Search

Monday, April 23, 2018

সেনাবাহিনী ছাড়া এখন কোন নির্বাচন অসম্ভব - সুজন


সোমবার, এপ্রিল ২৩, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়া এখন কোন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা অসম্ভব।

জনগণ মনে করে, আমি ভোট দিলে কি হবে। প্রার্থীতো আগেই ঠিক করা। এ দুটি সিটি নির্বাচনের দিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছে। কেননা এর উপর নির্ভর করবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কিনা। নির্বাচন কমিশনের হাতে সকল ক্ষমতা রয়েছে।

‘বর্তমানে নানা কারণে নির্বাচনের প্রতি গণউদাসিনতা দেখা দিয়েছে’ উল্লেখ করে সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গণউদাসিনতার কারণগুলো ব্যাপক এবং বিস্তৃত। যেমন, একতরফা ও জবরদস্তিমূলক ভোট ছিনতাই, সংস্কৃতি, উপযুক্ত প্রার্থীর অভাব, নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের গণবিচ্ছিন্নতা, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ইত্যাদি। গণউদাসীনতা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে একটি বড় বাধা। জনগণকে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার যত রকম উপায় আছে তা নিতে হবে। ব্যাপকভাবে জনগণ ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটের গণজোয়ার সৃষ্টি করলে প্রশাসন বা যারা সুক্ষ্ম বা স্থূল কারচুপি ফাঁদ পাতে তাদের সেই ফাঁদ পাতার কৌশল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়।’

এছাড়া আরও বলে হয়, ‘নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন সমাপ্তির অন্তত এক সপ্তাহ পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত নানা ধরনের অভিযোগ গ্রহণ এবং তা প্রতিকারের একটি ব্যবস্থা সৃষ্টি করা উচিত। নির্বাচনি ব্যয় পর্যবেক্ষণের একটি সুষ্ঠু পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। মনোনয়ন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, বাণিজ্যমুক্তকরণ এবং দলের স্থানীয় সংগঠনের মতামতকে গণতান্ত্রিকভাবে বিবেচনার যেই সুযোগ আইন করে দিয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা দরকার। ওপর থেকে প্রার্থী চাপানোর প্রবণতা বন্ধ করা হোক।’

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

  • মানবজমিন / এপ্রিল ২৩,২০১৮


No comments:

Post a Comment