সালাহউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশে এখন দু’টি সংসদ চলমান। একাদশ সংসদ এবং দ্বাদশ সংসদ। যেহেতু রাষ্ট্রপতি এখন পর্যন্ত ভেঙে দেননি তাই একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৯শে জানুয়ারি ২০২৪। রাষ্ট্রপতি ভেঙে না দিলে এবং মেয়াদের শেষ না হলে সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং একাদশ সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় দ্বাদশ সংসদের সদস্যগণ শপথ নিয়েছেন।
এটি সংবিধানের সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ন্যূনতম নির্দেশনা অনুসরণ করলেও এই ধরনের অসাংবিধানিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে না।
দশম এবং একাদশ সংসদ রাষ্ট্রপতি ভাঙ্গিয়া দেন নাই এবং মেয়াদের অবসানও ঘটেনি। এতে বিনা কারণে এবং সহজে সংবিধান লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সংবিধান লঙ্ঘনে প্রজাতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠান নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে গেলে সংবিধান মান্য করার নৈতিক শক্তি হারিয়ে যাবে। ধারাবাহিকভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন কোনো ক্রমেই অনুসরণীয় হতে পারে না।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ'লীগের সংবিধান লঙ্ঘনের বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ীকমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন। যা ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দৈনিক নয়াদিগন্তে প্রকাশিত হয়েছে।
👇
———
সৌভাগ্যই বলিতে হইবে। মহাজোটের মহামন্ত্রী এবং মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের কল্যাণে আমরা দেশের প্রায় সকল আমজনতাই সংবিধান বিশেষজ্ঞ হইয়া উঠিয়াছি। উপায় ছিল না, বিগত কয়েক বৎসরে সংবিধানে কত রকমের অপারেশন করা হইয়াছে কেবল মুজিবকন্যার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পোক্ত করিবার মানসে। গতবারে গণভবন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত লইয়াছিলেন, কিন্তু কপালমন্দ; এইবারে অন্তত আজীবন থাকা যায় কি না, তাহারই আইনি কসরত চলিতেছে।
জনাব গওহর রিজভী সাহেবের একটি লেখা গত ১২ জানুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-‘শপথগ্রহণ নিয়ে সংশয়ের সুযোগ নেই’ শিরোনামে ছাপানো হইয়াছে। জনাবের জন্ম ও লালনপালন, শিক্ষা-দীক্ষা, কর্মজীবন সকল কিছুই বিদেশে বলিয়া দুষ্ট লোকেরা বলিয়া থাকেন। সুতরাং তাহাকে বিদেশ মন্ত্রক বিষয়ের উপদেষ্টা করা হইয়াছে। অতিশয় ভাগ্যবান বলিতে হইবে। তিনি বিদেশ বিষয়ের সহিত যে সংবিধান বিশারদও হইয়া উঠিয়াছেন ইহা আমাদের জানিবার সুযোগ করিয়া দিয়াছেন উপরোক্ত লেখনীর মারফত। তাহার প্রসঙ্গে আলোচনা করিয়া অন্যান্য বিষয়ে যাইব মনস্থ করিয়াছি।
সংবিধানের ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃৃত করিয়া তিনি ব্যাখ্যা দিলেন যে, শপথ গ্রহণযোগ্য পদের ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর শপথ গ্রহণকারী ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইলেও সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে তাহা প্রযোজ্য হইবে না।
তিনি যুক্তি হিসাবে উপস্থাপন করিয়াছেন সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যের শপথ গ্রহণের জন্য তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত শপথ ও ঘোষণা পত্রের (ফরমে) ঘোষণা (শপথ) ও স্বাক্ষরের কথা। ফরম (৫)-‘আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়া... আমি যে কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি তাহা আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব’। তাহার যুক্তি হইল সংসদ সদস্যগণ শপথগ্রহণ করিলেও কর্তব্যভার এখনও গ্রহণ করেন নাই, তবে আরও পরে নিকট ভবিষ্যতে কোনো তারিখে কার্যভার গ্রহণ করিবেন।
জনাব গওহর রিজভী সাহেব চশমা দিয়া ভালোমতো দেখিলে বুঝিতেন যে, শপথের ফরমে ‘কর্তব্যভারের (Discharge the duties) কথা বলা হইয়াছে কার্যভারের (Enters upon an office) কথা বলা হয় নাই।’ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীগণ গোপনীয়তার শপথ নেন এবং সংবিধান রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের জন্যও শপথ নেন যাহা সংসদ সদস্যদের নিতে হয় না।
এইবার মূল আলোচনায় আসিব
সংবিধানের ১২৩(৩) (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’ তবে শর্ত থাকে যে, এই দফায় (ক) উপদফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ উক্ত উপদফায় উল্লেখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না। কার্যভারগ্রহণ সংক্রান্ত ইংরেজি পাঠ হইল (a) “Shall not assume office as members of parliament except after the expiration of the term referred to therein.” অর্থাৎ উক্ত ৯০ দিন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কার্যভার গ্রহণ (office assume) করিবেন না, যাহা আগামী ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ ইং শেষ হইবার কথা। উল্লেখ্য, অনুচ্ছেদ ৭২(১) অনুযায়ী উক্ত ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন না থাকিবার বিধানটি ইতোমধ্যে লঙ্ঘিত হইয়াছে পূর্ববর্তী অধিবেশন টানিয়া লম্বা করিবার কারণে।
অনুচ্ছেদ ১৪৮(১)-এর ভাষ্যমতে শপথ গ্রহণের বিধান অনুযায়ী-কার্যভার গ্রহণের পূর্বে তৃতীয় তফসিলের ফরম মতে, শপথগ্রহণ ও স্বাক্ষর করিতে হইবে। ১৪৮ (১) এর ইংরেজি পাঠে কার্যভার গ্রহণকে “Entering upon the office” বলা হইয়াছে। ১৪৮(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথের আবশ্যক সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভারগ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। ইংরেজি পাঠ Where under this constitution a person is required to make an oath before he enters upon an office he shall be deemed to have entered upon office immediately after he makes the oath’ অর্থাৎ সংসদ সদস্যগণ শপথের সাথে সাথে কার্যভারগ্রহণ করিয়াছেন (deemed to have entered upon office) বলিয়া গণ্য হইবে। একজন সাবেক সংসদ সদস্য হিসাবে সবিনয়ে এই তথ্য দিতে পারি যে, শপথের তারিখ হইতে বেতন ভাতা, অন্যান্য সুবিধাদি ও কার্যাবলি কার্যকর হয়। office assume (কার্যভারগ্রহণ) করা বা Enters upon an office (কার্যভারগ্রহণ) কে duties (কর্তব্যভার) বলিবার সুযোগ নাই। বাংলা ও ইংরেজি উভয় পাঠই পরিষ্কার এবং পাশাপাশি বর্ণিত আছে সংবিধানে। এখন প্রশ্ন হইলো নবম সংসদ ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ ইং তারিখ পর্যন্ত বহাল থাকা অবস্থায় দশম সংসদ গঠিত হইল কিভাবে?
গওহর রিজভী সাহেবের বক্তব্য আরো একটি আছে তাহা হইল সংসদ সদস্যদের শপথের ফরমে (তৃতীয় তফসিল ফরম ৫) লেখা আছে ‘আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়া...... শপথ করিতেছি যে, আমি যে কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি তাহা আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব, যাহার ইংরেজি পাঠ “I will faithfully discharge the duties upon which I am about to enter according to law”
গওহর রিজভী সাহেবের মূল ভাষ্য হইল; সংসদ সদস্যগণ এখনও কার্যভার গ্রহণ করেন নাই, কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে সম্ভাব্য কোনো তারিখে কার্যভার গ্রহণ করিবেন। অথচ তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করিবার দুর্বল প্রয়াস নিয়াছেন। তিনি কার্যভার এবং কর্তব্যভার এক বিষয় মনে করিয়াছেন। শপথের ফরমের ভাষ্য অনুযায়ী সংসদ সদস্যগণ “কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছেন” (Duties upon which I am about to enter) সংসদ সদস্যগণ বাড়িতে, হাটে, মাঠে, ঘাটে কত রকমের কর্তব্যপালন করিয়া থাকেন। তাহাদের ৯টা-৫টা অফিস নাই। আবার সব সময় সংসদের অধিবেশনও বসে না।
এইবারে আলোচনা সমাপ্ত করিতে চাই
অনুচ্ছেদ ১২৩(৩) (ক) অনুযায়ী নবম সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগেই শপথগ্রহণপূর্বক সংসদ সদস্যরা কার্যভারগ্রহণ করিয়া (Assumed office) সংবিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন। মাননীয় স্পিকার তাহাদের শপথ পাঠ করাইয়া সংবিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন। অনুচ্ছেদ ১৪৮(৩) অনুযায়ী শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর সংসদ সদস্যগণ কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন (Deemed to have been entered upon the office)
গওহর রিজভী সাহেবের কথাই যদি মানিয়া লই তাহা হইলে দশম সংসদের সদস্যগণ এখনও কার্যভারগ্রহণ করেন নাই, তবে কি মন্ত্রিসভা নবম সংসদের সদস্যগণ লইয়া গঠিত হইল? তাহা হইলে কি রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করাইয়া সংবিধান লঙ্ঘন করেন নাই? পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখিয়া যে অনুচ্ছেদ আনা হইয়াছে তাহা ভবিষ্যতে এইখানেও কার্যকর হইবে কি না বলা যাইতেছে না।
বিনাভোট, বিনাভোটার, বিনাবিরোধী দল এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের নামে যে প্রহসনের নির্বাচন নাটক মঞ্চস্থ হইল তাহাদের কেবল শপথগ্রহণই যে একমাত্র ভরসা। শপথ সর্বস্ব এমপিদের লইয়া মুজিবকন্যা কত দূর যাইবার শপথ করিয়াছেন তাহাই এখন দেখিবার বিষয়।
অনেক সুশীলকে বলিতে শুনিলাম; নির্বাচন কমিশন দ্রুত গেজেট প্রকাশ করিবার কারণেই যত গণ্ডগোল। এক্সরে করিয়া দেখিলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ডের অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। অতএব কর্তার ইচ্ছায় কর্ম।
মহাজোট সরকারের সংবিধান লঙ্ঘনের কাহিনী বর্ণনা করিতে হইলে আরেকটি মহাভারত লিখিতে হইবে; সুতরাং ইচ্ছা থাকিলেও সীমিত রাখিতে হইবে। তবে সাম্প্রতিককালের কয়েকটি বর্ণনা দিতে চাই।
নির্বাচনী সরকার গঠনের নামে সব মন্ত্রীর পদত্যাগ নাটক দেশ-বিদেশে সবাইকে দেখিতে হইল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে। কয়েকজন মন্ত্রীকে দেখিলাম মুজিবকন্যার পদতলে পদত্যাগপত্র সমর্পণ করিয়া পদস্পর্শ করিয়া প্রণাম করিতে। জাতিকে দেখিতে হইল, আন্তর্জাতিকও দেখিল। ভবিষ্যতে ষষ্ঠাঙ্গে প্রণাম দেখিবার ভাগ্য হইলেও অবাক হইব না।
সংবিধানের ৫৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করিলেই মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে। অথচ পদত্যাগী মন্ত্রীরা অফিস করিলেন; ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অংশ নিলেন; পরবর্তীতে নির্বাচনী সরকারের সদস্য হইলেন। যদিও সংবিধানে ‘নির্বাচনকালীন’ সরকার বলিতে কিছুই নাই তারপরেও তিনি তাহা জাতিকে উপহার দিলেন। পদত্যাগী মন্ত্রীদের উক্ত সময়ের কার্যাবলি অসাংবিধানিক বিবেচনায় ভবিষ্যতে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতারও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হইবার সম্ভাবনা অবশ্যই রহিয়াছে।
মুজিবকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবিধান লঙ্ঘনের প্রবণতা পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত। তাহার পিতা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে ১৯৭৪ ইং সনের ১৬ মে তারিখে চুক্তি সম্পাদন করিয়া বাংলাদেশের দক্ষিণ বেরুবাড়ী ইউনিয়নের ২.৬৪ বর্গমাইল এলাকা ভারতের কাছে হস্তান্তর করেন, বিনিময়ে তিন বিঘা করিডোর (১৮৭ × ৮৫ মিটার) অদ্যাবধি আমরা স্থায়ীভাবে পাই নাই (এই চুক্তি লইয়া অন্য দিন লিখিবার ইচ্ছা রইল)। সংবিধান অনুযায়ী এই চুক্তি করিবার কোনো এখতিয়ার তাহার ছিল না। চুক্তি কার্যকর করিবার জন্য অতঃপর ২৯ নভেম্বর ১৯৭৪ ইং তারিখে সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনী আইন প্রণয়ন করিতে হইয়াছে। বাংলাদেশকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী পৈতৃক সম্পত্তি মনে করিবার ইহাও একটি কারণ হইতে পারে।
আমাদের সকলেরই মনে থাকিবার কথা যে, মুজিবকন্যা দিল্লি সফর করিয়া বাংলাদেশে ফেরত আসিয়া বলিলেন ‘আমি জয়ী আজ, দিল্লি জয় করিয়াছি’। ৫০ দফার যৌথ ইশতেহার ও পাঁচটি চুক্তি সম্পাদন করিয়া দিল্লির কাছে আপদমস্তক ইজারা দিয়া আসিয়া পরবর্তীতে বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যাহা তিনি করিয়াছেন তাহা দেশের জনগণ দেখিয়াছে এবং বলিয়াছে ‘দিল্লি তাহাকে জয় করিয়াছে’। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মাঝে মধ্যে গান, কবিতা ইত্যাদি আওড়ানোর শখ আছে। তিনি না বুঝিয়াই কি মহাভারতের খলনায়ক দুর্যোধনের বাক্য বলিয়াছেন? কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে ‘গান্ধারীর আবেদন’ রচনা করিয়াছেন।
সম্রাট ধৃতরাষ্ট্রের প্রশ্ন পুত্র দুর্যোধনের কাছে —
অখণ্ড রাজত্ব জিনি সুখ তোর কই রে দুর্মতি?
দুর্যোধন বলিলেন, সুখ চাহিনাই মহারাজ
জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী আমি আজ।
সত্যই কলিযুগের দুর্যোধন মুজিবকন্যা দিল্লি জয় করিয়াছেন কি না জানি না; তবে দিল্লি অবশ্যই (দশম সংসদ নির্বাচনে) তাহাকে বিজয়ী দেখিতে চাহিয়াছেন ইহাতে কোনো সন্দেহ নাই। ঢাকা-দিল্লির যে মহড়া চলিতেছে তাহা দেখিয়া কোন প্রাতঃকালে গাহিতে হইবে ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্য বিধাতা’ এখন আপাতত ইহাই চিন্তার বিষয়।
—
লেখক : সালাহউদ্দিন আহমেদ
সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি।
(এই কলামটি দৈনিক নয়াদিগন্তে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে।)