Search

Tuesday, April 24, 2018

শাহরিয়ার আলম এর নাগরিকত্ব জ্ঞান


শামসুল আলম 


এ মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে বহুল আলোচিত ব্যক্তিত্ব তারেক রহমান। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। লন্ডন প্রবাসী। বাংলাদেশের বর্তমান বিনাভোটের সরকারের প্রধান থেকে শুরু করে তাদের প্রায় সব মন্ত্রী-নেতাদের মুখে একটিই শব্দ - তারেক রহমান! তারেক রহমানকে  দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে প্রচার করছে সরকারের মিডিয়া এবং প্রচার যন্ত্র!


সরকারের লোকেরা বলছে - তারেক রহমানকে যেকোনো মূল্যে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে  আনবেন শেখ হাসিনা। এনে দণ্ড কার্যকর করবেন!

বেশ তো! আনতে পারলে আনুন...সেটা না করে খামাখা বাকওয়াজ করছেন কেনো? কেন ওনার রেটিং বাড়িয়ে দিচ্ছেন ?

এর গোমর ফাঁক  হিসাবে অনলাইন সূত্র জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডন গিয়ে বিনাভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা সেখানকার বাংলাদেশীদের হাতে এমন নাকানি চোবানি খেয়েছেন, সর্বত্র এমন প্রতিবাদ প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছেন যা আগেকার সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে! কোনো ভেনুতে তিনি সামনের দরজা দিয়ে ঢুকতে পারেননি, সব যায়গায় পেছনের দরজা ব্যবহার করতে হয়েছে! লন্ডন শহরে ভ্রাম্যমান (মোবাইল) বিলবোর্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে খুনি, গণতন্ত্র হত্যাকারী, স্বৈরাচার হিসাবে তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করা হয়েছে। নতুন ধরনের এই প্রতিবাদ দেখে সবাই চমকিত হয়েছে! সম্মেলনে আগত বিদেশীরা এবং লন্ডনবাসীরা বাংলাদেশ এবং হাসিনা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছে, আগ্রহী হয়েছেন। এসব কার‌ণে শেখ হাসিনা বিএনপি এবং তারেক রহমানের উপর যারপরনাই বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ  হয়ে বৃটেন সরকারের দ্বারস্থ হন-তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দিন। কিন্তু তারেক রহমান সেখানে আইনানুগভাবে ভালোভাবেই আছেন, হাসিনার কথায় তাকে ফিরিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগনাই জেনে শেখ হাসিনা আরও বিরক্ত হয়ে অন্তত দু’টি প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে তারেক রহমানকে বাপ মা তুলে খিস্তি, হুঙ্কার এবং ধরে নিয়ে দণ্ড  কার্যকর করা হবে বলে নিজের ব্যক্তিগত হিংসা উগরে দিলেন। এমনকি লন্ডনে বিএনপির লোকদের উপর আক্রমন করতে তার দলের লোকদের নির্দেশ দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গেলেন।

তবে প্রতিবাদের মাত্রা আরও বাড়ে যখন লন্ডন ছাড়ার সময় হোটল থেকে বের হওয়ার মুখে বাংলাদেশীদের ব্যাপকভাবে ডিমবৃষ্টির কবলে পড়েন হাসিনা ও তার দলবল। এমনকি লন্ডন পুলিশের বাধা ভেদ করে ডিম ছোড়ার দৃশ্য দেখা যায়!

অন্যদিকে তখন বিনাভোটের সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার প্রকাশ করেন, তারেক রহমানের বাংলাদেশে নাগরিকত্ব নেই! সেই সাথে টিভিস্ক্রলে আসতে থাকে, ‘আওয়ামীলীগ বলছে, পারলে তারেক রহমান পাসপোর্ট দেখাক’, আবার বলা হচ্ছে- ‘তারেক রহমান নাকি তাঁর স্ত্রী ও কন্যার পাসপোর্টজমা দিয়েছেন ডাকযোগে! তাই ওনারা আর বাংলাদেশের নাগরিক নন!’ এদের কে বুঝাবে যে - পাসপোর্ট থাকা না থাকার সাথে নাগরিকত্বের কোন সম্পর্ক নাই।পাসপোর্ট হলো ট্রাভেল ডকুমেন্ট - বিদেশে যেতে এটা লাগে। এয়ারপোর্টে দেখাতে হয়। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ লোকের পাসপোর্ট নাই - বানায়নি। তাই বলে কি তাদের নাগরিকত্ব  গায়েব হয়েছে?  গাধাদের জন্য জ্ঞান হচ্ছে, পাসপোর্টের মেয়াদ থাকে, নাগরিকত্বের কোনো মেয়াদ থাকেনা। এটা আমৃত্যু।

No comments:

Post a Comment