Search

Thursday, May 3, 2018

চারগুণ দামে কেনা হচ্ছে নতুন ইভিএম

ব্যবহার হবে গাজীপুর ও খুলনা সিটির ভোটে


গোলাম রাব্বানী

আবারও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) দিকে ঝুঁকছে কে এম নূরুল হুদা কমিশন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একটি ওয়ার্ডে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে দেশে ইভিএমের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। এরপর নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী পৌরসভায় পুরো ভোট হয় ইভিএমে। আর সর্বশেষ রাজশাহী সিটির এক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও ফলাফল নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর বুয়েট ও ইসির দ্বন্দ্বে ইতি ঘটে ইভিএমের। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রংপুর সিটিতে আবারও ব্যবহার শুরু হয় নতুন ইভিএম। এ ছাড়া আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। এখনো কেন্দ্র চূড়ান্ত করেনি ইসি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই ইভিএমে ভোট চাইলেও বিএনপি তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সব স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। পুরনো ইভিএম বাদ দিয়ে ডিসেম্বরে রংপুরে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহূত নতুন ইভিএম সফল বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তাই ইভিএমের ব্যবহার ধরে রাখতে আরও আড়াই হাজার মেশিন কেনার প্রস্তুতি চলছে। যদিও প্রাথমিকভাবে ৫৩৫ সেট ইভিএম কেনা হচ্ছে। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবের সভাপতিত্বে কারিগরি কমিটির সভায় ইভিএম নিয়ে পর্যালোচনা হয় বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

বর্তমান কমিশন সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন ইভিএম কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে প্রায় দুই লাখ টাকায় নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার পরিকল্পনা করেছে ইসি, যা ২০১০ সালে প্রথম ব্যবহূত যন্ত্রের দামের প্রায় চারগুণ। ওই সময় প্রতিটি ইভিএমে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সদস্যরা বলছেন, ‘বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মাধ্যমেই বিদেশ থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ নিয়ে উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম তৈরি হচ্ছে। বিএমটিএফ চিন্তা করছে তৈরি করার; আশা করি তারাও পারবে। দেশে এটা তৈরি শুরু হয়ে গেলে তখন কমিশন যদি মনে করে সারা বিশ্বে প্রযুক্তিটি রপ্তানিও করতে পারবে।’

  • Abridged. Courtesy: Bangladesh Pratidin /May 03, 2018

তফসিলের হাঁকডাক ‘একতরফা’ নির্বাচনের ইঙ্গিত

মাহমুদুল হাসান


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় ততই তীব্র হচ্ছে। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজেদের অবস্থানে অনড়। এরই মধ্যে পরিবেশ তৈরি ছাড়াই অক্টোবরে তফসিল ঘোষণার হাঁকডাক একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে বিএনপি।

বিএনপি আপাতত নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। আগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চাইছে তারা। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণার হাঁকডাক ক্ষমতাসীনদের ‘কৌশল’ হিসেবেও দেখছেন দলটির নেতারা।

বিএনপি নেতাদের দাবি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশের ওপর নির্ভর করছে তফসিল। তাই পরিবেশ তৈরি না হলে তফসিল কোন মাসে ঘোষণা করা হলো তাতে কিছু যায় আসে না। একতরফা নির্বাচনের তফসিলের কোনো গুরুত্ব নেই।

তাদের মতে, আগে থেকে এ ধরনের কথা বলে বিভিন্ন দলের মনোভাব জানার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। কারণ, মুখে যাই বলুক আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিয়ে আওয়ামী লীগে ভীতি কাজ করছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। সোমবার সংসদীয় আসনের সীমানা পুনির্নির্ধারণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। তবে তিনি অক্টোবরের কত তারিখে তফসিল ঘোষণা করা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি।

এদিকে নির্বাচন কমিশনারের ওই ঘোষণার এক দিন পরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনের ট্রেন চলতে শুরু করবে।

মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত শোভাযাত্রাপূর্বক সমাবেশে তিনি বলেন, বিএনপি এখন হুঙ্কার দিচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। উনার (খালেদা) মুক্তি আদালতের বিষয়। অক্টোবরে নির্বাচনের ট্রেন চলতে শুরু করবে। তা বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে না।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে কিংবা জানুয়ারির শুরুর দিকে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য দিন রেখে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি আগে পরিষ্কার হবে। ক্ষমতাসীনরা কী চাইছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হবে। নির্বাচনে কারচুপি বা ভিন্ন কিছু করে ক্ষমতায় থাকতে কোন কৌশলে তারা এগোচ্ছেন বিএনপি সেসব পর্যবেক্ষণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন এনিয়ে কিছু বলতে পারব না। তারা সরকারে আছেন, যেমন খুশি বলতে পারেন। আমাদেরকে প্রত্যেকটা কথা মেপে বলতে হয়।’

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। দেশের মানুষ কী চায়, তাদের কী চিন্তা-ভাবনা আছে। এটা বিএনপির একার বিষয় নয়। অধিকারহীন মানুষের জাতীয় সিদ্ধান্তে হবে এটা। জাতি সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের দলের অবস্থান আমরা বলে দিয়েছি। এখানে ব্যক্তিগত কোনো কথা নেই। সময় আসুক, তারপর আবার বলা যাবে। রাজনীতিতে কখনো দীর্ঘ সময়, কখনো অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত আসে। রাজনীতি এমনই।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য দেশনেত্রীর মুক্তি। তারপর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা না করার সিদ্ধান্ত হবে।’

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পরিবর্তন ডটকম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৎপরটা দেখাচ্ছে। কারণ এখন তো তারা হালকা চাপে আছে। চাপটা যখন আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসবে, তখন চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে। তখন এই তফসিল জানুয়ারিতে যাবে না অক্টোবরে হবে এটা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বৈষম্য দূর করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোনো মাসে তৈরি করতে পারবেন, এটা উনারাই ভালো জানেন। এটাই শেষ কথা হিসেবে ধরছি না।’

বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চাচ্ছে আমরা নির্বাচনের বাইরে থাকি। আমরা তো নির্বাচনের ভেতরে থাকার চেষ্টা করছি।’  

  • সূত্র : পরির্বতন/ মে ২, ২০১৮ 

Scanning at Ctg Port: Govt settles for costlier option

Private firm gets Tk 29cr a year for the job Custom House can do with Tk 4cr


Mohammad Suman

Scanning operation is a sensitive job for any port around the world. It examines imports through misdeclaration and the presence of explosives that could jeopardize national security. Once released, there is little scope for reexamining the containers.

Yet the Chittagong Custom House (CCH) is relying on private operators for the delicate job as it failed to establish a permanent scanning department of its own to do this.

While the government is losing money in the process, it also poses a threat to national security, port sources have said. 

In 2009, the National Board of Revenue (NBR) made scanning of all containers mandatory to check imports through misdeclaration and smuggling of arms and ammunition.

As the CCH had no experience in scanning then, it hired SGS, a Swiss private company, for the job in September that year for Tk 12.23 crore a year. One condition was that during the six-year contract the company would train CCH officials on scanner operations.

The operator had a 63-man workforce for handling four scanners at as many gates at the port.

However, by the time the contract ended in 2015, many of the trained CCH officials got transferred. As a result, the CCH failed to build capacity to handle the scanners.

Later, the CCH extended the contract with SGS for three years in two phases, which ended on April 22 with the same results.    

The CCH has recently given the job to a new firm, Five R Associates, for Tk 28.86 crore a year. A local distributor of a Chinese company, Five R Associates is expected to start the operations today.

Interestingly, in a draft proposal the CCH said the same job can be done with only about Tk 4 crore, nearly Tk 25 crore less than what the private company is charging.

For that, the CCH proposed establishing a permanent scanning department with a 185-strong workforce and setting up 12 scanners at as many gates at the port.

At the moment, there are only four scanners at as many gates.

The CCH sent the proposal to the Internal Resource Department under the finance ministry on January 2 last year, but has yet to receive any response.

In the meantime, as the deadline of the contract with the SGS neared, the CCH floated a tender for the scanning operation in late December.

At least seven companies collected the tender papers. They are SGS, M/S Belal and Brothers, Harun Electrical Engineering, Linkers Enterprise, Five R Associates, NCSL and 5R Nuctech Consortium.

However, only two firms Five R Associates and NCSL submitted the tender papers.

The SGS did not submit the papers, alleging that the CCH relaxed some conditions of the bid to make it easy for certain companies to get the job.

On April 12, three days after the CCH recommended Five R Associates to the NBR for the job, the SGS moved the High Court over “irregularities in appointing an organisation of their choice”.

In response, the CCH filed a writ on April 25 saying the claim was baseless. The HC is expected to hold a hearing on the matter on May 25.

The SGS also lodged a complaint with the Planning Commission. But the Commission cleared the CCH move to hire Five R Associates for the job.

Contacted, Mizanur Rahman, SGS operations manager, said they would not pursue the matter further.

“We have no complaints. We've knocked on so many doors. And we know we will not get justice,” he told The Daily Star.

“Nine years ago, the Chittagong Custom House did not do the job as it had no experience. After all these years, they are now saying there is no need for experience to do the job. If so, the Custom House could do the job nine years ago, or it can do it now. Why are they relying on others for the scanning?” he said.

Meanwhile, after the SGS's contract ended on April 22, the CCH itself did the scanning job for the last one week. 

“Workers from other departments were called in for the scanning operation. We did not face any problem,” said Abdul Rashid, deputy commissioner of the CCH.

Liakat Ali Howladar, port secretary of Clearing and Forwarding Association, said it was not safe to get the scanning job done by a private operator.

According to him, the job should be done by a government authority.

Asked why the CCH itself was not doing the job, its Commissioner AKM Nuruzzaman said they sent a draft proposal to the IRD for establishing a scanning department two years ago, but did not get any response.

“It's not possible to do the job with our current workforce. We cannot do it if we do not have a permanent, dedicated staff for it. We have talked about the issue with the authorities so we can do it by ourselves in future,” he added.

  • Courtesy: The Daily Star/May 03, 2018

Khulna city polls: BNP mayoral candidate suspends campaign


Nazrul Islam Monju, BNP mayoral aspirant in the upcoming Khulna City Corporation polls, suspended his election campaign protesting “arrests” of his party activists.

Around 19 leaders and activists of Jubo Dal, Chhatra Dal and other pro-BNP bodies were allegedly arrested in Khulna city between last night and this morning, our district correspondent reports quoting Monju as saying.

Monju, who started his election campaign yesterday morning and continued till night amid torrential rain, halted his election campaign from 9:00am today, the official said.

He alleged that the law enforcers were trying to terrorise BNP leaders and activists to keep them away from the election campaign. “They’re also raiding the houses of our party leaders and activists and harassing them.”

The BNP mayoral candidate also claimed that Awami League men are violating the election code of conduct but the Election Commission does not pay heed to his allegation in this regard.

He also demanded the authorities concerned create a level-playing field and stop intimidating his party men.

The elections to Khulna City Corporation will be held on May 15.

  • Courtesy: The Daily Star/May 03, 2018

Teachers call for ensuring protesters’ safety

QUOTA REFORM MOVEMENT


Teachers of Dhaka University and Jagannath University on Monday urged their administrations and law enforcement agencies to ensure safety of demonstrators who took to the streets demanding reforms to quota system in government jobs.
At a views exchange programme, they also urged the authorities concerned to ensure stable and democratic environment at the educational institutes across the country.

Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad, the platform of the protesting students, organaised the programme at Teacher Student Centre auditorium of Dhaka University.

Dhaka University teacher Tanjimuddin Khan said that ruling party’s student organaisation was always alienated from the general students and tried to establish a reign of fear. He also said that as the hall administration did not play any vigorous role to address students’ problem, the university authorities should install a complain box in front of vice-chancellor’s house so that the general students could express their complaints.

Tanjimuddin Khan further said that to ensure safety of general students and teachers, there was no alternative to joint efforts of teachers and students as the existence of Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad was very much important.

Abul Kashem Fazlul Huq, supernumerary professor of Bangla at Dhaka University, said there was no logical reason of police attack on general students’ justified movement and it was governments’ responsibility to resolve the age-old crisis.

Condemning the attack on DU VC’s residence, he also added that the situation was complicated after the university administration and police lodged at least five cases against unidentified protesters which triggered fear among general students.

Dhaka University teacher Fahmidul Huq warned that if any protesters were further harassed by law enforcers or the university administration, teacher would wage tougher movement as the protestors on April 12 postponed their movement on assurance from the prime minister that there would be no quota system in government jobs.

Lambasting the administration and the government, the mass communication and journalism department professor also urged the authorities not to smell conspiracy in all logical movements and try to understand people’s pulse.

Nurul Huq Nur, joint-convener of the platform, demanded punishment of the culprits who brandished weapons on the campus on the night of April 9, formation of special autonomous cell to ensure safety of students and teachers, installation of security post at the entrance of campus, administration had to play active role to ensure democratic practice of students on the campus. 

Dhaka University teacher Robayet Ferdous, Rashidul Hasan, MM Akash, Jagannath University’s expelled teacher Nasiruddin Ahmed also spoke among others. 

  •  Courtesy: NewAge/May 01, 2018


বেপরোয়া ব্যাংকিং ও খেলাপি ঋণের খাদ

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর হালচাল নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী পরিস্থিতি গুরুতর নয় বলে দাবি করছেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ এবং পরিচালনা পর্ষদে পরিবারতন্ত্রকে অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন প্রথম সারির অর্থনীতিবিদেরা।


রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অবস্থা হয়েছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা! বছরের শুরুতে ব্যাংকিং খাত পড়েছে তারল্যসংকট ও সুদের হারের বৃদ্ধির দশায়। ইতিমধ্যে এ খাত খেলাপি ঋণের ভারে নুয়ে পড়া এবং অনিয়ম ও বিচারহীনতায় নিমজ্জিত, লাগামহীন লোপাটে তলায়মান। এ অবস্থায় যেখানে ব্যাংকগুলোকে শৃঙ্খলায় আনা দরকার ছিল, সেখানে ব্যাংকের মালিকদের চাপের মুখে আরও ছাড় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ছাড়ের তালিকায় রয়েছে: ১. ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ বা ক্যাশ রিজার্ভ রেসিও (সিআরআর) সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করা, ২. সরকারি আমানতের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বেসরকারি খাতের ব্যাংকে প্রদান, ৩. ঋণ আমানত অনুপাতের সীমা (এডিআর) সমন্বয়ের সময় ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো এবং ৪. বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে প্রদত্ত সুদহার ৬ দশমিক ৭৫ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা। 

উল্লেখ্য, ব্যাংকগুলোর আমানতের সাড়ে ৬ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা রাখার বিধান বলবৎ ছিল। সরকারি আমানতের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার প্রবিধান ছিল। সরকারি আমানতের সংরক্ষণ ছাড়া অন্য সব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নেওয়ার কথা। এসব সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ তাই যথেষ্ট যুক্তিসংগত।

ব্যাংকব্যবস্থা নিয়ে ইদানীং যে আলোচনা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে যেমন যুক্ত, একই সঙ্গে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও জবাবদিহির সঙ্গেও জড়িত। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টেকসই ও শক্তিশালী করা জরুরি। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর পদক্ষেপ আসলে কতটুকু ব্যাংকব্যবস্থার সত্যিকার পরিবর্তনের জন্য এবং কতটুকু নিছকই গোষ্ঠীস্বার্থের জন্য, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর মিললে সংকট নিরসনের পন্থাও বাতলানো সহজতর হতে পারে।

খেলাপি ঋণের বাড়বাড়ন্ত

খেলাপি ঋণসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সাল শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত ঋণের ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এরপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর শেষে মোট ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বা মোট ঋণের প্রায় ১১ শতাংশ। অর্থাৎ বাড়ার অনুপাত ৬ থেকে ১১ শতাংশে। এর সঙ্গে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণের প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা (জুন, ২০১৭ পর্যন্ত)। 

বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে, অবলোপন করা ঋণের পরিমাণও ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপির প্রায় ১৩ শতাংশ। নিয়ম যে ছিল না তা নয়। ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকার ওপরে ঋণ অবলোপনের আগে আদালতে মামলা করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু কাজির গরু কেতাবেই রয়ে যাচ্ছে!

মোট ঋণের তুলনায় খেলাপি ঋণের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারিতে। পার্শ্ববর্তী ভারতের জিডিপির পরিমাণ ২ দশমিক শূন্য ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার)। আর তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৫৪ বিলিয়ন ডলার (১৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার)। অর্থাৎ ভারতের জিডিপির ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ খেলাপি ঋণ।

মূলধন জোগানোর ধাক্কা

খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় সরকারি ব্যাংকগুলো মূলধন-ঘাটতিতে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারি-বেসরকারি মোট নয়টি ব্যাংকের মূলধন-ঘাটতির পরিমাণ ১৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। তাই পুনঃ মূলধনের নামে এ ব্যাংকগুলোকে ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট ১৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা জোগান দিতে হয়েছে, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ করা এডিপির ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ করের টাকা দিয়ে বিসমিল্লাহ, হল-মার্ক, এননটেক্সসহ অন্যান্য ব্যাংক লুটকারীর ভরণপোষণ করা হচ্ছে। বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন। লুটকারীদের যাঁদের জেলে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের আয়েশি জীবনের চিত্র পত্রিকান্তরে দেখা যাচ্ছে। বিচারহীনতা এর চেয়ে বড় কী দৃষ্টান্ত হতে পারে। সেলুকাস আর কী করবে!

কুখ্যাত সেই ১০০ জনের কী হলো? 

কয়েক মাস আগে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দেশের ১০০টি খেলাপি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেন, কিন্তু তাতে সর্বজনবিদিত তারকা খেলাপিদের নাম নেই। যাঁদের নাম থাকা উচিত ছিল, তাঁদের প্রায় সবাই পুনঃ তফসিলীকরণের আড়ালে কিংবা উচ্চ আদালতের আশ্রয়ে থাকায় আইনি বাধ্যবাধকতায় তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন। আগে সাধারণত খেলাপি হলে শুধু ঋণ পুনঃ তফসিল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু বর্তমানে ‘ঋণ পুনর্গঠন’ নামে অনেক বেশি সুবিধা ও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। 

২০১৫ সালে বড় ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বড় অঙ্কের ঋণ পুনর্গঠনের নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে। এ পক্ষপাতমূলক সুবিধার আওতায় ৫০০ কোটি টাকা বা তার বেশি অঙ্কের ঋণেরই শুধু পুনর্গঠন করা যাবে। অর্থাৎ নিয়ম পালনকারী বৈষম্যের স্বীকার হবেন। অন্যদিকে, খেলাপির অনন্ত সুযোগ-সুবিধা! নীতিমালা অনুসারে মেয়াদি ঋণ পুনর্গঠন সর্বোচ্চ ১২ বছরের জন্য। আর তলবি ও চলমান ঋণ পুনর্গঠন হবে ছয় বছরের জন্য। ঋণের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার কম হলে ডাউন পেমেন্ট বা এককালীন জমা দিতে হবে ২ শতাংশ হারে। আর এক হাজার কোটি টাকা ও তার বেশি পরিমাণ ঋণের জন্য এককালীন জমা দিতে হবে ১ শতাংশ হারে। পরিসংখ্যান বলছে, পুনর্গঠন-সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বড় অংশই কিস্তি পরিশোধ করছেন না। ইতিমধ্যেই পুনর্গঠন-সুবিধা পাওয়া অর্ধেকই নতুন করে খেলাপি হয়েছে। ফলে এ সুযোগের কারণে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংক থেকে দেওয়া ঋণের বিপুলাংশ খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে।

নতুন প্রজন্মের ব্যক্তি মালিকানাধীন ফারমার্স ব্যাংক ঋণ বিতরণে অনিয়ম, জালিয়াতি ও লুটপাটে অতীতের যেকোনো ব্যাংক কেলেঙ্কারি-অনিয়মকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৩ সালের জুনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে এরই মধ্যে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৭৭ কোটি টাকা। রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত নতুন ব্যাংকগুলোর অবস্থাও তথৈবচ। ওগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়েছে। পত্রিকান্তরে পরিচালনা পর্ষদের নয়-ছয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ঋণ আমানত অনুপাতের গ্রহণযোগ্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে ১০ ব্যাংকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বেপরোয়া ব্যাংকিংর ফলে আমানতের ৮৫ ভাগেরও বেশি ঋণ দিয়েছে। এতে গোটা ব্যাংক খাতে হঠাৎ করেই বেড়েছে তারল্য চাহিদা। বাড়তে শুরু করেছে ঋণের সুদ হার। এমন বেপরোয়া ব্যাংকিং ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও আগেই সচেতন হওয়া উচিত ছিল।

  • ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • Courtesy: Prothom Alo/ May 03, 2018

বন্দী বেগম জিয়াকে এতো ভয় কেন — আসিফ নজরুল



(বিএনপি কমিউনিকেশন) — সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে কিছু ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। 

তথাকথিত প্রগতিশীল কিছু মানুষ এসব ভুয়া ভিডিও শেয়ার করছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। 

সোমবার সকালে আসিফ নজরুলের ফেসবুক পেইজে দেয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো — 

কারো নামে মিথ্যে এবং বিকৃত সংবাদ পরিবেশনার একটাই মানে আছে। তা হচ্ছে বিকৃত সংবাদ পরিবেশনকারীরা ভয় পায় তাকে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুরোনো ভিডিও থেকে জালিয়াতি করে, নানা জায়গা থেকে বাক্য বা শব্দ জুড়ে দিয়ে তাঁর বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে। সব জেনে বুঝে এগুলো শেয়ার করছে কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল মানুষ। খালেদা জিয়া এখন জেলে বন্দী, বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ। তবু তাকে এতো ভয় কেন? তার সাথে শুদ্ধভাবে লড়া যাবে না বলে? তার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বলে?

কুৎসিত শাজাহান কী করে মন্ত্রী থাকেন?




সড়কে মৃত্যুর মিছিলের বিপরীতে বাস-ট্রাক চালক-শ্রমিকদের যথোপযুক্ত শাস্তির বিপরীতে অবস্থান নেওয়ায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আরণ্যক নাট্যদলের মে দিবসের আয়োজনে যোগ দিয়ে কামাল লোহানীর কণ্ঠে এই ক্ষোভ প্রকাশ পায়।

আরণ্যকের মে দিবসের আলোচনঙসভায় যোগ দিয়ে কামাল লোহানী বলেন, “সড়কে চালকদের যোগ্যতা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, যখন মানুষ মারার অপরাধে তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠে, তখন তার বিপরীতে অবস্থান নেন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলছেন, চালকদের কুকুর –বেড়াল চিনলেই হবে। এই কুৎসিত লোকটি কী করে মন্ত্রী হয়?

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনৈতিক শামীম ওসমানের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, “বাসচালক –শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তিনি এখন সেই টাকার বলে মানুষ কিনে নিচ্ছেন।”

এসময় তিনি জানান, দেশের ‘বহুল প্রচারিত’ একটি পত্রিকায় শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে লেখা পাঠালেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে এসেছে তার কাছে। কামাল লোহানী বলেন, “৬২ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে দেখলাম না কোনোদিন লেখা ফিরে এসেছে। লেখা হয় ছাপা হবে, না হলে তা ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হবে। কোনোদিন ফিরে আসেনি লেখা। আমি সেই বহুল প্রচারিত দৈনিকের এক জনকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘এ নিয়ে আর জিজ্ঞাসা করবেন না’। অর্থের জোর বড় সাংঘাতিক!”

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় সরকার মুক্তবাক, মুক্তকণ্ঠ রোধ করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এসময় তিনি আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনাও করেন।

মে দিবসের আলোচনায় যোগ দিয়ে কামাল লোহানী বলেন, শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্বের পুরোভাগে থাকা ‘বিরাট হৃদয় অগ্নিগর্ভ’ চোখগুলো বন্ধ হয়ে আসছে। পরে তিনি শিশু শ্রমের বিরুদ্ধেও সবাইকে সোচ্চার হতে বলেন।

আরণ্যকের দল প্রধান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদও কামাল লোহানীর মতো নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সমালোচনায় মেতে উঠেন। সড়কে দুর্ঘটনা, ধর্ষণের বিপরীতে দায়ী বাস চালক ও শ্রমিকদের পক্ষ নেওয়ায় তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার দাবিও জানান তিনি।

মামুনুর রশীদ বলেন, “বাংলাদেশের ২ শতাংশ মানুষ ৯৮ শতাংশ রাষ্ট্রীয় সম্পদের মালিক বনে গেছে। উল্টোদিকে বাঙালির মধ্যে এখনও কর্মসংস্কৃতি আসেনি। বাঙালি সেই অলস আর কুঁড়েই থেকে গেছে।”

চলতি সময়ে শ্রমিক আন্দোলনের নেতারা ক্ষমতাসীনের স্তব-স্তুতিতে মুখর থাকার অভিযোগ আনেন নাট্যব্যক্তিত্ব মান্নান হীরা।

তিনি বলেন, “এদেশের যে শ্রমিক শ্রেণি রয়েছে তারা এখন মৃতপ্রায়। শ্রমিক শ্রেণির কণ্ঠে এখন অধিকার আন্দোলনের বিপরীতে শোনা যায় সরকারি প্রচারণা। আন্দোলনের ধ্বনির চেয়ে তাদের কণ্ঠে শোনা যায় শোষকের জয়গান। ট্রেড ইউনিয়নের ম্যানেজমেন্ট এখন শোষকের সঙ্গে আপস করে শ্রমিকদের অন্ধকারে রেখেছে।”

শ্রমিক শ্রেণির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে সংস্কৃতিকর্মীদের সমন্বয়ের পরামর্শ দেন মান্নান হীরা।

Hasina isn’t worthy of receiving Global Women's Leadership Award — Senator Lee Rhiannon



Why is the Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina is  getting the Global Women’s Leadership Award who  has agreed to lowering the age girls for marriege? Asked  Lee Rhiannon, Green  Senator  for New  South Wales, Australia.

It is surprising  to see that the Foreign Minister of Australia hosting  a Prime Minister from a country also committed to the cause of women like the former who has made a breach of the cause by agreeing to marriage of girls under 18 in her country. Bangladesh has the highest rate of child marriage in the world.

A 2012 UNICEF Report noted that two out of three marriages in Bangladesh involve child marriages. 

PM Hasina undermined  the initiative  by agreeing to a law that permits girls under age 18 to allow marriages  under “special circumstances”. Human Rights Watch reports that there is no age limit on the marriage of girls under this exception.  

RAB confesses kidnapping, killing  of people and disposing bodies


In April 2017, Swedish Radio reported on a secretly recorded interview with a senior officer in the Rapid Action Battalion (RAB), a counterterror unit of police and military, who admitted that the force routinely picks up people, kills them and disposes of the bodies.


—   Lee is an Australian Greens Senator for NSW. Lee is the Greens spokesperson for housing, industry, gun control, animal welfare, democracy and local government.

Courtesy — https://www.facebook.com/lee.rhiannon/

Why Dictators Love Development Statistics


They're an easily faked way to score international points.

By ALEX GLADSTEIN/newrepublic.com/ April 26, 2018


Exchanges at the Organization of American States usually don’t do well on YouTube. But when the Honduran Minister of Foreign Affairs brought up Venezuela’s crackdown on dissent last summer, Venezuelan representative Delcy Rodríguez scored surprise points with a rebuttal citing the United Nations’ 2016 Human Development Index, which ranks Venezuela 59 spots higher than Honduras. Crackdown or no crackdown, “Venezuela does not demonstrate such terrifying statistics,” she said, in an exchange that soon went viral on Spanish-speaking social media. It was a win for the Maduro regime, and the key to victory was trusted U.N. data.

For those of us working to advance human rights, such episodes are becoming frustratingly familiar. From the development initiatives of Jeffrey Sachs and Bill Gates, to Tony Blair’s despotic partnerships or Tom Friedman championing Chinese autocracy in The New York Times, the last two decades have seen political concerns repeatedly sidelined by development statistics. The classic defense of dictatorship is that without the messy constraints of free elections, free press, and free protests, autocrats can quickly tear down old cities to build efficient new ones, dam rivers to provide electricity, and lift millions out of poverty.

The problem with using statistics to sing the praises of autocracy is that collecting verifiable data inside closed societies is nearly impossible. From Ethiopia to Kazakhstan, the data that “proves” that an authoritarian regime is doing good is often produced by that very same regime.

A handful of organizations power the global industry of statistics collection, including the World Bank, the United Nations, and the World Economic Forum. Each of these organizations conduct large-scale socio-economic surveys, where researchers want to include as many countries as possible. However, many of these countries—93 of them, comprising nearly 4 billion people, according to the Human Rights Foundation—are ruled by authoritarian regimes that typically block impartial investigators from entering their borders. Often, data collectors are forced to work with the strongmen in charge.

For Bahrain, the World Economic Forum receives most of its data from surveys given to government officials at the Bahrain Economic Development Board, who conduct them and give the results back to Geneva. In WEF’s analysis from that point, outliers may be cast out or excluded with data modeling, but the foundational numbers remain entirely a creation of the dictatorship.

UNESCO representatives say that in the case of Cuba, they use the regime’s education numbers in compiling their reports. There is no on-the-ground verification for these often-encouraging figures. Meanwhile, a former treasury official from Uzbekistan said that visits from international data collectors were highly choreographed, and that the regime was easily able to control survey outcomes.

When surveys don’t go according to plan, dictators can simply shut polling down. Gallup World Poll director Jon Clifton, when I called him up as part of a Human Rights Foundation interview several years ago, recalled a time when the company’s researchers had collected data in one African country, only to have their equipment seized at the airport on the way out.

Still, no one wants blank countries on their world maps. “Ultimately, organizations need to produce some kind of data,” Clifton said. “Even if it’s not terribly good, they still need data.”

But the development reports using such numbers also wind up giving them institutional legitimacy, in ways that can affect huge decisions in aid and trade. World Bank data in particular, as one 2012 study observed, is promoted in media outlets as a reputable guide for global investment, and has inspired reforms as countries seek to climb the rankings. UNESCO’s numbers go into the World Development Report (World Bank) and the Human Development Index (UNDP), where they serve, in UNESCO’s own words, to “benchmark progress towards national and international targets.” The educational components of the Sustainable Development Goals—which guide and inspire do-gooders and impact investors across the planet—are measured with UNESCO data. Statistics flow directly from many dictatorial governments to UNESCO and then into the SDG reports.

Once regime-produced data makes it into the world’s most trusted indexes, authoritarians and their unintentional supporters use these numbers in their propaganda, which hampers efforts to promote human rights.

When Ethiopian prime minister Meles Zenawi died in 2012, Bill Gates led a chorus of Western praise for his development efforts, praising Zenawi for bringing millions out of poverty and ignoring his near-total censorship or his massacre of hundreds of protestors. The Economist and the The New York Review of Books have since pointed out that the Ethiopian regime fabricates development statistics.

Halfway across the globe in Venezuela, the late Hugo Chávez built a global reputation as the people’s president, proudly flaunting statistics showing his administration had reduced poverty by 50 percent. In 2014, Chavismo heir Nicolás Maduro justified his crackdown on dissent—torturing and kidnapping student protesters—in a New York Times op-ed citing data showing that his regime “consistently reduced inequality,” “reduced poverty enormously,” and “improved citizens’ lives over all.” The source of that data? The U.N. Economic Commission for Latin America and the Caribbean, which used Millennium Development Goal data—which came directly from the regime’s own statisticians.

In Azerbaijan, Ilham Aliyev’s dictatorship has used economic growth data to convince the world that it is a thriving, effective government with a robust investment climate. The World Economic Forum, among others, gave the Azeri regime a platform to talk about its financial success—which is used to whitewash crimes ranging from the jailing of dissidents to the theft of billions.

Rwandan dictator Paul Kagame’s human rights violations are legion: the assassination of critical journalists, sponsorship of death squads in the Congolese jungle, the use of international hitmen, and the jailing of political opponents. Despite all this, supporters ranging from Bill Clinton to Jeffrey Sachs breathlessly praise his leadership and economic success. When Kagame “won” 99 percent of the presidential vote a few months ago, the international community was quick to call that political data into question. But Rwanda’s literacy rates, life expectancy, and economic growth numbers continue to be taken at face value.

This near-universal lack of skepticism is hard to explain, especially since the problem isn’t new. In 1987, two Soviet economists published an article called Lukavaya Tsifra(“cunning numbers”) which demonstrated that between 1928 and 1985, the USSR’s GDP had grown over ten times slower than reported by the regime’s Central Statistical Administration. They showed that the regime’s “official” economic data was being falsified to whitewash human suffering.

In 2014, researchers at Bucknell compared satellite images of nighttime lights over time (a proxy for economic activity) to reported GDP growth to show that dictatorships, on average, exaggerate economic growth significantly more than democratic governments. Others have taken up this subject, too­—two examples being development historian Morten Jerven’s Poor Numbers: How We Are Misled by African Development Statisics and What to Do About It and economist Bill Easterly’s The Tyranny of Experts: Economists, Dictators, and the Forgotten Rights of the Poor. But these analyses have not fundamentally changed how people use development data.

When used by universities and research institutions, socio-economic data sets guide our fundamental understanding of the world. When used by policy makers, philanthropists, and bankers, they steer billions of dollars of aid and investment. Often, the reason data from dictators remains unchallenged is that so many economists, financiers, diplomats, and donors rely on it to do their jobs.

But without more rigorous inquiry into the origin and quality of socio-economic data, the grim reality of dictatorship often remains obscured. Beyond that, intellectuals and world leaders might do well reflect on their worship of development numbers over human rights concerns.

After all, even if the data behind the UN’s 17 Sustainable Development Goals could be verified, what do they signify if not a single one mentions the words individual rights, civil liberties, or democracy—even once? Numbers aren’t always as simple or as neutral as they seem.

—   Alex Gladstein is Chief Strategy Officer at the Human Rights Foundation and Vice President of Strategy of the Oslo Freedom Forum.