— ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম
|
স্বাধীনতার যুদ্ধের মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীর উত্তম |
স্বাধীন বাংলাদেশ ও জিয়া একে অপরের পরিপূরক। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। জিয়া বাংলাদেশের আপামর জনগণের হৃদয়ে মেজর জিয়া নামে প্রতিষ্ঠিত। মেজর জিয়া ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্টনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতা উত্তর সরকার ‘বীরউত্তম’ খেতাবে ভুষিত করেন জিয়াকে। স্বাধীনতার ঘোষণার আগেই ১৯৭১ সাল ২৫শে মার্চ রাজনৈতিক নেতারা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন অথবা পালিয়ে যান। শহীদ জিয়া সংকট মূহুর্তে শুধু স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রনাঙ্গনে যুদ্ধে নেতৃত্বও দেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা হলে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করা হবে। এটাই সত্য ও ইতিহাস। ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে। হিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি এবং আদালতের রায় দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায় না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সাথে শহীদ জিয়ার নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং কখনোই স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ থেকে জিয়াকে বিচ্ছেদ করা যাবে না।মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার স্বীকৃতিসরূপ স্বাধীনতার ঘোষক, রনাঙ্গনের যোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে যে খেতাব দেওয়া হয় তা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা নিকৃষ্টতম সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন ও হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। স্বীকৃত সত্য শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও রনাঙ্গনের যোদ্ধা। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যারা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা মূলত স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। তাই জিয়াউর রহমানের খেতাব সরকার বাতিল বা যাই করুক না কেনো তিনি এদেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদশের ইতিহাসও এটাই বলে।
— লেখক সিনিয়র সায়েন্টিস্ট, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি
No comments:
Post a Comment