Search

Monday, April 23, 2018

Protests in Bangladesh put an end to a corrupt quota system

The government promises to fill jobs in the civil service on merit


INDIA reserves a share of jobs in government for people of particular castes. In Bangladesh, the dividing line is history. The ruling Awami League, which led the country’s independence movement, reserves 30% of public posts for descendants of those who fought in the war of secession from Pakistan in 1971 (a further 26% go to other groups). Students, who have been agitating for reform since February, want 90% of public posts to be awarded on merit. On April 11th Sheikh Hasina Wajed, the prime minister, faced with a spiraling series of demonstrations and sit-ins, appeared to accede to their demands, promising to abolish all the quotas. But there has been no official follow-up, and supporters of the quotas are now planning counter-demonstrations.


The anti-quota protests, suspended for now, first erupted on the campus of Dhaka University on April 8th. They quickly spread, gripping public and private universities across the country. In Dhaka, the capital, police used tear gas, batons and water cannons to disperse students and frustrated jobseekers. Hundreds were injured. The authorities’ heavy-handed response and the deployment of the Awami League’s thuggish student wing, the Bangladesh Chhatra League, only inflamed the protests. So did Matia Chowdhury, a firebrand student leader in the 1960s and now a cabinet minister, who said the protesters were the sons and daughters of those who collaborated with the Pakistani army in 1971. Students hacked government websites to post messages demanding quota reform.

Rashed Khan, one of the leaders of the protests, says they will resume if the government does not call off the prosecution of several of the students involved for vandalism. He claims plainclothes police stuffed him and two other leaders of the movement into a van, and handcuffed and blindfolded them, before releasing them without charge. “All political movements are banned in this country. We can be kidnapped at any time,” he complains.

Bangladesh has seen many “quota protests” in recent years. Only 44% of all public posts are filled on merit. Many students approve of the existing quotas for women (10%), religious and ethnic minorities (5%), the disabled (1%) and to ensure jobs for people from all parts of the country (10%). But they revile the system of favouritism and patronage built by the ruling party, of which the 30% quota is a centrepiece. The bureaucracy has issued some 250,000 documents certifying the bearer as a freedom fighter. Many recipients obtained them through bribery. Others use forgeries.

Bangladesh’s campuses are calm for now. Yet the dissent has evolved into a broad critique of the League’s entire approach to politics, which continues to sow divisions based on the events of 1971. The students are proving nimbler than a government led by ageing loyalists of the ruling family. One placard, referring to Sheikh Hasina’s generally revered father, the country’s founding president, read: “In Bangabandhu’s Bangladesh, discrimination will not be tolerated.”

Hossain Zillur Rahman, an economist based in Dhaka, suggests that an underlying employment crisis is increasing the protests’ potency. Although birth rates have plunged, two-thirds of Bangladeshis are under the age of 35. The government has promised to create 2m new jobs every year. But the workforce is growing much faster than jobs are being created. Youth unemployment exceeds 10%.

The simmering dissent comes as the Awami League, which has run Bangladesh for the past nine years, prepares for an election in December. Other political parties are in disarray. Sheikh Hasina’s bitter rival, Khaleda Zia, the leader of the Bangladesh Nationalist Party (BNP), the main opposition, is in jail. The BNP is not even sure if it will participate. Its electoral ally, the Jamaat-e-Islami, has been barred. The only plausible sources of dissent are the army and students. The question, says Debapriya Bhattacharya, an economist, is whether “we can still have an election whose result we cannot predict”. For the ruling party, the 23m newly eligible young voters since the last proper poll in 2008 must be a worry.


Photo credit: EPA

  • Courtesy —  economist.com/ https://econ.st/2HMbCSG 

Institutional repression against women at DU: teachers

Special cell demanded to ensure students’ security


A section of Dhaka University teachers on Sunday censured recent incident of ousting female students from Kabi Sufia Kamal Hall at midnight terming it ‘institutional repression against women.’

Sachetan Shikkhokbrinda (conscious teacher), a platform of the teachers, at a human chain in front of Aparajeya Bangla on the campus demanded a special cell to ensure security of students and normal academic atmosphere on the campus.

They came up with the demand and remarks as an uneasy situation prevailed at the university because of oppressions and intimidation of students protesting for reform of quota in government jobs that led to the announcement of abolition of the entire quota system in public service recruitment.

Addressing the human chain, columnist Syed Abul Maksud said that it was a shame that first-ever institutional repression against women in Bangladesh took place at an institution like Dhaka University which cradled all the democratic movement of the country. 

Saying that teachers would always stand by any justified demands of the students, mass communication and journalism professor Robayet Ferdous said that teachers would give fitting replay, if any further incident of student harassment took place on the campus.

Economics professor MM Akasah said that the authorities failed to play an active role. ‘Those who were elected by us are not performing their duties properly. Students in different halls are being compelled to take part in different political programmes,’ he said.

He suggested the university authorities to hold election to the Dhaka University Central Student Union to ensure democratic environment of education.

International relations department teacher Tanzimuddin Khan placed six-point demands, including ensuring security for all students and teachers on the campus, forming a special cell to protect students from state forces or any other quarters, taking legal action against those involved in unprecedented incidents during the protests, ensuring exemplary punishment for those who vandalised vice-chancellor’s residence and strengthening security in the all residential areas on the campus, upholding dignity of teachers and students.

Law department Asif Nazrul, political science professor Tasnim Siddiqui, microbiology professor Sangeeta Ahmed and psychology chairperson Nasreen Wadud were also present there among others.

At least four students were driven out from Sufia Kaml hall on allegation of spreading rumours using fake accounts on Facebook during an incident at the dormitory in April 10-11.

Bangladesh Nationalist Party-Jamaat backed white panel teachers of the university will hold a silent procession today at the base of Aparajeya Bangla.  

  • Courtesy: NewAge /Apr 23, 2018

Sunday, April 22, 2018

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা ঢাবি শিক্ষকদের

ঢাবি প্রতিনিধি


ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য ডাকসু নির্বাচন ও হলগুলোকে দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকরা। 

রবিবার, ২২ এপ্রিল, সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘সচেতন শিক্ষকবৃন্দ’র ব্যানারে অায়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষকরা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিরাপদ নয়, সেখানে অামরা কীভাবে নিরাপদ?রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বার্থ কায়েমের জন্য স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। প্রশাসনের কেউই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। তারা রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত।’


ঢাবি প্রশাসনেরর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দলীয় পক্ষপাতিত্ব করা চলবে না। দলের স্বার্থ না দেখে ছাত্রদের স্বার্থ দেখেন। হলগুলোকে রাজনীতি থেকে দখলমুক্ত করুন।’  এছাড়া ও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরর নিকট দুইটি দাবি পেশ করেছেন।

দাবিগুলো হল:
১. ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে তথা ডাকসু সচল করতে হবে।

২. হলগুলোতে দল নিরপেক্ষ প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ করতে হবে এবং দখল মুক্ত করতে হবে।

মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে কোনো ভাবে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীদের অাইনের অাওতায় অানতে হবে।’ 

তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদের ভয় নেই। অামরা শিক্ষকরা সব সময় তোমাদের সাথে অাছি এবং থাকবো। তোমাদেরকে গ্রেফতার করার অাগে যেন অামাদের গ্রেফতার করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।অামরা কখনো পরাজিত হতে  পারিনা।’ 

মানববন্ধনে অারও বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক সৈয়দ অাবুল মকসুদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসনিম, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সঙ্গিতাসহ প্রমুখ।

  • Courtesy —  breakingnews.com.bd/Apr 22, 2018

মাঝরাত, সময়জ্ঞান এবং ‘গুজব’

গোলাম মোর্তোজা


‘বর্তমান’ অন্ধকার। ভবিষ্যৎ ‘দেখিস একদিন আমাদেরও...’। আছে শুধু ‘অতীত’। বর্তমানের যত বিচ্যুতি, দীনতা-নীচতা, অতীতের গৌরবের গল্প দিয়ে ঢেকে রাখি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষিতে কিছু কথা বলার চেষ্টা করি।

এদেশে সবকিছুরই পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়েও হয়েছে। ৫৬ শতাংশ সরকারি চাকরি কোটায়, সভ্য বা অর্ধ- সভ্য কোনো দেশেই বাংলাদেশের মতো নিয়ম নেই। যদিও কোটা পৃথিবীর বহু দেশে আছে।

শিক্ষার্থী-চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনটা কী?

তারা এই ৫৬ শতাংশ কোটা কমিয়ে আনার জন্যে প্রথমে অনুরোধ করেছেন। অনুরোধ এক পর্যায়ে দাবিতে পরিণত হয়েছে। মনে রাখা দরকার, তারা কোটা বাতিলের দাবি করছেন না, সংস্কারের দাবি করছেন। সরকারের গঠন করা তিনটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও যা কাগজে-কলমে বলেছেন।


এই দাবির এক পর্যায়ে গত ৮ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের উপর যে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তা সবারই জানা। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধতার সঙ্গে বলেছেন ‘কোটাই থাকার দরকার নেই’। ছাত্রীরা রাত একটার সময় হল থেকে বের হয়ে এসেছেন, এতে প্রধানমন্ত্রী এতটাই বিচলিত হয়েছেন যে রাতে ঘুমাতে পারেননি। জাতীয় সংসদে সে কথা বলেছেনও। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর আন্দোলন স্থগিত হয়েছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘লোক দেখানো-কাঁদানো’ কর্মকাণ্ড বন্ধ তো হয়ইনি, ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে।

১. রাত ১০টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত, কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন জন মেয়েকে বের করে দিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ধমকেছেন- ভয় দেখিয়েছেন অনেককে। রাত একটার সময় মেয়েরা বের হয়ে আসায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝলাম, মেয়েরা নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় না নিয়ে হল থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ-হলের প্রাধ্যক্ষ, হলের আবাসিক শিক্ষক, যারা মেয়েদের অভিভাবক, তাদের সন্তানসম শিক্ষার্থীদের রাত সাড়ে ১২টায় হল থেকে বের করে দিলেন। বিস্মিত-মর্মাহত-ক্ষুব্ধ যে শব্দেই বলেন, তা দিয়ে আসলে কী কিছু বোঝানো যায়! কোনো মানুষ, কোনো অভিভাবক, পুরো সুস্থ নন অর্ধ সুস্থ চিন্তার কোনো অভিভাবক এমন কাজ করতে পারেন? আপনার উত্তর ‘না’ হতে পারে বা হবেই, যদিও তাতে কিছু যায় আসে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।

২. কথাটা আসবে, এভাবে সব শিক্ষককে বলছি কেন? সব শিক্ষক তো আর এ কাজ করেননি। হ্যাঁ, সব শিক্ষক এমন কাজ  করেননি। করেছেন একজন হল প্রাধ্যক্ষ, তাকে সরাসরি সমর্থন যুগিয়েছেন উপাচার্য। তার আগে ১৯ জন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। হয়তো এমন আরও কিছু শিক্ষক আছেন যারা ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হচ্ছেন শিক্ষার্থীদের প্রতি অনাচার দেখে।কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করছেন, কয়েকজন লিখেছেনও। বিবেকহীনতার এই কালে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
তারপরও বলতে হয় সেই সংখ্যা কতজন, মোট শিক্ষকের মধ্যে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক প্রায় ১৮’শ। প্রায় সবাই চুপচাপ দেখছেন, তাদের সন্তানসম শিক্ষার্থীদের নিপীড়িত-নির্যাতিত হতে দেখছেন। বোধ-বুদ্ধি- বিবেক, কোনো কিছুই যেন কাজ করছে না।

৩. হলের মহামান্য প্রাধ্যক্ষ মেয়েদের রাত সাড়ে ১২টায় একা ছেড়ে দেননি, কর্মটির পেছনে যুক্তি দিতে গিয়ে প্রাধ্যক্ষ বা উপাচার্য যা বলছেন, অনেকেই তা বলবেন ‘বের করে দেওয়া হয়নি, অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে’।
সন্ধ্যায় একজন মেয়ের অভিভাবককে ফোন করে হলে আসতে বলা হয়েছে।

তিনি থাকেন ধামরাই। বলেছেন রাতে নয়, সকালে আসব। হল থেকে বলা হয়েছে, রাতে মানে এখনই আসতে হবে। বাবা ধামরাই থেকে মেয়ের হলে ছুটে এসেছেন। এভাবে কেউ রাত ১০টায়, কেউ রাত সাড়ে ১২টায় মেয়েকে নিয়ে হল থেকে বেরিয়েছেন। এই মাঝরাতে মেয়েকে নিয়ে অভিভাবকরা কোথায় যাবেন? যাকে রাত সাড়ে ১২টায় হল থেকে বের করে দেওয়া হলো, তার হয়তো ঢাকা শহরে থাকার কোনো জায়গা নেই। মেয়েকে নিয়ে বাবা বা অভিভাবক কী করবেন? তিনি রিকশা বা সিএনজিতে করে গাবতলী-সায়েদাবাদ বা মহাখালী বাস টার্মিনালে যাবেন বা গেছেন। হয়তো কোনো বাহ্যিক বা শারীরিক দুর্ঘটনা ঘটেনি। মানসিক? তা জানার সময় মহান উপাচার্য-প্রাধ্যক্ষ-শিক্ষকদের থাকার কথা নয়। এত ছোট বিষয় নিয়ে তাদের ভাবার সময় নেই।উপাচার্য বলেছেন ‘এমন না যে সংখ্যা অনেক, মাত্র তিন জন!’
বিষয়টি এমন যে, মাত্র তিন জনের জন্যে আবার এত চিন্তা কেন!

৪. একটা প্রশ্ন মাথায় আসছে। করব কিনা ভাবছি। আমরা এখন এমন এক দেশের বাসিন্দা, যে দেশে প্রশ্ন করা প্রায় অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। প্রশ্ন করলেই ‘রাজাকার’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবুও প্রশ্ন করি-
রাত একটায় হল থেকে বের হয়ে এসে ক্যাম্পাসের ভেতরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে অংশ নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ, না রাত সাড়ে ১২টায় অভিভাবকের সঙ্গে রিকশা বা সিএনজিতে বাস টার্মিনালে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ? কোনটা বড় অপরাধ, রাত একটায় হল থেকে বের হয়ে নিপীড়নের প্রতিবাদে আন্দোলনে যোগ দেওয়া, না রাত সাড়ে ১২টায় হল থেকে বের করে দেওয়া? মহামান্য প্রাধ্যক্ষ মেয়েদের ফোন চেক করে ‘গুজব’ ছড়ানোর পোস্টের সন্ধান পেয়েছেন। শাস্তিস্বরূপ হল থেকে বের করে দিয়েছেন। মেয়েদের হল থেকে বের করে দেওয়ার শতভাগ সত্য সংবাদকে উপাচার্য বলেছেন ‘গুজব’। সত্যকে ‘গুজব’ বলা যায়? বললে, তা ঠিক কোন পর্যায়ের ‘গুজব’র তালিকায় পড়ে? মেয়েদের নিরাপত্তা বিবেচনায় যে বিশ্ববিদ্যালয় এখনও আইন (যা থাকার দরকার নেই) বহাল রেখেছে সন্ধ্যার মধ্যে হলে ফিরতে হবে, সেই বিশ্ববিদ্যালয় মাঝ রাতে মেয়েদের হল থেকে বের করে দিয়েছে। হল প্রাধ্যক্ষ বলেছেন ‘ছেলেমেয়ে আলাদা করে দেখছি না’। উপাচার্য বলেছেন ‘রাত আর দিন আবার কি? অভিভাবকদের আসতে দেরি হওয়ায় রাত হয়েছে’।
শিক্ষক বা উপাচার্যের বক্তব্য যখন স্ববিরোধী হয়ে যায়, তখন লজ্জা পাওয়া ছাড়া সাধারণের আর কিছু করার থাকে না।

৫. ‘গুজব’ প্রসঙ্গে আরও কিছু কথা। কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক ‘রগ কাটা’র গুজবকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু ঘটেছে।তার আগে একজন আন্দোলনকারীর মৃত্যুর ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাক্রম বা ‘গুজব’র বিষয়গুলো কে কিভাবে দেখেছেন, বলেছেন?

আরও সুনির্দিষ্ট করে যদি বলি, ‘গুজব’ ছড়াল কেন বা ‘গুজব’ কেন ছড়ায়।

ক. অকারণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ‘গুজব’র প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছে।যা শিক্ষার্থীরা করেননি।

খ. যে শিক্ষার্থী মারা গেছেন বলে ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়েছে, তিনি রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়ে আহত- রক্তাক্ত হয়েছেন। আহতদের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুরুতেই খোঁজ-খবর নিলে, গুজব এতটা ডালপালা মেলত না।

গ. বাংলাদেশের সমস্ত আন্দোলনের ইতিহাস দেখেন নিপীড়ন বা নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চাইলে, বুলেট বা রাবার বুলেটে আন্দোলনকারীরা আহত হলে, মারা যাওয়ার গুজব ছড়ায়, এটা খুব অস্বাভাবিক বিষয় নয়। ক্ষমতাসীনরা সব সময় বলেন ‘গুজব’ পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয়, বাস্তবে তা নয়। ‘গুজব’ ছড়ানোর জন্যে সবক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের পরিকল্পনা করার দরকার হয় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভয়ঙ্কর দমন প্রক্রিয়ায়ই ‘গুজব’ ছড়ানোর উপাদান থাকে।

ঘ. কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ নেত্রী আন্দোলনকারী একজনের ‘পায়ের রগ’ কেটে দিয়েছেন, এই গুজব বিষয়ে আসি। আসুন ধরে নিই আন্দোলনকারীরা এই ‘গুজব’ পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়েছেন। তাহলে প্রক্টর আর ভিসি কি করেছেন? হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা কি করেছেন?
প্রক্টর বলেছেন ‘অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। মেয়েটি নিজ মুখে আমার কাছে স্বীকার করেছে।’

পরে যখন জানা গেল অপরাধ সংগঠিত হয়নি, তার মানে ‘গুজব’ প্রক্টর নিজেও ছড়িয়েছিলেন। তিনি ভিসিকেও এই তথ্য সরবরাহ করেছেন। ভিসি হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের কাছে জানতে চেয়েছেন। তারাও ভিসিকে বলেছেন ‘অপরাধ সংগঠিত হয়েছে’। ভিসি সে কথা গণমাধ্যমের সামনে বলেছেন। তাহলে ‘গুজব’ ছড়ানোর দায় তো উপাচার্যেরও। শুধু গুজব নয়, প্রক্টর-ভিসি ছড়িয়ে পড়া ‘গুজব’কে সত্য ভিত্তি দিয়েছেন।

ঙ. ‘রগ কাটা’ হয়েছে কি, হয়নি- দেশের কোনো গণমাধ্যম অনুসন্ধান করে, দায়িত্ব নিয়ে প্রকৃত সত্য তথ্য প্রচার বা প্রকাশ করতে পারেনি। অধিকাংশ গণমাধ্যম ‘রগকাটা’ তথ্যের পেছনে ছুটেছেন। প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান করে বের করা অসম্ভব ছিল না। ছাত্রলীগ নেত্রী রগ না কাটলেও, শিক্ষার্থীদের যে নিয়মিত নিপীড়ন করেন সেই তথ্য গণমাধ্যম জানিয়েছে। ভিসি- প্রক্টর সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি।

চ. ৮ এপ্রিল রাতে হলগুলোতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ হতে পারে, এমন প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লাঠি-রড-চাপাতি হাতে দল বেঁধে তরুণরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হয় এসব যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে এবং তারা হলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করবে।

এই ভিডিও চিত্র আগের, না সেদিনের- দেশের কোনো গণমাধ্যম তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

তাহলে এই ‘আতঙ্ক’ বা ‘গুজব’ ছড়ানোর দায় কি যারা আতঙ্কিত হয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তাদের, না সরকারেরও? এখানে গণমাধ্যমের কি কোনো দায় নেই?

ছ. ‘মুখ গামছা দিয়ে ঢেকেছে কেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা? যেহেতু মুখ ঢেকে মিছিলে এসেছে, সুতরাং তাদের খারাপ উদ্দেশ্য আছে’- এই প্রচারণা চালানো হলো কলকাতার একটি জনসভার ছবি ব্যবহার করে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এই প্রচারণা কারা চালালেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা গণমাধ্যম তা অনুসন্ধান করে রহস্য উন্মোচন করেনি।

জ. ‘গুজব’ ছড়ানো হয়েছে বলে জিকির করার কিছু নেই। যা ঘটেছে, তা ঘটতে দেওয়ার বা থামাতে না পারার ব্যর্থতা সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সরকারের। সরকারি ছাত্র সংগঠন এবং দলীয় কিছু শিক্ষক- উপাচার্যের কর্মকাণ্ডে বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

৬. কথায় কথায় বলা হয় ‘সব কিছুর একটা সীমা’ থাকা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর চালানো নির্যাতনের কোনো সীমা-পরিসীমা থাকছে না। এতদিন শিক্ষকদের প্রশ্রয়ে ছাত্রলীগ নির্যাতন করত। এখন শিক্ষকরা সরাসরি নির্যাতন শুরু করেছেন। ‘দাবি মানা হলো, হলে ফিরে যাও’- বলে নিপীড়ন-নির্যাতন, ছাত্র রাজনীতি বা নিপীড়নের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে নিশ্চয়ই থেকে যাবে। মাঝ রাতে মেয়েদের হল থেকে বের করে দিয়ে যে, অপরাধ করা হয়েছে- তা বুঝেই হয়ত মেয়েদের আবার হলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তাতে বিষয়টি সমাধান হচ্ছে না।

যে যুক্তিতে মেয়েদের ভয় দেখানো হয়েছে, হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে- সেটা খুব বড় রকমের কু- যুক্তি।

ক. বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোনো মেয়ের মোবাইল ফোন, হল প্রাধ্যক্ষ চেক করতে পারেন না। এক্ষেত্রে ‘প্রাইভেসি’ লঙ্ঘিত হয়েছে।

খ. ভুয়া আইডি বা ‘অপতথ্য’ প্রচার করেছেন কিনা, তা প্রমাণিত হয়নি। প্রমাণ করার কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। প্রমাণের আগেই ‘অভিযুক্ত’ করে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে দিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ-উপাচার্য। মেয়েদের ‘প্রাইভেসি’র বিষয়টি এক্ষেত্রেও লঙ্ঘিত হয়েছে।

গ. হল প্রাধ্যক্ষ, হলের আবাসিক শিক্ষক বা উপাচার্য কেউ- ই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নন। মোবাইল বা ভুয়া আইডির বিষয়টি কোনো ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়া, রায় দিয়ে দিয়েছেন। প্রচলিত আইনেও যা করা যায় না।

ঘ. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে প্রাধ্যক্ষের যেমন দলীয় পদ ধারণ করে রাজনীতি করার অধিকার আছে (নৈতিকতার বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে বলছি), রাষ্ট্রীয় আইনে নিষিদ্ধ নয় এমন যে কোনো দলের রাজনীতি করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আছে। সরকারের বা দলের সমালোচনা করে পোস্ট যে কোনো শিক্ষার্থী দিতে পারেন। ‘সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড’ -এই যুক্তিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা উপাচার্য- প্রাধ্যক্ষ- প্রক্টর, কারও নেই।

ঙ. যেখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে, সেই আইনের দোহাই দিয়ে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নেওয়াকে উৎসাহিত করতে পারেন না। ‘অভিভাবকের দায়িত্ব’ বলে উপাচার্য যে নিপীড়নকে সমর্থন করছেন, ‘উপাচার্য পদ’টির জন্যে তা অত্যন্ত অসম্মানজনক। কোনো অভিভাবক খুশি মনে মাঝরাতে মেয়েদের হল থেকে নিয়ে যাননি। ‘অভিভাবকরা খুশি হয়েছেন, খুশিতে কেঁদে দিয়েছেন, বোনের ফেসবুক পোস্টের কারণে পুলিশ অফিসার ভাইয়ের চাকরি চলে যাবে’, সেই পুলিশ অফিসার একথা বলেছেন বলে উপাচার্য দাবি করছেন, এগুলো সৃজনশীল গল্প হিসেবেও উঁচু মানের নয়, সত্য কাহিনী তো নয়-ই।

চ. নিম্নবিত্তের সন্তান রাশেদদের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। ‘শিবির ট্যাগ’ বা দিনমজুর রাশেদের বাবাকে নাজেহাল করার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে।
ছ. ‘দুই হাজার ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করে দেব’- এমন হুমকি দিতে পারেন না একজন প্রাধ্যক্ষ। গণমাধ্যমের সামনে ভিসির বক্তব্য এবং প্রাধ্যক্ষের  অডিও’র হুমকি, কোনো অর্থেই উপাচার্য বা শিক্ষকসুলভ নয়।

জ. প্রাধ্যক্ষ এবং উপাচার্য বলেছেন ‘কাউন্সিলিংয়ের জন্যে মেয়েদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে’।
মাঝরাতে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিভাবক বা মেয়েরা গণমাধ্যমকে কিছু বলতে পারবেন না। বললে, বিপদে পড়তে হবে।এমন অভিনব কাউন্সিলিং পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে বলে জানিনা। জানেন কেউ?

৭. সারা পৃথিবীতে শিক্ষার্থীরা হলে থাকলে, অভিভাবকরা সবচেয়ে নিশ্চিন্তে থাকেন। ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের ঘুমহীন সময় কাটাতে হয়।

শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া দরকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, সরকারেরও। দাবি মানার কথা বলে ঘরে ফিরিয়ে নিপীড়ন- ভালো কাজ নয়। শিক্ষার্থীরা ভাবতে পারেন, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। নিপীড়ন না করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের। কোটা সংস্কার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে হবে সরকারকে। সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু করণীয় নেই। তাদের করণীয় নিপীড়ন বন্ধ করার দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে। কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষের প্রকাশিত হয়ে পড়া ‘অডিও হুমকি’তে যার উপাদান আছে। ‘এখন থেকে হলে সিট হল কর্তৃপক্ষ দিবে’- এই বক্তব্য দিয়ে যা বোঝায়, সেই অনুযায়ী উদ্যোগ নিতে হবে। ছাত্রলীগের হাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন- হল ছেড়ে দেওয়ার নীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। তা না হলে, সমস্যার সমাধান হবে না।

  • DailyStar/Apr 22, 2018

সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মানসিক চাপ দিচ্ছে

ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর


বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার ব্যাপারে সরকারের কাছে কোন সঠিক তথ্য নাই। আবার বিএনপি থেকে যা বলা হচ্ছে তা তাদেরই কথা বলছে। এ জন্য বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যথার্থ বলাটা মুশকিল। তবে একজন চিকিৎসক হিসাবে আমার ধারণা হলো, সরকার তাকে মানসিক চাপ এবং একাকিত্ব দিয়ে মানসিক ভাবে কষ্ট দিচ্ছে। যার ফলে শারীরিক অসুস্থ হওয়াটাই স্বাভাবিক। গণস্বাস্থ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাথে আলাপকালে আমাদের অর্থনীতিকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে পুরাতন করাগারে প্রায় দশ হাজার আসামি কয়েদি থাকতো সেখানে শুধুমাত্র খালেদা জিয়াকে একা রাখা হয়েছে। নিঃসঙ্গ অবস্থায় মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়াটা খুব সাভাবিক। আমি মনে করি সরকারের উদ্দেশ্যটা ভাল নয়। বেগম জিয়াকে অনতিবিলম্বে যে কোন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করি। তাকে পুরাতন কারাগার থেকে বের করে মুক্ত স্থানে নিয়ে আসা খুব জরুরী । তাকে একা রেখে সরকার জনসধারণকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, সরকার খালেদা জিয়ার সাথে অন্যায় করেছে। সাজা হয়েছে তার মানে এ নয় যে, তাকে একাকিত্ত জীবন যাপন করতে হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তাকে একাকিত্ত থেকে মুক্তি দেওয়াটা যৌক্তিক কিন্তু সরকার তা করছে না।

  • AmaderSomoy/Apr 22,2018 

Govt took limited steps to prosecute rights abuses


Says US state dept report on Bangladesh



Staff Correspondent

Bangladesh government took limited measures to investigate and prosecute cases of extrajudicial killings and enforced disappearances, said the US State Department in its 2017 Country Reports on Human Rights Practices.

“There were reports of widespread impunity for security force abuses… public distrust of police and security services deterred many from approaching government forces for assistance or to report criminal incidents,” it said.

The annual report, released by the US Acting Secretary of State John J Sullivan in Washington on Friday, considered extrajudicial killings, torture, arbitrary or unlawful detentions, and forced disappearances by government security forces as the most significant human rights issues in Bangladesh.

It also listed restrictions on civil liberties, including freedom of speech and press; the activities of NGOs; a lack of freedom to participate in the political process; corruption; and violence and discrimination based on gender, religious affiliation, caste, tribes as other rights issues.

“Trafficking in persons remained a serious problem; as did restrictions on worker's rights and the worst forms of child labour,” the report says.

EXTRA-JUDICIAL KILLINGS

According to the report, though Bangladesh's constitution provides for the rights to life and personal liberty, suspicious deaths occurred during raids, arrests, and other law enforcement operations.
“Security forces frequently claimed they took a suspect in custody to a crime scene or hideout late at night to recover weapons or identify conspirators and that the suspect was killed when his conspirators shot at police,” said the report.

The government usually described these deaths as “crossfire killings,” “gunfights,” or “encounter killings,” terms used to characterise exchanges of gunfire between the Rapid Action Battalion (RAB) or other police units and criminal gangs, it said.

Human rights organisations and media outlets claimed many of these “crossfire” incidents actually constituted extrajudicial killings. 

It said in some cases law enforcement units detained, interrogated, and tortured suspects, brought them back to the scene of the original arrest, executed them, and ascribed the death to lawful self-defense in response to violent attacks.

It says Ain O Salish Kendra (ASK) reported that security forces killed 162 individuals in “crossfire” incidents. Another domestic human rights organisation, Odhikar, reported that security forces killed 118 individuals extra-judicially in the first 10 months of the year.

“It's something of concern to us…if we have information that a particular unit of the security forces is engaged in abuses (in Bangladesh and any other country), we can't train them or equip them under our law until the government brings the perpetrators of the abuse to justice,” said Michael G. Kozak, acting principal deputy assistant secretary at the Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor in a press briefing.

DISAPPEARANCE

The report said following alleged disappearances, security forces released some individuals without charge, arrested some, while others were found dead or never found. ASK stated there were 60 enforced disappearances during the year.

In February, the Office of the UN High Commissioner for Human Rights published a report claiming at least 40 disappearances. The government did not respond to a request from the UN Working Group on Enforced Disappearances to visit the country.

High-ranking government officials repeatedly denied incidents of the enforced disappearance and claimed victims were hiding of their own accord. However, a July 4 judicial inquiry concluded that enforced disappearances occurred and ordered the Police Bureau of Investigation to take action regarding a disappeared person.

In April, Swedish Radio reported a secretly recorded interview with a senior RAB officer admitting that his unit routinely picked up individuals, killed them, and disposed of the bodies, the report said.
“While the government has mechanisms to investigate and punish abuse and corruption within the security forces, these mechanisms were not regularly employed,” the report added.

“Reluctance to bring charges against police also perpetuated a climate of impunity. Officers loyal to the ruling party occupied many of the key positions in the law enforcement agencies,” it added.

The report said human rights observers maintained that magistrates, attorneys, and court officials demanded bribes from defendants in many cases, or they ruled based on influence by or loyalty to political patronage networks.

“Corruption and a substantial backlog of cases hindered the court system, and the granting of extended continuances effectively prevented many defendants from obtaining fair trials,” it said.

FREEDOM OF EXPRESSION

The report said media were active and expressed a wide variety of views, but there were significant limitations on freedom of speech in Bangladesh. Some journalists self-censored their criticisms of the government due to harassment and fear of reprisal.

Media outlets which criticised the government experienced negative government pressure. Also, authorities, including intelligence services on some occasions, subjected journalists to physical attack, harassment, and intimidation, the report said.

In 2016, several high-profile individuals were charged with sedition, including BNP leader Khaleda Zia, television personality Mahmudur Rahman Manna, and reporter Kanok Sarwar. The government did not proceed with the prosecutions of Manna and Sarwar.

The law limits hate speech but does not define clearly what constitutes hate speech, which permits the government's broad powers of interpretation.  Also, The Foreign Donation Act criminalises any criticism of constitutional bodies.

Independent journalists alleged that intelligence services influenced media outlets in part by withholding financially important government advertising and pressing private companies to withhold their advertising as well.

Privately owned newspapers usually enjoyed freedom to carry diverse views. Political polarisation and self-censorship remained a problem, however, the report added. 

It said that on multiple occasions, government officials threatened privately owned television channels not to broadcast the opposition's activities and statements.

According to observers, the report says, daily newspapers Prothom Alo and The Daily Star were denied access to prime ministerial events because they published reports critical of the government and prime minister.

At the press briefing, Michael G Kozak said US has called for an impartial and fair trial of BNP Chief Khaleda Zia, and not to just let somebody be imprisoned for being a political opponent.
The US also has called for free and fair upcoming elections with international monitoring in Bangladesh, he said.

CORRUPTION

Bangladesh's law provides criminal penalties for corruption by officials, but the government did not implement the law effectively, and officials frequently engaged in corrupt practices with impunity, the State Department report said.

According to the Anti-Corruption Commission (ACC), 164 of the 2,704 filed cases were disposed of in the first eight months of the year. Of these, 110 resulted in conviction and 54 resulted in acquittal, while 360 cases against government officials, business leaders, and political leaders were stayed by the High Court, it added.

In some cases, the government allegedly used the ACC as a political tool, including having the ACC initiate or threaten inquiries into some businesspeople, newspaper owners, and civil society members for criticising the government, the report said.

It also said the ACC has dropped investigations of some politicians for amassing wealth unexplained by known sources of income after they stated they had made mistakes on their wealth affidavits.
The report said although human rights groups often sharply criticised the government, they also practiced some self-censorship.

Observers noted that a “culture of fear” had diminished the strength of the civil society, exacerbated by threats from extremists and an increasingly entrenched leading political party.

Mandated by the US Congress, the country reports provide policymakers with human rights conditions of nearly 200 countries. 

  • Courtesy   — The Daily Star/April 22, 2018 


বৈষম্য নিরসন হোক উন্নয়নের দর্শন

ড. মইনুল ইসলাম


গত ১৬ মার্চ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশ যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশের ক্যাটাগরিতে উত্তরণের জন্য পূর্বশর্ত হিসেবে নির্ধারিত তিন বিবিধ শর্ত পূরণ করেছে, তাই ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের এ উত্তরণ পর্ব শুরু হয়ে গেল। এ তিন ধরনের শর্ত মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ঝুঁকিসংক্রান্ত। বাংলাদেশ সব শর্তই পূরণ করে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ উত্তরণ পর্ব আগামী ছয় বছর ধরে ওই কমিটি মনিটর করার পর ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করবে। তারও তিন বছর পর ২০২৭ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের জন্য প্রযোজ্য যাবতীয় শর্ত মেনে চলবে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সব নিয়ম-কানুনের আওতায় আসবে। 

জাতিসংঘ এ স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের ক্যাটাগরির প্রচলন করেছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার পর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার বহু সাধ্য-সাধনা করে বাংলাদেশকে এ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করাতে সক্ষম হয়েছিল স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা লাভের প্রত্যাশায়, যদিও সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যার কোনো দেশকে সাধারণত এ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম ছিল না। বলা বাহুল্য, ওই সময়ের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সুবিধাগুলো পাওয়া বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য বিবেচিত হয়েছিল। এটাও অবশ্য বলা প্রয়োজন, বিশ্বের ‘মিসকিনদের ক্লাব’ কিংবা ‘ভিক্ষুকদের ক্লাব’ হিসেবে পরিচিত এ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হতে অনেক দেশ কখনই রাজি হয়নি তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় থাকা সত্ত্বেও। ঘানা, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্তির পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত আশা ছিল, স্বাধীনতা-পরবর্তী চরম সংকটজনক অর্থনৈতিক অবস্থা কাটিয়ে ওঠার পর এক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশ এই অবমাননাকর স্বল্পোন্নত দেশের পরিচয় ঝেড়ে ফেলে উন্নয়নশীল দেশের ক্যাটাগরিতে উত্তরণে সক্ষম হবে। কিন্তু এ উত্তরণ পর্বে পৌঁছতে বাংলাদেশের ৪৩ বছর লেগে গেছে।

এ পর্যায়ে উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেশ কয়েক বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি হারে জিএনআইয়ের প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে বলে সরকার দাবি করছে এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অতিক্রম করবে বলে ১ এপ্রিল মাননীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিএনআই ২০১৭ সালের জুনে ১ হাজার ৬১০ ডলারে উন্নীত হয়েছে বলে সরকার দাবি করলেও জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক কিংবা আইএমএফের হিসাবে তা এখনো অনেক কম দেখানো হচ্ছে। জিএনআই প্রবৃদ্ধির হার ও মাথাপিছু জিএনআই বেশি দেখানোর প্রবণতা বাংলাদেশের সব সরকারের আমলেই ছিল, এটাকে অস্বাভাবিক বলা যাবে না। কারণ এর রাজনৈতিক ফায়দা ক্ষমতাসীন সরকারের ভাগেই যাবে। সরকারের দাবি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অবস্থানের ফারাক থাকলেও এটা স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি উচ্চ জিএনআই প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্তরে প্রবেশ করেছে, যেটাকে টেকসই করাটাই এখন জাতির প্রধান চ্যালেঞ্জ।

আজকের নিবন্ধে আমি দৃষ্টি দিতে চাই দেশে আয়বৈষম্য নিরসনের বিষয়টায়। গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তাদের পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে ২০১৬ বা খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১৬-এর মূল তথ্য-উপাত্তগুলো একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিল, যা ১৮ অক্টোবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পরিচালিত এবারের জরিপে ৪৬ হাজার হাউজহোল্ড বা খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলা হচ্ছে, যেখানে ২০১০ সালের জরিপে ১২ হাজার খানাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। জরিপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ—

১. বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যার অনুপাত ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল, যে হার ২০১০ সালে ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। অতএব, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল— এ ছয় বছরে দারিদ্র্য কমেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। মানে ওই ছয় বছরে প্রতি বছর গড়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমেছে। এর আগের পাঁচ বছর মানে ২০০৫-১০ মেয়াদে দারিদ্র্য হ্রাসের হার ছিল প্রতি বছর ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, এ দেশের দারিদ্র্য হ্রাসের হার ক্রমেই শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। এটা একটা দুঃসংবাদ। কিন্তু এর প্রধান কারণটাও জরিপের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে ধরা পড়েছে, সেটা হলো— বাংলাদেশে আয়বৈষম্য বেড়ে মারাত্মক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

২. অর্থশাস্ত্রে আয়বৈষম্য পরিমাপের সবচেয়ে বহুল ব্যবহূত পরিমাপক হলো জিনি সহগ, যার মান এবারের জরিপে ২০১০ সালের শূন্য দশমিক ৪৬৫-এর চেয়ে বেড়ে ২০১৬ সালে শূন্য দশমিক ৪৮৩-এ দাঁড়িয়েছে। জিনি সহগের মান বাড়লে সেটা একটা মহাবিপদ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয় যে, দেশে আয়বৈষম্য বেড়েই যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ অদূরভবিষ্যতে একটি উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। যেসব দেশের জিনি সহগ শূন্য দশমিক ৫ পেরিয়ে যায়, সেসব দেশকে উন্নয়ন তত্ত্বে উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশ এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

৩. আরো একটা উপাত্ত একই সাক্ষ্য বহন করছে: ছয় বছর আগে দেশের ১০ শতাংশ উচ্চবিত্ত ধনাঢ্য ব্যক্তির দখলে দেশের মোট জিডিপির ৩৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল, ২০১৬ সালে ওই ১০ শতাংশ মানুষের হাতে দেশের ৩৮ দশমিক ১৬ শতাংশ আয় জমা হয়ে যাচ্ছে। এর বিপরীতে দেশের ১০ শতাংশ দরিদ্রতম মানুষ ২০১৬ সালে মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশের মালিক হতে পারছে, যেখানে ২০১০ সালে তারা মোট আয়ের ২ শতাংশের মালিক ছিল। একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর হাতে যে জিডিপি পুঞ্জীভূত হয়ে যাচ্ছে, এটা তার অকাট্য প্রমাণ। মুক্তবাজার অর্থনীতিকে আঁকড়ে ধরলে এটাই তো হবে, নয় কি?

৪. দেশের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার ২০১৬ সালে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে গেছে, এ হার ২০১০ সালে ছিল ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এটা সুসংবাদ। কিন্তু আয়বৈষম্য না বাড়লে এ হার আরো দ্রুত কমে যেত।

৫. দেশের দরিদ্রতম ৫ শতাংশ মানুষের কাছে ২০১০ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ আয় কিন্তু ২০১৬ সালে তাদের কাছে মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ আয় পৌঁছতে পেরেছে। এর অর্থ দেশের হতদরিদ্ররা ওই ছয় বছরে আরো দরিদ্র হয়ে গেছে।

১৯৭৫ সাল থেকে এ দেশের সরকারগুলো ‘মুক্ত বাজার অর্থনীতির’ ডামাডোলে শরিক হয়ে ব্যক্তিখাত ও বাজারীকরণকে আঁকড়ে ধরার ফলে এ দেশে আয় ও সম্পদ বণ্টনের বৈষম্য বেড়ে বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে গেছে। ১৯৭২ সালে বিআইডিএসের গবেষণায় নির্ণীত হয়েছিল, বাংলাদেশের আয়বৈষম্য পরিমাপক জিনি সহগ শূন্য দশমিক ৩২। ওয়াকিবহাল মহলের অজানা থাকার কথা নয় যে, হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে বা খানা আয় ও ব্যয় জরিপ মোতাবেক এ দেশের জিনি সহগ ২০০৫ সালে শূন্য দশমিক ৪৬৭ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল এবং ২০১০ সালের একই জরিপে ওই সহগ শূন্য দশমিক ৪৬৫-এ রয়ে গেছে। তার মানে ওই পাঁচ বছরে আয়বৈষম্য আর না বাড়লেও কমানো যায়নি। আর ২০১৬ সালে এসে জিনি সহগ শূন্য দশমিক ৪৮৩-এ পৌঁছে গেছে। 

১৯৭০ সালে পাকিস্তানে ২২টি কোটিপতি পরিবারের কথা বলা হতো, যারা রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানের শিল্প-বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ওই ২২ পরিবারের মধ্যে দুটি পরিবার ছিল পূর্ব পাকিস্তানের, তা-ও একটি ছিল অবাঙালি। ওই বাংলাদেশেই ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মোতাবেক ২৩ হাজার ২১২ জন কোটিপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে ওই সংখ্যা ৫০ হাজার অতিক্রম করেছে বলে তারা  দাবি করেছে। ২০১৭ সালে ১ কোটি টাকার বেশি অর্থ অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যাংকের আমানতকারীদের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার অতিক্রম করেছে বলে খোদ অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) জানিয়েছে, বাংলাদেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা প্রতি বছর নাকি এ দেশ থেকে ৯০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিশ্বের নানা দেশে পাচার করে দিচ্ছে। 

এসব তথ্যের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল যে এক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে গিয়ে পুঞ্জীভূত কিংবা তাদের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার বিপদসংকেত পাওয়া যাচ্ছে, সে ব্যাপারে ক্ষমতাসীন সরকারের কি কোনো করণীয় নেই? সাধারণ জনগণের কাছে বোধগম্য যেসব বিষয় এ বিপদটার জানান দিচ্ছে সেগুলো হলো— ১. দেশে প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে ১১ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যেখানে মা-বাবার বিত্তের নিক্তিতে সন্তানের স্কুলের এবং শিক্ষার মানে বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে ২. দেশে চার ধরনের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে ৩. ব্যাংকের ঋণ সমাজের একটা ক্ষুদ্র অংশের কুক্ষিগত হয়ে যাচ্ছে এবং ঋণখেলাপি বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে ৪. দেশের জায়গাজমি, অ্যাপার্টমেন্ট, প্লট, ফ্ল্যাট মানে রিয়াল এস্টেটের দাম প্রচণ্ডভাবে বেড়েছে ৫. বিদেশে পুঁজি পাচার মারাত্মকভাবে বাড়ছে ৬. ঢাকা নগরীতে জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৫ লাখে পৌঁছে গেছে, যেখানে আবার ৪০ শতাংশ বা ৭০ লাখ মানুষ বস্তিবাসী ৭. দেশে গাড়ি, বিশেষত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে ৯. বিদেশে বাড়িঘর, ব্যবসাপাতি কেনার হিড়িক পড়েছে ১০. ধনাঢ্য পরিবারগুলোর বিদেশ ভ্রমণ বাড়ছে ১১. উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে ১২. উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ঘন ঘন বিদেশে যাওয়ার খাসলত বাড়ছে ১৩. প্রাইভেট হাসপাতাল ও বিলাসবহুল ক্লিনিক দ্রুত বাড়ছে ১৪. প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার হিড়িক পড়েছে ১৫. দেশে ইংলিশ মিডিয়াম কিন্ডারগার্টেন, ক্যাডেট স্কুল, পাবলিক স্কুল এবং ও লেভেল/এ লেভেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার মহোৎসব চলছে এবং ১৬. প্রধানত প্রাইভেট কারের কারণে সৃষ্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামের যানজট নাগরিক জীবনকে বিপর্যস্ত করছে।

বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উন্নয়ন দর্শন ঘোষিত হয়েছিল— ‘দরিদ্রবান্ধব প্রবৃদ্ধি কৌশল’ অবলম্বন করা হবে। ওই পরিকল্পনা প্রণয়নে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য গঠিত ‘প্যানেল অব ইকোনমিস্টস’-এর অন্যতম সদস্য ছিলাম আমি। আমার অবস্থান ছিল, ওই কৌশল একটা ফাঁকিবাজির নামান্তর। 

আমাদের দেশের জন্য সরাসরি বৈষম্য নিরসনকে উন্নয়নের দর্শন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কারণ বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি ‘গণপ্রজাতন্ত্র’ এবং ২০১০ সালের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে এ রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতির মধ্যে আবার সমাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অতএব, ২০১০-১৫ মেয়াদের জন্য প্রণীত ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বৈষম্য নিরসনকে উন্নয়ন কৌশলের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছিলাম। প্যানেল অব ইকোনমিস্টসের চেয়ারম্যান প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদসহ প্রায় সব সদস্য আমাকে সমর্থন দিলেন। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম, প্যানেলের আর কোনো সভা না ডেকেই পরিকল্পনার খসড়া মন্ত্রিসভায় পেশ করে পাস করে ফেলা হলো। সেখানে ‘দরিদ্রবান্ধব প্রবৃদ্ধি’ কৌশল ঠিকই বহাল রয়ে গেল। 

২০১৬ সালের জরিপের ফল জানার পর এখন তো স্বীকার করতেই হবে, বৈষম্য নিরসনকারী প্রবৃদ্ধিকেই এ দেশের উন্নয়নের মূল দর্শন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে এবং প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় ও বাজেটে সুস্পষ্ট নীতি ও কর্মকৌশল ঘোষণা করতে হবে যে, প্রতি বছর জিনি সহগ কতখানি কমিয়ে আনা হবে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, নিকারাগুয়া, বলিভিয়া ও চিলি এখন এ পথেই এগোচ্ছে। সরকারকে ওইসব দেশে আয় পুনর্বণ্টনের মূল এজেন্টের ভূমিকা পালনে এখন বাধ্য করা হচ্ছে।

বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাতের বাজারীকরণ হলো আয়বৈষম্য বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিকর ব্যবস্থা। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের পর এ দুটো ব্যবস্থাকেই এগিয়ে নিয়ে গেছে সরকারগুলো। তৃতীয় ডাইমেনশনটি হলো ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং চতুর্থটি হলো সরকারি রাজস্ব ও ব্যয় ব্যবস্থা। বাজেটে শিক্ষা খাতে সরকারি ব্যয়কে এখনো জিডিপির আড়াই শতাংশেরও নিচে নামিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। স্বাস্থ্য খাতের সরকারি ব্যয়ও জিডিপির শতাংশ হিসেবে মোটেও বাড়ানো যাচ্ছে না বাজেটে। আর এ দেশের দারিদ্র্য সৃষ্টির সবচেয়ে বড় যে কারখানা, সে কৃষি খাতেও সরকারি ব্যয় বরাদ্দ কমানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
সম্প্রতি বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ফরাসি অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটির বেস্ট সেলার ক্যাপিটাল ইন দ্য টুয়েনটি ফার্স্ট সেঞ্চুুরি বইয়ে যে হাইপোথিসিসটি অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা হলো, রাষ্ট্র যদি অত্যন্ত কঠোরভাবে আয় ও সম্পদ পুনর্বণ্টনকারীর ভূমিকা পালন না করে, তাহলে উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে বিশ্বের সব দেশে আয় ও সম্পদ বৈষম্য বাড়তে বাড়তে অতিদ্রুত বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে যাবেই। সাইমন কুজনেৎস যে একপর্যায়ে উন্নত দেশগুলোয় বৈষম্য আর বাড়বে না বলে তত্ত্ব দিয়েছিলেন, সেটাকে পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে পিকেটির বইয়ে। 

তিনি মনে করেন, অত্যন্ত প্রগতিশীল আয়কর ব্যবস্থা, সম্পত্তি কর ব্যবস্থা ও বিশ্বব্যাপী পুঁজির ওপর ‘গ্লোবাল ট্যাক্স’ বসানোর মাধ্যমে এ আসন্ন মহাবিপদ ঠেকাতে হবে। পিকেটি অবশ্য ইউরোপীয় কল্যাণ রাষ্ট্রগুলোকে এ ব্যাপারে তার আদর্শ মনে করেন। টমাস পিকেটি তার বইয়ে কার্ল মার্ক্সকে কঠোর সমালোচনা করেছেন কিন্তু তা সত্ত্বেও বৈষম্য নিরসনকারী প্রবৃদ্ধি কৌশল অবলম্বনের জন্য তার আকুতি ফুটে উঠেছে বইয়ের উপসংহারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ‘বৈষম্য নিরসনকারী প্রবৃদ্ধি কৌশল’কে কেন আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করছি না? আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকার হতেই হবে ‘বৈষম্য নিরসন’।
  • লেখক: ইউজিসি প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
  • Courtesy: Banikbarta/Apr 21, 2018

Saturday, April 21, 2018

BCIC fears Tk 19b loss in next FY

Syful Islam 


The Bangladesh Chemical Industries Corporation (BCIC) is likely to incur a loss of around Tk 19 billion for selling urea fertiliser at much lower price than the production cost in the next fiscal year, officials said.

Amid such a situation, the corporation has requested the government to provide subsidy against the loss and include it in the subsidy policy.

BCIC chairman Shah Md Aminul Haq in a recent letter to the ministry of finance (MoF) said the corporation imports and produces urea fertiliser to meet local demand.

The government provides subsidy against the losses incurred for selling imported urea fertiliser at low price to the farmers. However, no subsidy is given against the losses incurred for selling urea fertiliser produced in the six factories, owned by the BCIC.

The government in August 2013 fixed the selling price of urea fertiliser at Tk 14,000 per tonne, lowering it from Tk 18,000 a tonne. 

Mr Haq also wrote that due to lack of uninterrupted gas supply, the BCIC factories cannot produce fertiliser at expected level. As a result, the production cost of fertiliser goes up, leading to a big financial loss.

According to the BCIC chairman, the six urea plants produced 922,720 tonnes of fertiliser in the fiscal year 2016-17. The production cost of each tonne of fertiliser was Tk 19,304 while their selling price was Tk 14,000 per tonne. As a result, the corporation suffered a loss of Tk 4.89 billion that year.

"If the gas price is fixed at Tk 13 per cubic foot, the production cost of per tonne of urea fertiliser in the fiscal year 2018-19 will reach Tk 25,330 and loss from selling of per tonne fertiliser will stand at Tk 11,330," he wrote to the ministry.

The total loss from urea sales will stand at Tk 18.70 billion in the next fiscal year, he wrote, adding that providing subsidy, to the tune of the loss to be incurred, has become necessary to help save the factories.

A senior MoF official told the FE that they were examining the proposal sent by the BCIC. Decision will be taken after consultation with industries and agriculture ministries, he noted.

BCIC officials said almost all the factories under the corporation, except Shahjalal Fertiliser Company Ltd and Jamuna Fertiliser Company Ltd, have become outmoded many years back.

As a result, mechanical fault, corrosion, leakage, environmental pollution, and breakdown often occur, and efficiency of those factories decreases, they added.

BCIC produced over 1.6 million tonnes of fertilisers through its enterprises ten years back, but the production capacity has now dropped to nearly 0.9 million.

The corporation annually requires 88,770 million cubic feet (mmcf) of gas to operate its six urea fertiliser plants with cent-per cent load. But it presently gets less than 35,000 mmcf, leading to frequent suspension of operation.

Despite attempts over telephone, BCIC chairman Mr Haq could not be reached for his comment in this regard.

  • Courtesy — The Financial Express/ April 21, 2018 

DU authorities come under fire

Provost says the kicked-out female students return to dorm; Students demand removal of provost



Students of Dhaka University, under the banner of Bangladesh General Students' Rights Protection Council, bring out a procession on the campus yesterday afternoon protesting the throwing out of some female students from Kabi Sufia Kamal Hall by the dorm authorities around midnight on Thursday. The students' platform recently launched a movement demanding reforms in quota in government jobs.

Staff Correspondent

The Dhaka University authorities have drawn flak for driving out female students from Kabi Sufia Kamal hall late Thursday night.

Terming the incident shameful, Bangladesh Shadharan Chhatra Odhikar Sangrakkhan Parishad, the platform of students that led the recent quota reform movement, demonstrated on the campus yesterday.

After hours of widespread criticisms and demonstrations, the hall Provost Prof Sabita Rizwana told The Daily Star last night that three girls had returned to the dorm after giving written statements that “they would not spread rumours again”.

Contradicting witness statements that four girls were driven out of the dorm at night, she insisted that three girls were “handed over to families for counselling. We did not revoke their seats.”

The provost added that she had a “successful” meeting at the hall with over 500 resident students around 8:30pm. “All of them said that they were embarrassed about the misleading posts [on social media].”

Before throwing out the students from the hall on Thursday, the authorities had gone through the students' mobile phones. Witnesses said two of the students left the dormitory at 11:45pm and 12:15am while the others walked out at 10:30pm.

The DU administration has been saying that these students had spread rumours using fake accounts on Facebook during the April 10 incident at the dormitory.

DEMOS ALL AROUND
Students of the university's Rokeya hall even demonstrated in front of Vice Chancellor Prof Akhtaruzzaman when he visited the dorm to attend an event yesterday evening.

Addressing a rally on campus, Nurul Huq, joint convenor of Bangladesh Shadharan Chhatra Odhikar Sangrakkhan Parishad, said, “Driving students out of the dormitory at midnight shows the moral degradation of the provost. We demand that the Dhaka University authorities remove her from the post immediately.”

With placards and slogans condemning the move, several hundred protesters joined a procession on the campus in the afternoon, amid presence of Bangladesh Chhatra League leaders.

Residents of Rokeya Hall protest as DU VC Prof Akhteruzzaman walks past them at their hall yesterday.

The protesters urged DU authorities to bring back the students with dignity or be prepared for more demonstrations on the streets.

“Those who took part in the quota reform movement are receiving death threats and conspiracies against them are being hatched,” Rashed Khan, another joint convener of the platform, said, addressing the rally.

The procession was scheduled to start from the central library at 4:00pm, but no protestor was seen there at the time. BCL leaders and activists loitered there instead. The procession started from Raju Memorial Sculpture later.

Some 30 BCL activists also took position near the sculpture. They left after the protestors started the procession.

At Jahangirnagar University, some 70 students demonstrated condemning the DU administration.

Pragatishil Chhatra Jote, an alliance of left-leaning student bodies, in a statement said, “The incident is an expression of the autocratic nature of Dhaka University administration.” They too demanded removal of the provost.

Demanding a safe campus for students, a group of teachers under the banner of "Shocheton Shikkhokbrindo" have announced forming a human chain at the base of Aparajeyo Bangla on the campus on Sunday.

A number of former students and teachers also took to social media to criticise DU administrations.

In a one-man proest, Yasin Arafat, a second-year DU student, holds a placard in front of F Rahman Hall, demanding resignation of Sufia Kamal Hall Provost Dr Sabita Rizwana for kicking out some female students late on Thursday night. Photo: Collected

WHAT HAPPENED ON APRIL 10
On April 10, some photos of an injured female student at Kabi Sufia Kamal Hall went viral on the social media. According to some students at the hall, BCL's hall unit president Iffat Jahan Isha was allegedly assaulting three students inside her room around 12:30am for joining the quota reform protests.

Hearing screams of the students, Morsheda Akhtar, a fourth-year student of botany and also vice president of the BCL hall unit, rushed to Iffat's room. Finding it locked, she got angry, kicked a window of the room and cut her foot, they said.

Some photos of her wounded leg were doing the rounds on Facebook with captions that Iffat had cut tendons of Morsheda's leg. 

Iffat was suspended by the university soon afterwards, but the authorities took her back later.

Residents of the hall told The Daily Star yesterday that the hall authorities had been interrogating them about their Facebook posts regarding Isha's alleged assaults on several quota reform protesters.

PROTESTOR DENIED ENTRY TO HIS DORM
With a placard demanding removal of the hall Provost Prof Sabita, SM Yasin Arafat, a second year student, came in front of Sufia Kamal Hall around 1:30pm on Thursday alone. Other students joined him soon.

When he was returning to his room in Sir F Rahman Hall around 4:00am, some BCL men allegedly intercepted him at the gate and barred his entry.

“I took the seat at the hall with the help of Chhatra League. They want to know why I joined the protest.... I was told to leave the dorm,” Yasin told The Daily Star early today.

He added that he was staying at his friend's house at Bakshi Bazar.

The dorm students yesterday alleged that they have been harassed and threatened in the name of investigating the reported abuses of quota protesters by Iffat.

DU VC PRAISES HALL AUTHORITIES
Prof Akhtaruzzaman told reporters at his residence yesterday morning that it was the responsibility of Kabi Sufia Kamal Hall authorities to hand the students, who had spread falsehood on Facebook, over to their families.

"It was done to safeguard the dignity of the hall and all the students," he said, adding "So, by doing this, the hall authorities did a good job.”

PROVOST THREATENED MASS EXPULSION
An audio clip of the hall Provost Prof Sabita Rizwana was doing the rounds on social media where she was heard warning the resident students against giving any “misleading posts” on social media.

“Those who are giving misleading posts are under government surveillance. The intelligence cell will look into it. I don't want any involvement  in this.

“Now if anyone tries to create chaos or if you try to post anything to create confusion about the hall, we will inform the government,” the provost said, warning them against committing cyber crimes.

The students are heard pointing out that “all 2,000 students of the dorm” took part in the protest on April 11. The provost said the officials saw the video footage and identified some of them.

“But if 2000 students give signatures and take responsibility of the assault [on Iffat], I will submit it to the university authorities to revoke all of your studentships.”

Several resident students of the hall confirmed the authenticity of the audio clip.

VC Akhtaruzzaman earlier told reporters that a five-member probe body had identified 26 resident students of Sufia Kamal Hall who created chaos on early April 11 at the dorm.

  • Courtesy — The Daily Star/April 21, 2018 

Is the right to natural death too much to ask for?


Badiuzzaman Bay

Terming Rajib Hossain's death a “murder”, a rights group on April 18, 2018, stages a sit-in in front of Jatiya Press Club in Dhaka. Photo: Star

At this time, in this city, on this land along the shore of the Bay of Bengal, the angel of death works double time. There is always someone to kill, someone to trap or exploit, someone to drive crazy, someone expendable. How else will you explain the seismic waves of tragedies, misfortunes and betrayals that are breaking on our shores every day? How else will you justify your existence in a country so self-righteously preening itself over its moral credentials when, clearly, it is being dominated by thugs, rapists, and misanthropes?

Such distressing thoughts are increasingly the price you pay for living in this age and time—a time when a tragedy as heart-breaking as that of Rajib Hossain no longer produces a sense of disbelief. Rajib Hossain, the 21-year-old college student, was admitted to hospital after he lost his arm to a race between two buses. It happened on a very familiar road, one that I take every day on my way to office. Every day I stand on the seventh-floor balcony of my office, my heart racing as I look down on the streets below, and I wonder if today is the day someone will have their bubble burst. The bubble we hide out in and feel secure until security proves illusive.

I was distraught by the news of Rajib's accident but I hoped, still clinging to my own bubble, that the worst was over. All that could happen to him now was a lifelong disability, the unpleasant readjustment with the new realities of his life, and possibly a sobriquet along the lines of “the one-armed man.” But he would get used to it, like most people with disabilities do, and he would survive. People who had never seen or heard of him before also prayed for his recovery, sure of the power of their prayers and the collective weight of their tears.

But Rajib died early on Tuesday. Now I don't even know what to pray for anymore.

In life, Rajib represented the majority of our students that come from low-income families and try to fulfil their dream by acquiring a degree and getting a decent job. In death, he represents the shattering of that dream. These students are taught to be responsible not for their own sake but for their parents and siblings who depend on them. Every step they take is measured, and monitored, for a mistake can be costly for the entire family. For his own two younger brothers, orphaned at an early age, Rajib was both mother and father. His dreams were entwined with theirs. Did he ever despair that he had to take this responsibility on his shoulder? Did he ever wonder what life could be like without the burden of having to live for someone else? In the end, it didn't matter. Through his death, Rajib has shown that a tragedy, in this city, is never too far away. 

The fact is, we don't get to live anymore; we survive. We barely hang on to a thread of life that can be torn apart anytime. The fragility of our life manifests itself through tragedies of heard and unheard kinds: a boy maimed or killed in “accidents”, a five-year-old child raped and killed; an activist wiped off the face of the earth because his/her existence presents a threat; a student blinded because he dared to join a protest, another killed because he was caught in the crosshairs of intraparty feuds. These unfortunate and unnatural deaths and tragedies stand as a mockery in the face of our right to life and natural death. You can lay the blame squarely on the failure of our current system of governance that has internalised violence and made tragedies seem normal—just another body count—but when young men take their own life, for whatever reason, or a random child is left for dead by a police car after running him over, or a sick mother is thrown away by her son, you wonder: surely there is something wrong with this society too?

French sociologist Émile Durkheim, in his labelling theory on deviance, had said that all forms of deviance are simply a challenge to the normalised repressiveness of the state. Durkheim was the first person to suggest that if there's something wrong with our society, then criminality is a response to that. He also said: “Society is not a mere sum of individuals. Rather, the system formed by their association represents a specific reality which has its own characteristics…the group thinks, feels, and acts quite differently from the way in which its members would were they isolated.” Durkheim was a 19th-century sociologist and I'm pretty sure his conclusion would have been different had he been alive today—because, frankly, the way I see it, here on this land, on these streets, in our shared spaces both private and public, in the way we go about our life, we are really a mere sum of individuals better isolated than in a group, who don't believe in the idea of a society anymore. The state, or “the system,” that invisible force we so readily blame for all our misfortunes, functions under the shadow of that disbelief.

I remember older people reminiscing about a time not in the distant past when people valued life, not just their own, and had a minimum degree of decency and respect for the rule of law. My own father, through his recollections, gave me a glimpse into a time when people believed in the common good. There were criminals and corrupt people as well, and differences along religious or political lines, but those were kept to a tolerable limit. But now, humanity is in a historic descent. Last year, during a hiking trip through the villages of Teknaf, I came across strangers who offered me food and invited me to spend the night with their family. I fear these days are numbered. The modern city culture that is creating isolated, restless and unfeeling homo sapiens may soon completely engulf the last vista of innocence still found in some parts of our country.

Although preaching love and compassion is no longer in vogue, something tells me that love, unconditional love for all life-forms, is the missing link in our search for a cure for the cancerous growth in crimes, murders and all sorts of deviance.

- Badiuzzaman Bay is a member of the editorial team at The Daily Star.
Email: badiuzzaman.bd@gmail.com


  • Courtesy  — The Daily Star/April 20, 2018