জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার পরিবহন ডিপোতে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম সমর্থিত ও সাবেক উপাচার্য শরিফ এনামুল কবির সমর্থিত শিক্ষকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার জেরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দুই পক্ষের শিক্ষকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, পূর্বঘোষিত ধর্মঘটের অংশ হিসেবে ভোররাত চারটার দিকে পরিবহন ডিপোর ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শরীফ এনামুল কবিরের অনুসারী পাঁচজন শিক্ষক। উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩, স্ট্যাটিউট ও সিন্ডিকেট পরিচালনা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন এসব শিক্ষক। ঘটনাস্থলে ফারজানা ইসলাম সমর্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শরীফ এনামুল কবিরপন্থী চারজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরে পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা জানান, আজ বিকেল চারটার মধ্যে দাবি মেনে না নিলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন।
ঘটনার বিচার দাবি করে সকাল ১০টায় স্মারকলিপি দিতে উপাচার্যের বাসভবনে দেখা করতে যান আন্দোলনকারী ১৫ জন শিক্ষক। এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এবং তাঁরা আমাকে প্রশাসনিক কোনো কার্যক্রমে সহযোগিতা না করে প্রশাসনের বিপক্ষে নানা রকম কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। তাই তাঁদের অব্যাহতি দিয়ে সাময়িকভাবে নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই কাউকে দোষী বলা ঠিক হবে না।’
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন শরীফ এনামুল কবিরপন্থী প্রায় ৫০ জন শিক্ষক। সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনে এসে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অনুরোধ করে স্থান ত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এ সময় শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার দাবি করলে আন্দোলনকারীদের প্রতি উপাচার্য বলেন, ‘আপনারা আমাকে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তাহলে আমি এই ঘটনার কীভাবে তদন্ত করব!’
অন্যদিকে, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন প্রশাসনপন্থী শিক্ষকেরা।
- Courtesy: Prothom Alo/ Apr 17, 2018
No comments:
Post a Comment