Search

Tuesday, May 8, 2018

ঢাবি শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মোবাইল ছিনতাই ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগকর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত ওই শিক্ষার্থীর একটি মোবাইলও তারা ছিনতাই করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের (ভিসি চত্বর) সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির আহমেদ রাসেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম যুবায়ের। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাতে যুবায়ের ও তার বন্ধুরা ভিসি চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় বিজয় একাত্তর হলের প্রথম বর্ষের সাদিক, সিফাত, পারভেজসহ আট-দশ শিক্ষার্থী এসে যুবায়েরকে একা ডেকে কথা বলেন। তখন তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী যুবায়েরকে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করে এবং তার মোবাইল ছিনতাই করে চলে যায়। পরে যুবায়েরের বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক সহসম্পাদক রবিউল ইসলাম জানান, বিজয় একাত্তর হলের প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগে থেকেই কোনো একটা ঝামেলা ছিল। সেটিকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফকির আহমেদ রাসেল বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আমি তাদের চিনি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
  • Courtesy: Jugantar /May 08, 2018

Protests to resume as no headway in gazette

QUOTA REFORM

Protesters on Monday threatened to resume protests for reform of the quota system in public service recruitment as no headway was made in the issuance of a gazette notification on abolition of quota in the civil service announced by the prime minister. 

Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad, the platform of the protesting students issued the threat as its ultimatum issued on the government for the gazette notification expired Monday. 

Asked whether there was any headway in the issuance of the gazette notification, cabinet secretary Mohammad Shafiul Alam said that there was no progress. 

The public administration ministry would form a committee to be led by him over the matter as directed by the prime minister, the top civil bureaucrat said at a briefing after the weekly cabinet meeting. 

In the face of protests by students across the country, prime minister Sheikh Hasina announced in parliament on April 11 that the quota system in government jobs would be abolished. Shafiul said that he got no instruction over the issue. 

Platform joint-convener Rashed Khan on Monday told New Age that earlier they postponed their protests after Awami League lawmaker Jahangir Kabir Nanak told them that the government would publish the gazette notification after the return of the prime minister.

Rashed said that now they had no option but to resume the movement again as there was no development in this regard and they would hold a press conference today in front of central library of Dhaka University.

Earlier on April 26, the protesters warned that they would resume agitation if a gazette notification was not published by April. The protesters took to the street on April 8 and continued the protests for five-point demands, including reduction of quota in public service recruitment to 10 per cent from the existing 56 per cent.

The protesters have been on the streets since February for the five-point demands, including recruitment of jobseekers in vacant posts on the basis of merit if eligible candidates were not found under the quota, an end to special recruitment tests for quota candidates and a single age limit for all jobseekers.

Students were on the street as 56 per cent quotas are reserved in government jobs – 30 per cent for freedom fighters’ children and grandchildren, 10 per cent for women, 10 per cent for districts lagging behind, 5 per cent for ethnic minorities and 1 per cent for physically challenged people.

The protesters also demanded withdrawal of cases as at least five cases were filed against unnamed persons with Shahbagh police and Ramna police for violence and vandalising the Dhaka University vice-chancellor’s house on the campus during the agitation against the quota system. 

  • Courtesy: New Age/ May 08 2018

২০০ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগবাটোয়ারা!

নূর মোহাম্মদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কেনার নামে ২০০ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগবাটোয়ারার পাঁয়তারা চলছে। কাগজে কলমে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের কথা বলা হলেও কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এ টেন্ডারে অংশ নেয়নি। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত ও সিন্ডিকেটের ঘরোয়া মাত্র সাতটি প্রতিষ্ঠান এ টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। যাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এর আগে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। দরপত্র জমা দেয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে 

একজনেরই নামে-বেনামে তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সমমনা ব্যক্তিদের। তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ পেলেও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হবে বলে শিক্ষা ভবনে গুঞ্জন রয়েছে। এতে অতীতের মতো এবারও যন্ত্রপাতি কেনার নামে পুকুরচুরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

একই প্রকল্পে এর আগে কেনাকাটা ও যন্ত্রপাতির মান নিয়ে চরম আপত্তি তুলেছিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মনিটরিং বিভাগ (আইএইডি)। আর সম্প্রতি আইসিটি’র মাধ্যমে সারা দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন শীর্ষক ১৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ই-জিপি টেন্ডার করতে বাধ্য করছে সরকার। এ প্রকল্পের পরিচালক মেন্যুয়াল পদ্ধতিতে টেন্ডার করার প্রক্রিয়া শুরু করেও পারেননি। আগে কেনাকাটায় অভিজ্ঞতা থেকে ই-জিপিতে যাওয়া বাধ্য করে সরকার। এরপর থেকেই প্রকল্পের পরিচালকের পথ থেকে প্রফেসর জসিমের সরে যাওয়ার কথা শুনা যাচ্ছে। এ বিতর্কের মধ্যে গতকাল সারা দেশে ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিসহ ১৭টি আইটেমের টেন্ডার সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগবাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা ভবন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের টেন্ডারে শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়ার কথা। এবং অতীতে তাই হয়েছে। কিন্তু এই টেন্ডারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেলো। 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) অধীন ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিতের গবেষণাগারের সামগ্রী ক্রয় করতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের টাকায় প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। 

গত ২২শে মার্চ টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তাতে ইন্টারন্যাশনাল কমপেটেটিভ (আইসিবি) অনুযায়ী পত্র আহ্বানের কথা বলা হয়েছে। পাঁচ লটে ১১৭টি বিজ্ঞান সামগ্রী বিতরণ করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গতকাল ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। দুপুর ২টায় দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল। নির্ধারিত সময়ের পর ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে দরপত্র খোলা হয়। 

এতে দেখা যায়, পরিচিত মুখগুলোর সাতটি প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিয়েছেন। টেন্ডারের অংশ নিতে গিয়ে শিক্ষাভবনে প্রবেশে বাধার মুখে পড়েন আগ্রহী অনেক প্রতিষ্ঠানের অনেকে। এর আগে গতকাল সকাল থেকে শিক্ষা ভবনের পুরানো ঠিকাদারদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। দুপুরের পর চারতলা ও নিচতলায় পুলিশি পাহারা বসানো হয়। এতে শিক্ষাভবনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়। শিক্ষাভবনের সবাইকে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) সঙ্গে রাখার জন্য বলা হয় প্রশাসন শাখা থেকে। 

শিক্ষাভবন সূত্র জানায় যে সাতটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে তাদের স্বত্বাধিকারী ৪ ব্যক্তি। এ ছাড়া এই ব্যক্তিরা দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষা ভবনে সরকারি কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছেন। টেন্ডার নিয়ে তাদের সমর্থকদের মধ্যে শিক্ষাভবনে মারামারি, এমনকি গুলির ঘটনাও ঘটে। সম্প্রতি ই-জিপিতে টেন্ডার হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা কমে এসেছে। 

এ ব্যাপারে পদাধিকার বলে প্রকল্প পরিচালক ও মাউশি অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডার অথচ ই-জিপির ব্যবস্থা নেই, এটা শুনে আমি নিজেও আশ্চর্য হয়েছি। যেহেতু ই-জিপি নেই তাই মেনুয়্যালটি করতে হয়েছে। তারপর আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে এ টেন্ডার করার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া প্রকল্পের কেনাকাটায় একটি কমিটি আছে। তারাই সরকারি ক্রয় আইন (পিপিআর) অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।  কম প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়ার ব্যাপারে তিনি জানেন, বিষয়টি পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।  

আর অধিদপ্তরের ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউম্যান্ট শাখার পরিচালক ও টেন্ডার বাস্তবায়ন কমিটি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারে এখনও ই-জিপি চালু হয়নি। তাই আমরা মেনুয়্যালি টেন্ডারের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, প্রকল্পের পিপিআর’র সকল শর্ত মেনে টেন্ডার করা হয়েছে। এতে সাতটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি ও সেসিপের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কোনো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে তা তিনি বলতে পারেনি। তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক দরপত্র এখন পর্যন্ত ই-জিপিতে দেয়ার ব্যবস্থা নেই। শুধু দেশের মধ্যে টেন্ডার ই-জিপিতে দেয়া হয়।
  • মানবজমিন/মে ৮, ২০১৮  

An anatomy of 'jobless growth' in Bangladesh

Selim Raihan

According to the official statistics, between 2013 and 2016-17, on average, gross domestic product (GDP) in Bangladesh grew annually by 6.6 percent, and there has been a net increase of 2.8 million new jobs on top of the 60.7 million jobs that existed in the economy in 2013. This suggests that the number of jobs grew by only 0.9 percent per annum or less than one-eighth of the rate at which the economy grew during those five years.

“Jobless growth” is a phenomenon when an economy experiences growth without an expansion of jobs. Understanding the “jobless growth” experience entails a closer look at the job statistics. According to the Labour Force Surveys, over the past five years, in the face of a decline in jobs by 1.5 million in agriculture, out of the new jobs created in the economy, the services sector accounted for the bulk 3.9 million of these, and industry contributed only 0.3 million jobs. Between 2013 and 2016-17, annually, jobs in agriculture declined by 1.1 percent against output growth of 3.2 percent; jobs in the industry grew by only 0.5 percent even as output grew by a robust 9.8 percent, while services sector jobs grew by around four percent against output growth of around six percent.

One of the most alarming features is that the manufacturing jobs declined by 0.77 million from 9.53 million in 2013 to 8.76 million in 2016-17 an annual average decline by 1.6 percent, despite a strong output growth of 10.4 percent. While male manufacturing jobs increased by only 0.17 million (from 5.73 million to 5.9 million), female manufacturing jobs saw a big drop by 0.92 million (from 3.78 million to 2.86 million). This suggests that much of the pride of generating female employment in the manufacturing sector over the past few decades in Bangladesh is at stake now.

Less job creation raising poverty

Keeping aside the debate on the validity of such a claim of a robust manufacturing output growth of over 10 percent throughout those years regardless of the sluggish private sector investment and depressed export growth, one can interpret the aforementioned trends as both good news and bad news. On the positive side, one might justify these patterns by emphasising that labour productivity seems to have gone up through technological advancement. According to this argument, over the past five years, it didn't take as much increase in the number of workers to generate eight times more growth in GDP in the economy. 

However, such arguments do not provide any comfort to those who see these numbers as bad news. Keeping aside the questionable claim of such a large increase in labour productivity within a short time span, it is obvious that the economy's rapid growth, which is one of the fastest in the world in recent years, has failed to generate jobs at a large scale, and thus has not been able to translate into the desired reduction in poverty. Consequently, the economy's growth is far from becoming “inclusive growth” as aspired by the government in its national development plans. This has contributed to widening income inequality too in recent years as is evident from the growing Gini index.

There is even more reason for concern. The quality of the new jobs generated is also problematic. A worrying picture is that more than 85 percent of the jobs in 2016-17 were informal which can't be considered as good quality jobs. Also, while male jobs increased by only one million (from 41.2 million in 2013 to 42.2 million in 2016-17), female jobs increased by 1.8 million (from 16.8 million to 18.6 million), and the rise in female jobs has been heavily concentrated in the informal sector. Female jobs in the informal sector increased by 1.9 million, which suggests a drop in female jobs in the formal sector by 0.1 million.

Growth must create jobs

Another big concern is the rise in the share of youth (aged between 15 and 29) “not in employment and not in education or training (NEET)” in the total youth population, which increased from 25.4 percent in 2013 to 29.8 percent in 2016-17. It is important to note here that around one-third of the labour force in Bangladesh comprises of youth, and the unemployment rate among the youth is much higher than the national unemployment rate of around 4.2 percent. 

In 2013, youth unemployment rate was 8.1 percent, which increased to 10.6 percent in 2016-17. All this indicates that the country is far from taking advantage of the phase of demographic dividend that it is passing through.

The aforementioned analysis points to the fact that achieving a high rate of economic growth alone, in terms of a mere increase in the GDP growth rate, should not be treated as a panacea. The quality of growth is important, and in particular, growth must be able to produce jobs and livelihoods for as many people as possible. 

In order to avoid “jobless growth”, the pattern, structure, and strategies of growth have to be revisited. The economic growth momentum needs to be tuned for “meaningful” diversification and structural transformation of the economy where promotion of labour-intensive and high-productivity sectors, both in the farm and non-farm sectors, would be fundamental. This should be coupled with interventions to enhance productivity, jobs, and incomes in traditional and informal activities where there are large pools of surplus labour.

  • Dr Selim Raihan is a professor in the Department of Economics at University of Dhaka and the executive director of South Asian Network on Economic Modeling (SANEM). 

  •  Courtesy: The Daily Star/ May 08, 2018


Rise in violence against children alarming

THAT at least 1,480 children were killed and 1,929 others were raped in the country in five years until 2017, according to a report prepared by the Bangladesh Shishu Adhikar Forum based on newspaper reports, provides yet again a pointer to the sorry state of children rights, on the one hand, and the sustained downslide in law and order, on the other. Child rights activists, as New Age reported on Monday, revealed it on Sunday and expressed concern about what they called an alarming increase in violence against children. They urged the government to attach special importance to completing the trials of the child rights abuse cases within the shortest possible time to prevent the recurrence of such crimes.

In fact, violence against children regardless of their age, sex and class is nothing new. The reasons those murders occurred were family enmity, personal feuds, land disputes and the failure to pay ransom and criminal activities, something that indicates that some social values about keeping at least children off family disputes have also significantly waned.

Regrettably, the staggering number of child victims tends to suggest that law enforcement agencies that have miserably failed to ensure safety and security to public life and property in general have also done so when it comes to children. One can, of course, attribute the negligence of law enforcers about their stipulated duty to the denial of key government functionaries of the ground realities of law and order. 

The criminals also take the advantage of non-enforcement of the relevant laws by law enforcers that have a predilection for lackadaisical approach, especially when it comes to dealing with cases filed by people not belonging to the powerful or influential quarters. As such, children have been exposed to various forms of torture, physical and mental, almost everywhere at home, educational institution or in workplace.

Under the circumstances, the top brass of the home ministry need to come down to earth in the first place and make people responsible for dealing with crimes become serious about rendering their duty. If the government can make the police force accountable, public cooperation, we hope, will not be wanting in stemming further deterioration of the situation. How the police handle the situation and most importantly how the government directs the law enforcement agencies in this regard will have a great bearing on the scene of child abuse.

It will be relevant to note, in this connection, that the Children Act 2013 remains almost ineffective even five years after its enactment, the objective of which was to prevent child rights violation. While the government immediately needs to come out of its slumber over allowing the law at hand to become effective and launch mass awareness programmes in this regard, child rights activists and the saner sections of society must remain watchful about the process of the trial of such grave crimes. 


  • Courtesy: New Age /Editorial/May 08 2018

সরকারি দলের হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় গাজীপুর নির্বাচন স্থগিত — আসিফ নজরুল




গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের ঘটনা উল্লেখ করে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুক বলেছেন, সরকারি দলের হেরে যাওয়ার আশঙ্কার পটভূমিতে গাজীপুর নির্বাচন শেষ মূহূর্তে স্থগিত হলো। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনও একই প্রক্রিয়ায় স্থগিত করাও অসম্ভব নয়। 

সোমবার, মে ৭, রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব বলেন। 

ফেসবুক পোস্টটির পূর্ণপাঠ নিচে তুলে দেয়া হল — 

সরকারি দলের হেরে যাওয়ার আশঙ্কার পটভূমিতে গাজীপুর নির্বাচন শেষ মূহূতে স্থগিত হলো। এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও এভাবে আদালতের মাধ্যমে স্থগিত করা হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
এখন আশংকা হচ্ছে, সংসদ নির্বাচনও হয়তো একই ধরনের প্রক্রিয়ায় বা অন্যভাবে স্থগিত করা হবে। বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে হতে পারে তা!
এদেশে সব সম্ভব এখন।

Monday, May 7, 2018

অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়াচ্ছে দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণ

উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হোক


৭ শতাংশের উপরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আজকাল খুব হইচই হচ্ছে। কেউ কেউ হিসাব করছেন, এ হারে জিডিপি বাড়তে থাকলে বাংলাদেশ আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যেই উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবে। এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে নির্ধারিত প্রাথমিক শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ছোট হলেও এর জনসংখ্যা ১৬ কোটি, তাই মোট আয়ের বিচারে এর জায়গা বিশ্বের অনেক দেশের উপরে থাকবে। 

শুধু মাথাপিছু আয় বা জিডিপির দিকে তাকালে বাংলাদেশের অনগ্রসরতার পুরো চিত্রটি পাওয়া যাবে না। মাথাপিছু আয় একটি গড় হিসাব মাত্র। দেশের দুই কোটি মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, যাদের দৈনিক আয় ১ ডলারের নিচে। সভ্যজগতের উপযুক্ত অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান এ একবিংশ শতাব্দীতে পৌঁছেও তাদের মিলছে না। উপরতলার একটি শ্রেণী প্রবৃদ্ধির সুবিধা উপভোগ করে ফুলেফেঁপে উঠছে।

শহরে প্রকৃত মজুরিহার মোটের ওপর বেড়েছে সত্য, কিন্তু সত্যিকারে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে একেবারে উপরের ভাগে। আর সব থেকে নিচের ভাগে প্রকৃত মজুরি প্রায় বাড়েনি বললেই চলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গেল কয়েক বছরে প্রকৃত মজুরি বাড়েনি। ফলে এ কথা স্পষ্ট, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আলো দেখা গেলেও তা এখন পর্যন্ত মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে আলোকিত করছে, বাকিরা যে তিমিরে ছিল, আজো সেই তিমিরে। ইতিহাস বলছে, দেশে যত উন্নতি ঘটে, তত ছোট হয়ে আসে কৃষিক্ষেত্র। জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে ছোট হয়ে আসে, আবার কর্মসংস্থানের দিক থেকেও গুরুত্ব হারিয়ে ফেলতে থাকে। পশ্চিমের উন্নত দেশগুলোয় কৃষিতে নিযুক্ত শ্রমিকের অনুপাত মোট কর্মসংস্থানের ২-৪ শতাংশের বেশি নয়। 

আমাদের সমস্যাটা এখানেই, আমাদের জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে কৃষির অবদান কমে এলেও মোট শ্রমিকের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এখনো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এর অর্থ হলো, শ্রমিকদের একটি বড় অংশ উন্নয়নের চৌহদ্দির বাইরে কৃষিক্ষেত্রে রয়ে যাচ্ছে, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার নিতান্তই শ্লথ। বস্তুত বাংলাদেশের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির পেছনে বড় অবদান হচ্ছে প্রবাসী আয়ের। এছাড়া আছে গার্মেন্টস ও কৃষি। অনানুষ্ঠানিক খাতের ভূমিকাও কম নয়। অথচ এসব ক্ষেত্রে যুক্ত শ্রমজীবী মানুষের আয় এবং জীবনের নিরাপত্তা দুটিই অনিশ্চিত। দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে প্রকল্প ব্যয় বাড়লে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বড় দেখায়, জিডিপি বাড়ে।

উপযুক্ত শিক্ষা-প্রশিক্ষণ-স্বাস্থ্যসেবা জুগিয়ে দেশের পিছিয়ে পড়াদের নতুন পরিবর্তনের উপযোগী করে তুলতে হবে। সে দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা যদি অর্থনীতির সব দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রের হাতে ছেড়ে দিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে বসে থাকি, তাহলে কিছুই বদলাবে না। 

কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক বা আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে অর্থনীতির সুফল ভোগ করে যাবে, যেমন অতীতে হয়েছে, আর বাকিদের বিশেষ করে গরিবদের অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে যাবে— সে স্থবিরতা আমাদের কাম্য নয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ভালো হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, কৃষক-শ্রমিকের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। 

নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ভালো হওয়া মানে দেশের বেশির ভাগ মানুষের কল্যাণ হচ্ছে— এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। সম্প্রতি দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত এক সেমিনারে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির পেছনে উচ্চমাত্রায় দুর্নীতি ও অস্বাভাবিক হারে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে।

জনগণের জীবনমান উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায় বৈষম্য। যেসব নীতি ও ব্যবস্থার ফলে সমাজে বৈষম্য কমে আসতে পারে, তা কখনো বাস্তবায়িত হয়নি। যেমন— সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, শহর ও গ্রামের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনা। সর্বব্যাপী দুর্নীতি বৈষম্যকে আরো প্রকট করেছে। এসব নিয়ে সরকারি, বেসরকারি, জাতীয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। 

অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে যেতে পারে, দারিদ্র্য বিমোচনের গতি রুদ্ধ না হলেও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা এবং সর্বোপরি সামাজিক সংহতি ও শান্তি বিনষ্ট হতে পারে। এসব কারণে সব পর্যায়ের কর্তৃপক্ষকে সচেতন হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন বৈষম্যের লাগাম টেনে ধরা যায়। সেক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন ভাবনায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

  • Courtesy: Editorial/ BanikBarta/ May 07, 2018

নির্বাচন ও ভোটমুখী প্রকল্প

নির্বাচন কমিশনের সচেতন হওয়া উচিত

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল ও তার সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে ভোটার আকর্ষণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করা শুধু অশোভন ও অন্যায্যই নয়, সুস্থ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকরও বটে। কারণ, এর ফলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সব প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য সমান সুযোগ ব্যাহত হয়, যা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারকে সে পথেই এগোতে দেখা যাচ্ছে।

এই নির্বাচনী বছরে সাংসদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ইত্যাদি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে তিনটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এসবের পেছনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১৬ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। জানা গেছে, এ রকমের আরও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সাংসদদের কাজ মূলত আইন প্রণয়ন করা এবং সরকারি কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করা; স্কুল-কলেজ ইত্যাদি নির্মাণ করা নয়। নির্বাচনী বছরে এসব প্রকল্প হাতে নেওয়ায় এটা খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য।

এবং উদ্দেশ্যটা বেশি স্পষ্ট হচ্ছে আরও দুটি খবর থেকে।

প্রথমটি হলো, সড়ক ও নালা নির্মাণের জন্য ২৮১টি পৌরসভাকে দেওয়া হচ্ছে মোট ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতিটি পৌরসভাকে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়েও একটা অস্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প নামে চলমান একটি প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার আট মাস আগেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করা হয়েছে প্রায় তিন গুণ ব্যয় বাড়িয়ে। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, পৌরসভাগুলোর উন্নয়নকাজের সঙ্গে রাজনীতি বা জাতীয় নির্বাচনে ভোটার আকর্ষণের সম্পর্ক কী। এর সরল উত্তর হলো, পৌরসভার মেয়রদের ওপর স্থানীয় সাংসদদের প্রভাব থাকে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে এ ধরনের প্রকল্প তাঁদের জন্য সুবিধার কারণ হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার আগেই তাড়াহুড়ো করে দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করার যুক্তি নির্বাচনের আগে ভোটারদের খুশি করা ছাড়া আর কী হতে পারে?

দ্বিতীয় খবরটি রীতিমতো তুঘলকি কাণ্ড: প্রায় ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জনগণের সামনে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাফল্যগাথা প্রচার করার উদ্দেশ্যে! সরকারের সাফল্য প্রচারের জন্য রাষ্ট্রীয় বেতার-টেলিভিশনের নিরন্তর প্রচারণা ক্ষমতাসীনদের কাছে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। তাই এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ অধিদপ্তরকে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিতে হলো: দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, সংগীতানুষ্ঠান, নারী সমাবেশ ইত্যাদি নানা কর্মসূচি চালানো হবে; সেসব কর্মসূচি যাঁরা উপভোগ করতে যাবেন, তাঁদের আপ্যায়নও করা হবে। এসব প্রচারণা অভিযানের পেছনে ব্যয় করা হবে সরকারি তহবিল, অর্থাৎ জনগণের টাকা।

নির্বাচনের বছরে ক্ষমতাসীনেরা ভোটারদের মন জয় করার উদ্দেশ্যে তাঁদের ইচ্ছেমতো প্রচারাভিযান চালাতেই পারেন। তবে তা করা উচিত ক্ষমতাসীন দলের তহবিল খরচ করে; এ ধরনের কাজে ব্যয় করার জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ প্রদানের নৈতিক অধিকার সরকারের নেই। কারণ, এভাবে নির্বাচনী প্রচারণা পরিবেশে অসমতার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মতো হাতিয়ার থাকার পরও সরকারের সাফল্যের প্রচারণায় যোগাযোগ অধিদপ্তরের ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প জনস্বার্থের বিবেচনায় আপত্তিকর।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। উল্লিখিত সরকারি উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।  
  • প্রথম আলো/সম্পাদকীয়/মে ৭,২০১৮

ব্যাংক লুট করতে লুটকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার - তৈমুর


দেশে ব্যাংক লুট এবং জনগণের টাকা লুট করার জন্য এই সরকার যে সুযোগ করে দিছে, বিগত সময়ে এরকম সুযোগ আর কোনো সরকার করে দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

এক টিভি সাক্ষাতকারে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে ধনী দিন দিন ধনী হচ্ছে আর গরিব দিন দিন গরিব হচ্ছে। এদেশে গরিবের সংখ্যাই বাড়ছে। হয়তো এভারেজ দেখাতে পারেন গরিবের সংখ্যা কম, তবে কাগজে-কলমের সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। তাছাড়া বেসিক ব্যাংকের টাকা লুট হলো এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের টাকাও চলে গেলো আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

তৈমুর আলম বলেন, এরশাদ সাহেব বলেছেন, ঘরে থাকলে গুম আর বাইরে গেলে খুন। এই কথাটা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না। তাই সকলের ভুলত্রুটিকে ফেলে আমাদের এমন একটি অবস্থান তৈরি করে যেতে হবে, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে।

তিনি আরও বলেন, এখন আওয়ামী লীগ বলে, আমরা যদি পুনরায় আবার ক্ষমতায় না যেতে পারি, তবে এ দেশ রোহিঙ্গা হয়ে যাবে। এটা পত্রিকার ভাষা। তাই এর অর্থ হলো যে কোনোভাবে হোক, যে পদ্ধতিতে হোক তাদের আবার ক্ষমতায় যেতে হবে। তাই সেখানে নির্বাচনটা একটা বাহানা। শুধু জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগইতো এই দেশ না। সঞ্চালক মহোদয় একটা আইডিয়া দিয়েছিলেন, জাতীয় পার্টিতো সকাল-বিকাল কথাই বলেন এবং সকালে যে কথা বলেন বিকেলে সে কথা ঠিক থাকে কিনা। এটা পরিস্থিতি অনুযায়ী হয়তো তারা বলেন। কিন্তু জনগণকেতো তাদের একটা আস্থায় আনতে হবে। তবে সরকার চাইলে জনগণকে আস্থায় না জোর করে থাকতে পারে। কারণ পৃথিবীতে অনেক স্বৈরাচার অনেক সময় জোর করে ছিল। কিন্তু জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারিনি।

  • সূত্র : চ্যানেল আই/ মে ৭,২০১৮ 

Killings in Hills: Justice elusive, all along

FM Mizanur Rahaman

The conflicts among different political groups in the Chittagong Hill Tracts over establishing supremacy have left an estimated 600 people killed since signing of the CHT Peace Accord in 1997.

But no trial has taken place till date over those murders while the feuding groups keep pointing fingers at one another contributing to unrest in the hills and obstructing the peace process. 

Queried why the families of the victims did not see the light of justice, police and lawyers maintain that those cases remained incomplete for lack of witnesses or non cooperation from plaintiffs.

According to different political organisations in the CHT, more than 600 people, including political leaders and public representatives, were killed as a result of political rivalry in the last 21 years in the three hill districts -- Rangamati, Khagrachhari and Bandarban.

Over the last six months, at least 17 people were reportedly killed in Khagrachhari and Rangamati. Of the victims, nine were from UPDF, two from PCJSS-MN Larma, four from UPDF (Democratic) and one was a UPDF supporter.

Besides, many others became victims of abduction or enforced disappearance.

Mithun Chakma, an organiser of United People's Democratic Front (UPDF), was going home after appearing in court around noon on January 3, 2018. Some armed youths picked him up as he reached in front of his house in Aparna Chowdhury Para of Khagrachhari town.

While being taken away on a three-wheeler, he tried to escape but was shot dead in the busy Sluice Gate area.

UPDF, which was formed opposing the CHT Peace Accord in 1997, blamed its rival groups UPDF (Democratic) and PCJSS-MN Larma for the murder.

Six days later, Mithun's cousin Bikash Chakma filed a case with a court over the murder as police were reluctant to accept it. After the hearing, the court ordered police to register the case.

Some 17 people including leaders of PCJSS-MN Larma and UPDF (Democratic) were named as the accused. PCJSS-MN Larma held a press conference on January 11 and said this case was false and motivated, and demanded its withdrawal. Nobody has been arrested over the killing till now.

Shahadat Hossain Tito, Khagrachhari Police Station's officer-in-charge, told The Daily Star, “After filing of the case, police began investigation.” However, there is no visible headway so far, he added.

Locals say had the law enforcers taken proper action following the murder of Mithun Chakma, other killings could have been averted afterwards.

'CULTURE OF IMPUNITY'

Goutam Dewan, chairperson of Nagorik Committee of Rangamati, told this newspaper, “Armed conflict is nothing new in the CHT. But there is a culture of impunity because of negligence by law enforcement agencies and the frightening situation for the victims' families.”

He added, “The government should take steps to ensure justice for the victims and take immediate measures to restore peace in the hills.”

Rejecting the allegation of negligence, Chittagong Range DIG Md Abul Fayaz said police get into action after every incident. “But if the victims' family doesn't want to file a case or cooperate with us, how can be the perpetrators brought the book?

“If the victim's family does not want to file a case, police become the plaintiff and start investigation. But it gets difficult to find witnesses, which prolongs the investigation.

“Due to non-cooperation from plaintiffs, especially the members of victim's family, circumstantial evidence is hard to get.” He added, “It is not like that all the perpetrators are going unpunished but the number would be very low.”

Mentioning the killing of Naniarchar Upazila Parishad chairman Shaktiman Chakma on Thursday, the DIG said, “Police asked Shaktiman's wife to file a case but she refused to become the plaintiff.”

Rangamati Bar Association President Rafiqul Islam, also the public prosecutor, said, “In this type of cases, no witnesses are found. Police just have to submit final report due to the lack of witnesses and circumstantial evidence.”

He added, “Investigators need witnesses to solve a case. If there is no witness, there is no charge-sheet.”

Referring to some killings in Rangamati, he said, “The CID investigated some cases but failed to submit charge-sheets.”

“Besides,” the lawyer observed, “after any incident of killing, the victim's family members get panicked and worry over their security. So, they do not want to file any case.”

Jonok Bala, mother of Sujan Chakma, one of the five who were killed in a gun attack on Friday, told The Daily Star that they were not willing to file any case. “We have been receiving threats and feeling insecure.”

Tujim Chakma, a central member of UPDF (Democratic), said, “We think the administration does not discharge their duties properly and take any action despite a series of killings.”

Niran Chakma, member of publicity cell of UPDF led by Prasit Bikash Khisa, said, “After the killing of our men, we have seen that there is no breakthrough in investigation into the cases.

“The families also don't want to file cases fearing police harassment and complicated procedures.”

  • Courtesy: The Daily Star/May 07, 2018