—
প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান ও খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম
জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দশকটি ছিল অভাবিত ঘটনাবহুল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ব্যর্থতার পটভূমিতে ১৯৭৪ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয় দেশ। রাষ্ট্র পরিচালনায় সামগ্রিক ব্যর্থতা ঢাকতে ১৯৭৫ সালে ২৫শে জানুয়ারি বাকশাল গঠনের মাধ্যমে রাজনীতিতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পালাবদলের পথ রুদ্ধ করা হয়। এইরকম রুদ্ধশ্বাস পটভূমিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ঘটনার পরম্পরা সিপাহী-জনতা ৭ই নভেম্বর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রের পাদপ্রদীপে নিয়ে আসে। পরম্পরার ধারাবাহিকতাতেই ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসে তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বজনগ্রাহ্য দার্শনিক ভিত্তি ‘ জাতীয়তাবাদ’ যেমন প্রবর্তন করেন তেমনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করে দেশের সর্বস্তরে অভূতপূর্ব প্রাণের সঞ্চার করেন। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে দেশের সর্বত্রই শুধু অভূতপূর্ব কর্ম উদ্দীপনার মন্ত্র দিয়ে নয় বরং নিজেই কর্মী হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার প্রথম দশকের প্রথম সাড়ে তিন বছর যেমন হতাশার তেমনি প্রথম দশকের শেষ চার বছর আশাবাদী হওয়ার পর্ব। এই পর্বে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি যেমন দাঁড় করিয়েছেন তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন দেশের উন্নয়নের রাজনীতির সূচনা করেন।পররাষ্ট্র নীতিতে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান শহিদ জিয়া। দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্ব শক্তিশালী আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনে বিপুল এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে ব্যক্তিগত সততা ও কর্মউদ্যোগকে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই উচ্চতায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে কেউ পৌঁছাতে পারেনি। এজন্যই অনন্য শহিদ জিয়া এখনও প্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ: রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৫ কালপর্বে বাংলাদেশের জনগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মোড়কে পরিচিত করিয়ে দেয়ার প্রয়াস আমাদের জাতীয়তার পরিচয়কে পূর্ণতা দিতে পারেনি। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নবীন রাষ্ট্রের জনগণের জন্য জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করে রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি দাঁড় করান। জাতীয়তাবাদ বর্ণ,ভাষা,ধর্ম, ভৌগলিক অঞ্চল,অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা প্রত্যেকটি উপাদানকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই জাতীয়তাবাদের উদ্দেশ্য ছিল সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহকে একটি অভিন্ন পরিচয়ে নিয়ে আসা। তাই বর্ণ, ভাষা ও ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবোধকে অস্বীকার করার মাধ্যমে ‘ জাতীয়তাবাদ’ রাষ্ট্রের সার্বিক পরিচয়কে প্রতিনিধিত্ব করে।
উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির পথপ্রদর্শক
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে ‘সমাজতন্ত্র' থাকলেও কুশাসন, শোষণ, নিষ্পেষণে জনজীবনে দারিদ্র্য,অশিক্ষা ও অপুষ্টির অভিশাপের মতো বিরাজমান থাকায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সমাজতন্ত্রে’র পরিবর্তে সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্রের মধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি বৈপ্লবিক ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি কৃষি প্রধান বাংলাদেশকে চিনেছিলেন হৃদয়ের মমতা দিয়ে,তাই গ্রামকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবী কর্মসূচিতে পাঁচ বছরে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে দেড় বছরে স্বেচছাশ্রমের ভিত্তিতে ১২০০ খাল খনন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। বিপুল সংখ্যক জনগণকে গনশিক্ষার আওতায় আনা হয়। গ্রামে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনে বিপ্লবের সূচনা হয়। গ্রামে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টিতে ৬৫, ০০০ গ্রাম সরকার সৃষ্টি করা হয়। গ্রামের জনগণকে চিকিৎসা সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে অতি অল্প সময়ে ২৭, ০০০ পল্লী চিকিৎসক তৈরি করা হয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ সবকিছুই করা হয় শান্তিপূর্ণ বিপ্লবী কর্মসূচির আওতায়। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে প্রয়োজন ছিল বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা । শহিদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পূন: প্রবর্তনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের ধাঁচে দেশ গঠনের লক্ষ্যে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেন। উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিতে তিনি কর্মসূচি দিয়ে বসে না থেকে, কারো উপর নির্ভর না করে, নিজ কর্মউদ্যোগকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে নিজে মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন। আর স্বল্পকালীন রাজনৈতিক জীবনে ৫, ০০০ জনসভা কর্মীসভা ও সমাজ গঠন মূলক সভা করেছিলেন । এ সময় তিনি দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলের প্রায় সব গ্রামে গিয়েছেন। এধরনের সফরে কোনো সার্কিট হাউসে অবস্থান করলে পকেট থেকে বিধি অনুযায়ী ভাড়া পরিশোধ করে বিস্ময়কর নজির স্থাপন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
পররাষ্ট্রনীতিতে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞা
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্রনীতিতে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রাখেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সদ্য স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ, মধ্য ও বামপন্থী সব ধরনের মতাদর্শের অনুসারীদের মধ্য থেকে বন্ধু জুটিয়ে কার্যকর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রকে মজবুত ভিত্তিতে স্থাপন করেন । তিনি বাংলাদেশকে ভারত-সোভিয়েত বলয় থেকে বের করে পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈরী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে বন্ধুতে পরিণত করতে সক্ষম হন শহিদ জিয়া ।তিনি মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন অবস্থান সৃষ্টিতে সফল হন । আরব ও অনারব সব মুসলিম দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হন জিয়া। আল-কুদস কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ। এই ভূমিকায় সফলতার পটভূমিতেই মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির দুয়ার খুলে যায় দেশের জন্য। এছাড়া পররাষ্ট্রনীতিতে সবচেয়ে সম্মানজনক ও আলোচিত উদ্যোগ ইরাক ও ইরান সংঘর্ষের সমাধানকল্পে ওআইসি গৃহীত উদ্যোগে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করেন শহিদ জিয়া ।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করার পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে সার্ক গঠনের উদ্যোগ নেন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান । তাঁর জীবদ্দশাতেই সার্ক গঠনের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র সচিবদের প্রথম বৈঠকটি হয় কলম্বোয় এপ্রিল, ১৯৮১তে । ১৯৮৫তে ঢাকায় সার্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল ।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশকে সম্মানজনক পর্যায় উপনীত করার লক্ষ্যে তিনি বহুবার বিদেশ সফর করেন এবং বহু বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ফোরামে-জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ন্যাম,জি-৭৭, ওআইসি-তে তিনি বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।
ব্যক্তিগত সততায় অনন্য
ব্যক্তি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সততা ও কর্মেও অতুলনীয় প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার পারিবারিক অন্তরঙ্গ ঘরোয়া জীবন, আত্মীয়-স্বজন এসব ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন, কৌতুহল পছন্দ করতেন না। আত্মীয়-স্বজন পারতপক্ষে তার বাসায় যেতেন না বিশেষ উপলক্ষে অথবা পার্বণ ছাড়া; কারণ জিয়া বিব্রত বোধ করতেন। এদিকে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনও তার সঙ্গ এড়িয়ে চলতেন পাশে কেউ মনে করে প্রেসিডেন্টের আত্মীয় হিসেবে তারা কোনো সুযোগ নিচ্ছেন। জিয়াও ব্যক্তিগতভাবে এমনটি চাইতেন।
জিয়া বাইরে খুব টিপটপ থাকতেন।কিন্তু ঘরে একেবারে সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। কাজের ফাঁকে বঙ্গভবনে কখনো বিশ্রাম নিলে পরতেন-অনেকবার রিপু করা, তালি দেওয়া একটি হালকা প্রিন্টের পাজামা, একটি বারবার সেলাই করা ঢিলে শার্ট। ঘরে জিয়ার বসন-ভূষণ সম্পর্কে জানা যায় তারেক রহমান পিনুর লেখায়। ১৯৮১ সালের মাসিক শিশু এর মে-জুন সংখ্যায় ‘আমার আব্বু' শিরোনামে একটি নিবন্ধে লিখেছিলেন-
“আব্বু সাদাসিধে জীবন কাটাতে ভালোবাসতেন। আমরাও কোনোদিন কোনো দামি জামা কাপড় জুতা ব্যবহার করিনি। কেউ আমাদের কোনো জিনিস দিলে আব্বু তা পছন্দ করতেন না। তিনি নিজেও কারো কাছ থেকে কোন উপহার নিতেন না। সেজন্য আমাদের আত্মীয় স্বজন আমাদের কোনো কিছু উপহার দিতে সাহস করতেন না।.. আব্বু আম্মু আর আমরা দুভাই সাধারণ খাবার খেতাম। খুব সাধারন পোষাক পরতাম। আব্বুর ব্যবহার করা প্যান্ট বা শার্ট আব্বুর ছোট বড় হলে সেগুলো কেটে আমাদের গাঁয়ের মাপে দরজি জামা প্যান্ট তৈরি করে দিত। আমাদের বাড়ির খাবার-দাবার ছিল সাধারণ। অনেক বন্ধুর বাড়িতে দেখেছি তারা কত রকম খাবার খায়। কিন্তু আমরা সেই রকম খাবার খেতাম না। কারণ খাবারে বেশি বিলাসিতা আব্বু পছন্দ করতেন না।...”
পৃথিবীর বহু দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। প্রচলিত রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী এসব দেশ থেকে প্রীতি-শুভেচ্ছা-সৌজন্যের নিদর্শন হিসেবে বহু উপহার পেয়েছেন। তিনি উপহারগুলো জমা দিয়েছেন বঙ্গভবনের তোষাখানায়। পাকিস্তান থেকে আগত তাঁর একবন্ধু একটি কুর্তা উপহার দিয়েছিলেন, সেটাও জমা দিয়েছেন তোষাখানায়। ইরানের সাবেক সম্রাজ্ঞি ফারাহ দিবা বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে ফিরোজা পাথর বসানো একটি আংটি উপহার দিয়েছিলেন, সেই আংটিটি জমা রয়েছে তোষাখানায় । জিয়ার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ছিল-এগুলো সব রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ;তাই এগুলো তোষাখানায় জমা দেওয়া হয়েছে ।
শহিদ জিয়ার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে একজন সাংবাদিক বলছেন ‘সংযমের এবং স্বল্প খরচের এক নিদর্শন’। এক পেয়ালা চা এবং কখনও কখনও সাধারণ কিছু বিস্কিট এগুলো ছিল রুটিন আপ্যায়নের সামগ্রী। বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট জিয়ার খাবারের আমন্ত্রণকে অনেকেই “পানিশমেন্ট ফুড” হিসেবে বিবেচনা করতেন। মোটা চালের ভাতের সঙ্গে সবজি,ডাল, মাছ অথবা মাংস যেকোনো একটি । মাছ এবং মাংস একই সঙ্গে পরিবেশিত হলে তিনি রেগে যেতেন।
অনন্য শহিদ জিয়া এখনও সমান প্রাসঙ্গিক
বাংলাদেশের ইতিহাস শহিদ জিয়াকে কিভাবে স্মরণ করবে? সেই মূল্যায়নের সঠিক সময় সম্ভবত এখনো আসেনি। একটি নবীন রাষ্ট্রের পথচলার শুরু হয় নেতৃত্বে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ ধরে । নেতা পরবর্তী সময়ে নেতৃত্বের দুর্বলতায় সে স্বপ্ন ফিকে হয়েছিল । সেই ফিকে স্বপ্নকে রঙিন স্বপ্নে পরিণত করেছিলেন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার নিজস্ব ক্যারিশমায় । একটি নবীন দেশে রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি স্থাপনে, উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির পথপ্রদর্শক হিসেবে অন্তরীণ ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হন শহিদ জিয়া । তাঁর সময়েই পররাষ্ট্রনীতিতে সাফল্যের ধারাবাহিকতাতেই বহির্বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়ায় । তাঁর ব্যক্তিগত সততা ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন বিপুল সংখ্যক মানুষকে মুগ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল নিঃসন্দেহে । আসলে মাত্র সাড়ে চার বছরে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যা করে দেখিয়েছেন সেটা বিগত ৫০ বছরে কেউ পারেনি। তাইতো শহিদ জিয়া আজও সমান প্রাসঙ্গিক।