Search

Tuesday, April 24, 2018

ড্রাকোনীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

সৈয়দ আবুল মকসুদ


আইনের শাসন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উপযুক্ত আইন আবশ্যক। রাষ্ট্র তার প্রয়োজনে অনেক আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করে। বিশেষ করে অপরাধ দমনের লক্ষ্যে শাস্তিদানের বিধিসংবলিত আইনকে ইংরেজিতে বলে পেনাল কোড। আইন প্রণয়ন একটি দার্শনিক বিষয়। বিশেষ করে নৈতিক দর্শন বা মোরাল ফিলসফি এর সঙ্গে জড়িত। কেন আইনটির প্রয়োজন, আগে আইনটির দরকার হয়নি কেন, আইনটি না করলে সমস্যা কোথায়, আইনটি দেশের সব মানুষের উপকার করবে কি না, আইনটি দ্বারা নির্দোষ কারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, অপরাধের তুলনায় আইনটিতে শাস্তির মাত্রা বেশি কঠোর কি না-এসব বিষয় বিবেচনা না করে আইন প্রণয়ন করলে আইনটি নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দেয় এবং তা থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ। 

আইন একটি দার্শনিক বিষয় বলেই প্লেটো, অ্যারিস্টটল থেকে ইবনে খালদুন এবং কান্ট, হেগেল পর্যন্ত দার্শনিকেরা আইনের দার্শনিক দিকগুলো পর্যালোচনা করেছেন।

অতি কঠোর ও অমানবিক আইন রচনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন প্রাচীন গ্রিসের ড্রাকো, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের সোয়া ছয় শ বছর আগে। তাই আজও অতি কঠোর ও নিকৃষ্ট আইনকে আখ্যায়িত করা হয় ড্রাকোনিয়ান ল বা ড্রাকোনীয় আইন বলে। ড্রাকোর প্রণীত আইন অভিজাত শাসকগোষ্ঠীর জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি। সে আইনে জীবন বিপন্ন হয় অ্যাথেন্সের সাধারণ নাগরিকদের। ড্রাকোর আইন ছিল শাসকের দ্বারা রচিত এবং শাসকের স্বার্থ রক্ষায়; তা নাগরিকদের প্রতিনিধিদের দ্বারা রচিত ছিল না। তাতে জনগণের অনুমোদন ছিল না। নাগরিকদের প্রতিনিধিদের দ্বারা যা তৈরি, তাকে মানুষ সম্মান করতে বাধ্য। অবিবেচনাপ্রসূত অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভীতি থাকা স্বাভাবিক।

এ বছরের ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ -এর খসড়া অনুমোদন করে। ৯ এপ্রিল সেটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি মানুষের হাতের মধ্যে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। অপরাধপ্রবণ ও অশুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজে বিরল নয়। সে জন্য একটি আইন থাকা দরকার বলে সরকার মনে করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া রচনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে একটি আইন ২০০৬ সালে করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে সেটিতে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হয়। এবারেরটি আরও কঠোর। বিশেষ করে সেটির ৫৭ ধারার সমালোচনা করেন গণমাধ্যমসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। ৫৭ ধারায় ছিল মানহানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চক্রান্ত প্রভৃতি অবাধে কঠোর শাস্তির বিধান। জনমতের চাপে সরকার ৫৭ ধারা বাতিল করে। কিন্তু বর্তমান সংশোধিত বিলটিতে ৩২ ধারায় যা আছে, তা স্বাধীন মতপ্রকাশ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিষাক্ত কাঁটাবিশেষ।

অনুমোদিত খসড়ার ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার অতিগোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্ত্র, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ-প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে সেই কাজ হবে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকের কাজই বিভিন্ন উপায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, জাতীয় স্বার্থে ও জনস্বার্থে সত্য খুঁজে বের করে পাঠককে জানানো। গুপ্তচর শব্দটি খুবই অবমাননাকর। গুপ্তচর হলো সেই ব্যক্তি, যে কারও দ্বারা নিযুক্ত হয়ে শত্রুর গোপন কথা জানার চেষ্টা করে। সাংবাদিক তা করেন না। তিনি কোনো ব্যক্তির এজেন্ট নন। গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করাতে তাঁর নিজের বা তাঁর প্রতিষ্ঠানের কোনো স্বার্থ নেই। গণতন্ত্রে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার।

প্রস্তাবিত আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রচারণা চালালে বা তাতে মদদ দিলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।

অপরাধের যে ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে, তার কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। আমি কয়েকজন মাননীয়কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, অনুভূতিতে আঘাত মাপার মানদণ্ড কী? তাঁরা সদুত্তর দিতে পারেননি। এই সব ধারার কারণে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দেশের মাটিতে বসে কেউ বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার আগ্রহ দেখাবেন না। কোনো ব্যক্তিই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। মহাত্মা গান্ধীর যৌনজীবন নিয়েও বই লেখা হচ্ছে। কোনো মানুষ তাঁর মহৎ কর্মটির জন্যই চিরস্মরণীয় ও শ্রদ্ধেয়। তাঁর কোনো দুর্বল দিক আলোচনা করলে তার মহত্ত্ব ক্ষুণ্ন হয় না। বরং বাধা দিলে নেতিবাচক দিক বেশি আলোচিত হয়।

দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ একসঙ্গে ১ কোটি টাকা চোখে দেখেনি। কোনো একটা মতামত প্রকাশের জন্য কাউকে ১ কোটি টাকা জরিমানা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা লোপাট করে যাঁরা বুক ফুলিয়ে সভা-সেমিনার করে বেড়ান, রাষ্ট্র তাঁদের জেলে ঢোকাতে পারে না। আর কোনো মন্তব্যের জন্য এমন সর্বোচ্চ শাস্তি!

এই আইন বলবৎ হলে সংবাদপত্রের সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রতিবেদকের মাথার ওপরে খাঁড়া ঝুলে থাকবে। সেই উদ্বেগ থেকেই গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের নেতারা। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বৈঠকে বলেন, তাঁদের উদ্বেগ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১,২৫, ২৮,৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে। এই ধারাগুলো বাক্স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার পরিপন্থী। তাঁদের বক্তব্য শুনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপত্তিগুলো ‘অনেকাংশে যৌক্তিক’।

জনগণের প্রতিনিধিদের যাঁরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁরাই ১৯৭২-এ সংবিধান দিয়ে গেছেন। সংবিধান হলো রাষ্ট্রের মৌলিক ও সর্বোচ্চ আইন। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় আইনের শাসনের অঙ্গীকার করা হয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হচ্ছে সংবিধান। সেই সংবিধানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে। এর অর্থ হলো এই যে জনগণের জন্য কল্যাণকর আইন রচিত হবে এবং সেই আইনের সুফল সবাই ভোগ করবে।

ড্রাকোনীয় জাতীয় কোনো আইন প্রণয়নের অধিকার আমাদের পার্লামেন্টের সদস্যদের দেওয়া হয়নি। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন রচনার অধিকার কোনো সরকারের নেই। আমাদের সংবিধান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছে। তার অর্থ হলো এমন কোনো আইন রাষ্ট্র করতে পারে না, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোনো আইন যদি সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে, সেই আতঙ্ক যদি অমূলকও হয়, তা ভালো আইন নয়।

কোনো কল্যাণ রাষ্ট্রে অপরাধ দমনের জন্য শাস্তিমূলক আইন হওয়া উচিত কম কঠোর, কিন্তু তার প্রয়োগ হওয়া উচিত অত্যন্ত সুষ্ঠু ও অতি কঠোর। যে আইন প্রয়োগে অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, তা ভালো আইন নয়। সদিচ্ছা থেকে আইনটি করা হলেও হিতে বিপরীত হতে পারে।

অপরাধ দমন আইনের অপপ্রয়োগ আরেক অপরাধ। সেই অপরাধ ব্যক্তির দিক থেকে নয়, রাষ্ট্রের দিক থেকে। সুতরাং কোনো আইন করার আগে দশবার চিন্তা করে, বিচার-বিশ্লেষণ করে করাই সরকারের কর্তব্য।

অতীতে দেখা গেছে, ড্রাকোনীয় আইন যাঁরাই করেছেন, একসময় সেই আইনের শিকার হয়েছেন তাঁরাই অথবা তাঁদের দলের লোকেরা। সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তাড়াহুড়া করে পাস করানোর আগে সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পুনর্বিবেচনা করবে, সেটাই প্রত্যাশিত।

  • সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক ও গবেষক

  • Courtesy: Prothom Alo/ Apr 24,2018

হালদা’র আর্তনাদ: বাঁচবে তো মাছ?

তানজিনা আকতারী


সাপের মত এঁকেবেঁকে চলেছে নদী। ভাসছে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। বিকট শব্দ করে চলছে বালু উত্তোলনের ড্রেজার। আকাশে চক্রাকারে উড়ছে বক, মাছরাঙ্গা, শঙ্খচিল, পানকৌড়িসহ নানান প্রজাতির পাখি।  অতিথি পাখির আনাগোনা তো আছেই। মাঝে মাঝে সবাইকে অবাক করে পানি থেকে লাফিয়ে উঠছে ডলফিন। এটা যেকোনো নদীর পরিচয় মনে হলেও, বলছিলাম হালদা নদীর কথা।

নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে ছোট বড় যত নদী আছে, তার মধ্যে গুণে অনন্য নদীটির নাম হালদা। হালদা অপার এক সম্ভাবনার, ভালোবাসার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ খুলে দেওয়া প্রকৃতির এক অপার বিস্ময়ের নাম। হালদা পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার ভাটার নদী ও এশিয়ার প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র যেখানে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে এবং সেই নিষিক্ত ডিম সরাসরি সংগ্রহ করা হয়। এই নদী কেবল প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের জন্যই ঐতিহ্যের অধিকারী নয়, ইউনেস্কোর শর্ত অনুসারে এটি বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের যোগ্যতা রাখে।

মা মাছেরা এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে পূর্ণিমা বা অমাবস্যার বিশেষ সময়ে বা তিথিতে অনুকূল পরিবেশে ডিম ছাড়ে। স্থানীয়ভাবে এই বিশেষ সময়কে বলে-জো। হাটহাজারী ও রাউজান সীমান্তের প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকা থেকে এবছর ২২ হাজার ৬৮০ কেজির বেশি রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশ মাছের তাজা ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিম থেকে রেণু সংগ্রহ করা হয়। প্রতি কেজি রেণু থেকে চার থেকে পাঁচ লাখ পোনা জন্মায়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মনজুরুল কিবরীয়া আশা করেন, এই ডিম থেকে আনুমানিক ৩৭৮ কেজি রেণু তৈরি হবে। গত বছর পরিমাণমত পানিসহ এক কেজি রেণু সর্বোচ্চ এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার আমরা রেণু পোনা থেকে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা উপার্জন করতে পারি। তারপর সেই পোনা কিছুটা বড় হলে সংখ্যা হিসাবে বিক্রি করে এদেশের অর্থনীতিতে কয়েক হাজার কোটি টাকার জোগান হবে বলে আশা করা যায়। আরও আশার কথা, এবছর হালদায় বিগত ১০ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।

এছাড়াও মিঠা পানির অতি বিপন্ন প্রজাতির ডলফিনের সংখ্যা সারা বিশ্বে ১১০০-১২০০টি। এর মধ্যে শুধুমাত্র হালদা নদীতেই আছে ২০০-২৫০টির মত।

এত সুখবরের পরও হালদার পেছনে বিপদ ওত পেতে আছে। ফটিকছড়ির ভুজপুর এলাকায় নদীর ওপর ও নদীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হারুয়ালছড়ি খালে দুটি রাবার ড্যাম বসানোর কারণে চা বাগান ও বোরো চাষের জমিতে পানির জোগান হয়েছে ঠিকই, কিন্তু উজানে বাঁধের কারণে ভাটিতে পর্যাপ্ত পানি না যেতে পারায় শুকনা মৌসুমে নদীর অন্তত ৫-৬ কিলোমিটার এলাকা শুকিয়ে যায়। এছাড়া প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রুই ও কালবাউশের খাদ্য বেনথোস এবং মৃগেল ও কাতলা মাছের খাদ্য প্ল্যাঙ্কটন এই দুই ধরনের খাদ্যের উপস্থিতি প্রায় শূন্যের কোঠায়। সঙ্গত কারণেই মাছ স্থান ও খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে। ডলফিনও তার চিরপরিচিত আশ্রয় হারাতে বসেছে।


এছাড়াও হালদাকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়ার আরও একটি কারণ নদীর দুই পাড়ে শত শত একর জমিতে তামাকের চাষ। তামাকের নির্যাস, চাষে ব্যবহার করা সার ও কীটনাশক মেশানো পানি সরাসরি মিশে যাচ্ছে হালদায়। বিশেষ করে বর্ষায় মাছের প্রজনন মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের ও বৃষ্টির সঙ্গে তামাকের পচা পাতা, মূল ও নদী তীরে চুল্লিতে তামাক পাতা পোড়ানোর ফলে উচ্ছিষ্ট গিয়ে পড়ে নদীতে। ফলে দূষণ বাড়ছে, তামাকের বিষ নদীতে মিশছে, মাছের ও জলজ প্রাণীর জীবন হচ্ছে বিপদাপন্ন।

হালদা পাড়ে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানাগুলোর বেশির ভাগেরই তরল বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি নেই। যেগুলোর আছে, সেগুলো ঠিকমতো চালু করা হয় না। একের পর এক ইটভাটা নদীর পানি ও মাটি ব্যবহার করেই চলেছে। খালের মাধ্যমে সব বর্জ্য হালদায় এসে মিশছে, পানির স্বাভাবিক রঙ হারিয়ে কালো রঙ ধারণ করেছে দূষণে। কর্ণফুলী পেপার মিলের গ্যাস নদীতে অপসারণ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, গৃহস্থালির বর্জ্যর কথা নাই বা বলি! নদীর পরিবেশ জলজ প্রাণীর জন্য স্বাস্থ্যকর হচ্ছে না, ফলে মা মাছের মৃত্যু ঘটছে।


বালু উত্তোলন হালদার জন্য আরও এক হুমকি। প্রতিদিন এই অঞ্চল থেকে প্রায় দেড় লাখ বর্গফুট বালু তোলা হয়। বালু তোলার কারণে নদীর তলদেশের মাটির গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, শব্দ দূষণ বাড়ছে, পানি ঘোলা হয়ে যাচ্ছে, সূর্যের আলো ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না, বালুর সঙ্গে সঙ্গে জলজ প্রাণীও উঠে আসছে। এতে জলজ জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব তো পড়ছেই, সেই সঙ্গে বালু তোলার ড্রেজারের আঘাতে প্রায়ই মারা যাচ্ছে ডলফিন। 

শুধু কি তাই? ক্ষতির মাত্রাকে ভয়ঙ্করভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে নদীর বাঁকগুলো কেটে সোজা করায়। গত ১০০ বছরে হালদা নদীর ১১টি বড় বাঁক কেটে সোজা করে ফেলা হয়েছে, তাতে নদীর দৈর্ঘ্য ১২৩ কিলোমিটার থেকে কমে ৮৮ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। বাঁকের স্রোতস্বিনী অংশ মাছের প্রিয় আবাস ও এই পানিতেই মাছ ডিম ছাড়ে। বাঁক কমে যাওয়ায় মাছের বিচরণক্ষেত্রও কমে গেছে।

এখন প্রশ্ন জাগে, হালদাকে বাঁচাতে আমরা কী করতে পারি? নদী বাঁচানোর প্রধান শর্তই হচ্ছে পানির প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখা। কিন্তু বাঁধের কারণে সেটি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সম্ভব হলে বাঁধ দুটোকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যদি তা নিতান্ত সম্ভব নাই হয় তাহলে যতটা সম্ভব বাঁধের উচ্চতা কমিয়ে দেওয়া দরকার। ইটভাটাগুলো নদীর কাছ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। এছাড়াও ভাটাগুলো যাতে কোনভাবেই নদীর মাটি ও পানি ব্যবহার না করে সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে, প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দূষণ কমানোর জন্য ভারী শিল্প-কারখানাগুলোতে তরল বর্জ্য শোধনাগার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। এবং পরিবেশ আইন মেনে চলতে সম্পূর্ণরূপে বাধ্য করতে হবে। তামাক চাষ অতি দ্রুত বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মা মাছ ধরা বন্ধে পাহারা জোরদার করতে হবে। 

সরকার যদিও নদীর উল্লেখযোগ্য অংশকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে তবুও সেটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠু তদারকির মারাত্মক ঘাটতি রয়ে গেছে। তাই জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের জন্য আরও বেশি এলাকা মৎস্য অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় মৎস্য চাষিদের মা মাছ ধরা বন্ধে সচেতনতা ও প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।

যেহেতু কর্ণফুলী হয়ে মা মাছ হালদায় প্রবেশ করে, তাই কর্ণফুলী না বাঁচাতে পারলে হালদাও বাঁচবে না। সেজন্য কর্ণফুলীর দূষণ রোধ করা জরুরি। হালদা নদীকে বাঁচাতে হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, সিডিএ, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে একত্রে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে যেমন অর্থের অপচয় হবে, ঠিক তেমনি প্রকল্পের প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হওয়াটাও বিচিত্র নয়।

এত কিছু বলার পরও মূল প্রশ্ন রয়েই যায়। মৎস্য অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সরকার কী ভাবছেন হালদা নিয়ে? সরকারের কাছে আমরা যেমন হালদা নদীর মাছের হারানো বাসস্থান ও বংশবৃদ্ধির পরিবেশ ফেরত চাই, ঠিক তেমনি বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন রক্ষার জন্য অভয়ারণ্য ঘোষণা করার জোর দাবি জানাই। হালদা নদী রক্ষার তাগিদই এখন মাছ ও জলজ প্রাণীর টিকে থাকার প্রধান চাওয়া। মাছে ভাতে বাঙালি কথাটা চিরকাল ধরে রাখার জন্য হালদা আমাদের প্রধান অবলম্বন। একে বাঁচানো মানেই অনেকাংশে বাঙালি অস্তিত্বকেই বাঁচানো। আমরা শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারবো তো?

  • Courtresy: The Daily Star/ Apr 23, 2018

Islami Bank 'Crisis': Two reasons led to Arastoo's exit

He falls from certain quarter's grace for his reluctance to sack 21 top officials, approve Tk 1,900cr loans to two large business groups


Refusal to terminate 21 top officials and extend some big loans has forced Arastoo Khan to resign from the post of chairman of the Islami Bank Bangladesh Limited after only one year of his three-year term, an investigation by The Daily Star has found.

A list was sent to the bank's chairman a couple of months ago asking him to fire 21 officials -- ranging from additional managing director to deputy managing directors, executive vice presidents to mid-level officials -- who were branded as people having affiliations with a certain political party or being its sympathisers.

Of them, five top officials -- one additional managing director, three deputy managing directors and a senior executive vice-president -- were forced to quit on April 3, and the IBBL board, under pressure, accepted their resignation after two days.

But pressure was mounting on Arastoo to terminate the remaining 16 officials on the list, but he did not agree with this, saying the loss of such a big number of top executives will create a huge vacuum of knowledge and expertise in the bank.

An influential director took this opportunity and termed Arastoo non-cooperative in cleansing the IBBL of Jamaat-Shibir men and this propaganda was well-circulated by a quarter in the government.

Arastoo was asked to step down and he did so on April 17, and the board immediately accepted his resignation and took no time to replace him with Prof Nazmul Hassan of Dhaka University.

Before that, Nazmul was an independent director of the bank. He has been made chairman as a representative of Armada Spinning Mills, earlier represented by Arastoo.

The other factor that led to Arastoo's resignation was his tough stance against disbursement of large loans.

A big business group, which has exposure in real estate and cement, steel and commodities, wanted Tk 1,400 crore loans, which Arastoo turned down on the ground of the bank's fund shortage.

The other loan proposal worth around Tk 500 crore was from a real estate company owned by a powerful man in the government and the then chairman refused to approve the loan.

According to some close aides to Arastoo and insiders in the bank, all these issues made him an enemy of a quarter.

“Government's good intention to depoliticise the bank is being misused by this quarter,” said one of the directors in the bank.

According to officials, the bank was not in a position to sanction large loans as, like other private banks, IBBL was in liquidity stress. As of March 31, IBBL's advance (loan)-deposit ratio (ADR) was 92 percent, well above the present regulatory ceiling of 89 percent.

If the bank issues fresh loans, especially big ones, its ADR will shoot up further, which may infuriate the regulator, Bangladesh Bank.

In the second week of November last year, the BB asked the IBBL to bring down its ADR within the limit, otherwise the bank will face punitive measures.

Talking to The Daily Star on Wednesday, Arastoo admitted that he stopped disbursing large loans. Asked if he was forced to quit, he said, “I am not interested to talk about this right now.” He also did not comment on other issues of the bank.

The bank started witnessing the changes after some little-known companies bought its shares in 2015 and 2016.

The companies include Platinum Endeavours Limited, Paradise International Limited, BLU International Limited, ABC Ventures Limited, Grand Business Limited, and Excel Dyeing and Printing Limited.

They held over 14 percent stakes in the bank till November last year. A Chittagong-based conglomerate is allegedly linked to these companies.

In January last year, the IBBL saw some major changes. At the time, its chairman, several directors, managing director and heads of different committees were changed.

Arastoo, who became a director of the bank on December 15, 2016, was made chairman after 20 days. He replaced Mustafa Anwar, who represented Ibn Sina Trust, which is believed to have connections with the Jamaat-e-Islami, an Islamist party widely condemned for its role during the 1971 Liberation War.

Then on May 20 last year, a group of seven directors threatened to step down if a single of them had to resign under pressure.

They made the threat following disclosure by Syed Ahsanul Alam, former vice-chairman of the bank, on May 11 that he was being asked by some quarters to resign.

Ahsanul was finally removed from his executive post on May 23. A few days later, he was also removed from the board of directors.

The IBBL was established in 1983 as the country's first Shariah-based bank. Individuals, government institutions and some banks in the Middle East had over two-thirds shares in the bank at that time. Now their holdings have come down to 46 percent.

A share of the Islami Bank was traded at Tk 26.2 in Dhaka Stock Exchange on Thursday, down from Tk 40 a year ago.  

  • Courtesy: The Daily Star/ Apr 24, 2018

Certified safety or reckless reports?

SOCIAL AUDITS IN APPAREL INDUSTRY

Carolijn Terwindt  



MOST people have heard that on April 24, 2013, the Rana Plaza building complex collapsed killing 1,134 people and injuring around 1,800 workers. What not so many people know is that two factories in the building went through the auditing process of the Business Social Compliance Initiative before the collapse, without drawing any attention to possible workplace safety risks. It was a similar story with the fire at the Ali Enterprises textile factory in Pakistan in September 2012, which claimed the lives of 260 workers. A few weeks before the fire, the Italian auditing company RINA issued a SA8000 certificate for the factory — a marker of high fire safety standards. 

Due to the outsourcing of production in the textile industry since the 1990s and the increased emphasis on labour and human rights, international retailers have begun to require audit certificates from factory owners as a precondition for a commercial relationship. In the absence of effective factory inspection by state authorities, which often lack adequate resources to conduct rigorous inspections, the monitoring of the labour, health and safety situation at workplace is, thus, frequently conducted by private audit firms. 

Disasters ranging from the factory fires at Ali Enterprises in Pakistan and Tazreen in Bangladesh to the collapse of the Rana Plaza building have, however, tragically revealed a number of flaws in the current practice of private certification: independent and diligent audits seem rare and require, at best, a sort of ‘checklist compliance.’ In defending its failure to note the problems with the Rana Plaza building structure, the auditing firm TÜV Rheinland referred to its assignment and claimed that it was not asked to inspect the building’s safety. This is a typical shortcoming of social audits. Problematic choices about the scope of the audit are all too often hidden in seemingly technical choices about the design of audits. Subcontracting factories are also generally excluded from auditing procedures.

Certifiers, financed by the very same businesses they have to assess, are bound by contradictory incentive structures. Ultimately, certificates generate a high level of consumer trust while incurring almost no legal risk. It is not defined who takes responsibility for the content or impact of audit reports. As they are not generally made public, there is no way for interested or independent parties to oversee the audit process or determine its accuracy. And the workers, who are the assumed beneficiaries of the whole auditing enterprise, have no means of verifying such reports or holding auditors accountable. 

Despite notorious shortcomings, the continuing practice of social audits is too often understood as an effective means of monitoring working conditions, thereby allowing retailers to rely on auditing reports in claiming to have met their corporate social responsibility. Consequently, no incentives are given to undertake structural measures such as a change in purchasing practices (i.e. price or deadlines). Even though the problems associated with audits have been known about for a long time, they are not likely to disappear any time soon. On the contrary, audits are a favoured tool of corporate social responsibility and ‘sustainable’ manufacturing.

The responsibility of social auditing companies has often been overlooked. For example, even though several brands have contributed to the Rana Plaza Trust Fund, established by the International Labour Organisation to meet the claims of the survivors and families of the deceased, none of the auditing companies that conducted social audits in the factories in the building donated, even though they are part of the garment industry and profit from the precarious conditions in these workplaces that necessitate their involvement. In order to push for more accountability, the ECCHR and its partner organisations filed a complaint with the corporate platform BSCI concerning the audit conducted at the factory ‘Phantom Apparel’ in the Rana Plaza building. The BSCI is the largest labour standard compliance initiative, with more than 1,900 corporate members, including many large international companies, such as Adidas, Puma, El Corte Ingles, Metro, Migros, and Otto. In comparison, multi-stakeholder initiatives such as the Ethical Training Initiative, Social Accountability International, or Fair Labour Association have less than 100 member companies.

Instead of opening an investigation in order to assess the quality of the audit at Phantom Apparel and take steps to ensure accountability, the BSCI merely offered to participate in a forward-looking conversation in order to improve social audits in the future. During a meeting with the ECCHR, the BSCI representatives acknowledged that audit reports are only of limited use to those working in global production and supply chains and agreed with the demand that workers should have a more prominent role in the BSCI framework. They also agreed that the question of responsibility of auditors needs to be clarified and that there is a need to discuss sanctions for cases in which audits are substandard, such as the potential exclusion of a company from the BSCI pool of accredited auditors. (Meeting held on November 19, 2015 at the offices of the ECCHR in Berlin, with Foreign Trade Association director general Christian Ewert and BSCI managing director Darrell Doren. Note on the meeting is available on the ECCHR web site.) However, at the same time, there was a general refusal to discuss the specific audit report, reasoning that it was a confidential document, property of the auditor’s client. This excuse is at odds with provisions in the BSCI’s own framework contract, in which producers consent to distributing data to third parties in situations where non-governmental organisations or complainants are in dialogue with the BSCI. No remedy was offered to the survivors of the collapse or the family members of deceased workers. 

While the BSCI did not show any willingness to pursue a serious investigation, others have been more eager to hold auditors accountable for their reports. In the case of the factory fire in Pakistan, the multi-stakeholder initiative SAI, responsible for the administration of the SA8000 certificate and accredited the auditing company RINA, did, indeed, look into the matter. They performed an independent investigation and issued a report analysing the performance of the auditors that conducted the audit at the Ali Enterprises factory. Also, RINA stopped issuing SA8000 certificates in Pakistan. In addition to the SAI internal investigations, an Italian prosecutor opened a criminal investigation into the SA8000 certificate issued by RINA to the Ali Enterprise factory and ordered an independent assessment to be conducted by fire experts. Furthermore, in Canada, a tort claim is pending on behalf of the survivors and family members of deceased workers from two factories in the Rana Plaza building, which raises questions about the audit conducted by the company Bureau Veritas.

Auditor liability should be a minimum condition for future audits and would ideally lead to changes in the relationship between retailers, factories, workers, and auditors. However, this will only be the case if auditor liability is not only a theoretical possibility that exists on paper, but is also demanded in practice by retailers, governments, and workers. In a remarkable move, the retailer KiK recently initiated changes in its auditing commissioning practices. According to an interview with a KiK representative on Just Style, ‘KiK is the first company in Germany and possibly in Europe with a contract in place with its auditing firms, which makes them legally liable for their findings on the ground for a period of three months following the audits.’ Thus, if an auditing company visits a factory and fails to spot that a fire extinguisher has expired, ‘we can go back to the auditing firm and ask them to pay a penalty,’ according to KiK (Just-style.com, April 11, 2017).

Be that as it may, the fact remains that the auditing system should not replace worker-based monitoring in collaboration with strong workers’ organisations. Still, as long as social audits are here to stay, the verification of audit reports and the accountability of auditors should be taken seriously. Using liability mechanisms can only be part of a wider strategy of the local and international unions that seek to change the power imbalance between international buyers and auditing companies and local unions and workers in the production countries. Ultimately, without adequate measures of quality control, oversight and accountability, private compliance initiatives such as BSCI should be abandoned.

Dr Carolijn Terwindt, graduate in law and anthropology from Utrecht University, joined the ECCHR in 2012 in the business and human rights programme where she works closely with workers and their families in Pakistan and Bangladesh on cases of corporate liability in the textile industry.

  • Courtesy: NewAge/ Apr 24, 2018

Promises made mostly not implemented

APPAREL WORKERS’ SAFETY

Rashid Ahmad 



The expectations for positive changes in the country’s garment sector created by the Rana Plaza Collapse remain mostly unfulfilled over the last five years.

The worst ever factory disaster in the history of the garment industry shook the world in 2013.

The authorities as well as the apparel owners seemed to have forgotten the commitments they had made five years ago in the aftermath of the disaster that killed at least 1,138 apparel workers and left more than 2,400 others maimed and crippled, mostly young women.

April 24, 2013, is marked as a black day in the history of the apparel industry worldwide.

On that black day, the eight-storied Rana Plaza, housing five garment factories and other business establishments, collapsed spelling doom to so many families.

The building was illegally built and rented out due to the negligence of the authorities who took no interest to enforce the law.

The disaster shook the conscience of the international community for which it raised the issues of factory safety, workers’ rights, proper compensations for the workers killed and injured and their rehabilitation.

A commitment required creation of workers database so that there would be no scope to say that the identities of those killed and injured could go unidentified again as it happened for many victims of the Rana Plaza disaster.

Providing the trade union rights to workers and payment of proper wages were two other important commitments made to the apparel workers of Bangladesh.

Initiatives were taken for partial implementation of some of the commitments by the government of Bangladesh, apparel factory owners as well as the overseas brands and the buyers.

But initiative was lacking for the implementation of important commitments like payment of compensations to the families of the workers who get killed in factory accidents and the rehabilitation of the injured survivors.
Therefore, much more remains to be done to address the issues, labour rights activists and experts told.

They said that the demand for penalizing those responsible for the Rana Plaza collapse and the disaster that struck the apparel factories housed in the illegally constructed building also remain unfulfilled since 2013. An important demand was to declare April 24 a national holiday to observe Workers Safety Day, they said.

The demands for the construction of a monument on the site of Rana Plaza site to commemorate those killed in the disaster and rehabilitation of the victims also remain unfulfilled, they said.

Bangladesh Garment Workers Solidarity president Taslima Akter said that after the deadly man- made disaster she and the other labour leaders pinned hopes that the government would be sincere about the workers safety and rights. She said that their hopes were dashed by the government’s obliviousness about what it should have done as matters of priority.

She said government and factory owners did nothing to protect the workers’ rights.
She said that despite pressure from the buyers and the brands there had been ‘very little progress’ over the workers’ safety issues as neither the government nor the factory owners showed the interest to implement them.

She said that after Rana Plaza disaster, the government took no interest to amend the compensation law for the payment of compensations according to the convention of the International Labour Organization.

She called the existing legal compensation amounts of Tk one lakh for a worker who dies in a factory or workplace accident and Tk 1.25 lakh for the severely injured workers as ‘totally inadequate.’

Dhaka University economics professor MM Akash called it regrettable that the government took no interest to implement the recommendations of a committee to fix the compensation calculating the loss of working years suffered by factory accident victim workers.

The committee was formed in the aftermath of the Rana Plaza disaster following orders from the High Court Division and MM Akash was the president of the sub-committee for determining the compensations.

Labour leaders said that the government’s denial of the workers’ right to association was fully reflected in December 2017 when hundreds of apparel workers were terminated and many leaders and workers were arrested by the police for holding demonstrations at Ashulia on the demand of wage hike.

They said that hundreds of workers and many labour leaders were implicated in false cases for holding the demonstrations on the wage hike issue.

Garment Workers Trade Union Centre organizing secretary KM Mintu said the government and the factory owners were obstructing trade union formation by the apparel workers.

Solidarity Centre, an NGO working for labour rights said that 50 per cent applications for the formation of trade unions at apparel factories were rejected by the government.

Following the Rana Plaza collapse a total of 3,780 garment factories were assessed under the three initiatives, European retailer platform Accord on Fire and Building Safety in Bangladesh, North American buyers’ platform Alliance for Bangladesh Worker Safety and the government lead and ILO supported national initiative.

Accord and Alliance made progress in safety steps in 2,300 factories but about 31 per cent of readymade garment factories, inspected under the national initiative, have completely failed to fix safety faults, while 36 per cent of factories made less than 30 per cent progress in repairing structural, fire and electrical faults in the units.

Out of 3,780 garment factories, 1,549 were inspected under the national initiative, from which 531 were closed down, 69 relocated and 193 units shifted to the Accord and Alliance lists. Factories inspected under the two buyers-led initiatives made significant progress in terms of fixing safety faults.

According to the latest data, Accord completed 83 per cent of remediation in their supplier factories while Alliance completed 88 per cent of factory remediation. 
Labour leaders said that as the inspections were not completed, deadly factory accidents continue to occur in the country’s industrial sector.

After the Rana Plaza disaster, at least 80 people were killed and 450 others injured in 94 factory accidents, according to American Centre for the International Labor Solidarity.

BGMEA president Md Siddiqur Rahman denied the allegation and said that Bangladesh’s readymade garment sector became a global role model for safe working conditions due to vigorous safety initiatives taken by the entrepreneurs after the Rana Plaza building collapse in 2013.

The Rana Plaza site remains abandoned reminding visitors and the locals about the world’s deadliest disaster of factories. The area hummed with activities of the young apparel workers for whom many shops sprang up to sell cosmetics, bangles and what not the young female workers liked. But now it looks different.

  • Courtesy: NewAge/Apr 24, 2018

Pro-BNP panel sweeps in RU teachers’ assoc polls

Pro-Bangladesh Nationalist Party-backed teachers white panel swept the elections of the Rajshahi University Teachers’ Association, dean, syndicate, planning and development committee and financial committee.

The pro-BNP-backed white panel Jatiyatabadi O Islami Mullobodhe Bishwashi Shikkhak Somaj bagged most of the important posts, including RUTA president and general secretary, while ruling Awami League-backed yellow panel Muktijuddher Chetona O Mullobodhe Bishwasi Progotishil Shikkhak Somaj won a few posts.

The day-long elections for 70 posts under seven categories were held at the university teachers’ club, where around 1,150 teachers casted their votes.
RU registrar Professor MA Bari conducted the polls as the election commissioner. 

In RUTA election, the white panel bagged the posts of president, general secretary, vice-president and treasurer while the yellow panel only bagged one post of joint secretary.The white panel bagged only two posts of the executive member category while the yellow panel won the rest eight posts.

Professor Md Amzad Hossain of Finance department, Professor Golam Kibria Ferdous of Social Work department, Professor Mamunur Rashid of Pharmacy department and Professor ABM Hamidul Haque of Chemistry department were elected as president, vice president, general secretary and  treasurer while Professor Abdullah Al Maruf of Geology and Mining department won only the post of joint secretary.

In syndicate poll, Professor Abdul Alim, Professor Md Habibur Rahman Monirul Haque, Associate Professor Mohammad Monirul Haque were elected under provost, professor and associate professor categories from the white panel while Assistant Professor Abdullah Al Mamun was elected under assistant professor category from the yellow panel. 

However, Masidul Haque was elected under lecturer category from the yellow panel without any contest as the white panel could not give any candidate for the category. 

In deans’ polls, both the yellow and white panels won four posts each while the yellow panel’s Professor Md Ahsanul Haque won from the yellow panel as the white panel could not give any candidate for law faculty.

However, Professor Jafar Sadik and Professor Mahmud Hossain Riazi bagged the single post of the planning and development and financial committees.The results of teachers’ representative at senate and academic council were not published till filling the report around 9:00pm.

  • Courtesy: New Age /Apr 24, 2018

Monday, April 23, 2018

সেনাবাহিনী ছাড়া এখন কোন নির্বাচন অসম্ভব - সুজন


সোমবার, এপ্রিল ২৩, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়া এখন কোন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা অসম্ভব।

জনগণ মনে করে, আমি ভোট দিলে কি হবে। প্রার্থীতো আগেই ঠিক করা। এ দুটি সিটি নির্বাচনের দিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছে। কেননা এর উপর নির্ভর করবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কিনা। নির্বাচন কমিশনের হাতে সকল ক্ষমতা রয়েছে।

‘বর্তমানে নানা কারণে নির্বাচনের প্রতি গণউদাসিনতা দেখা দিয়েছে’ উল্লেখ করে সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গণউদাসিনতার কারণগুলো ব্যাপক এবং বিস্তৃত। যেমন, একতরফা ও জবরদস্তিমূলক ভোট ছিনতাই, সংস্কৃতি, উপযুক্ত প্রার্থীর অভাব, নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের গণবিচ্ছিন্নতা, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ইত্যাদি। গণউদাসীনতা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে একটি বড় বাধা। জনগণকে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার যত রকম উপায় আছে তা নিতে হবে। ব্যাপকভাবে জনগণ ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটের গণজোয়ার সৃষ্টি করলে প্রশাসন বা যারা সুক্ষ্ম বা স্থূল কারচুপি ফাঁদ পাতে তাদের সেই ফাঁদ পাতার কৌশল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়।’

এছাড়া আরও বলে হয়, ‘নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন সমাপ্তির অন্তত এক সপ্তাহ পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত নানা ধরনের অভিযোগ গ্রহণ এবং তা প্রতিকারের একটি ব্যবস্থা সৃষ্টি করা উচিত। নির্বাচনি ব্যয় পর্যবেক্ষণের একটি সুষ্ঠু পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। মনোনয়ন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, বাণিজ্যমুক্তকরণ এবং দলের স্থানীয় সংগঠনের মতামতকে গণতান্ত্রিকভাবে বিবেচনার যেই সুযোগ আইন করে দিয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা দরকার। ওপর থেকে প্রার্থী চাপানোর প্রবণতা বন্ধ করা হোক।’

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

  • মানবজমিন / এপ্রিল ২৩,২০১৮


তরুণ ভোটাররা শাসক দলের জন্য মাথাব্যথার কারণ হবে — ইকনমিস্ট

(বিএনপি কমিউনিকেশন) — যুক্তরাজ্যের খ্যাতিসম্পন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সাময়িকীর চলতি সংস্করণে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন সম্পর্কিত লেখার শিরনামে বলা হয়েছে — ‘প্রতিবাদেরমুখে  টেঁশে গেল দুর্নীতির কালিমালিপ্ত কোটা পদ্ধতি’ [ MAKING MERIT — PROTESTS IN BANGLADESH PUT AN END TO A CORRUPT QUOTA SYSTEM] আবার একটা ছোট সাবহেডিংও দেওয়া হয়েছে — THE GOVERNMENT PROMISES TO FILL JOBS IN THE CIVIL SERVICE ON MERIT. ছাপা হয়েছে বৈপ্লবিত আলোকচিত্র। ছবিটি ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে তোলা। একটি কিশোর উদোম শরীরে লিখেছে ইংরেজিতে শুট মি  অর রিফর্ম কোটা।


আন্দোালনকারীরা কোটা বাতিল চায়নি আদৌ। তারা পরিস্কার ভাষায় বলেছে পদ্ধতি সংস্কার চাই। তারা  মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায্য প্রাপ্যে হাত দিতে চায়নি। তরূণরা তাদের মর্যাদা রক্ষা করেই তাদের দাবির কথা বলেছে।

তাই ইকনমিস্ট সংবাদটির যে শিরনাম দিয়েছে বলা যায় তারা আগাম রায়ের ঘোষনা দিয়েছে। বলা হয়েছে কোটা বাতিল। কিন্তু কোটা সংস্কার বাস্তবায়নের কার্যক্রম এখনও শুরু করেনি সরকার। সরকারের ঘোষণায়  যেখানে তরুণদের আনন্দের জোয়ারে ভাসার কথা সেখানে চলছে আতঙ্ক। তারা ভাবেভঙ্গিতে জানান দিচ্ছেন, তাঁরা ভাবতেও পারেননি এইসামান্য কারণে তাদরে হাতে হাতকড়া পড়বে। চোখ বাঁধা হবে কালো কাপড় দিয়ে। মাথায়, বুকে, পিঠে গুলি করা হবে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁদের আক্রমণ করবে। তাদেরকে এখন দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফিরছে।

মা কি তাদের ছেড়ে দেবেন? তাঁকে কি দুঃস্বপ্ন ছাড়বে? মনে হয় না। এখন দেশের নানা দিকে পাল্টা শক্তি নামানো হচ্ছে। নানা প্রজন্ম শক্তি বলাবহুল্য। রেড ফ্ল্যাগ ফর রেড ফ্ল্যাগ তোলা হচ্ছে। আর এগুলি যে স্পন্সর্ড বোঝা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। সেটা লক্ষ্য করার মতোই কৌতুহলোদ্দীপক। বোঝা যায় এই আন্দোলন যে বিদ্যুত গতিতে ছড়িযে পড়ে তাতে নিঃসন্দেহে শক্তির কেন্দ্রে বড়ো রকমের ভূকম্পন ঘটেছে। ভয় পেয়েছে অবৈধ উপাযে গেড়ে বসা ক্ষমতা। কারণ যে দেশের একটি বড়ো দল সরকারী দলের দাবি মোতাবেক নয় বছরেও নয় মিনিটের মতো থির হয়ে দাঁড়াতে পারেনি সেখানে এই জেগে ওঠা এই তরুণ শক্তি তাদের পিলে চমকে দিয়েছে। হতচকিত ‘ক্ষমতা তাই চকিত চখির মতো আতঙ্কে কোটা বাতিল করার মতো  অঘটন পটিয়সী হয়েছে।

কোটা কোনো সরকার প্রধান হট করে বাতিল করে দিতে পারেন না। তবু সেটা করা হযেছে। বিপ্লবের বেলুন চট করে ফুটো করার এটি এক আসাধারণ কৌশল কি না সেটা ভাবা দরকার। একই কায়দায় এশাকে হঠিয়ে দিযেছে ঢাবি তো বটেই, ছাতলীগও — নিমেষমাত্র ভেবে দেখেনি  এই পলকে প্রলয় আর পলকে এশাকে ফেরানোর পরিণাম কি হতে পারে।
এই আন্দালন যখন ধমকেতু হয়ে দেখা দেয়, গে্ল গেল রব উঠলো। উঠলো কোন মহলে? বলা হলো অপশক্তি, অপশক্তি দেশে ভর করেছে। ঠিক সেই কেতায় যা  অবৈধ ফখরুদ্দিন সরকারের ফেউরা রব তুলেছিল একই ভাষায়। প্রথমে আবিস্কৃত হয়েছে রাজাকারে বাচ্চারা। পরে জামায়াত-বিএনপি। কিন্ত কোথাও এদের নামগন্ধও পাওয়া যায়নি। আসলে অবৈধ ক্ষমতা ভুত দেখেছে। ক্ষমতার ভোট ব্যাংক যে যায়!
যারা বলছে, বাঘ আসছে, আসলে তারা বাঘের ছায়াই দেখেছে। কারণ তারাই জানেন এটা শার্দুলের দেশ। তারা আর যাই হোক শার্দুলের ঘাড়ে চড়তে চায় না।

এখন দেখা যাক, ইনকমিস্ট কি বলে —  


ভারতে সরকারি চাকরিতে কোটা আছে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য। সমাজে সমতা আসা অবধি কেবল সেটা থাকবে। তবে ইতিহাস দুদেশের জন্য ভিন্ন রকম। শাসক আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধার নানা প্রজন্মের জন্য সরকারি চাকরির ৩০ শতাংশ রিজার্ভ রেখেছে। ২৬% অন্যদের জন্য । ছাত্রাদের দাবি সরকারি চাকরির ৯০% মেধার ভিত্তিতে হতে হবে। আন্দোলনদ্রুত ঘুর্ণির মতো পাকিয়ে উঠতে দেখে বললেন কোটা বাতিল। যারা আন্দোলন করছেন  তাদের একজন রাশেদ খান বললেন, ছাত্রদের যদি মুক্তি না দেওয়া হয় তারা আবার আন্দোলনে যাবে। যদিও তারা আশঙ্কাও প্রকাশ করলেন তাদের গুম করা হতে পারে। দেশে কযেক কোটি তরুন বেকার। বেকারত্বের হার ১০%। দেশের ২/৩ অংশ মানুষের গড়বয়স ৩৫। সরকারের ফি বছর ২০লাখ কাজর সুযোগ সৃষ্টির কথা। কাজেই ৫৬% কোটা গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া।


দেশের এই ধিকি ধিকি অসন্তোষের তুষের আগুনের পরিস্থতির মুখে আসছে  সাধারণ নির্বাচন ডিসেম্বরে। দেশের বিরোধীরা দিশেহারা, ছত্রখানও। বেগম জিযা জেলে। জামায়াতের নির্বাচন নিষিদ্ধ। অসন্তোষের কেবল বোধগম্য উৎস হতে পারে শুধুই সেনাবিাহনী  ও ছাত্ররা। এ অবস্থাটি অনেকটা ব্যাখ্যা করার ছলে সিপিডি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ইকনমিস্টকে বলেছেন,‘ এতোকিছুর পরেও নির্বাচন হতে পারে, তবে এর ফল কি হবে হবে তা গণক ঠাকুরের মতো বলে দিতে পারছি না। তাই আড়াই কোটির মতো নতুন করে যেসব তরুণ ভোটার হবেন, তারা শাসক দলের  জন্য অবশ্যই মাথাব্যথার কারণ হবে। হবে কি? টুবি অর নট টুবি দ্যটস দ্য কোয়েশ্চেন।

Public entities' DSLs keep on swelling, cross Tk 1.0t mark


Rezaul Karim

Debt service liabilities (DSLs) of state-owned entities, autonomous and semi-autonomous bodies soared to Tk 1.02 trillion at the end of the last fiscal year (FY) 2016-17, according to official statistics.

The amount of DSL comprises both principal and interest.

The aggregate amount of principal and interest overdue stood at over Tk 869.91 billion at the end of FY 2015-2016, the official data available with the ministry of finance showed.

Total outstanding amount, including both overdue and current amount, stood at Tk 2.13 trillion as of June 30, 2017. The figure was Tk 2.03 trillion at the end of June, 2016.

The debt-burden of these organisations includes the funds that the government borrowed for them from foreign development partners against projects and the local currency loans.

The state-owned enterprises (SoEs) and similar other organisations in violation of the loan agreements struck with the government have been defaulting on repayments, leading to swelling of their debt to the government, an official concerned said.

Some 116 SoEs took loans from the government in the last fiscal year (FY). The government provided some 12 new loans to the state-owned and similar other organisations during that FY. And fresh lending came as one of the major contributors to debt swelling.

The government provided some 947 loans -- 511 domestic and 436 foreign -- to the SoEs until June, 2017.

According to the latest figures, the total outstanding DSL of Bangladesh Power Development Board (BPDB) alone stood at Tk 950.91 billion as of the FY 2016-17.

In the BPDB's bag was Tk 907.79 billion as outstanding loan up to FY 2015-16. The cumulative interest on the total loan is compound in nature, thus snowballing every passing year.

Those familiar with the loan-disbursement process said government's expensive power purchase from quick-rental power plants is believed to be a major reason for such sharp rise in the borrowing by the BPDB.

It alone holds a major portion of the total debt and the total outstanding of BPC comes next with Tk 263.33 billion up to June 30, 2017.

But Petrobangla's total DSL increased to some extent in FY 2016-17 as it had not repaid a 'large' sum of the liabilities. Its outstanding was Tk 913.83 billion up to FY 2015-16.

The Rural Electrification Board (REB) held a total outstanding amount of Tk 86.12 billion during the same period.

Bangladesh Chemical Industries Corporation (BCIC) under the Ministry of Industries had a total DSL of Tk 100.22 billion at the same time.

Sources at Debt Service Liabilities wing of the finance division told the FE that it had taken many steps to realise growing outstanding loans but mostly to no avail. Rather dues are getting bloated.

They said they had met with the organisations individually for the loan recovery. "We want to streamline the official debt-repayment process as it puts the government in a difficult situation to manage its current expenditure," a senior official at the DSL wing told the FE.

A large amount of loans pending with the SoEs has been causing problems for the government to strike a balance between existing resources and current expenditures.

They said many new sectors in need of loans hardly get the same from the government since most SoEs are not making repayments as per the loan agreements.

The finance division has reckoned and readied the latest figures up to last June for disclosing during the presentation of the national budget by the finance minister in June next.

The government borrows from foreign development partners like the World Bank, the Asian Development Bank and the Islamic Development Bank.

  • Courtesy:The Financial Express/Apr 23, 2018

কোটা না থাকলে পছন্দের ক্যাডারই পাব ৩ বার বিসিএস উত্তীর্ণ শিক্ষকের চ্যালেঞ্জ

চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম, কোটা ছাড়া মেধা মূল্যায়ন করলে আমি প্রথম দিকের চয়েজের ক্যাডারই পাব, এভাবেই ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন মো. মাহবুব আলম। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষক।

মো. মাহবুব আলমের ফেইসবুক পোস্ট তুলে ধরা হলো:-

“আমি বিসিএস হেডমাস্টার; পরিচয় দিতে পারছি না! এ লজ্জা আমার নাকি রাষ্ট্রের?
আজ আমি অবশ্যই বিসিএস ক্যাডার থাকতাম, কোটা ব্যবস্থার কারণে আজ আমি বিসিএস থেকে প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক!

এ পরিচয় কোথাও দিতে পারছি না! কে বুঝবে যে, আমি ৩১তম, ৩৩তম, ৩৪তম বিসিএস থেকে তিন তিনবার ননক্যাডার হয়ে, অতঃপর ৩৪তম বিসিএস থেকে প্রাইমারির ক্যাডার! এতো কষ্ট কাকে বোঝাবো! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান থেকে বিএসএস, এমএসএস করে, এখন অ আ ক খ পড়াতে হচ্ছে, আর যারা (অনেকেই) অ আ ক খ ঠিকমতো পারে না (অবশ্য সবাই না) তারা আমাদের পরিচালনা করছে! এ লজ্জা আমার নাকি রাষ্ট্রের?

চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম, কোটা ছাড়া মেধা মূল্যায়ন করলে আমি প্রথম দিকের চয়েজের ক্যাডারই পাব!!! বিসিএস পররাষ্ট্র/পুলিশ/প্রশাসন! এর যেকোনোটাই আমি পেতাম!

তার এই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

মো. ফরিদুজ্জান নাঈম নামে একজনে লিখেছেন, এ গ্লানি রষ্ট্রের, এ ব্যার্থতা রাষ্ট্রের, কোটার নামে রাজনৈতিক হঠকারিতা রাষ্ট্রের জন্য চরম ব্যর্থতা। কোটা আছে কিন্তু কোটার কোন কন্ট্রোল নাই। ৫৬% লোক কোটায় নিয়োগ কিভাবে যৌক্তিক হতে পারে? কোটার নামে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মেধাবীদের অবমূল্যায়নই দেশকে ডুবাচ্ছে।

শফিকুল ইসলাম নামে একজনে লিখেছেন, ভাই এ লজ্জা আপনার না এ লজ্জা দেশের কলঙ্কিত মানুষের যারা শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করে, ব্যাবসা করে, কি আর বলবো ভাই জানি আপনি নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে গেছেন।

নাসির জয় নামে একজনে লিখেছেন, আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সৎ সাহস ‘ব্যর্থ সরকারের’ নেই। আসুন সবাই কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হই।

Courtesy: শীর্ষনিউজ/ Apr 22, 2018