আলফাজ আনাম
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী নেতাদের জীবন এখন হুমকির সম্মুখীন। নির্ভেজাল ও গণতান্ত্রিক একটি ছাত্র আন্দোলনকে দমনের জন্য সরকার অপহরণ বা গুমের কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনের জন্য যেসব কৌশল নেয়া হয়েছে এই আন্দোলন দমনেও একই কৌশল নেয়া হচ্ছে।
কোটা সংস্কারের জন্য যারা আন্দোলন করছেন তাদের কেউ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল বা ছাত্র সংগঠনের নেতা নন, বরং তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। এখন তারা অপ্রত্যাশিত কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্ঘটিত ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফেরার পথে এই আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান, ফারুক হাসান ও নুরুল হক নুরুকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। তাদের চোখ বেঁধে একটি মাইক্রোবাসে করে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনা জানাজানির পর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের ছেড়ে দেয়া হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যে তরুণেরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা এখন আর অচেনা কোনো ব্যক্তি নন। দেশজুড়ে তারা পরিচিত মুখ। পুলিশের ভাষ্য, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন হলো, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ‘অপহরণ’ করে নিয়ে যেতে হবে কেন? এই ছাত্র নেতারাও বলছেন, পুলিশ যদি তাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তাহলে বললে তারা পুলিশের কাছে চলে যেতেন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা যেভাবে গুম হয়ে গেছেন এরা কি এখন এমন শঙ্কার মধ্যে নেই? ছাড়া পাওয়ার পর নুরুল হক বিবিসিকে বলেন, ‘ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। আমরা জীবনের আশঙ্কা করছি, প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাইছি...।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আটকের খবর দ্রুত মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসায় পুলিশ আমাদের আজ ছেড়ে দিয়েছে; কিন্তু তারা আমাদের সহজে ছাড়বে বলে মনে হয় না।’
এখন এই তরুণদের পরিবার পরিজনও হুমকির মুখে। এই আন্দোলনের এক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের বাবা নবাই বিশ্বাসকে ঝিনাইদহের গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাশেদ খান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমার আব্বা কী অন্যায় করেছেন? ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে কি তিনি অন্যায় করেছেন? ছেলে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলায় কি তিনি অন্যায় করে ফেলেছেন? আজকে জাতির কাছে এর বিচার দিলাম। আমাকে না হয় মেরে ফেলল, আমার আব্বাকে কেন থানায় নেয়া হয়েছে?’
তিনি বলেন, ‘আমার আব্বাকে কেন পুলিশ গালিগালাজ করল? আব্বা কাঁদতে কাঁদতে ফোন দিচ্ছেন। কেন আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হলো? আমরা কী অন্যায় করেছি? আমাদের চোখ বেঁধে তুলে নেয়া হলো। একই সাথে, আমার আব্বাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে গ্রাম (ঝিনাইদহ) থেকে তুলে নিয়ে থানায় আটকে রাখা হয়েছে। তাকে ওসি বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করছেন। তার কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে তিনি জামায়াত-শিবির করেন এবং তার ছেলে ছাত্রশিবির করে।’
এই ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সহজে যে ছাড়া পাবেন না, তা সহজেই অনুমান করা যায়। কারণ তাদের তীব্র দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে কোটা প্রথা তুলে দিয়েছেন। তারা দাবি জানিয়েছিলেন কোটা সংস্কারের। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ কোটা কমিয়ে আনার জন্য। এই দাবি করায় তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে ‘স্বাধীনতাবিরোধী বা রাজাকার’ হিসেবে।
অথচ যারা এই আন্দোলনে নেমেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অনেকের বাবারও জন্ম হয়নি। আন্দোলনকারী ছাত্ররা একটি স্লোগানের মধ্য দিয়ে এর মোক্ষম জবাব দিয়েছেন, ‘চাইতে এলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার।’ একই সাথে কোটাবিরোধী আন্দোলন ‘জামায়াত-শিবিরের’ পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে, এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে সরকার সমর্থক কিছু গণমাধ্যম মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার এখন সব ক্ষেত্রে ‘জামায়াত-শিবির কার্ড’ খেলছে।
রাজনৈতিক আন্দোলনের বাইরে যেকোনো আন্দোলনেও প্রতিপক্ষ জামায়াত-শিবিরের ছায়া ‘আবিষ্কার’ করে তা দমনের কৌশল নিচ্ছে; কিন্তু এই অপকৌশল এখন হিতে বিপরীত হয়ে পড়ছে। সাধারণ মানুষের কাছে এসব প্রচারণা আর বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না। মনে রাখতে হবে, চাকরির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কোটা সংস্কার এই আন্দোলন। নবাই বিশ্বাসের মতো খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানেরা এই আন্দোলন করছেন।
এই তরুণেরা বাংলাদেশের গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। ফলে সংগঠন না থাকার পরও তাদের ডাকে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।এই আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য বিরিয়ানি সরবরাহ করতে হয়নি। হল দখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে বিপুল টাকা-পয়সার মালিক বনে যাওয়া, অস্ত্র হাতে নেয়া ছাত্রলীগ দিয়ে এদের আন্দোলন দমন করা যাবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে একেবারে কোটা বিলোপের ঘোষণাকে সরকার মনে হয়, নিজের পরাজয় হিসেবে বিবেচনা করছে; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কোটা সংস্কারের এই দাবি শুধু ছাত্রছাত্রীদের নয়, সমাজের বিভিন্ন মহল থেকেও উঠে এসেছে। ছাত্ররা কখনো মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিলোপের দাবি করেনি। তারা এটা কমিয়ে আনার কথা বলেছেন। মেধাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য এই সংস্কারের দাবি উঠেছে যাতে মেধার ভিত্তিতে আরো বেশিসংখ্যক তরুণ সরকারি চাকরির সুযোগ পান এবং বঞ্চনার অবসান ঘটে। এখন এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক মদদের অভিযোগ এনে প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব থেকে কিছু তরুণের জীবন ধ্বংসের আয়োজন চলছে।
এই আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের বাসায় মধ্যরাতে রহস্যময় হামলার মামলায় এদের অভিযুক্ত করা হতে পারে; এমন শঙ্কা ব্যাপক। এ কারণে এই আন্দোলনের নেতাদের এখন অন্যতম প্রধান দাবি হচ্ছে, মামলা প্রত্যাহার করা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের যেকোনো ধরনের পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা করার প্রধান দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও অন্য শিক্ষকদের।
এই আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন; কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যখন পুলিশ চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা নিশ্চুপ। পদ পদবি কিংবা ক্ষমতার খুদকুঁড়ো পাওয়ার আশায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা ন্যূনতম মর্যাদা রক্ষা করতে শুধু ব্যর্থ হচ্ছেন না, শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের দায়িত্বের কথাও ভুলে যাচ্ছেন।
এই আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন; কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যখন পুলিশ চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা নিশ্চুপ। পদ পদবি কিংবা ক্ষমতার খুদকুঁড়ো পাওয়ার আশায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা ন্যূনতম মর্যাদা রক্ষা করতে শুধু ব্যর্থ হচ্ছেন না, শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের দায়িত্বের কথাও ভুলে যাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছে এমন ছাত্রছাত্রীদের ওপর নানাভাবে নিপীড়ন চালিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের নীতি বাস্তবায়নে সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগের যে নেত্রী সাধারণ ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল, তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ইফফাত জাহান এশা নামে এই নেত্রীর বিরুদ্ধে একজন ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ আছে। গভীর রাতে এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্রীরা একযোগে তাকে জুতার মালা পরিয়েছে। তাকে জুতার মালা পরানো গ্রহণযোগ্য নয়; কিন্তু পায়ের রগ কেটে দেয়াসহ ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের বহু অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এরপর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাধারণ ছাত্রীরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখন ছাত্রলীগও তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিল অবস্থা বেগতিক দেখে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে ছাত্রলীগের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
এখন ছাত্রলীগ নানাভাবে হয়রানি করছে কোটা আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রছাত্রীদের। ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত; কিন্তু কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, এমন ২৪ জন ছাত্রীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে পায়ের রগ কেটে দেয়া মেয়েটিও রয়েছে। ছাত্রলীগের কাছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে এশার গুরুত্ব অনেক বেশি। ছাত্রলীগকে অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরও যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবনে হামলার ঘটনাকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।
বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, বহিরাগতরা এই হামলা চালিয়েছে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারের একজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগের মহানগর ও ঢাকা কলেজের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এসেছিলেন, সে প্রশ্ন উঠেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সৃষ্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতার মূলে রয়েছে দলীয়ভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা। কোটা সংস্কারের মতো ন্যায্য আন্দোলনকে সরকার সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছে না বলে নিপীড়নের মাধ্যমে এই আন্দোলন দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অথচ এই আন্দোলন একান্তই ছাত্রছাত্রীদের অধিকারসংশ্লিষ্ট। শুরু থেকে ছাত্ররা যথেষ্ট ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সাথে এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কোটা বিলোপের ঘোষণার পর তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো গেজেট নোটিফিকেশন হয়নি। এ ছাড়া ছাত্ররা মামলা প্রত্যাহারের যে দাবি করেছে, তা খুবই যুক্তিযুক্ত। কারণ ‘অজ্ঞাতনামা’ ব্যক্তিকে আসামি করে সহজেই এসব মামলায় আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রছাত্রীদের আসামি করা হবে। ইতোমধ্যে ছাত্র নেতাদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, তারা বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। ফলে সরকারের দেয়া কোনো প্রতিশ্রুতির ওপর ছাত্ররা আর আস্থা রাখতে পারছেন না।
স্বাভাবিকভাবে এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ছাত্রছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সরকারের উচিত নিপীড়নের পথ থেকে সরে আসা। কারণ এ ধরনের ঘটনা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আরো বেশি বিক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। ছাত্রলীগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ আন্দোলন দমন করা যাবে না। ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মী এ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। কোটা সংস্কারের দাবিকে রাজনৈতিকভাবে না দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের আন্দোলন হিসেবে দেখা উচিত।
- নয়াদিগন্ত / ১৯ এপ্রিল ২০১৮
No comments:
Post a Comment