Search

Tuesday, February 20, 2018

চট্টগ্রামে কিশোর অপরাধী তৈরির নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক বড়ভাই’


চট্টগ্রামে কিশোর অপরাধী তৈরির নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক বড়ভাই’। যাদের সঙ্গে মিশে বিপথগামী হচ্ছে স্কুলপড়ুয়া কিশোররা। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। যা পেয়ে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও মাদকদ্রব্য বিক্রির মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে কিশোররা। 

গত রোববার সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করার পর পুলিশকে গুলির দায়ে আটক ৬ কিশোর সরল মনে এই স্বীকারোক্তি প্রদান করে। শুক্রবার পুলিশকে গুলি করার ঘটনায় শনিবার ও রোববার দুইদিনে ৬ কিশোরকে আটক করে পুলিশ।

যারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও একই স্বীকারেক্তি প্রদান করে। স্বীকারোক্তিতে পুলিশকে গুলি করা পিস্তলটি রাজনৈতিক বড়ভাই ফারুকের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। আবার ঘটনার পরপরই ফারুককে পিস্তলটি ফেরত দেয়া হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেন। 

ফারুক নগরীর এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা। সে পেশাদার ছিনতাইকারী। তারই নির্দেশে আটক খোকন চৌধুরী (২৪) গুলি লোড করে পিস্তল নিয়ে তার সহযোগী আয়মান জিহাদের বন্ধুকে মারতে যাচ্ছিল। এমন স্বীকারোক্তি দেন খোকন চৌধুরী নিজেই। আদালত তাদের এই স্বীকারোক্তি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেন। 

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ গতকাল সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, শুক্রবার নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইটে রেলস্টেশন সড়ক মুখে তল্লাশি চৌকিতে পাঁচলাইশ থানার এসআই আবদুল মালেককে গুলি করার পর ঘটনাস্থল থেকে আবদুল হাকিম অভি (১৯) এবং দুই দিনের অভিযানে ৫ জনকে আটকের পর সন্ধ্যা ৭টায় সিএমএম আদালতে নেয়া হয়। এরপর আটককৃত ৬ জনই পৃথক পৃথক জবানবন্দি দেন আদালত। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। 

তিনি বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে এ পর্যন্ত ১০ কিশোর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যাদের বয়স ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। এদের বেশিরভাগই এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তবে এরমধ্যে একজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রও রয়েছে। রয়েছে দুজন  পেশাদার ছিনতাইকারীও।  

এরমধ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে ছিনতাইকারী খোকন চৌধুরী। সে বোয়ালখালী উপজেলার দিলীপ চৌধুরীর ছেলে। তারা ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ফারুককেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। স্বীকারোক্তি মোতাবেক  তাদের ‘বড়ভাই’ ফারুকই তাদের বিপথগামী করে তোলে। বড়ভাইয়ের নির্দেশে তারা সিআরবি এলাকায় প্রতিপক্ষের একজনকে খুন করতে যাচ্ছিল। কিন্তু তল্লাশি চৌকিতে ধরা পড়ার ভয়ে তারা পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে যায়। 

একইভাবে মাত্র দু’মাস আগে গত বছরের ১২ই ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় নগরীর জামালখান এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে। আদনান হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক বড়ভাই যুবলীগ নেতা এনাম কিশোরদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল।

এভাবে চট্টগ্রাম মহানগরীর সবক’টি স্কুল-কলেজকেন্দ্রিক কিশোররা অবস্থান ভেদে রাজনৈতিক বড়ভাইদের ছত্রছায়ায় নানা অপরাধে লিপ্ত রয়েছে। যারা দিন ও রাতে নগরীর বিভিন্ন সড়কের ব্যস্ততম মোড়, আবাসিক এলাকা, বিনোদন পার্কগুলোতে আড্ডা দেয়। 

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এ ধরনের প্রায় তিন শতাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। যারা হরহামেশাই চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণের মতো নানা অপরাধে জড়িত রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারে একে অপরকে খুন করতেও তারা পিছপা হচ্ছে না। 

তিনি আরো বলেন, কিশোর হওয়ায় এসব অপরাধে লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে আগে পুলিশের ধারণা ছিল না। ফলে কিশোরদের দিকে পুলিশের নজর তেমন একটা ছিল না। আর এ সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে রাজনৈতিক বড়ভাইরা। যাদের নিয়ে নির্বিঘ্নে নীরবে নানা অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে কিশোররা। এরমধ্যে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রি করার বিষয়টিও রয়েছে।   

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালে কিশোর গ্যাংয়ের গুলিতে আহত নগরীর পাঁচলাইশ থানার এএসআই আবদুল মালেক বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় একই থানার এসআই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। 

এ মামলায় ঘটনার দিন আটক আবদুল হাকিম অভি (১৯), শনিবার নগরীর মুরাদপুর থেকে আটক মাইনুদ্দিন ফরিদ ওরফে রাকিব (১৭) ও নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে আটক জুবায়ের হোসেন প্রত্যয় (১৭) রোববার জেলার আনোয়ারা উপজেলা থেকে আটক খোকন চৌধুরী (২৪) ও আয়মান জিহাদ (১৭) এবং নগরীর রহমান নগর থেকে আটক তানজিল করিম খান মাহি (১৮)কে আসামি করা হয়। 

এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, মামলায় খোকনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ কিশোর গ্রেপ্তার হলেও চার জন বাইরে রয়েছে। পুলিশকে গুলি করা পিস্তলটিও উদ্ধার হয়নি এখনো। পিস্তলটির মালিক ফারুককেও খুঁজছে পুলিশ। 

তিনি বলেন, আটক ও আসামি কিশোররা বেশিরভাগই যুবলীগ সন্ত্রাসী কারাবন্দি অমিত মুহুরির অনুসারী। তাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সোলায়মান বাদশার নামও উঠে এসেছে। তিনি ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ ওয়াসিমের অনুসারী। তারা সবসময় নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ১২ থেকে ১৬ নম্বর বাড়ির সামনে আড্ডা দেয়। এ গ্রুপটির নেতৃত্বে আছে আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের কথিত ছাত্রলীগ নেতা একরাম ও আরিফ।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন বলেন, পুলিশকে গুলি করার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি সমপৃক্ত বলে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তারা ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েক জনের নামও বলেছে। এরমধ্যে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন প্রত্যয় ও সাইফুদ্দিন ফরিদ ওরফে রাকিবের জামিন আবেদন করা হলেও প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগার থেকে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতিসহ পরীক্ষা শেষে তাদের গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত সেইফ হোমে পাঠানোর আদেশ দেন। 

  • Courtesy: Manabzamin Feb 20, 2018

খালেদা জিয়ার সাজা-পরবর্তী রাজনীতি

ক্ষতি হলো আওয়ামী লীগের - কাদের সিদ্দিকী



দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আওয়ামী লীগ অথবা বর্তমান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। এ কারণে বিএনপিও নড়াচড়া করার একটা পথ পেয়েছে বলে তার ধারণা।

খালেদা জিয়ার সাজা-পরবর্তী রাজনীতি নিয়ে সমকালের সঙ্গে আলাপকালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ নেতা কাদের সিদ্দিকী বলেছেন,  ছোট চোরও চোর; বড় চোরও চোর। কিন্তু বর্তমানে নানাভাবে হাজার হাজার লাখ লাখ কোটি কোটি টাকার তসরুপ হচ্ছে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মামলায় সাজা দেওয়ার বিষয়টিকে মানুষ খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের ভাষায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর যখন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। খালেদা জিয়ার শাস্তি সম্পর্কে ওই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন, সাধারণ মানুষ তা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। ওই মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রুজু করা মামলাটি একটি সাধারণ দুর্নীতির মামলা। এই মামলাটিকে ফৌজদারি চরিত্রে থাকতে দিলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাধুবাদ পাওয়া যেত। কিন্তু রাজনৈতিক চরিত্র দেওয়ায় বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কাদের সিদ্দিকীর প্রশ্ন- যে বিচারক খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন, আদেশের সময় তিনি কেন ডিভিশন দেননি? এটা নিয়ে তো কোনো প্রশ্নই হওয়ার কথা ছিল না। আর নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে কেন খালেদা জিয়াকে রাখা হলো? সাব-জেল ঘোষণা করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে তার বাড়িতেই রাখা যেত। এ সবকিছুই সাধারণ মানুষের কথা, তাদের ভাবনা।

কাদের সিদ্দিকীর মূল্যায়ন- খালেদা জিয়াকে একটি সাধারণ দুর্নীতির মামলায় দণ্ড দেওয়ায় আইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিচারালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কারণ একটাই। বিচারের আগে যদি এ নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা না হতো, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বহুল আলোচিত মামলাটির বিচার নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ দেখা দিত না। কেউ কোনো প্রশ্নও তুলত না।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেছেন, বিগত দিনের কিছু কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ অনেকটাই বিএনপি থেকে সরে গিয়েছিল। এ দেশের মানুষ আর হাওয়া ভবন দেখতে চায় না বলেই অনেক পেছনে পড়ে ছিল বিতর্কিত নেতা তারেক রহমান। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দণ্ড দিয়ে নির্জন কারাগারে পাঠানোর পর তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি অনেকটাই বেড়ে গেছে।

কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের সোজা-সাপটা কথা- মানুষ এক বেলা না খেয়ে থাকলে যতটা কষ্ট বোধ করে, ভোট দিতে না পারলে তার চাইতে বেশি ব্যথিত হয়। তারা গণতন্ত্রের কিছু বুঝুক আর না বুঝুক, ভোট বোঝে। ১৯৪৭ সালে তারা ভোটের মাধ্যমে সিলেটকে পূর্ব পাকিস্তানে এনেছিল। ১৯৫৪ সালে ভোট দিয়ে পাকিস্তানিদের স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েই তারা স্বাধীনতার সূচনা করেছিল। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা অস্ত্র হাতে রক্ত ঢেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছি।

চলমান রাজনীতিতে বিরাজমান সংকট সমাধানের পথও বাতলে দিয়েছেন আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ অর্থাৎ সরকারি প্রভাবমুক্ত সাধারণ নির্বাচনই সমস্যা থেকে উত্তরণের প্রধান উপাদান হতে পারে। এর কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বহু ঝড়-তুফান পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন। সামনে একটি ভালো সাধারণ নির্বাচন করাতে না পারলে তিনি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।

সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য কাদের সিদ্দিকী আরও বলেছেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যদি দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, বিচার বিভাগ সাহসী হয়, আইনের দ্বারা বিচার হয়, সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব অসুবিধায় পড়বেন। কাদের সিদ্দিকী স্মরণ করিয়ে দেন, দেশের অনেক মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট অথবা দল অথবা এই দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে আছে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাদের সঙ্গে রয়েছে। কিংবা ওই দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আসল বাস্তবতা হলো, নিষ্ফ্ক্রিয় থাকলেও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও অন্ধকারেই আছে। জাতিও বিভক্ত হয়নি। 

  • Courtesy: Samakal Feb 2018

আমাদের কর্মীরা দলের নির্দেশ মানছে - নজরুল ইসলাম খান



বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশ শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও পালন করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে আমাদের। এমনকি এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েও আমাদের বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। খালেদা জিয়ার সাজা দেওয়ার আগে ও পরে মিলিয়ে চার হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি, জেলায়ও আমাদের নেতারা যাচ্ছেন। আমাদের ক্ষুব্ধ কর্মীরা যদি গাড়িতে ঢিল ছুড়ত, কাচ ভাঙত, তাহলে সরকারি দল বা সরকারি লোকেরা আগুন ধরিয়ে দিয়ে মানুষ মেরে আমাদের দোষ দিত। এই সুযোগটা আমরা দিতে চাইনি। এটিই ছিল নেত্রীর নির্দেশ। এত বড় ঘটনার পরও আমাদের কর্মীরা দলের নির্দেশ মানছে, এটি একটি রাজনৈতিক দলের জন্য বড় বিষয়।’

রবিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের টক শো রাজকাহনে ‘সহাবস্থানের পথ দেখা যায়?’ শীর্ষক আলোচনায় নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। সঞ্চালনা করেন নবনীতা চৌধুরী।

নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কর্মসূচি দিতে হবে সেটা খালেদা জিয়া বলে যাননি, তবে আমরা ঢাকায় নেতারা বসে যেটা ভালো মনে করছি, সেই কর্মসূচি দিচ্ছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। সরকারের উচিত হবে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধার সৃষ্টি না করা। রাজনৈতিক বিষয়ে তো সরকারেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। আমরা বলেছি, খালেদা জিয়াকে ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না। তাই বলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই শুধু নির্বাচনে যাওয়ার জন্য নয়।”

  • Courtesy: Kaler Kantho Feb 20, 2018

পরীক্ষার ফল নিয়ে বাণিজ্য

এরা কি ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে!



ভাবলে বিস্মিত হতে হয়, এ কী করে সম্ভব! মোবাইল ফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের যোগাযোগ সহজতর করেছে। কিন্তু সেই মাধ্যম আজ কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে? প্রকাশ্যে প্রশ্ন বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। যারা এসব করছে, তারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেন? দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কি এতই দুর্বল যে এদের কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারছে না! চলতি এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি। একটি পরীক্ষা বাতিল করা হতে পারে। একটি পরীক্ষা বাতিল হওয়া মানে পরীক্ষার্থীদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করা। অর্থাৎ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নতুন করে বাড়তি চাপ নিতে হবে। কিন্তু যারা এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত তাদের কী হবে? নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া তো কোনো বিকল্প হতে পারে না। প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো সেটাই হচ্ছে মূল কথা। প্রশ্নপত্র যাতে ফাঁস না হয়, সে জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কি নেওয়া সম্ভব হয়েছে? ওদিকে চমকে দেওয়ার মতো খবর এসেছে গতকালের কালের কণ্ঠে। বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে পরীক্ষার ফল পাল্টে দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে ও বিকাশ মাধ্যম ব্যবহার করে টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক অভিভাবক এই ফাঁদে পা দিয়েছেন। জিপিএ ৫, গোল্ডেন ৫ পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে এসব বিজ্ঞাপনে। এর আগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপনেও ব্যবহার করা হয়েছে টেলিফোন নম্বর। এরা কারা? এদের এই শক্তির উৎস কী? আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন এদের খুঁজে বের করতে পারছে না। এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে, উৎসে গেলে।

এটা ঠিক যে আমাদের দেশে অনেকের নৈতিক অধঃপতন ঘটেছে চরম পর্যায়ে। কিছু মানুষ যেমন নৈতিকতা ভুলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অনৈতিক বাণিজ্যে নেমেছে, তেমনি কিছু অভিভাবকও নিজেদের নৈতিক অবস্থানের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। এতে দেশের যে সর্বনাশ হচ্ছে, নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে, তা কি তাঁরা বুঝতে পারছেন না? এ অবস্থা বেশি দিন চলতে দেওয়া যাবে না। একটি জাতি তো এভাবে অনৈতিকতার সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে না। জাতির এই অধঃপতন এখনই বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব ফেসবুক আইডি ও ফোন নম্বর খুঁজে বের করা অসম্ভব ব্যাপার নয়। আমরা মনে করি, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই প্রযুক্তিগত ও প্রয়োগিক সামর্থ্য আছে। এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন আন্তরিকতা।
  • Courtesy: Kaler Kantho editorial Feb 20, 2018


Monday, February 19, 2018

It’s vendetta in Dhaka. India must not meddle


 Bharat Bhushan



The general election in Bangladesh is due in December this year and the leader of the main Opposition, the Bangladesh Nationalist Party (BNP), former Prime Minister Begum Khaleda Zia, has been jailed for five years on corruption charges. Unless this conviction is overturned, the BNP may be forced to go into the election without her at the helm.

India has chosen not to react publicly to the developments in Bangladesh. This is likely to be interpreted as continuing support for Sheikh Hasina’s Awami League government.

India tacitly supported the one-sided general election of 2014 which was boycotted by the BNP. More than 50 per cent of the seats in that election (154 out of 300) were won uncontested. With a mere 22 per cent polling, that election was legitimised by India’s backing.

Under Sheikh Hasina, much has been achieved in India-Bangladesh ties which could not be accomplished in the BNP’s tenure. Hoping to continue the uptick in bilateral relations, New Delhi may be tempted to go along with the legal machinations of the Awami League to grab the coming general election. If it gives in, India would be making the same mistake — backing a particular party or leader — that has caused it so much grief in Nepal and in the Maldives.

The allegations against Begum Khaleda Zia date back to 1991 and the case itself was filed 18 years late. The trial has been hastened to ensure a conviction virtually on the eve of the general election in order to disqualify her from contesting.

In 1991, the Emir of Kuwait made a donation of $1,255,000 (Taka 4.5 crores) to set up an orphanage in the name of late President Zia-ur Rehman after his assassination. The grant came in the name of “Prime Minister’s Orphanage Fund”, while no such fund existed in the Prime Minister’s Office. In 1993, the Kuwaiti grant (including the interest accrued) was split equally and Taka 2.33 crores each was credited to two newly-created private trusts — the “Zia Orphanage Trust” in Bogra and the “Zia Memorial Orphanage Trust” in Bagerhat. The first was set up by Zia’s sons Tarique Rahman and Arafat Rahman, and the second by a former BNP foreign minister, Mustafizur Rahman. No documentary evidence has been produced to show that Begum Khaleda Zia had any role in setting up these trusts. The money lies unspent till today due to the continuous litigation and is now estimated to be over Taka 6 crores.

Begum Zia, her son Tarique and four others have been convicted in the Zia Orphanage Trust case involving the measly sum of Taka 2.33 crores. While the legal issues will have to be settled by Bangladeshi legal experts, the political significance of the case is undoubted.

The cases were instituted by the Army-backed caretaker government which held power in 2006-2008. It was working on the so-called “Minus Two” formula to oust both former Prime Ministers — Begum Zia and Sheikh Hasina — from public life. Corruption cases were launched against both — four against the former and 15 against the latter.

The cases against Sheikh Hasina were dropped for being politically motivated when she assumed power in 2009. However, those against Begum Zia remained and new ones were instituted, adding up to 36. Since then, 78,000 cases have been filed against an astounding 800,000 BNP leaders and cadres across the country. The political nature of the lawsuits is quite apparent.

The conviction of Begum Zia may have several objectives. It could serve to provoke the BNP to keep out of the elections or split it or at any rate ensure that the party goes to the polls without its star campaigner.

It is already clear that the BNP will not boycott the polls. By declaring Tarique Rahman as acting chairman of the party, the BNP seems to be preparing for the worst case scenario in which Begum Zia is denied bail.

As of now it may seem advantage Sheikh Hasina. Her credibility is high internationally because of her sheltering nearly 700,000 Rohingya refugees who poured into Bangladesh after August 25, 2017. The country has also witnessed unprecedented development under her rule — economic growth is expected to be consistent at above seven per cent, consumption and income levels have risen and the average annual growth in the Human Development Index has been the best in South Asia.

Yet there is considerable disquiet among the people about increasing executive control of the judiciary (the last Chief Justice of the Supreme Court was chased out of the country on trumped-up charges of corruption), the increasing reliance on the security forces — specially the Rapid Action Battalion (RAB) — for governance, the state’s stranglehold over the media, the threat to civil society and free speech as well as the enforced disappearances of dissidents. In a free and fair election, therefore, the outcome may be uncertain.

India is more than happy with the Awami League government and may like to see it return to power. Indian apprehensions about the BNP arise from its past record of going against Indian interests and the suspicion of Pakistan’s influence on the party and its ally, the Jamaat-e-Islami. This alliance is also seen as worryingly ideological by India despite the BNP’s protestations that it is only an electoral arrangement.

Some Bangladeshis, therefore, believe that India will be comfortable if a hobbled BNP participates in the election. Sheikh Hasina would then likely come back to power with greater legitimacy.

Such a surmise may be incorrect. It is unlikely that India would contribute to a distortion of the political process in Bangladesh yet again. It can ill-afford to support the Awami League’s machinations as in 2014 without inviting international criticism and turning the Bangladeshi people hostile. India may, therefore, desist from any overt or covert interference. If its advice is sought, India should aim to promote only such actions which will strengthen the integrity of the democratic process and allow the people’s will — whichever way it goes — to manifest itself in a free and fair manner.

  • The writer is a senior journalist based in New Delhi.


Source: deccanchronicle.com 

Sheikh Hasina: An Emerging Dictator


by Rachel Avraham  



Ever since the 2014 sham elections in Bangladesh, it was a huge question mark whether Sheikh Hasina could still be considered a ruler of a democratic country or not. However, recent events have demonstrated that Sheikh Hasina is in fact no democrat but rather is an emerging Asian dictator who is aligned with Turkish Prime Minister Recep Tayyip Erdogan.

According to recent reports, Bangladeshi Opposition Leader Khaleda Zia, who has been struggling with Sheikh Hasina to rule Bangladesh for decades, is set to get 5 years imprisonment on corruption charges. The implication of this decision is that during a critical election year in the South Asian country, the main opposition leader will not be able to run against ruling Prime Minister Sheikh Hasina during a time when the Awami League ruler’s popularity is at an all-time low and when Khaleda Zia as the widow of a former military ruler has gained increased prominence.

Given this reality, those who are associated with the Bangladeshi Opposition claim that the charges against Khaleda Zia are a sham specifically designed to undermine her ability to compete against Sheikh Hasina in the upcoming elections since Bangladeshi law bars someone who is sentenced to more than two years behind bars from running for office. Israeli Druze diplomat Mendi Safadi, the head of the Safadi Center for International Relations and Public Diplomacy, proclaimed following the conviction of Khaleda Zia: “It is true that there is an ideological gap between us and Khaleda Zia but we oppose the decision to stop her for the same reason that we oppose any other political arrest. Every citizen of the country has the right to conduct legal political activity and political activists must not be arrested because their views are contrary to the government’s position.”

“Many friends have been arrested because of their legitimate political activity,” Safadi added. “I myself have been persecuted for legitimate political activity for the sake of my people and for a good future for Bangladesh. We must not remain silent on the government’s oppression and should work for human rights, democracy and freedom in the country. The government of Sheikh Hasina violates all our rights. It uses oppression, terrorism and ethnic cleansing against minorities. It is time to stand up and to say we will not agree to this oppression. We want a fair leadership that respects us as citizens, even if we do not agree on the same ideology. Even if we are in the opposition, we have the right to conduct political activity.”

“After all of the human rights violations that occurred until the arrest of Opposition Leader Khaleda Zia, it seems like we have no choice but to go for mass demonstrations in the streets of Bangladesh, to lead a revolution against Sheikh Hasina’s government and to demand protection from the free world,” Safadi noted. “God bless the people of Bangladesh!”

Around the same period of time that Khaleda Zia was arrested, it has emerged that the Sheikh Hasina government is increasingly building up ties with Turkish Prime Minister Recep Tayyip Erdogan, another democratically elected leader who transformed his country into an unfree dictatorship. Last September, Turkish First Lady Emine Erdogan visited Rohinya Muslim refugees in Bangladesh. In addition, Turkey’s Foreign Minister Mevlut Cavusoglu invited Bangladesh to open up their doors to assist Muslim Rohinya refugees and even offered to pay for the expenses associated with such a gesture but Turkey offered no such humanitarian gesture to the Hindu Rohingya, who have been ethnically cleansed from their homes and live under horrendous conditions in Bangladesh presently.

Soon after Erdogan highlighted his humanitarian concern for the Muslim Rohingya but not the Hindu Rohingya in Bangladesh, Turkey proceeded to attack the Kurds in Afrin and the ancient Temple of Ain Dara. The attack was strongly condemned by Syria’s Archaeological Survey Office. Mamum Abdul Karim, a former Syrian antiquities official, said that tourists used to be attracted to visit the lion sculptures in the temple, emphasizing that the attack on Ain Dara was a major loss and was en par with the destruction of the Temple of Bel in Palmyra. The Temple of Ain Dara is considered a UNESCO world heritage site in danger. The ancient temple dates back to the times of King Solomon and was considered by archaeologists to be a living monument to how King Solomon’s Temple could have looked like.

“The damage to Ain Dara is tragic,” Brian Daniels, co-director of the Safeguarding the Heritage of Syria and Iraq Project, told Artnet News. “It does not strike me that there has been a particular lull in cultural destruction, only that it has been less reported and specifically less ISIS driven since the collapse of that group’s organization.”

Like Erdogan’s attack upon Ain Dara, Sheikh Hasina’s government is similarly not disturbed whenever historic Hindu temples are destroyed within her country. Shipan Kumer Basu, the head of the Hindu Struggle Committee, related: “Every day, Hindu women are gang raped and Hindu homes are being burnt down. The present government has no qualms about that and also ensures that there is no news going out on the persecution of minorities within the country. If any journalist publishes news on this issue, he or she will be punished. We need help to ensure the future of the minorities of Bangladesh.”

Source: foreignpolicyblogs.com


রাজস্ব আহরণ - সাত মাসেই ঘাটতি সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

আব্বাস উদ্দিন নয়ন



নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় খাতটি থেকে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির আশঙ্কা আগেই করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের রাজস্বে সবচেয়ে বেশি ঘাটতিও হয়েছে এ খাতটিতেই। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে শুধু মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট থেকেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব এসেছে। শুল্ক ও আয়কর যোগ করলে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেই সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে এনবিআর।

আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক মিলে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। এনবিআরের সাময়িক হিসাবে, এর বিপরীতে আলোচ্য সময়ে রাজস্ব এসেছে ১ লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটি।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যদিও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

রাজস্ব আহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্যাটের একক হার ১৫ শতাংশ হিসাব করে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ খাতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণ সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে অনলাইন পদ্ধতির কথা চিন্তা করে আয়কর খাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হলেও ব্যাহত হয়েছে এ প্রক্রিয়া। পাশাপাশি সিগারেট, ব্যাংক, বীমাসহ বৃহৎ খাতগুলো থেকে রাজস্ব আহরণ কম হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে এনবিআর।

জানতে চাইলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে এনবিআর। বকেয়া আদায় ও মামলা নিষ্পত্তিতে জোর দেয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব মামলা চলমান আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও বকেয়া রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কর ও ভ্যাটের জরিপ চালিয়ে করজালের বাইরে যারা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে রাজস্ব আদায় করা হবে। তবে মানুষকে চাপ দিয়ে, কষ্ট দিয়ে কর আদায় করা হবে না। বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ (ট্রেড ফ্যাসিলিটেড) করার মাধ্যমে কর আদায় করা হবে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রাজস্ব আহরণে সবচেয়ে বেশি ১৫ শতাংশ ঘাটতি দেখা দিয়েছে ভ্যাটে। ৪৮ হাজার ৯০২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ সময়ে ভ্যাট থেকে রাজস্ব এসেছে ৪১ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এ রাজস্ব গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা কম। যদিও ভ্যাট সচেতনতা বাড়াতে ভ্যাট সপ্তাহ, ভ্যাট দিবসসহ নানা কর্মসূচির পাশাপাশি ভ্যাট ফাঁকি রোধে মাঠপর্যায়ে বেশকিছু অভিযান পরিচালনা করেছে এনবিআর। এ সময়ে ভ্যাট রিটার্নের সংখ্যাও ৩২ হাজার থেকে বাড়িয়ে প্রায় ৯০ হাজারে উন্নীত করেছে সংস্থাটি।

আয়কর মেলা, আয়কর সপ্তাহ, আয়কর ক্যাম্প আয়োজনসহ রাজস্ব আহরণ বাড়াতে নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও আয়করেও বড় ধরনের ঘাটতিতে রয়েছে এনবিআর। রাজস্ব আহরণের দ্বিতীয় বৃহৎ খাতটিতে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে সংস্থাটি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ করে ৩৮ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এনবিআর আহরণ করেছে ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। এ সময় আয়করে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থবছরের শুরুতে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার হার কিছুটা কম থাকায় এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আয়করের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে আমদানি-রফতানি পর্যায়ের শুল্ক। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৩৭ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে শুল্ক থেকে রাজস্ব এসেছে ৩৫ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ খাতে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে ২ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় খাতটি থেকে ১৭ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি রাজস্ব পেয়েছে এনবিআর।

বাস্তবতা বিবেচনায় না নিয়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় এ ঘাটতি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। শেষ মুহূর্তে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন থেকে সরে আসাকেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার জন্য দায়ী করছেন তারা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, চলতি অর্থবছর রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা

নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এনবিআরের সক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় এ সময়ে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অর্থবছর শেষে ২০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির কথা বলা হলেও এটি তার চেয়ে বেশি হবে। তবে প্রতি বছরই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধনের একটি রীতি চালু হয়েছে। এবারো তা-ই করতে হবে। এ থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার কারণে পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। অনলাইনভিত্তিক নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের পরিকল্পনায় চলতি অর্থবছরে আবারো ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ভ্যাট থেকে আহরণের লক্ষ্য ধরা হয় ৯১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এছাড়া আয়কর থেকে ৮৭ হাজার ১৯০ কোটি ও শুল্ক বাবদ ৭০ হাজার কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনবিআর।

  • Courtesy: Bonikbarta Feb 19, 2018

BNP moves to unite grassroots

Central leaders start visiting districts tomorrow

Mohammad Al-Masum Molla

The BNP central leaders will start grassroots tour tomorrow and hold a series of meetings in efforts to keep intact the organisational unity as they fear the government is out to split the party ahead of the next parliamentary election.

They will sit with the district and upazila units to ask party men to keep unity at any cost and not to make any reckless decisions, engage in violence and fall into government's trap, said insiders.   

The central leaders will also talk to the relatives of the party members now behind bars and will discuss the legal issues. A number of party leaders said they will also ask the grassroots to counter the government campaign to portray the Zia family as corrupt people.

Already, some of the central leaders have gone to some districts while the rest will join the party's demonstrations in all the district towns and metropolitan cities, except for Dhaka, on Tuesday.

“The presence of central leaders in districts will certainly be a great morale booster for grassroots activists,” BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir told The Daily Star.

After BNP Chairperson Khaleda Zia landed in jail in the Zia Orphanage Trust graft case on February 8, this will be the first large-scale organisational tour by central leaders. Instructed by party's acting chairman Tarique Rahman, Fakhrul will coordinate the whole programme from Dhaka, sources say.

There are 81 organisational districts of the party and the central leaders will go to those districts on February 20 to participate in demonstrations demanding release of Khaleda.

“When a central leader visits a district, the grassroots leaders are morally boosted. The central leaders will ask the grassroots to keep patience and unity and not to make any reckless decisions and fall into the government trap,” Barkat Ullah Bulu, told The Daily Star.

He also said the grassroots leaders and activists will be directed to counter the government propaganda in a peaceful and democratic way.

Nazrul Islam Khan, party's standing committee member, said following the directives of Tarique Rahman, the central leaders will talk to the family members of the detained leaders and will provide them with legal assistance if needed.

Around 78,000 cases have been filed against over 7.5 lakh BNP leaders and activists in last nine years, party sources claimed. More than 4,725 party leaders and activists were arrested across the country since January 30 till February 17, they added.

Since the verdict against Khaleda, senior leaders of the party have been sitting every day with various professional bodies and maintaining ties with the diplomats. Tarique Rahman is keeping in touch with top party men and issuing important decisions whenever it is needed. He also talked with various professional leaders, lawyers and intellectuals through teleconferencing.

The BNP has also been staging various protest programmes, except for shutdowns and blockade. It observed a token hunger strike on Wednesday, formed a human chain in front of the Jatiya Press Club on Monday and staged a sit-in before the party's Nayapaltan central office on Tuesday.

Yesterday, the Dhaka district unit of the party submitted a memorandum to Deputy Commissioner of Dhaka district Mohammad Salah Uddin demanding release of Khaleda. The party men also brought out a procession after coming out of the DC office.

In another development, Judge Md Akhtaruzzaman of Special Judge Court-5 in Dhaka assured the lawyers of providing them with the copy of the Zia orphanage verdict today after they asked about it.

Meanwhile, the Special Judge Court-2 asked Khaleda and 14 other accused to appear before it on March 25 in connection with Barapukuria coal mine graft case.

Kahleda was not produced before the court yesterday though it was the date for the hearing in Barapukuria case. She was on bail and her lawyer represented her.

  • Courtesy: The Daily Star Feb 19, 2018

শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ছাত্রলীগের ইন্টারনেট বাণিজ্য!


সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের চড়া মূল্যে ইন্টারনেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তাঁরা উপযুক্ত ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।

হল সূত্রে জানা যায়, গত মাসে হলে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইনোবিন’কে হলটিতে ফ্রি সংযোগ (ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে) বৃদ্ধি ও মাসিক চাঁদা দেওয়ার দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। এ নিয়ে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের মনোমালিন্য হয়।

একপর্যায়ে গত ১৮ জানুয়ারি রাতে হল ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রফিক ভবনের চতুর্থ তলায় থাকা সংযোগটির স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এর ফলে ২০ দিন বন্ধ থাকে হলের ইন্টারনেট সেবা। এ নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলটির একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ইনোবিনের সংযোগটি পুনরায় চালু করতে ছাত্রলীগ পরোক্ষভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। আগের সংযোগটিকেই পুনরায় পেতে এখন রেজিস্ট্রেশনের নামে শিক্ষার্থীদের গচ্চা দিতে হচ্ছে বাড়তি পাঁচশ টাকা এবং সংযোগ প্রতি আগের থেকে মাসিক বিল দুইশ টাকা বেশি।

অভিযোগ আছে, গত বছর ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণার পর সাধারণ সম্পাদক এহসান পিয়ালের অনুসারীরা হলটিতে থাকা স্বল্প মূল্যের ও ভালো স্পিডের কে এস নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে বিতাড়িত করে। পরে অধিকমূল্যের অত্যন্ত নিম্নমানের সার্ভিসের (ইনোবিন) সংযোগটি চালু করা হয়। এর পর থেকে এ নিয়ে ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান পিয়াল বলেন, তাঁরা পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে বিভিন্ন খরচ বাবদ পাঁচশ টাকা করে বেশি নিচ্ছে।

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অনোয়ারুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি হলের মধ্যে ফ্রি ইন্টারনেট কানেকশন করে দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে কিছু দুষ্কৃতকারী সংযোগ স্থাপনাটি বারবার ভেঙে ফেলে দিচ্ছে।’

‘তাঁরা এটার মধ্য দিয়ে কোনো ব্যবসা করছে কি না, জানি না। তবে ছাত্ররা চাইলে আমি পুরো হলে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা দিয়ে দেবো। তাদের বাইরের কোনো কোম্পানি থেকে ইন্টারনেট নেওয়ার দরকার হবে না,’ যোগ করে প্রাধ্যক্ষ।

তবে দুষ্কৃতকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের পরিচয় বলতে রাজি হননি ঢাবির এই শিক্ষক।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন ইনোবিনের কর্মচারী সুমন। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

  • Courtesy: NTV online Feb 19, 2018

BNP treads tightrope, eyes two goals

Rashed Ahmed Mitul


Bangladesh Nationalist Party is going ahead cautiously with its ongoing movement to free the party chairperson, Khaleda Zia, from jail and realise its demand for holding the 11th parliament election in free, fair and neutral manner.

The party remains alert so that the government cannot hold the next general election ‘unilaterally’ like it did on January 5, 2014, which was boycotted by BNP and most of the political parties, the party leaders say. They think that the Awami League wants to keep BNP away from the upcoming election or to weaken it through political persecution before the elections. So, they are rolling out programmes in which none would commit any act of sabotage to push BNP into an awkward situation.

Khandaker Mosharraf Hossain, senior most member of BNP’s highest policymaking body, told New Age that the current movement was both for pressing the government to release Khaleda and also to make it hold a free, fair and neutral election. He said the two issues were inter-related and the government resorted to such courses (political persecution) to keep Khaleda and BNP from the next parliament election.

Asked whether the ongoing movement would turn into a single point movement for the neutral poll, Mosharraf said time would determine it. He, however, said they were expecting that Khaleda Zia would return to them getting released from jail soon and then the matter would be decided.

So far, since Khaleda was sent to jail in a graft case on February 8, BNP took soft courses of movement to avoid any confrontational situation. It also does not want to lose organisational strength through arrest of its leaders and activists much ahead of the general election scheduled for December this year. Even then, till February 15, more than 4,500 of its leaders and activists were arrested across the country since January 30, BNP claims.

BNP secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir on Thursday said the government made a blueprint to make BNP devoid of leadership and keep it away from the next election.

Standing committee member Moudud Ahmed said their current peaceful movement was for freeing imprisoned Khaleda and realising their demand for holding the next general election in a fair and neutral manner. 

BNP senior leaders during its recent meetings with foreign diplomats in Dhaka days before and after Khaleda’s conviction clearly stated that they wanted to participate in the next general election under a neutral government.

A special judge’s court set up at Bakshibazar Alia Madrasa ground delivered the judgement sentencing Khaleda to five years’ jail while her elder son, now acting BNP chairman, Tarique Rahman and four others to 10 years jail and fined Tk 2.10 crore each in Zia Orphanage Trust corruption case.

Tarique has been staying in London since September, 2008. 

  • Courtesy: New Age Feb 19, 2018