Search

Monday, January 14, 2019

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে — মাহমুদুর রহমান মান্না


জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জনগণ এই নিষ্ঠুর প্রহসনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ কারণে এই নির্বাচনকে বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, একটি মানবিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে, একটি কল্যাণ রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্যে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু পরিষদ মিলনায়তনে রোববার নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সারাদেশ থেকে দলটির শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

মান্না বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনটি ছিল ছলচাতুরীর নির্বাচন। এর পরের পাঁচ বছরে স্থানীয় সরকারসহ যত নির্বাচনই হয়েছে, সবই ক্ষমতাসীনরা ছলে-বলে জিতে নিয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার এ সময়ে লুট হয়ে যায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র এবার ভোটের আগের রাতে জনগণের বিরুদ্ধে এক ভোটযুদ্ধে নামে এবং জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে বিজয় অর্জন করে।

সভায় পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা হয়। মান্না নারীশিক্ষা নিয়ে শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যের নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন। 

এ ছাড়া অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়।
  • কার্টসিঃ সমকাল/ জানু ১৪, ২০১৯ 

সরকারি জায়গা দখল করে আ'লীগ অফিস-দোকান তুলে চাঁদা আদায়

গাজীপুরের শ্রীপুর জৈনাবাজার

গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে ইজারার কাগজ দেখিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও দোকানপাট। 

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাড় ঘেঁষে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে টিন দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বড় একটি ঘর। ঘরের সঙ্গেই লম্বা একটি বাঁশের মাথায় উড়ছে জাতীয় পতাকা। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গায় গড়ে তোলা ওই ঘরের বাইরে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয় গাজীপুর ইউনিয়ন শাখা' লেখাযুক্ত একটি সাইনবোর্ড টাঙানো আছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের অভিযোগ, এটা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নয়। মূলত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জমি জবরদখল করে রাখা হয়েছে। মহাসড়কের দুই পাশে সওজের প্রায় এক কি.মি. জায়গাজুড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে আরও অন্তত ২০০ দোকান। এসব দোকান থেকে আদায় করা লাখ লাখ টাকা চাঁদা ওই 'কার্যালয়ে' বসে ভাগবাটোয়ারা করা হয়। সাধারণত রাত ১০টার পর এ বাটোয়ারা চলে। জায়গা বরাদ্দ দিয়ে দোকানিদের কাছ থেকে আদায় করা জামানতও ছাড়িয়ে গেছে কোটি টাকা।

স্থানীয়দের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমকালের অনুসন্ধানেও বেরিয়ে আসে চাঁদা আদায়ের নানা কৌশল। অনুসারীদের নিয়ে দিনের পর দিন অবৈধ এ কাজ করে চলেছেন গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া আবুল হাশেম। যদিও অভিযুক্ত আবুল হাশেম আদায় করা টাকাকে চাঁদা বলতে নারাজ। তিনি দাবি করেছেন, সরকারের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকায় এ বাজার ইজারা নিয়ে খাজনা আদায় করছেন। আর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছেন আবুল হাশেম ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।

সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাড় ঘেঁষা সওজের প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা দখল করে ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন দোকান। সেখানে সেলুন, কাপড়, মাছ-মাংস, শুঁটকি, কাঁচাবাজার সবই আছে। স্থাপন করা হয়েছে পানি তোলার বৈদ্যুতিক মোটর।

সওজের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন এমন দোকানিরা জানান, তারা এই জায়গা দখল করেননি। জৈনাবাজারের ইজারাদার আবুল  হাশেম ও তার লোকজন অফেরতযোগ্য জামানত নিয়ে এসব ঘর করে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, সাড়ে ৩ লাখ টাকা জামানত দেওয়ার পর তাকে ছোট্ট একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়াও দেন।

শরিফুল ইসলাম নামে মাংস ব্যবসায়ী জানান, জবাই করা প্রতি গরুর জন্য ৮০০ টাকা দিতে হয়। এই টাকা কেন দিতে হয়? উত্তরে বলেন, খাজনা হিসেবে আবুল হাশেমের লোকজন এই টাকা নেয়।

সবজি ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন বলেন, ৩৫ হাজার টাকা জামানত দিয়েছি। প্রতিদিন ৪০০ টাকা দিতে হয় হাশেম সাহেবের লোকজনকে। মাছ ব্যবসায়ী কবীর জানান, প্রতিদিন ৪০০ টাকা দিতে হয়।

মহাসড়কের পাশে বসে লাউ বিক্রি করছিলেন কামাল নামে কৃষক। তিনি বলেন, ৩টি লাউ নিয়ে বাজারে এসেছি। ৯০ টাকা বিক্রি করেছি। এর পর এক লোক এসে 'খাজনা' হিসেবে ৩০ টাকা নিয়ে গেছে।

সওজের জায়গায় গড়ে তোলা জৈনাবাজারের প্রত্যেক দোকান থেকে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা নেওয়া হয় প্রতিদিন। সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। এই হিসাবে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা জানান, নীতিহীন এসব কাজের প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না। ফলে তারা আর প্রতিবাদ করেন না। তারা বলেন, ইজারার একটি কাগজ দেখিয়েই এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আবুল হাশেম বলেন, চলতি বছরের জন্য ৬০ লাখ টাকায় জৈনাবাজার ইজারা নিয়েছি। ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে সওজের জায়গায় বাজার বসে। দোকানিদের কাছ থেকে চাঁদা নয়; খাজনা আদায় করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

জামানত নেওয়া প্রসঙ্গে হাশেম বলেন, কারও কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়নি। দোকানিরাই নিজেদের খরচে ঘর করে ব্যবসা করছেন। তার দাবি, যেহেতু সরকার এই বাজার ইজারা দিয়ে প্রতি বছর অর্ধ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব নিচ্ছে, তাই জৈনাবাজারের জন্য একটি নির্ধারিত স্থান বরাদ্দ প্রয়োজন।

সওজের জায়গায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় গড়ে তোলা প্রসঙ্গে তার দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ঘরটি করেছেন। এটি দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, নির্বাচনের আগে এখানে একটি নৌকা প্রতীকের ক্যাম্প করা হয়েছিল। কিন্তু ঘরটি যে পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেই জানি না।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইজারা দেওয়া জায়গা থেকে সরকার একটা রাজস্ব পায়। কিন্তু সেখানে ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া কিংবা হস্তান্তর করা যাবে না। নিয়মবহির্ভূতভাবে যদি এমনটা কেউ করে, তাহলে খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতে পারে। 
  • কার্টসিঃ সমকাল/ জানু ১৪, ২০১৯ 

Preparing for 4IR

EDITORIAL

The Fourth Industrial Revolution (4IR) is already on and it is all set to gain extraordinary momentum soon. Is Bangladesh prepared for the technological transformation? A seminar titled, 'Fourth Industrial Revolution: Are We Ready' hosted by a leading local IT company posed this serious question. Participating in the discourse, experts were unanimous in making the suggestion that the country had better devised a strategy for the 4IR. Unlike many advanced Asian and European countries Bangladesh is struggling not with an aging population but a young population. More than 30 per cent of the 160 million people here are young (10-24 years of age). So to reap the demographic dividend, the country must develop an industrial policy compatible with the ground-breaking technological transformation now under way. It is a huge opportunity that must be welcomed with open arms. Failure to do so will create a lot of problems where the population will prove to be a burden rather than a human resource.

Planning with the population, therefore, is vitally important. The majority of the new generations will be required to be techno-savvy. Computer science will definitely be in the forefront. The various branches of this science will dominate the engine of production and development. Robotics, artificial intelligence (AI), nanotechnology, quantum computing, biotechnology, internet of things, 5G additive manufacturing/3D printing, electric and autonomous vehicles will lead the pack. Industries will be sophisticated and autonomous of an unprecedented order and the traditional labour is likely to be redundant. Even skill in foreign languages will be in need for obtaining a job both at home and abroad. Already those young people doing outsourcing need good enough communication skill at least in English to obtain orders and deliver those in time.       

It is clear that the country's education base is not up to the mark to meet the challenges ahead. Computer knowledge of a rudimentary type will not do. But the computers distributed among village schools are unused for various problems. Either there is no power supply or qualified trainer or teacher. The younger children become familiar with computer knowledge the greater the chance for them to become techno-savvy. Today a child as young as 8-10 years old has the credit to develop apps. Young people from Bangladesh are not lagging behind in this respect. What they need is the right opportunity and environment.

Clearly, the lapses of the country's education system have to be overcome in a planned manner. But there is no alternative to investing far more than is done now in education. This will be necessary for reforming education to meet the challenges of the new millennium. Education has to be lifetime for better living. A young generation of teachers have to be developed within a specific time frame. They will prepare students for taking up the challenges of the 4IR. Industries and companies will also have to change their mindset. They must collaborate with universities and research institutes in order to spur innovation and reap benefits of technological wonders. Thus can Bangladesh turn its population into human resources. 

  • Courtesy: The Financial Express/ Jan 14, 2019

Rice prices still remain high

Millers blame importer-trader nexus for hike

Rice prices still remain high despite repeated government efforts to stabilise the market. But price hike has put extra pressure on the people on limited incomes, raising their cost of living. Millers and importers shift blame on each other for this hike in peak season of the staple.

To stabilise the rice market, two new cabinet ministers recently pledged to bring rice prices under people's reach within seven days. Commerce minister Tipu Munshi and food minister Sadhan Chandra Majumder made the commitment at a meeting on January 10.

The FE correspondent found no signs of a fall in rice prices in the city's kitchen markets even after four days of their promise made.

Seasonal coarse rice Swarna and other thick varieties still retail at Tk 40-44 and medium quality Brridhan-28 and 29 at Tk 50-54.

Even finer variety Miniket and Jeerashail now sell at Tk 55-66 and Najirshail at Tk 62-72 a kg. The prices of all rice varieties increased by Tk 3-5 a kg in the past two weeks.

Rice prices rose by Tk 2.5-3.5 a kg at Babubazar, Badamtoli, Mohammadpur Krishi Market and Karwanbazar wholesale markets during the period.

Prices rose by Tk 150-250 per 50-kg sack in Kushtia, Naogaon, Rangpur, Dinajpur, Nilphamari, Pabna and Jashore mill gates in the past two weeks, according to Bangladesh Auto Major Husking Mill Owners Association.

Rice is rising in prices at a time when farmers had a good yield during ongoing Aman harvest and got an all-time high production last Boro season (April-June).

Aman growers sold paddy at three-year low rate from mid-November to mid-December in last calendar year, according to the Department of Agricultural Marketing.

The Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) is yet to estimate the total production of rice in Aman season. But the overall production is expected to exceed the government target of 1.41 million tonnes in fiscal year (FY) 2018-19, said officials.

Rice production was 36.2 million tonnes in FY '18 against the requirement of 32.8 million tonnes, according to food ministry.

At the same time, rice stocks at public warehouses are now more than 1.08 million tonnes, it said.

Azizul Hoque, a Nilphamari-based miller, said rice prices are being increased at such a high rate by a syndicate of importers and traders. They have hoarded large quantities of paddy only to manipulate the market by increasing prices.

The import lobby is active to justify the removal of the existing higher import duties, he argued. Import duty on rice is now 28 per cent.

Mr Hoque said coarse paddy prices increased to Tk 1,500-1,550 per 75-kg sack in January from Tk 1,200-1,250 during the November-December period.

"Apart from millers, the government should monitor the storage of big importers and their affiliated traders to find out the key reason behind this hike," he said.

Sarwar Alam Kajol, a Naogaon-based importer, said importers have no hand in the rice price hike. Big millers and their allied traders hoarded most of the Aman paddy within last December, he told the FE. They have been raising the prices of both paddy and rice for lack of an alternative channel.

Mr Kajor said boiled rice import is totally stopped now, excepting import of some white rice.

According to the directorate general of food, the country's rice import declined to just 0.11 million tonnes in the first six months of the current fiscal. It was more than 2.1 million tonnes in the corresponding period last year.

KM Layek Ali, secretary of the mill owners association, said rice prices might drop within days in city markets.There is no possibility of further hike, he added.

Mr Ali said Swarna sold at Tk 27.5-28.5 a kg on Sunday at Naogaon, Kushtia, Dinajpur and Nilphamari mill gates against Tk 28-29 seven days ago.
  • Courtesy: The Financial Express/ Jan 14, 2019

Sonali's SoS for capital support

Seeks Tk 60b urgently from government

Rezaul Karim

The state-owned Sonali Bank Ltd (SBL) has sought guarantee worth Tk 60 billion from the government to tide over its capital shortfall urgently, officials said. The SBL also requested the government to pay off the commission against the hefty Tk 942-billion letter of credit (LC) it had opened for importing equipment and services for Rooppur Nuclear Power Plant (RNPP).

The commission amount stands at about Tk 50 billion, a bank official said.

As of September last, the total amount of classified loans with the SBL stood at Tk 127.77 billion.

Some 93 SBL branches made losses in 2018.

On January 10, SBL managing director Obayed Ullah Al Masud wrote to finance ministry with a plea to resuscitate the institution.

"The SBL has sought issuance of government's guarantee worth Tk 60 billion to reduce its capital shortfall," said an official of the bank.

"The country's largest state-run bank needs an urgent cash injection," he told the FE.

When asked, a high official of the financial institutions and banking division said, "Last week, the SBL sent a proposal, seeking funds to meet its capital shortfall."

An insider said Sonali Bank needs to strengthen its capital base to comply with the Basel-III banking guideline.

Explaining the guarantee term, he said this will not be a traditional guarantee. When the government assures the bank of its guarantee and the central bank will raise the capital status as per the Basel guideline.

Meanwhile, the SBL has asked for paying off commission money against the LC it had opened for importing equipment and services for the RNPP. But the government, instead, has made a move to provide the SBL with Tk 400 million in two equal instalments as block allocation, the official said.

The bank could get some Tk 50 billion if the government pays off the actual commission, he told the FE. In this case, he said, the government may not have to provide the guarantee the bank has sought for recapitalisation.

However, the state-owned banks tend to be soft on commission recovery against government LCs.

Currently, the bank provides 37 services free of cost to the beneficiaries under the government's safety-net programme and 14 services at nominal costs. It also operates different types of pension schemes.

The bank also lends to troubled state entities like Bangladesh Jute Mills Corporation, Bangladesh Agricultural Development Corporation and Bangladesh Petroleum Corporation.

The loans are later adjusted through 20- to 30-year tenure bonds. For this, the SBL has to count losses estimated at Tk 10.60 billion every year, the letter reads.

The institution's financial strength also weakened following some lending irregularities.

Its Ruposhi Bangla Hotel branch lent little-known Hall-Mark Group and five other firms Tk 39.88 billion between 2010 and May 2012 on forged documents.

The swindlers embezzled the whole amount that belonged to depositors in collusion with some dishonest bank officials.

Hall-Mark alone gobbled up over Tk 29.64 billion, T and Brothers Tk 7.37 billion, Paragon Group Tk 1.61 billion, Nakshi Knit Tk 799 million, DN Sports Tk 382 million and Khanjahan Ali Sweaters Tk 67 million.

In the middle of February 2018, the government moved to give funds to replenish capital of the state-owned banks (SoBs) that suffered such crunch.

The financial institutions division under finance ministry held a meeting with SoB managing directors and representative of the Bangladesh Bank. The then Secretary of the financial institutions division Eunusur Rahman chaired the meeting.

The government had earmarked Tk 20 billion as budgetary allocation for recapitalising the banks in need.

The Basel-III regulatory framework has raised capital-adequacy requirement for banks that most SoBs fall short of.

According to the data available until September 2018, the SBL had a capital adequacy of over Tk 8.48 billion. It had a capital shortfall of Tk 66.02 billion in June.

  • Courtesy: The Financial Express/ Jan 14, 2019

নির্বাচনী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা


সোমবার, জানুয়ারি ১৪, বেলা পৌনে ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তারা। এ সময় বিমানবন্দরে দলীয় নেতারা স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় নেতাদের। দুপুরে বালাগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ঐক্যফ্রন্ট নেতার বাড়িতে যাবেন ফ্রন্টের নেতারা। এ সফরের মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্ট তাদের তিন দফা কর্মসূচি শুরু করছে।ধারাবাহিকভাবে দেশের অন্যান্য নির্বাচনী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবে ঐক্যফ্রন্ট। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

ঐক্যফ্রন্টের সিলেটের মুখপাত্র ও জেলা বিএনপির সভাপতি কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, ৩০ জানুয়ারি ভোটের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ওই দিন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেলকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে ও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নেতাদের এ সফর।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, সফরকারী দলে রয়েছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক।

ছাত্রলীগ–শিক্ষক সমিতি মুখোমুখি অবস্থানে


বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঝোলানো হয়েছিল নৌকা প্রতীকের ফেস্টুন। সম্প্রতি তার পাশেই ক্যাম্পাসে র‌্যাগিংবিরোধী ফেস্টুন টাঙায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যা সরিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এ নিয়ে মুঠোফোনে এক শিক্ষকের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার। এর জেরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থেকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার উভয় পক্ষ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল কবির জাহিদকে মুঠোফোনে ‘রাজাকার’ বলে অকথ্য ভাষায় গালি ও হুমকি দেন। পাল্টা অভিযোগ করে ছাত্রলীগ বলেছে, ওই শিক্ষক ছাত্রলীগ নিয়ে ‘কটূক্তি’ ও গালিগালাজ করেছেন।

গতকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে রাস্তায় মানববন্ধন শুরু করে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে মানববন্ধন পণ্ড করে দেন। মানববন্ধনে ব্যবহৃত মাইক ও মাইক্রোফোনও ভাঙচুর করা হয়। পরে শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে আবার মানববন্ধন শুরু করেন। এ সময় কর্মসূচির পাশে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারপরও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা ওই মানববন্ধনের পাশে মাইক নিয়ে পাল্টা অবস্থান নেন। শিক্ষকদের বক্তব্যের সময়ে তাঁরা মাইকে উচ্চ স্বরে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ এবং ‘শিক্ষক ইকবাল কবিরের অপসারণ চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন। যে কারণে শিক্ষকেরা সেখানেও ঠিকভাবে কর্মসূচি পালন করতে পারেননি।

কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, শিক্ষক ইকবাল কবিরকে হুমকির বিচার ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকেরা পাঠদান করবেন না। কোনো ধরনের পরীক্ষায় অংশ নেবে না শিক্ষকেরা।

এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ারা আজমিরা বলেন, ‘ওই শিক্ষককে অপসারণ না করা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। কাল রোববার (আজ) থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু হবে।’

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল দুপুরে উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ক্যাম্পাসে র‌্যাগিংবিরোধী পোস্টার টাঙানোর সিদ্ধান্ত হয়। সম্প্রতি ক্যাম্পাসের পাঁচটি স্থানে ওই পোস্টার ও ফেস্টুন ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। একটি ফেস্টুন নির্বাচনের জন্যে ঝোলানো নৌকা প্রতীকের পাশে রাখা হয়। ছাত্রলীগের কয়েকজন ওই ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়েছেন। পরে আনোয়ার হোসেন (ছাত্রলীগ নেতা) নামে বহিরাগত এক যুবক শিক্ষক ইকবাল কবির জাহিদকে মুঠোফোনে হুমকি দেন। শিক্ষকেরা নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করতে গেলে হুমায়ারা আজমিরার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি অংশ শিক্ষকদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। তারা শিক্ষকদের কর্মসূচির মাইক ভেঙে দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষককে তারা ধাক্কাও দিয়েছে, যা শিক্ষকদের জন্য চরম অপমান ও লজ্জাজনক।

উপাচার্য বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চালবে।

উপাচার্য আরও বলেন, র‌্যাগিংয়ের নামে গত বছর নতুন ভর্তি হওয়া কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে অত্যাচার-নির্যাতন করেন জ্যেষ্ঠ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এক ছাত্রী ভর্তি বাতিল করে চলে যান। র‌্যাগিংয়ের অপরাধে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে গত বছর শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। আর যাতে কেউ র‌্যাগিংয়ের শিকার না হন, সে জন্য সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে র‌্যাগিংবিরোধী পোস্টার লাগানো হয়।

ছাত্রলীগের নেত্রী হুমায়ারা আজমিরা বলেন, ‘আমরাও র‌্যাগিংয়ের বিরোধী। ওই পোস্টারটি নৌকা প্রতীকের পোস্টার সরিয়ে সেখানে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে পোস্টারটি পরে আমরা সরিয়ে দিয়েছি। শিক্ষক ইকবাল কবির এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন।’

শিক্ষক ইকবাল কবির বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। অথচ আমাকে রাজাকার বলে ফোনে হুমকি দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। আমি এতে ভীষণভাবে অপমান বোধ করছি। আমি এর বিচার চাই।’

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো শিক্ষককে হুমকি দিইনি। তিনি (ওই শিক্ষক) ছাত্রলীগ সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। তাই তাঁর কাছে কৈফিয়ত চেয়েছিলাম মাত্র।’
যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছে। কিন্তু লিখিত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।’ 
  • Courtesy: Prothom Alo/ Jan 13, 2019

বিজিবির মেজরের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধরের অভিযোগ

পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ দমনে সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই দায়িত্ব পালনে বিজিবির সঙ্গে ছিলেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও। কিন্তু রোববার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিজিবির মেজর মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

মারধরে আহত ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার রাজিবুল ইসলামকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যেই মেজরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে তাঁর নাম রহমত। তিনি বিজিবির ঢাকা সেক্টর সদর দপ্তরে কর্মরত। তবে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পানি সম্পদ সচিব কবীর বিন আনওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। রহমত নামে একজন মেজরের বিরুদ্ধে রাজিবুলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে খোলাসা হওয়া যাবে। অপরাধী যেই হোক তাঁর শাস্তি হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সাভারের ইউএনও শেখ রাসেল হাসান বলেন, বিজিবির একজন কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে বিধিবহির্ভূত ঘটনা ঘটেছে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। তাঁরা আইন সম্মত সমাধানের চেষ্টা করছেন।

সাভারে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাভারে আইন-শৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। আজ সকালে বিজিবির একটি দলের সঙ্গে সাভারের উলাইল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম। সেখানে বিজিবির দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মেজর রহমত। রাজিবুল সেখানে যাওয়ার পরে মেজর রহমত তাঁকে ‘আল মুসলিম’ পোশাক কারখানার ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে বসান।

রাজিবুল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন সেখানে তিনি লিখেছেন, আল মুসলিম কারখানার ভেতরে ওই কক্ষে মেজর রহমত তাঁর অধীনস্ত বিজিবির দুই সদস্যকে ডেকে বলেন পরিস্থিতি খারাপ হলে সরাসরি গুলি করতে হবে, পরে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন। 

বিষয়টির প্রতিবাদ করে রাজিবুল বলেন, নিয়মানুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়েই গুলি করতে হবে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মেজর রহমত চড়াও হন রাজিবুলের ওপর। তাঁকে কিল-ঘুষি লাথি মেরে আহত করেন। রাজিবুল কোনো রকমে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে রাখা গাড়ির কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কয়েকটি জেলায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের খবর পাওয়া গেছে।
  • Courtesy: Prothom Alo /Jan 14, 2019

Sunday, January 13, 2019

সংসদে না থেকেও বিরোধীদলে থাকা যায় — বেগম জিয়া










কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘বিরোধী দল শুধু পার্লামেন্টের ভেতরেই হয় না, পার্লামেন্টের বাইরেও বিরোধী দল হয়। যারা জনগণের কথা বলে, মানুষের অধিকারের কথা বলে তারাই বিরোধী দল।’

রোববার দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানির সময় তিনি একথা বলেন।


এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার নিজের পক্ষে শুনানিতে বলেন, ‘আজ আমরা বিরোধী দলে আছি বলেই বিপদে পড়েছি।’ এ সময় পাশ থেকে এক আইনজীবী প্রশ্ন করেন- ‘আপনারা কি বিরোধী দলে আছেন?’ তখন এর জবাবে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। 

রোববার পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানী গ্রহণ করেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানীর জন্য আগামী ২১শে জানুয়ারী দিন ধার্য করা হয়েছে। 

শুনানী শেষে দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।  এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। 

হুইল চেয়ারে করে আদালতে নেয়া হলো বেগম জিয়াকে


নাইকো মামলায় হাজিরা দিতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

রোববার, ১৩ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়।

আজ মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া বর্তমানে এ কারাগারেই বন্দী রয়েছেন।

এর আগে আদালতে হাজির করার জন্য বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট বা হাজতি পরোয়ানা (কারাগার থেকে মামলায় হাজিরা দেয়ার অনুমতি) জারি করেন আদালত।

গত ৩ জানুয়ারিতেও হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেদিন আদালতের কক্ষের অবস্থা ও পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি প্রধান।

এসময় খালেদা জিয়া বিচারককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘এতো ছোট জায়গায় মামলা চলতে পারে না। এখানে আমাদের কোনো আইনজীবী বসতে পারেন না। এখানে মামলা চললে আমি আর আদালতে আসব না।’


তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আইনজীবীদের গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়, আসতে পারে না। এর আগেও আমি বলেছি এ কথা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আপনারা সাজা দিলে দিয়ে দেন, তাও আমি এ আদালতে আসব না।’

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
 জানু ১৩, ২০১৯