Search

Wednesday, October 31, 2018

Agreeing to sit for talks shows political wisdom

EDITORIAL

Use the opportunity to resolve the thorny issues

It is a demonstration of political farsightedness on the part of the Prime Minister to have accepted the proposal of the Oikyafront for a dialogue. Coming against the background of statements from some party high-ups discounting any possibility of talks between the AL and the opposition, it is a very encouraging development. This a good start and we hope the opportunity will be seized upon to iron out and resolve certain thorny issues surrounding holding of the parliamentary elections. We have high expectations and would hope that both the parties would focus on the main point at issue, i.e. how to hold elections that are acceptable to all the political parties, as well as the general people.

To ensure that this meeting does not turn into a futile exercise, both the parties should display a flexible position in the discussions. There are some genuine concerns of both the opposition and the voters about the elections being free and fair. And the ruling party should allay those. The opposition too must not be rigid in their demands. Also, public perception regarding the role of the EC, and its ability to perform its tasks without let or hindrance have been much talked about, and should be addressed by the ruling party.

We understand that these issues cannot all be resolved during a one-off meeting. But dialogue cannot go on ad infinitum. Thus, we hope that both the parties would utilise the opportunity on November 1 to decide to create a mechanism of time-bound dialogue that would create a way to accommodate all the reasonable demands of the political parties contesting the upcoming elections, which can help ensure that the elections remain free, fair and credible.

  • Courtesy: The Daily Star/ Oct 31, 2018

Tuesday, October 30, 2018

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা - চার দিন পরও পুলিশ নীরব









গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই জায়গাটি দখল করে তোলা দেয়াল। ছবি: প্রথম আলো

শতাধিক যুবককে রড, লাঠি আর চাপাতি নিয়ে ছুটে আসতে দেখে একটি কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন শিরিন আক্তার। দুর্বৃত্তরা দরজা ভেঙে সেখানে ঢোকে। এরপর চুলের মুঠি ধরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। হাত–পা ছুড়ে যুবকদের হাত থেকে কোনোমতে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন এই নারী।

শিরিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনের আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক। গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে শিরিন বলছিলেন, ‘শুক্রবার দৌড়ে যখন পালিয়ে যাই, তখন ওড়না ওদের হাতে রয়ে যায়।’

শুধু শিরিনই নন, ওই দিন দুর্বৃত্তদের হাতে লাঞ্ছিত হন ইলেকট্রিশিয়ান মো. সবুজ আলম ও প্রকৌশলী আতিকুর রহমান। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয় গণবিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ুয়া মেয়েদের। যাঁরা হোস্টেলে থাকতেন তাঁদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ‘কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড’–এর মালিক কাজী মহিবুর রবের নির্দেশে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। প্রাথমিক হিসাবে ৮৬ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুট হয়েছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরো জায়গাটি প্রায় ৬২ একর। এর এক–তৃতীয়াংশ জায়গা নিজের দাবি করেছেন কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মহিবুর রব। মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। একবার ফোন ধরে কয়েক সেকেন্ড পর ফোন কেটে দেন।

আশুলিয়া থানায় করা মামলায় কাজী মহিবুর ১৯ দশমিক ৬৩ একর জমির ক্রয়সূত্রে মালিক হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। পুরো জায়গাটি গণস্বাস্থ্যের দখলে থাকলেও তিনি মামলায় নিজেকে ভোগদখলকারী বলে উল্লেখ করেছেন।

হামলার পর চার দিন পার হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আশুলিয়া থানায় দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মামলা নেওয়া দূরে থাক, পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেননি।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যে জায়গার ওপর রয়েছে, তার একটি অংশ কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড তাদের বলে দাবি করেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

লুটপাট, ভাঙচুরের বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন কিছুর সত্যতা আমি পাই নাই। পুলিশ কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছিল, তাদের প্রতিবেদন বলেছে, এটি আসলে তাদের আগের বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মামলা না নেওয়ার বিষয়ে ওসি রিজাউল হক বলেন, ‘কেউ হঠাৎ করে মামলা নিয়ে এলে সেটি তো আর নেওয়া যায় না। তাঁরা অভিযোগ দিয়েছেন, আমরা নিয়েছি। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবহিত আছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।’

পুলিশ ঘটনা নিয়ে সন্দিহান হলেও গতকালও পিএইচএ ভবনে গিয়ে ভাঙচুরের আলামত দেখা যায়। ভবনের প্রবেশমুখেই দুটো কক্ষের দরজা ও জানালার কাচের টুকরো ভেঙে নিচে পড়ে ছিল। দেয়াল থেকে ঝুলছিল সিসি ক্যামেরার তারগুলো।

সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো. নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে পিএইচএ ভবনের প্রবেশপথের মুখে দেয়াল নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে।

দখল অব্যাহত

মূল সড়ক থেকে পিএইএ ভবনে যাওয়ার প্রবেশপথের মুখে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন দখলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকেরা সেখানে দেয়াল নির্মাণ করছেন। স্থাপন করা সাইনবোর্ডে নাছির ছাড়াও তাঁর ভাই মো. আবু বকর সোহেলের নাম রয়েছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে বিতর্ক সুযোগ হিসেবে দেখছে কিছু লোক। তাঁদের এই কথার সত্যতা মেলে আওয়ামী লীগের নেতা নাছির উদ্দিনের কথায়ও।

জায়গা যদি আপনারই হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন কেন দখলে নেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে নাছির বলেন, ‘আমি সুযোগের সন্ধানে ছিলাম। এখন মনে হয়েছে দখল নেওয়া সম্ভব, তাই কাজ শুরু করেছি।’

সাম্প্রতিক সময়ে নানা ঘটনায় আলোচিত–সমালোচিত হন মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে মাছ, ফল চুরিসহ জমি দখলের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। এর কিছুদিনের মাথায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর হয়।

পিএইচএ ভবনের পরিচালক অনীল কুমার ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন থেকেই তাঁরা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ কোনো কথায় গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এর প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী হলেও পাঁচজনের একটি ট্রাস্টি বোর্ড এটি পরিচালনা করে। তাই কারও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঘিরে অনিয়শ্চয়তা

আগামী ১৫ থেকে ১৯ নভেম্বর জনস্বাস্থ্য নিয়ে পিএইচএ ভবনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। ১০৭টি দেশের ৬০০ প্রতিনিধি এতে অংশ নেবেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই সম্মেলন নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে আয়োজকদের।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁদের ভিসা ও প্লেনের টিকিট কেটে ফেলেছেন। এ–সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাও শেষ। এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। একমাত্র সরকার বন্ধ না করলে সব বাধা ডিঙিয়ে তাঁরা সম্মেলন করবেন।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/৩০ অক্টোবর ২০১৮

নগদ অর্থনীতির ব্যাপকতা

সম্পাদকীয়

ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ ও সুশাসন নিশ্চিত হোক

যে দেশের অর্থনীতি যত উন্নত হয়, সে দেশে নগদ লেনদেনের পরিমাণ তত কমে বলে গবেষকরা দাবি করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম বলা চলে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধিও ঈর্ষণীয় পর্যায়ে রয়েছে। দেশজ উৎপাদন, মাথাপিছু আয়— সব অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নগদ অর্থনীতির আকার। বৈশ্বিক প্রবণতা অনুযায়ী বাংলাদেশের জিডিপির বিপরীতে নগদ অর্থনীতির আকার ছোট হয়ে আসার কথা। ব্যাংকিং ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণে বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক লেনদেন আরো কাঠামোবদ্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তা হয়নি। অর্থনীতির আকারের সমান্তরালে আর্থিক অবকাঠামোয় উন্নতি না হওয়াকে এজন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে ছায়া অর্থনীতি। রাজস্ব ফাঁকি দেয়া বা অবৈধ উপার্জন লুকানোর জন্য আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে লেনদেনকে পাশ কাটিয়ে নগদ লেনদেন করেন অনেকে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির বিস্তার ও সুশাসনের অভাব দেখা দিলে ছায়া অর্থনীতির আকারও বড় হয়। 

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমনটিই ঘটেছে বলে মনে করছেন অনেকে। দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ এখনো নিচের সারিতে। এখানে ব্যবসা করতে গেলে বড় অংকের ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ-দুর্নীতির ব্যাপকতা দেশে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে। এক দশক আগেও দেশের নগদ অর্থনীতির আকার ছিল জিডিপির ৮ শতাংশের মতো। এখন তা পৌঁছেছে ১২ শতাংশের কাছাকাছি। এক্ষেত্রে নগদ অর্থনীতির অধিক বিস্তার পরিলক্ষিত হলে অন্যান্য সূচকের সঙ্গে এর সম্পর্ক অনুসন্ধান জরুরি। সমসাময়িক বিভিন্ন আর্থিক অপরাধের প্রবণতার সঙ্গেও বিষয়টিকে মিলিয়ে দেখতে হবে। আমরা চাইব সরকার বিষয়টি বিশ্লেষণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেবে এবং নগদ বা ছায়া অর্থনীতির রাশ টেনে ধরতে দুর্নীতি কমিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করবে। নগদ অর্থনীতির একটি বড় অংশ বাইরে পাচার হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর সত্যতা মেলে অর্থ পাচারের তথ্যে। দেশে নগদ অর্থনীতির আকার যত বড় হয়েছে, অর্থ পাচার ততই বেড়েছে। ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছায়া অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের উপরে। তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী নগদ লেনদেনের প্রবণতা কমেছে। বাংলাদেশে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের টাকাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন হয়। কর ফাঁকি দিতে ধনীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে না গিয়ে অনানুষ্ঠানিক লেনদেন করেন বেশি।

দুর্নীতিমুক্ত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নগদ লেনদেনের চেয়ে আনুষ্ঠানিক লেনদেননির্ভর হওয়ার বিকল্প নেই। যখন কোনো অর্থনীতি নগদ মুদ্রার ওপর নির্ভরশীল হয়, তখন তার অভিশাপও অর্থনীতিকে ভোগায়। রাজস্ব আহরণ ও অর্থ পাচার বন্ধে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণও নগদ লেনদেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লেনদেন হলে সরকার সহজেই রাজস্ব আহরণ করতে পারত। নগদ অর্থনীতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে ভারত সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকিং খাতে লেনদেন বাড়াতে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও কালো টাকা ঠেকাতে বাতিল করা হয়েছে ৫০০ ও ১ হাজার রুপির নোট। উদ্দেশ্য ছিল নগদবিহীন সমাজে পরিবর্তন করা। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও মানুষের দোরগোড়ায় এ সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। নানা ফি ও চার্জের কারণে সাধারণ মানুষ বিমুখ এ খাত ব্যবহারে। ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাট, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ কয়েকটি ব্যাংক মূলধন সংকটে পড়ায় মানুষের মধ্যে শঙ্কা বেড়েছে আনুষ্ঠানিক খাত সম্পর্কে। এসব কারণে মানুষের মধ্যে নগদ লেনদেনে উৎসাহ বেশি। এক্ষেত্রে দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হলে নগদবিহীন সমাজের পথে যেতে হবে সরকারকে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এটি যে সম্ভব নয়, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বটে, তবে তার ফল আশানুরূপ নয়। নগদবিহীন লেনদেন বাড়াতে হলে এ ব্যাপারে উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে। তবে মূল প্রশ্নটি হচ্ছে সুশাসন নিশ্চিত করা। এটি হলে দুর্নীতি কমবে। আর দুর্নীতি কমলে নগদমুক্ত অর্থনীতিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে।

  • Courtesy: Banikbarta /Oct 30, 2018

ফুলেফেঁপে উঠছে শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়

সাইফ সুজন


দেশে প্রথম সারির কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এখনো ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো অবকাঠামো থাকলেও শিক্ষার্থীর তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলেছে টিউশন ফি। এতেই ফুলেফেঁপে উঠছে তাদের আয়।

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে গত সপ্তাহে। 

তাতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে শিক্ষা কার্যক্রমে থাকা ৯০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত আয় ছিল ৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে শিক্ষা কার্যক্রমে ৮৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত আয় ছিল যেখানে ২ হাজার ৯৩০ কোটি ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে এক বছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বেড়েছে প্রায় ২৭১ কোটি টাকা।

ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের এ তথ্য দিয়েছে কমিশনে পাঠানো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হিসাবের ভিত্তিতে। যদিও প্রকৃত আয় গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে। তাই প্রকৃত আয় হিসাবে নিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয় আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ইউজিসির কর্মকর্তারা।

সর্বোচ্চ আয়কারী বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবার উপরে আছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২২৯ কোটি টাকার মতো আয় করলেও ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় বেড়েছে ৩৩ কোটি টাকা। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের সর্বোচ্চ বৃদ্ধিও এটাই।

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৭ সালে শিক্ষার্থী ছিল ২০ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৭ হাজার ৫১৭ ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২ হাজার ৫০৮ জন। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় পড়ালেখা করছে ১ হাজার ১৬৮ জন। বাকি ১৮ হাজার ৮৫৭ জন শিক্ষার্থীকে অর্থ দিয়ে পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্নাতক কোর্স সম্পন্নে কম টিউশন ফি যে বিভাগগুলোয়, তার একটি ইংরেজি। বিভাগটিতে স্নাতক কোর্স সম্পন্নে একজন শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি বাবদ খরচ করতে হয় ৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এ হিসাবে ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টিউশন ফি বাবদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বছরে পায় ২ লাখ টাকার বেশি। এটি হিসাবে নিলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় হওয়ার কথা বছরে ৩৮০ কোটি টাকার মতো।

আয়ের প্রকৃত তথ্যই তারা ইউজিসিকে দেন বলে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই আমাদের আয় বাড়ছে। আয়ের পাশাপাশি আমাদের ব্যয়ের পরিমাণও কম নয়। শিক্ষকদের আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা, গবেষণা বৃত্তি প্রদান, শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে তোলার পেছনেও আয়ের বড় একটি অংশ ব্যয় হয়। সব মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে।

গত বছর আয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি)। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় ছিল মোট ৬৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৭ সালে এসে আয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০১ কোটি টাকায়। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বিইউবিটির আয় বেড়েছে ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৮ হাজার ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী। আর শিক্ষা কার্যক্রমে আছে ২০০৩ সাল থেকে।

২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেশি আয় করেছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি)। ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি আয় করেছে মোট ১৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় ছিল যেখানে ১১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

উচ্চ আয় করেছে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও। ইউজিসির হিসাবমতে, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা। যদিও ২০১৬ সালে ১৪৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা আয় করেছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির আয় বেড়েছে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

দেশের বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৭ সালে শিক্ষার্থী ছিল ৮ হাজার ৩০৩ জন। যদিও এর আগের বছর ৭ হাজার ৪০৩ জন শিক্ষার্থী ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ৯০০ জন।

শিক্ষার্থী ও আয় বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উচ্চশিক্ষার মৌলিক খাতগুলোতে ব্যয়ের পরিমাণ কমেছে। ২০১৬ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে ৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় করলেও ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকায়।

ব্র্যাকের পর আয় বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৪৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় করলেও ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৫৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইস্ট ওয়েস্টের আয় বেড়েছে ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশও (এআইইউবি) গত বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় করেছে। ইউজিসিতে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয়ের পরিমাণ ২১৮ কোটি টাকা। প্রথম সারির অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) ১০৫ কোটি, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ কোটি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) ৭৪ কোটি টাকা আয় করেছে।

যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রকৃত আয় এর চেয়ে বেশি বলে জানান ইউজিসির কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করে ইউজিসির এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী সংখ্যা ও আয়ের যে বিবরণী ইউজিসিতে পাঠায়, তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসাধুতা রয়েছে। আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ রয়েছে শীর্ষস্থানীয় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। এছাড়া টিউশন ফির বাইরে নামে-বেনামে বিভিন্ন ফি আদায় করে তারা। ইউজিসিতে যে হিসাব পাঠানো হয়, তাও প্রশ্নবিদ্ধ। নিরীক্ষিত প্রতিবেদন পাঠানোর কথা থাকলেও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই তা মানছে না।

এদিকে আয় বাড়লেও দেশের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই গবেষণা, গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় ব্যয়ের পরিমাণ কমছে। যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা, গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরির মতো উচ্চশিক্ষার মৌলিক খাতগুলোতে বার্ষিক বাজেটের একটি নির্দিষ্ট অংশ ব্যয় করতে বলা হয়েছে। ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষণা, গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরি খাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে গবেষণা খাতে অর্থ ব্যয় করেছে দেশের ৭৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট গবেষণা ব্যয়ের পরিমাণ ৭৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়প্রতি গড়ে ব্যয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৮ লাখ টাকা। যদিও ২০১৬ সালে ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানপ্রতি গড় ব্যয় ছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরপ্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও গবেষণা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ কমছে। একইভাবে ব্যয় কমেছে গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরি খাতে। ২০১৭ সালে ৭৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি খাতে মোট ব্যয় হয় ৪৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। যদিও ২০১৬ সালে এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৫৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বণিক বার্তাকে বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কাজ। এগুলো হলো গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান ধারণ ও জ্ঞান বিতরণ। এ তিনটি কাজ যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট হোক, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় বলা যাবে না। যদিও দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষকদের যন্ত্রের মতো ব্যবহার করে। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে, যেখানে একজন লেকচারারকে দিয়ে ছয়টি ক্লাস নেয়া হয়। তাহলে শিক্ষকরা গবেষণার সুযোগ পাবেন কীভাবে?
  • Courtesy: Banikbarta /Oct 30, 2018

Skill shortage hampers RMG sector’s climb up the value chain

Economists tell SANEM seminar


Bangladesh's garment industry needs to move up the value chain to remain competitive in the global market, experts have said.

They also underlined the need for enhancing negotiation capacity of entrepreneurs.

The suggestions came at a seminar on Monday organised by private think tank South Asian Network for Economic Modeling (SANEM) in Dhaka.

"We need to focus not only on price competitiveness but also on quality," said Dr. Selim Raihan, executive director of SANEM.He was presenting a keynote paper on the future of RMG industry in Bangladesh.

"We need to move up the value chain. From traditional products, we need to move to branded products," he added.

Dr. Raihan noted that the ongoing trade war between the United States (US) and China was already posing some uncertainties to the global trade regime.

"We are going to enter an era where lead time is going to matter, distance is going to matter," he said. "In the future, the US may tend to ship much more of its imports from Mexico or Europe will ship much more of its imports from Turkey due to lower lead time and geographical proximity," he added.

The SANEM executive director noted Bangladesh's apparel industry is seriously lacking skilled labour force, which is hurting the scope of moving up the value chain.

"In near future, Vietnam is going to pose a threat to our RMG market and that threat would come not in terms of price competitiveness but in terms of quality," Dr Raihan said.

"Already, a good portion of manufacturing jobs is shifting from China to countries like Vietnam and Cambodia but Bangladesh is yet to take benefit of that," he added.

Dr. Raihan noted managing the labour regime is an issue of serious concern for the local garment industry.

"Apart from ensuring adequate wage for the garment workers, workplace safety and compliance issues need to be addressed to remain competitive in the global apparel market," he said.

Quoting an ongoing international study, chairman of SANEM Dr. Bazlul Haque Khondker said apparel workers in Bangladesh work for 60 hours per week while it is 47 hours in Cambodia and 46 hours in India.

"At the same time, 54 per cent of garment workers are living below the minimum wage," he said, quoting the study.

Former governor of Bangladesh Bank Dr. Atiur Rahman, who chaired the event, called for introducing a pension scheme for the garments workers.

"Government, garment factory owners and workers need to work together to introduce this pension scheme in the apparel industry," Atiur said.

The former central bank governor also called for establishing a green transformation fund to encourage the industries to go green.

"We need to have a dedicated green transformation fund not only in Bangladesh Bank but also from the government," he said.

"We need to brand Bangladesh as a source of green textiles," Atiur added.

Experts at the seminar also emphasised incentivising other potential sectors to diversify the export basket.

"Bangladesh is struggling with its policy regime," said Dr. Zaidi Sattar, chairman of the Policy Research Institute of Bangladesh (PRI).

"We have hundreds of exportable items but we are not giving them the same incentives and policy regimes that we gave to the garment sector back in the early 80s", he added.

Speakers at the seminar also called for better integration with regional and international market to expand the export market.

"We need to integrate our economy regionally through platforms like the SAARC and the BIMSTEC," said member of the Planning Commission Professor Dr. Shamsul Alam.

"This, in turn, would help us expand our market within the region," he added.

Professor Alam noted Bangladesh's lack of Free Trade Agreements with countries around the world.

"While Vietnam has free trade agreements with around 20 countries, we have none", he said.

"There is a serious lack of marketing and negotiation capacity from Bangladesh side," said Fazlee Shamim Ehsan, vice president of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA).

Chief executive officer of Bangladesh Foreign Trade Institute Ali Ahmed also spoke at the event.

  • Courtesy: The Financial Express /Oct 30, 2018

১ নভেম্বর সন্ধ্যায় সংলাপ


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড. কামাল হোসেন।সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ডেকেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেনকে পাঠানো এক চিঠিতে সংলাপের এই সময় জানানো হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় যান। 

সংলাপের আহ্বান জানিয়ে ২৮ অক্টোবর চিঠি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধানসম্মত সব বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত। তাই আলোচনার জন্য আগামী ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চিঠির পাওয়ার কথা জানিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে আব্দুস সোবহান গোলাপ চিঠি নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বাসায় আসেন। ড. কামাল হোসেনের হাতে তিনি চিঠিটি দেন। 

আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিঠির উত্তর যেভাবে দ্রুত এসেছে, তাতে তাঁরা আশা করছেন, সংকটের সমাধানও একইভাবে হয়ে যাবে।’

গত রোববার সন্ধ্যায় সংলাপ চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুটি চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চিঠিতে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সেই লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।’ এই চিঠির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা হয়।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের চিঠির বিষয়টি আলোচনায় আনেন। একাধিক মন্ত্রী বৈঠক শেষে জানান, কোনো কোনো মন্ত্রী সংলাপের বিরোধিতা করলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বিএনপির সঙ্গে নয়, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো নাগরিক যদি লিখিতভাবে বসার আবেদন করেন, তাহলে তো না করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর আর কেউ বিরোধিতা করেননি।

পরে বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ হবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।
  • Courtesy: The Daily Star /Oct 30, 2018

Condemnable way to enforce transport strike

EDITORIAL

People hostage to a powerful syndicate


We are outraged by the way the transport workers' 48-hour countrywide strike was enforced. Not only were public transports prevented from operating, even vehicles of the emergency services such as ambulances weren't spared. Transport workers in many areas of the city physically harassed drivers of rickshaws, motorcycles and private cars—which are normally out of a strike's purview. In many cases, they smeared burnt engine oil on the faces of drivers and passengers; even women were targeted. And the police did nothing to restrain them.

It is condemnable that in one instance, a seven-day-old infant died in an ambulance because transport workers held it for hours in Moulvibazar. While hartal is a political right, coercing the people to obey it is not. And that is exactly what the workers did.

What is even more ridiculous is their reason for going for hartal. They want the recently passed Road Transport Act, which road safety campaigners say is not enough, to be toned down to such an extent that it would cease to be an effective deterrent. They don't want lethal road accidents caused by the negligence of a driver to be regarded as manslaughter. They also want to lower the minimum educational requirement for obtaining a driving license.

Such unreasonable demands must not be accepted. While their rights to protest should be respected, the fact that workers resorted to harassment to coerce people into getting off the roads must not be condoned. It is time the administration took deterrent actions so that people are not held hostage to, and blackmailed by, a syndicate that enjoys patronage of certain powerful quarters.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 30, 2018

Strike piles on misery

People held hostage for second day across the country; minister-backed transport workers' body now threatens 96-hour strike next month










Helpless, a driver looks on after transport workers smeared burnt engine oil on his face, head and hands near the capital's Postogola yesterday, the final day of a 48-hour strike enforced to press home their eight-point demand, including amendments to the recently passed Road Transport Act-2018. Photo: Collected

Road transport workers virtually held people hostage for a second straight day yesterday as their 48-hour work stoppage caused untold public suffering, especially to commuters and schoolgoers.

There was no visible step, including for talks with the worker leaders, from the government to end the strike that also hurt businesses. Yesterday's cabinet meeting also did not have any formal discussion on the issue. 

Against the backdrop of the situation, Bangladesh Road Transport Workers Federation, led by Shipping Minister Shajahan Khan, threatened to enforce a 96-hour strike in the third week of next month.

Federation's General Secretary Osman Ali told The Daily Star that they would go for the strike as the government did not communicate the platform over its eight-point demand, including amendments to the recently passed Road Transport Act-2018.

Like on Sunday, the capital yesterday virtually remained cut off from rest of the country as no long-route bus was operated to and from Dhaka. Beside, no public transport, except some BRTC buses, was available on the city streets.

Many commuters and students were forced to walk to their destinations. Many were seen travelling on rickshaw vans paying high fares. 

The pickets also continued to obstruct cars, CNG-run three-wheelers and motorcycles at different places in the capital. They also smeared used engine oil on the faces of some drivers in Postogola, Kajla, Dhalpur, Shanir Akhra, and in some parts of old Dhaka, an act that triggered huge criticism on social media.

Chattogram port had been facing a stalemate in its overall activities like loading, offloading and delivery of goods since Sunday morning due to the countrywide transport strike. A similar situation prevailed at country's largest land port in Benapole. Port officials said the government suffered a loss of around Tk 36 crore in revenue in the last two days.

Leaders of the workers' federation had announced the strike at a rally in front of the Jatiya Press Club on Saturday. The work abstention began at 6:00am the next day.

Their demands include making all offences under the Road Transport Act bailable, scrapping the provision for the fine of Tk 5 lakh on a worker for involvement in a road accident, changing the minimum educational qualification required to obtain driving licences from class-VIII to class-V, and ending harassment by police on roads.

Meanwhile, Tajul Islam, president of Bangladesh Inter-district Truck Drivers Union, said they started plying trucks yesterday evening.

SUFFERING ALL AROUND

Cancer patient Angura Begum took chemotherapy at a private hospital in the capital on Sunday. Around noon yesterday, she, her husband and their son went to Mohakhali Bus Terminal to go to their home in Bogura.

“We knew about the strike but thought bus operation would start in the evening. But people at the counters said it won't. We don't know what we will do now,” Angura's son Ali Hossain told this correspondent at the terminal around 2:30pm.

Sumon Alam, a man who was also waiting at the terminal to catch a bus, said, “The government should not allow such strikes as they cause immense public suffering across the country.”

Rabiul Islam, a man from Satkhira, came to Dhaka on Saturday. As no buses plied on the route on Sunday, he could not go back and stayed at a hospital that night.

“I stayed there as I knew one of the doctors. It's not possible now to go there again,” said the man, adding he could not afford to stay in a hotel.

“What can I do now? If no bus leaves Dhaka, I have to sleep at this terminal,” he told The Daily Star at the Gabtoli terminal.

Visiting the city's Gabtoli, Mohakhali and Sayedabad areas yesterday, this newspaper found long route and inter-city buses were parked at the terminals and nearby roads. Many were seen waiting there with their luggage. The crowd got bigger in the afternoon.

Failing to get any bus, many hired microbuses and cars with exorbitant fares. Many ride-sharing motorcyclists cashed in on the situation, charging passengers extra.

THE NEW STRIKE

Osman Ali said their federation would go for the 96-hour work abstention next month to press home their demands, as the government did not communicate them.

“None from the government talked to us about our demands. So, our central committee has decided to go for the strike,” he said.

“Date of the work abstention has not been fixed yet. It may start from third week of November,” he said, adding they wanted to give the government another 21 days for meeting the demands.

Asked about the public sufferings, he blamed it all on the government. "We informed the government about our demands one month ago, but it went unheeded. So, the government is responsible for it."

Another top leader of the federation said it seemed the government had taken a strong position against the strike and the demands.

“So, we could do nothing but taking a tougher stance [on the matter] to press home our demands. We have been facing a huge pressure from workers for waging a tougher movement to bring changes to the law,” he said, wishing not to be named.

On Sunday, Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader said there was no scope to amend the act now in the current parliament.

It was expected that the issue would be discussed in the weekly cabinet meeting yesterday but Cabinet Secretary Mohammad Shafiul Alam said no “formal” discussion on it was held.

Shipping Minister Shajahan Khan, who drew huge criticism over the strike, did not take part in the meeting as one of his relatives died. Obaidul Quader spoke at a press conference at the Awami League president's Dhanmondi office but did not utter a single word on the strike.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 30, 2018

Monday, October 29, 2018

সম্পাদকীয়

জনগণকে জিম্মি করা যাবে না

পরিবহন ধর্মঘট



বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রোববার ভোর থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে, তা শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যেই গুরুতর বিরূপ প্রভাব ফেলছে না, জনজীবনকেও অচল করে দিয়েছে। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়েই দেখছে ধর্মঘট। পরিবহনশ্রমিকেরা শুধু নিজেদের যানবাহন বন্ধ রাখেননি; রিকশা, অটোরিকশাচালক এমনকি প্রাইভেট কার চলাচলেও বাধা দিয়েছেন। এটি ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করা ছাড়া কিছু নয়।


সরকারি দলের নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করে থাকেন, বিরোধী দল লাগাতার হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘট পালন করে দেশকে অচল করে দিয়েছে, অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাঁদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন না হলেও গত তিন বছরে দেশে হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘট ছিল না। দেশবাসী একধরনের স্বস্তি ভোগ করে আসছিল। কিন্তু রোববার ভোর থেকে বাংলাদেশে ফের ‘ধর্মঘটের যুগ’ ফিরে এল। আর বাংলাদেশ সড়ক শ্রমিক ফেডারেশন নামে যে সংগঠনটি এই ধর্মঘট ডেকেছে, সেই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকারের একজন মন্ত্রী, শাজাহান খান। তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকলেও সড়কের ওপর আধিপত্য ছাড়তে চাইছেন না। এ কারণেই মন্ত্রী হয়েও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি পদটি তিনি দখল করে আছেন।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন যে আট দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছে, তা অযৌক্তিক এবং যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তার পরিপন্থী। তাঁরা আইনকানুন কিছুই মানতে চাইছেন না। আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের শাস্তি তিন থেকে পাঁচ বছর করা হয়েছে বলে পরিবহনশ্রমিকেরা শোরগোল তুলেছেন। অথচ আইনটি যখন সংসদে পাস হয়, তখন অপরাধের তুলনায় শাস্তি অনেক কম হয়েছে বলেই আইন বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। এই আইনের উদ্দেশ্য লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া নয়, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে যাত্রী-চালক উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য, অনেক ক্ষেত্রে চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেই যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের পাশে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ওপর চালকের বাস তুলে দেওয়ার ঘটনাটি। এই দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে। কয়েক দিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নেয়, যা অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে। একপর্যায়ে সরকার দুর্ঘটনা রোধে আইন কঠোর করার ঘোষণা দেয়।
সড়ক পরিবহনশ্রমিকেরা তাঁদের ভাষায় সেই ‘কঠোর’ আইনকে কোমল করার জন্যই জনগণকে জিম্মি করে পরিবহন ধর্মঘটে নেমেছেন। সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শাজাহান খান আইন পাস করলেন, আবার শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা হিসেবে তিনি সেই আইন বাতিল বা সংশোধনের দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেন। তাঁর এই দ্বৈত ভূমিকা সংবিধানবিরোধী। সরকারের মন্ত্রী হিসেবে তিনি দর-কষাকষির কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না।
শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেছেন, শুধু চালকদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে না। আইনের কোথাও বলা হয়নি চালকদের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। তদন্তে যিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন, তিনি শাস্তি পাবেন, নির্দোষ হলে শাস্তি পাবেন না। সড়ক পরিবহন শ্রমিকনেতাদের দাবি শুনে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে তাঁরা দুর্ঘটনার তদন্ত হোক সেটাই চান না। এর আগে সামরিক শাসক এরশাদের আমলেও পরিবহনশ্রমিকদের কঠোর শাস্তির বিধান করে যে আইন করা হয়েছিল, পরিবহনশ্রমিকেরা দেশ অচল করে দিয়ে সেই আইন পরিবর্তন করতে সরকারকে বাধ্য করেছিলেন। সেটি ছিল স্বৈরশাসনের আমল। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের আমলেও তার পুনরাবৃত্তি হবে তা কেউ আশা করে না।
ধর্মঘটের নামে সড়কে সংঘবদ্ধ মাস্তানি বন্ধ হোক।
Ciurtesy: Prothom Alo Oct 29, 2018

দুর্নীতি অর্থনীতিতে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে?



মাহফুজ উল্লাহ বাবু|

ঘুষের ৪৪ লাখ টাকাসহ ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস। এ টাকা তিনি নিয়েছেন বন্দিদের খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে। তার আগে গত ১১ জুন ঘুষের সাড়ে ১৪ লাখ টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিমের হাতে গ্রেফতার হন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামসুল শাহরিয়ার ভূঁইয়া। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চোরাচালানের বস্তাভর্তি সাড়ে ৮ কোটি টাকাসহ গ্রেফতার হন মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যবসায়ী। আর ২০১২ সালে ঘুষের ৭০ লাখ টাকাসহ আটক করা হয় তত্কালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিবসহ (এপিএস) রেলের দুই কর্মকর্তা। বিগত কয়েক বছরে ও সাম্প্রতিক সময়ে টাকাসহ সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও আটকের এ ঘটনা সমাজের দুর্নীতির ব্যাপকতার খণ্ডচিত্র মাত্র।


 
বেসিক ব্যাংকের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকাসহ গত কয়েক বছরে ঋণের নামে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকে। এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হিসেবে নাম এসেছে ব্যাংকের পরিচালক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন কর্মকর্তাদের। এমনকি বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংকের দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত ব্যাংকটির পরিচালক থেকে শুরু করে শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুদক যাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার করেছে, তাদেরও বড় অংশ ব্যাংক কর্মকর্তা।
 
দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতার চিত্র উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণেও। বাংলাদেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকেও বাংলাদেশ এখনো নিচের সারিতে। এখানে ব্যবসা করতে গেলে যে ঘুষ দিতে হয়, সে তথ্য উঠে এসেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অ্যাকাউন্টিং ও পেশাগত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংয়ের জরিপে। জরিপে অংশ নেয়া এ অঞ্চলের ১০০ জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর ৫৮ শতাংশই বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করতে গেলে ঘুষ দিতে হয়।
ঘুষ-দুর্নীতির এ ব্যাপকতা দেশে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক দশক আগেও দেশে নগদ অর্থনীতির আকার ছিল জিডিপির ৮ শতাংশের মতো। এখন তা পৌঁছেছে ১২ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও অর্থনীতি পরিণত হলে নগদ অর্থনীতির আকার ছোট হয়ে আসে।
 
বৈশ্বিক ট্রেন্ডের সঙ্গে বাংলাদেশেও জিডিপির বিপরীতে নগদ অর্থনীতির আকার ছোট হয়ে আসার কথা বলে জানান বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ব্যাংকিং ও প্রযুক্তির প্রসারের কারণে বাংলাদেশেও মানুষের আর্থিক লেনদেন আরো কাঠামোবদ্ধ হয়ে আসার কথা। কিন্তু সেটি হয়নি। অর্থনীতির আকারের সমান্তরালে আর্থিক অবকাঠামোয় উন্নতি না হওয়া এর কারণ হতে পারে। এর আরো একটা কারণ হতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ড অর্থনীতিও। দুর্নীতির সূচকগুলোয় দেশের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ যুগে নগদ অর্থনীতির অধিক বিস্তার পরিলক্ষিত হলে অন্যান্য সূচকের সঙ্গে এর সম্পর্ক অনুসন্ধান জরুরি। সমসাময়িক বিভিন্ন আর্থিক অপরাধের প্রবণতার সঙ্গেও বিষয়টিকে মিলিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে।
 
অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ উপাত্ত বলছে, গত এক যুগে দেশের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি তথা জিডিপির আকার ৪ দশমিক ১৮ গুণ হয়েছে। অন্যদিকে নগদ অর্থনীতি ৫ দশমিক ৯২ গুণে উন্নীত হয়েছে। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশের জিডিপি ছিল ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকার। এর মধ্যে নগদ অর্থনীতির আকার ছিল ৩৯ হাজার ৩৬১ কোটি টাকার। শতকরা হিসাবে জিডিপি ও নগদ অর্থনীতির অনুপাত ছিল ৮ দশমিক ৩৩। মধ্যবর্তী বিভিন্ন বছরে হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গত অর্থবছরে তা ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের জিডিপি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর বিপরীতে নগদ অর্থনীতির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকায়, যা দেশের পুঁজিবাজারের মোট বাজার মূলধনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশের সমান।
 
নগদ অর্থনীতির এ ব্যাপ্তির সঙ্গে দুর্নীতির সরাসরি সম্পর্ক আছে বলে জানান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নগদ লেনদেনের প্রবণতা কমে গেছে। বাংলাদেশে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। দুর্নীতি ও ঘুষ এবং বিদেশে অর্থ পাচারের টাকাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন হয়। কর ফাঁকি দিতে ধনীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে না গিয়ে নগদ লেনদেন করেন। সার্বিকভাবে দুর্নীতির ব্যাপকতা বাড়ার কারণেই অনানুষ্ঠানিক পথে লেনদেন বেড়েছে।
 
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের পর্যবেক্ষণও বলছে, দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ এখনো নিচের সারিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটির সর্বশেষ সূচকে ১৮৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান ১৪৩তম। গত বছর প্রকাশিত সূচকে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৫তম।
 
বাংলাদেশের মতোই জিডিপির অনুপাতে নগদ অর্থনীতির ব্যাপ্তি বেশি যেসব দেশে, দুর্নীতির ধারণা সূচকে তারাও রয়েছে নিচের দিকেই। বর্তমান বিশ্বে নগদ নির্ভরতায় শীর্ষ পাঁচ দেশের পঞ্চমটি বাংলাদেশ। এ তালিকায় এক নম্বরে থাকা ভারত ছায়া অর্থনীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে বিপুল অংকের অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ বাতিল করে দিয়েছে। তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া।
 
নগদ অর্থনীতির মতোই বাংলাদেশের ছায়া অর্থনীতির কলেবরও বেশ বড়। ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ছায়া অর্থনীতি নিয়ে একাডেমিক গবেষণার ফল প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাতে দেখা যায়, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের ছায়া অর্থনীতির আকার ছিল জিডিপির ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এরপর এক দশক অনুপাতটি ২৩-এর নিচে ছিল। ২০০৫ সালের পর তা অস্বাভাবিক গতিতে বাড়তে শুরু করে। ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ থেকে ২০০৬ সালে অনুপাতটি এক লাফে ২৭ পেরিয়ে যায়। এরপর প্রতি বছর ১০০ থেকে ৪০০ ভিত্তি পয়েন্ট করে বেড়ে ২০১৪ সালে অনুপাতটি ৪৩ দশমিক ৬৪-এ ঠেকেছে। ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছায়া অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তানের উপরে।
 
লুক্কায়িত এ অর্থনীতির আকারের সঙ্গে মাথাপিছু আয়, আর্থিক স্বাধীনতা ও ব্যবসার স্বাধীনতা সূচকের সম্পর্ক ঋণাত্মক আর সরকারের কলেবরের সঙ্গে ধনাত্মক। অর্থাৎ অর্থনীতি উন্নত হতে থাকলে, মাথাপিছু আয় বাড়তে থাকলে, আর্থিক অবকাঠামো ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নত হতে থাকলে জিডিপি ও ছায়া অর্থনীতির অনুপাত কমতে থাকে। অন্যদিকে সরকারের বড় কলেবর ছায়া অর্থনীতি উৎসাহিত করে।
 
আর ছায়া অর্থনীতির প্রধান অনুষঙ্গ নগদ লেনদেন। ব্যাংকের সংখ্যা ও শাখা বৃদ্ধি, ডিজিটাল মানির প্রসার, প্রত্যন্ত মানুষের ব্যাংক হিসাব খোলা ইত্যাদি কারণে গত এক দশকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। তার পরও দেখা যাচ্ছে, জিডিপির চেয়ে অর্থনীতির নগদ ভিত্তি প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক বেশি। জিডিপি টু শ্যাডো ইকোনমি অনুপাত যেমন বেড়েছে, তেমনি জিডিপি টু ক্যাশ বেজ অব ইকোনমিও বেড়েছে। অর্থাৎ জিডিপির বিপরীতে ছায়া অর্থনীতি আর নগদ ভিত্তি দুটোই বেশি বেড়েছে।
 
তবে নগদ অর্থনীতি বড় হওয়ার মানেই দুর্নীতি বাড়ছে— এমনটা মনে করেন না পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যে গতিতে হচ্ছে, তাতে নগদ অর্থনীতির এ বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। গত এক দশকে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় পরিবর্তন এসেছে। ব্যবসার পরিধি অনেক বেড়েছে। আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে ঈর্ষণীয় হারে। ফলে আর্থিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে নগদ অর্থনীতি বড় হয়েছে। স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারলে ছায়া অর্থনীতির আকার বাড়বে না।
 
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মনে করেন, গোপনে অর্জিত অর্থ ভোগের অবাধ পরিবেশ ও কাঠামোগত অর্থনীতিতে প্রবেশের অনিচ্ছাও নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে। সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়মের বেড়াজালে প্রবেশ না করে লুক্কায়িত অর্থনীতিতে অনেক মানুষই সম্পদ গড়ছেন। এটি বন্ধ করতে হবে। অনুপার্জিত আয় ভোগের সব সুযোগ বন্ধ করার মধ্য দিয়েই ছায়া অর্থনীতির আকার ছোট করে আনা যাবে।
 
 সহযোগিতায় আব্বাস উদ্দিন নয়ন ও নিহাল হাসনাইন
Courtesy: Banikbarta Oct 29, 2018