Search

Tuesday, October 2, 2018

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরেনি

হাফিজ মাহমুদ 


পরিবহন শ্রমিক-মালিকদের দৌরাত্ম ও সাধারণ মানুষের অসচেতনতার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটেছে একের এক সড়ক দুর্ঘটনা। রীতিমতো হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরি হয়েছিল সড়ক ব্যবস্থাপনায়। চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজপথে নেমে এসেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা দেশব্যাপী শুরু করেছিল টানা আন্দোলন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয় বিভিন্ন পদক্ষেপ। হঠাৎ করেই রাজধানীতে ট্রাফিক সপ্তাহ পালনের ঘোষণা দেয় পুলিশ। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসে ১৭টি নির্দেশনা। সংসদে পাস হয় সড়ক পরিবহন আইন। সর্বশেষ সেপ্টেস্বর মাসব্যাপী ডিএমপির ট্রাফিক সচেতনতা দিবস পালন।

সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কাউটস, বিএনসিসি সদস্যদের পুলিশের কাজে সহযোগিতা। এরই মধ্যে ডিএমপির ট্রাফিক সচেতনতা দিবসও শেষ হতে চলছে। এরপরেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় ফিটনেসবিহীন বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কর্মকর্তা। 

একই সময়ে ফার্মগেটে চলন্ত বাসে উঠতে গেলে পা পিছলে বাসের নিচে চলে যান এক নারী। যাত্রীদের চিৎকারে চালক ব্রেক কষে বাস থামালে প্রাণে রক্ষা পায় ওই নারী। গতকাল সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এবং সাধারণ মানুষ, পথচারী, চালক-চালকের সহকারী, পরিবহন মালিকদের ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে রাজধানীর সড়কের নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভিন্ন চিত্র পাওয়া যায়। কিছু পয়েন্টে পরিবহনকে আইন মানতে দেখা গেলেও অধিকাংশ স্থানে দেখা গেছে তাদের বিশৃঙ্খলার চিত্র।

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে লক্ষ্য করা গেছে সড়কে ভিন্ন চিত্র। পূর্বের থেকে এখানে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। নির্দিষ্ট সিগন্যাল ছাড়া গাড়ি থামছে না। পথচারীরা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছে। কেউ সড়ক থেকে যেতে চাইলে তাদের স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে ফুটপাথ-ওভারব্রিজ দিয়ে চলতে বাধ্য করাচ্ছে। এখানে ট্রাফিক পুলিশের চারজন সদস্য একজন সার্জেন্ট ও একজন ইন্সপেক্টর কাজ করছেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী রয়েছেন ৪০ জন। এত কিছুর পরও এখানে অনেক গাড়ি চলছে বেপরোয়া। পুলিশ দেখলেই দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে। তাছাড়া যাত্রী তুলছে-নামাচ্ছে যত্রতত্র। এখানে কথা হয় স্কাউট সদস্য আল-আমিনের সঙ্গে। 

তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষকে ট্রাফিক আইন-কানুন মেনে চলতে সচেতন করি। ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারের আহ্বান জানাই। অনেকেই আমাদের কথা শুনে সড়কে চলেন না। তবে কিছু মানুষ আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তারপরও আমরা মনে করি মানুষ আগের থেকে এখন অনেক সতর্ক। তারা আইন মানছেন।

১০ নম্বর গোলচত্বরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রয়েছেন মো. নিজামুদ্দিন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ট্রাফিকের জনবল কম। সড়কের অবস্থাও খারাপ। এ কারণে আমরা সফল হচ্ছি না। যেখানে একটা ক্রসিং দিয়ে একসঙ্গে চার থেকে পাঁচটি বাস যেতে পারে, সেখানে ২০ থেকে ২৫টি বাস একসঙ্গে চলে আসে। এ কারণে শৃঙ্খলা পুরোপুরি ফিরছে না। তবে এখন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ঠিক হয়েছে। এছাড়া গাড়ির চালক-তার সহকারীরাও দিন দিন সতর্ক হচ্ছে। কারণ পুলিশ কোনভাবেই ছাড় দিচ্ছে না। পুলিশের কঠোর মনোভাবের কারণে তারা সড়কে আগের থেকে বেশি নিয়ম মানছে। তিনি আরো বলেন, বৈধ কাগজ থাকার পরও প্রায় প্রতিটি গাড়ির ও তার চালকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেই।

তবে মিরপুর ১০ নম্বরের চিত্র সড়কের অন্য কোথাও তেমন চোখে পড়েনি। যেসব জায়গায় পুলিশ রয়েছে শুধু সেখানেই চালক এবং তার সহকারীরা কিছুটা সতর্ক রয়েছে। বাকি সড়কে আগের অবস্থাই তারা যাত্রী উঠাচ্ছে-নামাচ্ছে। তারপরে নির্দিষ্ট স্টপেজেও গাড়ি থামছে না। যেখানে স্টপেজ তার থেকে এক দুইশ গজ আগে-পরে গাড়ি থামছে। লোকজনও দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে। আর নির্দিষ্ট স্টপেজে দেখা যায় রিকশা কিংবা অন্যান্য যানবাহন থামাতে। রাজধানীর কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড। এখানে ডিএমপির নির্দিষ্ট বাস স্টপেজের সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে ইবনেসিনা মেডিকেল কলেজের সামনে। অথচ বাস থামছে তার অনেক সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে। কোনো বাসই থামছে না নির্দিষ্ট স্টপেজে। এখানে পুলিশ থাকলে তারা দেখেও দেখছে না। একই চিত্র দেখা গেছে শ্যামলী, শিশুমেলা, কলেজগেটসহ রাজধানীর অধিকাংশ বাস স্টপেজে।

ডিএমপির ঠিক করে দেয়া নির্দিষ্ট স্টপেজে কেউ গাড়ি থামাচ্ছে না। এখানে প্রজাপতি পরিবহনের চালক মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা আইন মানতে চেষ্টা করি। যাত্রীরা নির্দিষ্ট স্টপেজে দাঁড়ায় না। যে কারণে আমরা নিয়ম মানতে পারি না। এছাড়া নির্দিষ্ট স্টপেজে যাত্রী নামাতে গেলেই তারা চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। বলেন, এত দূরে নিচ্ছেন কেন? আবার যেখানে স্টপেজ দেয়া সেখান থেকে যাত্রীও পাই না। একই কথা বলেন, নিউ ভিশন বাসের চালকের সহকারী নান্টু মিয়া। 

তিনি বলেন, আমরা যাত্রী তুলে দরজা বন্ধ করে দিতে চাই। যাত্রীরা অনেক সময় ঝগড়া করে দরজা খোলা রাখে। অন্যদিকে নির্দিষ্ট স্টপেজে যাত্রী পাই না বলেও দরজা খোলা রাখতে হয়। এরপরে আমাদের তো পুলিশ ছাড়েই না। একটু ভুল করলেই মামলা দেয়। তারা দেখে না ওইদিন আর কোন মামলা দিয়েছে কিনা। একই দিনে পুলিশ একটি গাড়িকে একাধিক মামলা দিলে আমরা কই যাবো।

তবে বাস মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ সহযোগিতা করলে বাকিটা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার। কোনো এক পক্ষ যদি সহযোগিতা না করে তাহলে সম্পূর্ণ শৃঙ্খলা ফিরানো সম্ভব না। তারপরও তারা পরিবহন শ্রমিক, গাড়ি চালক ও সহকারীদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একটা অনিয়ম যাতে দীর্ঘদিন না চলতে পারে সে চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। 

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকার বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে মাঠে আমাদের চারটি টিম নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। অধিকাংশ পরিবহনকে শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে ঢাকায় যেসব বাস চুক্তিভিত্তিক চালাতো তা বাতিল হয়েছে। তিনি জানান, চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো বন্ধ না করায় পাঁচটি কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করেছেন। আর ঢাকায় বাসগুলো কাউন্টার পদ্ধতিতে চলাচলের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনের কাছে এজন্য চিঠিও দিয়েছেন। এ পরিবহন মালিক নেতা আরো বলেন, দুর্ঘটনার জন্য কেবলমাত্র পরিবহন চালকরা দায়ী নয়। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সাধারণ মানুষও দায়ী। তারা ঠিকভাবে সড়কে ব্যবহার করেন না।

এছাড়া সেপ্টেম্বরের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার এ মাসকে ট্রাফিক সচেতনতার মাস ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ঢাকার সড়কে ১২১টি বাস স্টপেজ, ৪০টি চেক পোস্ট এবং নিরাপদ সড়কের জন্য জেব্রা ক্রসিংসহ বিভিন্ন বিষয় সাধারণ মানুষকে অবহিত করেন। এ সময় তিনি হেলমেটবিহীন কেউ মোটরসাইকেল চালাতে পারবে না বলেও ঘোষণা দেন। এছাড়া লেগুনা, হিউম্যান হলারসহ সব অবৈধ যানবাহনও বন্ধের ঘোষণা দেন। 

পরবর্তীতে কিছু সড়কে লেগুনা চলতেও দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানে জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন এবং সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। ঘোষিত ট্রাফিক সচেতনতা মাসের শেষদিকে এসে সড়কে শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরাপদের সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরে ঢাকার ট্রাফিকের অনেকটা কাজ হয়েছে। আমরা বেশিরভাগ ঠিক করতে পেরেছি। ঢাকা শহরে ভালো বাস সার্ভিস চালু করতে পারলে শৃঙ্খলাটা আরো দ্রুত ফিরতো। আমরা বাস স্টপেজ নিয়ে কাজ করছি। যদিও এটা এখনো তারা মানছে না। আশা করি এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তিনি বলেন, লক্কড়ঝক্কর বাসগুলো তুলে দেয়া হবে। আমরা আগের অবস্থায় কঠোর আছি। সড়কে আইনশৃঙ্খলার জন্য আমরা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখছি। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন দুই থেকে তিনি হাজার মামলা হয়। আর বিশেষ অভিযানের সময় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মামলা হয়। শুধু মামলা দিয়ে নয়, অন্যান্য সমস্যাও রয়েছে সেগুলো সমাধানের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে হবে। 

  • কার্টসি: মানবজমিন  /০২ অক্টোবর ২০১৮ 

জনসভার অধিকার

সম্পাদকীয়

জনদুর্ভোগ বাড়ানো সরকারের কাজ নয়


যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করা সংবিধানে স্বীকৃত অধিকার হলেও বিরোধী দলকে কদাচিৎ সেই সুযোগ দেওয়া হয়। যুক্তিসংগত বাধানিষেধ তখনই আরোপ করা যেতে পারে, যখন জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু যাঁরা আইনের প্রয়োগ করবেন, তাঁরাই যদি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?

যেখানে সরকারি দল বা জোট চাইলেই সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পায়, সেখানে বিরোধী দলকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সংবিধানকে অস্বীকার করার শামিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সরকারের সহযোগী বলে পরিচিত বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করলেও নিকট অতীতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে সেই সুযোগ না দেওয়া ছিল দুর্ভাগ্যজনক। নানা বাগ্‌বিতণ্ডার পর ২২ দফা শর্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিএনপিকে গত রোববার সেখানে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে এবং বিএনপিও শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা করে তাদের দাবিদাওয়ার কথা বলেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। এ জন্য ডিএমপি ধন্যবাদ পেতে পারত, যদি না তারা জনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দিত।

রোববার ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে পুলিশ প্রহরা ও তল্লাশি চালানোয় এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেদিন ঢাকা শহরে বাইরে থেকে যেসব যানবাহন ঢুকেছে, পুলিশ সেখানেই তল্লাশি চালিয়েছে। চিকিৎসা, পরীক্ষাসহ জরুরি কাজে আসা মানুষও তাদের এই অভিযান থেকে রেহাই পায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পুলিশের তল্লাশির কারণে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট হয়েছে গাবতলীতে। অনেক যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে, কেউ কেউ হেঁটে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এ ব্যাপারে ডিএমপির পক্ষ থেকে ‘রুটিন তল্লাশির’ যে অজুহাত দেখানো হয়েছে, সেটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। রুটিন তল্লাশিটি কেন বিএনপির নির্ধারিত জনসভার দিন হবে? আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টির জনসভার দিন পুলিশকে কেন এ রকম তল্লাশি চালাতে দেখা যায় না? ঢাকার বাইরে থেকে কে জনসভায় এসেছেন, কে অন্য কাজে এসেছেন—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটিই-বা কীভাবে ফারাক করবে? তারা যখন জনসভার অনুমতি দিয়েছে, তখন সেখানে যে কারও যাওয়ার পথও খোলা রাখতে হবে। পুলিশের দেখার দায়িত্ব কেউ জনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করে কি না; মোড়ে মোড়ে চৌকি বসিয়ে তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা নয়।

যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায়ই ঢাকা শহরের মানুষ যানজটে নাকাল, সেখানে একটি দলের জনসভার দিনে এ ধরনের তল্লাশি চালানো অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলেই মনে করি। এর আগেও বিএনপির জনসভা বা অন্য কোনো কর্মসূচির দিনে পুলিশকে তল্লাশি অভিযানে নামতে দেখা গেছে। আবার বিএনপি সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের জনসভা বা কর্মসূচিকেও এভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই অপসংস্কৃতি থেকে আমরা কবে বের হয়ে আসতে পারব?

নির্বাচন সামনে রেখে সব দলই সভা-সমাবেশ করবে, নতুন নতুন কর্মসূচি নেবে। কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন জনদুর্ভোগ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যায়। ছুটির দিনের বাইরে ঢাকায় সভা-সমাবেশ না করার একটি দাবি ছিল নগরবাসীর পক্ষ থেকে। বিএনপিও সমাবেশটি করতে চেয়েছিল আগের দিন শনিবার। কিন্তু ১৪ দলের জনসমাবেশ থাকায় তারা কর্মসূচিটি এক দিন পিছিয়ে নেয়। ভবিষ্যতে কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম সমন্বয় হলে জনদুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে আশা করি। জনদুর্ভোগ বাড়ানো সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ নয়।

  • কার্টসি: প্রথম আলো /০২ অক্টোবর ২০১৮

Participation is a precondition for good election

EDITORIAL

Don't create impediments



People wish to see a free, fair and healthy election. And we think this is also what the government and the ruling party would like to see. This can only happen if there is unhindered participation of all parties. That includes the space for carrying out all kinds of peaceful political activities leading up to the election. Thus, to the extent that the BNP was allowed to hold a meeting in Suhrawardy Udyan, it was heartening to see it go peacefully. But nevertheless, it leaves a few questions too.

We believe that political activities, of the opposition parties in particular, should not be restricted by imposing conditions, as was the case in respect of the BNP's meeting on Sunday. It had to fulfill twenty-two conditions to hold the rally. We wonder if similar requirements are or will be levied on all the other parties who have used or will use that or any other venue. Security checks on public transports on the highways, which put the commuters in great distress, are seen by many as another ploy to create impediments to the movement of party supporters towards the meeting place. We wonder why the newly formed coalition's request for permission to hold two rallies outside Dhaka was turned down.

It is also disturbing to see the vicious criticisms from the ruling party against a new political initiative for a coalition of opposition parties. The AL cannot fail to see the benefits of more parties and more contestants vying for the parliament seats in the 11th parliamentary polls. In fact, no prospective contestants should be discouraged or actively prevented from participating in the elections, because that would give more options to the people to choose the candidates of their choice. And that would ensure more participation.

We want a peaceful poll, more contestants and more options to choose from. And that should be encouraged.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 02, 2018

Ex-CJ Sinha seeks political asylum in US

Graft case filed against him in Dhaka


Former chief justice Surendra Kumar Sinha on Saturday said he had sought political asylum in the United States. He also told the BBC Bangla Service on Sunday that there were risks to his life in Bangladesh. “Militants have attempted to kill me on multiple occasions. My wife was attacked. My village home was set on fire,” he told the BBC.

Justice Sinha, who is in the United States now, also said, “My heart is bleeding. Coming here as a chief justice and then seeking political asylum raises questions about our country, government and values… But who will ensure my safety?”

He held a press conference in Washington DC on Saturday.

On Thursday, barrister Nazmul Huda, chief of Bangladesh National Alliance and former communications minister, filed a case with Shahbagh Police Station accusing Sinha of corruption, Abul Hasan, officer-in-charge of the police station, told The Daily Star yesterday.

In another development, the Anti-Corruption Commission decided to look into an allegation of money laundering against Justice Sinha's younger brother Ananta Kumar Sinha.

Pranab Kumar Bhattacharya, ACC public relations officer, told The Daily Star yesterday that an officer would soon be asked to investigate into an allegation that Ananta had sent Tk 2.3 crore to New Jersey illegally.

An autobiography of Justice Sinha titled “A Broken Dream: Rule of Law, Human Rights and Democracy” came out on September 16.

Lalitmohan-Dhanabati Memorial Foundation holds the copyright of the book.

In his autobiography, Justice Sinha wrote about his early life, his appointment as chief justice of Bangladesh, the separation of power and the independence of judiciary, 16th amendment to the constitution and its aftermath, ethical values of judges of the highest court and politicians, and the circumstances behind his resignation.

  • Courtesy: The Daily Star/ Oct 02, 2018

Over 400 activists held on Sunday - BNP


Bangladesh Nationalist Party on Monday claimed that the law enforcing agencies arrested more than 400 leaders and activists of the party as part of the government’s bid to foil a public meeting of BNP in Dhaka on Sunday. 

The leaders and activists were arrested on their way to and from the rally at Suhrawardy Udyan in Dhaka, said BNP’s senior joint secretary general Ruhul Kabir Rizvi at a news briefing.

He alleged that the ruling party activists with the help of police stopped public transports and restrained people from joining BNP meeting at different places in and around the Dhaka city. 

He said leaders and activists from Dhaka, Tangail, Mymensing, Narayanganj, Kishoreganj, Munshiganj, Gazipur and Brahmanbaria, including the party’s national executive committee member Mobasher Alam Bhuiyan, central leader Mojibur Rahman, Dhaka north city unit organising secretary Sohel Rahman were arrested.

In response to a comment of Awami League general secretary Obaidul Quader that the gathering at BNP’s rally indicated a decline in its popularity, Rizvi said the government had started shivering seeing the huge gathering at the public meeting. 

He expressed concern over sending BNP’s finance affairs secretary Khaled Mahbub Shyamal to jail on Sunday after he appeared before a Brahmanbaria court.

  • Courtesy: New Age /Oct 02, 2018

Quader announces polls schedule without consulting EC

Election commissioner Kabita Khanam on Monday said that ruling Awami League general secretary Obaidul Quder did not talk to the Election Commission before stating that the commission would announce the schedule for the next national election in the first week of November.

At a press conference at her office, she said that the schedule for the next general election would be announced in a meeting of the commission led by chief election commissioner KM Nurul Huda.

Obaidul Qurder, also the road transport and bridges minister, made the comment on Sunday at his ministry.

Earlier on September 19, finance minister AMA Muhith said that the next general election was likely to be held on December 27.

A day after he made the comment, the chief election commissioner said that finance minister AMA Muhith had no authority to declare the schedule of general election and it was not his duty either.

He also said that declaring the polls date was not finance minister’s duty and it was not proper for him either.

  • Courtesy: New Age /Oct 02, 2018

সন্দেহের ভিত্তিতে ধরে ধরে মামলা দেওয়া হচ্ছে










বিএনপির রোববারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকার ৩৩টি থানায় ৪২টি মামলায় ১৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে


আসামির কাঠগড়ায় ডালিমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোকেয়া বেগম। ডালিম সম্পর্কে রোকেয়ার নাতি। রোকেয়ার দাবি, ডালিম (২৩) কেরানীগঞ্জের একটি গ্রিলের কারখানায় কাজ করেন। বন্ধুদের সঙ্গে রোববার গুলিস্তানে এলে সেখান থেকে তাঁকেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ওয়ারী থানা-পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির রোববারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে ঢাকার ৩৩ থানায় ৪২ মামলায় ১৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ঢাকার আদালত ডালিমকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। ডালিমের রিমান্ডে নেওয়ার খবর শুনে দাদি রোকেয়া প্রথম আলোকে বলেন, ডালিমের নামে আগে কোথাও মামলা নেই। রাজনীতিও করেন না। তাঁর বাবা সেলিম মিয়া নৌকা চালিয়ে সংসার চালান। রোকেয়া ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, এখন ডালিমের মামলার খরচ চালাবে কে?

ডালিমের বন্ধু অনিক। তাঁর বাড়িও কেরানীগঞ্জ। অনিকের আইনজীবী হাবিবুর রহমান আদালতে দাবি করেন, রোববার সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপির সমাবেশ ছিল। ঢাকার কোথাও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে—এমন কোনো খবর টেলিভিশন কিংবা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। তাঁর মক্কেল অনিককে গুলিস্তান থেকে ধরে নিয়ে বলছে, ওয়ারীর জয়কালী মন্দির এলাকায় অনিক নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।

ডালিম, অনিকসহ ১৩ জনকে সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ওয়ারী থানা-পুলিশ ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত প্রত্যেককে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশকে অনুমতি দেন।

আসাদুজ্জামান রোববার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেয়। ঢাকার আদালত এবং পুলিশ সূত্র বলছে, বিএনপির রোববারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকার ৩৩টি থানা-পুলিশ ৪২টি মামলায় ১৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তার সব আসামি বিএনপি ও এর অঙ্গ–সংগঠনের নেতা-কর্মী। এঁরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যানচলাচলে বাধা দেন, সরকার বিরোধী স্লোগান দেন। এ ছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটান এবং নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড ঘটান। এসব ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ১৩৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

তবে গ্রেপ্তার আসামিদের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, হয়রানি করার জন্য পুলিশ এসব আসামিকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আদালতের কাছে দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকার আদালতে দেখা যায়, বেলা দুইটার পর থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বজনেরা আদালতে ভিড় করতে শুরু করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বজনদের অনেকে আদালতের সামনে অপেক্ষা করেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের সামনে দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গ্রেপ্তার বিএনপি ও এর অঙ্গ–সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

রোববার গ্রেপ্তার হওয়া সজীব ও হৃদয় শেখের আইনজীবী মুক্তাদির ফরিদী আদালত বলেন, হৃদয় শেখ কেরানীগঞ্জের একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। সজীব কাঠমিস্ত্রি। নয়াবাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। হৃদয়ের মানিব্যাগে ছিল ২ হাজার টাকা, আর সজীবের ছিল ১ হাজার টাকা। পুলিশ সেই টাকা নিয়ে নিয়েছে। পরে তাঁদের ওয়ারী থানার রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার নাজমুল হক, মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার শাহিনূর, রামপুরার মামলায় গ্রেপ্তার জুয়েল ওরফে আজি আহম্মেদ, সবুজবাগ থানার মামলায় আকরাম খান টিংকন ও সুজন মিয়ার আইনজীবীরা আদালতকে জানান, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও পুলিশ রাস্তা থেকে তাঁদের সন্দেহের ভিত্তিতে ধরে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে।

অন্যদিকে, সাভার থানা-পুলিশ গত বছরের নভেম্বর মাসের পুরোনো মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠায়। পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেন। আদালত আদেশে বলেন, এসব আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই।

কোন থানায় কতজন গ্রেপ্তার

মতিঝিল থানায় ১৭ জন, ওয়ারী থানায় ১৩ জন, পল্টন ১৪ জন, শাহজাহানপুর ১১ জন, সবুজবাগ থানায় ৯ জন, রামপুরা থানায় ৮ জন, কদমতলী থানায় ৮ জন, খিলগাঁও থানায় ৮ জন, মুগদা থানায় ৮ জন, যাত্রাবাড়ী থানায় ৪ জন, শ্যামপুর থানায় ২ জন, গুলশান, খিলক্ষেত থানায় ১ জন, উত্তরা পশ্চিম থানায় ১ জন, নিউমার্কেট থানায় ৫ জন, কলাবাগান থানায় ৪ জন, দারুস সালাম থানায় ২ জন, হাজারীবাগ থানায় ৭ জন, ধানমন্ডি থানায় ১ জন, রমনা থানায় ১০ জন, শাহবাগ থানায় ৬ জন, বাড্ডা থানায় ৬ জন, বনানী থানায় ২ জন, ভাটারা থানায় ২ জন, তেজগাঁও থানায় ৪ জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ৫ জন, হাতিরঝিল থানায় ৭ জন, কোতোয়ালি থানায় ৩ জন, পল্লবী থানায় ৩ জন, মোহাম্মদপুর থানায় ৩ জন, চকবাজার থানায় ৬ জন, কামরাঙ্গীরচর থানায় ৪ জন এবং সাভার থানায় ৯ জন।

  • কার্টসি: প্রথম আলো /০২ অক্টোবর ২০১৮

ফখরুল, মওদুদ, মঈন, নজরুল, আব্বাস, গয়েশ্বর, খসরুসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। আজ সোমবার হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এই মামলার সাত আসামিকে এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

মামলায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলায় পুলিশ বলছে, বিএনপি কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

মামলায় বলা হয়, বিএনপির এসব নেতার এমন বক্তব্যের পর গতকাল রাত ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানার মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জামায়াতের ছাত্রশিবিরের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতা–কর্মী জড়ো হন। তাঁরা রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। পুলিশ জড়ো হওয়া নেতা–কর্মীদের সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তাঁরা পুলিশকেই হত্যার উদ্দ্যেশ্যে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। সেখানে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি বাস ভাঙচুর করেন। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাঁরা লাঠি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মারধর শুরু করেন, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। মামলায় বলা হয়, ভাঙচুর করা গাড়িগুলো আত্মরক্ষার্থে দ্রুত চলে যাওয়ায় গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ।

বলছে, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন কুমিল্লা জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া (৪৮), বাড্ডা যুবদলের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন (৪০), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার শফিউদ্দিন (৪৩), গুলশান ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশেদ বিন সোলায়মান (৪৪), ভালুকা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন (৫৩), বাড্ডার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সামছুল হক (৪০), লাঙ্গলকোট থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব খন্দকার (৩৫)।

আদালত সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার এই সাতজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) হাজির করে হাতিরঝিল থানা-পুলিশ তাঁদের সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, নাশকতাকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে হাতিরঝিল থানার সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আলামত হিসেবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫টি বাঁশের লাঠি, দেড় লিটার পেট্রল, বিস্ফোরিত ককটেলের বোমার অংশবিশেষ ও ভাঙা কাচের টুকরা জব্দ করেছে।

  • কার্টসি: প্রথম আলো /০২ অক্টোবর ২০১৮

Monday, October 1, 2018

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ : প্রকল্প বাতিল, তবে সুদ টানছে পেট্রোবাংলা

ইয়ামিন সাজিদ

শুরু থেকেই প্রকল্পের কাজে ধীরগতি ও অসঙ্গতি। শেষ পর্যন্ত কাজ অসমাপ্ত রেখে প্রকল্পই বাতিল। ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেও খুলনা অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ করতে পারেনি পেট্রোবাংলা। যদিও আর্থিক ক্ষত ঠিকই বইতে হচ্ছে। বাতিল হওয়ার পরও প্রকল্পের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে নেয়া ২৫০ কোটি টাকা ঋণ ৫ শতাংশ হারে সুদসহ পরিশোধ করতে হচ্ছে পেট্রোবাংলাকে।

কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মোট ৮৪৫ কিলোমিটার গ্যাস বিতরণ লাইন নির্মাণের জন্য কেনা ১৪৮ কোটি টাকার পাইপও পড়ে আছে। অন্যান্য গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছে এসব পাইপ বিক্রির কথা থাকলেও তা অবিক্রীতই রয়ে গেছে। খুলনার শিরোমনি এলাকায় স্তূপাকারে ফেলে রাখা হয়েছে চীন থেকে আমদানি করা এসব পাইপ।

২০০৯ সালে পাস হওয়া ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় মোট ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিবির কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হয় ২৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাতিল হওয়ার আগে ৩৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ও করেছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড।

পেট্রোবাংলা সূত্রগুলো বলছে, যেহেতু প্রকল্পটি সরকারের নির্দেশে নেয়া হয়েছে, গ্যাস না থাকায় সরকারই আবার এটি বন্ধ করেছে। ফলে প্রকল্পটি নেয়ার পর বরিশাল ও খুলনায় গ্যাস বিতরণের জন্য সৃষ্ট সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির এ ঋণ পরিশোধের যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। যদিও চুক্তির সময় কোম্পানি গঠন ও ওই কোম্পানি ঋণ পরিশোধ করবে বলা হয়েছিল। তবে কোম্পানির আয় না থাকায় তারা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না বলে পেট্রোবাংলাকে জানিয়েছে।

সুদসহ ঋণের অর্থ কে পরিশোধ করবে পেট্রোবাংলার পর্ষদ সভায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছে। অর্থ বিভাগ থেকে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করার জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। সে অনুযায়ী জ্বালানি বিভাগে একটি চিঠিও দেয়া হয়। এরপর এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে চুক্তিটি যেহেতু পেট্রোবাংলা করেছে, সুদসহ ঋণও তাদেরই পরিশোধ করতে হচ্ছে।

জানা যায়, বিদেশী ঋণের ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইআরডি। পরে ইআরডি ওই টাকা পরিশোধ করে। কোথা থেকে আসবে সেটা ইআরডির বিবেচ্য নয়। ইআরডির বরাদ্দ থাকে, তা থেকে ঋণ পরিশোধ করা হয়। তবে এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে একটি সাবসিডিয়ারি লোন এগ্রিমেন্ট (এসএলএ) হয়। সে অনুযায়ী  ইমপ্লিমেন্টিং এজেন্সি প্রকল্পের মালিক ঋণের টাকা সরকারকে পরিশোধ করে। সরকার ইআরডির মাধ্যমে তা ঋণদাতাকে পরিশোধ করে।

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, এসএলএ অনুযায়ী তো সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির এ ঋণ পরিশোধ করার কথা। তবে কোম্পানিটির যে অবস্থা, তাতে এ ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা তাদের নেই। সম্ভবত পেট্রোবাংলাই এ ঋণ পরিশোধ করবে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এডিবি ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক একটি প্রকল্পও ২০০৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাস হয়। খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া— এ পাঁচ জেলার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ছিল ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে ২০১১ সালে গঠন করা হয় সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। বিতরণ লাইন ও মিটারিং স্টেশন স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পাইপ-যন্ত্রপাতি কেনা হয়, সম্পন্ন হয় ভূমি অধিগ্রহণও। এসব কাজে ব্যয় হয় ৩৫০ কোটি টাকার বেশি। প্রকল্প শুরুর সাত বছরে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় ৮৪৫ কিলোমিটার বিতরণ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু করতেই ব্যর্থ হয় বাস্তবায়নকারী সংস্থা। অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় অসমাপ্ত রেখেই প্রকল্প সমাপ্তের নির্দেশ দেয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেয়া হয় প্রকল্পের জন্য কেনা পাইপ ও যন্ত্রাংশ বিক্রির।

চীন থেকে আমদানি করা প্রায় ১১ হাজার টন এপিআই পাইপ প্রকল্প বাতিলের পর থেকেই খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। এগুলো কিনতে পেট্রোবাংলা রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য গ্যাস বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দিলেও মরিচা পড়া এসব পাইপের মান নিয়ে শঙ্কা থাকায় তা ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান।

চীন থেকে আমদানি করা এসব পাইপ স্তূপ করে রাখা হয়েছে খুলনার শিরোমনি এলাকায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক সংযোগের জন্য আনা প্রায় ১৫০ কোটি টাকার পাইপ পড়ে আছে একটি পরিত্যক্ত জমিতে। শিরোমনি এলাকার আফিল গেটে প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে স্তূপ করে রাখা হয়েছে সেগুলো। সেখানে ২ থেকে ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাসের পাইপ রয়েছে। রোদ-বৃষ্টিতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় মরিচা ধরে এগুলো রঙ হারিয়েছে অনেক আগেই। পাইপের গায়ে মরিচার পুরু স্তর জমেছে। হালকা নড়াচড়াতেই মোটা স্তর ধরে মরিচা উঠে আসে।

জানতে চাইলে বাতিল হওয়া এ প্রকল্পের পরিচালক ও বর্তমানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দপ্তরে নিযুক্ত রেজাউল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, আবাসিক খাতে গ্যাস বিতরণের জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্যাস না থাকায় পেট্রোবাংলা, অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান এডিবি ও বাংলাদেশ সরকার দেড় বছর আগে প্রকল্পটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। পাইপসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ পেট্রোবাংলার অন্যান্য কোম্পানির কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো পাইপ নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

গ্যাসের লাইনে ব্যবহূত পাইপ আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের (এপিআই) নির্দেশনা মেনে তৈরি করতে হয় বলে এগুলো এপিআই পাইপ নামে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এপিআই পাইপের কাঁচামাল মাইল্ড স্টিলে সর্বোচ্চ দশমিক ২৬ শতাংশ কার্বন, দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ সালফার, দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ফসফরাস ও ১ দশমিক ২০ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজের মিশ্রণ থাকে। গ্যাস সংযোগে ব্যবহূত এ পাইপে কার্বনের পরিমাণ কম থাকায় ও মাটির নিচে স্থাপনের কারণে তা বিশেষ ধরনের কোটিং ও টেপ দিয়ে মোড়াতে হয়। তবে পাইপ তৈরির সময় এর উপরের স্তরে কোনো কোটিং ব্যবহার করা হয় না বলে তা বাইরের পরিবেশে খোলা অবস্থায় দীর্ঘদিন রাখা হলে অক্সিডেশনের কারণে আয়রন অক্সাইড তৈরি হয়ে মরিচা পড়ে। পাইপের মুখ খোলা থাকায় এর ভেতরেও বাইরের মতো মরিচা পড়লে পাইপের পুরুত্ব কমে যায়। এতে পাইপের আয়ুষ্কাল কমে যাওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।

কার্টসি: বণিক বার্তা  /০১ অক্টোবর ২০১৮

28pc banks not ready to thwart large-scale cyber attacks

More than two-thirds of banks faced at least one attack last year. Some 28 per cent of the banks operating in the country are not prepared to thwart possible large-scale cyber attacks. On the other hand, 34 per cent of the banks are partially prepared and remaining 38 per cent are fully prepared to handle such possible digital security threats, a research paper revealed.

The research was conducted by the Bangladesh Institute of Bank Management (BIBM).

The researchers presented the findings at a seminar on 'IT security of banks in Bangladesh: Threats and preparedness', organised by the BIBM at its office in the city on Sunday.

Former Deputy Governor of Bangladesh Bank Abu Hena Mohd Razee Hassan attended the seminar as the chief guest with BIBM Director General (DG) Dr Toufic Ahmad Choudhury in the chair.

Managing Director (MD) and Chief Executive Officer (CEO) of Islami Bank Bangladesh Limited Md Mahbub-ul-Alam, country manager of Commercial Bank of Ceylon PLC Varuna Priyashanta Kolamunna, and systems manager of Bangladesh Bank's information systems development department Debdulal Roy spoke in the seminar, among others.

An associate professor of the BIBM Md Mahbubur Rahman Alam presented the research findings at the seminar.

The research paper said the IT security threat in Bangladesh is gradually increasing in tandem with the global trend.

"Delays in adopting a sound cyber security hygiene could result in a US$ 3.0 trillion loss in economic value by 2020. Reputational impact can reach to $180 million," the paper said quoting the World Economic Forum (WEF).

Referring to findings of a global consultancy company the paper said financial service sector is the second highest sector (24 per cent) to have witnessed cyber attack following technology, media and telecommunication sector across the globe.

Around 93 per cent of cyber attacks aim to financial gain across the globe, the research report said quoting Ernst & Young.

The banks in Bangladesh are now facing increased number of security threats and cyber attacks than earlier.

"In the last year, 68% of the banks have experienced at least one attack, most commonly in the form of malware, subsequently followed by Spam and Phising attacks," the report said, adding that: "Of these, 24 % have had their network intruded in some way of at a significant cost to the business".

Besides financial losses, the hacking instances leave a negative impact on the morale of workforce and organisations' reputation in every case.

The research identified human error as the key reason (69 per cent) behind security breach and data losses in the country's banking sector.

"Human error occurs when an employee does not know how to do the work due to inappropriate training or lack of experience," the report said. Globally human error invites 95 per cent of cyber threat.

Besides, banks' internal and external sabotage is liable for 13 per cent and 3.0 per cent security breaches in the systems respectively.

Analyzing 50 fraud cases as a sample, the report said rate of frauds related to mobile financial services (MFS), automated teller machine (ATM) and plastic card transactions are higher than all others categories.

The research report has been prepared on the basis of data collected from 45 banks covering all categories operating in the country, survey of 750 customers and 450 employees.

The report also presented a set of recommendations to strengthen banks' capacity to handle cyber risks and attacks.

The banks should address the security issues with adequate hardware, software and manpower.

"Every bank should strengthen IT security department in ICT division," the paper said, adding that recruitment of ethical hacker and deployment of a skilled IT security control and monitoring are the crying need for the banks.

The report also underscored the need for creating awareness among the clients through counselling, advertising and distributing leaflets about cyber risks.

The central bank may take initiatives to develop Information Sharing and Analysis Centres (ISACs), where stakeholders can exchange their experiences about digital security threats.

"An institution like IDRBT (Institute for Development and Research in Banking Technology), which is set up by the Reserve Bank of India can be formed immediately in Bangladesh. Moreover, a computer Emergency Readiness Team may be formed for disaster recovery of the banking sector.

Speaking on the occasion, Mohd Razee Hassan lauded the collective efforts of the country's central bank and commercial banks, scheduled banks for conducting inter-bank online transactions.

But some banks are yet to upgrade their IT infrastructure, he said.

"Although huge investment and ICT development have been observed, cyber security has not been properly addressed by the banking sector of Bangladesh making banking information and infrastructures vulnerable to sophisticated cyber-attacks," he added.

  • Courtesy: The Financial Express/ Oct 01, 2018