Search

Monday, September 17, 2018

শিক্ষক-কর্মচারীদের রাজনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে

নূর মোহাম্মদ ও রুদ্র মিজান 

সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের রাজনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করছে গোয়েন্দা সংস্থা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অনেকটা গোপনে চলছে এ কাজ। সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিক পরিচয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

গত আগস্ট মাস থেকেই এই তৎপরতা শুরু হয়েছে। যদিও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য কোনো চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এমনকি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কমিশনের জানার প্রয়োজন নেই বলে নির্বাচন কমিশনের সচিব জানিয়েছেন। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, এটি নিয়মিত কাজের অংশ।তবে সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। চলতি মাসেই তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।

সূত্রমতে, ইতিমধ্যে উপজেলা পর্যায়ের নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ের কাজ চলছে। আগামী নির্বাচনে দাযিত্ব পালন করতে পারেন এ রকম কর্মকর্তা-শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দা ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত সরকারি একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত মাসে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। অতীতে তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি-না, এমনকি তাদের পরিবারের কোনো সদস্য রাজনীতিতে সম্পৃক্ত কি-না, সেই দলের নাম, পদসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ সব তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে প্রশাসনের রদবদলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

অতীতেও জাতীয় সংষদ নির্বাচনের আগে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রদবদল হয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের নিজেদের ও পরিবারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিস্তারিত তথ্য এভাবে সংগ্রহ করা হয়নি। বিশেষ করে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেনি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা এই কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে। সূত্রমতে, ৪৯৫টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যক্রম এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্য, বিভিন্ন কার্যকলাপ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি পুলিশের কর্মকর্তারা। এসব বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, শিক্ষকদের রাজনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে কি-না এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা ও শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের রাজনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগের মধ্যে আছে শিক্ষকরা। তারা বলছেন, আমার তথ্য বা রাজনৈতিক পরিচয় জানতে পারি। কিন্তু আমার পরিবারের মধ্যে কেউ রাজনীতি করে না কি, করলে কোন দল করে এসব তথ্য চাওয়া হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে। এতে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে তাদের মধ্যে।

প্রাথমিক শিক্ষকরা নিজেদের ফেসবুক ও শিক্ষকদের একাধিক গ্রুপের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জামালপুর সদরের মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি সম্প্রতি ফেসববুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় চাওয়া হচ্ছে! সরকারি চাকরিজীবীদের রাজনৈতিক পরিচয় দেয়ার সুযোগ আছে কি? তার এ মন্তব্যটি প্রাথমিক শিক্ষকদের দিয়ে পরিচালিত একটি ফেসবুক গ্রুপ প্রাথমিক শিক্ষক কণ্ঠে পোস্ট করা হয়। সেখানে অনেক শিক্ষকরা এ ধরনের তথ্য নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষক কণ্ঠ ফেসবুক গ্রুপের একজন এডমিন বগুড়ার মারিয়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক তারিকুল আলম মানবজমিনকে বলেন, শুধু আমার নয়, এ স্কুলের সকল শিক্ষকদের তথ্য প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। কি ধরনের তথ্য নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পরিবারের কতজন সদস্য, আমি রাজনীতি করি কী না, আমার পরিবারের কেউ রাজনীতি করে কি না, করলে কোন দলের ইত্যাদি। আমরা যেহেতু কোনো রাজনীতি করি না, তাই তথ্য দিতে কোন সমস্যা নাই। তবে আমার স্ত্রী একটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। তার চৌদ্দগোষ্ঠীর তথ্য নেয়া হয়েছে।

একাধিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব শিক্ষকদের ব্যাপার সন্দেহ হচ্ছে তাদের তথ্য বেশি নেয়া হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহের সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের পারিবারিক তথ্য যেমন পিতা মাতা, ভাইবোন, চাচা, মামা, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, স্বামী,  দেবর, ননদ ও ভাশুরের তথ্য। সবার তথ্য নেয়ায় শিক্ষকরা এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কারণ ইতিপূর্বে কারও তথ্য এভাবে নেয়া হয়নি। শিক্ষকরা বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সময় পুলিশ  ভেরিফিকেশনে চাকরির প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো  ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ বা মামলা বা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে কি না তা দেখা হয়। কিন্তু এবার পারিবারিক তথ্য বিশেষ করে রাজনৈতিক তথ্য সংগ্রহে তারা কিছুটা আতঙ্কে আছেন। এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এএফএম মনজুর কাদের বলেন, শিক্ষকদের এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি আমার জানা নেই। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র হবে। তারমধ্যে বুথ হবে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৪০টি। প্রতি কেন্দ্র একজন প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতি বুথে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুইজন পোলিং অফিসার থাকবে। সব মিলিয়ে নির্বাচনে ৮ লক্ষাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। এর একটা বড় অংশই হচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক। শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ মানবজমিনকে বলেন, এ ধরনের কোনো চিঠি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশকে দেইনি। শিক্ষকদের  ভেরিফিকেশনের বিষয়টি আমরা দেখবো তফসিল ঘোষণার পর। ভোটে সংযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বা পরিচয়ের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের জানার দরকার নেই বলে জানান তিনি। 

কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮ 

ডিজিটাল আইনের খসড়া - স্থায়ী কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ময় ও হতাশা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ময়, হতাশা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এবং সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বেগ এ প্রতিবেদনে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।

রোববার দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক বৈঠকে এ বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকের পর প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হচ্ছি। কেননা, খসড়া আইনটির ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারায় মৌলিক কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এসব ধারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি।

তবে ৩ নম্বর ধারার অধীন তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) অন্তর্ভুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন (অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট) অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা উদ্বেগ জানাচ্ছি। এটি আরটিআইয়ের সঙ্গে পরিষ্কারভাবে সাংঘর্ষিক। 

আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মাননীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে তাঁরা দুজনই আমাদের উদ্বেগ প্রশমনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। 

আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এ-ও স্মরণ করছি, ওই সংসদীয় কমিটি সম্পাদক পরিষদ, বিএফইউজে ও অ্যাটকোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে ওই খসড়া আইন কীভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কণ্ঠরোধ করে, তা তুলে ধরা হয়েছে। অথচ এই স্বাধীনতা যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পূর্বশর্ত। খসড়া আইনের ওপর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে আমাদের সঙ্গে সংসদীয় ওই কমিটির আরেকবার বসার কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠক কখনো হলো না।

সম্পাদক পরিষদ সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন ও খসড়া ডিজিটাল আইনটি প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হচ্ছে, কারণ:

১. এটি সংবিধানের ৩৯ (২) ক ও খ ধারায় দেওয়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার পরিপন্থী। 

২. এটি চিন্তার স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ধারণার বিরোধী, যে স্বাধীনতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ। 

৩. এটি গণতন্ত্রের মৌলিক চর্চারও বিরোধী, যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ সব সময়ই লড়াই করেছে এবং এর পাশে থেকেছে। 
৪. এটি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক নীতিমালার বিরোধী, যার জন্য বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা লড়াই করেছেন। 

পরিশেষে যে জাতীয় সংসদ জনসাধারণ এবং জনমানুষের সব রকম স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণের স্থান, সেই সংসদের প্রতি আমরা আন্তরিক আহ্বান জানাই, তা যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া পাস না করে। এ খসড়া আইন সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। 

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন নিউজ টুডের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, দৈনিক আজাদি সম্পাদক এম এ মালেক, করতোয়া সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, দ্য ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ১৭,২০১৮ 

বগুড়ায় ছাত্রছাত্রী আটকের ঘটনা নিন্দনীয়

সম্পাদকীয়

জেলা প্রশাসনের কাজ কী?


ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রেস্তোরাঁয় বসে আড্ডা দেওয়া অনুচিত—স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এটা বোঝানোর দায়িত্ব কোনো জেলা প্রশাসনের নয়। কিন্তু বগুড়ার জেলা প্রশাসন গত বৃহস্পতিবার সেটা করতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে এক অভিযানে নেমেছিল। একজন নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে আর্মড পুলিশের একটি দল বগুড়া শহরের কিছু খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে আটক করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে নিয়ে আটকে রেখেছিল। এ ঘটনা বগুড়া শহরে বেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর সারা দেশে, এমনকি দেশের বাইরে থেকেও ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এসব ক্ষোভ-প্রতিবাদ যথাযথ। বগুড়ার জেলা প্রশাসন প্রতিবাদযোগ্য কাজই করেছে।

স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের এমনভাবে আটক করা ও আটকে রাখা হয়েছিল, যেন তারা গুরুতর কোনো অপরাধ করেছে। কিন্তু ছেলেমেয়েতে বন্ধুত্ব কোনো অপরাধ নয়, রেস্তোরাঁয় বসে গল্প করা নিয়েও আপত্তি করার কিছু নেই। তবে যেহেতু ক্লাস ফাঁকি দিয়ে গল্পগুজব করে সময় কাটানো শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর, তাই স্কুল-কলেজ চলার সময়ে তা অভিপ্রেত নয়। কিন্তু এ বিষয়ে ছেলেমেয়েদের বোঝানোর দায়িত্ব জেলা প্রশাসনকে কে দিয়েছে? আর সেই বোঝানোর উপযুক্ত পদ্ধতি কি সশস্ত্র পুলিশের অভিযান চালিয়ে অপরাধীর মতো আটক করে নিয়ে যাওয়া এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা? সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিকদের ডেকে আনা? তাঁদের ছবি তোলার ও প্রচার করার সুযোগ করে দেওয়া?

না। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বের আওতায় এসব নেই। তাদের আরও অনেক বড় বড় দায়িত্ব আছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে, বগুড়া শহরে চাঁদাবাজদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালে বগুড়াবাসী উপকৃত হতো; মাদকদ্রব্যের ব্যবসা ও মাদকসেবন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য নিয়মিতভাবে অভিযান চালিয়ে গেলে কাজের কাজ হতো; স্থানীয় সরকারি দপ্তরগুলোতে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ করতে তৎপর হলে জেলা প্রশাসনের ‘নৈতিকতা’ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস দৃশ্যমান হতো।

বগুড়ায় এ রকম ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল তা নয়। ২০১৩ সালেও একটি পার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৭২ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করেছিল; তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্মানের বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অন্যায়। সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা এ ধরনের পদক্ষেপ নেন, নারী-পুরুষ সম্পর্কের বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যাপূর্ণ বলে মনে হয়। তাঁদের শিক্ষা-দীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক গড়ন ও সাংস্কৃতিক বোধ সমাজের সাধারণ সাংস্কৃতিক স্তর ও নৈতিকতার বোধের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ের প্রতি প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

ছেলেমেয়েদের ‘চরিত্র রক্ষা’ কিংবা ‘নৈতিকতা’ শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানোর মতো নিষ্প্রয়োজনীয়, উদ্ভট তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া উচিত।
কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ১৭,২০১৮ 

ডাকসু নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবি উপাচার্যের লিভ টু আপিল


ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছেন। গতকাল রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই আবেদন দায়ের করা হয় বলে জানান এই আইনজীবী।

এর আগে গত বুধবার আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। অপর দুজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন।

৪ সেপ্টেম্বর ওই তিনজনের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়।

এদিকে গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে ডাকসু নির্বাচন দ্রুত আয়োজন ও ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন নেতারা। ওই সভা শেষে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে উপাচার্য আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ডাকসু নির্বাচন আগামী মার্চে হতে পারে। তিনি জানান, এ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকার খসড়া অক্টোবরের মধ্যে প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।

ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালে ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ২৫ শিক্ষার্থীর করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ১৭,২০১৮ 

The lingering problem of Dhaka's illegal parking

Ridwan Quaium


Amid the nationwide movement for road safety, many people in Facebook had been complaining about the problem of illegal parking in Dhaka. Many people shared photos of illegally parked cars and motorcycles on the footpath and on the road in different parts of Dhaka city. These photos showed that due to illegal parking on the road, in some areas, the capacity of the road has been almost halved, while in some areas illegal parking on the footpath has partially or even completely blocked the footpath.

Illegal parking on the road causes traffic chaos and even congestion, especially in a city like Dhaka, where road space is severely inadequate compared to the demand. Illegal parking on the road makes the traffic situation even worse as it reduces the road capacity even more.

Due to parking of vehicles on the footpath, pedestrians are forced to walk on the road. This causes a serious safety concern for the pedestrians as they risk themselves being hit by oncoming vehicles. In addition, pedestrians walking on the road leads to road capacity being reduced even more, causing traffic chaos and congestion.

When visiting someone's house in Dhaka by personal vehicle, the visitor often finds themselves in an awkward situation as they realise that the residence does not allow visitor parking. People often face a similar situation while visiting shopping malls, markets, offices, educational institutions, financial institutions and hospitals with personal vehicles in Dhaka as most of these places do not provide adequate parking space or in some cases do not provide any parking facilities at all for visitors.

Although most people realise and understand that illegal parking on the road or on the footpath causes traffic mayhem, when they go to a place with their vehicle which does not offer any parking space, they have no choice but to park their vehicles illegally on the road or on the footpath. Some may argue that people should not visit places with personal vehicles that do not provide parking facilities. However, that is easier said than done.

Parking is a necessary component of any city's transport system. It is needed to allow for the safe storage of vehicles while they are not in use and enables its riders to undertake their intended activity at their destination. It forms an interface between the road network and other land uses.

When designing a structure, the engineers and planners have to determine the number of parking spaces needed to fulfil the parking requirements of the visitors and/or residents of that structure. One of the methods used to determine the appropriate supply of parking for a structure is known as the “Supply Based on a Forecast of Actual Demand.”

In this method, the supply of parking is determined by conducting parking demand surveys at the site under investigation or at other sites that exhibit similar characteristics such as similar type of development with similar transportation facilities and that would be visited by people with similar socio-economic characteristics.

In most countries, prior to building a multi-storey development or any large commercial, residential or multi-purpose development, engineers and planners have to submit their parking study for that development as part of their Traffic Impact Assessment (TIA) study to the city authorities. If the city authorities feel that the development has not provided adequate parking space, then it requests the designers to revise their design to do so.

It seems that the parking study for most of the multi-storey and large-scale developments in Dhaka and other big cities in Bangladesh has not been done correctly as most of these developments do not provide adequate parking space for their visitors and residents.

Although the cost of car parking space is a huge expense to a developer, in a city like Dhaka where most developments do not provide adequate parking space, parking space adds value to the development because it would attract more clients.

There is no doubt that the city severely lacks parking spaces which is one of the contributing factors to the city's traffic congestion and the fact that the city is not a walkable one. These are just some of the reasons why Dhaka is considered to be one of the least liveable cities.

Dhaka is a fast-growing city. It is one of the most congested cities in the world. New high-rise developments are sprouting throughout the city quickly. To ensure that traffic in Dhaka does not continue to worsen due to illegal parking, the city authorities may consider making it mandatory for every multi-storey and large-scale development to provide their parking study to the city authorities as part of their design plan. The city authorities should also rigorously study the parking plan to ensure that adequate parking has been provided for in the development.

To address the existing parking issue, the city authorities may consider developing multi-storey parking areas in major economic activity centres such as in Motijheel, Dhanmondi and Gulshan. This will definitely help to improve the traffic flow and walking conditions in these areas, which will also improve the city's liveability.

  • Ridwan Quaium is a transportation engineer based in Australia.
  • Courtesy: The Daily Star/ Sep 17, 2018

Pollution the killer

2.34 lakh deaths in Bangladesh in 2015 linked to environmental pollution, of which 80,000 in urban areas, says WB report



Bangladesh saw around 234,000 deaths, including 80,000 in urban areas, due to environmental pollution and related health risks in 2015, making it one of the worst affected countries in the world, reveals a World Bank report.

The number was more than 10 times that of deaths the same year from road accidents, which was 21,286, it pointed out.  

Some 18,000 lives and 578,000 years of potential life were lost in Dhaka city in 2015 -- the second least livable city in the world, showing the urgency to immediately address the city's environmental issues. 

Deaths due to various causes totalled 843,000 in the country that year. Of those, nearly 28 percent were caused by environmental pollution -- the highest among South Asian nations, according to the report released yesterday.  

The average rate of such deaths in South Asia is nearly 26 percent, while it is 16 percent worldwide.

The World Bank said this in this year's country environmental analysis report titled “Enhancing Opportunities for Clean and Resilient Growth in Urban Bangladesh” unveiled at a hotel in the capital.

Air pollution in South Asian countries is the highest in the world with fine particulate matter measuring 2.5 microgram both outdoor and indoor. This is by far the most leading environmental risk in Bangladesh, causing about 21 percent of all deaths in the country, according to the report.

Nearly one million people in Bangladesh, mostly poor, are at risk of lead contamination, which can lead to IQ loss and neurological damage, especially for children, and can increase the risk of miscarriage and stillbirth among pregnant women, the report cited.

In greater Dhaka, the sites contaminated by heavy metals are mostly in poorer neighbourhoods.

The report focuses on three areas: cost of environmental degradation; clean and resilient cities; and institutions for clean industrial growth.

Based on data gathered from 11 air quality monitoring stations in eight urban areas, concentration of 2.5 microgram particulate matter from 2013 to 2015 was estimated five times the Bangladesh standard and eight times the World Health Organisation standard.

Household air pollution disproportionately affects women and young children, who spend most of the time inside houses. Pregnant women are especially vulnerable to this hazard.

“Bangladesh pays a high price for environment degradation and pollution in its urban areas. This puts its strong growth at risk,” said Rajashree Paralkar, acting WB country director for Bangladesh.

Addressing the programme, Anisul Islam Mahmud, minister for environment, forest and climate change, said 58 percent of air pollution are caused by illegal brick kilns, 10 percent by vehicles, 20 percent by construction activities, and the rest by various other factors, including industries.

Anisul said his ministry is working on a new law likely to be passed during this government's tenure.

Kseniya Lvovsky, WB practice manager for environmental and natural resources, said environmental conservation is doable if there are strong will and planned urbanisation.

According to the WB report, parts of Dhaka city are more susceptible to flood inundation due to filling-up of wetlands and construction of high-rises on sand-filled areas.

Unplanned urbanisation is also taking a toll on smaller cities as well as towns like Pabna. Since 1990, Pabna lost half of its wetlands, and its lifeline, the Ichamati river, is dying.

ECONOMIC LOSS

The economic cost of the deaths and disability in terms of labour output has been estimated at $1.4 billion in all urban areas of Bangladesh and at $310 million in Dhaka city alone, equivalent to 0.6 percent and 0.1 percent of the country's GDP in 2015. 

Given the growing environmental challenges that Bangladeshi cities face, the WB analyses the impacts and causes of pollution levels and degradation of natural resources in Dhaka and other rapidly growing cities.

Over the past three decades, Bangladesh has experienced dramatic increase in pollution linked to urbanisation. Rapid growth of readymade garment industry and increase in urban population from less than 40 million in 2006 to more than 55 million in 2015 had been key factors in exposing the growing urban population to environmental hazards.

CANCER RISK

Workers in the country's industrial establishments, including micro, small, and medium facilities that use harmful materials as inputs, face the risk of cancer, chronic respiratory disease, and other health impacts due to the lack of mitigation practices, including the use of personal protective equipment.

The WB report mentioned that occupational pollutants such as asbestos, polycyclic aromatic hydrocarbons and silica are used as industrial inputs. The other pollutants include sulfuric acid, trichloroethylene, arsenic, benzene, beryllium, cadmium, chromium, diesel exhaust, formaldehyde, and nickel in the form of gases and asthmagens.

WOMEN IMPACTED

Women and girls bear a disproportionate burden of limited access to clean and safe water. Water pollution and water scarcity affect women's health, nutrition, workload, and, consequently, their opportunities to overcome poverty.

Poor sanitation, lack of safe water supply and arsenic contamination in groundwater lead to diarrhoeal and other diseases causing deaths.   

Urbanisation and industrialisation have increased the amount of waste generation. Without proper collection and disposal, solid waste clogs channels, leading to urban floods. Unsafe recycling of hazardous waste such as used lead-acid batteries poses a growing public health hazard.

An estimated 22,000 workers in Bangladesh's ship-breaking industry are exposed to increased levels of asbestos, polychlorinated biphenyls, cadmium, lead, and mercury in the naval and merchant ships they dismantle.

DISAPPEARING WETLANDS, RIVERS

Dhaka, ranked as the ninth largest megacity in the world, has seen its population rise by about three times from 6.8 million to 18.2 million over the past quarter of a century, the report cited. 

Continued unplanned urbanisation, filling-up of wetlands and rivers, and shrinking of a canal network across the city has exacerbated urban flooding and contributed to various environmental problems.

Flooded roads contribute to traffic congestion and health hazards from the spread of vector-borne diseases. 

Dhaka's Detailed Area Plan identified and recommended protection of 30,252 hectares of flood flow zones and 2,240 hectares of water retention areas to reduce the risk of flooding.

But in just eight years since 2010, 41 percent of flood flow zones and 21 percent of water retention areas have been converted, raised, and used for other purposes, including settlements, industries and brick kilns.

At least 100 hectares of four rivers around Dhaka city -- Buriganga, Balu, Turag and Shitalakkhya -- have been encroached upon to make way for various commercial and residential settlements.

WAYS OUT

To put Bangladesh on a greener growth trajectory, the WB recommended that the government strengthen policies and institutions, and enforce environmental standards with a shift to cleaner technologies to contain the increasing air, water and soil pollution as well as industrial pollution. 

Bangladesh had its first-ever legal framework “National Environment Policy” on governing environmental conservation in 1992. Since then, more than 25 laws, policies, guidelines, and regulations have been formulated to regulate the environmental footprint.

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 17, 2018

তালিকা তৈরিতে নয়ছয়

সম্পাদকীয়

ঋণখেলাপিদের উৎসাহিত করারই নামান্তর


দেশে রাঘববোয়াল ঋণখেলাপিরা যে ধরাছোঁয়ার বাইরে, আবারও তার প্রমাণ মিলেছে সংসদে উত্থাপন করা তালিকা থেকে। বুধবার অর্থমন্ত্রী সংসদে ১০০ ঋণখেলাপির যে তালিকা প্রকাশ করেছেন, তাতে শীর্ষ ঋণখেলাপি হিসেবে পরিচিতদের নাম নেই।

শুধু তা-ই নয়, এতে কোন গ্রুপের কত টাকা খেলাপি ঋণ, তা-ও উল্লেখ করা হয়নি। আগেও একবার সংসদে খেলাপি ঋণের পরিমাণসহ শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল; কিন্তু তখনও রাঘববোয়ালরা তালিকার বাইরে থেকে যান। অনেক সমালোচনার পর এবারও একই ঘটনা ঘটল, বরং এবার পরিশোধ না করা অর্থের পরিমাণও গোপন রাখা হয়েছে। এতে করে খেলাপি ঋণের রাঘববোয়ালরা যে উৎসাহিত হবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

উদ্বেগের বিষয় হল, শীর্ষ ঋণখেলাপি হয়েও তালিকায় নাম না আসার জন্য নানা তদবির, আদালতের আশ্রয়, ব্যাংক মালিক-কর্মকর্তাদের যোগসাজশ, সর্বোপরি রাজনৈতিক চাপ ও সুবিধা ব্যবহার ইত্যাদি নিয়মিত হয়ে পড়েছে।

বুধবার সংসদে অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, খেলাপি ঋণ আদায় হয় না রাজনৈতিক কারণে। প্রশ্ন হল, মন্ত্রী নিজেও কি রাজনৈতিক ‘কারণে’র কাছে অসহায়, নাকি তার দায় রয়েছে অন্তত সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ আদায়ে? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলা যায়, অর্থসংক্রান্ত বিষয়ের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে অর্থমন্ত্রী এ সংক্রান্ত দায় এড়াতে পারেন না।

ঋণখেলাপির তালিকায় শুভংকরের ফাঁকির আরেকটি দিক হল খেলাপি ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোর সব কোম্পানির নাম উল্লেখ না করা। তালিকায় দেখা গেছে ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি, অথচ গ্রুপের সব কোম্পানির নাম উল্লেখ না করে একটির নাম আনা হয়েছে। সব কোম্পানির নাম এলে ওই গ্রুপের ঋণপ্রাপ্তির পথ সঙ্কুচিত হতো এবং তারা খেলাপি ঋণ পরিশোধে উৎসাহিত হতো।

এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ঋণখেলাপিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশের আগে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে না ঋণদাতা ব্যাংক। নিজেদের ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ার পরও তা ঋণখেলাপির তালিকায় না তোলার পেছনে যে বড় ধরনের অনিয়ম রয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়।

এসব দিকে মনোযোগ দিয়ে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হলে এবং রাঘববোয়ালদের ছাড় না দিলে ঋণখেলাপির তালিকা আশার আলো হয়ে আসতে পারে। আগামীতে তালিকা করার সময় এসব ত্রুটি-বিচ্যুতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে আমাদের বিশ্বাস।

একজন ঋণগ্রহীতার খেলাপি হওয়ার পেছনে ব্যাংক কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদেরও যথেষ্ট দায় রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা মিলেমিশে ঋণ ভাগাভাগি করে নেন। অন্যথায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা হওয়ার পরও কঠোর ব্যবস্থা না নিয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বসে থাকার কথা নয়।

খেলাপি ঋণের ৪৩ শতাংশই সরকারি ব্যাংকের। ঋণ জালিয়াতি রোধ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে ঋণখেলাপিসহ দায়ী ব্যাংক কর্মকর্তা-পরিচালকদের আইনের আওতায় আনা, রাঘববোয়ালদের কাছে নতিস্বীকার না করে কঠোর অবস্থান নেয়া গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা যায়।
  • কার্টসিঃ যুগান্তর / সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮ 

Sunday, September 16, 2018

এবার ইইউর জিএসপি সুবিধা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে

বদরুল আলম

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত হয়েছে ২০১৩ সালে। এবার শঙ্কা বাড়ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে জিএসপি সুবিধা নিয়েও। ইইউতে জিএসপি সুবিধা থাকবে কি থাকবে না সেই পর্যালোচনা শুরু করেছে ইউরোপীয় কমিশন (ইসি)। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ। তবে শ্রমসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তাতে ইইউতে জিএসপি সুবিধা বহাল থাকা নিয়ে সংশয়মুক্ত হতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের জিএসপি বহাল থাকার বিষয়টি নির্ভর করছে শ্রম অধিকার, কর্মপরিবেশ, দায়িত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক আচরণ ও শ্রমিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর। গত বছর বাংলাদেশ সরকারকে পাঠানো একাধিক চিঠিতে শ্রমসংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ। চিঠিতে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি না থাকলে জিএসপি বাতিলের হুমকি দেয়া হয়। তবে বাতিলের আগে তদন্ত হবে বলেও উল্লেখ করে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সফর করছে ইইউ প্রতিনিধি দল।

সূত্র জানিয়েছে, ইইউর প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বাণিজ্য ও শ্রমবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। তারা শ্রম খাতসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে পৃথক সভা করেছেন। সভাগুলোয় প্রতিনিধি দল তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

এ সফরের আগেও বাংলাদেশকে একাধিক চিঠি দিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে ইইউ। ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ, ৩১ মে ও ৫ জুলাই পাঠানো চিঠিতে মানবাধিকার এবং শ্রমমান-সংক্রান্ত ইবিএর (এভরিথিং বাট আর্মস) শর্তগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইইউর প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশ যেন শ্রম অধিকার ইস্যুগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। এ বার্তা পুনরায় উল্লেখ করা হয় গত জুলাইয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের উপস্থিতিতে সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্টের সভায়ও। এ আলোচনার ধারাবাহিকতায় ১১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশ সফর করছে।

সরকারি ও বেসরকারি সূত্রমতে, ইইউর পর্যালোচনায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর মধ্যে আছে শ্রম সংঘ করার স্বাধীনতা ও সামষ্টিক দরকষাকষি। এ-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করার পক্ষে ইইউ। ইইউর আরেকটি উদ্বেগ শিশুশ্রমের বয়সসীমা নির্ধারণ নিয়ে। শিশু পাচারও ইইউর উদ্বেগের আরেকটি কারণ।

সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ইইউর সভায় উপস্থিত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, জিএসপি বিষয়ে ইইউর বক্তব্য হলো, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশের সুবিধা থাকবে না। তখন জিএসপি প্লাস আসবে। বর্তমানে শ্রমসংক্রান্ত বিষয়ে যে ধরনের শর্ত আছে, জিএসপি প্লাসের ক্ষেত্রে তা আরো কঠোর হবে। এ শর্তগুলো যদি অনুসরণ ও প্রতিপালন করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে জিএসপি প্লাসের জন্য আবেদন করা সম্ভব হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশ যে অনুপযুক্ত, সেটি নিশ্চিত করেছেন ইইউ প্রতিনিধিরা।

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া আরেকটি সূত্রমতে, প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপরই নির্ভর করছে বিদ্যমান জিএসপি সুবিধা থাকা না-থাকা বিষয়টি। ২০১৭ সালের শেষ দিক থেকেই তারা বলছে, শ্রমসংক্রান্ত ইস্যুগুলো কমপ্লাই না করলে জিএসপি থাকবে না। জিএসপি স্কিমের আওতায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা বাংলাদেশ নিচ্ছে। এ সুবিধার ফল সমাজের সবাই সমানভাবে পাচ্ছে কিনা, এটা পর্যবেক্ষণেই তারা এসেছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এটাই জিএসপি নিয়ে তদন্তের প্রাথমিক দল। এ দলের সদস্যরা সন্তুষ্ট না হলে চূড়ান্ত তদন্ত শুরু হবে। তারা যদি দেখে, শ্রম আইনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তাহলে তারা কখনই চাইবে না জিএসপি বাতিল হোক। তবে তদন্তে যাওয়ার আগে ইইউ আগামী নভেম্বরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পর্ষদের সভার জন্য অপেক্ষা করবে। ওই সভায় শ্রমসংক্রান্ত ইস্যুতে বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনার ওপর নির্ভর করবে জিএসপির চূড়ান্ত তদন্ত। তবে নিশ্চিতভাবেই জিএসপি অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে বাংলাদেশের সংশয় এখনই কাটছে না।

ইসি বাংলাদেশ সূত্রমতে, ২০২৪ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা থাকবে না। তখন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাসের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা আদায় করতে হবে। বর্তমানে জিএসপি প্লাসের শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ওই সুবিধার জন্য এখনো উপযুক্ত নয়। বাংলাদেশকে অনুরোধ করতে হবে। একই সঙ্গে ইইউকেও বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধার আওতায় রাখতে শর্তে পরিবর্তন আনতে হবে।

জিএসপির আওতায় ইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী দেশ বাংলাদেশ। এ সুবিধা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে। ২০১৬ সালে ইবিএ সুবিধার আওতায় ইইউতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো।

কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে বাংলাদেশ। এসব কার্যক্রমের মধ্যে পোশাক খাতের কারখানাগুলোর মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক জোটের কর্মসূচি প্রায় শেষ পর্যায়ে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপীয় ক্রেতা জোটের তথ্য অনুযায়ী, কারখানার সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশের বেশি। স্থানীয় উদ্যোগের মূল্যায়ন কার্যক্রম চলবে ২০২১ সাল পর্যন্ত। এভাবে পর্যায়ক্রমে কর্মপরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে।

শ্রম অধিকার-বিষয়ক আইনি প্রক্রিয়াগুলোয়ও পরিবর্তন এসেছে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে শ্রম আইনের সংশোধনী। সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করার সদস্যসীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে শিশুশ্রমের বয়সসীমায়। বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোয় (ইপিজেড) সরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরিদর্শন কার্যক্রমও শুরু হতে যাচ্ছে। এছাড়া ইপিজেডের অভ্যন্তরে বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রম সংঘের বিধান নিয়ে কাজ করেছে সরকার। কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে এভাবে পর্যায়ক্রমিক কার্যক্রম ও অগ্রগতি চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্মপরিবেশের উন্নতি ও শ্রম অধিকার সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১৩ সালের ২৭ জুন তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক আদেশে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেন। এ সুবিধা পুনর্বহালে বাংলাদেশের জন্য ১৬টি শর্তও দেয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার শর্তগুলো পূরণ করেছে বলে দাবি করলেও জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা / সেপ্টেম্বর ১৬,২০১৮ 

ফের বড় অঙ্কের ঋণ পাচ্ছেন খেলাপিরা

দেলোয়ার হুসেন


বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) রিপোর্ট জালিয়াতি করে খেলাপিরা নতুন করে বড় অঙ্কের ঋণ পেয়ে যাচ্ছেন। এভাবে তুলে নিচ্ছেন একাধিক ঋণ। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণের তথ্য আড়াল করে ঋণ নবায়নও করে নিচ্ছেন। আগের ঋণ পনর্গঠন বা ঋণসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও হালনাগাদ সিআইবি প্রতিবেদন জমা না দিয়েই বেআইনিভাবে এসব সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী চক্রটি।

কতিপয় অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঋণখেলাপিরা প্রকৃত সিআইবি প্রতিবেদন গোপন করে এসব জালিয়াতি করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চারটি ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ ও ভিজিলেন্স বিভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে তদন্ত করে সিআইবি প্রতিবেদন জালিয়াতির বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়েছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতি ধরে মার্চ থেকে এ তদন্ত শুরু করেছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন তদন্তে ঋণখেলাপিদের সিআইবি রিপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা উঠে আসার পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এসব জালিয়াতি বন্ধ করতে ব্যাংকগুলোর প্রতি কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে কোনোক্রমেই হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট ছাড়া গ্রাহককে নতুন ঋণ দেয়া যাবে না। একই সঙ্গে আগের ঋণ নবায়ন, পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও হালনাগাদ সিআইবি প্রতিবেদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা হালনাগাদ সিআইবি প্রতিবেদন ছাড়া নতুন ঋণ মঞ্জুর, আগের ঋণ নবায়ন বা পুনর্গঠন করতে প্রস্তাব করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর মহাব্যবস্থাপক মনছুরা খাতুন যুগান্তরকে বলেন, নতুন ঋণ মঞ্জুর, খেলাপি ঋণ নবায়ন বা ঋণসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে হালনাগাদ সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ করা বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক।

যেসব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হালনাগাদ সিআইবি প্রতিবেদন ছাড়া এসব কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জরিমানা আরোপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সিআইবি এখন সব সময়ই হালনাগাদ থাকে। অনলাইনে প্রতিবেদন সংগ্রহ করা সম্ভব বলে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সহজেই এটি করতে পারে। কোনো খেলাপিই যাতে নতুন ঋণ সুবিধা পেতে না পারে সেজন্য এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোনো ঋণখেলাপি নতুন কোনো ঋণ পেতে পারেন না। একইভাবে ঋণখেলাপিদের ঋণ নবায়ন, ঋণসীমা বাড়ানো বা এলসি খোলা, ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়ার ক্ষেত্রে সিআইবি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের সিআইবি রিপোর্ট আমলে নেয়া হয়। এর বেশিদিনের রিপোর্ট আমলে নেয়া যাবে না। কোনো ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কাজ সম্পন্ন করতে বেশি সময় লাগলে প্রয়োজন হলে দ্বিতীয় দফায় সিআইবি প্রতিবেদন নিতে হবে। ঋণ মঞ্জুরের তারিখের দিন থেকে ৬০ দিনের বেশ আগের সিআইবি প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হালনাগাদ সিআইবি প্রতিবেদন নিলে গ্রাহকের ঋণের সার্বিক চিত্র ফুটে উঠবে। ফলে ব্যাংক গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সংস্কৃতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবে। এটি বাস্তবায়ন করা হলে ঋণখেলাপিরা ঋণ সংক্রান্ত কোনো বাড়তি সুবিধা পাবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকের শাখাগুলোতে বড় অঙ্কের ঋণের নথিপত্র পর্যালোচনাকালে দেখা যায়, বড় অঙ্কের ঋণের সিআইবি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে তারা শুধু কোড নম্বর উল্লেখ করে। কোনো তারিখ উল্লেখ করে না। এর ফলে ঋণ মঞ্জুর, নবায়ন বা পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ৬০ বেশি পুরনো কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা মেনে চলতে দেখা যায় না। এতে করে নতুন ঋণ মঞ্জুর, খেলাপি ঋণ নবায়ন বা ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে খেলাপিরাও নতুন ঋণ পেয়ে যাচ্ছে বা ঝুঁকি বিবেচনা না করেই খেলাপি ঋণ নবায়ন করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহক সম্পর্কে হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট না থাকার কারণে ঋণখেলাপিদের অনুকূলে ঋণ প্রদানের সুযোগ থাকে। এতে ব্যাংকের ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়। কেননা খেলাপিরা নতুন ঋণ পেলে ব্যাংকিং খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকে ক্রিসেন্ট গ্রুপের রফতানি বিল বকেয়া থাকায় ফোর্সলোন সৃষ্টি করে দেনা শোধ করা হয়েছে। হলনাগাদ সিআইবি প্রতিবেদন ছাড়া গ্রাহককে নতুন ঋণ দেয়া হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে জারা নিটিং টেক্সের ক্ষেত্রে। সিআইবি রিপোর্ট জালিয়াতি করে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন কামরুন নাহার। তিনি একটি সরকারি ব্যাংকে ঋণখেলাপি ছিলেন। কিন্তু তাকে ঋণ ব্যাংক খেলাপি না দেখিয়ে নিয়মিত দেখিয়েছে। পরবর্তীকালে বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে ধরা পড়ে। আরও একটি সরকারি ব্যাংকে সিআইবি রিপোর্ট গোপন করে এলটেক্স, থার্মেক্স গ্রুপকে ঋণ দেয়া হয়। জনতা ব্যাংক ও একটি বেসরকারি ব্যাংক একই প্রক্রিয়ায় সোহেল গ্রুপকে ঋণ সুবিধা দিয়েছে।

  • কার্টসিঃ যুগান্তর/ সেপ্টেম্বর ১৫,২০১৮ 

গৃহপালিত

সুমন্ত আসলাম

ক্লাস সিক্সে ওঠার পর, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে যে ইংরেজি রচনাটির প্রতি আমরা গভীর নজর দিতাম, সেটি হলো- দি কাউ। এক বছর পরপর রুটিনমাফিক এ রচনাটি বার্ষিক পরীক্ষায় আসত। কোনো কোনো সময় প্রতি বছরই আসত। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে উচ্চ বিদ্যালয়ে পা দিয়েই নতুন বইগুলোর অনেক প্রথম পড়ার মধ্যে ওই 'দি কাউ' রচনাটি মুখস্থ করে ফেলতাম আমরা। বুঝে হোক, না বুঝে হোক, প্রায় হাজার শব্দ সংবলিত ইংরেজি ওই রচনাটি নিউরনে গেঁথে ফেলতাম। স্যার জিজ্ঞেস করতেই গড়গড় করে উগরে দিতাম; পরীক্ষার খাতায় লিখে ফেলতাম অ-তে অজগর, আ-তে আমের মতো। আর ওই দি কাউ ইংরেজি রচনাটির প্রথম বাক্যটি ছিল- দি কাউ ইজ এ ডমেস্টিক অ্যানিম্যাল। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়- গরু একটি গৃহপালিত জন্তু।

পণ্ডিত নগেন মুন্সী স্যার বাংলা দ্বিতীয় পত্র পড়াতেন আমাদের। সিরাজগঞ্জের জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের স্যার একদিন স্কুলে না আসায় তার ওপর দায়িত্ব পড়ল সেদিনের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাসটা নেওয়ার।

স্যার ক্লাসে এলেন এবং কী একটা অজানা কারণে দি কাউ রচনাটি পড়াতে শুরু করলেন। গৃহপালিত ব্যাপারটা তিনি বোঝাতে লাগলেন; মুগ্ধ হয়ে আমরা তা শুনতে লাগলাম। সারা ক্লাস তথা সারা স্কুলের সবচেয়ে দুষ্টু ছাত্র ছিল ক্ষুুদিরাম; সংক্ষেপে যাকে আমরা ডাকতাম ক্ষুদু। ওই প্রতিভাধর দুষ্টুটি পড়ত আবার আমাদের ক্লাসেই। বেঞ্চ থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে ও বলল, 'স্যার, আপনি বললেন- গৃহে যাদের পালা হয়, তারা গৃহপালিত। কিন্তু একটা প্রাণীকে আমরা কেউ গৃহে পালি না, অথচ নিয়মিত আমাদের গৃহেই থাকে। আমরা কি তাকে গৃহপালিত বলব?'

স্বভাবসুলভ ব্যক্তিত্ব ছড়ানো হাসি দিয়ে স্যার বললেন, 'প্রাণীটির নাম কী?'

ক্ষুদু বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে বলে ফেলল, 'টিকটিকি।'

স্যার জুতসই একটা উত্তর দেওয়ার জন্য ভাবছিলেন, তার আগেই ক্ষুদু ওর মাথার পেছনটা এমনি চুলকাতে চুলকাতে বলল, 'স্যার, গৃহপালিত শব্দটা শুনলেই কেমন যেন মনে হয়- ওটি একটি অবহেলিত ব্যাপার, কিন্তু তা আবার উপকারীও।'

স্যার না বোঝার ভান করে বললেন, 'একটু খুলে বলো তো?'

'গৃহপালিত শব্দটা বললে প্রথমেই মনে আসে গরুর কথা। নিরীহ শ্রেণির এই প্রাণীটিকে আমরা সারাজীবন অবজ্ঞা করি, অবহেলার চোখে দেখি। অথচ ওটা মানুষের চেয়ে মহান, মানব জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ।'

'কীভাবে?' বেশ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন স্যার।

'আমরা মানুষরা একটা সময় গরুর দুধ খেয়ে বড় হই, কিন্তু গরুর বাচ্চার জন্য মানুষের ও রকম কিছু প্রয়োজন হয় না।'

'ঠিক।'

'আবার এই যে আমি-আপনি সুন্দর সুন্দর জুতো পায়ে দিই, তা কিন্তু ওই গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি। মানুষ গরুর চামড়া ব্যবহার করে, কিন্তু গরু মানুষের চামড়া ব্যবহার করে না কখনও।'
'এটাও ঠিক।'

'পুষ্টির জন্য আমরা গরুকে যখন-তখন জবাই করি, কিন্তু গরুর পুষ্টির জন্য তাজা ঘাসই যথেষ্ট। মানুষের মাংস তো দূরের কথা, মানুষের কোনো কিছুই লাগে না তাদের।'

'যথার্থ বলেছো তুমি।'

'আরও একটা খারাপ ব্যাপার আছে- মানুষকে গালি দেওয়ার সময় আমরা অনেক ক্ষেত্রে গরু শব্দটি ব্যবহার করি; গরু কখনও গালি দেয় না। আর স্লিপ অব টাংয়ের মতো দিলেও তখন মানুষ শব্দটা মুখে আনে না।'

'এসব কথা বলে তুমি কী বুঝাতে চাচ্ছো?'

'গৃহপালিত শব্দটা আমরা যতই তাচ্ছিল্যভাবে নিই না কেন, যতই গরুর ছবি ভেসে উঠুক না কেন, ওটার প্রতিশব্দ আসলে- উপকারী।'

'ঠিক, ঠিক।' স্যার আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার ঘণ্টা পড়ে যাওয়ায় আর কিছু বলতে পারেন না। ক্ষুদুর দিকে তাকিয়ে মোলায়েম একটা হাসি দেন তিনি।

আমরা সেদিনই স্যারের মুখে প্রথম ও রকম হাসি দেখেছিলাম।

অবশ্য আমেরিকান বিপ্লবী আল জেন পু অন্য রকম একটা কথা বলেছেন- 'গৃহপালিত চাকুরিজীবীরা বড়ই অসহায়। তারা তাদের বসদের খামখেয়ালির শিকার হয় সব সময়।'

লেখক এবং কবিরা মনের কথা লেখেন। মাঝে মাঝে বলেও ফেলেন। আর তাই তো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও বলেছেন, 'আমরা আর গৃহপালিত বিরোধী দল হতে চাই না।'

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- যারা গৃহপালিত, সারাজীবন তাদের গৃহপালিত হয়েই থাকতে হয়। সেটা গরু-ভেড়া-ছাগলই হোক, মোরগ-মুরগিই হোক, কুকুর-বিড়াল-খরগোশই হোক। এক ধরনের অভ্যস্ততা তৈরি হয়ে যায় তাদের মধ্যে। হু.মু. এরশাদ যেহেতু তার পুরো বাক্যটার মধ্যে বলেছেন- 'আর গৃহপালিত বিরোধী দল হতে চাই না' এবং এটা দ্বারা পক্ষান্তরে দ্ব্যর্থহীন স্বীকার করেছেন- তিনি গৃহপালিত বিরোধী দলে পরিণত হয়েছিলেন, ছিলেন। 

সুতরাং তিনি সেটা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন কি-না, সেটা সময়ের ব্যাপার। কারণই ওই যে- গৃহপালিত ব্যাপারটা অভ্যস্তের। তাই তো রূঢ় রসগল্পের কথাটা মনে পড়ে যায় আমাদের- সংসারে আমরা সবাই কমবেশি গৃহপালিত। নানা যন্ত্রণা সয়েও আমাদের অধিকাংশ মেয়ে সারাদিনের সংসার-ধর্ম পালন করেন ওই গৃহপালিত হয়েই। এ ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই- এটা ঠিক না; বরং আপনজনদের ভালোবেসেই তারা গৃহছাড়া হতে চান না কখনোই।

আর আমরা ছেলেরা? যতই ঠাট-বাট করে সময় কাটাই না কেন, দিন শেষে, কখনও মাঝ রাত্রিতে ঘরের দরজায় এসে মিনতির স্বরে বলি, 'এই, দরজাটা একটু খোলো না।' তারপর আপনজনের হাতের ঠাণ্ডা পানি সেবন করতে করতে গৃহপালিত প্রাণীর মতো গা-টা এলিয়ে দিই বিছানায়। জাবর কাটতে থাকি সারা দিনের সুখ-দুঃখের। ব্রিটিশ অভিনেত্রী সিয়েনা মিলার অবশ্য অনেক আগেই ঘোষণা করছেন, 'আমি সত্যিকার অর্থেই একজন গৃহপালিত।' আর আমেরিকান অভিনেত্রী মে ওয়েস্ট বলেছেন, 'মানুষ সাধারণত দু'ধরনের মানুষকে পছন্দ করে- এক, আমদানিকৃত, দুই. গৃহপালিত।'

আসুন, এখন থেকে আত্মস্বীকৃত গৃহপালিত নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে পছন্দ করতে শুরু করি আমরা। কারণ গৃহপালিত ব্যাপারটা খারাপ না; উপকারী!

  • কার্টসিঃ সমকাল/ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮