Search

Tuesday, April 24, 2018

মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট ২০১৭ — বাংলাদেশ সম্পর্কিত বক্তব্যের চুম্বকাংশ


(বিএনপি কমিউনিকেশন) — যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমবিষয়ক ব্যুরো শুক্রবার, এপ্রিল ২০, ২০১৮, বিশ্বের ২০০’র অধিক দেশ ও অঞ্চলের বিষয়ে  ‘বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট ২০১৭’  প্রকাশ করেছে।


রিপোর্টে বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার,গণতন্ত্র, শ্রমঅধিকার ইত্যাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সম্পর্কিত বক্তব্যের উল্লেখ্য নিচে দেয়া হল —

•    বাংলাদেশ  উদার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। 

•    নিরাপত্তা বাহিনীগুলির নির্যাতন, হত্যা বন্ধে কার্যকর কিছু করেনি বাংলাদেশ সরকার। 

•    বাংলাদেশের মানুষ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে আস্থায় নিতে না পারায় তাদের  অনেকেই সরকারি অাইন-শৃঙখলা বাহিনীর কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করেন না বা অভিযোগ জানান না।

•    বিচারহীনতার কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ করেও পার পেয়ে গেছে। 

•    দেশটিতে গুম এবং অপহরণ  বন্ধ হয়নি। গণমাধ্যম, সভ্য সমাজ বলছে, সরকার শুধু সন্দেহভাজন জঙ্গ‌িদের গুম করছে না, একই সঙ্গে গুম করছে সভ্য সমাজ প্রতিনিধি এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরও ।

•    যেসব ঘটনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তা হচ্ছে সরকারি বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, বেআইনি আটক ও গুম । বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) কাজের স্বাধীনতা খর্ব করার মাধ্যমেও গুরুতরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে।

•    ২০১৭ সনে ১৬২ জন ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে ( আইন ও সালিশ কেন্দ্র)।

•    বছরের প্রথম ১০ মাসে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছে ১১৮ জন (অধিকার)।

•    ২০১৭ সনে ৬০ জনকে গুম করা হয়েছে (অধিকার)। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা জানায় যে ২০১৬ সালে ৪০ জনকে গুম করা হয়েছে।

•    বাংলাদেশে বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ হচ্ছে না। 

•    বাংলাদেশে মত প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে । 

•    খালেদা জিয়ার মত নেত্রীর বিরুদ্ধেও মত প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

•    দেশটিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ বিস্তর । আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড বা ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনার  খুব অল্পই আমলে নেয় সরকার। 
•    পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আর তাই কোনো সন্ত্রাসীকাণ্ড নিয়ে কোনো অভিযোগও তারা করতে চায় না।

•    দেশটির সংবিধানে জীবনের নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও এখন সরকার ও সহযোগীরা বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত।অসংখ্য প্রতিবেদন রয়েছে যেগুলো এ অভিযোগ প্রমাণ করে ।

•    আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান বা গ্রেপ্ততারকালে সময় সন্দেহজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সরকার এগুলোকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানের সময়সংঘটিত ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ বা পাল্টা হামলার ফল উল্লেখ করে তা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে। মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এগুলোরঅধিকাংশই বিচারবর্হিভূত হত্যা হিসেবে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।

No comments:

Post a Comment