Search

Tuesday, March 6, 2018

Mosquitoes are back with a vengeance

Inefficiency of Dhaka City Corporations


It defies logic that every year we have to editorialise on the onslaught of mosquitoes before the rainy season begins. The puzzling lethargy of the city corporations in taking pre-emptive measures to tackle the mosquito menace makes it seem as if it is a new phenomenon. But we have all learnt the bitter lesson of allowing mosquitoes to breed—through the continuous epidemics of dengue and chikungunya that have wreaked havoc on the city-dwellers the last few years. So with such a bitter experience, should we have not learnt our lesson?

A recent report in this paper has found that mosquitoes are proliferating everywhere—in homes, slums, hospitals, airports, and open spaces. This despite the hefty budgets—Tk 25.6 crore for DSCC and Tk 20 crore for DNCC—of the city corporations to procure chemicals and machines to combat the breeding of this deadly insect. Instead, our reporters have found that major water bodies and drains are infested with mosquitoes, and households are at their wits' end trying to combat the onslaught with sprays and mosquito coils that are proving to be ineffective, not to mention harmful to health. So what have the respective city corporations done with these budgets in the way of fighting these killer pests? So far it seems precious little.

It is now the beginning of the “mosquito season” and city-dwellers are already very anxious about how they will be spared of mosquito bites that may cause those dreaded diseases that have also led to some fatalities. There seems to be a total collapse in the municipal facilities of the city corporations. We, therefore, demand that the respective city authorities take up this task immediately and adopt effective measures—with chemicals and extensive cleaning of water bodies and drains (which they should be doing anyway)to make this city mosquito-free. We can hardly aspire to be a middle-income-country with our major city being in the grips of this insidious insect.

  • The Daily Star/6-3-18

5 Years into Taqi Murder: Rab still sitting on charge sheet

Sanad Saha



For Taqi's parents, the last five years have been a long, agonising wait for justice. And they have no clue as to when that wait would be over.

Taqi's father Rafiur Rabbi, who had been to countless demonstrations and public events to talk about his grievances, said people in his hometown now called him Taqi'r Baba. It has even drowned his identity as a cultural activist.

“Trial starts after charges are pressed in a case. But that has not happened in five years. Charges have not been pressed. Sometimes I call Rab officers, who are investigating the case. They tell me that the investigation is going on. That's all,” he said.

Seventeen-year-old Tanwir Muhammad Taqi went missing after he had left home for Sudhijon Pathagar, a library in Narayanganj city, around 4:00pm on March 6, 2013.

His A-level results were out the next day and he emerged as the highest scorer in the world in physics.

Taqi's body was found floating in the Shitalakkhya on the morning of March 8.


The day Taqi went missing, Rabbi filed a general dairy with Narayanganj Kotwali Police Station. He filed a murder case with the same police station on the day the body was found.

He submitted a complaint to the Narayanganj superintendent of police 10 days later accusing seven people, including Shamim Osman and his son Ayon Osman and 8-10 unnamed others, of murdering Taqi.

Sitting at her home on Shayesta Khan Road in Narayanganj, Taqi's mother Rawnak Rehana remembered last week that her son never wanted to leave the country to study abroad.

“I taught him to love his country.  He did. He wanted to stay here for the people. He did not want to go abroad.

“I failed to give my child a safe country, a terror-free city. It is our utter failure,” she said.

Rabbi remembered that Taqi loved wearing black. “He was wearing a black shirt when he left home for the last time. He was still in that shirt when they took his body to the morgue.

“I know his killers are haunted by the hangman's noose. They will never escape this.”

The murder triggered a huge public outcry. People of Narayanganj formed "Santrash Nirmul Taqi Mancha", vowing to fight for justice and against criminal activities, and also to keep the memory of the murdered schoolboy alive.

A draft of the investigation report was leaked before the first death anniversary of Taqi on March 6, 2014. Different newspapers ran stories based on the draft with quotes from top-ranking Rab officials about involvement of around a dozen people in the murder.

In March 2014, Rab's then additional director general Col Ziaul Ahsan told a newspaper that they found involvement of Ajmeri Osman and his 10 accomplices in Taqi murder. He had also said that the charge sheet would be submitted any day.

Ajmeri is the son of ex-Jatiya Party MP Nasim Osman and nephew of ruling Awami League MP Shamim Osman.

Contacted, Commanding Officer of RAB-11 Lt Col Kamrul Hasan told The Daily Star that their “investigation is going on”.

“The case is very important. So it is being investigated. No such work can be done on a fixed deadline.”

However, the officer told the same thing around a year ago on the fourth death anniversary of Taqi.

Prosecution lawyer Pradip Ghosh Babu told The Daily Star that all eight suspects in Taqi murder case are on the run.

After the incident, four suspects were arrested.  Two of them, Yusuf Hossain Liton and Sultan Shawkat Bhramor, gave confessional statements.

“On the basis of the statements, we appealed to Narayanganj Chief Judicial Magistrate's court on February 5 this year for arresting the other accused.  The appeal also sought to unearth how Taqi was killed, who else were involved, how the body was dumped,” Pradip added.

On November 12, 2013, Sultan Shawkat Bhramor, one of the arrestees, gave confessional statement. But 16 days later, he applied to the court for withdrawing his statement. Bhramor was released on bail on March 20, 2014. After he failed to appear in court on multiple occasions, the court issued an arrest warrant for him.

Of the other arrestees, Saleh Simanto is in jail and Rifat Bin Osman, Tayeb Uddin Jackie and Yusuf Hossain Liton are on bail.

The hearing on the prosecution appeal of February 5 is scheduled for April 17.

The court of Narayanganj Judicial Magistrate Ashek Imam on February 1 directed the investigation officer of the case to submit the probe report quickly.

Meanwhile, leaders of different socio-political and cultural organisations expressed dissatisfaction over the lengthy investigation.

Narayanganj City Corporation Mayor Selina Hayat Ivy told The Daily Star she expected that trial of Taqi killing would be held soon.

“I firmly believe that the prime minister will give directive for trial of this murder. Truth never concedes to injustice,” she added.

Taqi's mother Rawnak Rehana believes injustice cannot continue forever.

“Our children will, one day, make the country safe for themselves, for children of the future.”

  • The Daily Star/6-3-18

Monday, March 5, 2018

উন্মুক্ত দরপত্রের বদলে সরাসরি ক্রয়ে আগ্রহী মন্ত্রী-সচিবরা


উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি যেন ইতিহাসের অংশ হতে চলেছে। এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মন্ত্রী-সচিবরা উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সরকারি কেনাকাটায় আগ্রহী নন। এর বদলে সরাসরি কেনাকাটায় আগ্রহী তারা। তাদের যুক্তি, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করলে কাজ দ্রুত হয়। কারণ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ ঠিকভাবে খরচ করতে না পারলে তিরস্কৃত হতে হয়। তবে কাজের মান নিয়ে কিছু বলেন না তারা।

এরই মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সরাসরি কেনাকাটা করে চলেছে। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), মৎস্য অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সরকারি কেনাকাটায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অর্থাৎ ওপেন টেন্ডারিং মেথড (ওটিএম) বা উন্মুক্ত দরপত্রের বদলে এখন সবাই ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে (ডিপিএম) বা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ঝুঁকছে। অদৃশ্য কারণে ওটিএম পদ্ধতিতে এখন সরকারি কাজের কার্যাদেশ দিতে চান না মন্ত্রী বা সচিবরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের যন্ত্রপাতি কেনায় প্রকৃত দামের দুই বা তিন গুণ বেশি দেখিয়ে ডিপিএমের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে লুটপাট হচ্ছে সরকারি কোষাগারের টাকা। টাকার ভাগ নিয়ম করে ‘উপর পর্যায়’ পর্যন্তও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পরিণামে দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তা সাজার বদলে উল্টো নানাভাবে পুরস্কৃত হচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও মাতারবাড়ি প্রকল্পসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে যন্ত্রপাতি কেনাকাটা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানির স্পেয়ার পার্টস কেনাকাটায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থের অপচয় হচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রপাতি কিনেছে। এ কোম্পানি সিরাজগঞ্জ ও খুলনা অঞ্চলের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ করেছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেনা হয়েছে। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় বালু ভরাটসহ সব কাজ সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হচ্ছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও নদীর তীর নির্মাণসহ মন্ত্রণালয়টির বিভিন্ন কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। দরপত্র প্রক্রিয়া করতে দেরি হবে। তাই কাজ দ্রুত করতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বন করেন তারা। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও এখন ওপেন টেন্ডারে হচ্ছে না। সিলেট অঞ্চলে হঠাৎ বন্যা ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের কাজ এখন ওটিএমের বদলে ডিপিএমে হচ্ছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি নিয়ে প্রকল্প পরিচালকদের যুক্তি, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দিলে ভালো যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় না। ডিপিএমের মাধ্যমে সরাসরি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে যন্ত্রপাতি কেনা যায়। এতে অরিজিনাল পার্টস পাওয়া যায়। মধ্যস্বত্বভোগী না থাকায় দামও কম পড়ে। এ ছাড়া তারা ১৫ বছর ধরে এসব পণ্য সরবরাহ করবে ও বিক্রয়োত্তর সার্ভিস দেবে। ওপেন টেন্ডার করলে ঠিকাদাররা ইন্ডিয়া-দুবাইয়ের খারাপ যন্ত্রপাতি গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। বিক্রয়োত্তর সেবাও সেভাবে পাওয়া যাবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজগুলো তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়। এজন্য বিভিন্ন দফায় সরকারি অর্থের অপচয় হয়। এনিয়ে সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা কিছু বলতে চান না। তবে সব ধরনের ঝামেলা এড়াতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিকে বেছে নিতে চান। 

  • মানবজমিন / সোমবার, ৫ মার্চ

Elevated expressway hits yet another snag

EDITORIAL


The much vaunted elevated expressway project for the capital has been hitting one snag after another ever since its recommendation. One of the reasons is the lack of local expertise in this area. Once it so happened that the donor Japan International Cooperation Agency (JICA) set aside the fund allocation but could not release it because of the failure on the part of the recipient to submit the project proposal on completion of the necessary homework. Many of the donors in similar cases withdraw themselves from funding projects.

Fortunately for Dhaka, the JICA was generous enough to extend the time by a year and the project is on now. But there is a clear indication that the Dhaka Mass Transit Company Limited (DMTCL) responsible for execution of the project finds itself in a quandary when it has to hire the services of different components from firms or companies through international tenders. Once utility lines laid only months before bogged down the whole project work of the metro rail over their shifting.

The latest hitch to embroil the metro rail project is the disinterest shown by international firms in one of the key components of the expressway. It concerns the development of electrical and management system of the 20.1-kilometre elevated track and stations. Of the 31 firms which initially showed their interest in the project by collecting documents, only four joint-venture Japanese firms pursued the matter for the follow-up. But on request to submit proposal, only one did and the other three stayed away. Now that there is no competitor, the lone firm is trying to take undue advantage of the DMTCL's awkward position. Already the project has run out of time and floating a fresh tender would kill further time. In a situation like this, completion of the project on schedule is most unlikely.

Apparently, it looks like a natural process but it is not. After several setbacks the project has suffered by this time, the management at the DMTCL should have been a little smarter. Deadlines for one or the other components of this project were run over several times. So the management had to initiate the launching of tenders much earlier in order to take a measure of the response. The initial hiccup should have been a lesson for it to make amend for the time lost. A mega project like this needed making detailed homework first and then taking up components as conveniently as possible to synchronise the work plan.

Delay in project implementation has almost become the rule of the day. Its attendant ills such as suffering of people as also cost overrun reach the highest taxing limit. But who cares? There is no instance where one of the flyovers or other mega projects like the Dhaka-Chittagong four-lane highway could be completed on schedule. True, at time technical glitches cause delays but otherwise in most cases it is done deliberately. The upward revision of allocation is so tempting that hardly a firm or company responsible for execution of the projects can resist it.

  • Courtesy: The Financial Express Mar 05, 2018


Sniffed out by the dogs

Police detain Tanti League man with yaba-bike



Around 9:30pm last Saturday, a police team stopped a motorbike in the capital's Palashi Residential Area. Alleged yaba dealers they had arrested earlier told them that a bike, registered in Chittagong, would have yaba pills stashed inside.

The police were not ill prepared. They had brought along two mechanics. They went through every compartment and cubby hole of the bike but there was nothing.  

Rider Mehedi Hasan alias Antu, 23, started arguing with police saying it had been almost 30 minutes since he was stopped and that it was harassment by police. By then, quite a crowd had gathered.

The police team was undeterred. They called in a sniffer dog. 

It paid off. The dog indicated to its handler that there was something in the chassis and the shock absorbers, said a police officer who was a member of the team.

The mechanics opened up the bike. At least 2,000 yaba pills were found inside the frame and another 3,000 inside the shocks.

During police interrogation, Antu said he had been a yaba mule for over seven years and until now, police had not been able to discover the pills inside the bike, said Rahmatullah Chowdhury, additional deputy commissioner of Counter Terrorism and Transnational Crime unit.

Sohag

Antu elaborated that they fill the bike with yaba pills and then send it to Dhaka from Cox's Bazar and sometimes Chittagong using courier service.

After the bike is received in Dhaka, it is taken to their den where a mechanic extracts the pills. The bike is sent back the next day by courier. ADC Rahmatullah said the yaba smugglers change courier service providers for sending and receiving bikes.

The CTTC discovered this innovative method of yaba smuggling after they had arrested Sarowar Sohag, 32, a Tanti League Dhaka City unit leader, Sanjida Rajia Borma, 45, and Omar Faruk, 22, at Azimpur earlier that evening.

They found 14,000 yaba pills in their possession.

During interrogation, the three told police that another drug smuggler was waiting at Palashi Residential Area Gate-2 to hand over a consignment and that he was on a motorbike with a Chittagong plate.

ADC Rahmatullah said during primary interrogation, they learnt that the gang receives three to four such shipments, each with 10,000 to 15,000 pills. The gang has six bikes designated for moving yaba.

2,000 more were found in the bike's frame. Police brought drug-sniffing canines to find the contrabands after they were unable to find it themselves despite a tip off. Two mechanics helped dismantle the motorbike.

Sometimes, police stop the bikes but they are usually let go as nothing is found in them, said a police official, quoting the arrestees.

Sohag has been involved in yaba smuggling for two years, claimed investigators, adding that he leads the gang in Dhaka.

CTTC ADC Ahmedul Islam, who is coordinating the investigation, said at least 25 more suspects are in this gang and they have some names too. “We are now conducting drives to arrest the others,” he added.

100 godfathers

An intelligence report prepared by the Dhaka Metropolitan Police earlier found the existence of nearly 100 godfathers, mostly from the Awami League and its front organisations, patronising drug smuggling, particularly yaba, in the capital.

The dealers often use innovative techniques for shipments. Some even operate transport agencies in Chittagong and Cox's Bazar to move drugs.

A team of CTTC yesterday produced Antu and the other three before a Dhaka court seeking 10-day remand for each in the case filed with Lalbagh Police Station.

The court granted two-day remand for each.

  • Courtesy: The Daily Star Mar 05, 2018

Bangladesh's bad loan ratio higher than India, Nepal



The high non-performing loan ratio remains a key concern for the banking sector, said a country paper on Bangladesh that was presented at a conference yesterday.

Between 2014 and 2018, the NPL ratio has been hovering above the 10-percent mark, according to the paper titled “A Review of the Activities and Performance of the Banking Sector of Bangladesh”.

The NPL ratio would go up to 17 percent if rescheduled or restructured loans are included, it said. 

The paper was presented at the Regional Banking Conference organised by the Bangladesh Institute of Bank Management held yesterday at its auditorium in the city. The state banks are another major concern for policymakers.

Regular capitalisation of the state banks by the government with public money has caused anxiety, raising the demand for immediate broad-based corrective actions and legal measures, said the paper presented by Shah Md Ahsan Habib, professor and director of the BIBM.

Nepal's NPL ratio is less than 2 percent, according to Mohammed Farashuddin, a former governor of the Bangladesh Bank. Strong regulation and stringent application of rules have enabled Nepal to maintain that ratio, he said.

India has managed to keep NPL within 7 percent thanks to strong regulations as well, said Yasin Ali, a supernumerary professor of the BIBM. India's central bank discloses the names of wilful defaulters whereas in Bangladesh bankers can't even dare to send notices to defaulters, he said.

Bangladesh saw an enormous increase in the number of banks in the last decade but the industry's capacity has not improved as much, said Syed Mahbubur Rahman, managing director and chief executive officer of Dhaka Bank.

He blamed the lack of governance for the higher bad loans in the banking sector.

“We can't bring the defaulters to the negotiation table due to the inadequacy of the legal system,” he said, while emphasising on improving capacity and independence of the regulatory body.

Bangladesh's savings rate is above 20 percent, but it does not prove sound corporate governance, said Faisal Ahmed, chief economist of the BB.

“Weak corporate governance has tempted the bad borrowers,” he added.

BB Governor Fazle Kabir, who inaugurated the two-day conference.  

  • Courtesy: The Daily Star Mar 05, 2018

Anti-graft body smells RHD rats

Sends letter with 21 recommendations to prevent institutional corruption that leads to sub-standard roads



The Anti-Corruption Commission has found a number of engineers and other officials of Roads and Highways Department building sub-standard roads to misappropriate public money.
They act in collusion with influential persons and contractors to violate the terms of tender.

Listing the stages of road construction where corruption often takes place, the anti-graft watchdog recently sent a letter with 21 recommendations to the secretary of cabinet division.

It also pointed out several irregularities in awarding tender even after the electronic system was introduced and observed that syndicates choosing contractors had become a norm, said an ACC official.

“There are allegations that a contractor has to pay influential persons, consultants and government officials to get a contract. Sometimes it becomes difficult for a contractor to strictly follow the specification and design of a project,” he said.

Quoting the letter, an official said proving an allegation of corruption in road construction was difficult as the matters were technical and required immediate evaluation.

It added that burnt bricks, an important component of road construction, were often substituted with cheaper ones.

The commission recommended engaging an RHD engineer to examine the quality of bricks in laboratories before using them in road construction.

“If sub-standard brick is used even after that, the RHD engineer and contractor can be held liable” the official said.

It also recommended similar measures to check the width of roads and the quality of sand used in constructions.

Forming a monitoring committee with BUET teachers, civil society members, road experts and honest engineers of RHD to look after the matters was recommended.

Giving superintendent engineers the power to monitor construction works and ensure accountability of subordinate engineers was also advised.

In the five-page letter, ACC said the authorities should scrutinise the tender process, project estimates and conduct regular field inspections.

  • Courtesy: The Daily Star Mar 05, 2018

Sunday, March 4, 2018

বৌভাতে পুলিশের মৌতাত!


এ হোসেন

দিন কয়েক আগে প্রকাশিত শীর্ষনিউজের এক খবরে প্রকাশ, পুলিশ গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও ও সাবেক মেয়র মশিউর রহমান বাবলুর ছেলে তানভির রহমান মিছিলের বৌভাত অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়। পুলিশ জানায়, ঐ  অনুষ্ঠানে বিএনপি জামায়াত নেতারা গোপন বৈঠক করবে বলে খবর ছিল বলে ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান।

অনুষ্ঠানে হাজার দেড়েক মেহমানের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বলে স্থানীয়রা জানায়। তারা জানায়, পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে চুলায় পানি ঢেলে দেয় ও প্লা‌স্টিকের চেয়ার লণ্ডভণ্ড ও ভাঙচুর করে । অনুষ্ঠান হতে পারেনি। এর পর সেখানে বিপুল  পু‌ল‌িশ মোতায়েন করা হয়। অাসামীদের অন্যতম একজনকে  পাকড়াও করার পর এবং সদ্যবিবাহিত সাবেক মেয়রের এক পুত্র ও তার ভাইকে হাটি কুমরুল থেকে গ্রেপ্তারেরপর পুলিশ সেখানে মোতায়েন রাখার কারণ জানায়নি পুলিশ।

পুলিশ সেখানে জামায়াতের যে নেতাকে আটক করে। তিনি আবদুল খালেক, ‌সাবেক মেয়র মশিয়ুর রহমান বাবলুর দুলাভাই। অতি কাছের আত্মীয়। ছেলের বিয়েতে বোন জামাইয়ের উপস্থিতি সামাজিক প্রথা। সামাজিক অনুষ্ঠানে তিনি এসেছিলেন। দেড়হাজার লোকের সামাজিক সমাবেশে আর যাই হোক গোপন ‌ রাজনৈতিক বৈঠক হতে পারে না। বিএনপি নেতা বাবলু রাজনৈতিক হয়রা‌নি এড়াতে স্বাভাবিক কারণেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতেই পারেন। উদোরপিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে সদ্য বিবাহিত বর ও তার আপনভাইকে গ্রেপ্তার করা রীতিমতো অসভ্যতা। এখানে পুলিশের কী কৈফিয়ৎ থাকতে পারে?

এখানে দৃষ্টত নিছক যন্ত্রের ‌ভূমিকায় অবতীর্ণ। হুকুমের নিষ্প্রাণ দাস। অথচ এ হেন পুলিশ সাফাই দিয়েছে তাদের কা‌ছে গোপন রাজনৈতিক বৈঠকের খবর ছিল।

যদি সামিয়ানার নিচেও ওরা বৈঠক কেউ করার মতলব করে থাকে তো সেটা করলে   তা নিষিদ্ধ ছিল বলে তো মনে হয় না। ‌কেননা, মাত্র কয়েকদিন আগে আলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএন‌পি রাজনীতি নিয়ে মাঠে আসতে পারবে না। রালে, করলে ওরা ঘরে, অফিসে বসে আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু আপাতদৃষ্টে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর বিএনপি সভাপতি ও সাবেক মেয়র মশিউর রহমান বাবলুর নববিবাহ‌িত পুত্র ও তার আপন ভাইকে পুলিশ আদাজল খেয়ে গ্রেপ্তার করে প্রমাণ করেছে জনাব ওবায়দুল কাদেরের ফিল্মি কায়দার এই ঘোষণার কোন কাগজি মূল্যও নেই। পুলিশ তার চেয়েও রাজনৈতিক বিষয়ে বড়ো সিদ্ধান্ত নির্ধারক। 

২রা মার্চ, শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। চাঁচকৈড়ে বিয়ে বাড়ি এলাকায় এখন ব্যাপক   পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান,শুক্রবার দুপুরে ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় দেড় হাজার অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। বাবলু রাতভর রান্নাবান্নার আয়োজন ও অতিথি আপ্যায়নের জন্য চেয়ার টেবিল সাজানোর তদারকি করেন। হঠাৎ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলিপ কুমার দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে ওই বিয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলে বৌভাতের আয়োজন বন্ধ করতে বলে। পুলিশ রান্না করার জন্য চুলায় পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেয়। এ সময় তারা বাবলুকে খুঁজতে থাকে এবং কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল ভাঙে বলেও এলাকাবাসী জানান।

ওসি দিলীপ কুমার দাস কবুল দিয়ে জানান, কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান পণ্ড করা বা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা পুলিশের কাজ নয়। অথচ দিবালোকের মতো স্পষ্ট যের পুলিশ বৌভাতজ  অনুষ্ঠান বন্ধ করার অাদেশ দিয়েছে। বিয়ে নিয়ে পুলিশের কিছু মাথা ঘামাবার বা এখতিয়ার নাই-ই থা‌কে তাহলে এই অনাকাঙ্খিত অনাসৃষ্টি কেন?

এটা নিশ্চয়ই পুলিশের কাজ হয়ে উঠেছে। নববিবাহিত বর ও তার আপন ভাইকে  কয়েক মাইল ধাওয়া করে পাকড়াও করার মাঝে পুলিশের কি বাহাদুরি? ঘটনা  ওখানেই শেষ নয় যদিও জামায়াত নেতা বাবলুর ভগ্নিপতি তাকে তো ঘটনাস্থলেই পাকড়াও করা হয়েছে। বাবলু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পেরেছে বলেই কি তার  সদ্যবিবাহিত ছেলে ও তার আপন ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশকে ফুলিশী বাহাদুরী করতেই হবে? আর বিয়েবাড়িতে তাণ্ডবের শেষ সেখানেই নয়, বিপুল পুলিশ ‌দিয়ে ঐ ভাঙা বিযেবাড়ি ঘিরে রেখে কী ফায়দা? চোর পালাবার পর এটা কি পুলিশের বুদ্ধিবাড়ার নমুনা। যদি তাই হয় বলতেই পুলিশ ‌বেড়ে একখান কাম করছে বটে! রাজনৈতিক দিক থেকে দেশের প্রধান বিরোধী দলকে কোনঠাসা করার পর এটা কি তাদের ওপর সামাজিক হামলার অাভাস?

ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন বিএনপিকে --- ঘরে বসে আন্দোলন  করুন, অফিসে করুন। রাস্তায় কেন? জনদুর্ভোগ কেন। যখন এই লেখাটা চলছে তখন বাগেরহাট খুলনায় ঐতিহাসিক জনসভার প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগের। পথে বাস থেকে নামতেই এক সাংবদিকের সাথে দেখা। নিয়ম রক্ষার জন্য বললাম তা এই  সাত সকালে কোথা থেকে। বলেন, আর বলবেন না, ভাই, বৌ যাবে বাপের বাড়ি  বাগেরহাট। গিয়েছিলাম বাসের টিকিট কাটতে সায়েদাবাদ বাস স্টা‌ন্ড। বাসের টিকিট নেই। রাতের আগে বাস মিলবেই না। কী দুর্ভোগ! কি ব্যাপার? বাস গেছে  জনসভার মানুষ টানতে খুলনায় বাগেরহাটে। ‌
  • শীর্ষনিউজ অবলম্বনে। 

RMG failing to move apace with BD economic progress

CPD also finds foreign staff prevalence in industry's upper echelons


The extent of social upgradation Bangladesh's apparel sector has attained over the last five years is unable to keep pace with the desired progress on the economic front, risking its sustainability, a study reveals.

Such uneven situation has posed a threat to the long-term sustainability and competitiveness of the largest export-earning sector, says the study report by the Centre for Policy Dialogue.

It also revealed that the ratio of female workers declined while male participation increased.

Also, while the share of female employment in upper-and middle grades was slowly rising particularly in grade III, IV and V, they remained scant in top grades such as grade I and II.

The wage gap between male and female has also declined, it further showed.

"The upgradation is most prominent in case of social issues, particularly with regard to standards, non-discrimination and employability, but very poor in terms of rights," Khondaker Golam Moazzem, research director of the CPD, said while presenting the preliminary findings of the survey.

Upgradation is moderate in gender-related issues while enterprises are behind in terms of economic upgradation due to poor performance in product and functional upgradation.

"Such an unbalanced growth usually has limited positive impact in terms of firm's overall competitiveness, especially of small and medium enterprises," says the presentation on the findings.

The outcome of the survey, titled 'New Dynamics in Bangladesh's Apparel Enterprises: Perspectives on Restructuring, Upgradation and Compliance Assurance', was shared at a dialogue on 'Ongoing Upgradation in RMG Enterprise: Results from a Survey' in the city Saturday.

Dr Debapriya Bhattacharya, a distinguished fellow of the CPD, moderated the discussion chaired by its chairman Professor Rehman Sobhan.

Mikail Shipar, former labour secretary, Md Siddiqur Rahman, president of Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), Fazlee Shamim Ehsan, vice-president of Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA), Shamsunnahar Bhuiyan, member of the Minimum Wage Board, Md Babul Akhter, former secretary-general of IndustriAll Bangladesh Council, and Dr A K Enamul Haque, Professor at the Department of Economics of East-West University, among others, also spoke at the meet in the city.

CPD is currently conducting this study to examine the state of transformation of Bangladesh's RMG enterprises during post-Rana Plaza period, particularly with regard to economic, social and gender-related issues.

The survey has been conducted on 2,123 workers in 252 garment factories to get an overview of the latest status of the export industry.

"Though the overall ratio of female workers declined in the RMG sector, the sewing and finishing sections are still dominated by women with 74.90 per cent and 58.60 per cent," the CPD study shows.

The proportion of female workers reached 60.80 per cent because of the introduction of modern technologies in units that squeezed the opportunity for them as they are less knowledgeable about operating different machines compared to males.

The ratio of male workers increased to 39.20 per cent in the RMG sector, he said, adding that a male worker on an average receives Tk 7,270 as monthly wage whereas a female gets Tk 7,058.

In 2015, the female and male workers' participation in the workforce was 64 and 36 per cent respectively.

Some 16 per cent of the surveyed enterprises have employed foreign staffs in almost all sections, with the highest -- 37.3 per cent -- in production planning, followed by 20.1 per cent in merchandising, 11.9 per cent in quality assurance, 8.2 per cent in washing department and each 6.0 per cent in both administration and industrial engineering, it revealed.

And 3.0 per cent each are in both sewing and knitting departments, 2.2 per cent in maintenance department and 1.5 per cent are in research and development.

More than 60 per cent of the factories received order from buyers, Mr Moazzem said, adding sub-contracting activities declined by 6.7 per cent and that 17 per cent enterprises are engaged either in partial or full sub-contracting activities.

"Both entrepreneurs and buyers have kept their confidence in investing in the sector, creating additional employment at a time when workers are losing jobs due to closure of a good number of factories," the study report says.

Still 41 per cent of the sample enterprises operate their businesses in rented spaces, 34 per cent in shared buildings where 63 per cent are RMG-related establishments and 16 per cent of them mentioned that they will either relocate or close within one to five years, it found.

Major changes were observed in case of ownership which is family- based towards corporatisation with better use of management dominance of group-led activities.

Of them, 67 per cent are private limited and 3.0 per cent are public limited companies and 89 per cent of them have boards mostly family-based.

The role of group companies is increasingly visible in RMG sector with 61 per cent found sister concerns of different groups, not only RMG-based but also non-RMG-based enterprises.

Less than 20 per cent of the surveyed enterprises have 'advanced' levels of technologies while 41 per cent have 'moderately better'.

Most of the firms have workers' participatory committee 91 per cent  while trade unions are almost non-existent, only 3.3 per cent.

Mr Akhter opined that unions so far formed in small units and it is quite impossible to form unions in large units due to complexities in the labour-law provisions.

He, however, alleged that real unions are few as most of them are backed either by owners, government and owners, unions and NGOs whereas unions were allowed following pressure from both local and international arenas.

He reiterated his demand for Tk 16,000 as minimum monthly wages for garment workers.

Montu Ghosh, a labour leader, demanded Tk 10,000 as basic payment, and Tk 6,000 as house rent, conveyance and medical allowance.

Participants also stressed government's strong control and monitoring on market, saying house rent and other daily expenses have gone up significantly since new wages were announced.

Responding to a question, the BGMEA president cited declining trend in global demand and prices of apparel items, rise in local cost of doing business and currency appreciation against the US dollar as factors for less-than-required upgradation in economic aspects.

Terming the 70 federations in RMG sector 'ridiculous', Mr Sobhan raised question how the unions' demand would be taken seriously if they don't place their united demands.

"The way you (factory owners) dealt with workers should be different," he said, suggesting making the workers partners and stakeholders of the industry, investing for their training to update them to skilled ones.

Following the investments, they (workers) would stay as they would get share of their profit, he mentioned.

He also called for launching a campaign or dialogue both in the country and beyond to dig out the 78 per cent margin gap in the supply chain.

  • Courtesy: The Financial Express Mar 04, 2018

সংকটটা খুব গভীর


সাম্প্রতিক এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। একে বেশকিছু পণ্ডিত ব্যক্তি শিক্ষার সর্বনাশ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আমার মতে যা শিক্ষার সর্বনাশ, তা দেশেরও সর্বনাশ। যা হোক, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, এবার এমন কড়া ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যে প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কা মোটেই নেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব কটি পরীক্ষারই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। গত ৯ বছর ধরেই বিচ্ছিন্নভাবে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু এবার ব্যাপারটি মহামারী আকার ধারণ করেছে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর অদক্ষতা এবং ব্যর্থতাকেই বহুলাংশে দায়ী করতে হয়। কারণ এ ধরনের পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের দায়িত্ব তাদেরই। প্রশ্ন ফাঁস কেন ঘটে এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি কীভাবে রোধ করা যায়- এ বিষয়গুলো দেশবাসীকে তাদের জানানো উচিত। অন্তত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনা হবে এবং শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন, এটা আমাদের খুবই কাম্য ছিল।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের কল্যাণে দেখা গেল, বেশকিছু অসাধু শিক্ষক এবং কিছুসংখ্যক প্রতারক এই মহা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। দেশে মহামারী আকারে বিরাজমান দুর্নীতির সঙ্গে পরীক্ষায় জালিয়াতির মতো দুর্নীতিও ভালোভাবেই যুক্ত হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে একদল শিক্ষক, যারা মানুষ গড়ার কারিগর বলে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। বাস্তবে তারা মানুষ ধ্বংসের কারিগর হিসেবে জনসমক্ষে আবির্ভূত হয়েছে। একদিকে তারা শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা দিচ্ছে না, অন্যদিকে পরীক্ষার ব্যাপারে তরুণ বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের অসৎ-অন্যায় কর্মে দীক্ষা দিচ্ছে। কিছুদিন আগে দ্য ডেইলি স্টারে (১৪.০২.১৮) দেখা গেল, পরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম শহরের একটি কেন্দ্রে ফটোসাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে একদল ছাত্রী লজ্জায় মুখ ঢেকে নিচ্ছে। এ লজ্জা দেশের। এর দায়ভার শিক্ষা ও পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিতে হবে।

পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্নীতির ফলে অসংখ্য সৎ, পরিশ্রমী এবং মেধাবী ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের পাবলিক পরীক্ষা ব্যবস্থাটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অভিভাবকরা হতাশ হয়েছে এবং দুঃখ পেয়েছে। এমনই দেশের অসংখ্য অভিভাবকের হতাশার অভিব্যক্তি প্রকাশ পেল গত মাসের ১৪ তারিখে বিবিসির বাংলার প্রবাহ অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার এক মহিলা অভিভাবকের কণ্ঠে। দেশব্যাপী দুর্নীতির যে বাড়বাড়ন্ত চলছে, তা শিক্ষা ক্ষেত্রেও এত বিপুলভাবে বিস্তার লাভ করবে তা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে অর্জিত উন্নয়ন নিয়ে আমরা যখন গর্ববোধ করি, তখন এই প্রশ্ন ফাঁসের মহামারী আমাদের দারুণভাবে হতাশ করে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যদি সত্য এবং সততা পরিত্যক্ত এবং বর্জিত হয়, তাহলে শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্যটিই নষ্ট হয়। কারণ শিক্ষার উদ্দেশ্যই হল সৎ, শিক্ষিত ও মেধাবী মানুষ তৈরি করা। ফাঁসকৃত প্রশ্ন এবং নকলবাজির মাধ্যমে পাস করা একদল নকল এবং তস্কর মানুষ দেশের সম্পদ না হয়ে বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এ প্রশ্ন ফাঁস এবং পরীক্ষায় দুর্নীতি রোধ করা কি একটি সরকারের পক্ষে খুবই দুরূহ কাজ? সরকার জঙ্গিদের যে কঠিন হাতে দমন করেছে, একই কঠোরতার সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসসহ পাবলিক পরীক্ষার সর্বপ্রকার দুর্নীতি দমন করতেও সক্ষম বলে আমাদের বিশ্বাস। এ ব্যাপারে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) যেভাবে পরীক্ষা নেয়, সেই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করা যেতে পারে।

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, নকলবাজি, টাকার বিনিময়ে ফলাফল পরিবর্তন- এ ধরনের নানা রকমের দুর্নীতির কথা দেশে শোনা যায়। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার ফলে এবং বয়স্ক হওয়ায় বহু তরুণ আমাদের কাছে এসব বিষয়ে দুঃখ এবং হতাশা ব্যক্ত করে থাকে। তরুণদের এক বিরাট অংশের মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, দেশে ন্যায়-নীতি বলে কিছু নেই, বাংলাদেশে এগুলো চলে না। সৎপথে উন্নতি হয় না। দেশে আয়-উন্নতির জন্য দরকার হয় অন্যায়-অসৎ তথা ‘দুই নম্বরি পথ’, আর এ অন্যায় এবং অসৎ পথের প্রথম পাঠটি আমাদের কিশোর-কিশোরীরা এসএসসি পরীক্ষা থেকেই শুরু করছে। তারপর জীবনের নানা ঘাটে তারা দেখতে পায় ঘুষ-দুর্নীতির রমরমা ব্যবসা। চাকরির পরীক্ষায়ও একই কাণ্ড ঘটে। প্রশ্ন ফাঁস হয় এবং পরীক্ষায় সফল হলেও মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ হয় না। তার জন্য দরকার হয় বড় কর্তাদের বড় অঙ্কের টাকা প্রদান। অবৈধ টাকার বিনিময়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা তাই কর্মজীবনে সে টাকা সুদে-আসলে তোলার ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগে কিছুসংখ্যক সংসদ সদস্য বা এমপিদের নিয়োগ বাণিজ্য সবারই জানা।

শুধু নিয়োগই নয়, বদলি এবং পদায়নের ব্যাপারেও অবৈধ টাকা-কড়ির লেনদেন একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ব্যাপক অভিযোগ আছে। আমরা নিজেরাও এসব ঘটনা জানি। পুলিশ বিভাগে ঘুষের ব্যাপারটি সবারই জানা। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন উপকমিশনার এক সম্মেলনে প্রকাশ্যেই বলেছেন, পুলিশ বাহিনীতে ঘুষ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তিনি ঢাকার একটি থানার ওসি বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হতে এবং একজন এসআইকে সুবিধাজনক তথা লাভজনক জায়গায় বদলি হতে কত টাকা ঘুষ দিতে হয় তার একটি তালিকাও দিয়েছেন (দ্য ডেইলি স্টার, ১৯.০২.২৮)। উল্লিখিত ঘুষের পরিমাণ অবাক করার মতো।

এত বড় অঙ্কের ঘুষ দেয়ার সক্ষমতা অর্জনের পেছনে যেমন অতীতের দুর্নীতি আছে, তেমনি বিশ্বাস করার কারণ আছে এই পদায়ন, পদোন্নতি ও বদলির জন্য বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ থেকে তারা বহুগুণ বেশি লাভবান হবে বলে তাদের আশা থাকে। আজকের পত্র-পত্রিকায় দেখা গেল, বর্তমানে দেশে যে ১০ হাজারের মতো পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগদান করা হবে, তাতেও নিয়োগ বাণিজ্যের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশের কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিক ও সংসদ সদস্যদের মতো কিছু লোক মিলিতভাবে এ নিয়োগ বাণিজ্যে অংশ নিতে পারে এ আশঙ্কায় পুলিশের সদর দফতর থেকে কয়েকটি মনিটরিং টিম সারা দেশ ঘুরে তদারকি করার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।

দেশে বিরাজমান এ সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রভাব শিক্ষাঙ্গনেও পড়েছে। আরও দশজন চাকরিজীবীর মতো শিক্ষকও দুর্নীতির মাধ্যমে ধনী হতে চায়। নিরামিষ নীতিকথায় তারা আটকে থাকতে চায় না। তাই তাদের একটি বড় অংশ বেছে নিয়েছে কোচিংবাজি, নকলে সাহায্য এবং প্রশ্ন ফাঁসের মতো জঘন্য অপরাধমূলক কাজ। ফলে শ্রেণীকক্ষে যথাযথ শিক্ষাদান, সত্যিকার পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মার খাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে দেশব্যাপী অপশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত একদল তরুণ-তরুণী, যারা দেশ ও জাতির উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারবে না।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, দেশের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কবল থেকে শিক্ষাঙ্গনও মুক্ত নয়। এটার লাগাম শক্ত হাতে অবিলম্বে টেনে না ধরলে দেশের সর্বনাশ হবে। কারণ উন্নয়নের মূল নায়ক হল মানুষ। মানবসম্পদই একটি দেশের বড় সম্পদ। আর মানুষ সম্পদে পরিণত হয় শিক্ষার গুণে। শিক্ষার ফল নির্ণয়ের জন্য যে পরীক্ষার অনুষ্ঠান, সেটাই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তবে সে শিক্ষা নামের প্রহসন দেশে এক বিরাট মানবসংকট সৃষ্টি করবে। এখনই শোনা যায়, দক্ষ লোকের অভাবের কারণে বহু বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করে এবং দেশের বহু কোটি ডলার তারা তাদের দেশে নিয়ে যায়।

আইন ও সুশাসনের অভাবের ফলে দেশে শিক্ষিত তরুণ সমাজের মধ্যে যে হতাশা বিরাজমান তা আমরা নিজেরাও দেখি। বহু প্রতিভাবান তরুণ-তরুণী উন্নত পশ্চিমা দেশ, বিশেষ করে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার যুবসমাজের ওপর সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, শতকরা ৮২ জন তরুণ-তরুণী উন্নত ভাগ্যের আশায় দেশ ছেড়ে পশ্চিমা দেশে যেতে আগ্রহী। মেধাবী যুবসমাজের দেশত্যাগ, যাকে আমরা মেধা পাচার বলি, তার ফলে দেশের যে বিরাট ক্ষতি হয়, সেটা আমাদের জাতীয় নীতিনির্ধারকরা কি গভীরভাবে খতিয়ে দেখেছেন? দেশের নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতিসহ প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা আসলে দেশের সর্বনাশেরই বড় দৃষ্টান্ত।

  • মো. মইনুল ইসলাম : সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • Courtesy: Jugantor/03-03-18