নাইকো মামলায় হাজিরা দিতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রোববার, ১৩ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়।
আজ মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া বর্তমানে এ কারাগারেই বন্দী রয়েছেন।
এর আগে আদালতে হাজির করার জন্য বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট বা হাজতি পরোয়ানা (কারাগার থেকে মামলায় হাজিরা দেয়ার অনুমতি) জারি করেন আদালত।
গত ৩ জানুয়ারিতেও হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেদিন আদালতের কক্ষের অবস্থা ও পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি প্রধান।
এসময় খালেদা জিয়া বিচারককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘এতো ছোট জায়গায় মামলা চলতে পারে না। এখানে আমাদের কোনো আইনজীবী বসতে পারেন না। এখানে মামলা চললে আমি আর আদালতে আসব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আইনজীবীদের গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়, আসতে পারে না। এর আগেও আমি বলেছি এ কথা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আপনারা সাজা দিলে দিয়ে দেন, তাও আমি এ আদালতে আসব না।’
এর আগে আদালতে হাজির করার জন্য বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট বা হাজতি পরোয়ানা (কারাগার থেকে মামলায় হাজিরা দেয়ার অনুমতি) জারি করেন আদালত।
গত ৩ জানুয়ারিতেও হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেদিন আদালতের কক্ষের অবস্থা ও পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি প্রধান।
এসময় খালেদা জিয়া বিচারককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘এতো ছোট জায়গায় মামলা চলতে পারে না। এখানে আমাদের কোনো আইনজীবী বসতে পারেন না। এখানে মামলা চললে আমি আর আদালতে আসব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আইনজীবীদের গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়, আসতে পারে না। এর আগেও আমি বলেছি এ কথা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আপনারা সাজা দিলে দিয়ে দেন, তাও আমি এ আদালতে আসব না।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
জানু ১৩, ২০১৯
জানু ১৩, ২০১৯
No comments:
Post a Comment