ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ত্রিমুখী হামলা কোটাবিরোধী আন্দোলনে। তদন্তের স্বার্থে যে কোন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের অধিকার রয়েছে পুলিশের। কিন্তু কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতাদের যেভাবে জোর করে তুলে নিয়েছিল পুলিশ, তাতে মনে হয়না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য করা হয়েছিল এটি। আমার ধারনা তাদের বরং উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনকারীদের মনে প্রচন্ড আতংক সৃষ্টি করা।
আন্দোলনকারীরা সজাগ না থাকলে এমন চেষ্টা আবারো হতে পারে। এক্ই সাথে আন্দালনকারীদের শায়েস্তা করার জন্য তাদেরকে জামাত-শিবির আখ্যায়িত করার অপচেষ্টাও চলতে পারে। হলে হলে আন্দোলনকারীদের উপর নিপীড়নও চলতে পারে অনেকদিন।
এ্ই ত্রিমুখী হামলার বিরুদ্ধে দাড়ানো উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের, শিক্ষক সমিতির এবং নাগরিক সমাজের। কিন্তু এদের অধিকাংশ সরকারের পদলেহী, সুবিধাবাদী কিংবা ভিতু। কেউ কেউ প্রতিবাদী, তবে তা আমল বুঝে।
কাজেই এই সংকটে ছাত্রসমাজের প্রকৃত শক্তি হবে তাদের নিজেদের ঐক্য, সৎসাহস ও সচেতনতা। নিপীড়নের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্নর্ কিন্তু সুদৃঢ় অবস্থান। ন্যায়, সাম্য ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনো পরাজিত হয়নি। এবার হবে না বলে বিশ্বাস করি।
- Manobzamin/Apr 17,2018
No comments:
Post a Comment