Search

Wednesday, December 12, 2018

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনে আসা ইতিবাচক

বদিউল আলম মজুমদার

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে প্রবীণদের সঙ্গে বিশেষভাবে তারুণ্যকে প্রাধান্য দেওয়া নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় দিক। নারী প্রার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে একজন বেড়েছে। তবে সংখ্যালঘু প্রার্থী আরও বাড়তে পারত।

যা হোক, তারা একটি প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, এটিও একটি ইতিবাচক দিক।

দলটি নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে যেটা নেতিবাচক, তা হলো সমালোচিত কিছু নেতা মনোনয়ন পেয়েছেন, আলোচিত ও ত্যাগী কিছু নেতা বাদও পড়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ–বিক্ষোভ হয়েছে। কিছু প্রার্থী কেন মনোনয়ন পেলেন, তার সদুত্তর নেতা–কর্মীরাও জানেন না। এটা অপ্রত্যাশিত।

বিএনপির মনোনয়নে উত্তরাধিকারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অর্থাৎ যাঁরা একসময় দলের বড় নেতা-মন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন—তাঁদের ছেলে-মেয়ে বা স্ত্রী কিংবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা সাংসদ হবেন—এটা কাম্য নয়। এভাবে উত্তরাধিকারের রাজনীতি গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

তবে এবারের মনোনয়নে বিএনপি প্রবীণের সঙ্গে তারুণ্যের বড় সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে, এটা ইতিবাচক বলে মনে করি।

  • বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/১২ ডিসেম্বর ২০১৮

কারাগারে কম্বল সংকট

সম্পাদকীয়

বন্দীদের অধিকার নিশ্চিত করুন


চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ‘ভিড়’ অস্বাভাবিকতাকেও যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই কারাগারে ধারণক্ষমতা আছে ১ হাজার ৮৫৩ জনের। আর গত সোমবার পর্যন্ত সেখানে বন্দী ছিলেন ৯ হাজার ৭৩৩ জন। তার মানে তাঁদের সংখ্যা ধারণক্ষমতার পাঁচ গুণের বেশি। রাখার জায়গা না থাকায় অনেককে কারাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বারান্দায় রাখা হয়েছে।

নির্বাচনের ঠিক আগে বন্দীদের এই অস্বাভাবিক আধিক্যে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, ভোটের কথা মাথায় রেখেই তাঁদের আটক করা হচ্ছে কি না। মামলা থাকলে আসামি আটক হবে এবং আদালত তাঁদের জেলে পাঠালে প্রশাসনও সে হুকুম তামিল করবে—সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই বন্দীদের যেভাবে কারাগারে রাখা হচ্ছে, সেটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রয়োজনীয় কম্বল না পেয়ে শীতে কষ্টে আছেন বন্দীরা। ঠান্ডা লেগে অনেকে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আটক বন্দীদের স্বজন ও সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বন্দীরা সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানাচ্ছেন।

নিয়ম অনুযায়ী কারাগারে নতুন আসা একজন বন্দী তিনটি করে কম্বল পান। একটি বালিশ, একটি বিছানা এবং আরেকটি চাদর হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সেখানে এমন বন্দীও আছেন যাঁকে একটি কম্বলও দেওয়া হয়নি। এই তীব্র শীতের মধ্যে মেঝেতে একজন মানুষকে ঘুমাতে দেওয়া কতটা অমানবিক, তা উপলব্ধি করা দরকার। কয়েকজন জেল থেকে বেরিয়ে বলেছেন, কম্বল না পাওয়ায় ঠান্ডা লেগে তাঁরা সর্দি-কাশিতে ভুগছেন।

কারা সূত্র জানিয়েছে, স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে এবারই প্রথমবারের মতো সাড়ে ৯ হাজারের বেশি বন্দী এই কারাগারে আছেন। গড়ে পাঁচ হাজার বন্দী থাকায় কারাগারে কম্বলের মজুতও রয়েছে পাঁচ হাজারের। কিন্তু বন্দীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়ে কারা কর্তৃপক্ষ। আটক বন্দীদের বেশির ভাগই মাদক মামলার আসামি। মাদক মামলায় জামিনের হার কমে যাওয়ায় এই সংখ্যা বেড়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, ‘কয়েক দিনের মধ্যে’ কম্বলের সংকট কেটে যাবে। কিন্তু এতগুলো মানুষ কম্বল ছাড়া ‘কয়েক দিন’ কীভাবে শীতের রাত পার করবেন, সেটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া দরকার।

শুধু চট্টগ্রামেই নয়, প্রকৃতপক্ষে সারা দেশেই জেলখানাগুলোতে এখন বন্দীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। নির্বাচনকে ঘিরে পুরোনো মামলা সক্রিয় হচ্ছে, নতুন নতুন মামলাও করা হচ্ছে। এসব মামলায় আটক করে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম কারাগারের অবস্থা দেখে দেশের অন্য কারাগারগুলোর অবস্থাও কিছুটা আন্দাজ করা যায়। এ বিষয়ে সরকারকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব দেখাতে হবে। ধারণক্ষমতার বাইরে বন্দী রাখলে তাঁদের নিম্নতম অধিকার যেন নিশ্চিত করা হয়, সে বিষয়ে কারা প্রশাসনের সচেষ্ট হওয়া দরকার। 

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/১২ ডিসেম্বর ২০১৮

Crammed beyond Capacity

Jails across the country holding some 95,000 inmates against their capacity for 36,000


Prisons across the country are crammed with a record number of inmates, in some places three to seven times their capacity, as a result of the crackdown on illegal drugs and a “mass arrest” of BNP men over the last few months.

Late last month, the 68 jails were holding 95,222 prisoners against their total capacity for 36,614, forcing the authorities to accommodate inmates in corridors or any other place they can find, according to the Directorate of Prisons.

Under the jail code, each prisoner is entitled to 36sqft of living space. But currently, three, four or even five inmates are sharing that space.

Four senior jail officials have said this is the highest prison population they have seen in their 10-14 years of service. They spoke on condition of anonymity because they are not authorised to speak to the media.

The number of prisoners suddenly started soaring in May, when the government launched a crackdown on illegal drugs.

In the three months from May to July, some 42,000 suspected drug peddlers landed in 55 district and 13 central jails, according to prison officials.

In addition, in September-October, police arrested hundreds of BNP men across the country ahead of the party's founding anniversary and its rally in the capital.

The BNP has claimed that as of November 14, at least 10,513 of its leaders and activists had been arrested.

The Daily Star could not verify the claim, and the prison authorities say they do not keep separate records of arrestees who are political leaders and activists.    

However, they said about 43 percent of the total prisoners face drug-related charges.

Jail officials in Rajshahi and Rangpur divisions said they were facing a hard time accommodating and looking after prisoners three to five times the capacity. Many are left with no choice but to lie in the corridors although winter is here.

“It is not that big a problem in summer. But keeping inmates outside cells in cold may result in a series of problems,” said an official at the prisons directorate, describing the situation in northern districts.

The Cox's Bazar district jail is among the most crowded, holding prisoners about seven times its capacity. 

“The jail shelters 3,800 prisoners against its capacity of 530. Of them, 2,500 are accused in drugs-related cases. The number of such inmates is rising as courts are denying bails in such cases,” said Jail Superintendent Bazlur Rashid Akhand.

Crowded prisons hamper the routine activities and violate prisoners' rights, officials said.

They are also perfect breeding grounds for corruption, said a former high prison official.

Corruption in jails can be controlled through efficient management, which is difficult in an overcrowded prison, the official added, asking not to be named. 

Sometimes, convicts who are chosen as leaders in prisons offer undue favour to inmates in exchange of money. A portion of that money reaches some corrupt jail officials as well, said sources in different jails.

With a large number of the inmates being drug dealers, drug abuse also continues inside jails dodging surveillance, they added.

For example, six inmates in the district jail in Cox's Bazar, the hub of yaba trade, were caught carrying yaba pills in their rectums very recently. Similar recoveries were made at least five other times in recent months, officials said.

Asked how they are accommodating the prisoners, Chittagong Jail Superintendent Prashanta Kumar Banik said, “We are trying to manage the pressure by arranging sleeping spaces for inmates in verandas in regular wards.”

There are 9,695 inmates in the jail against its capacity for just 1,853.

He added that four new wards had been constructed to accommodate 800 prisoners.

Contacted, Abdullah Al Mamun, assistant inspector general at the Directorate of Prisons, said some jails had already been renovated to accommodate more prisoners.

Renovation of other prisons are underway, he told The Daily Star on November 27.

In January 2010, a year after the AL took office, the prison population stood at 90,000 in 67 jails against their capacity for 27,000, according to the Directorate of Prisons.

It came down to 75,000 in September 2015 when the combined capacity was 33,430. The number went up again in July this year to 83,350.

(Our correspondents from Chattogram, Barishal, Cox's Bazar, Sylhet and Mymensingh contributed to this report.) 

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 12, 2018

Why are stalkers not caught?

Editorial

HC directives have not been heeded at all


Fifteen-year-old Lucky Ghosh, a schoolgirl who is fighting for her life in hospital at the time of writing this, was brutally stabbed by a group of stalkers while on her way home at a village in Manikganj. A candidate for the upcoming SSC exams, Lucky was being stalked by this group for the last two months until it decided to attack her so viciously.

It is outrageous that despite strong directives from the High Court and laws that have been enacted to prevent violence against girls and women, school girls continue to be stalked and attacked on a regular basis all over the country. In 2011 the HC recognised stalking as sexual harassment after many young girls took their lives after being stalked. Among the directives, the HC asked the government to include stalking as a sexual offence in the Women and Children Repression Act, set up separate cells at every police station across the country to monitor and deal with stalking cases, make sure the heads of police stations hold meetings on these cases and ensure that appropriate actions are taken; so that such cases are properly tried in court. The court also said that its directives will be considered as law, and mobile courts will deal with incidents of stalking until the government enacts a fresh law or amend the relevant law to stop the crime.

It is obvious that none of these directives have been taken seriously, leaving young girls vulnerable to the whims of these psychopaths. If we really did have separate cells in police departments to monitor stalking, if stalkers were given exemplary punishment, if the police (including higher officials) seriously went after stalkers and took action, how many of these girls would have been saved?

Stalking as we all know, usually happens over a period of time, which means it is not difficult to identify the stalker. So why are we not stopping the crime before it escalates into a fatal attack on a helpless young girl or woman? The government has a huge responsibility to implement the HC directives and protect young girls, whether they are at school, on the streets or at home, from these predators. 

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 12, 2018

Tuesday, December 11, 2018

Govt must stop extrajudicial killings

Editorial

ALTHOUGH the government has claimed that it is sincere in protecting human rights, human rights defenders have termed the country’s rights situation alarming and repressive as extrajudicial killing, enforced disappearance and custodial torture continued despite the government’s commitment to international community to maintain ‘zero tolerance’ policy for criminal liabilities of law enforcers. According to a local rights group Odhikar, 1,877 people became victim to extrajudicial killing between 2009 and October 2018 in the name of ‘crossfire’ or ‘gunfight’. Between 2009 and 2013, the number was 764 while it rose to 1,113 between January 2014 and October 2018; and 486 people were subjected to enforced disappearance between January 2009 and October 2018. Of them, 132 disappeared between 2009 and 2013 in the first tenure of the Awami League-led government while the rest 354 disappeared in its second tenure. The number of inmates in the country’s 68 jails reached 97,746 on November 4 against their capacity of 36,614 ahead of the 11th parliamentary elections.

It would be pertinent to mention that in the face of growing demand from conscious sections of society for preventing custodial death and torture, the government passed a law in 2013 criminalising deaths and torture in custody of the police and other law enforcing agencies. The law was enacted in compliance with the United Nations Convention against Torture and other Cruel, Inhuman Treatment or Punishment. But still we are swamped with a large number of reports of deaths in police custody. While this kind of killings has touched off strong criticism and condemnation at home and abroad, especially by national and international human rights organisations, and prompted the High Court to issue a series of rules on the government in this regard, a section of law enforcers have appeared unperturbed and are continuing with this practice of torturing and killing. The Awami League-led government, in line with the 2008 AL manifesto, did talk tough against extrajudicial killings in early days of its previous tenure and even publicly announced the adoption of a ‘zero toleration’ policy against such killings.

Regrettably, these words have hardly translated into reality. What actually came about afterwards is that the incumbents soon sought to defend such extrajudicial killings on the plea of the law enforcers’ right to self-defence. According to Ain o Salish Kendra, 437 people were killed in the custody of law enforcement authorities or in the name of ‘encounter, crossfire or gunfight’ in first 10 months of 2018. Overall, the government and law enforcers seem to lack sincerity to put an end to such monstrosities which could lead to more lawlessness and weaken the fabric of the state and society. Most importantly, enforced disappearance and extrajudicial killing erode public faith in law enforcement and may prompt people to take the law into their own hands.

Hence it is incumbent on the government to put an end to such unconstitutional killings and to instruct law enforcers to act in complete adherence to relevant rules so that human rights violation by law enforcers can be stopped once and for all.
  • Courtesy: New Age /Dec 11, 2018

Fakhrul’s motorcade attacked


BNP Secretary General Mirza Fakhrul Isalm Alamgir’s motorcade was attacked in his hometown Thakurgaon this morning, claimed the party.

Some 40-50 men attacked the motorcade at 1:00pm, Syrul Kabir Khan, a press wing staff of BNP Chairperson Khaleda Zia, told The Daily Star.

The respected senior politician went to his hometown this morning a day after the Election Commission opened the field for Election Campaign.

Chuadanga motorcade also attacked

The Star report added: Chuadanga’s BNP candidate for the upcoming general election claims he was attacked in the district’s Alamdanga upazila last night. Sharifuzzaman, contestant from Chuadanga-1 constituency, said at a press conference that he was attacked during election campaign.

“A group of people shouted Joy Bangla slogans and attacked us in Munshiganj bazar around 9:30pm,” our Kushtia correspondent quotes him as saying.

According to him at least 10 people were hurt in the attack and two microbuses vandalised.

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 11, 2018

EU urges govt, EC to ensure credible polls

Ahead of the December 30 polls, the European Union along with Norway, Switzerland called upon the Bangladesh government, the Election Commission and other stake holders to protect and uphold the citizens' right to vote, freedom of expression and right to peaceful assembly.

The call was made in a joint statement signed by the officials of the European Union, United Kingdom, Spain, Sweden, France, Germany, Netherlands, Denmark, Norway and Switzerland yesterday.

The statement urged all the stakeholders to ensure a genuine, credible, inclusive and transparent electoral process in Bangladesh.

The EU and the other countries welcomed the commitments of Bangladesh government and the EC in this respect, it read.

The statement also urged all the political parties of Bangladesh to meet their democratic responsibilities and refrain from violence and called upon the law enforcers to strictly adhere to the rule of law.

Media and civil society scrutiny is particularly important for ensuring transparency throughout the election process, it said.

"Participatory elections constitute an important step in the ongoing process of national development for all Bangladeshi citizens," the statement added.

EU ambassador Rensje Teerink, British High Commissioner Alison Blake, Spanish Ambassador D Alvaro de Salas Gimenez de Azcarate, Swedish Ambassador Charlotta Schlyter, French Ambassador Marie-Annick Bourdin, German Ambassador Peter Fahrenholtz, Dutch Ambassador Harry Verwejj, Danish Ambassador Winnie Estrup Petersen, Norwegian Ambassador Sidsel Bleken and Swiss Ambassador Rene Holenstein were the signatories to the statement.

  • Courtesy: The Daily Star/ Dec 11, 2018

Khaleda’s polls bid: One judge in favour; another opposes

CJ to now assign bench to dispose of pleas


The senior judge of a two-member High Court bench today ruled in favor of BNP chief Khaleda Zia’s participation in the upcoming elections while the junior judge disagreed with him.

Following the dissenting order on three writ petitions filed by Khaleda, the High Court judges will now send all the three appeals and the judges’ orders to the chief justice who will assign another High Court bench for final hearing and disposal of the petitions.

Khaleda filed the writ petitions challenging the Election Commission's decisions upholding the returning officers' cancellation of her all three nomination papers Bogura-6, 7 and Feni-1.

Justice Syed Refaat Ahmed, the senior judge of the bench, directed the EC to accept the nomination papers of Khaleda and allow her to contest the December 30 general elections.

The judge also issued a rule asking the EC to explain why its decision on the nomination papers of Khaleda Zia should not be declared illegal.

Meanwhile, Justice Md Iqbal Kabir, the junior judge of the bench, disagreed with the senior judges’ order.

WHEN DID KHALEDA ZIA FILE THE PETITIONS?

Khaleda, a former prime minister, on December 9 filed the three separate writ petitions also seeking HC directives on the EC to accept the nomination papers so that she can run from Bogura-6, 7 and Feni-1.

In the petitions, she also prayed to the HC to issue a rule asking the EC why its decisions on her nomination papers should not be declared illegal, Barrister Kayser Kamal, a lawyer for Khaleda, told The Daily Star earlier.

The EC rejected Khaleda's appeals on the grounds of violating the electoral code of conduct but the question of Khaleda violating the code does not arise as she has been in jail since February, Kayser pointed out.

WHEN WAS KHALEDA SENT TO JAIL?

Khaleda landed in jail on February 8 after a special court in Dhaka sentenced her to five years' imprisonment in the Zia Orphanage Trust corruption case. The HC later extended her jail term to 10 years.

On October 29, Khaleda was convicted and sentenced to seven years' rigorous imprisonment by the same court in the Zia Charitable Trust graft case.

WHAT DID KHALEDA’S LAWYER SAY ABOUT NOMINATION REJECTION?

Khaleda's lawyer AJ Mohammad Ali told the High Court that the EC was not performing independently and the returning officers were being directed by the government. 

The lawyer added that if the EC were independent, its decisions would have been different, as it happened to the nomination papers submitted by ruling Awami League-led alliance candidates -- Muhiuddin Khan Alamgir, Pankaj Debnath and Nazmul Huda.   

He argued that article 66(2) (d) of the constitution stipulates that if someone is convicted and sentenced to more than two years' imprisonment for moral turpitude, he or she may not be eligible to contest the election.

Since the appeals (against the convictions of Khaleda in two cases) are pending, the convictions did not reach the finality, he said.

Mohammad Ali cited the Supreme Court's earlier decision mentioned in 48 Dhaka Law Reports and said if someone was guilty or convicted, he or she could participate in polls.

WHAT DID AG SAY ON KHALEDA’S WRIT PETITIONS?

Attorney General Mahbubey Alam opposed the writ petitions saying that Khaleda Zia cannot be allowed to contest the election as per article 66(2)(d) of the constitution as she has been convicted and sentenced to 10 years and seven years' imprisonment in two separate corruption cases.

Article 66 (2)(d) stipulates, “A person shall be disqualified for election as, or for being, a member of parliament who has been, on conviction for a criminal offence involving moral turpitude, sentenced to imprisonment for a term of not less than two years, unless a period of five years has elapsed since his release.”

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 11, 2018


Police cannot be the judge, jury and executioner - Number of shootout deaths alarming

Editorial


It is regrettable that “crossfire” or “shootouts” have become a euphemism for extrajudicial killings in Bangladesh. But the administration's attempt to lend a veneer of propriety by using those words to justify extrajudicial killings cannot wash with the public. These killings are not only a gross violation of human rights but also a breach of rule of law and abdication of the legal process. Needless to say, it has severely tarnished the image of the country.

The number of deaths this year in such incidents has witnessed a remarkable spike and surpassed all past figures. While even one such death is one too many, one wonders how the administration would explain the 406 deaths so far in 2018. Most of the victims, reportedly, are alleged drug dealers while some are political cadres belonging to the opposition camps.

We agree that the dangerous spread of drugs, particularly yaba, needs to be curbed. But indiscriminate killing of alleged drug dealers is not the way to go about redressing the problem. In many cases, some of the big fish have been fortunate not only to survive, but also evade the so-called long hands of the law. If the government means business it must remove its partisan eye glass to address the issue.

The official explanation of the circumstances of most of the deaths contradicts the statement of the eyewitnesses and family members. The home minister has tried to explain it away by saying that these were deaths in crossfire, but seldom have the police displayed the weapons used by the victims that they are alleged to have used to engage in crossfire against the police.

These deaths merit to be investigated. No country that claims to be governed by the rule of law can abandon the legal norms. Every person, even the most hardened criminal, deserves to be heard in the court of law. And in the court of public opinion, any government which fails to guarantee that will have failed in fulfilling its fundamental duty—ensuring human rights for all.

  • Courtesy: The Daily Star/ Dec 11, 2018

আইনের শাসনের নীতিতে অটল থাকুন - পরিবেশ উৎসবমুখর হোক

সম্পাদকীয়
নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, বাতিল, আপিল, পুনর্বিবেচনা, প্রত্যাহার ইত্যাদির মাধ্যমে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় শুরু হলো। এ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের মনোনীত প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চলবে, প্রার্থীরা নানা মাধ্যমে জনসংযোগ করবেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাবেন, তাঁদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো তুলে ধরবেন এবং ভোট চাইবেন। এই পর্যায়ে ভোটাররা অনুভব করবেন, এই প্রজাতন্ত্রে তাঁদেরও গুরুত্ব আছে; তাঁদের ভোটেই রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

এ পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, সব প্রার্থী যেন নির্বিঘ্নে প্রচারকাজ চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থীদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে এবং অনেককে নতুন করে বিভিন্ন মামলার আসামির তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। যাঁরা গ্রেপ্তার হননি, তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। এসব কারণে তাঁদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো দুরূহ হয়ে পড়বে।

শুধু প্রার্থী নন, তাঁদের কর্মী বাহিনীর সদস্যরাও গায়েবি মামলার অজুহাতে পুলিশি হয়রানির আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা যদি গ্রেপ্তারের ভয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হন, তাহলে তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো কঠিন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। এভাবে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর সমান সুযোগের ক্ষেত্র নষ্ট হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে।

নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলাসহ ভিত্তিহীন নানা অভিযোগে যেসব মামলা করা হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে এখন সেগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো প্রার্থী এ রকম হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করলে কমিশন সেসব মামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই প্রার্থীকে অন্যায় হয়রানি থেকে রক্ষা এবং নির্বাচনী প্রচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করতে পারে। আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে পরাস্ত করার অপকৌশল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। এ জন্য শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সক্রিয় সহযোগিতার বিকল্প নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সরকারের নির্বাহী বিভাগের আওতায় কাজ করে। এবারের নির্বাচনের বিশেষত্ব হলো, এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। সুতরাং এ মুহূর্তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচনকালে এমন নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে, যেমনটি নির্দলীয় সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করা সরকারের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধের তাৎক্ষণিক আইনি প্রতিবিধানের জন্য আইন-বিধানের দ্রুত ও যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি। আইনের শাসনের মূলনীতি সম্পর্কে সচেতন থাকলে এ রকম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শঙ্কা, ভীতি, অনিশ্চয়তা দূর করে একটা উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর সেই চেষ্টাই করা উচিত।

কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮