By হিরন্ময় শ্যেণ
মণীষী বাক্যে আছে, যেখানে
দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো মাণিক রতন! খুঁজিতে হয় নাই। উনি আগেই আবিস্কৃত হইয়াছেন।
তিনি তখন নিজেই রায় লিখিতেছিলেন। অকাশের ঠিকানা অবলম্বনে। আর যাহা হউক প্রতিভাকে
তো আর চেপে রাখা যায় না। মানিক যতো কদাকার থলিতেই থাকুক না কেন উহার প্রভা ছড়াইবেই।
কারও না কারও চোখ পড়িবেই। আর দুষ্ট লোকের
তো কথাই নাই।
খতরনাক সাংবাদিকের চোখেও
প্রতিভা ধরা পড়িয়া গেলো। তিনি এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার অন্যতম সিনিয়র সদস্য
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েলের মনোযোগ টানিতেই তিনি বলিলেন, ইহা আর নতুন কি! উনি তো আদালতেই সংসদকে লইয়া
অনেক কথাই বলিয়াছেন। সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করিয়াছেন। স্পিকারের জ্ঞান লইয়াও কথা
তুলিয়াছিলেন। সংসদ সদস্যরা তাঁর এসব বক্তব্যের জন্য নিন্দুকের মতো খাঁটি সমঝদার
না হইয়া পারেন নাই।
এর আগে গতকাল শনিবার,
আগস্ট ২৬, এক আলোচনা সভায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রধান বিচারপতি
সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ‘সরাসরি
রায় দিয়া মোক্ষম মধ্যম পুরুষ ব্যবহার
করিয়া কহিলেন , 'সবচেয়ে বড় কথা, তুমি
শুধু প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়বা না, এই দেশ ছাড়তে হবে। এ
দেশে থাকার কোনো অধিকার তোমার নাই।’
এ বিষয়টি উল্লেখ করে আজ
একজন সাংবাদিক বাণিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চান। জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি মানিকের এই কথার
বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তিনি নিজেও সংসদকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন।’
২০১২ সালের ২৯ মে জাতীয়
সংসদের অধিবেশনে স্পিকার ও একজন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্য নিয়ে ওই বছর ৫
জুন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সড়ক
ভবন-সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে সংসদে দেওয়া স্পিকারের ওই বক্তব্যের বিষয়ে
আদালতে মন্তব্য করেন। ওই দিনই সংসদের অধিবেশনে বিচারপতির ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ
করেন কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে বিচারপতি মানিকের
অপসারণ দাবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন স্পিকার আবদুল হামিদ সংসদে রুলিং দেন।
সেখানে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
No comments:
Post a Comment