Search

Tuesday, May 8, 2018

কৌশল আর ভুলের প্যাঁচে ঝুলে যাচ্ছে নির্বাচন!

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। যে কারণে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন স্থগিত হয়েছে ঠিক তার কাছাকাছি কারণ দেখিয়ে গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছিল। আইন বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অদক্ষতা ও অসতর্কতার কারণে একের পর এক নির্বাচন স্থগিত হচ্ছে।

কার্যত সরকার ও ইসি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন করতে চাইছে না। সরকারি দলের পরাজয়ের আশঙ্কাও এর পেছনে কাজ করছে বলে মনে করেন আইনজীবী বিশেষজ্ঞরা। সিটি নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর পরাজয় হলে তার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে—এ আশঙ্কা থেকেই সরকারের এই পিছটান বলে মনে করেন তাঁরা। লোক-দেখানোর জন্যই নির্বাচনী তফসিল দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। কেউ কেউ মনে করছে, যেসব সমস্যা চিহ্নিত হচ্ছে তা সমাধান করেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার প্রয়োজন ছিল।

এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতার আশঙ্কা থাকলেও কে এম নুরুল হুদার নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে আগের কমিশনের কর্মপদ্ধতিগুলো অনুসরণ করেনি। গত জানুয়ারিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের দুঃখজনক অভিজ্ঞতাও কাজে লাগানোর চেষ্টা করেনি। সমস্যা হতে পারে জেনেও স্থানীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থেকেছে। এই মত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার।

সরকার ও ইসির আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল

নির্বাচনী আইন বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র আইনজীবী মহসীন রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তার পরও বলব, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর সরকার ও ইসির আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। বিশেষ করে সরকারের নজর রাখার প্রয়োজন ছিল যে সীমানা নিয়ে যেন কোনো বিরোধ না থাকে। কিন্তু সরকার তা সঠিকভাবে সমাধান না করেই গেজেট করেছে। এর ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এ ক্ষেত্রে ইসির করণীয় কোনো কিছু নেই। তার পরও কোনো সমস্যা রয়েছে কি না তা দেখতে পারত ইসি।’

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নিয়ে যে ব্যক্তি রিট আবেদন করেছেন তিনি আদালতের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরেননি। এর আগে তিনি আরো দুটি রিট আবেদন করলেও সে তথ্য আদালতের কাছে গোপন করে স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। এ সব কিছুর চেয়ে বড় বিষয় হলো জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার এই সিটি নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়। কারণ নির্বাচনে যদি সরকারি দলের প্রার্থীর পরাজয় হয় তবে তার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে।

আরেক নির্বাচন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘দেখতে পাচ্ছি, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন স্থগিত হয়েছে সীমানা বিরোধ, নতুন আওতাভুক্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদকালের সমাধান না করেই নির্বাচন দেওয়ার কারণে। গাজীপুরের ক্ষেত্রেও ঠিক কাছাকাছি কারণ তুলে ধরা হয়েছে আদালতের কাছে।’ তিনি বলেন, ঢাকার সমস্যা জানার পর গাজীপুরে একই সমস্যা দেখা দিতে পারে, এটা মাথায় নেওয়ার দরকার ছিল সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু তা না নিয়ে সরকার ও ইসি অদক্ষতা ও অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। এ অবস্থা দেখে আশঙ্কা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনেও একটা হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ঢাকা সিটির ক্ষেত্রে সীমানা বিরোধ, দ্বৈত এলাকার বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদকালের সমস্যা চিহ্নিত হয়। এরপর সরকার ও ইসির সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু একই সমস্যা জিইয়ে রেখে গাজীপুরে নির্বাচন দেওয়া হয়েছে। এটা সরকার ও ইসির অযোগ্যতা ও অদক্ষতা ছাড়া আর কিছু নয়। ইসি ও সরকার যদি সেটা স্বীকার না করে তবে এটা স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবেই সমস্যা রেখে দেওয়া হয়েছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও যাতে ঢাকার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যায়, এমন সুযোগ রেখে দেওয়া হয়েছে।

তবে এই তিন আইনজীবীর সঙ্গে ভিন্নমত আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের। তিনি বলেন, ‘এখন যে সমস্যা সামনে এসেছে সেটা ইসি বা সরকারের ইচ্ছাকৃত রেখে দেওয়া বলে মনে করি না। এ রকম সমস্যা প্রায় সব নির্বাচনেই থাকে। সব সময় সীমানা চূড়ান্ত করে নির্বাচন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই এই ধরনের ছোটখাটো সমস্যা নিষ্পত্তি করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি মনোনীত করার জন্য সবারই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ‘রিট আবেদনকারী ২০১৩ সালেই লিখিতভাবে সরকারকে জানিয়েছেন যে তাঁর ছয়টি মৌজা অন্য জেলায় অর্থাৎ গাজীপুরে নেওয়া যাবে না। তাঁরা ঢাকা জেলাতেই থাকতে চান। এটা জানার পরও স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে, তাঁরা কোন জেলার বাসিন্দা তা সমাধান না করেই গেজেট করেছে। সংগত কারণেই  সংক্ষুব্ধ হয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।’

ঢাকা সিটির ক্ষেত্রে রিট আবেদনের যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়, নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডে যাঁরা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন, তাঁরা কত দিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তাঁদের মেয়াদ কি পাঁচ বছর হবে, নাকি আড়াই বছর হবে, তা এখনো নির্ধারণ করেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া যে এলাকাকে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়, সেখানে আগে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল কত দিন হবে সে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেনি সরকার। তফসিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদনে বলা হয়, ঢাকা জেলার ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনভুক্ত করার কারণে তারা দ্বৈত এলাকার (গাজীপুর সিটি ও শিমুলিয়া ইউনিয়ন) বাসিন্দা হয়ে গেছে। ফলে এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেবে।  দ্বৈত এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে এখন তাদের দুই জায়গায় কর দিতে হবে। এতে দুই এলাকাতেই তারা হয়রানির শিকার হবে। ওই ছয়টি মৌজার নাগরিকদের সিটি করপোরেশনের ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

ইসি অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেনি

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের আগে ওই নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতার আশঙ্কা করেছিল সে সময়ের ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। 

স্থানীয় সরকার বিভাগকে কমিশন সীমানাসংক্রান্ত গেজেট দ্রুততম সময়ে সংশোধনের অনুরোধপত্র পাঠায় এবং সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। শামসুল হুদা কমিশন ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুরোধ রক্ষায় রাজি হয়নি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ওই কমিশন জানিয়ে দেয়, তিনটি কারণে এ নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন এই ধরনের দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি। রকিব কমিশন ২০১২ সালের ৬ এপ্রিল ভোটার হালনাগাদ না করেই ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে এবং এর তিন দিনের মাথায় আদালতের নির্দেশে ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরে আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত জটিলতায় এ নির্বাচন ঝুলে থাকে। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে এই দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। 

এরপর গত জানুয়ারিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের উপনির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ১৮টি করে নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে আইনগত যেসব সমস্যা ছিল তা গণমাধ্যমে আগেই প্রকাশিত হয়, কিন্তু কে এম নুরুল হুদার বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেসব সমস্যার বিষয়টি আমলে নেয়নি।

নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কমিশন সচিব সাংবাদিকদের যা বলেছিলেন তার মোদ্দা কথা ছিল স্থানীয় সরকার বিভাগের ক্লিয়ারেন্স নিয়েই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য একই রকম বলা চলে। কমিশন বলছে, এ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে জটিলতার বিষয়ে ইসির কাছে কোনো তথ্য ছিল না। এ বিষয়ে আদালতে শুনানির আগে পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে রিট হওয়ার খবর ইসি জানত না।

এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে কমিশন গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকও করেনি। গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আগে কিছু জানতাম না। গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি, হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।’

কমিশন নির্বাচন স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো অফিশিয়ালি আদেশটি পাইনি। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতে ইসির কোনো গাফিলতি নেই উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘দায় কার, এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি, কমিশনের কোনো গাফিলতি নেই।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ রিট বিষয়ে শুনানির আগে জানতাম না। শুনানি হওয়ার পর জেনেছি। আমরা কোনো আইনজীবী ওখানে নিয়োগ দিইনি। আমাদের আইনজীবী প্যানেল আছে। প্যানেলভুক্ত একজন আইনজীবী রিটের একটা কপি পেয়েছিলেন। কপিটি পাওয়ার পরে উনি শুনানিতে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাঁকে অফিশিয়ালি নিয়োগপত্র দিইনি। তাঁকে ওকালতনামা দেওয়ার মতো সুযোগ ছিল না আমাদের।’

খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের কোনো জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে কি না—এ প্রশ্নে কবিতা খানম বলেন, ‘কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি। আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুইবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে। তবে অন্য সিটি নির্বাচন নিয়ে আগেই বলা যাবে না।’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। এরপর সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের আলোচিত ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু আজহারুল ইসলাম সুরুজ ওই ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতামুক্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে আবেদন করেন। 

কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ২০১৫ সালে রিট আবেদন করেন তিনি। আদালত রুল জারি করেন। রুলে ওই ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট বিষয়টি নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রিট আবেদনকারীর আবেদন নিষ্পত্তি করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ রায় হওয়ার আগেই ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে ওই ছয় মৌজার ভোটাররা ভোট দেয়। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

গত বছর হাইকোর্টের নির্দেশের পর স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ৪ মার্চ ওই ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট জারি করে। এরপর ১৫ মে ভোটের দিন নির্ধারণ করে গত ৩ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল রিট আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। এদিন শুনানির পর রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন আদালত। এ অবস্থায় গত রবিবার নতুন করে রিট আবেদন করেন তিনি।

  • সূত্র: কালের কণ্ঠ /May 08, 2018

No comments:

Post a Comment