Search

Wednesday, May 9, 2018

‘ভাঙচুর’ হওয়া গাড়ি টঙ্গী থানায় অক্ষত, আসামি ১০৩!

  • মামলার এজাহারে একটি ভাঙচুর হওয়া লেগুনা জব্দের তথ্য।
  • তবে গাড়িটি অক্ষত পড়ে আছে থানায়।
  • পুলিশ বলছে, লেগুনা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে।
  • মালিক ও চালক বলছেন, কিছুই হয়নি।
  • ১০৩ আসামির ৪৮ জন বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য।

যে লেগুনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ গাজীপুর বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে, সেটি অক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে টঙ্গী থানার প্রাঙ্গণে। আর মামলার আসামিদের অধিকাংশই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের নিকটাত্মীয় ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তি।

বিএনপি বলছে, তাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে পুলিশ এই মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বেছে বেছে নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত নেতাদের আসামি করেছে, যাতে পরে নির্বাচন হলেও ফাঁকা মাঠের সুবিধা নিতে পারে সরকারি দল।

রোববার আদালতের নির্দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ হাসান সরকারের বাড়ির আশপাশে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ ১৩ জনকে আটক করে। ছয় ঘণ্টা পর নোমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১২ জনসহ ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে পরদিন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে টঙ্গী থানায় মামলা করে পুলিশ। এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামি আছে আরও এক শ থেকে দেড় শ জন। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৪৮ জনই বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আছেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ইচ্ছা করেই পুলিশ এ ধরনের মামলা করে থাকে। আসামিদের হয়রানি করা হবে, টাকা আদায় করা হবে। পরে নির্বাচন হলেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পালিয়ে থাকতে হবে। এই মামলায় যে ঘটনাস্থল উল্লেখ করা হয়, সেটাও হাসান সরকারের বাড়ি থেকে কয়েক শ গজ দূরে ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্টার হেভেন রেস্তোরাঁর সামনে। ঘটনার সময় বলা হয়, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা, আর মামলা দায়ের হয় সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে একটি লেগুনা গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৬০৮০), কাচের টুকরা ও ১০টি ইটের টুকরা। মামলায় বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও এক শ থেকে দেড় শ নেতা-কর্মী পুলিশ দেখে পালিয়ে যান। তাঁরা একটি লেগুনা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন।

কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা গাড়িটি অক্ষত অবস্থায় থানায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাতে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগেরও কোনো আলামত দেখা যায়নি। লেগুনার ভেতরে বসে ছিলেন গাড়িটির মালিক গাজীপুরের কামারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আলামিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ৬ মে (রোববার) বেলা পৌনে তিনটায় লেগুনাটি রিক্যুইজিশন করে পুলিশ। সাড়ে চারটার দিকে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকা থেকে তিন-চারজনকে আটক করে ওই গাড়িতে তোলা হয়। থানার দিকে যাওয়ার পথে গাড়ি নষ্ট হওয়ায় পুলিশ অন্য গাড়ি নিয়ে চলে যায়। গাড়িটি ঠিক করে ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে থানার সামনে থেকে আবার আটক করে গাড়িটি থানার ভেতরে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রথম আলোর কাছে একই বিবরণ দিয়েছেন গাড়িটির চালক রকিবও। গাড়িটিতে আগুন দেওয়া বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেন তাঁরা দুজন।

মামলায় আসামিদের মধ্যে আছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কাজী ছাইয়েদুল আলম, বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গণমাধ্যম কর্মকর্তা মাজহারুল আলম, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ইজাদুর রহমান। আসামি করা হয়েছে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের চার চাচাতো ভাই সালাহ উদ্দিন সরকার, পাপ্পু সরকার, নকিব উদ্দিন সরকার ও অপু সরকারকেও। সালাহ উদ্দিন সরকার টঙ্গী অঞ্চলের বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক। হাসান সরকারের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মামুন সরকার, ফুফাতো ভাই টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক বশির ও মামাতো ভাই নবীনও আসামি।

এ ছাড়া ৭ থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড মিলিয়ে কোনাবাড়ী ইউনিটের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস সরকার, ১৯ থেকে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড মিলিয়ে কাউনতিয়া ইউনিটের দায়িত্বে থাকা নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, ১৩ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সুরুজ, ২৩ থেকে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড মিলিয়ে গাছা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা হাজি সামাদ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নাসির উদ্দিনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক কাউন্সিলর, বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।

হাসান উদ্দিন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবর পেয়ে ওই দিন তাঁর বাড়ি ও কলেজগেট এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন নেতা-কর্মীরা। কিন্তু কোনো ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘আমাকে কর্মী-সমর্থকশূন্য করে খালি মাঠে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে গণগ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’

এই মামলার বিষয়ে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, কাউকে হয়রানির জন্য নয়, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মামলা করা হয়েছে। থানা থেকে লেগুনাটি ছাড়িয়ে নিতে তার মালিক মিথ্যা কথা বলছেন।

মামলার এজাহারে তথ্যের গরমিল আছে। সালাহ উদ্দিন সরকার ও তাঁর ভাতিজা মামুন সরকারকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের দুজনের পিতার নাম একই লেখা হয়েছে। আসামির তালিকায় আছেন কাশিমপুর এলাকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সরকার। আসামির তালিকায় আছেন ‘মিসেস শওকত’ নামে একজন। যদিও শওকত হোসেনের স্ত্রী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসল্লি, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হান্নান মিয়া, কাউন্সিলর সবদের হাসান ও সফি উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের মুফতি নাসির উদ্দিন, মুফতি মাসুদ, কোনাবাড়ী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ইদ্রিস আলীসহ টঙ্গী ও গাজীপুরের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও আছেন আসামির তালিকায়।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সরকার বিএনপির জনসমর্থন দেখে হতভম্ব ও ভীত হয়ে পড়েছে।

সিটি নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর হতাশ ভোটার ও প্রার্থীরা। আর হতাশার পাশাপাশি আতঙ্ক যোগ হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। আটক হওয়ার ভয়ে আছেন অনেকে। গাজীপুরের ভোটারদের মধ্যেও মামলাটি এখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশে বহু বছর ধরেই বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ হচ্ছে। বিভিন্ন সময় হাইকোর্টের রায়েও এটি প্রতিফলিত হয়েছে। রাজনীতির মাঠে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ নিঃসন্দেহে আইনটির নগ্নতা প্রদর্শন ও অপব্যবহার।’ তিনি বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা এ ধরনের মামলাকে নির্বাচনে পরাজয় ঠেকানোর কৌশল হিসেবে দেখতে পারে জনগণ।

  • ProthomAlo/09 may 2018

BB eases rules allowing 4 SCBs to inject Tk 660cr to Farmers Bank

Bangladesh Bank on Tuesday waived three provisions of the bank company act for allowing four state-run commercial banks (SCBs) to inject Tk 660 crore as equity into the scam-hit Farmers Bank and go into the bank’s board.

BB took the move under the government initiative to revive the Farmers Bank that has been suffering from intense liquidity crisis followed by distrust of its customers because of loan scams.

Under the move, Sonali, Janata, Agrani and Rupali would purchase shares worth Tk 165 crore each of Farmers Bank totaling Tk 660 crore, while the Investment Corporation of Bangladesh would purchase Tk 55 crore shares of the entity.

A BB order issued by its governor Fazle Kabir said that Sonali, Janata, Agrani and Rupali banks were exempted from complying section 14 (a) and 26 (a) under section 121 of Bank Company Act, 1991 allowing the bank to invest into the Farmers Bank.

BB also waived 23(1) (a) of the act allowing managing directors/directors of the four state run banks be appointed as the director of Farmers Bank. BB officials said that as an NBFI, ICB could directly invest in the Farmers Bank and hold director post of any bank. 

Following by huge irregularities by the owners of the bank, Farmers has gone through reshuffle in last few months with the ouster of its former chairman Muhiuddin Khan Alamgir, an Awami League lawmaker, and ex-chairman of its executive committee Mahabubul Haque Chisty. Two director of the bank also resigned after the BB asked them to quit over their alleged involvement in loan scams.

Deposit in the bank stands at around Tk 4,449 crore against Tk 5,151 crore loans, reflecting sorrow state of the entity with almost no cash in the bank’s coffer.

A number of depositors have filed complaints with the central bank after the sinking bank failed to repay them Tk 852 crore of deposits. Due to cash crunch, Farmers Bank has been failing to keep mandatory provisioning.

Finance minister AMA Muhith, however, for a number of occasions have stated that he would take initiative so that the bank keeps running. But his move to inject money from the state-run bank has been criticised by banking experts who recommended for merging the troubled bank with other banks.

  • Courtesy: NewAge / May 08, 2018

ব্যাংকঋণের ৫৭.৫% বড় গ্রাহকদের কাছে

বিআইবিএমের গবেষণা

অল্প কিছু বড় গ্রাহকের কাছে জিম্মি হয়ে আছে দেশের ব্যাংকিং খাত। এসব গ্রাহকের ভালো-মন্দের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে দেশের অনেক ব্যাংকের ভাগ্যও। ঝুঁকিপূর্ণ এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উৎপাদনমুখী এসএমই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে এলেও ঋণ দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলো এখনো বড় গ্রাহকদের পেছনেই ছুটছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা বলছে, দেশের ব্যাংকিং খাতে বিতরণকৃত মোট ঋণের প্রায় সাড়ে ৫৭ শতাংশই বড় ঋণ।

গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ক্রেডিট অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় বিআইবিএমের এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ৪০ শতাংশ, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৬৫, বিশেষায়িত ব্যাংকের ৪৭ ও বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৭৩ শতাংশ ঋণ ‘বড় ঋণ’ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালেও ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ৫৮ শতাংশ ছিল বড় ঋণ।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী এবং এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহমুদ হোসেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালাটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী অফিসের কর্মকর্তা ও রাজশাহীর সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী অফিসের দুই মহাব্যবস্থাপক নুরুন নাহার ও এএফএম শাহীনুল ইসলাম।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিআইবিএমের অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন— বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা, বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র পণ্ডিত, বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা রহমান, বিআইবিএমের প্রভাষক সাদমিনা আমির ও জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন। অনুষ্ঠানের ইন্টারনেট পার্টনার ছিল ‘আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড’।

কর্মশালা উদ্বোধন করে ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, ব্যাংকঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময়ই সজাগ রয়েছে। এর পরও খেলাপি ঋণসহ বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক অনিয়ম বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ কমাতে বেশ কয়েকটি পদেক্ষপ নিয়েছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী বলেন, ক্রেডিট ডিপোজিট রেশিও, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগসীমা ও বড় ঋণের বিষয়ে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একই সঙ্গে ঋণের গুণগত মানোন্নয়নের বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, নৈতিকতাসম্পন্ন লোকের অভাব নেই। কিন্তু তারা যথার্থ মূল্যায়িত হয় না। বরং যারা নৈতিকতার সঙ্গে সমঝোতা করে, তারাই পেশাগত দিক থেকে এগিয়ে গেছে, যা ব্যাংকিং খাতের জন্য সুখকর নয়।

অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, গ্রামের মানুষ ঋণ কম পাচ্ছে। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কম হচ্ছে। সুতরাং কীভাবে সবাইকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের চিন্তা করতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় ঋণ দিচ্ছে। আবার একইভাবে নির্দিষ্ট লোককে ঋণ দিচ্ছে। ব্যাংকের ঋণ খেলাপি রেখে বিভিন্ন দেশে অনেকে বিজনেস ক্লাসে ঘুরে বেড়ায়। গ্রাহকদের মানসিকতার পরিবর্তন হলে কোনো ঋণ খেলাপি হবে না।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, কিছু ধূর্ত লোক একই সম্পত্তি বারবার দেখিয়ে ঋণ নেয়। এ নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সিআইবির মতো পর্যায়ে যায়নি। বিষয়টিতে এখন নজর দেয়ার সময় এসেছে।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ঋণ দেয়ার আগে গ্রাহকদের ছয় মাসের ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখতে হবে। খেলাপি ঋণ মনিটরিংয়ে ডাটা ব্যাংক করতে হবে। গৃহঋণের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা আইনজীবীরা জমিসংক্রান্ত অনেক তথ্য দেন, যা সঠিক নয়। অবশ্যই সরেজমিন পরিদর্শন করে ঋণ দিতে হবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী বলেন, ব্যাংক জনগণের অর্থ অন্যদের ঋণ দেয়। এ কারণে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। ঋণ নিয়ে গ্রাহকরা কারখানা গড়ছে, নাকি দামি পাজেরো জিপ কিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা নজরদারি করতে হবে ব্যাংককে।

এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন বলেন, সব ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমানোর চেষ্টা করছে। তবে গুণগত মানের উন্নতি হচ্ছে না। এজন্য ব্যাংকঋণের বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করতে হবে। ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি বিআইবিএমের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব ঋণ আদায়ে আরো শক্তিশালী আইন প্রণয়ন, প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

  • Courtesy: BanikBarta /May 09, 2018

গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি পিছিয়েছে আপিল বিভাগ। শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

নির্বাচন স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে গাজীপুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের করা আপিলের শুনানি হওয়ার কথা ছিল আজ।

ইসির আইনজীবী ওবায়দুর রহমান মোস্তফা আদালতকে বলেন, গাজীপুরের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল করবে। এর পরই শুনানি এক দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ। আপিল আবেদনে দেরির কারণ জানতে চাইলে ইসির আইনজীবী আদালতকে বলেন, গতকাল তাকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আজ আপিল করবেন।

এর পরই প্রধান বিচারপতি জানান, সবগুলো আপিলের শুনানি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।

গত রোববার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

রিট আবেদনে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনকে অবহিত না করেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ৪ মার্চ ওই ইউনিয়নের চারটি মৌজাকে গাজীপুর সিটির আওতাভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

  • Courtesy: The Daily Star /Bangla /May 09,2018

Bangladeshi consumers spend 70% more than int’l market for high tariff: PRI


Bangladeshi consumers spend 70 percent more than international markets to buy imported and import substitute products due to high tariff protection, Policy Research Institute said today (Monday).

Average tariff rate in Bangladesh is 25.64 percent, which is much higher than other countries, Zaidi Sattar, chairman of PRI, said at a discussion in Dhaka.

The consumers in Bangladesh paid about $14.2 billion more than the international prices of imports and import substitutes in fiscal year 2017 which is 5.7 percent of GDP in the fiscal year, according to a study of PRI.

That is why Dhaka is called one of the most expensive cities, the PRI further said.

Prime Minister's Economic Affairs Adviser Mashiur Rahman and Consumers Association of Bangladesh President Ghulam Rahman, among others, were present at the event. 

  • Curtesy: The Daily Star/ May 09, 2018

Tuesday, May 8, 2018

Case against ex-PM Khaleda Zia lacks admissible evidence: Lord Alex Carlile


BY ET BUREAU | MAY 07, 2018, 06.40 PM IST


Zia, twice PM of Bangladesh, was sentenced on February 8 to five years' imprisonment over her alleged embezzlement of funds meant for the Zia Orphanage Trust.

NEW DELHI: The case against former Bangladesh PM Khaleda Zia lacks admissible evidence and this may be a play to keep her away from the elections, alleged her lawyer Lord Alex Carlile. 

“I have seen no admissible evidence against my client, and it is the election year. If she is kept in custody, she will be prevented from leading her party in the election,” Lord Carlile said from London while commenting ahead of next hearing of the case on Tuesday. 

“I can think of no other reason for bringing a case with no admissible evidence against the accused,” the senior lawyer said when asked if the case has been framed keeping in mind general elections in Bangladesh. 

Lord Carlile was of opinion that Zia could be acquitted if the judicial process becomes fair. 

“He is not my client, and it would be professionally improper to comment on another person's case. in general terms, the case looks extremely weak all round,” the senior lawyer said when asked about his views on charges against Tarique Rahman. 

Zia, twice PM of Bangladesh, was sentenced on February 8 to five years' imprisonment over her alleged embezzlement of funds meant for the Zia Orphanage Trust. 

The court also convicted Tarique Rahman and four others of corruption, sentencing each to 10 years in jail. The six were accused of embezzling over $252,000 of a donation to the trust. 

The Bangladesh Supreme Court is likely to hold hearing tomorrow on the appeals filed against the High Court order that granted bail to BNP Chairperson Khaleda Zia in Zia Orphanage Trust corruption case. 
Courtesy — The Economic Times

Fear of land grabbing mounts as private zones proliferate

Focus on SEZs-III 


The Bangladesh Economic Zones Authority (BEZA) is unlikely to give permission to establish small private economic zones anymore as it considers bringing utilities to a large number of tiny sites is both expensive and unviable.

Insiders say that many small private zones approved so far have been facing a host of complexities over taking lease of 'khas' lands and holding possession of lands without proper titles.

The AK Khan Private Economic Zone, located at Palash in Narsingdi district on 200 acres of land, got the first primary licence but it has not got the final one from the BEZA due to land-related complexities.

Still, some other private economic zones have successfully developed their land pumping a large amount of cash into their allocated zones, BEZA officials told the FE.

They said that the authorities have so far approved some 17 private economic zones under the private economic zone policy. Some six private zones got the final licence after their satisfactory on-site and other developments.

"We decided, in principle, not to allow private zones anymore because monitoring small-scale industries and providing necessary utilities to those are proving to be difficult and unviable," said BEZA executive chairman Paban Chowdhury.

He also said small-sized zones do not maintain the economy of scale and, thus, fail to compete with other clusters. He, however, said his office would consider private zones having land area of, at least, 100 acres.

On the other hand, people at the private zones told the FE that they are in favour of establishing private zones as the BEZA provides many fiscal and non-fiscal benefits. They also said that there are some khas lands and other lands lacking proper titles in private zones.

The government has leased out khas lands in favour of private zones by maintaining proper procedures. BEZA offers eight types of incentives and benefits, including exempting the industrial units established in such zones from paying tax on their income for a period of 10 years.

Exemption from Value Added Tax (VAT) on the electricity and local purchase is another fiscal incentive. The land development in most of the private zones, however, progressed and some even started production.

Meghna Group of Industries, a local business conglomerate, has established two private economic zones in Sonargaon area in Narayanganj. It has invested around US$ 650 million in two zones spreading over 359 acres of land combined.

Suman Chandra Bhowmik, a deputy general manager who is involved with the project of the Meghna Group of Industries, told the FE that besides foreign investment, the company built some of its own factories. "We're now negotiating with four entrepreneurs from European and North American counties," he said.

Robiul Alam, executive director at Aman Economic Zone, said his company has developed its 150 acres of land so far. "Our total investment so far is worth over $363 million including that on the factory," he said. But full utilisation will take time as some started their own manufacturing units. Many will start negotiations with the foreign investors.

But a number of economists fear about land grabbing as zone developers purchase agricultural lands randomly. They said the world's best practice is to develop economic zones on barren and non-crop lands.

Ahsan H Mansur, executive director at the think-tank Policy Research Institute of Bangladesh (PRI), told the FE that there is a need for strong guidelines stating specific deadline to construct factory by land owners to avoid the misuse of lands they belong to.

"There are many business groups who always look for opportunities to grab lands and the BEZA must be careful about this issue." "Stay away from the land grabbers," he warned. Such fear came from the private sector as well.

President of the India Bangladesh Chamber of Commerce and Industry (IBCCI) Abdul Matlub Ahmad suggested time-bound land allocation to the interested investors to ensure proper use of land resources, which are scarce.

"Look at the BSCIC (Bangladesh Small and Cottage Industries Corporation). It was formed decades ago and promised of vast scale of industrialisation around the country but the concept failed as 80 per cent of its areas was misused by allottees. So the same thing could happen with the BEZA," he said.

He said the BEZA should strictly monitor the development activities of land holders in the zones to avert the possibility of land grabbing.

President of the Dhaka Chamber of Commerce and Industry (DCCI) Abul Kasem Khan told the FE that the government should handle this in a way so that the misuse of land resources could be avoided. "I think, the government must be aware of it (land grabbing) and go for scrutiny before it chooses any developer," he said.

  • Courtesy: The Financial Express /May 08, 2018

Court defers Eskaton double murder verdict

A Dhaka court on Tuesday deferred the announcement of its judgement in the New Eskaton double murder case filed against Bakhtiar Alam Rony, son of ruling Awami League lawmaker Pinu Khan.

Judge Md Al Mamun of Additional Metropolitan Sessions Judge's Court No. 1 said the court will hear arguments again on its suo moto power.

The fresh date for the hearing will be announced later, the judge said.

On April 13 in 2015, Bakhtiar Alam Rony, said to be a drug addict and high on narcotics, opened fire on people indiscriminately near Janakantha Bhaban in New Eskaton area from his car, leaving two people rickshaw-puller Abdul Hakim and Janakantha's auto-rickshaw driver Yakub injured with bullets.

Hakim succumbed to his injuries at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) on April 15 while Yeakub died at the hospital on April 23.

On April 15, a case was filed with Ramna Police Station against unidentified people in this connection.

On June 1, law enforces arrested Rony from his Dhanmondi residence in connection with the firing. Detective Branch Sub-Inspector Dipak Kumar Das charged Rony in court on July 21, 2015 after investigating the case.

Judge Shamsunnahar of Additional Metropolitan Sessions Judge's Court No. 2 framed charges against Rony on March 6 in 2017, reports UNB.

Earlier on April 10, the judge set the verdict date after hearing arguments.

  • Courtesy: The Financial Express /May 08, 2018

আটকে গেছে এমপিপুত্র রনির জোড়া খুনের রায়

আওয়ামী লীগের সাংসদ পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির বিরুদ্ধে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যা মামলার রায় বিচারক অধিকতর যুক্তিতর্কের প্রয়োজন বলে মনে করায় আটকে গেছে। মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আল মামুনের আদালতে তিন বছর আগের এই আলোচিত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল।

কিন্তু রনি দোষী কি না সে সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে অধিকতর যুক্তিতর্কের প্রয়োজন মনে করছেন বিচারক। যদিও বিচারক মো. আল মামুনই গত ১০ এপ্রিল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আজ ৮ মে দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন রায় ঘোষণার জন্য।

এ বিষয়ে আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, অধিকতর যুক্তিতর্ক কবে শুরু হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার শুনানি চললেও ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে মামলাটি প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে গাড়ি থেকে ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে আবদুল হাকিম নামের এক রিকশাচালক এবং ইয়াকুব আলী নামের এক অটোরিকশাচালক আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই বছর ৩১ মে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের এমপি পিনু খানের বাসা থেকে তার ছেলে রনিকে আটক করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস। ‘খুনের উদ্দেশ্য না থাকলেও’ আসামি জানতেন যে তার গুলিতে কেউ হতাহত হতে পারে- এই যুক্তিতে হত্যার অভিযোগ এনে এ মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেন তিনি।

নিহতদের শরীরে পাওয়া গুলির ব্যালাস্টিক রিপোর্ট, রনির অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের প্রতিবেদনসহ মোট ১৫টি আলামত অভিযোগপত্রের সঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৭ জনকে সাক্ষী করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত বছর ৬ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে জোড়া খুনের এ মামলায় রনির বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার দ্বিতীয় মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার। একইসঙ্গে রনির গাড়িচালক ইমরান ফকির এবং ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা তার দুই বন্ধু ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দিও দেন।

সেসময় ঘটনার দিন কালো রঙের যে প্রাডো গাড়ি থেকে রনি গুলি চালিয়েছিলেন সেটি সংসদ সদস্য পিনু খানের বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।

রনির বন্ধু কামাল মাহমুদ ঢাকার হাকিম আদালতে জবানবন্দিতে বলেছিলেন, লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে সাংসদপুত্রই সেদিন গুলি ছুড়েছিলেন।

অন্যদিকে রনির পিস্তলের গুলিতেই ইয়াকুব ও হাকিমের মৃত্যু হয় বলে পরে ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

তবে সাংসদপুত্র রনি ৩০ অক্টোবর আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

  • Courtesy: BanikBarta/ May 8, 2018

কৌশল আর ভুলের প্যাঁচে ঝুলে যাচ্ছে নির্বাচন!

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। যে কারণে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন স্থগিত হয়েছে ঠিক তার কাছাকাছি কারণ দেখিয়ে গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছিল। আইন বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অদক্ষতা ও অসতর্কতার কারণে একের পর এক নির্বাচন স্থগিত হচ্ছে।

কার্যত সরকার ও ইসি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন করতে চাইছে না। সরকারি দলের পরাজয়ের আশঙ্কাও এর পেছনে কাজ করছে বলে মনে করেন আইনজীবী বিশেষজ্ঞরা। সিটি নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর পরাজয় হলে তার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে—এ আশঙ্কা থেকেই সরকারের এই পিছটান বলে মনে করেন তাঁরা। লোক-দেখানোর জন্যই নির্বাচনী তফসিল দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। কেউ কেউ মনে করছে, যেসব সমস্যা চিহ্নিত হচ্ছে তা সমাধান করেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার প্রয়োজন ছিল।

এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতার আশঙ্কা থাকলেও কে এম নুরুল হুদার নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে আগের কমিশনের কর্মপদ্ধতিগুলো অনুসরণ করেনি। গত জানুয়ারিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের দুঃখজনক অভিজ্ঞতাও কাজে লাগানোর চেষ্টা করেনি। সমস্যা হতে পারে জেনেও স্থানীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থেকেছে। এই মত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার।

সরকার ও ইসির আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল

নির্বাচনী আইন বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র আইনজীবী মহসীন রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তার পরও বলব, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর সরকার ও ইসির আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। বিশেষ করে সরকারের নজর রাখার প্রয়োজন ছিল যে সীমানা নিয়ে যেন কোনো বিরোধ না থাকে। কিন্তু সরকার তা সঠিকভাবে সমাধান না করেই গেজেট করেছে। এর ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এ ক্ষেত্রে ইসির করণীয় কোনো কিছু নেই। তার পরও কোনো সমস্যা রয়েছে কি না তা দেখতে পারত ইসি।’

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নিয়ে যে ব্যক্তি রিট আবেদন করেছেন তিনি আদালতের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরেননি। এর আগে তিনি আরো দুটি রিট আবেদন করলেও সে তথ্য আদালতের কাছে গোপন করে স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। এ সব কিছুর চেয়ে বড় বিষয় হলো জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার এই সিটি নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়। কারণ নির্বাচনে যদি সরকারি দলের প্রার্থীর পরাজয় হয় তবে তার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে।

আরেক নির্বাচন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘দেখতে পাচ্ছি, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন স্থগিত হয়েছে সীমানা বিরোধ, নতুন আওতাভুক্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদকালের সমাধান না করেই নির্বাচন দেওয়ার কারণে। গাজীপুরের ক্ষেত্রেও ঠিক কাছাকাছি কারণ তুলে ধরা হয়েছে আদালতের কাছে।’ তিনি বলেন, ঢাকার সমস্যা জানার পর গাজীপুরে একই সমস্যা দেখা দিতে পারে, এটা মাথায় নেওয়ার দরকার ছিল সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু তা না নিয়ে সরকার ও ইসি অদক্ষতা ও অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। এ অবস্থা দেখে আশঙ্কা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনেও একটা হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ঢাকা সিটির ক্ষেত্রে সীমানা বিরোধ, দ্বৈত এলাকার বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদকালের সমস্যা চিহ্নিত হয়। এরপর সরকার ও ইসির সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু একই সমস্যা জিইয়ে রেখে গাজীপুরে নির্বাচন দেওয়া হয়েছে। এটা সরকার ও ইসির অযোগ্যতা ও অদক্ষতা ছাড়া আর কিছু নয়। ইসি ও সরকার যদি সেটা স্বীকার না করে তবে এটা স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবেই সমস্যা রেখে দেওয়া হয়েছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও যাতে ঢাকার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যায়, এমন সুযোগ রেখে দেওয়া হয়েছে।

তবে এই তিন আইনজীবীর সঙ্গে ভিন্নমত আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের। তিনি বলেন, ‘এখন যে সমস্যা সামনে এসেছে সেটা ইসি বা সরকারের ইচ্ছাকৃত রেখে দেওয়া বলে মনে করি না। এ রকম সমস্যা প্রায় সব নির্বাচনেই থাকে। সব সময় সীমানা চূড়ান্ত করে নির্বাচন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই এই ধরনের ছোটখাটো সমস্যা নিষ্পত্তি করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি মনোনীত করার জন্য সবারই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ‘রিট আবেদনকারী ২০১৩ সালেই লিখিতভাবে সরকারকে জানিয়েছেন যে তাঁর ছয়টি মৌজা অন্য জেলায় অর্থাৎ গাজীপুরে নেওয়া যাবে না। তাঁরা ঢাকা জেলাতেই থাকতে চান। এটা জানার পরও স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে, তাঁরা কোন জেলার বাসিন্দা তা সমাধান না করেই গেজেট করেছে। সংগত কারণেই  সংক্ষুব্ধ হয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।’

ঢাকা সিটির ক্ষেত্রে রিট আবেদনের যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়, নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডে যাঁরা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন, তাঁরা কত দিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তাঁদের মেয়াদ কি পাঁচ বছর হবে, নাকি আড়াই বছর হবে, তা এখনো নির্ধারণ করেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া যে এলাকাকে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়, সেখানে আগে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল কত দিন হবে সে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেনি সরকার। তফসিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদনে বলা হয়, ঢাকা জেলার ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনভুক্ত করার কারণে তারা দ্বৈত এলাকার (গাজীপুর সিটি ও শিমুলিয়া ইউনিয়ন) বাসিন্দা হয়ে গেছে। ফলে এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেবে।  দ্বৈত এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে এখন তাদের দুই জায়গায় কর দিতে হবে। এতে দুই এলাকাতেই তারা হয়রানির শিকার হবে। ওই ছয়টি মৌজার নাগরিকদের সিটি করপোরেশনের ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

ইসি অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেনি

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের আগে ওই নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতার আশঙ্কা করেছিল সে সময়ের ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। 

স্থানীয় সরকার বিভাগকে কমিশন সীমানাসংক্রান্ত গেজেট দ্রুততম সময়ে সংশোধনের অনুরোধপত্র পাঠায় এবং সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। শামসুল হুদা কমিশন ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুরোধ রক্ষায় রাজি হয়নি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ওই কমিশন জানিয়ে দেয়, তিনটি কারণে এ নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন এই ধরনের দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি। রকিব কমিশন ২০১২ সালের ৬ এপ্রিল ভোটার হালনাগাদ না করেই ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে এবং এর তিন দিনের মাথায় আদালতের নির্দেশে ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরে আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত জটিলতায় এ নির্বাচন ঝুলে থাকে। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে এই দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। 

এরপর গত জানুয়ারিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের উপনির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ১৮টি করে নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে আইনগত যেসব সমস্যা ছিল তা গণমাধ্যমে আগেই প্রকাশিত হয়, কিন্তু কে এম নুরুল হুদার বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেসব সমস্যার বিষয়টি আমলে নেয়নি।

নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কমিশন সচিব সাংবাদিকদের যা বলেছিলেন তার মোদ্দা কথা ছিল স্থানীয় সরকার বিভাগের ক্লিয়ারেন্স নিয়েই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য একই রকম বলা চলে। কমিশন বলছে, এ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে জটিলতার বিষয়ে ইসির কাছে কোনো তথ্য ছিল না। এ বিষয়ে আদালতে শুনানির আগে পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে রিট হওয়ার খবর ইসি জানত না।

এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে কমিশন গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকও করেনি। গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আগে কিছু জানতাম না। গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি, হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।’

কমিশন নির্বাচন স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো অফিশিয়ালি আদেশটি পাইনি। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতে ইসির কোনো গাফিলতি নেই উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘দায় কার, এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি, কমিশনের কোনো গাফিলতি নেই।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ রিট বিষয়ে শুনানির আগে জানতাম না। শুনানি হওয়ার পর জেনেছি। আমরা কোনো আইনজীবী ওখানে নিয়োগ দিইনি। আমাদের আইনজীবী প্যানেল আছে। প্যানেলভুক্ত একজন আইনজীবী রিটের একটা কপি পেয়েছিলেন। কপিটি পাওয়ার পরে উনি শুনানিতে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাঁকে অফিশিয়ালি নিয়োগপত্র দিইনি। তাঁকে ওকালতনামা দেওয়ার মতো সুযোগ ছিল না আমাদের।’

খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের কোনো জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে কি না—এ প্রশ্নে কবিতা খানম বলেন, ‘কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি। আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুইবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে। তবে অন্য সিটি নির্বাচন নিয়ে আগেই বলা যাবে না।’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। এরপর সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের আলোচিত ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু আজহারুল ইসলাম সুরুজ ওই ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতামুক্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে আবেদন করেন। 

কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ২০১৫ সালে রিট আবেদন করেন তিনি। আদালত রুল জারি করেন। রুলে ওই ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট বিষয়টি নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রিট আবেদনকারীর আবেদন নিষ্পত্তি করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ রায় হওয়ার আগেই ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে ওই ছয় মৌজার ভোটাররা ভোট দেয়। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

গত বছর হাইকোর্টের নির্দেশের পর স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ৪ মার্চ ওই ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট জারি করে। এরপর ১৫ মে ভোটের দিন নির্ধারণ করে গত ৩ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল রিট আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। এদিন শুনানির পর রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন আদালত। এ অবস্থায় গত রবিবার নতুন করে রিট আবেদন করেন তিনি।

  • সূত্র: কালের কণ্ঠ /May 08, 2018