of the micro-credit agency, Grameen Bank.

The dispute involved Hasina calling Yunus a “blood sucker of the poor”, the government (through its proxy, the country’s Central Bank) removing him as managing director of the microcredit bank, the lodging of numerous criminal cases against Yunus (including for defamation and food adulteration), and a vitriolic campaign against both him and Grameen Bank in the pro-government media.

Government attacks against any other Bangladesh citizen would likely have gone unnoticed by the US but Yunus was not only a Nobel Peace Prize winner but also someone very well known to Clinton, the US secretary of state at that time.

Clinton, a strong supporter of Yunus’s work, was aghast at the action the Bangladesh government sought to take against her friend as well as the microcredit bank itself. As a result, the US state department lobbied very hard to stop his removal from the bank, going as far as to put on hold ‘high-level interaction’ with the Bangladesh government as punishment.

To the Bangladesh government, this was not just Clinton and the US government supporting a person whom it wished to target, but also someone who it considered as a possible future political threat due to his previous inclination to get involved in politics.

In Bangladesh conspiratorial circles, this was akin to the US government supporting a political adversary of the Awami League government. Indeed, many claim that the World Bank’s decision to cancel its $3billion loan to fund the Padma Bridge was in part US payback for the Bangladesh government’s attack on Yunus.

2014 elections

The Yunus affair poisoned the relationship between the Hasina government and the Obama administration, but it got a lot worse four years later – after Clinton had left the state department – when the US government strongly criticised the Bangladesh government over its handling of the January 2014 national elections, in which all opposition parties refused to take part.

The opposition boycott was triggered by the Bangladesh government, in power since 2009, removing from the constitution in 2011 a provision that required that elections take place under a non-political caretaker government.

This provision had been inserted in 1996, following a campaign ironically spearheaded by the Awami League itself, to stop the political party in power rigging an election. The international community, led by the US, pushed very hard and publicly for the Bangladesh government to take steps to ensure fair and inclusive elections, but the Hasina administration did not buckle.

After the controversial elections, the US state department issued a strongly worded statement. “The United States is disappointed by the recent Parliamentary elections in Bangladesh,’ it read. ‘With more than half of the seats uncontested and most of the remainder offering only token opposition, the results of the just-concluded elections do not appear to credibly express the will of the Bangladeshi people.”

It went onto state, “We encourage the Government of Bangladesh and opposition parties to engage in immediate dialogue to find a way to hold as soon as possible elections that are free, fair, peaceful, and credible, reflecting the will of the Bangladeshi people.”

At the time it was touch and go whether Hasina’s government could survive – but it did and the Western nations soon backed off leaving the Bangladesh government to consolidate its power.

However, alone in the international community, the US state department kept up its public pressure, with its ambassador in Dhaka saying soon after the election that it’s interaction with the Bangladesh government was “not business as usual” and continuing to call, many months later, for new elections. As a result, the legitimacy of the Bangladesh government was for a long time in question.

The US elections

With this background, the US presidential elections took place with the real possibility that Clinton could take office as president.

Since Bangladesh is facing a new national poll in two years, in which concerns about vote rigging will again be at the fore, this was an outcome that the Hasina government feared.

A US government with Clinton as president – which would be calling strongly for a fair election process that allowed the opposition parties to participate -- could in the minds of the Bangladesh government, have caused a lot of difficulties for the Awami League during the 2019 election, allowing any election victory to be yet again questioned.

Though the risks attached to a Clinton presidency for the Bangladesh government may well have been more imaginary than real, Trump is certain to take no interest in the fairness or otherwise of Bangladesh’s elections – or indeed in the country’s poor governance and human rights record.
Clinton’s defeat, therefore, removes one more obstacle to an unquestioned election victory for the Hasina-led party in 2019.

A relief, no doubt, for the Awami League leadership – and it is this which helps explain why the Bangladeshi prime minister gushed in her letter about the US president-elect’s “extraordinary leadership” in the service of “global humanity”.

- David Bergman is a writer based in Bangladesh. He also runs the Bangladesh Politico and Bangladesh War Crimes blogs. Follow him on @davidbangladesh

Internet freedom declined: Freedom House

Key Developments: 

June 2015–May 2016

  • Religious extremists claimed responsibility for the April 2016 murder of Xulhaz Mannan, the founder of a magazine that promoted LGBTI issues both online and off; as well as the October 2015 murder of Faisal Arefin Dipan, a publisher of books authored by slain blogger Dr. Abhijit Roy; and the murder of blogger Niladri Chattopadhyay Niloy in August 2015 (see Intimidation and Violence).
  • Journalist Probir Sikdar was arrested under the ICT Act for publishing a comment about a government minister on his Facebook page (see Prosecutions and Detentions for Online Activities).
  • In November 2015, the government ordered service providers to temporarily block Facebook, Facebook Messenger, WhatsApp, and Viber; the same day, internet service was inaccessible nationwide for more than an hour (see Restrictions on Connectivity and Limits on Content).

Introduction: 
Internet freedom declined after the highest number of fatal attacks by religious extremists targeting online activists in Bangladesh on record in 2015.

During the coverage period of this report, blogger Niladri Chattopadhyay Niloy, and publisher Faisal Arefin Dipon, who was closely associated with another blogger, were fatally attacked. In the earlier part of the year, Abhijit Roy, Washiqur Rahman, and Ananta Bijoy Das were killed in separate incidents, each in reprisal for views they had expressed online. Attacks continued in 2016: Xulhaz Mannan, who founded Roopbaan, a magazine which used social media to advocate for the LGBTI community, was killed in April.

Attacks on secular bloggers started in 2013, when Asif Mohiuddin was attacked by extremists, and blogger Ahmed Rajib Haider was killed outside his home. They were singled out in part because of their prominence in the 2013 Shahbag Movement, broad antigovernment protests which grew out of the response to a war crimes tribunal verdict against a religious leader. Protesters said the verdict was too lenient, and religious extremists organized to punish the movement’s leading figures and others they perceived as promoting secular, liberal values. In the past year, Facebook and other social media services were blocked for more than two weeks to prevent unrest after the Supreme Court upheld death penalties handed down by the same tribunal for war crimes committed in 1971.
......................

Checks on bloggers and online activity are arguably harsher due to the 2006 Information and Communication Technology (ICT) Act. The act was used for the first time in 2013 to arrest four bloggers who had been vocal on different social issues and religious extremism. In August 2013, an amendment was passed increasing the penalty to a minimum of 7 years, up to a maximum 14 years in prison.1 Police no longer need a warrant to make arrests under the amended act, and the number of prosecutions is increasing.

On August 2015, journalist Probir Shikdar was arrested under the ICT Act on charge of defaming a minister online. He was later freed on bail. There were at least four other arrests for criticizing or making fun of the government or sharing “harmful links” on Facebook. At the end of the reporting period, the government was looking to revise some clauses of the ICT Act.

The attacks by religious extremists, along with the fear of arrest under the ICT Act, have created a climate of intimidation that fosters self-censorship among bloggers and internet users.

Obstacles to Access
The number of internet users in Bangladesh is steadily on the rise. More than 90 percent of users access the internet via mobile phone providers, which recently began offering faster 3G service. The government has decreased the price of bandwidth significantly over the last decade. However, users complain about the high cost of private internet service.

Availability and Ease of Access

The International Telecommunication Union reported internet penetration in Bangladesh at 14.4 percent in 2015, the lowest in South Asia.2 Government estimates were closer to 39 percent.3 Mobile phone penetration was just over 80 percent, according to the Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission.4 While ICT usage is increasing fast, Bangladesh is lagging behind globally. The World Economic Forum 2015 Global IT report ranked Bangladesh 109 out of 143 countries worldwide, with infrastructure and regulatory environment scoring poorly, though overall communication service was comparatively affordable, a factor that is driving growth.5 The government has decreased the price of bandwidth significantly over the last decade.6 According to the Alliance for Affordable Internet, 80 percent of the population in Bangladesh can afford a 500 MB mobile broadband plan based on income – one of the highest percentages among less developed countries.7 However, users complain about the high cost of private internet service in rural areas. The ability to access localized information and create content in Bengali has contributed to the popularity of local blog hosting services.8

.............................................................

Restrictions on Connectivity

The government occasionally restricts the use of mobile service during elections and other times of possible unrest. No directives to shut down the internet were confirmed during the coverage period, though access was interrupted at the end of 2015, when the government blocked Facebook and other popular social media services, supposedly to ensure state security (see Blocking and Filtering). At the same time as the order was given, internet service was shut down for more than an hour due to what news reports described as a "misunderstanding,"11 adversely affecting communication and commercial activities, especially in the aviation industry.12

Bangladesh’s physical internet infrastructure was historically vulnerable, relying on the undersea cable SEA-ME-WE-4, which connects Southeast Asia, the Middle East, and Western Europe.13 Since late 2012, however, Bangladesh is also connected via an international terrestrial cable managed by private companies, reducing the risk of being completely cut off.14

.........................................................

Regulatory Bodies

The Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC), established under the Bangladesh Telecommunications Act of 2001, is the official regulatory body overseeing telecommunication and related ICT issues. The current administration amended the act in 2010, passing telecommunications regulation to the Ministry of Post and Telecommunications and making the BTRC an auxiliary organization.18 This move created administrative delays in a number of basic processes like the announcement of new tariffs or license renewals.19 In 2014, the Ministry of ICT merged with the Ministry of Post and Telecommunications, with the goal of streamlining many ongoing projects and related industries.20 In addition, the prime minister’s office has an Access to Information (A2I) program supported by the United Nations Development Program, which has considerable influence over top-level ICT-related decision making.21

Limits on Content:
The BTRC blocked Facebook and several other social media service and communication applications for more than three weeks on November 2015, citing reasons of state security. There were no reports of state manipulation of online content. Online news portals were instructed to complete mandatory registration.

Blocking and Filtering

Content relating to religious issues or offending state leaders is subject to censorship in Bangladesh. Domestic websites, including the most popular news sites, ProthomAloBDNews24, and Banglanews24, were not subject to targeted blocking during the coverage period of this report. Immediately after, however, in August 2016, news reports said the BTRC had ordered the blocking of 35 news websites for the first time.22 Officials gave no reason for the blocking, though many of the sites were affiliated with the political opposition.

International social media and communication apps, however, are regular victims of government censorship. On November 18, 2015, the BTRC ordered service providers to block Facebook, Facebook Messenger, WhatsApp, and Viber, supposedly in order to ensure state security. The shutdown was ordered an hour after the country's Supreme Court upheld the death penalties handed down to 1971 war criminals Salauddin Quader Chowdhury and Ali Ahsan Mohammad Mojaheed by a tribunal in 2013.23 The government ordered Facebook to be unblocked after 22 days. On December 13, the BTRC emailed an order to ISPs to block Twitter, Skype, and lmo.24 A day later, the order was rescinded for reasons that remain unclearAll other services were also unblocked by mid-December.25 In early 2015, several social network applications were also blocked or severely disrupted for four days. Mobile service providers were ordered to block Viber, WhatsApp, LINE, Tango, and mypeople,26 supposedly on grounds that terrorists were using the platforms, which are also used by opposition activists and other internet users. In 2012 and 2013, netizens in Bangladesh also experienced blocks on YouTube and Facebook.

The BTRC censors content primarily by issuing informal orders to domestic service providers, who are legally bound through their license and operations agreements to cooperate. Service providers have described official censorship as ad hoc in nature, without proper follow-up mechanisms in place to ensure compliance,27 though orders appear to be becoming more formal. On January 19, 2015, mobile operators reported receiving official, written directives from the BTRC to block access to specific social media applications until January 21, when the services became accessible again.28 No appeals have been documented in response to censorship directives.

Content Removal

During the 22-day period when Facebook was blocked, news reports said government officials met with representatives from the company and requested them to set up an office in Bangladesh, subject to local content restrictions and government requests for user data perceived to be threatening security in Bangladesh. Facebook representatives did not comment after the meeting.29 Between July and December 2015, Facebook reported restricting four pieces of allegedly blasphemous content based on government requests; no content was restricted during the same period the previous year.30

Media, Diversity, and Content Manipulation

Bangladesh enjoys a vibrant offline and online media industry, though self-censorship on specific topics is increasing among particular communities. Blocking of social media platforms and communications apps also threatened the diversity of online content (see Blocking and Filtering), though many people used VPNs to bypass blocking.31

In 2015, Bangladeshi online news outlets and the online versions of daily newspapers were directed to go through mandatory registration by December 15. The country’s print media has been subject to registration requirements like this since the pre-independence period. Through an official Press Information Department handout,32 the government justified registration as a tool to stop the abuse of media to destabilize society.33 No penalties were reported for noncompliance. There were no other documented economic constraints imposed by the government or other institutions specifically targeting online media outlets, nor documented instances of commentators with undeclared sponsorship manipulating political debate online.

Online media practitioners and social media commentators reported a climate of self-censorship on political and religious topics during the coverage period of this report, which saw fatal attacks on bloggers and several criminal charges in relation to digital activity (see and Prosecutions and Detentions for Online Activities). Dozens of bloggers have fled the country, and associates of other victims have closed their blogs or sought refuge with diplomatic missions (see Intimidation and Violence).34

..............................................................................
Violations of User Rights:

The year 2015 saw the most casualties for online activists in Bangladesh on record. During the coverage period of this report, blogger Niladri Chattopadhyay Niloy, and publisher Faisal Arefin Dipon were fatally attacked by religious extremists, along with an LGBTI activist. In August, 2015, a public university teacher was found guilty of sedition and sentenced in absentia to three years of rigorous imprisonment, which includes hard labor. He had made a derogatory comment about the prime minister on Facebook in 2011. Other arrests under the ICT Act within the coverage period of this report included that of journalist Probir Sikdar.

Legal Environment

Article 39 (1, 2) of Chapter 2 in the Constitution of the People’s Republic of Bangladesh recognizes freedom of thought, conscience, and speech as a fundamental right.40 Online expression has been traditionally considered to fall within the scope of this provision. The judicial system of Bangladesh is independent from the executive and the legislative branches of government, but critics say it can be partisan. Police and regulators generally bypass the courts to implement censorship and surveillance without oversight.41

The Information and Communication Technology Act of 2006 is the primary legal reference for addressing issues related to internet usage. Though it defines and ostensibly protects freedom of expression online,42 it introduced punishments for citizens who violate others’ rights to communicate electronically: Section 56 of the act defined hacking as a crime punishable by up to three years in prison, a fine of BDT 10,000,000 (US$125,000), or both. However, under Section 57, different types of violations involving social, political, and religious content distributed electronically are punishable by a minimum of seven years of imprisonment and fines up to BDT 10,000,000 (US$125,000).43 On August 19, 2013, the ICT act was amended, increasing the maximum prison term from 10 to 14 years.44 Sections 68 and 82 respectively contain provisions for a Cyber Tribunal and Cyber Appellate Tribunal to expedite judicial work related to any cybercrime. In 2016, there was one Cyber Tribunal in Dhaka, headed by a low-ranking member of the judiciary. The Appellate Tribunal, which can dissolve the Cyber Tribunal’s verdicts, had yet to be formed.45

Before the 2013 amendment came into effect, police had to seek permission before making ICT-related arrests.46 Now no warrant is required, and offences under the act are non-bailable, meaning suspects must apply for bail at a court.47 The harsher provisions in the ICT Act may reflect the government’s insecurity regarding internet activism and security.

..............................................................................

Prosecutions and Detentions for Online Activities

Arrests and prosecutions under the ICT Act have been documented since 2013, when the law was first widely applied. The most talked about arrest within the coverage period of this report concerned journalist Probir Sikdar. On August 16, 2015, Probir Sikdar was arrested and later sued for libel under the ICT Act for publishing a comment about a government minister on his Facebook page. In that comment, he said that the minister, a businessman, and a convicted war criminal were responsible for putting his life in danger.50 He had previously reported on the three men and their alleged activities during the 1971 war in a 2001 news reportFollowing protests from local and international civil rights organizations, he was released on bail on August 19.51 In mid-2016, the charges remained pending.

A disproportionate sentence was also reported during the coverage period, though the defendant did not report to the court to serve the time. On August 12, 2015, a court in Dhaka sentenced public university teacher Ruhul Amin Khandker in absentia to three years of rigorous imprisonment, which includes hard labor, and a fine of BDT 10,000 (US$ 125) for sedition. The charge was filed in relation to a comment about the prime minister made on Facebook in 2011.52
Other cases were reported during the coverage period:
  • On August 18, 2015, ruling party politician Wasim Sajjad Likhon filed a case under the ICT Act against Islam Jahurul, who the politician said desecrated an image of Prime Minister Sheikh Hasina and disseminated it on Facebook.53
  • On December 3, officers of the special Rapid Action Battalion (RAB) forces in Dhaka arrested Towhid Hasan from Pirojpur, Tanvir Ahmed from Shariatpur, and Omar Faruk from Sirajganj, apparently for using Facebook while it was blocked. The three men, 21, 18, and 22 years old respectively, “propagated against the country’s constructive activities” by “using blocked Facebook…to share harmful links and provoke others to use the links,” news reports said, citing an RAB press release.54 It was not clear which law they were charged under, and the nature of the content they are accused of sharing was not reported. Though other officials threatened the users of proxy servers with repercussions in 2015,55 VPNs are widely used in Bangladesh.
  • On December 10, RAB officers arrested satirical writer Refayet Ahmed, the administrator of the popular Facebook page MojaLosss? ("Are You Making Fun?"), for making “provocative Facebook posts against the government and the state.” 56 The page won popularity for using satire to talk about corruption and other social problems. A case was filed against Refayet under the ICT Act. On December 14, he was freed on bail.57

Surveillance, Privacy, and Anonymity

According to Article 43 of the country’s constitution, Bangladesh recognizes its citizens’ right to privacy and correspondence.59 However, there is no specific privacy or data protection law in Bangladesh, leaving internet and mobile phone users vulnerable to privacy violations, predominantly through the voluntarily sharing of information via mobile phones and the internet.60

Although the government does not require individuals to register to blog or use the internet, registration became mandatory for online news portals during the coverage period (see Media, Diversity, and Content Manipulation). Since the end of 2015, citizens are also required to provide biometric details, in addition to national identity cards and related personal information, to obtain a mobile connection.61 Citizen rights groups raised concerns about the security of the process and possible usage of biometric data by third parties.62

The government can request telecommunications providers retain the data of any user for an unspecified period under the Bangladesh Telecommunication Regulatory Act 2001.63 The Act was amended in 2010 and allows government mechanisms to intercept electronic voice or data communications from any individual or institution to ensure the security of the state without a court order; the act also requires domestic service providers to cooperate, though without clear provisions detailing procedures or penalties for noncompliance.64

During the coverage period, local news reports said the home ministry had submitted a proposal to purchase approximately US$ 25 million worth of equipment from foreign companies to upgrade its mobile telephony, internet, and related surveillance networks. The proposal asked the cabinet committee on economic affairs to relax procurement regulations to facilitate the purchase, which would enable the National Telecommunication Monitoring Center (NTMC) to conduct "lawful interception" to assist local law enforcement agencies. The center has operated under the home ministry since February 2014, the news reports said. Foreign companies listed in the proposal include U.S. firms Verint Systems and SS8, German firms Trovicor and UTIMACO, the Italian firm RCS, the Chinese firm Inovatio, and the Swiss firm New Saft. 65 The companies advertise equipment capable of analyzing data traffic, calls, emails, and audiovisual materials online.

In 2014, the UK-based nonprofit Privacy International reported that Bangladesh’s Rapid Action Battalion, a special forces unit implicated in human rights abuses, was seeking to purchase mobile surveillance technology from a company based in Switzerland. The technology would allow police to “indiscriminately gather data from thousands of mobile phones in a specific area and at public events such as political demonstrations,” according to Privacy International.66 The same year, leaked documents about a Bangladesh law enforcement agency’s 2012 purchase of FinFisher software distributed by Gamma International to monitor digital traffic was published on Wikileaks.67

According to Facebook, the Bangladesh government made three requests to the social network service provider for information on three Facebook users between January and June 2015, but Facebook did not comply.68

Intimidation and Violence

Blogger Niladri Chattopadhyay Niloy and Xulhaz Mannan, the founder of a magazine on LGBTI issues with a well-established online following, were murdered between June 2015 and May 2016. Faisal Arefin Dipon, a publisher who worked with another murdered blogger, was also killed.
This continued a violent trend. Between February 2013 and June 2016, at least 39 people were murdered in Bangladesh by religious extremists targeting high profile proponents of secular viewpoints.69 “Atheist bloggers” were particularly singled out as key instigators behind the 2013 Shahbag Movement (see Digital Activism) which catalyzed the campaign of killings.70 Armed assailants hospitalized blogger Asif Mohiuddin with serious stab wounds in January 2013;71 now overseas, he believes he remains on a hit list.72 In February, leading Shahbag activist Ahmed Rajib Haider was murdered.73 Police found a series of posts targeting Rajib and other key figures in the movement on the blog Sonar Bangladesh, which the BTRC subsequently blocked.74

Though Al-Qaeda networks claimed responsibility in some cases,75 police have say local radical groups, notably Ansarullah Bangla Team, recruited and trained students and religious teachers to execute the targets, frequently using machetes.76 Eight members of the group have been convicted for their involvement in the killing of Ahmed Rajib Haider in 2013, though two remain at large (see Legal Environment).....................

In April 2016, armed men killed Xulhaz Mannan in his apartment in Dhaka along with a friend.78 Mannan founded Roopbaan, a print magazine serving the LGBTI community, in 2014. Homosexuality is a criminal offence in Bangladesh.79 The magazine had limited distribution because of the sensitivity of the topic,80 but formed part of a wider advocacy network that used social media to create community online and advocate for LGBTI causes, including an annual Rainbow Rally coinciding with Bengali new year celebrations, which was cancelled in 2016 as a result of permit issues and threats.81 Ansarullah Bangla Team claimed responsibility for the murders.82
The year 2015 saw unprecedented physical violence against online activists and their colleagues:
..........................................................................................

This disturbing series of fatal attacks on secular bloggers has increased security concerns in the online activist community. A handful of bloggers left the country or sought asylum abroad during the coverage period of this report. Others have expressed their determination to continue writing.....

Excerpted from Freedom House report Freedom on the Net 2016